• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে হাফেজ নিহত 
বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের পূর্ব কুকুয়া গ্রামে বজ্রপাতে হাফেজ আব্দুল্লাহ (১৫) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬ মে) রাত পৌনে ৮টার সময় বিলে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান তিনি। আব্দুল্লাহ ওই গ্রামের মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে।  জানা গেছে, আব্দুল্লাহ মাছ ধরার জন্য সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের বিলে যান। এ সময় আকস্মিক বজ্রপাতে  তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।  খবর পেয়ে স্বজনরা তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।  নিহত আব্দুল্লাহর শিক্ষক এরশাদ উল উলুম মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মো. ফয়জুল্লাহ জানান, হাফেজ আব্দুল্লাহ তার মাদরাসা থেকেই চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কোরআনে হাফেজ হয়। 
৪ ঘণ্টা আগে

মাছ না পেয়ে সাগর থেকে খালি হাতে ফিরছেন জেলেরা
গভীর সাগরে জাল ফেললেও মিলছে না সামুদ্রিক মাছ। ফলে শূন্য ট্রলার নিয়ে সাগর থেকে ফিরছেন কক্সবাজার উপকূলের জেলেরা। তীব্র দাবদাহে সাগরে মাছ না পেয়ে হতাশ জেলেপল্লি। আর মৎস্য ব্যবসায়ীরা লোকসানে জর্জরিত হওয়ার পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আদায়েও ধস নেমেছে। বেকার হয়ে পড়তে পারে প্রায় ৬৫ হাজার জেলে। বেকায়দায় পড়েছেন পাঁচ শতাধিক মৎস্য ব্যবসায়ী। ট্রলার মালিকদের দাবি, তীব্র তাপদাহের পাশাপাশি সাগরে ট্রলিং জাহাজের দৌরাত্ম্যে সাগরে মাছশূন্য হয়ে পড়ছে। কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ বলছে, মাছের আকালের কারণে মৎস্য ব্যবসায়ীরা লোকসানে জর্জরিত হওয়ায় রাজস্ব আদায়েও ধস নেমেছে। তীব্র গরমের কারণে যেমন সাগরে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না, তেমনি ট্রলিং জাহাজের কারণে সাগর মাছশূন্য হয়ে পড়ছে। যেভাবে ট্রলিং জাহাজের ব্যবহার বেড়েছে সেক্ষেত্রে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় মাছশূন্য হয়ে পড়বে সাগর, এমন আশঙ্কা করছেন ট্রলার মালিকরা। কক্সবাজারে নিবন্ধিত জেলে রয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার। আর নিবন্ধিত নৌযান রয়েছে ৬ হাজারের মতো। শুক্রবার (৩ মে) সকালে দেখা যায়, একের পর এক প্রায় মাছশূন্য ট্রলার নিয়ে সাগর থেকে উপকূলে ফিরছেন জেলেরা। ঘাটে ভিড়লেও মেলে না মাছ উঠানামার দৃশ্য। বাঁকখালী নদীতে নোঙর করা রয়েছে সারি সারি মাছ ধরার ট্রলার। প্রতিদিন কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ৩০ থেকে ৫০ কোটি টাকার সামুদ্রিক মাছ বেচাকেনা হতো। অথচ সেখানকার পন্টুন এখন অনেকটা মাছশূন্য। বেকার সময় পার করছেন মৎস্য শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। দেখা যায়, কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর উপকূলে নোঙর করেছে এফবি পায়েলমনি নামে একটি ট্রলার। দুশ্চিন্তার যেনো শেষ নেই ফিরে আসা মাঝি মাল্লা রমজান, শাহজান ও সাহেদের। গত এক মাসে ২ বার ১০ লাখ টাকা খরচ করে তারাসহ ২২ জেলে নিয়ে গিয়েছিলো সাগরে। কিন্তু সাগরে ধরা পড়েনি ইলিশসহ কোনো মাছ। ফলে লোকসানের কারণে ট্রলার মালিক আর সাগরে মাছ শিকারে তাদের পাঠাচ্ছেন না। এখন কীভাবে তাদের সংসার চলবে তা নিয়ে রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। তারা বলছেন, দুশ্চিন্তা যেন পিছুই ছাড়ছে না। সাগরে গিয়ে ১০ দিন জাল ফেলেও মাছ মেলেনি। এ বিষয়ে জেলে আনোয়ার হোসেন বলেন, পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে সাগরে মাছ শিকারে গিয়েছি ১৫ জন জেলে। কিন্তু ১১ দিন সাগরে জাল ফেলে অল্প কিছু মাছ পেয়েছি। মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে বিক্রি করে পেয়েছি মাত্র ৬০ হাজার টাকা। সেই হিসেবে ট্রলার মালিকের লোকসান প্রায় ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এখন ট্রলার মালিক আর সাগরে মাছ শিকারে পাঠাচ্ছে না। তাই বেকার হয়ে পড়েছি।   কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সহকারী হিসাব নিয়ন্ত্রক আশীষ কুমার বৈদ্য জানান, গেল বছর এ সময় প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এখন সেখানে খুবই কম টাকার মাছ বিক্রি হচ্ছে। বলতে গেলে প্রায় ৪০ শতাংশ মাছ বিক্রি হচ্ছে।
০৪ মে ২০২৪, ০০:০০

যেদিন থেকে সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতি বছরের মতো চলতি বছরও ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনাসভা শেষে এ তথ্য জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই আহরণের স্বার্থে সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধকালে শুধু আইন প্রয়োগ নয় বরং জেলেদের জীবিকা নির্বাহের জন্য এ সময় ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে সহায়তা করা হবে। এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সামাজিক ক্যাম্পেইন চালানো হবে।  তিনি আর বলেন, সামুদ্রিক মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করার জন্য বিভাগ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সব সংস্থা এবং মৎস্য আহরণ, বিপণন ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল অংশীজনকে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন সমুদ্রে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহযোগিতার আহ্বান জানাই। আলোচনা সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, র‌্যাব সদর দপ্তর ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশালের বিভাগীয় কমিশনারগণ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, উপকূলীয় জেলাসমূহের জেলা প্রশাসকগণ, উপপরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তর (চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল) ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তারাসহ মৎস্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এবং মৎস্য আহরণের সাথে সম্পৃক্ত বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ এসোসিয়েশন, মেরিন হোয়াইট ফিশ ট্রলার ওনার্স এসোসিয়েশন, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী বোট মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:০৩

মাছ কেটে জীবন চলে তাদের
পায়ে বটি রেখে কাঠের ওপর সারাক্ষণ মাছ কাটেন। এই মাছ কাটতেই দিন শুরু হয়, মাছ কাটতে কাটতেই দিন কাটে। অন্যের মাছ কাটা পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন এই শ্রমজীবীরা। যদিও এ পেশায় আসার পেছনে রয়েছে নানা ঘটনা। মাছের আকার ভেদে কেজিপ্রতি মাছ কাটতে তারা নেন ২০ থেকে ৩০ টাকা। এতে দিনে আয় হয় ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। এই টাকা থেকে বসার জায়গা, ময়লা ফেলা ও ছাই কিনতে দৈনিক খরচ হয় ৯০ টাকারও বেশি। পরিবারের উপার্জনক্ষম যখন নারী তখন এই সামান্য আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় তাদের। যদিও সপ্তাহের বন্ধের দিনগুলোতে বাজারে ক্রেতা বেশি থাকায় কিছুটা বাড়তি আয় হয়। তাই সপ্তাহের বন্ধের দিনের আশায় থাকেন তারা। তাই ঠান্ডা-জ্বরে অসুস্থ হলেও কাজে আসেন এই মাছ কাটিয়ারা।  কর্মব্যস্ত এই শহরে বিত্তবান ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মধ্যে বাজার থেকে কাটানোর প্রবণতা বাড়ছে। গৃহস্থালির কাজে সময় বাঁচাতে মাছ কাটার জটিলতা এড়িয়ে যান তারা। এমনিতে সারাদিন নানা কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। বাসায় কাজের লোকের সমস্যা রয়েছে। মেয়েরা রান্নাবান্না আর ঘরের জরুরি কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তাই সময় বাঁচাতে, বাজার থেকে মাছ কিনে পরিষ্কার করে নিয়ে যায় তারা। এতে করে বাড়তি কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না। তাই এই মাছ কাটিয়াদের চাহিদা বাড়ছে। সময় বাঁচাতে ২০ থেকে ৩০ টাকা দিয়ে বাজার থেকে ছোট ও বড় মাছ কাটিয়ে নেন চাকরিজীবী ও মেসে থাকা লোকজন। এ পেশায় যেমন হতদরিদ্র নারীদের অর্থনৈতিক ভাবে করছে স্বাবলম্বী তেমনি ব্যস্ত নগরীর মানুষের গৃহস্থালির কাজকেও সহায়তা করছে। তবে সিটি কর্পোরেশনের এই খোলা স্থানে মাছ কাটায় নানা সমস্যায় পড়তে হয় তাদের।  
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩২

কুয়াকাটায় ৫০ মণ শাপলাপাতা মাছসহ ট্রলার জব্দ
পটুয়াখালীর মহিপুরে নিষিদ্ধ ৫০ মণ শাপলাপাতা মাছ, ১ মণ হাঙ্গর ও সাড়ে ৭ মণ পিতম্বর মাছসহ একটি মাছধরা ট্রলার আটক করেছে নিজামপুর কোষ্টগার্ড।  বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মৎস্য বন্দর মহিপুরের খাপড়াভাঙ্গা নদী সংলগ্ন একটি বরফ কলের সামনে থেকে এ ট্রলারটি জব্দ করা হয়। পরে মহিপুর বন বিভাগের উপস্থিতিতে রাতেই এসব মাছ মাটিচাপা দেওয়া হয়।  এ সময় জেলেদের কাছ থেকে শাপলাপাতা মাছ আর ধরবে না মর্মে মুচলেখা নিয়ে ট্রলারটি ছেড়ে দেওয়া হয়।  নিজামপুর কোষ্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার আবু রাশেদ সুমন জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে শাপলাপাতা মাছ ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এসব মাছ জব্দ করা হয়েছে। সাগর নিরাপদ রাখতে কোষ্টগার্ডের অভিযান অব্যাহ রয়েছে। 
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৩

কাপ্তাই হ্রদে ৩ মাস মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরু
কার্পজাতীয় মাছের বংশবিস্তার ও প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ২৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা। আগামী ২৪ জুলাই পর্যন্ত মোট তিন মাস দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম হ্রদ কাপ্তাই হ্রদে সব ধরনের মাছ আহরণ, বাজারজাত ও পরিবহনের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।  বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) সূত্রে জানা যায়, কাপ্তাই হ্রদে কার্প প্রজাতির মা মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিত করার জন্য ডিম ছাড়ার মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ রাখা প্রয়োজন। কাপ্তাই হ্রদ দেশের কার্পজাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজননের একটি অন্যতম স্থান। এ সময় মাছ শিকার বন্ধে কাপ্তাই হ্রদে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। স্থানীয় বরফ কলগুলোও এ সময় বন্ধ থাকবে। রাঙ্গামাটির জেল প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানিয়েছেন, কার্পজাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণে ২৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে আগামী তিনমাস কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। জেলেরা যাতে বন্ধকালীন সঠিকভাবে খাদ্য সহায়তা পায় সেই বিষয়ে আমরা সচেষ্ট আছি। আশা করছি যথাসময়ে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে যাবে। মাছ শিকার বন্ধে নৌ পুলিশের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ টিমও কাজ করে যাবে। এ সময় কেউ হ্রদে মৎস্য আহরণ করলে অপরাধ অনুযায়ী তাকে দণ্ড দেওয়া হবে।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০১

জালে ধরা পড়ল ৪০০ কেজি ওজনের ‘তলোয়ার’ মাছ
কক্সবাজারের টেকনাফের বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে প্রায় ৪০০ কেজি ওজনের বিরল প্রজাতির একটি ‘তলোয়ার মাছ’ ধরা পড়েছে।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুরানপাড়া ঘাট থেকে মাছটি তুলে আনে জেলেরা।  এ সময় মাছটি দেখতে ভিড় করেন স্থানীয়রা। ধলা মিয়া নামে এক আড়তদার মাছটি ৮০ হাজার টাকায় কিনে নেন।  জেলেরা জানায়, বুধবার মাছটির জালে ধরা পড়ে। মাঝে মধ‌্যে এই প্রজাতির মাছ ধরা পড়লেও এত বড় মাছ এই প্রথম তাদের জালে উঠেছে। মাছের ক্রেতা জানান, বুধবার সকালে স্থানীয় জেলে আবু তৈয়বের জালে মাছটি ধরা পড়ে। মাছটি ৮০ হাজার টাকায় ক্রয় করা হয়। এর ওজন প্রায় ৪০০ কেজি, লম্বায় প্রায় ২৫ ফুট। মাছটি কেটে প্যাকেটজাত করে শহরের বাজারে বিক্রি করা হবে। সুস্বাদু মাছ হিসেবে শহরের বাজারে মাছটির সুনাম রয়েছে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৪

তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা বন্ধ
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে ২৫ এপ্রিল থেকে তিন মাসের জন্য সকল প্রকার মাছ শিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির জন্য এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। কাপ্তাই হ্রদে মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুমে জেলা প্রশাসন মাছের আহরণ ও বিপণনের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন। আগামী ২৫ এপ্রিল মধ্যরাত ১২টা থেকে তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। নিষেধাজ্ঞাকালে স্থানীয় বরফ কল বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি স্থানীয় বাজার ও কাপ্তাই হ্রদ মনিটরিং করা হবে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কাপ্তাই হ্রদের মাছ শিকারের ওপর এক সভায় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন। সভায় রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবাইদা আক্তার, রাঙ্গামাটি জেলা বিএফডিসি ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অধীর দাস, নৌ-পুলিশ প্রতিনিধি, মৎস্য ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ও সুষম বংশবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন মাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়ে থাকে। এই নিষেধাজ্ঞাকালে মাছ আহরণের ওপর নির্ভরশীল জেলেদের বিশেষ ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্যশস্য সহায়তা দেওয়া হবে। এ ছাড়া অবৈধ উপায়ে মাছ আহরণ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ বন্ধ করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পাশাপাশি কাপ্তাই হ্রদের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নৌ-পুলিশ মোতায়েন করা হবে। হ্রদে অবৈধ উপায়ে মাছ শিকারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন রাঙ্গামাটির ব্যবস্থাপক কমান্ডার আশরাফুল আলম ভূঁইয়া জানান, প্রতি বছর ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে এবার কাপ্তাই হ্রদের পানি দ্রুত কমে যাওয়ায় ৫ দিন আগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। 
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৮

গলায় জীবন্ত কৈ মাছ আটকে কৃষকের মৃত্যু
নরসিংদীতে নালায় মাছ ধরার সময় গলায় কৈ মাছ আটকে মিয়াচাঁন নামে কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাত ৮টার দিকে ঝড়বৃষ্টির পর সদর উপজেলার বালুসাইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মিয়াচাঁন (৪৮) বালুসাইর গ্রামের তারব আলীর ছেলে। নিহতের স্বজনেরা জানান, বৈশাখী ঝড়বৃষ্টির সময় বাড়ির পাশের নালায় কৈ মাছসহ বিভিন্ন মাছ আসতে দেখে ধরতে যান মিয়াচাঁন। এসময় একটি কৈ মাছ ধরার পর সাথে মাছ রাখার মত পাত্র না থাকায় মুখে কামড়ে আটকে রাখেন এবং আরও মাছ ধরার চেষ্টা করেন। এসময় অসাবধানতাবশত কৈ মাছটি মুখের ভেতর ঢুকে পড়ের গলায় আটকে যায়। উপস্থিত স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। পরে স্বজনরা তাকে ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মহিষাশুড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুফতি কাওছার আহমেদ বলেন, গলায় মাছ আটকে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। ঝড়বৃষ্টির কারণে সরজমিন খোঁজ নিতে পারিনি, তবে লোক পাঠিয়েছি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৩

মাছ ধরতে গিয়ে ৪২ জেলে আটক
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ জেলেকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ। একই সঙ্গে অবৈধ জাল, মাছ এবং বাগদা রেনু পোনা জব্দ করা হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে নৌ-পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কাজী নুসরাত এদীব লুনা আটক ও জব্দের তালিকা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সারাদেশে নৌপথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভিযান পরিচালনা করছে নৌ-পুলিশ। চলমান এ অভিযানে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধঘোষিত অবৈধ জাল, মাছ এবং মাছের পোনা উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছে ৪২ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন অভিযানে এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে মোট এক কোটি ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৪০ মিটার অবৈধ জাল, ২ হাজার ২০ কেজি মাছ এবং ১ লাখ ১২ হাজার ৫০০টি বিভিন্ন প্রজাতির বাগদা রেনু পোনা জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই অভিযানে মোট ১১টি নৌকা এবং বৈধ কাগজপত্রবিহীন ৫টি বাল্কহেড আটক করা হয়। পুলিশ সুপার বলেন, জব্দ করা অবৈধ জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে মাছ এবং পানিতে অবমুক্ত করা হয়েছে বাগদার রেনু পোনা।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়