রাজধানীতে মাদকসহ ২৪ জন গ্রেপ্তার
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
সোমবার (৬ মে) ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল ৬টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তাদের হেফাজত থেকে ১৫৫ পিস ইয়াবা, ১৭৬ গ্রাম হেরোইন ও ১৭ কেজি ৪০ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৮টি মামলা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
রাজধানীতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা
রাজধানীর মিরপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ছয়তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে রাদিয়া তেহরিন উৎস (১৯) নামের এক ট্রান্সজেন্ডার নারী আত্মহত্যা করেছেন।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এ খবর নিশ্চিত করেছেন মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুন্সি সাব্বির হোসেন। সোমবার রাত আটটার দিকে মিরপুরের সেনপাড়া পর্বতা এলাকার একটি ছাত্রী হোস্টেলে এ ঘটনা ঘটে।
মুন্সি সাব্বির হোসেন বলেন, ওই ছাত্রী হোস্টেলের ছয়তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি বিউটিশিয়ান (রূপসজ্জাকারী) হিসেবে কাজ করতেন। তার গ্রামের বাড়ি জামালপুরে। ওই শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন, সেটার তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনি বিভিন্ন কারণে হতাশায় ভুগছিলেন। হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
জানা গেছে, মিরপুরের বাংলা কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে (বাংলা বিভাগ) পড়াশোনা করতেন রাদিয়া তেহরিন উৎস। তিনি জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার সাইফুল ইসলামের সন্তান। গত সেপ্টেম্বরে গুলশানের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অডিশন রাউন্ডে ‘ইয়েস কার্ড’ পেয়েছিলেন তিনি।
মৃত্যুর আগে রাদিয়া তেহরিন উৎস ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, আমি আজ রাতে সুইসাইড করতে যাচ্ছি। আমার সোশ্যাল মিডিয়ার একাউন্টগুলো ডিলিট করার খুব চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। আমার ফোনের সব লক খুলে গেলাম, কেউ ফোন পেলে আমার সব একাউন্ট ডিলিট করে দেবেন দয়া করে।
মৃত্যুর পর তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলছেন, রাদিয়া তেহরিন উৎস আসলে আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ সমাজ ও সমাজের মানুষেরা তাকে হত্যা করেছে। মানুষের জীবনকে যে বা যারা অসহনীয় করে তুলেছেন। শরীফ শরীফা ইস্যু যারা দাঁড় করিয়েছেন। নিয়মিত বুলিং করছেন। এই মৃত্যুর জন্য দায়ী তারা প্রত্যেকেই।
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থীর মৃত্যু, ধারণা হিটস্ট্রোক
নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক ওয়ারেছ তূর্য মারা গেছেন। তীব্র তাপপ্রবাহে হিটস্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছেন তার স্বজনরা।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে তিনি মারা যান। নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ও জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক আসিফ বিন আলী গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তূর্য অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন বলে তার পরিবার ও স্বজনরা ধারণা করছেন। আমরা তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি।
ইশতিয়াক ওয়ারেছ তূর্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের ২০২তম ব্যাচের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে। তিনি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় থাকতেন।
তূর্যের বাবা ওয়াহিদুজ্জামান মিনু আফজাল হোসেন মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক। বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন তূর্য।
এদিকে, মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় তূর্যের মৃত্যুর পর বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে তার মরদেহ নিজ জেলা সিরাজগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাদ জোহর সিরাজগঞ্জ আলিয়া মাদরাসা মাঠে তার জানাজা হবে।
পরিচয়ে লেখক, আদতে ভয়ঙ্কর শিশু পর্নোগ্রাফার
তিনি একজন শিশুসাহিত্যিক ও চিত্রগ্রাহকও বটে। বেশির ভাগ কাজ করেন পথশিশুদের নিয়ে। টিপু কিবরিয়া নামে পরিচিত এ শিশুসাহিত্যিক জড়িয়ে পড়েছেন জঘন্য এক অপরাধে। শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরি ও বিদেশে বিক্রির অভিযোগে এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে।
এ সময় এক শিশুকেও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়াও শিশু পর্নোগ্রাফির কনটেন্ট ও পর্নোগ্রাফি তৈরির সরঞ্জাম জব্দের কথা জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর খিলগাঁও থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ বিভাগের এন্টি ইলিগ্যাল আর্মস রিকোভারি টিম। তারা হলেন টি আই এম ফখরুজ্জামান ওরফে টিপু কিবরিয়া ও মো. কামরুল ইসলাম ওরফে সাগর।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোড ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ফকরুজ্জামান এক সময়কার খুব জনপ্রিয় শিশু সাহিত্যিক। তিনি টিপু কিবরিয়া নামে পরিচিত। টিপু কিবরিয়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৭ সালে বাংলায় স্নাতক এবং ১৯৮৮ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯১ সালে সেবা প্রকাশনীর মাসিক ‘কিশোর পত্রিকা’য় সহকারী সম্পাদক পদে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। তিনি ফ্রিল্যান্স আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি শিশু সাহিত্য রচনা করতেন। তার অর্ধশতাধিক বই রয়েছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ২০০৫ সাল থেকে শিশু পর্নোগ্রাফি উৎপাদন ও বিতরণের সঙ্গে জড়ান টিপু কিবরিয়া। দীর্ঘদিন এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার পর ২০১৪ সালে সিআইডির কাছে গ্রেপ্তার হন এবং তার নামে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়। ২০২১ সালে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে পুনরায় সাহিত্য নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন টিপু কিবরিয়া। ‘একশো এক’ নামে একটি কবিতার বই প্রকাশ করে। একই সাথে, সাহিত্য চর্চার আড়ালে পুনরায় শিশু পর্নোগ্রাফির সেই পুরোনো পথেই হাঁটতে শুরু করেন টিপু কিবরিয়া।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি ছিন্নমূল ছেলে পথশিশুদের ব্যবহার করে পর্নোগ্রাফি কন্টেন্ট বানান। ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাংবাদিক বেশে পথশিশুদের অর্থের লোভ দেখিয়ে বাসায় ডেকে নিজের ক্যামেরার সাহায্যে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির নগ্ন ছবি, শরীরের বিভিন্ন গোপনাঙ্গের ছবি তোলেন এবং ভিডিও করেন। নিজের বাসা ছাড়াও বিভিন্ন পার্কের নির্জন ঝোপঝাড়ে এই ছিন্নমূল শিশুদের একই প্রক্রিয়ায় অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। শিশুদের সংগ্রহ করার জন্য তার কয়েকজন সহযোগী রয়েছে। যাদের মধ্যে একজন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিকভাবে তার ব্যবহৃত ডিভাইসগুলো থেকে প্রায় ২০ জন পথশিশুর ছবি ভিকটিম হিসেবে শনাক্ত করা গেছে। তার ব্যবহৃত ক্যামেরা, পিসি ও ক্লাউড স্টোরেজ থেকে পর্নোগ্রাফির উদ্দেশ্যে তোলা প্রায় ২৫শ’ শিশুর স্থিরচিত্র ও প্রায় এক হাজার ভিডিও কনটেন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। তার ডেস্কটপে অসংখ্য ছিন্নমূল ছেলে পথশিশুদের প্রচুর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে। তিনি এসব কনটেন্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিকৃত রুচির গ্রাহকের কাছে বিক্রি করতেন।
অভিযান পরিচালনার সময় তার বাসায় তার ব্যবহৃত ডেস্কটপটি পরীক্ষা করে দেখা যায়, তিনি MEGA এবং Totanota নামক দুইটি এনক্রিপ্টেড অ্যাপসের মাধ্যমে তার ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করেন। এ পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে ইতালি, অস্ট্রেলিয়া ও জর্মানির নাগরিকসহ প্রায় ২০-২৫ টি Totanota ও MEGA আইডি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। যারা এসব আইডি দিয়ে মূলহোতা টিপু কিবরিয়ার সাথে শিশু পর্নোগ্রাফির বিভিন্ন কনটেন্টের জন্য যোগাযোগ করত।
এ ছাড়া তার ব্যবহৃত ক্যামেরা, পিসি ও ক্লাউড স্টোরেজ থেকে প্রাথমিকভাবে প্রায় ২৫শ’ শিশু পর্নোগ্রাফির উদ্দেশ্যে তোলা স্থির চিত্র ও প্রায় এক হাজার ভিডিও কনটেন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। তার ডেস্কটপে অসংখ্য ছিন্নমূল ছেলে পথশিশুদের প্রচুর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও পাওয়া গিয়েছে।
শনিবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
ঢাকার কিছু এলাকায় শনিবার (২৭ এপ্রিল) ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে তিতাস।
এতে বলা হয়, পাইপলাইনের কাজের জন্য শনিবার সকাল ৯টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত শনির আখড়া, বড়ইতলা, ছাপড়া মসজিদ, দনিয়া, জুরাইন, ধোলাইরপাড় ও কদমতলী এলাকার সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া ওই সময়ে আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে।
গ্রাহকদের এ অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
ভাসানটেকে বিস্ফোরণ: একে একে পরিবারের ৬ জনেরই মৃত্যু
মিরপুরের ভাসানটেকে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ লিজা আক্তারও (১৮) মারা গেছেন। এ নিয়ে ওই ঘটনায় একে একে প্রাণ গেল পরিবারটি ছয়জনেরই।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান লিজা।
এর আগে একই ঘটনায় দগ্ধ হয়ে লিজা আক্তারের বাবা-মা, ভাই-বোন ও নানি মারা যান।
লিজার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, ভাসানটেক এলাকা থেকে দগ্ধ হয়ে একই পরিবারের ছয়জন শেখ হাসিনা বার্নে এসেছিলেন। তাদের মধ্যে একে একে পাঁচজন আগেই মারা যান। এ ঘটনায় দগ্ধ লিজা একমাত্র বেঁচে ছিলেন। আজ (শনিবার) সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাই ডিফেন্সি ইউনিটে তার মৃত্যু হয়। লিজার শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
এর আগে ২৪ এপ্রিল দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় লিজার ভাই সুজন (৯)। ১৬ এপ্রিল সকালে মারা যান বাবা লিটন মিয়া (৫২)। তার আগের দিন সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান লিজার মা সূর্য বানু।
এছাড়া ১৩ এপ্রিল সকালে মারা যান নানি মেহেরুন্নেছা (৬৫)। এ ঘটনায় আরও মারা যায় লিজার বোন লামিয়া।
প্রসঙ্গত, ১২ এপ্রিল ভোর ৪টার দিকে ভাসানটেকের একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
এলাকাবাসী জানান, মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে ঘরের মধ্যে গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসে আগুন ধরে যায়। এতে ওই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন।
তাদের মধ্যে সূর্য বানুর ৮২ শতাংশ, লিটনের ৬৭ শতাংশ, লামিয়ার ৫৫ শতাংশ, মেহরুন্নেচ্ছার ৪৭ শতাংশ, সুজনের ৪৩ শতাংশ ও লিজার শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে যায়।
‘রাত ৮টার পর দোকান খোলা রাখলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন’
শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ দোকানপাট রাত ৮টার পর খোলা রাখলে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে ফেলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে তিনি আরও বলেন, চলমান দাবদাহের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবারহ নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ বিভাগের এই আহ্বান সবাইকে মানতে হবে।
তাপস বলেন, রাত ৮টার পর দোকান বন্ধ রাখার নিয়ম নতুন নয়। এখন থেকে প্রত্যেক অঞ্চলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে। নির্ধারিত সময়ের পর কেউ শপিংমল, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ দোকানপাট খোলা রাখলে ডিপিডিসিকে সঙ্গে নিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করব।
এদিকে, অতিরিক্ত গরমে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ সরবারহ স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে গ্রাহকদের সহযোগিতা চেয়ে ৮ দফা করণীয় তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলো হলো-
১. রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখুন।
২. নিম্নহারে বিদ্যুৎ বিল সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষ্যে দোকান, শপিংমল, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অতিরিক্ত বাতি ব্যবহারে বিরত থাকুন।
৩. সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী হলিডে স্ট্যাগারিং প্রতিপালন করুন।
৪. এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর উপরে রাখুন।
৫. দুর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে হুকিং বা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিরত থাকুন।
৬. বেআইনিভাবে ইজিবাইক ও মোটরচালিত রিকশার ব্যাটারি চার্জিং থেকে বিরত থাকুন।
৭. বিদ্যুৎ অপচয় রোধে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করুন।
৮. বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হোন।
ঢাকায় যেদিন বৃষ্টি হতে পারে
তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ। তাপমাত্রার পারদ দিনদিন ওপরের দিকে উঠছে। বাতাসে যেন আগুনের ফুলকি। গ্রীষ্মের শুরুতেই এমন তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। এর মধ্যে গত ২৪ ঢাকায় তাপমাত্রা উঠেছে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলিসিয়াসে। এ অবস্থায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে। এরপরেও বৃষ্টির দেখা তেমন একটা নেই। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
এ ছাড়া এ সময়ে দেশের পূর্বাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং অন্যত্র তা সামান্য হ্রাস পেতে। দেশের পূর্বাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়, সারাদেশে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বিস্তারলাভ করতে পারে।