• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দরে বছরে চলাচল করতে পারবে ২৬ কোটি যাত্রী
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে শুরু হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ। নতুন এই বিমানবন্দরটি দিয়ে বছরে চলাচল করতে পারবে ২৬ কোটি যাত্রী। দুবাইয়ের প্রধানমন্ত্রী এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের নামানুসারে নতুন এই বিমানবন্দরটির নাম রাখা হয়েছে আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। খবর আল জাজিরার।  প্রধানমন্ত্রী রশিদ আল মাকতুম জানিয়েছেন, বিমানবন্দরটি নির্মাণে খরচ হচ্ছে তিন হাজার ৫০০ কোটি ডলার। বর্তমান দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চেয়ে পাঁচগুণ বড় নির্মিতব্য এই বিমানবন্দরটি। তিনি আরও জানিয়েছেন, নির্মাণ শেষ হলে আসছে বছরগুলোতে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সব কার্যকলাপ নতুন এই আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থানান্তরিত হবে। এ প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে রশিদ আল-মাকতুম বলেন, যেহেতু দুবাই বিমানবন্দরের চারপাশে সম্পূর্ণ শহর তৈরি হয়েছে, তাই এই বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করেও একটি শহর তৈরি করা হবে। সেখানে অন্তত ১০ লাখ মানুষের আবাসন চাহিদা পূরণ হবে। বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা ছাড়াও বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলোর অফিস তৈরি করা হবে নতুন শহরে। নতুন বিমানবন্দরটির অবস্থান দুবাই শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ২০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে বিশাল এলাকাজুড়ে। এই বিমানবন্দর হবে পরিবেশবান্ধব ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ।  জানা গেছে, নতুন বিমানবন্দরে থাকবে চারশটি টার্মিনাল গেট এবং ৫টি রানওয়ে। স্থানীয় বৃহত্তম বিমান পরিবহণ সংস্থা এমিরেটস এবং এর ছোট অংশীদার ফ্লাই দুবাই এ বিমানবন্দরে স্থানান্তরিত হবে। এছাড়া, দুবাই থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশে যাতায়াত করা অন্য সব অংশীদার এয়ারলাইন্সও এখান থেকে পরিচালিত হবে।  
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৩

এসএসসি পাসে চাকরি দেবে ইউএস-বাংলা, কাজ বিমানবন্দরে 
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস। প্রতিষ্ঠানটির এয়ারক্রাফট লোডার বিভাগ এয়ারপোর্ট সার্ভিস অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে একাধিক লোকবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।  যা যা প্রয়োজন- প্রতিষ্ঠানের নাম: ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস পদের নাম: এয়ারপোর্ট সার্ভিস অ্যাসিস্ট্যান্ট  বিভাগ: এয়ারক্রাফট লোডার পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়  শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি/এইচএসসি  অন্যান্য যোগ্যতা: উচ্চতা সর্বনিম্ন ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি, শারীরিকভাবে সুঠাম দেহের অধিকারী, প্রার্থীর দৃষ্টিশক্তি ৬/৬ হতে হবে। চশমা গ্রহণযোগ্য নয়। অভিজ্ঞতা: যেকোনো প্রতিষ্ঠানে লোডার হিসেবে অভিজ্ঞ প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। চাকরির ধরন: ফুলটাইম  কর্মক্ষেত্র: অফিসে  প্রার্থীর ধরন: শুধু পুরুষ  বয়সসীমা: ১৮ থেকে ২৭ বছর  কর্মস্থল: বাংলাদেশের যেকোনো বিমানবন্দরে  বেতন: ১৬,০০০ টাকা (প্রতি মাস)  অন্যান্য সুবিধা: মেডিকেল ইন্স্যুরেন্স, সাপ্তাহিক ২ দিন ছুটি। ডিউটি শিডিউল অনুযায়ী খাবার প্রদান করা হবে। যেখানে খাবার দেওয়া হবে না সেখানে ১,৫০০/- টাকা করে প্রদান করা হবে খাবার ভাতা বাবদ। প্রবেশন পিরিয়ড শেষে বাৎসরিক দুটি উৎসব ভাতা প্রদান করা হবে। এছাড়া কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা হবে। আবেদন যেভাবে: আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময়: ২০ মে ২০২৪ পর্যন্ত।
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২১

বিমানবন্দরে প্রকৌশলী নিহত : বাসচালকের দোষ স্বীকার
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের সীমানা প্রাচীর ভেঙে বাস ঢুকে প্রকৌশলী নিহতের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার রাইদা পরিবহনের চালক মাহমুদ হাসান দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদীর আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার সাব-ইন্সপেক্টর সুমন চন্দ্র দাস আসামি মাহমুদ হাসানকে আদালতে হাজির করেন। এরপর আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তিনি। এরপর বিচারক আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। বিমানবন্দর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর মোজাফফর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে শুক্রবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালের প্রাচীর ভেঙে রাইদা পরিবহনের একটি বাস ঢুকে যায়। এ ঘটনায় মাইদুল ইসলাম নামে এক সিভিল অ্যাভিয়েশনের সিনিয়র প্রকৌশলী নিহত হন। তিনি সিভিল অ্যাভিয়েশনের সিনিয়র সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার। এ ঘটনায় সিভিল অ্যাভিয়েশনের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করার পর গত ২০ এপ্রিল ভোরে বরিশালের হিজলা এলাকা থেকে বাসচালক মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৫

বিমানবন্দরে প্রকৌশলী নিহত : সেই বাসচালক গ্রেপ্তার
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের সীমানা প্রাচীর ভেঙে বাস ঢুকে প্রকৌশলী নিহতের ঘটনায় রাইদা পরিবহনের চালক মাহমুদ হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোরে র‌্যাব-১ ও র‌্যাব-৮ এর যৌথ অভিযানে বরিশালের হিজলা উপজেলার হরিনাথপুরের নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আজ শনিবার বিকেলে র‌্যাব-১ এর উত্তরা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে। এর আগে শুক্রবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালের প্রাচীর ভেঙে রাইদা পরিবহনের একটি বাস ঢুকে যায়। এ ঘটনায় মাইদুল ইসলাম নামে এক সিভিল অ্যাভিয়েশনের সিনিয়র  প্রকৌশলী নিহত হন। তিনি সিভিল অ্যাভিয়েশনের সিনিয়র সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৮

নিরাপত্তা প্রাচীর ভেঙে বিমানবন্দরে বাস, প্রকৌশলী নিহত
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নিরাপত্তা প্রাচীর ভেঙে রাইদা পরিবহনের একটি বাস ঢুকে পড়েছে। এতে সিভিল অ্যাভিয়েশনের প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম সিদ্দিকী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, এদিন সকাল ১০টার দিকে রাইদা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তৃতীয় টার্মিনালের নিরাপত্তা প্রাচীর ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায়। এ সময় সিভিল অ্যাভিয়েশনের জ্যেষ্ঠ উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বাসটি মোটরসাইকেলসহ তাকে চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত। পরে তাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন চন্দ্র দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  তিনি জানান, ঘটনায় জড়িত বাসের চালক ও হেলপার পলিয়ে গেছে। তবে বাসটি জব্দ করা হয়েছে। নিহত প্রকৌশলী মাইদুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৭

দুবাই বিমানবন্দরে চরম বিশৃঙ্খলা, দুর্বিষহ জনজীবন
ভারী বৃষ্টি ও তীব্র জলাবদ্ধতার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক শহরগুলোর অন্যতম দুবাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শহরটির বহু বাড়ি ও শপিং মল হাঁটু পর্যন্ত  তলিয়ে গেছে। দুবাইয়ের মতো শহরে এ ধরনের চিত্র অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে।  যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা বিমানবন্দরের পরে দুবাই বিমানবন্দরই হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর। গত বছর এই বিমানবন্দরটি ব্যবহার করেছে আট কোটি যাত্রী। দুবাই বিমানবন্দর তলিয়ে যাওয়ায় বাতিল করতে হয়েছে শতশত ফ্লাইট। বিমানবন্দরের ভেতরে চরম এক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। দুবাই বিমানবন্দর যেভাবে তলিয়ে গেছে সেটি দেখে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন।  বৃষ্টিপাত ও জলাবদ্ধতার কারণে বিমানবন্দরটি প্লাবিত হওয়ায় দুবাইগামী ও দুবাই ছেড়ে আসা ফ্লাইট কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। যদিও বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সীমিত আকারে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ঢাকার বাসিন্দা প্রসূন রায় গত তিন দিন ধরে দুবাই বিমানবন্দরে আটকে আছেন। দুবাই থেকে মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে ফ্লাইট ছিল প্রসূন রায়ের। মঙ্গলবার দুপুরে বিমানবন্দরে যাওয়ার পর তিনি ১৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন। কিন্তু তিনি বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ফ্লাইটে উঠতে পারেননি। কবে ঢাকায় আসতে পারবেন তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ভর করেছে তার মধ্যে। তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশ সময় বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আটবার তার ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ফ্লাইট কখন ছেড়ে যাবে তার কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ফ্লাইটের কোনো নিশ্চয়তা না পেয়ে এন্ট্রি ভিসা নিয়ে শহরের ভেতরে এসেছি। কারণ, এয়ারপোর্টের ভেতরে কোনো হোটেলে কক্ষ খালি নেই। তার বর্ণনা অনুযায়ী, হাজার হাজার যাত্রী দুবাই এয়ারপোর্টের ভেতরে আটকা পড়ে আছে। অনেকে শ্লোগান দিচ্ছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ রাত-দিন কাজ করেও কূলকিনারা করতে পারছে না। পুরো ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। গাড়িগুলোতে পানি ঢুকে যাওয়ায় সেগুলোর ব্রেক কাজ করছিল না। ফলে একটি গাড়ি গিয়ে আরেকটি গাড়িকে ধাক্কা মেরে বিকল হয়ে পড়ে আছে। অনেক গাড়ি রাস্তায় পানির মধ্যে ডুবে ছিল। ট্রানজিট যাত্রী হিসেবে যারা বুধবার দুবাইতে অবতরণ করেছেন তাদের অভিজ্ঞতা ছিল দুর্বিষহ। অবতরণ করার জন্য বিমানগুলো ঘটনার পর ঘণ্টা আকাশে চক্কর দিলেও অবতরণের অনুমতি পাচ্ছিল না। বিমানবন্দরের বাইরে শতশত গাড়ি বিকল অবস্থায় পড়ে ছিল। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় রেজাউল করিম নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, অনেকবার ফ্লাইট বাতিল হওয়ার পর শেষ পর্যন্ত তিনি ঢাকা থেকে দুবাই পৌঁছেছেন। ঢাকায় তিনি ৩৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে প্লেন ছেড়ে যায়। রেজাউল করিম লিখেছেন, দুবাইতে সিনেমার মতো যাত্রা। এক ঘণ্টা পঞ্চাশ মিনিট প্লেনের ভেতরে বসে আছি। কারণ, কোনো গ্রাউন্ড সার্ভিস নেই। তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আকিব ইরফানের। তার স্ত্রী দুবাই থেকে ঢাকা আসার কথা ছিল। একদিন অপেক্ষা করার পর শেষ পর্যন্ত তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটে উঠতে পেরেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ফ্লাইট কনফার্ম না হলে কাউকে বিমানবন্দরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। কারণ, ভেতরে যাত্রীদের এতো বেশি চাপ তৈরি হয়েছে যে আর যাত্রী ভেতরে নেওয়া সম্ভব ছিল না। দুবাই বিমানবন্দরে আটকা পড়েছেন ব্রিটিশ ট্যুরিস্ট অ্যান উইং, তার স্বামী ও তিন সন্তান। তারা লন্ডনের হিথ্রোতে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। অ্যান উইং বলেন, এটা খুব ভয়াবহ পরিস্থিতি। আমদের পশুর মতো করে রাখা হয়েছে। এটা খুবই অমানবিক। আমার পরিবারের সদস্যদের কাছে কোনো খাবার নেই। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, আটকে পড়া যাত্রীদের জন্য বিমানবন্দরে খাবার আনতে কর্মীরা হিমশিম খাচ্ছেন। কারণ, বিমানবন্দর অভিমুখে সবগুলো সবগুলো সড়ক ডুবে গেছে। দুবাইয়ে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিক মশিউর রহমান বলেন, গত ৭৫ বছরের মধ্যে দুবাইতে একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বুধবার দুপুরেও বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবারও শহরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা আছে বলে তিনি জানান। কর্তৃপক্ষ বলছে, ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৬০ মিলিমিটার। দুবাইয়ের সাংবাদিক সাইফুর রহমান বলছেন, সেখানে তীব্র জলাবদ্ধতার কারণ হচ্ছে পানি নিষ্কাশনের অপ্রতুল ব্যবস্থা। এখানে বৃষ্টির কালচার ছিল না। ড্রেনেজ সিস্টেমের কথা তারা চিন্তাই করেনি। শহর গড়ে উঠেছে ড্রেনেজ সিস্টেম ছাড়া। তিনি জানান, শহরের কেন্দ্রস্থলে ড্রেনেজ সিস্টেম আছে, কিন্তু এর বাইরে ড্রেনেজ সিস্টেমের অবস্থা মোটেও ভালো নয়। তিনি জানান অল্প বৃষ্টিতেও অনেক সময় বিভিন্ন জায়গায় তীব্র জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। দুবাইয়ে ভালো ড্রেনেজ সিস্টেম গড়ে তোলার জন্য জন্য ২০২৩ সালে দেশটির সরকার প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। দেশটির সরকার বলছে, আগামী ১০০ বছরের কথা চিন্তা করে এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সরকার এবং বেসরকারি খাত মিলে এই কাজ করবে। দুবাইয়ের বাংলাদেশি ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেন, পানি নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা থাকলে এ পরিস্থিতি তৈরি হতো না। তারা কখনো বুঝতেই পারেনি যে এ পরিমাণ বৃষ্টি হতে পারে। সেজন্য তারা কোনো ড্রেনেজ সিস্টেম রাখেনি। বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দরটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার এক নম্বর টার্মিনালে কিছু বিমান অবতরণ করা শুরু করেছে। কিন্তু দুবাই ছেড়ে যাওয়া ফ্লাইটগুলোর আরও বিলম্ব হবে। দুবাই বিমানবন্দরের প্রধান পল গ্রিফিথস বলেন, এটা এখনো সাংঘাতিক একটা চ্যালেঞ্জিং বিষয়। আমার মনে হয় না কেউ তার জীবনে কখনো এ ধরনের অবস্থা দেখেছে। বিমানবন্দরের আশপাশের সড়কগুলো যানজটে স্থবির হয়ে আছে। কারণ, হাজার হাজার মানুষ বিমানবন্দরে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। বুধবার দুবাই বিমানবন্দরে ৩০০ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং আরো শতশত ফ্লাইট বিলম্ব হয়েছে। -বিবিসি।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৯

বিমানবন্দরে ডলার কারসাজি : ১৯ ব্যাংকারসহ ২১ জনের নামে মামলা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ডলার এবং অন্যান্য বিদেশি মুদ্রা বিনিময় কারসাজির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯ ব্যাংকারসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২৭ মার্চ) দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জন ব্যাংকার ও দুইজন মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের মালিককে আসামি করা হয়েছে। দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মামলার আসামিরা হলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের সিনিয়র প্রন্সিপাল অফিসার ও বুথ ইনচার্জ আনোয়ার পারভেজ, প্রিন্সিপাল অফিসার শামীম আহমেদ, মো. আশিকুজ্জামান, সিনিয়র অফিসার মো. সুরুজ জামাল, অমিত চন্দ্র দে, মো. মানিক মিয়া, সাদিক ইকবাল, মো. সুজন আলী ও মো. হুমায়ুন কবির। অন্যদিকে সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মো. শরীফুল ইসলাম ভূঁইয়া (ক্যাশ), মো. কামরুল ইসলাম (ক্যাশ), একই ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মো. সোহরাব উদ্দিন খান, খান আশিকুর রহমান, এবিএম সাজ্জাদ হায়দার (ক্যাশ), সামিউল ইসলাম খান, অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মো. আব্দুর রাজ্জাককে আসামি করা হয়। এ ছাড়া বেসরকারি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের অফিসার মো. আবু তারেক প্রধান, ব্যাংকটির সাপোর্টিং স্টাফ মো. মোশাররফ হোসেন, এভিয়া মানি এক্সচেঞ্জারের কাস্টমাস সার্ভিস ম্যানেজার মো. আসাদুল হোসেন ও ইম্পিরিয়াল মানি এক্সচেঞ্জের পরিচালক কে এম কবির আহমেদকে আসামি করা হয়। এ বিষয়ে দুদক সচিব বলেন, বিমানবন্দরে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় আসামিদের বিরুদ্ধে বিদেশি মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় ও মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারা অবৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচারকারী দুর্নীতিবাজদের অবৈধভাবে মুদ্রা সরবরাহ করছেন। তিনি বলেন, অবৈধভাবে ডলার ক্রয়-বিক্রয়ের কারণে বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেল থেকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। অবৈধ এসব অর্থ দেশের বাইরে পাচারও হতে পারে। দুদক এখন থেকে এসব বিষয়ে নিয়মিত তদারকি করবে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরা প্রতিদিন শত কোটি টাকার বেশি মূল্যের ডলার ও বৈদেশিক মুদ্রা আনেন। এসব ডলার জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করছে চক্রটি।  জাল ভাউচারে যাত্রীদের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে পরে তা খোলা বাজারে ছাড়া হচ্ছে। লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যাংক ও নিবন্ধিত মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হয়েও তারা বেআইনিভাবে বিদেশি মুদ্রা কিনে ব্যক্তিগত লাভের জন্য খোলা বাজারে বিক্রি করছেন।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৯

বিমানবন্দরে ডলার আত্মসাৎ, ১৯ ব্যাংকারসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বিমানবন্দরে ডলার ও অন্যান্য বিদেশি মুদ্রা বিনিময় কারসাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯ ব্যাংকার ও দুই মানি এক্সচেঞ্জের মালিকসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২৭ মার্চ) মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম মামলাটির বাদি হয়েছেন। এজাহার সূত্রে জানা যায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরা ডলারসহ প্রতিদিন যে শত কোটি টাকার বেশি মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা আনেন, ও্ই অর্থ জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে ১৯ ব্যাংকার ও দুই দুইজন মানি এক্সচেঞ্জের মালিকের সমন্বয়ে গঠিত চক্রটি। চক্রটি জাল ভাউচারের মাধ্যমে যাত্রীদের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে তা খোলাবাজারে ছাড়ে। ব্যক্তিগত লাভের জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যাংক ও নিবন্ধিত মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হয়েও তারা বেআইনিভাবে বিদেশি মুদ্রা কিনে খোলাবাজারে বিক্রি করেছেন। অভিযুক্ত ব্যাংকগুলো হচ্ছে জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এবং এভিয়া ও ইম্পেরিয়াল মানি এক্সচেঞ্জ।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৬:২৩

স্ত্রীর ভয়ে বিমানবন্দরে বোমাতঙ্ক ছড়ালেন বাংলাদেশি যুবক!
স্ত্রীর ভয়ে ই-মেইলের মাধ্যমে ভারতের দিল্লি বিমানবন্দরে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছেন নজরুল ইসলাম (২৯) নামের এক বাংলাদেশি যুবক। সোমবার (৪ মার্চ) কলকাতার নিউমার্কেটের একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। জানা গেছে, স্ত্রীর কাছে মিথ্যা বলে ধরা পড়ার ভয়ে ভারতের দিল্লি বিমানবন্দরে বোমাতঙ্ক ছড়ান নজরুল। দিল্লি-কলকাতাগামী একটি ফ্লাইটে বিস্ফোরক নিয়ে বিমানবন্দরে ভুয়া ই-মেইল পাঠানোর অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তাকে দিল্লি পুলিশ রিমান্ডে নিয়েছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারির এ ঘটনার জেরে তদন্ত করে দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা ও স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।  যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণার কাজে যুক্ত রয়েছেন এমন মিথ্যা বলে ২০২৩ সালে সোনিয়া নামে নয়াদিল্লির এক নারীকে বিয়ে করেন নজরুল। পাঞ্জাবের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়ার সময় সোনিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় তার। মাস্টার্স শেষে ২০২০ সালে নজরুল বাংলাদেশে ফিরলেও তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। বিয়ের পর থেকে নজরুলের স্ত্রী সোনিয়াকে বারবার যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে শুরু করেন তিনি। দিল্লিতে চলমান কৃষক আন্দোলনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে পারছেন না বলে স্ত্রীকে জানান। স্ত্রীর সন্দেহ হলে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভাইকে কলকাতায় নজরুলের থাকার বিষয়টি সত্যতা যাচাই করতে পাঠাতে চায়। বিষয়টি নজরুল জেনে যায়। শ্যালককে বিমানবন্দরেই আটকাতে এক যাত্রী বোমা বহন করছেন বলে দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে ভুয়া ই-মেইল পাঠান। আর এতেই বোমাতঙ্ক ছড়ায় বিমান বন্দরজুড়ে। নজরুলকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নজরুল কলকাতার নিউমার্কেটের একটি হোটেলে প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে ছিলেন। সে বাংলাদেশ থেকে আনা প্রায় ৫০ লাখ টাকা প্রতারণা করে লুকিয়ে রাখতেই কলকাতায় থাকেন। তার পাসপোর্ট, ফোন এবং ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নজরুল ভুয়া ই-মেইল পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নেওয়া হয়েছে এবং ভুয়া ই-মেইল পাঠানোর দায়ে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।   দিল্লি পুলিশ কর্মকর্তা রাংনানি জানান, এভিয়েশনের ওপর একটি কোর্স করেছেন বলে জানিয়েছেন নজরুল। পাওনাদারদের কাছ থেকে বাঁচতে তিনি ভারতে থাকছেন।
০৫ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৯

শাহ আমানত বিমানবন্দরে কোটি টাকার সোনা জব্দ
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১ কোটি ২০ লাখ টাকার স্বর্ণ জব্দ করেছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। এ সময় মোহাম্মদ মোরশেদ নামে বিদেশফেরত এক যাত্রীকে আটক করা হয়। কাস্টমস সূত্র জানায়, শনিবার সকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে একটি ফ্লাইট চট্টগ্রাম পৌঁছায়। ওই বিমানে থাকা যাত্রী মোহাম্মদ মোরশেদের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে তার লাগেজ স্ক্যানিং করে এর ভেতরে সোনার মতো কিছু দেখা যায়। তাৎক্ষণিক এয়ারপোর্ট ও এয়ারফ্রেইট ইউনিটের দায়িত্বরত কাস্টমস টিমের উপস্থিতিতে ওই যাত্রীর লাগেজ খোলা হয়।  এরপর সেটির ভেতরে একটি কনভেক্স হাই প্রেশার ওয়াশারের ওজন অস্বাভাবিক মনে হয়। মেশিন দিয়ে কাটার পর সেখানে বিশেষভাবে লুকানো অবস্থায় একটি দণ্ডাকৃতির সোনার টুকরো পাওয়া যায়। এ সময় ওই যাত্রীর কাছ থেকে দুটি সোনার চুড়ি ও চারটি রিং জব্দ করা হয়।  কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার মহিউদ্দিন পাটোয়ারী গণমাধ্যমকে বলেন, উদ্ধার হওয়া মোট ১ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের সোনা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য ডিএমমূলে আটক করা হয়। এ ছাড়া অভিযুক্ত যাত্রীকে পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 
০২ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়