• ঢাকা বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
লখনৌকে বিধ্বস্ত করে টেবিলের শীর্ষে কলকাতা
চলতি আইপিএলে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ১১ ম্যাচ খেলে আটটিতে জয় তুলে নিয়ে ইতোমধ্যে প্লে-অফ অনেকটায় নিশ্চিত করেছে ফেলেছে শাহরখ খানের দল। নিজেদের ১১তম ম্যাচে লখনৌকে রানের ব্যবধানে হারিয়েছে কলকাতা। রোববার (৫ মে) আগে ব্যাট করতে নেমে লখনৌকে ২৩৬ রানের বড় লক্ষ্য দেয় কলকাতা। জবাব দিতে নেমে ২৩ বল হাতে থাকতেই ১৩৭ রানে অলআউট হয় লখনৌ। এতে ৯৮ রানের বড় জয় পায় কলকাতা। এতে রাজস্থান পিছনে ফেলে টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করেছে স্টার্ক-রাসেলরা। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় লখনৌ। ৭ বলে ৯ করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার কুলকার্নি। এরপর মাকার্স স্টোইনিসকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন লোকেশ রাহুল। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ২১ বলে ২৫ রান করে ফেরেন লখনৌ দলপতি। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি দ্বীপক হুদাও। ৩ বলে ৫ রান করেন তিনি। ২১ বলে ৩৬ রান করেন স্টোইনিস। এরপর নিকোলাস পুরান (১০) এবং আইয়ুস বাদোনি (১৫), অ্যাস্টোন টার্নার (১৬) এবং কুর্নাল পান্ডিয়া ৫ রান করে আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় লখনৌ। শেষ দিকে উধধীর সিং (৭) এবং রবি বিষ্ণয় ২ রান করে আউট হলেও ২৩ বল হাতে থাকতেই ১৩৭ রানে অলআউট হয় লখনৌ। এতে ৯৮ রানের বড় জয় পায় কলকাতা। কলকাতার হয়ে হার্শিত রানা এবং ভরুণ চক্রবর্তী তিনটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও আন্দ্রে রাসেল দুটি, মিচেল স্টার্ক এবং সুনিল নারিন একটি করে উইকেট শিকার করেন। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কলকাতাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার সুনিল নারিন এবং ফিল সল্ট। দুজনের ব্যাটে ভর করে চার ওভারে ৬১ রান তোলে শাহরুখ খানের দল। ১৪ বলে ৩২ রান করে আউট হন সল্ট। কিন্তু অপর প্রান্তে ২৭ বলে ফিফটি তুলে নেন নারিন। ৩৯ বলে ৮১ রানের ইনিংস বিধ্বংসী ইনিংস খেলে আউট হন এই ক্যারিবিয় ব্যাটার। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি রাসেল। ৮ বলে ১২ রান করেন তিনি। ২৬ বলে ৩২ রান করে তাকে সঙ্গ দেন রাঘুভানসি। শেষ দিকে ১৫ বলে ২৩ রান শ্রেয়াস আইয়ার আউট হলেও রামানদ্বীপের ৬ বলে ২৫ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে ছয় উইকেটে ২৩৫ রানের বড় পুঁজি পায় কলকাতা।
০৬ মে ২০২৪, ০০:০২

গুজরাটকে বিধ্বস্ত করে চতুর্থ জয় বেঙ্গালুরুর
চলতি আইপিএলে প্রথম আট ম্যাচের সাতটিতেই হারের স্বাদ পেয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এতে প্লে-অফের লড়াই থেকে অনেকটাই ছিটকে পড়েছে কোহলিরা। তবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা তিন জয় তুলে নিয়েছে বেঙ্গালুরু। নিজেদের ১১তম ম্যাচে গুজরাটকে চার উইকেটে হারিয়েছে তারা। শনিবার (৪ মে) আগে ব্যাট করতে নেমে বেঙ্গালুরু ১৪৮ রানের লক্ষ্য দেয় বেঙ্গালুরু। ৩৮ বল এবং চার উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নিয়েছে বেঙ্গালুরু। এতে চতুর্থ জয়ের দেখা পেলো কোহিলরা। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বেঙ্গালুরুকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন বিরাট কোহলি এবং ফাফ ডু প্লেসিস। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৯২ রান তোলে বেঙ্গালুরু। ১৮ বলে ফিফটি তুলতে নেন ডু প্লেসিস। ২৩ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলে আউট হন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। এরপর আট রানের ব্যবধানে আরও তিন উইকেট হারিয়ে বসে বেঙ্গালুরু। উইল জ্যাক (১), রজত পাতিদার (২) এবং ৩ রানে আউট হন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন কোহলি। তবে ফিফটি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই কিংবদন্তি ব্যাটার। ২৭ বলে ৪২ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত স্বপনীলের ৯ বলে ১৫ রান এবং দিনেশ কার্তিকের ১২ বলে ২১ রানের ইনিংসে ভর করে ৩৮ বল এবং চার উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নিয়েছে বেঙ্গালুরু। গুজরাটের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট শিকার করেন জশ লিটিল। এ ছাড়াও নুর আহমেদ দুটি উইকেট নেন। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় গুজরাট। দলীয় ১৯ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে বসে গুভমান গিলরা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে সাজঘরে ফেরেন ঋদ্ধিমান শাহা (১)। ৭ বলে ২ রান করে মোহাম্মদ সিরাজের দ্বিতীয় শিকার হন গিল। তিনে নেমে ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি সাই সুদর্শনও। ১৪ বলে ৬ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ডেভিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন শাহরুখ খান। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি দুজনের কেউই। ২০ বলে ৩০ রান করে মিলার আউট হলে, ২৪ বলে ৩০ রান করে রান আউটে কাঁটা পড়েন শাহরুখ। রশিদ খানকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন রাহুল তাওয়াতিয়া। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি দুজনের কেউই। ১৪ বলে ১৮ রান করে রশিদ খান আউট হলেও ২১ বলে ৩৫ রান করে তাকে সঙ্গ দেন তাওয়াতিয়া। শেষ দিকে মানাভ সুথার (১), মোহিত শর্মা (০) এবং বিজয় শঙ্কর ৭ বলে ১০ রান করে আউট হলে তিন বল হাতে থাকতেই ১৪৭ রানে অলআউট হয় গুজরাট।  
০৪ মে ২০২৪, ২৩:২৩

রোমাকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে এক পা লেভারকুসেনের
জাবি আলোনসোর হাত ধরে বুন্দেসলিগার শিরোপা জিতে চমক দেখিয়েছিল  বায়ার লেভারকুসেন। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আরও একটি শিরোপা জয়ের হাতছানি দলটির সামনে। ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে রোমার মাঠ থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে লেভারকুসেন।  বৃহস্পতিবার (২ মে) দিবাগত রাতে স্তাদিও অলিম্পিকোতে রোমাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। জয়সূচক গোল ২টি করেছেন ফ্লোরিয়ান উইর্টজ ও রবার্ট এন্দরিখ।    এই ম্যাচে বল দখলে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণে বেশ এগিয়ে ছিল লেভারকুসেন। ৪৭ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ১৯টি শট নিয়ে ৪টি লক্ষ্য বরাবর রেখেছিল তারা। বিপরীতে ঘরের মাঠে ৮টি শট নিয়ে ২টি প্রতিপক্ষের গোলমুখে রাখতে পেরেছিল রোমা।   রোমেলু লুকাকু, পাওলো দিবালার মতো তারকাদের স্তব্ধ করে ম্যাচের ২৮তম মিনিটেই লেভারকুসেনকে লিড এনে দেন ২০ বছর বয়সী জার্মান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার উইর্টজ। ডাচ রাইট-ব্যাক রিক কার্সদর্পের ভুলের খেসারত দিতে হয় দলকে। ব্যাক পাসে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের কাছে দিয়ে বসেন তিনি।  যেন ডি-বক্সে ঢুকে পড়া নিজের সতীর্থকে পাস দিচ্ছেন। বল পেয়ে যান অ্যালেক্স গ্রিমালদো। এক ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষকের বাধায় তিনি বল তুলে দেন অরক্ষিত থাকা উইর্টজকে। বাকি কাজকে অনায়াসে সেরে নেন এ জার্মান মিডফিল্ডার।   ৩৪তম মিনিটে গ্রিমালদো আরও একটি দারুণ সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন। তবে পেনাল্টি এরিয়ার সামনে অরক্ষিত অবস্থায় বল পেয়েও জালে জড়াতে ব্যর্থ হন জেরেমি ফ্রিমপং।  এরপর বিরতি কাটিয়ে ম্যাচের ৭২ মিনিট পর্যন্ত কোনো দল গোলের তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ৭৩তম মিনিটে রোমার সমর্থকদের দুঃখ দ্বিগুণ করে ব্যবধান বাড়িয়ে নেন এন্দরিখ। ডি-বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক ক্রসে জাল খুঁজে নেন তিনি। দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না রোমার গোলরক্ষকের।  স্বাগতিকরা একটি গোল শোধের সুযোগ পেয়েছিল ম্যাচের যোগ করা সময়ে। তবে গোলপোস্ট ফাঁকা পেয়েও লুকাকু হেড নেন বারের ওপর দিয়ে। শেষ পর্যন্ত ব্যবধান ধরে রেখে রোমার দুর্গ থেকে জয় নিয়ে ফেরে লেভারকুসেন।   আগামী সপ্তাহে দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে রোমাকে আতিথ্য দেবে লেভারকুসেন। সে ম্যাচে ড্র কিংবা হারের ব্যবধানটা ১-০ গোলের মধ্যে রাখতে পারলেই ইউরোপা লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করবে আলোনসোর শিষ্যরা।    
০৩ মে ২০২৪, ০৮:৩৮

কলম্বিয়ায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৯ সেনার প্রাণহানি
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ায় একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে দেশটির ৯ সেনা সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশটির উত্তরাঞ্চলে সেনা সদস্যদের বহনকারী এই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলম্বিয়ার নয়জন সেনা সোমবার উত্তর বলিভার বিভাগে তাদের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে মারা গেছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। মূলত, এই অঞ্চলেই বৃহত্তম কোকেন কার্টেলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে দেশটির সামরিক বাহিনী। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে বলেছেন, গালফ ক্ল্যান গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য নতুন সৈন্যদের সরবরাহ করার সময় হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি ছিল রাশিয়ার তৈরি এমআই-১৭ মডেলের। অবশ্য প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো বা দেশটির সামরিক বাহিনীর কেউই রাশিয়ার তৈরি এই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ সম্পর্কে কিছু বলেননি। এ ছাড়া হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে গালফ ক্ল্যান গোষ্ঠীর কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা সেটিও উল্লেখ করা হয়নি। কলম্বিয়ায় এই গোষ্ঠীটির ৪ হাজার সশস্ত্র যোদ্ধা রয়েছে।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৬

হায়দ্রাবাদকে বিধ্বস্ত করে ছয় ম্যাচ পর জয়ে ফিরলো বেঙ্গালুরু
চলতি আইপিএলের প্রথম দেখায় বেঙ্গালুরু বিপক্ষে ২৮৭ রান তুলেছিল হায়দ্রাবাদ। সেই ম্যাচে ২৫ রানে হেরেছিল কোহলিরা। দ্বিতীয় দেখায় সেই হারের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে বেঙ্গালুরু। নিজেদের নবম ম্যাচে উড়তে থাকা হায়দ্রাবাদকে ৩৫ রানে হারিয়েছে কোহলি-কার্তিকরা। সেই সঙ্গে টানা ছয় হারের পর জয়ের দেখা পেলো বেঙ্গালুরু। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আগে ব্যাট করতে নেমে হায়দ্রাবাদকে ২০৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বেঙ্গালুরু। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান তুলতে পারে কামিন্সের দল। এতে ৩৫ রানের জয় পায় বেঙ্গালুরু। এতে টানা চার জয়ের পর হারের স্বাদ পেলো হায়দ্রাবাদ। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় হায়দ্রাবাদ। ৩ বলে ১ রান করে ইনিংসের ষষ্ঠ বলে সাজঘরে ফেরেন ট্রাভিস হেড। ১৩ বলে ৩১ রান আউট হন আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মা। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি এইডেন মারক্রামও। ৮ বলে ৭ রান করেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। হেইনরিচ ক্লাসেন (৭), নিতিশ কুমার (১৩) এবং ৬ বলে ১০ রান করে আব্দুল সামাদ আউট হলেও দলীয় ৮৫ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে হায়দ্রাবাদ। এরপর শাহবাজ আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি এই অজি ব্যাটার। ১৫ বলে ৩১ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ১৩ বলে ১৩ রান করে আউট হন ভুবনেশ্বর কুমার। এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন শাহবাজ আহমেদ। ৩৭ বলে ৪০ রানে শাহবাজ অপরাজিত থাকলেও শেষ রক্ষা হয়নি হায়দ্রাবাদের। নির্ধারিত ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান তুলতে পারে কামিন্সের দল। এতে ৩৫ রানের জয় পায় বেঙ্গালুরু। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে স্বপনীল সিং, কারান শর্মা ও ক্যামেরুন গ্রিন দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও উইল জ্যাক এবং যস দয়াল নেন একটি করে উইকেট। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বেঙ্গালুরুকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেয় বিরাট কোহলি এবং ফাফ ডু প্লেসিস। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি বেঙ্গালুরু অধিনায়ক। ১২ বলে ২৫ রান করে এই প্রোটিয়া ব্যাটার। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি উইল জ্যাক। ৯ বলে ৬ রান করে আউট হন এই ইংলিশ ব্যাটার। এরপর পিচে এসে তাণ্ডব শুরু করেন রজত পাতিদার। ১৯ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ডান হাতি ব্যাটার। পরের বলেই বাউন্ডারি লাইনে কাঁটা পড়েন রজত। কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে ৩৭ বলে ফিফটি তুলে নেন কোহলি। ফিফটির বেশিক্ষণ পিচে থাকতে পারেননি কোহলিও। ৪৩ বলে ৫১ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ভারতীয় ব্যাটার। এরপর মাহিপাল লোমরোরকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ক্যামরুন গ্রিন। কিন্তু ৪ বলে ৭ রান করে আউট মহিপাল। ৬ বলে ১১ রান করে আউট হন দিনেশ কার্তিকও। শেষ পর্যন্ত স্বপনীল সিংয়ের ৬ বলের ১২ রান এবং গ্রিনের ২০ বলের অপরাজিত ৩৭ রানের ইনিংসে ভর করে সাত উইকেট হারিয়ে ২০৬ রানের বড় পুঁজি পায় বেঙ্গালুরু।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৩

তামিমদের বিধ্বস্ত করে সুপার লিগে উড়ন্ত শুরু আবাহনীর
ডিপিএলের চলতি আসরে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে আবাহনী লিমিটেড। গ্রুপ পর্বে অপরাজিত থেকে সুপার লিগে উঠেছিল তারা। সুপার লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে দারুণ এক জয়ে চলতি মৌসুমের শিরোপার অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেছে শান্ত-লিটনরা।  সোমবার (২২ এপ্রিল) মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৯.৩ ওভারেই ১৭৮ রানে গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৮.৩ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আবাহনী। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আবাহনী ৫ উইকেট হারালেও জয় পেতে সমস্যা হয়নি। এদিন আবাহনীর হয়ে নিয়মিত খেলা নাঈম শেখকে বিশ্রাম দিয়ে লিটন দাসকে খেলানো হয়। বিশ্রাম থেকে ফিরেই লিটন দলের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন। দলীয় ৩৫ রানে ওপেনার এনামুল হক বিজয় আউট হয়েছেন।  এরপর শান্ত ও আফিফের কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। চতুর্থ উইকেটে তাওহীদ হৃদয় ও লিটন মিলে গড়েন ৬২ রানের জুটি। তাওহীদ ২৭ বলে চার ও ৫ ছক্কায় ৫৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বিদায় নিয়েছেন। পরে জাকির আলী অনিক ২ রানে আউট হলেও লিটন দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। যদিও কিছুটা স্লো ব্যাটিং করেছেন এই ব্যাটার। ১০৬ বলে ৭ চারে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। প্রাইম ব্যাংকের বোলারদের মধ্যে সানজামুল ইসলাম ও শেখ মেহেদী হাসান দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। নাজমুল অপু নেন একটি উইকেট। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদের গতির কাছে খেই হারায় প্রাইম ব্যাংকের টপ অর্ডার। ৫ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারায় তারা। তামিম ইকবাল (১), পারভেজ হোসেন ঈমন (০) ও শাহাদাত হোসেন দিপু (৪) রানে আউট হলে চাপে পড়ে যায় দলটি। যদিও চতুর্থ উইকেট মুশফিক ও জাকির হাসান মিলে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। মুশফিক ৪৪ রানে আউট হতেই ১১২ রানের জুটি ভাঙে তাদের।  স্কোরবোর্ডে আরও ১২ রান যোগ করে অধিনায়ক জাকিরও আউট হন। তার আগে ৭০ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় খেলেছেন ৬৮ রানের ইনিংস। জাকিরের আউটের পর কেউ প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। তাতেই ৩৯.৩ ওভারে ১৭৮ রানে গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক।  আবাহনীর জয়ের নায়ক শরিফুল ২৭ রান খরচায় নেন তিনটি উইকেট। তাসকিন আহমেদ, মোসাদ্দেক হোসেন ও তানভীর আহমেদ প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া সাইফউদ্দিন নেন একটি উইকেট।  
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৪

চেন্নাইকে বিধ্বস্ত করে জয়ে ফিরলো লখনৌ
চলতি আইপিএলে প্রথম চার ম্যাচের তিনটিতে জয় তুলে নিয়ে দুর্দান্ত শুরু করেছিল লখনৌ সুপার জায়ান্টস। এরপর টানা দুই ম্যাচের হারের তিতো স্বাদ পেয়েছে লোকেশ রাহুলের দল। তবে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে চেন্নাইকে বিধ্বস্ত করে জয়ে ফিরেছে লখনৌ। ঘরের মাঠে চেন্নাইকে আট উইকেটে হারিয়েছে রাহুল-পুরানরা। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আগে ব্যাট করে লখনৌকে ১৭৭ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দেয় চেন্নাই। জবাব দিতে নেমে ছয় বল এবং আট উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় লখনৌ। এতে টানা দুই জয়ের পর হারের তিতো স্বাদ পেলো চেন্নাই। চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে লখনৌয়ের দুই ওপেনার কুইনটন ডি কক ও লোকেশ রাহুল। দুজনের ব্যাটে ভর করে উইকেট না হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে ৫৪ রান তোলে লখনৌ। ৩১ বলে ফিফটি তুলে নেন লখনৌ অধিনায়ক। অপর প্রান্তে ব্যাট চালাতে থাকেন ডি ককও। ৪১ বলে ফিফটি তুলে নেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। তবে ১৫তম ওভারে শেষ বলে ডি কককে ফিরিয়ে চেন্নাইকে ব্রেকথ্রু এনে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর রাহুলকে সঙ্গ দেন নিকোলাস পুরান। ৫৩ বলে ৮৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন রাহুল। জাদেজার উড়ন্ত ক্যাচে আউট হন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় লখনৌ। শেষ পর্যন্ত মার্কাস স্টোইনিসের ৭ বলে ৮ রান এবং পুরানের ১২ বলের ২৩ রানের ইনিংসে ভর করে ছয় বল এবং আট উইকেট হাতে থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় লখনৌ সুপার জায়ান্টাস। চেন্নাইয়ের হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান এবং মাথিশা পাথিরানা একটি করে উইকেট নেন। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চেন্নাইয়ের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ডাক আউট হন রাচিন রবিন্দ্র। এরপর গায়কোয়াড়কে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে আশা আজিঙ্কা রাহানে। ১৩ বলে ১৭ রান করে গায়কোয়াড় আউট হলে ২৪ বলে ৩৬ রান করে তাকে সঙ্গ দেন রাহানে। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি শিভাম ডুবে (৩) এবং সামার রিজভি (১)। ফলে দলীয় ৯০ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে চেন্নাই। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন রবিন্দ্র জাদেজা। তাকে সঙ্গে দেন মঈন আলী। ২০ বলে ৩০ রান করে মঈন আলী আউট হলেও ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন জাদেজা। মঈনের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে আসেন চেন্নাইয়ের প্রাণভোমরা মাহেন্দ্র সিং ধোনি। পিচে এসে রীতিমতো তাণ্ডব চালান এই ডান হাতি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত জাদেজার ৪০ বলে ৫৭ রান এবং ধোনির ৯ বলে ২৮ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে ১৭৬ রানের লড়াকু পুঁজি পায় পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৫

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কেনিয়ার সেনাপ্রধানসহ নিহত ৯
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কেনিয়ার সেনাপ্রধান জেনারেল ফ্রান্সিস ওমন্ডি ওগোল্লাসহ শীর্ষস্থানীয় ৯ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্যমতে, উড্ডয়নের পরপরই হেলিকপ্টারটিতে আগুন ধরে যায় এবং এতে জেনারেল ওগোল্লাসহ ৯ জন সিনিয়র কমান্ডার নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পর দুই সেনা বেঁচে গেছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো বলেন, হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের কারণ অনুসন্ধানে ঘটনাস্থলে তদন্ত দল পাঠানো হয়েছে। জেনারেলের মৃত্যু আমাদের জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি। উল্লেখ্য, ওগোল্লা ১৯৮৪ সালে কেনিয়া প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগদান করেন। ডেপুটি মিলিটারি চিফ হওয়ার আগে ওগোল্লা কেনিয়ার বিমান বাহিনীর প্রধান ছিলেন। গত বছর দেশটির প্রেসিডেন্ট তাকে পদোন্নতি দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রধান করেন। সূত্র : আলজাজিরা, বিবিসি  
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৫

আটালান্টার কাছে বিধ্বস্ত লিভারপুল
হঠাৎই ছন্নছাড়া লিভারপুল। ইংলিশ লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে ড্রয়ের পর এবার ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ইতালিয়ান ক্লাব আটালান্টার কাছে মানতে হলো বড় পরাজয়। পরাজয়টা আবার এসেছে লিভারপুলের ঘরের মাঠেই। দলটাকে যেন চিনতে পারছেন না স্বয়ং কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপও। যদিও প্রথম থেকে লিভারপুলই বেশি সুযোগ সৃষ্টি করে। কিন্তু ভাগ্য অনুকূলে না থাকায় গোল পায়নি দলটি। উল্টো ম্যাচের ৩৯তম মিনিটে গোল পায় আটালান্টা। কাঙ্ক্ষিত গোলটি করেন জিয়ানলুকা স্কামাকা।  গোল হজম করে যেন খেই হারিয়ে ফেলে লিভারপুল। সে সুযোগে ম্যাচের ৬০তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল আদায় করে নেয় স্কামাকা। আটালান্টা এগিয়ে যায় ২-০ গোলে।  এরপর ম্যাচের ৮৩তম মিনিটে মারিও পাসালিচ গোল করলে ৩-০ গোলের বড় জয় পায় ইতালিয়ান ক্লাবটি। এ জয়ে সেমিফাইনালের দিকে এক ধাপ এগিয়ে গেল আটালান্টা।    ইউরোপা লিগের আরেক ম্যাচে ইতালিয়ান জায়ান্ট এসি মিলানেরও নিজ মাঠে পরাজয় মানতে হয়েছে। নিজ দেশের এ এস রোমার বিপক্ষে তাদের পরাজয় ১-০ গোলের। ম্যাচের ১৭তম মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন জিয়ানলুকা মানচিনি।  ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মর্যাদার এ টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে একই দিনে আরও দুটি ম্যাচ হয়। যেখানে ফ্রান্সের মার্সেইকে ২-১ গোলে হারিয়েছে পর্তুগালের বেনফিকা। আরেক ম্যাচে ইংলিশ ক্লাব ওয়েস্ট হাম ইউনাইটেডের বিপক্ষে জার্মান ক্লাব লেভারকুসেনের জয় ২-০ গোলের।  ইউরোপা কাপের সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ১৯ এপ্রিল ফিরতি লেগের ম্যাচে মুখোমুখি হবে দলগুলো।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৭

দিল্লিকে বিধ্বস্ত করে কলকাতার হ্যাটট্রিক জয়
চলতি আইপিএলে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। টানা তিন ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসকে রীতিমতো বিধ্বস্ত করেছে তারা। দিল্লিকে ১০৬ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দলটি। বুধবার (৩ মার্চ) আগে ব্যাট করতে নেমে দিল্লিকে ২৭৩ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় কলকাতা। জবাব দিতে ১৬৬ নেমে রানেই গুটিয়ে যায় দিল্লি। এতে ১০৬ রানে বিশাল জয় পায় কলকাতা।  বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় দিল্লি। ৭ বলে ১০ রান করে পৃথ্বী শা আউট হলেও শূন্য রান করে তার দেখানো পথে হাঁটেন মিচেল মার্শ এবং অভিষেক পোরেল। দিল্লি শিবিরে হাল ধরার চেষ্টা করেন ডেভিড ওয়ার্নার। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১৩ বলে ১৮ রান করে স্বদেশি স্টার্কে শিকার হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এরপর ক্রিসটান স্টাবসকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ঋষভ পান্থ। ২৩ বলে ফিফটি তুলে নেন দিল্লির অধিনায়ক। ২৫ বলে ৫৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। পরের বলেই ডাক আউট হন অক্ষর প্যাটেল এতে ১২৬ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দিল্লি। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে ২৮ বলে ফিফটি তুলে নেন স্টাবস। এরপর বেশিক্ষণ পিচে থাকতে পারেননি তিনি। ৩২ বলে ৫৪ রান করে ফেরেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। ৬ বলে ৭ রান করে আউট হন সামিত কুমার। শেষ পর্যন্ত রাসিক সালাম (১) এবং এনরিচ নরকিয়া ৪ রানে আউট হলে রানেই গুটিয়ে যায় দিল্লি। এতে ১০৬ রানের বিশাল জয় পায় কলকাতা। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ভারুণ চক্রবর্তী ও ভাইভাব আরোরা তিনটি করে উইকেট শিকার করেন । এ ছাড়াও মিচেল স্টার্ক দুটি, আন্দ্রে রাসেল ও সুনিল নারিন নেন এক করে উইকেট। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে তাণ্ডব শুরু করে কলকাতার দুই ওপেনার ফিট সল্ট এবং সুনিল নারিন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি সল্ট। ১২ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ইংলিশ ব্যাটার। কিন্তু অপর প্রান্তে ঝড় তুলতে থাকেন নারিন। ২১ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ক্যারিবিয়ান তারকা। তৃতীয় উইকেটে পিচে এসে ব্যাট চালাতে থাকেন অঙ্কক্রিস রঘুভানশি। দুজনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ১০ ওভারেই ১৩৫ রান তুলে নেয় কলকাতা। সেই সঙ্গে সেঞ্চুরি খুবই কাছে পৌঁছে যায় নারিন। তবে ১৫ রানের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। ৩৯ বলে ৮৫ রানের মারকুটে ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। নারিন সেঞ্চুরি না পেলেও ২৫ বরে ফিফটি তুলে নেন রঘুভানশি। ২৭ বলে ৫৪ রান করে আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার। এরপর কলকাতা শিবিরে হাল ধরেন আন্দ্রে রাসেল এবং শ্রেয়াস আইয়ার। দুজনের ব্যাটে ভর করে ১৬তম ওভারেই দুইশত রানের কোটা পার করে পশ্চিমবঙ্গের দলটি। ১১ বলে ১৮ রান করে আইয়ার আউট হলে ৮ বলে ২৬ রান করে তার দেখানো পথে হাঁটেন রিঙ্কু সিং। ২০তম ওভারে প্রথম দুই বলে দুর্দান্তভাবে রাসেল ও রামানদীপ সিংকে আউট করেন ইশান্ত। ১৯ বলে ৪১ রান করেন রাসল। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ২৭২ রানের বিশাল পুঁজি পায় কলকাতা।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়