• ঢাকা বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বাড়িতে মিলল ৪৫ গোখরা সাপের বাচ্চা
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে এক কৃষকের বাড়িতে ৪৫টি গোখরা সাপের বাচ্চা পাওয়া গেছে। সাপগুলো মেরে ফেলেছেন ওই কৃষক পরিবার। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে উজানচর ইউনিয়নের চর মজলিশপুরের কৃষক আইজলের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  এ ঘটনার পর থেকে সাপ আতঙ্কে রয়েছেন ওই পরিবারসহ এলাকাবাসী। এ বিষয়ে কৃষক আইজল বলেন, রোববার তার ছেলে মাঠ থেকে ভুট্টাগাছ তুলে বাড়ির আঙিনায় এনে স্তূপ করে রাখেন। সোমবার দুপুরে সেই ভুট্টা ছাড়াতে একটি গাছ টান দেন তার স্ত্রী। সে সময় একটি সাপের বাচ্চা বেরিয়ে এলে লাঠি দিয়ে মেরে ফেলা হয়। পরে একসঙ্গে অনেকগুলো সাপের বাচ্চা বেরিয়ে এলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কৃষক আইজল বলেন, সে সময় বাড়ির অন্যরা এসে সবগুলো সাপ মেরে ফেলেন। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫টি গোখরা সাপের বাচ্চা ছিল। কিন্তু ওই সময় বড় কোনো সাপ তারা দেখতে পাননি। মেরে ফেলা সাপগুলো মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। কৃষক আইজল আরও বলেন, গত কয়েক দিন ধরে তাদের এলাকার মাঠে সাপের দেখা মিলছে এবং কয়েকটা সাপ মারাও হয়েছে। এ ঘটনার পর তার পরিবারসহ স্থানীয়রা সাপের ভয়ে আছেন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন উজানচর ইউপি চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মৃধা। তিনি বলেন, কয়েক দিন ধরে শুনছেন মজলিশপুর এলাকায় সাপ দেখা যাচ্ছে। সোমবার দুপুরে আইজল দোকানদারের বাড়ি থেকে অনেকগুলো সাপের বাচ্চা মারা হয়েছে। এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফারসিম তারান্নুম হক বলেন, বর্তমানে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে চরাঞ্চলে সাপের উপদ্রব বেড়ে গেছে। সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। ডা. ফারসিম তারান্নুম আরও বলেন, সাপের কামড়ে কেউ আক্রান্ত হলে দ্রুত তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে আনতে হবে। হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম মজুত রয়েছে।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩১

বাচ্চা নিয়ে এসির পানিতে তৃষ্ণা মেটাচ্ছে মা ছাগল (ভিডিও)
তীব্র খরায় পুড়ছে দেশ। কাঠফাটা গরমে চৌচির ফসলের মাঠ। গলে যাচ্ছে সড়কের পিচও। গ্রীষ্মের শুরুতেই এমন তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। দেশের বিভিন্ন জেলার বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ।  গরমের এই আবহাওয়ায় নেই স্বস্তির খবর। কদিন আগেই মাত্র শুরু হলো গ্রীষ্মের প্রথম মাস বৈশাখ। ফল পাকা জৈষ্ঠ আসতে এখনও অনেক দেরি। এরইমধ্যে চলমান তাপমাত্রার এই পারদ দিনদিনই ওপরের দিকে উঠছে। নেই বৃষ্টির দেখা। বাতাসে যেন আগুনের ফুলকি। গরমে ও কাঠফাটা রোদে মানুষ থেকে শুরু করে কোনো প্রাণীরই মিলছে না স্বস্তি। তার ওপর দাবদাহে পুকুর, খাল, বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে ভূপৃষ্ঠের পানির স্তর। দেখা দিচ্ছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। তাপপ্রবাহে নেতিবাচক প্রভাবে পড়ছে গৃহপালিত পশুপাখি থেকে শুরু করে বন্য প্রাণীর ওপরেও। গরমে এসি থেকে বাহিরে পড়া পানির ওপর ভরসা অনেক পশুপাখির। এসি থেকে পড়ে জমা পানিতে গোসল করছে পাখিরা, নিবারণ করছে পিপাসাও। শুধু তাই নয়, বাচ্চা নিয়ে মা ছাগলও পিপাসা মেটাচ্ছে এসির পানিতে। ঠিক এমনই চিত্র দেখা গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলস্টেশনে। আশপাশে কোথাও পানি না পেয়ে স্টেশনের ভিআইপি রুমে এসির অতিরিক্ত ঝরে পড়া পানিতে মা ছাগল তার বাচ্চা তৃষ্ণা নিবারণ করছে।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০২

অসহায়-এতিম বাচ্চাদের জন্য জয়ার অনুরোধ
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি। শুধু অভিনয় নয়, সামাজিক কর্মকাণ্ডে সরব থাকার পাশাপাশি পশুপাখির প্রতি প্রাণীদের প্রতি জয়ার ভালোবাসা বরাবরই চোখের পড়ার মতন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সক্রিয় তিনি। প্রায় সময়ই নানান ইস্যুতে নিজের মতামত কিংবা অনুভূতি ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভোলেন না এই অভিনেত্রী। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। আসন্ন ঈদুল ফিতরে সোশ্যাল মিডিয়ায় অসহায়-এতিম বাচ্চাদের জন্য সহায়তার অনুরোধ জানালেন জয়া।      মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে অসহায় বাচ্চাদের জন্য পোস্ট দিয়েছেন জয়া। ওই স্ট্যাটাসে ঈদে অসহায়-এতিম বাচ্চাদের জন্য সহায়তার হাত বাড়াতে অনু্রোধ জানান তিনি।  পাঠকদের সুবিধার জন্য জয়ার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো—  ‘রোজার শেষ দিকে বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোতে এক করুণ দৃশ্য দেখা যায়। সাধারণত ২৫ রোজা থেকে মাদ্রাসাগুলো ছুটি হতে থাকে। বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবক এসে বাচ্চাদেরকে বাসায় নিয়ে যায়। কিন্তু একদল বাচ্চাকে নিতে কেউ আসে না। এদের কারও বাবা-মা নেই, কারও বাবা নেই মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে। অনেকের মা নেই, বাবা বাচ্চার খোঁজ রাখে না।      খুব বেশি ভাগ্যবান হলে কারও কারও মামা, খালা, চাচা এসে কাউকে কাউকে নিয়ে যায়। বাকীরা সারাদিন কান্না করে। তারা জানে তাদেরকে কেউ নিতে আসবে না। তারা সারা বছর কাঁদে না। কিন্তু যখন সহপাঠীদেরকে সবাই বাসায় নিয়ে যায় অথচ তাদেরকে কেউ নিতে আসে না তখন তাদের দুঃখ শুরু হয়ে যায়।  মৃত মা-বাবার উপর তাদের অভিমান সৃষ্টি হয়— কেন তারা তাদেরকে দুনিয়ায় রেখে এই বয়সে মারা গেল? তারা কি আর কিছুটা দিন বেঁচে থাকতে পারত না? মা-বাবা বেঁচে নাই তো কী হইছে? মামা-চাচারা কেউ তাদেরকে নিতে আসল না   কেন? মা বেচে থাকতে মামারা কত আদর করত।  বাবা বেঁচে থাকতে চাচারা কত আদর করত! এই বয়সেই তারা দুনিয়ার একটা নিষ্ঠুর চেহারা দেখেছে। একটা অনুরোধ— এই ঈদে আপনার কাছাকাছি এতিমখানায় যান। কয়জন বাচ্চা ঈদে বাড়ি যায়নি খোঁজ নিন। তাদের জন্য আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী যা পারেন তা নিয়ে যান। এই গরমে তাদের আইসক্রিম খাওয়াতে পারেন। অন্তত পক্ষে একটা চকলেট খাওয়ান। মনে রাখবেন, আজ আপনি বেঁচে না থাকলে আপনার ছোট সন্তান এতিম হয়ে যাবে! আমি ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করব যদি আল্লাহ সহায়ক হয়।’     
১৯ মার্চ ২০২৪, ১০:৩৭

বিয়ে ও বাচ্চা নিয়ে মুখ খুললেন কৌশানী (ভিডিও)
পশ্চিমবঙ্গের লাভ বার্ডস বনি সেনগুপ্ত ও কৌশানী মুখার্জি। প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে যেন তাদের কোনো রাখঢাক নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায় সময়ই ছবি আর ভিডিও শেয়ার করেন এই প্রেমিকযুগল।    কয়েকদিন আগেই বনি জানিয়েছিলেন ২০২৫ সালে বিয়ে করবেন তারা। শুধু তাই নয়, ডেস্টিনেশন ওয়েডিং প্ল্যানিং রয়েছে কৌশানী-বনির। এবার বিয়ে ও বাচ্চা নিয়ে মুখ খুললেন কৌশানী।   সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি রিয়েলিটি শোয়ের ভিডিও শেয়ার করেছেন কৌশানী। ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, প্রত্যেকের বিয়ে হয়ে বাচ্চা হয়ে যাচ্ছে আর আমার তো ছেলেবেলাটাই যেন কাটতে চাইছে না। মন থেকে ছোট থাকলেই ভালো থাকা যায়। বন্ধুদের সঙ্গে ছোটবেলায় খেলার সেই মুহূর্তগুলো খুব মনে পড়ছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ছোট বেলার মতো খেলায় ব্যস্ত কৌশানী। কাজের সব ব্যস্ততাকে দূরে রেখে একটু ছোটবেলায় ফিরে গেছেন এই অভিনেত্রী।   প্রসঙ্গত, সর্বশেষ রাজ চক্রবর্তী নির্মিত ওয়েব সিরিজ ‘প্রলয়’-এ দেখা গেছে কৌশানীকে। সিরিজটিতে অভিনয় করে রীতিমতো দর্শকদের নজর কেড়েছেন এই অভিনেত্রী।  সূত্র : আনন্দবাজার  ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন 
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়