• ঢাকা সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
শিশুর জীবন বাঁচাতে যা করলেন অভিনেতা সোনু
বলিউড অভিনেতাসোনু সুদ। কাজ করেছেন দক্ষিণী সিনেমাতেও। তবে অভিনয়ের থেকেও সমাজকল্যাণমূলক কাজের জন্য বেশি আলোচনায় তিনি। অতিমারির সময় থেকেই জনসেবার দিকে মন দিয়েছেন তিনি। শ্রমিকদের বাসে করে বাড়ি পাঠানো থেকে শুরু করে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া বাচ্চাদের লেখাপড়ার খরচের ব্যবস্থা করা নিজের কাঁধে দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন অভিনেতা। এবার এক শিশুর জীবন বাঁচাতে ১৭ কোটি রুপির ইনজেকশনের ব্যবস্থা করলেন।  জয়পুরের এই শিশুটি ‘স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফি টাইপ-২’ রোগে আক্রান্ত। পেশির সঞ্চালনকে নিয়ন্ত্রণ করে যে মোটর নিউরোন, তা নষ্ট হওয়ার কারণেই মেরুদণ্ডের এই বিরল রোগ হয়। এই রোগের চিকিৎসা খরচ খুবই বেশি।  অবশেষে ২২ মাসের শিশুটির পাশে দাঁড়ান অভিনেতা। বিশ্বের সবচেয়ে দামি ইনজেকশনের ব্যবস্থা করেন তিনি। এজন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্থের ব্যবস্থা (ক্রাউডফান্ডিং) করেন অভিনেতা। মাত্র ৩ মাসের মধ্যে ৯ কোটি টাকা জোগাড় করেন তিনি। শিশুটিকে সুস্থ জীবন দান করার জন্য এ ভাবেই ১৭ কোটি টাকার ইনজেকশনের ব্যবস্থা করেন তিনি।  এদিকে অল্প সময়ে বড় অঙ্কের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে বেশ প্রশংসিত সোনু। এর আগেও একাধিকবার মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে তাকে। সেসময় সিক্ত হয়েছেন নেটিজেনদের প্রশংসায়। এবারও ব্যতিক্রম হচ্ছে না। 
১৭ মে ২০২৪, ২০:৪৫

বাবাকে বাঁচাতে কিডনি বিক্রি করতে চান জবির মেধাবী শিক্ষার্থী
ফতেহ আলী খান আকাশ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী। নিয়মিত গান করেন আরটিভির ফোক স্টেশনে। নিজের লেখা ও সুর করা বেশ কিছু গানও আছে তার। করোনা মহামারির ভয়াল সময়টায় পুরো দেশ যখন ছিল লকডাউনে তখন হাসপাতালে হাসপাতালে গিয়ে হাজির হয়েছেন করোনা আক্রান্তদের মাঝে, সুরেলা গলায় জীবনের গান গেয়ে উজ্জীবিত করেছেন অসহায় রোগীদের।  অথচ আজ তিনিই অসহায় হয়ে পড়েছেন ভাগ্যের কাছে। চোখের সামনে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে যে বাবা। মা মারা যাওয়ার পর থেকে যে বাবাই এতদিন হয়ে ছিল আকাশের পৃথিবী, তিনি আজ হৃদরোগে ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যু পথযাত্রী। টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না বাবার। চিকিৎসার অর্থ জোগাড় করতে শেষ পর্যন্ত নিজের একটি কিডনি বিক্রি করতে চেয়ে অসহায় ছেলে পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। সেই পোস্টে ফতেহ আলী খান আকাশ লিখেছেন, ‘আব্বুর হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে। অক্সিজেন মিটার ৩৫% এ নেমে আসছে। জরুরি ভিত্তিতে ভর্তি করাতে হবে। ডাক্তার বলছে- পেইসমেকার লাগাতে হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। কিন্তু এই মুহূর্তে পেইসমেকার লাগানোর মতো এত টাকা আমার কাছে নাই। তাই আমি আমার একটা কিডনি বিক্রি করে দিতে চাচ্ছি। ঢাকায় কোথায় কিডনি বিক্রি হয়? এক কিডনি নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবো, আব্বুকেও বাঁচাতে পারবো।’   বুধবারের ওই পোস্টে আকাশ বলেন, ‘আজ (বুধবার) সকালে বাবাকে শেরে বাংলায় হৃদরোগ হাসপাতালে ভর্তি করাবো। সেখানে বাবার ট্রিটমেন্ট শুরু হবে। বাবার শরীরে পেসমেকার লাগানোর কথা বলছেন চিকিৎসকরা, কিন্তু এ মুহূর্তে পেসমেকার লাগানোর মতো টাকা আমার কাছে নেই। সেজন্যই কিডনি বিক্রি করার জন্য ফেসবুকে আমার পোস্ট দেওয়া। আমার কিডনি বিক্রি করে হলেও বাবার চিকিৎসা করাতে চাই।’ এই স্ট্যাটাসের পর কেউ যোগাযোগ করেছে কিনা জানতে চাইলে আকাশ বলেন, ‘ক্যাম্পাস থেকে এখনো প্রশাসন যোগাযোগ করেনি, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু, ছোটভাই সবাই কল দিচ্ছে। বাংলা বিভাগের এক শিক্ষকও খোঁজ নিয়েছেন।’ আকাশের সহপাঠী মহিউদ্দিন রিফাত বলেন, সে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। কতটা অসহায় পরিস্থিতির শিকার হলে ছেলে তার বাবার জন্য নিজের কিডনি বিক্রি করতে চায়? আঙ্কেলের জীবন বাঁচতে সবাইকে মানবিক সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে অনুরোধ করছি।  আকাশের সঙ্গে যোগাযোগের ঠিকানা - 01799510783 ও 01603581638  
১৬ মে ২০২৪, ১৬:৫৬

ছাগল বাঁচাতে গিয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যাওয়া ছাগল বাঁচাতে গিয়ে নুর আমিন (২০) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নুর আমিন উপজেলার পূর্ব সারডুবি এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে। মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় হাতীবান্ধার বড়খাতা ইউনিয়নের পুর্বসারডুবীর ৮নং ওয়ার্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত নুর আমিন বড়খাতা বিএম কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। স্থানীয়রা জানান, নিজ বাড়িতে নিমার্ণাধীন সেপটিক ট্যাংকে একটি ছাগল পড়ে যায়। সেই ছাগলটি উদ্ধারের জন্য নুর আমিন ওই সেপটিক ট্যাংকে মই দিয়ে নেমে ছাগলটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তার ভগ্নিপতি জাহেদুল ইসলাম তাকে উদ্ধারের জন্য নেমে তিনিও আটকে যান। খবর পেয়ে হাতীবান্ধা ফায়ার সাভির্স টিম গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নুর আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল। তিনি বলেন, ‘সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যাওয়া ছাগল বাঁচাতে গিয়ে নুর আমিন নামে এক কলেজ ছাত্র মারা গেছেন। তার মরদেহ হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। অপরজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’ হাতীবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর সায়েদ মোহাম্মদ ইমরান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সেপটিক ট্যাংকে থেকে দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরজনকে আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাতীবান্ধা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অবগত করেছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দিলে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৫ মে ২০২৪, ১০:২২

সংসদে ধর্ষণের অভিযোগ  / মান বাঁচাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন রাজনৈতিক কর্মী
সংসদ ভবনে নিজের সহকর্মীর হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অস্ট্রেলিয়ার একটি টিভি চ্যানেলে অভিযোগ তুলেছিলেন ব্রিটানি হিগিন্স নামে এক রাজনৈতিক কর্মী। তিন বছর আগে ঘটনাটি যখন সামনে আসে, হতবাক হয়ে গিয়েছিল পুরো বিশ্ব। এবার চাঞ্চল্যকর এ অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে সিডনির একটি দেওয়ানি আদালত।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) রয়টার্স, বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ানসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম তথ্যটি নিশ্চিত করে প্রতিবেদন করেছে।  গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার নেটওয়ার্ক টেন টেলিভিশনে ২০২১ সালে ব্রিটানি হিগিন্স নামে পার্লামেন্ট হাউসের ওই রাজনৈতিক কর্মী ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন নিজের সহকর্মী ব্রুস লেহরম্যানের বিরুদ্ধে। তবে ওই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছিলেন  ব্রুস। শুধু তা-ই নয়, ব্রিটানির ধর্ষিত হওয়ার অভিযোগটি প্রচারের কারণে সেদিনের উপস্থাপিকা লিসা উইলকিনসনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করেছিলেন তিনি। এবার ওই মানহানির মামলার লড়াইয়েই হেরে গেলেন ব্রুস লেহরম্যান। সহকর্মী ব্রিটানিকে ধর্ষণের যে অভিযোগ, তার সত্যতা পেয়েছেন আদালত।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) ধর্ষণের বিষয়টি সত্যিই ঘটেছিল বলে রায় দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল আদালতের বিচারক মাইকেল লি। রায়ে হিগিন্সকে ধর্ষণের পর ব্রুস লেহরম্যান ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বলেছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। নেটওয়ার্ক টেন টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অশ্রুসিক্ত হিগিন্স বলেছিলেন—২০১৯ সালে কীভাবে এক মন্ত্রীর অফিসের সোফায় তার চেতনা ফিরেছিল এবং চেতনা ফেরার পর শরীরের ওপর তিনি ব্রুসকে দেখেছিলেন। তবে ব্রুস লেহরম্যান দাবি করেন, সেদিন রাতে তারা দুজন ক্যানবেরায় মদ্যপানের পর নিজ নিজ পথে যাওয়ার আগে একটি উবার শেয়ার করে প্রথমে অফিসে এসেছিলেন। সোমবার ব্রুস লেহরম্যানের মানহানির মামলাটি বাতিল করে দিয়ে নিজের রায়ে বিচারপতি মাইকেল লি বলেন, ব্রুস লেহরম্যান ২৮ বছর বয়সী হিগিন্সের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের জন্য নারকীয় উপায় গ্রহণ করেছিলেন এবং এ বিষয়ে হিগিন্সের সম্মতি আছে কি না সেই বিষয়ে উদাসীন ছিলেন। তবে অফিসে ফেরার সময় হিগিন্স মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপ ছিলেন বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারক। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, অস্ট্রেলিয়ার আদালতে সোমবার এমন একটি মামলার আইনি রায় হলো, যা বছরের পর বছর ধরে জাতিকে আতঙ্কিত করে রেখেছে। এ ঘটনার সুবিচারের জন্য হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বলা হচ্ছে, নিজের করা মানহানির মামলার জের ধরেই অতীত অপরাধে ফেঁসে যাচ্ছেন ব্রুস লেহরম্যান। মানহানির বিচার শুরু করার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বিচারপতি লি বলেছেন, সিংহের ডেরা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর মিস্টার লেহরম্যান তার টুপির জন্য ফিরে এসে ভুল করেছেন। পাঁচ সপ্তাহ ধরে চলা এই বিচারে এক ডজনেরও বেশি সাক্ষীর কাছ থেকে সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এদের মধ্যে যুক্তরাজ্য থেকে ভাড়া করা একজন ‘ঠোঁট পাঠকের’ বিশ্লেষণ, হিগিন্সের মা-বাবা এবং পার্লামেন্টে ব্রুস ও হিগিন্সের সহকর্মীদের কাছ থেকে সাক্ষ্য নেন আদালত। রায়ের পর আদালতের বাইরে কথা বলার সময় নেটওয়ার্ক টেন আউটলেটের উপস্থাপিকা মিসেস উইলকিনসন বলেছেন, ‘আমি আজ অস্ট্রেলিয়ার নারীদের জন্য আনন্দিত বোধ করছি।’ এ বিষয়ে নেটওয়ার্ক টেনও একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, সত্যের বিজয় হয়েছে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৯

সুইপারকে বাঁচাতে সেপটিক ট্যাংকে নেমে বাড়ির মালিকেরও মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে নেমে বাড়ির মালিক ও এক সুইপারের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।  রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার পশ্চিম রাখালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে একজন বাড়ির মালিক রিয়াদ হোসেন। সুইপারটির নাম জানা যায়নি। স্থানীয়রা জানান, বিকেলে রাখালিয়া এলাকায় নুরুল হক পাটোয়ারী বাড়ির পাটোয়ারী ভিলার একটি সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নামেন সুইপার। পরিষ্কার করা অবস্থায় সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে তিনি আটকা পড়েন। পরে বাড়ির মালিক রিয়াদ উদ্ধার করতে গেলে দুজনেরই মৃত্যু হয়। তবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। ধারণা করা হচ্ছে, ট্যাংকের ভেতরে অক্সিজেনের অভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে। রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এসে সেপটিক ট্যাংক ভেঙে মৃতদের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৫

ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার সেই চিকিৎসক বাবার মৃত্যু
চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাং সদস্যদের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার চিকিৎসক কোরবান আলী মারা গেছেন।  বুধবার (১০ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহতের ছেলে আলী রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  জানা গেছে, গত ৫ এপ্রিল বিকেলে পশ্চিম ফিরোজ শাহ কলোনি এলাকায় বেশ কয়েকজন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য একজন পথচারীকে মারতে দেখেন কোরবান আলীর ছেলে আলী রেজা রানা। এ সময় লোকটিকে সাহায্য চাইলে রানা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে ১পুলিশ এসে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায়।  পরে কিশোর গ্যাংয়ের অন্য সদস্যরা রানার বাসার সামনে এসে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয়। এরপর শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বাসার পাশের দোকানে ইফতারি কিনতে গেলে কয়েকজন কিশোর গ্যাং সদস্য রানার ওপর হামলা চালায়। এ সময় রানাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তার বাবা কোরবান আলীর ওপরও হামলা চালায় তারা। হামলায় কোরবান আলী মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। এরপর তাকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। এ ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে আকবর শাহ থানায় একটি মামলা করা হয়।  ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  আকবর শাহ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হামলাকারীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।  
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৪

কিশোর গ্যাং / ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে লাইফ সাপোর্টে হামলার শিকার চিকিৎসক বাবা
কিশোর গ্যাং সদস্যদের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ৬০ বছর বয়সী কোরবান আলী নামে এক দন্তচিকিৎসক বাবা। বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে কোরবান আলীর অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরের আকবর শাহ থানার ফিরোজ শাহ কলোনি এলাকায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের হাত থেকে এক পথচারীকে বাঁচাতে ৯৯৯-এ কল করার অপরাধে ডা. কোরবান আলীর ছেলে আলী রেজা রানাকে মারধর করার সময় এ ঘটনা ঘটে।  অভিযুক্ত ওই কিশোর গ্যাং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী ও ছাত্রলীগকর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ। হামলার পর প্রথমে ডা. কোরবান আলীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ‘মেডিকেল সেন্টার’ নামে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালটির আইসিইউতে লাইফ সাপোর্ট আছেন তিনি।  ভুক্তভোগীর স্বজন জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ডা. কোরবান আলীর অবস্থা বর্তমানে সংকটাপন্ন। চিকিৎসকরা রোববার রাতেই তাকে ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ ঘোষণা করেছেন। তবে তার লাইফ সাপোর্ট এখনো খোলা হয়নি। যেকোনো সময় কৃত্রিম লাইফ সাপোর্ট অটো শাটডাউন হয়ে যেতে পারে।’ জসিম উদ্দিন আরও বলেন, ‘কয়েক দিন আগে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী ডাক্তারের ছেলে আলী রেজা রানা। এমন সময় একদল কিশোর একজন পথচারীকে পেটাচ্ছিল। তাদের মার সহ্য করতে না পেরে লোকটি বাঁচাও বলে চিৎকার করছিল। লোকটিকে কিশোর দলের মার থেকে বাঁচাতে জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন দেন রানা। পরে পুলিশ এসে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায়।’ জসিম উদ্দিন জানান, এই ঘটনার জেরে শুক্রবার রাতে রানার বাসার সামনে এসে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয় কিশোর গ্যাং সদস্যরা। এরপর গত শুক্রবার বাসার পাশের দোকানে ইফতারি কিনতে গেলে কয়েকজন কিশোর গ্যাং সদস্য রানার ওপর হামলা চালায়। এ সময় রানাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তার বাবা কোরবান আলীর ওপরও হামলা চালায় কিশোর গ্যাং। হামলায় কোরবান আলী মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। আকবর শাহ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হামলাকারীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী। এ ঘটনায় ৮-১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। আমরা মামলাটি তদন্ত করছি। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৭

সন্তান কোলে নারীর আত্মহত্যা, বাঁচাতে গিয়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু
গাইবান্ধা সদরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক কলেজছাত্রসহ দুজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে গাইবান্ধা আদর্শ কলেজ-সংলগ্ন রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে জোবায়ের মিয়া (১৮) এবং গাইবান্ধা সদরের মাঝিপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী রাজিয়া বেগম (২৩)। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানায়, গৃহবধূ রাজিয়া বেগম দেড় বছরের শিশু সন্তান কোলে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন। এ সময় কলেজছাত্র জোবায়ের মিয়া তাদের বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। এ ঘটনায় কোলে থাকা দেড় বছরের শিশু আবির হোসেন গুরুতর আহত হলে তাকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নেন স্থানীয়রা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা রেলওয়ে (জিআরপি) পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক ফারুক হোসেন। তিনি জানান, ময়নাতদন্তের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এটি আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় গাইবান্ধা জিআরপি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হবে।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৭

বাইসাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে ব্র্যাককর্মীর মৃত্যু
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বাইসাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এক ব্র্যাককর্মী নিহত হয়েছেন। তার নাম মোস্তাফিজুর রহমান। সোমবার (২৫ মার্চ) উপজেলার নলজোড়া বাজারে বাইসাইকেলকে সাইড দিতে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাক্টরচাপায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মোস্তাফিজ ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কামারিয়া গ্রামের জামান সরকারের ছেলে।  তিনি ব্র্যাকের নালিতাবাড়ী উপজেলার তিনানী বাজার শাখার কর্মী ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নালিতাবাড়ী থানার ওসি মনিরুল আলম ভূঁইয়া। তিনি জানান, ব্র্যাককর্মী মোস্তাফিজুর আজ সকালে তিনানী বাজার থেকে মোটরসাইকেলে নালিতাবাড়ী যাচ্ছিলেন। নলজোড়া বাজার এলাকায় একটি বাইসাইকেলকে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী ট্রাক্টর ওই মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা মোস্তাফিজুরকে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহটি বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২৩:২৯

স্বামী-স্ত্রীকে মারধর, বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার পরিবার
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্বামী-স্ত্রীকে ঘরে আটকিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মেয়ে ও জামাতাকে মারধরের খবর শুনে তাদের বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে আহত হয়েছেন বাবা-ছেলে-পুত্রবধূসহ অনেকেই। আহতদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ইফতারের সময় উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের সান্তান গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, স্থানীয় নওশের, বিপুল ও রাজ্জাক বাহিনী অতর্কিতভাবে এই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে মারধর করেছেন। স্থানীয়সূত্রে ও প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল্লাহ আল বায়েদীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের সন্তান গ্রামের নুরুল হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের নওশের ও বিপুলদের পারিবারিক কোন্দল চলে আসছিল। এর জের ধরে আজ সন্ধ্যায় সবাই যখন ইফতার নিয়ে ব্যস্ত ঠিক তখন অতর্কিত নুরু ও তার স্ত্রী সাগরীকে ঘরে আটকিয়ে বেধড়ক মারপিট করা হয়। এতে সাগরীর দাঁত ভেঙ্গে যায় এবং স্বামী নুরুসহ গুরুতর আহত হয়।  এ খবর পেয়ে সাগরীকে প্রাণে বাঁচাতে এগিয়ে যান একই গ্রামের তার পিতা কোরবান আলী (৭০), ভাই আমিরুল ইসলাম (৩২), ভাইয়ের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন পলি (৩০)। এসময় তাদেরকেও বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করা হয়। কোরবান আলীদের বাঁচাতে এগিয়ে যান তার ভাই-ভাতিজারা। এসময় নওশের ও বিপুল গংদের সঙ্গে যোগ দেন আব্দুর রাজ্জাক বাহিনী। এই বাহিনীর আবদুর রাজ্জাক, রাজেদুল, কছের, এমদাদুল, মিলন, লুৎফর, জাহাঙ্গীর, শরিফ, শাকিলসহ অনেকেই দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে কোরবান আলীর আত্মীয় স্বজনের উপর হামলা করে বেধড়ক মারপিট করে। তাদের হামলায় আরও আহত হয়, স্কুল শিক্ষক এনামুল হক, কোরবান আলী, আমিরুল ইসলাম, আম্বিয়া খাতুন পলি, নুরুল ইসলাম ও ডা: ওসমান গনিসহ ১০-১২ জন। আহতদের মধ্যে সাগরী, কোরবান আলী, আমিরুল ও আম্বিয়া খাতুনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।  এ ব্যাপারে তাড়াশ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। এ ঘটনায় একজন থানায় এসেছেন অভিযোগ দিতে। অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৩ মার্চ ২০২৪, ০২:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়