• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বর্ষবরণ উদযাপন করল হরিরামপুর বন্ধুমঞ্চ  
‘বিপ্লবী স্পর্ধায় ভাঙো অবক্ষয়ের ভিত’ এমন বাতিক্রমী স্লোগানে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে বর্ষবরণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন হরিরামপুর বন্ধুমঞ্চের আয়োজনে উপজেলার পাটগ্রাম অনাথ বন্ধু সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়ে উপজেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ অতিক্রম করে পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ বন্ধুমঞ্চের মঙ্গল শোভাযাত্রায় যোগ দেয়।  হরিরামপুর বন্ধুমঞ্চের  প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট রাসেল হোসেন জানান, ২০০৮ সালে সংগঠন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে বন্ধুমঞ্চ। তারই ধারাবাহিকতায় বাঙ্গালির  অসাম্প্রদায়িক চেতনার সর্বজনীন উৎসব বর্ষবরণের আয়োজন করেছে হরিরামপুর বন্ধুমঞ্চ। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ধাপে বিকেলে বর্ষবরণের আলোচনা, গুনিজন সম্মাননা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৫-২০ হাজার মানুষ ভিন্ন ধরনের এ উৎসবে মেতে উঠেন। অনুষ্ঠানে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট রাসেল হোসেনের সঞ্চালনায় বন্ধুমঞ্চের বর্তমান সভাপতি প্রকৌশলী মো. ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে যৌথভাবে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন প্রবীণ শিক্ষক ও নাট্যকার হরিপদ সূত্রধর এবং বিশিষ্ট পরিবেশ ও সাংস্কৃতিক সংগঠক তৈয়বুল আজহার। 
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৪

পর্তুগালে বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদের প্রথম সফল আয়োজন
এবারই কোনো সংগঠন পর্তুগালের লিসবনে প্রথম বাংলা নববর্ষ উদযাপন করল।   রোববার (১৪ অক্টোর) পহেলা বৈশাখ দুপুর ১২টা থেকে ভেন্যুটি উন্মুক্ত ছিল। যেখানে শত শত প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সপরিবারে অংশ নেন। অনুষ্ঠানমালায় ছিল শিশুদের দেশীয় ছড়া, আবৃত্তি ও নববর্ষ নিয়ে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এবং আগত নারীদের নিয়ে ছিল বালিশখেলা। এই আয়োজনের বিশেষ চমক ছিল পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে সবার জন্যে পান্তা-ইলিশ ও দেশীয় ভিন্ন স্বাদের ভর্তার আয়োজন। এ ছাড়াও নাচ ও গানে অতিথিদের মাতিয়ে রাখতে আয়োজকদের কোনো কমতি ছিল না। আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং আরও বড় পরিসরে পরবর্তীতে এমন আয়োজনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও স্থানীয় রাজনীতিবিদ রানা তাসলিম উদ্দিন, বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক খলিলুর রহমান সাগর ও সদস্য সচিব শিপলু আহমেদ। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পর্তুগালের আরটিভি প্রতিনিধি আনোয়ার এইচ খান ফাহিম, সময় টিভি প্রতিনিধি তারিকুল হাসান আশিক, পর্তুগাল বাংলা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রনি মোহাম্মদ, সাবেক সভাপতি ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী, বর্তমান সভাপতি রাসেল আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক শহীদ আহমদ সহ প্রেস ক্লাবের সদস্যরা। ব্যবসায়ী মো. জহিরুল ইসলাম, লেখিকা ফৌজিয়া খাতুন রানা, ব্যবসায়ী মাসুম আহমেদ, পর্তুগাল সাহিত্য সংসদের সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক আবুল আসাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহমুদ, কমিউনিটির তরুণ উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী আবু ইমন, যুবনেতা আহমেদ লিটন, সাংবাদিক এস.এম আজাদ, টিপু, আসাদ, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব গোলাম মাহমুদ আযম, সোহেল আহমদ, ইমরানুল হক ইমু, শিহাব আহমেদ, আমির আলী, মাসুম আহমেদ, ব্যবসায়ী নাঈম হাসান ও আব্দুল কাদের জিলানী প্রমুখ। অনুষ্ঠানের আয়োজক তরুণ উদ্যোক্তা রনি হুসাইন, বলেন পর্তুগালের সকল প্রবাসীদের নিয়ে ভবিষ্যতে  আরও বড় পরিসরে এমন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। সেই সাথে ঘোষণা করেন আজ থেকে নতুন ভাবে বাংলাদেশের সকল জাতীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো খোলা মাঠে বড় পরিসরে আয়োজন করে, এখানে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধারার জন্য কাজ করবেন তারা। তিনি দলমত নির্বিশেষে এমন আয়োজন সফল করতে কমিউনিটির সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩২

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নানান আয়োজনে বর্ষবরণ
মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ সাংস্কৃতিক নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসী।  সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মঙ্গল শোভাযাত্রায় ফুটিয়ে তোলেন দেশীয় নানা মোটিভ। শোভাযাত্রা শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের বঙ্গবন্ধু মঞ্চে হয় বর্ষবরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বর্ষবরণ উপলক্ষে দিনব্যাপী আয়োজনে জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান, পুলিশ সুপার ছাইদুল হাসান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৩

আহির ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে বর্ষবরণ শুরু রমনার বটমূলে 
পুরোনো বছরের সব ভুল-ত্রুটি, ব্যর্থতা, গ্লানি আর না পাওয়াকে ভুলে নতুন উদ্যমে বাঁচার প্রেরণা নিয়ে বাঙালির সামনে উপস্থিত হয়েছে আরেকটি পহেলা বৈশাখ। ভোরের আলো ফুটতেই রমনার বটমূলে শুরু হয়েছে বাঙালির চিরায়ত বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। নতুন ১৪৩১ এর প্রথম সকালটিকে এক কণ্ঠে বরণ করে নিচ্ছেন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের শতাধিক শিল্পী। জীর্ণতা ঘুচিয়ে নতুনের আহ্বানে নববর্ষকে স্বাগত জানাচ্ছেন সব শ্রেণিপেশার মানুষ। বছরের প্রথম দিনটির নতুন স্নিগ্ধ আলোয় স্নাত প্রকৃতির গান, মানবপ্রেম-দেশপ্রেম আর আত্মবোধন-আত্মজাগরণের সুরবাণী দিয়ে সাজানো হয়েছে ছায়ানটের এবারের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৬টার দিকে আহির ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে শুরু হয়েছে বর্ষবরণের এবারের অনুষ্ঠান। এদিন সকালের আলো ফোটার আগে থেকে রমনার বটমূলে আনাগোনা শুরু হয় রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষের। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ অনুষ্ঠানমালা সরাসরি সম্প্রচার করছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, বাংলাদেশ বেতার ও ইউটিউব চ্যানেলগুলো। বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ঘিরে রমনা উদ্যান ও এর আশপাশের এলাকায় জোরদার করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান। পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশের চিরন্তন উৎসব, বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এই দিন আমাদের আপন শিকড়ের প্রাণশক্তিতে উজ্জীবিত হওয়ার দিন, বাঙালির প্রাণের উৎসবের দিন। আবহমান এই লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্যে বর্ষবরণ উৎসবে মেতে ওঠে দেশের প্রতিটি শহর-গ্রাম-নগর-বন্দর। রাজধানীর বর্ষবরণের অনুষ্ঠান রমনা বটমূল থেকে ছড়িয়ে পড়ে নগরজুড়ে। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত বৈশাখের প্রথম দিনটিতে পুরো ঢাকা পরিণত হয় উৎসবের নগরীতে। বর্ষবরণের আনন্দ-উৎসবে মুখরিত থাকে সমগ্র দেশ। এই একটি দিনে কোনো ভেদাভেদ থাকে না বাংলার মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মাঝে। নববর্ষের উৎসব হয়ে ওঠে সর্বজনীন। অতীতে আমরা দেখেছি কিছু ধর্মান্ধ মানুষ সাম্প্রদায়িক বিভেদের দেয়াল তুলে দিতে চেয়েছে বর্ষবরণের উৎসবে। কিন্তু বাঙালি জাতি কোনো দিনই তা মেনে নেয়নি। সব ভ্রুকুটি উপেক্ষা করেই বাংলার প্রতিটি প্রান্তে, প্রতিটি ঘরে উদযাপিত হয়েছে নববর্ষের উৎসব। বাঙালির সংস্কৃতি ধ্বংসের যে অপচেষ্টা তদানীন্তন পাকিস্তানে শুরু হয়েছিল, তার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ১৯৬৭ সালে রমনার বটমূলে যে আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছিল ছায়ানট, তা আজও বাঙালির এক অমলিন ঐতিহ্য। অপশক্তির বোমা হামলাও ছায়ানটের এই যাত্রাকে থামাতে পারেনি। বরং বাঙালির প্রাণের এই উৎসব আজ বিশ্ব ঐতিহ্যেরই অংশ হয়ে গেছে।  
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৮

জ্যামাইকাতে বৈশাখী উৎসবের আয়োজন
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জ্যামাইকাতে বৈশাখী উৎসব ও বাংলা বর্ষবরণ ১৪৩১ আয়োজন করতে যাচ্ছে শোটাইম মিউজিক।  জ্যামাইকাতে অবস্থিত দ্য মেরি লুইস একাডেমিতে এই বৈশাখী উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।  বৈশাখী উৎসবের এই আয়োজনে থাকছে— পান্তা ইলিশ, রকমারি শাড়ি কাপড়ের স্টল, রকমারি পিঠার স্টল, জুয়েলারি ষ্টল ও মন মাতানো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।  উৎসবের প্রধান আকর্ষণ বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এবং প্রবাসী কণ্ঠশিল্পীদের গান পরিবেশন। আরও থাকছে মন মাতানো ফ্যাশান শো ও আকর্ষণীয় রাফেল ড্র। তবে উৎসবে কোনো প্রবেশ মূল্য নেই।  প্রসঙ্গত, দুপুর দুইটা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত চলবে এই বৈশাখী উৎসব। অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার আরটিভি।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়