২২ বছর পর হত্যা মামলার রায়, ১৯ আসামিকে যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় প্রায় ২২ বছর পর ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত সকলের বাড়ি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামে। এদের মধ্যে দু’জন পলাতক রয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পাঁচবিবি উপজেলার হরেনদা গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে আলম, আব্দুস সাত্তারের ছেলে দোলা, ওসমান, কোরমান, আব্দুল গফুরের ছেলে আজাদুল, খলিল আকন্দের ছেলে লাবু, বাবু, আমিনুর, বিরাজ উদ্দিনের ছেলে ফারাজ মণ্ডল, সুন্নত আলীর ছেলে শুকটু, মৃত নায়েব আলীর ছেলে উকিল, ভরসা আকন্দের ছেলে দুলাল, আলতাফ আলীর ছেলে আলিম, নজরুল, আব্দুল গফুরের ছেলে সাইদুল, ভরসা আকন্দের ছেলে সানোয়ার, আব্দুস সাত্তার প্রধানের ছেলে সাইফুল, কফিল উদ্দিনের ছেলে কালাম এবং সোলেমান আকন্দের ছেলে জহুরুল।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ২২ নভেম্বর রাতে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের সামসুদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমানকে ধানের জমি থেকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামি আলমের বাড়িতে ধরে নিয়ে যায় অন্যান্য আসামিরা। এরপর সেখানে আটকে রেখে তাকে নির্মমভাবে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারপিট করে পা দিয়ে বুকে ও পেটে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুল বারিক মুন্সী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জয়পুরহাট জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের রায় দীর্ঘ ২২ বছর পর বিজ্ঞ আদালত দিয়েছেন। এই রায়ে সরকার পক্ষে আমরা খুশি।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল ও উদয় সিংহ। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, শাহজালাল সিদ্দিকী ও সোহেলী পারভীন সাথী।
৩ ঘণ্টা আগে