• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা, স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
গোপালগঞ্জে স্বামী কমলেশ বাড়ৈ (৪৫) হত্যার দায়ে স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাকসুদুর রহমান এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কমলেশ বাড়ৈর স্ত্রী সুবর্ণা বাড়ৈ (৩৮) ও তার পরকীয়া প্রেমিক মন্মথ বাড়ৈ (৪০)।  জানা যায়, সুবর্ণার বাড়ি কোটালীপাড়া উপজেলার তালপুকুরিয়া গ্রামে এবং মন্মথ বাড়ৈ ওই গ্রামের মহেন্দ্রনাথ বাড়ৈর ছেলে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২ আসামি পলাতক রয়েছেন। মামলার বরাতে জানা যায়, কমলেশ বাড়ৈ কাঠমিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার স্ত্রী গৃহবধূ সুবর্ণা বাড়ৈ একই গ্রামের মন্মথ বাড়ৈর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি স্বামী কমলেশ বাড়ৈ জানতে পারেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ শুরু হয়। সুবর্ণা বাড়ৈ ও তার পরকীয়া প্রেমিক কমলেশকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ২০২০ সালের ২ মার্চ গভীর রাতে খাবারের সঙ্গে কমলেশকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে হত্যার পর মরদেহ ঘের পাড়ে মাটিচাপা দেয় তারা।  প্রায় ৩ মাস পর ঘেরপাড় থেকে কমলেশের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় কমলেশের ভাই রমেশ বাড়ৈ বাদী হয়ে সুবর্ণা ও মন্মথকে আসামি করে কোটালীপাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ শেষে বিচারক সুবর্ণা ও মন্মথকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র জয়ধর। বিবাদী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এইচএম মহিউদ্দিন। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পিপি অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র জয়ধর। তিনি বলেন, মামলা দায়েরের পর পুলিশ ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। পরে তারা জামিনে বেরিয়ে আর আদালতে হাজির হননি। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
০১ মে ২০২৪, ১৩:১৭

প্রেমিকার ১৯ দিন পর প্রেমিকের আত্মহত্যা
নরসিংদীর শিবপুরে প্রেমিকার আত্মহত্যার শোক সইতে না পেরে ১৯ দিন পরে প্রেমিক সিফাত (১৯) ফেসবুক‌ স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাছিমপুর ইউনিয়নের খড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত সিফাত ওই গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে। সিফাত শিবপুর সরকারি শহীদ আসাদ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। মৃত্যুর আগে এক দীর্ঘ ফেসবুকে স্ট্যাটাসে সিফাত লেখেন, ‘তানহা আত্মহত্যা করে প্রমাণ করে গেলো আমারে কতটা ভালোবাসে। আমিও প্রমাণ করে দিমু তানহারে আমি কতটা ভালোবাসি। কারও সঙ্গে ভুল করে থাকলে মাফ করে দিও। আর দেখা হবে না সবাই দোয়া কইরো শান্তিতে থাকি কিংবা অশান্তিতে দুজন যেন এক সঙ্গে থাকতে পারি। আমার শেষ ইচ্ছা তানহার কবরের পাশে আমাকে কবর দেওয়া হোক। আমি পরিস্থিতির স্বীকার। আর আমার কোনো কিছুর জন্য তানহার পরিবার বা আমার পরিবার দায়ী না, এমনকি আমার কোনো ভাই-ব্রাদার বা বন্ধু ও দায়ী না। যা হবে আমার নিজের ইচ্ছেতে হবে। সত্যি বলতে আমার আর বাচার ইচ্ছে নাই। আমাকে যদি কেউ বাঁচিয়েও নেয় আমি পুনরায় আত্মহত্যার চেষ্টা করব। প্লিজ আমাকে কেউ বাঁচানোর চেষ্টা কইরো না বেঁচে থেকে আর কি হবে যার জন্য বাঁচার কথা ছিল সে তো আর নেই। তানহা আমারে কথা দিছিলো যদি বাঁচি তো এক সঙ্গে বাঁচমু আর যদি মরতে হয় তো এক সাথে মরমু। আমি তানহারে এই কথাটাই দিছিলাম। কিন্তু একটা চরিত্রহীন জানোয়ার আমাদের সুখে থাকতে দিল না। ওদের অত্যাচারে তানহা আত্মহত্যা করলো। এক প্রকার তারা তানহারে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করলো। জানোয়ারের পরিবারকেই আমি খুনি বলে দাবি করি। আমি যদি বেঁচে থাকি তাহলে জানোয়ারের পরিবার স্বাধীনভাবে চলবে ওদের কোনো সাজা হবে না। আর অন্য দিকে আমার তানহা ও শেষ আমি অর্ধেক শেষ আমার পরিবার ও শেষ। আমি আর কষ্ট সহ্য করতে পারছি না (প্রমাণ হয়ে যাক দুজন দুজনকে কতটা ভালোবাসতাম) আর আমি চরিত্রহীন জানোয়ারের পরিবারের সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি। এমন সাজা দেওয়া হোক অন্য কোনো মেয়ের সাথে যেন এমন না হয়। আর যেন কারও প্রাণ না ঝরে। কেউ যেন ব্ল‍্যাকমেলের শিকার না হয়। আমার শেষ একটাই ইচ্ছে- আমরা দুজনে সারাজীবন একসঙ্গে থাকতে চেয়েছিলাম বাস্তবে তা হলো না তাই আমার মৃত্যুর পরে তানহার কবরের পাশে যেন আমার কবর দেওয়া হয়। আমি আঙুর রে মারছি শুধু একটা কারণে হেয় তানহার হাতে ধরছিল। তানহারে খারাপ প্রস্তাব দিছিল। আমি সহ্য করতে পারি নাই। তাই হেরে কোবাইছি। আমরা প্রেম করছি এটাই কি অপরাধ ছিল। আমাদের জীবন শেষ করে দিলো ভালো থাকুক আঙুর আর আঙুরের পরিবার। নিহতের পিতা ইব্রাহিম জানান, প্রতিবেশী চাচাত বোন খলিলের মেয়ে তানহার (১৫) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল আমার ছেলে সিফাতের। গত ৩ এপ্রিল দিবাগত রাত দুইটার সময় তানহা ঘরের ভেতর থেকে আর সিফাত জানালার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় দেখে ফেলে একই এলাকার রাজুর ছেলে আঙ্গুর (২৫)। এ সময় আঙ্গুর তানহাকে কু-প্রস্তাব দেয়। সিফাত এতে নিষেধ করে। কু-প্রস্তাব রাজি না হওয়ায় আঙ্গুর সিফাতকে মারধর করে টাকা দাবি করে পরে সে উত্তেজিত হয়ে আঙ্গুরকে কুপিয়ে আহত করে। মারামারি বিষয়ে মামলা চলমান রয়েছে। লোকলজ্জায় গত ৬ এপ্রিল রাতে তানহা নিজ ঘরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এইসব বিষয়ে  গ্রামীণ সালিস দরবার হওয়ার কথা ছিল। সালিস দরবারে আমাকে ও আমার ছেলেকে এটা করবে ওটা করবে বলে বিভিন্নভাবে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতো। দরবারে গেলে জমির দলিল নিয়ে যেতে বলতো এসব মানসিক চাপ সইতে না পেরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ছেলে সিফাত। আমি এর বিচার দাবি করছি। বিষয়টি নিশ্চিত করে শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্তের পর আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৫

প্রেমিকের কাছে মেয়েরা যে ৭ জিনিস প্রত্যাশা করেন
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েরা অভিমানী প্রকৃতির হয়। তারা চায় না বলতেই যেন প্রিয় মানুষটি তার মনের কথা বুঝে যায়। মনে মনে অনেকে কল্পনার রাজ্যও গড়ে তোলে। এরপর যখন প্রিয় মানুষটি তার মনের কথা বুঝতে পারে না তখনি অভিমান হয় প্রেমিকার। আর এ কারনেই মেয়েদের তার প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে একটা কমন অভিযোগ হলো- কেউ তাদের বুঝতে পারে না। অবশ্য এই দায় ছেলেরাও স্বীকার করে নিয়েছে যে, মেয়েদের মন বোঝার সাধ্য তাদের নেই। আসলেই কি নেই? মেয়েরা আসলে এমন কী চায় যে তাদের বুঝতে পারা সহজ হয় না? না-কি এই বুঝতে না পারার পেছনে ছেলেদের আগ্রহেরও অভাব রয়েছে? একটি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ার পর পরস্পরের প্রতি অভিযোগের তীর ছুঁড়তে থাকা সহজ। কিন্তু একে অন্যকে বুঝে সামনে এগিয়ে যাওয়া সহজ নয়। সেজন্য দু’জনের আগ্রহ কিংবা টান থাকা চাই। প্রেমিকের কাছে মেয়েদের চাওয়া খুব বেশি থাকে না, যদি তা সত্যিই প্রেম হয়। ছোট ছোট বিষয়ে খেয়াল রাখলেই তাদের মন জয় করা সম্ভব। জেনে নিন মেয়েরা প্রেমিকের কাছে  প্রত্যাশা করে এমন ৭টি জিনিস-  ​১. সবকিছুতেই থাকবেন পাশে​ মেয়েরা সাধারণত তার প্রেমিকের কাছে সব বিষয়ে সাহায্য চান না। কিন্তু তারা আশা করেন যে, মনের মানুষ সবসময় তাদের মাথায় ছাতার মতো ছায়া দেবেন। তাই এবার থেকে প্রেমিকাকে সমস্যায় দেখলে কোনও দিকে না তাকিয়ে দ্রুত  তা সমাধানের কাজে লেগে পড়ুন। আশা করছি, এই কাজটা করলেই প্রেমিকার মনে হৃদয়ে চিরস্থান পেতে সুবিধা হবে।  ২. দেবেন সম্মান​ ২০২৪ সালে দাঁড়িয়েও অনেক ছেলে মেয়েদের কোনও রকম সম্মান দেন না। আর এই বিষয়টাই তাদের প্রেমের পথে অন্তরায়। তাই নিজের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে প্রেমিকাকে যথাযোগ্য সাম্মান দিন। আর এই কাজটা গোপনে নয়, সবার সামনেই করুন। আশা করছি, এই কাজটা করলেই আপনাদের প্রেমের রাস্তায় কোনও বাধা বিপত্তি মুখ তুলতে পারবে না। বরং আপনারা হেসেখেলে আগামীদিনগুলো কাটাতে পারবেন। ​​৩. নিজের থেকেও আপন​ মেয়েরা প্রেমিকের অকৃত্রিম ভালোবাসা চান। এমনকী প্রেমিক যাতে নিজের থেকেও তাকে বেশি ভালোবাসেন, এই বিষয়টাও মনে মনে আশা করেন তারা। তাই আর সময় নষ্ট না করে আজ থেকেই প্রেমিকাকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিন। তাকে সবসময় প্রেমের কথা বলুন। ব্যস, তাহলেই খেলা ঘুরে যাবে। তারপর তিনি আপনার সঙ্গে সারাজীবন হাতে হাত রেখে চলার জন্য অঙ্গিকারবদ্ধ হয়ে পড়বেন। ​৪. সততার নেই বিকল্প​ প্রেমের গাড়ি এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে সবসময় সত্যি কথা বলতে হবে। এমনকী প্রেমিকার থেকে কোনো কিছু লুকানো চলবে না। কারণ প্রেমিকা যে গোপনে আপনার থেকে সততাই আশা করেন। তাই এতদিনের ভুল শুধরে নিতে চাইলে প্রেমিকাকে সবসময় সত্যি কথা বলুন। এমনকী কোথাও কোনও ভুল হলে, সেই কথাও সময় করে জানিয়ে দিন।  ​৫. সবসময় রাখবেন ভালো​ আমাদের সকলের জীবনের লক্ষ্যই হলো ভালো থাকা। আর মেয়েরাও ঠিক একই পথের পথিক। তাই তারা আশা করেন যে তার মনের রাজকুমার তাকে সবসময় হাসিখুশি রাখবে। সুতরাং প্রেমিকার মনে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করতে চাইলে তাকে সবসময় ভালো রাখার চেষ্টা করতে হবে। আর এই কাজটা করলেই কিন্তু তিনি আপনাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসবেন। ৬. মনোযোগ মেয়েরা প্রেমিকের কাছ থেকে মনোযোগ প্রত্যাশা করে। প্রেমিক যদি তার কথা মন দিয়ে শোনে, কোনো সমস্যায় সমাধান খুঁজে দেয়, মানসিকভাবে সমর্থন দেয় তাহলে মেয়েরা খুশি হয়। আর যদি প্রেমিক নিজের মতো ব্যস্ত থাকে, প্রেমিকার কথার দিকে মনোযোগ না দিয়ে ফোন কিংবা সোস্যাল মিডিয়ায় সময় কাটায় তখন বিরক্তি চলে আসে।  ৭. সারপ্রাইজ মুখে না বললেও একথা সত্যি যে মেয়েরা সারপ্রাইজ পেতে ভালোবাসে। অবশ্য সারপ্রাইজ পেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ কমই পাওয়া যাবে। তবে তুলনামূক ছেলেদের থেকে বেশি মেয়েরা সারপ্রাইজ পেতে পছন্দ করে। খুব দামি কিছু হতে হবে তা কিন্তু নয়। চাইলে একটি চকোলেট কিংবা ফুল দিয়েও তাকে চমকে দেওয়া যায়। প্রেমিকাকে খুশি রাখতে এটুকু তো সামান্যই, নয় কি!
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৫

একসঙ্গে বিষপান / প্রেমিকের মৃত্যুর ২২ ঘণ্টা পর চলে গেলেন প্রেমিকাও
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালের খাঁড়িতা গ্রামে প্রেমিক-প্রেমিকা বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় প্রেমিকের মৃত্যুর ২২ ঘণ্টা পর মারা গেলেন প্রেমিকাও। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বগুড়ার একটি হাসপাতালে প্রেমিকা মারা যান। এর আগে সোমবার ভোর ৫টায় জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রেমিক মুরাদ মারা যান। গত ৪ এপ্রিল নিজ নিজ বাড়িতে তারা বিষপান করেন। প্রেমিক-প্রেমিকারা হলেন মুরাদ শেখ (১৭) ও তাজমিন আক্তার (১৫)।  মুরাদ খাঁড়িতা গ্রামের দোলন শেখের ছেলে এবং তাজমিন একই গ্রামের তোজামের মেয়ে।  পরিবারের বরাতে পুলিশ জানায়, মুরাদ এবার বড়তারা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। আর তাজমিন বাঁকিলা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মুরাদের সঙ্গে একই গ্রামের তাজমিন আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তাদের পরিবার বিষয়টি জানার পর সম্পর্ক মেনে নেয়নি। পুলিশ আরও জানায়, পরে মুরাদের পরিবার তাকে মালয়েশিয়া পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ঈদের পর দেশের বাইরে যাওয়ার কথা ছিল মুরাদের। এরপর দুজন সিদ্ধান্ত নিয়ে গত ৪ এপ্রিল নিজ নিজ বাড়িতে বিষপান করেন। এরপর তাদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তারা বাড়ি ফিরে আসেন। গত ৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুরাদ আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে তার মৃত্যু হয়। প্রেমিক মারা যাওয়ার খবরে প্রেমিকা তাজমিনও আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর রাতে তাজমিনও মারা যান। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ক্ষেতলাল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, প্রেমঘটিত কারণে প্রেমিক-প্রেমিকা বিষপান করেছে। প্রেমিক মুরাদ আগেই মারা গেছেন। এর প্রায় একদিন পর হাসপাতালে মেয়েটিও মারা গেলেন। এ ঘটনায় মুরাদের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে জানাজা শেষে তার দাফন হয়েছে। আর মেয়েটির মরদেহ বগুড়াতে আছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২১

প্রেমিকের আশায় স্বামী-সন্তান সব হারালেন গৃহবধূ, অতঃপর....
পরকীয়ায় মগ্ন হয়ে সংসার ভাঙার পর বিয়ের দাবিতে প্রেমিক রাসেলের বাড়িতে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় অনশন শুরু করেছে এক নারী। শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে উপজেলার পুটিমারী গ্রামে প্রেমিকের বাড়ির সামনে অনশন করতে দেখা যায় ওই নারীকে। রাসেলের সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের পুটিমারী গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।        জানা যায়, কচুয়া ইউনিয়নের এক ব্যক্তির সঙ্গে পাঁচ বছর আগে সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা ইউনিয়নের ওই নারীর বিয়ে হয়। বিভিন্ন সময়ে স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে রাসেল ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবৈধ সম্পর্ক করে আসছিলেন। সম্প্রতি রাসেলকে ওই নারীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ধরে ফেলে পুলিশে সোপর্দ করেন। পুলিশ রাসেলকে সাঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের মাধ্যমে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বামী নাজের বেপারী সন্তানকে নিজের কাছে রেখে ওই নারীকে তালাক দেন। পরবর্তী সময়ে রাসেল জামিনে বের হয়ে বাড়িতে ফিরে এলে ওই নারীর লোকজন তাকে বিয়ে করার চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু রাসেল বিয়ে না করতে তালবাহানা করতে থাকেন। অবশেষে বিয়ের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল থেকে রাসেলের বাড়ির উঠানে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন ওই নারী। অবস্থা বেগতিক দেখে রাসেল সরকার ও তার পরিবার বাড়িঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছেন।   ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন থেকে ধর্ষণ করে আসছিল রাসেল। তার কারণে আমার ঘর ভেঙেছে। সে কারণে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেছি। এ বিষয়ে মুক্তিনগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শ্রী পরিমল চন্দ্র বর্মন বলেন, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি রাসেল ও তার পরিবারের কেউই নেই। তাই নিরাপত্তার কথা ভেবে রাতে ওই নারীকে রাসেলের চাচার বাসায় রেখে এসেছি। বিষয়টি সমাধানে উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। 
৩০ মার্চ ২০২৪, ১১:২৮

প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছেন স্ত্রী, ফের বিয়ে করলেন স্বামী
৬ বছর সংসার করার পর নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে স্ত্রী পালিয়েছেন প্রেমিকের সঙ্গে। সেই ক্ষোভে নিজেকে শুদ্ধ করতে এক মণ দুধ দিয়ে গোসল করে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন মামুন মোল্লা নামের এক ব্যবসায়ী। গত রোববার (১৭ মার্চ) এ ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির নারুয়া ইউনিয়নে শোলাবাড়ী গ্রামে।  মামুন মোল্লা ওই গ্রামের মৃত মাজেদ মোল্লার ছেলে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মামুনের দুধ দিয়ে গোসল করার ভিডিওটি ভাইরাল হয়।  ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবক বাড়ির উঠানে টুলের ওপর বসে আছেন। পাশে রয়েছে বালতিভর্তি দুধ। সেখানে থাকা কয়েকজন নারী মগ দিয়ে তার মাথা ও শরীরে দুধ দিয়ে গোসল করাচ্ছেন। স্থানীয়রা জানান, মামুন মোল্লা লেপ-তোশকের ব্যবসা করেন। ৬ বছর আগে মামুন মোল্লা ভালোবেসে পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করেন বালিয়াকান্দির নবাবপুরের বালিয়াচরের শাম্মী আক্তারকে। বিয়ের পর তাদের সংসার জীবন সুখেই কাটছিল। কিন্তু মামুনের স্ত্রী শাম্মী তার বাবার বাড়ি এলাকায় তপন আলী নামের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ২ মার্চ শাম্মী তার স্বামী-সংসার ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান। পরে মামুন গত রোববার দুধ দিয়ে গোসল করে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। মামুন মোল্লা জানান, ভালোবেসে ৬ বছর আগে বিয়ে করে সংসার করছিলেন। কিন্তু স্ত্রী তার সঙ্গে বেঈমানি করে অন্যের হাত ধরে চলে গেছে। তাদের সংসারে কোনো অভাব-অনটন বা দুঃখ-কষ্ট ছিল না। চলে যাওয়ার সময় সে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ২ ভরি স্বর্ণ নিয়ে গেছে। আসলে তিনি তাকে চিনতে ভুল করেছিলেন। যার কারণে দুধ দিয়ে গোসল করে নিজেকে শুদ্ধ করে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। তবে এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মামুন মোল্লার প্রতিবেশী নারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার জনাব আলী। তিনি জানান, মামুন তার প্রতিবেশী। মামুনের স্ত্রী শাম্মী পরকীয়া করে পালিয়েছেন। কিন্তু তারাও প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন এবং ৬ বছর সংসারও করেছেন। স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ায় গত রোববার মামুন দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন এবং বিয়ের আগে মামুন দুধ দিয়ে গোসল করেছেন।
২০ মার্চ ২০২৪, ১১:০৯

প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার আত্মহত্যা
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনার পর থেকেই প্রেমিক পলাতক রয়েছেন। শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে উপজেলার রাখালিয়া চালা এলাকায় প্রেমিকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সালমা (৪০) উপজেলার রাখালিয়াচালা গ্রামের তারা মিয়ার মেয়ে। একই গ্রামের সামসুল মিয়ার ছেলে আরিফ মিয়ার (৪৫) সঙ্গে তার প্রেম ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, গত দুবছর ধরে আরিফ ও সালমার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর থেকেই সালমা আরিফকে তাদের বাড়িতে জানাতে চাপ দেয়। স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করে আরিফের বাড়িতে সালমা বার বার আসলেও আরিফ নানাভাবে তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে টালবাহানা করছিল। এ বিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিকট জানিয়েও কোনো প্রতিকার না পেয়ে শুক্রবার দুপুরে প্রেমিকের তালাবদ্ধ টিনসেড বাসার একটি কক্ষের তালা ভেঙে ঘরের সিলিংয়ের আড়ার সঙ্গে কাপড় দিয়ে ফাঁসি দেয় সালমা। এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিয়াকৈর থানার তদন্ত (ওসি) সাব্বির রহমান। তিনি বলেন, স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩০

প্রেমিকের সঙ্গে উধাও নববধূ, শ্বশুরবাড়িতেই আত্মহত্যা স্বামীর 
চাঁদপুরে প্রেমিকের সঙ্গে নববধূ চলে যাওয়ার খবর শুনে শ্বশুরবাড়িতেই আত্মহত্যা করেছেন এক যুবক। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়ায় নববধূর ভাড়া বাসার একটি কক্ষে বিষপানে আত্মহত্যা করেন তিনি। বৃহস্পতিবার মরদেহের দাফন সম্পন্ন হয়। নিহত ইবাদ খান (৩০) চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫ নম্বর রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য সুলতানা বেগম ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম খানের ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে মার্কেটিংয়ে কাজ করতেন। স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ৮ মার্চ চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া রোডের বিআইডব্লিওটিএর চাঁদপুর শাখার পরিদর্শক পাইলট দিদারুল আলমের মেয়ে খাদিজা আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় ইবাদ খানের। সোমবার (১১ মার্চ) খাদিজার স্বামীর বাড়িতে আসার কথা থাকলেও তিনি অসুস্থ দাবি করে পরদিন মঙ্গলবার আসবেন বলে জানান। কিন্তু সোমবার রাতেই তিনি একটি চিঠি লিখে তার প্রেমিকের কাছে চলে যান। খবর পেয়ে ইবাদ খান মঙ্গলবার তার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে বাবা-মাকে বিষয়টি জানান। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তিনি বিষপান করেন। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমকে বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। নববধূ খাদিজা আক্তারের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৫

পরকীয়া প্রেমের জেরে স্বামীকে হত্যা, স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে পরকীয়া প্রেমের জেরে স্বামীকে হত্যা করার মামলায় স্ত্রীসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।  মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর দুর্গাপুর গ্রামের মোখলেছার রহমানের মেয়ে জোৎনা বেগম ও দাশরা খানপাড়ার বুলু মিয়ার ছেলে শাহিন মিয়া বাবু। এর জেরেই ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর বিকেলে আসামিরা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এঘটনায় নিহতের চাচা ছানাউল ইসলাম বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৮:২৭

প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছে মেয়ে, বান্ধবীকে ডেকে নির্যাতনের অভিযোগ
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক শিক্ষার্থী তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বান্ধবীকে (১৫) বাসায় ডেকে মাথার চুল কেটে শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে পালিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীর মা-বাবার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। রোববার (৩ মার্চ) এ ঘটনা ঘটে। থানায় করা অভিযোগ ও এলাকাবাসী জানান, পালিয়ে যাওয়া ওই কিশোরী ও মারধরের শিকার তার বান্ধবী স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। একই ক্লাসে লেখাপড়া এবং পাশাপাশি বাসা হওয়ায় তারা একসঙ্গে স্কুলে আসা-যাওয়া করতো। প্রায় এক মাস আগে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায় মেয়েটির বান্ধবী। এই ঘটনায় গত রোববার বিকালে তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে মেয়ের কথা জিজ্ঞেস করে পালিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীর বাবা। এ সময় তার মেয়ে কোথায় আছে তা বলার জন্য মেয়েটিকে চাপ দিতে থাকে। বান্ধবীর অবস্থান সম্পর্কে সে কিছুই জানে না বললে ওই কিশোরীকে গালাগালসহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে অভিযুক্তরা। এ সময় মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়া হয়। চুল কাটা ও মারধরের পর ওই কিশোরী অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে বাসায় নিয়ে আসে। এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। মারধরের শিকার শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, মেয়েটি তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। তাদের মেয়ের খোঁজ না পেয়ে তারা আমার মেয়েকে বাসায় ডেকে নিয়ে মেরে আহত করে। একপর্যায়ে আমার মেয়ের মাথার চুল কেটে দিয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। কালিয়াকৈরের মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত দম্পতি পালিয়ে থাকায় তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়