• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঝিনাইদহ-১ উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী নায়েব আলী
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. নায়েব আলী জোয়ার্দার। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে এসব তথ্য জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ আসনের এমপি আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। শূন্য আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন মোট ২৫ জন। আসনটিতে আগামী ৫ জুন ভোটগ্রহণ করা হবে। দলের সভানেত্রী ও মনোনয়ন বোর্ডের প্রধান শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে বোর্ডের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, রশিদুল আলম, রমেশ চন্দ সেন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও দলের প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান বৈঠকে অংশ নেন। 
০৪ মে ২০২৪, ২১:৫৯

বহিষ্কারের পর বিএনপির প্রার্থী আরও বেড়েছে 
প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় এখন পর্যন্ত ৮১ জন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিস্কারের পরও তৃণমূলের নেতাদের দমাতে পারছে না বিএনপি। ফলশ্রুতিতে দ্বিতীয়ধাপের নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন, যা প্রথম ধাপের থেকে বেশি। বিশ্লেষকদের ধারণা, তৃতীয় ধাপে আরও প্রার্থী বাড়তে পারে।  সারাদেশ থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন ২৮ জন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপে ৩৩ জন নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। একইভাবে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীর সংখ্যাও অনেক।  বহিষ্কারের মতো কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েও বিএনপির নেতাদের উপজেলা নির্বাচন থেকে ফেরানো যাচ্ছে না। দলটির কেন্দ্রীয় দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে বিএনপির ৭৩ জন নেতা মনোনয়ন ফরম নিয়েছিলেন। এর মধ্যে মাত্র ১২ জনকে বুঝিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করানো সম্ভব হয়েছে। এখনো ৬১ নেতা নির্বাচনে রয়ে গেছেন।  তৃতীয় ধাপেও বিএনপির অন্তত অর্ধশত নেতা–কর্মী প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী দলটির সাবেক, বর্তমান ও একজন বহিষ্কৃত নেতাসহ ২৬ জনের নাম পাওয়া গেছে। বাকি ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।   বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, যে ৬১ জন নেতা দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, তাঁদের গত বৃহস্পতিবার কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় ধাপেও ৬১ জনকে একযোগে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের দিকে যাচ্ছে বিএনপি। যদি এর মধ্যে কেউ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা না দেন, তাহলে প্রথম ধাপের ৭২ জনসহ দুই ধাপে বিএনপির নেতাদের বহিষ্কারের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৩৩–এ।  প্রথম ধাপে বহিষ্কৃত নেতাদের মধ্যে ২৮ জন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে, ২৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং ২১ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্যকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ময়মনসিংহে। এই সাংগঠনিক বিভাগের ১৬ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া রংপুরে ১১, রাজশাহীতে ১০, সিলেটে ৯, কুমিল্লায় ৮, ফরিদপুরে ৬, ঢাকায় ৫, চট্টগ্রামে ৪, খুলনায় ৩ এবং বরিশাল বিভাগের ১ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির নেতারা বলছেন, প্রার্থীরা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করার পাশাপাশি সাংগঠনিক ব্যবস্থাকেও আমলে নিচ্ছেন না। এমনকি প্রার্থীদের নির্বাচনবিমুখ করতে কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় ও জেলার নেতাদের বিশেষভাবে দায়িত্ব দেওয়া হলেও সেটিও খুব একটা কাজে লাগছে না। এ নিয়ে দলের নীতিনির্ধারকেরা অস্বস্তিতে পড়েছেন।  পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী উপজেলার আহ্বায়ক রহিমুল ইসলাম জানান, দলের অবস্থান যে কঠোর, তা তিনি জানেন, তবু তিনি নির্বাচন করবেন। প্রথম ধাপেও প্রার্থীদের থামাতে বিএনপির নেতৃত্বের তৎপরতা তেমন একটা কাজে লাগেনি। বোঝানোর পর মাত্র ১৬ জন নেতা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। শেষ পর্যন্ত প্রথম ধাপে ৭২ জনকে বহিষ্কার করতে হয়। বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ২৮ জন চেয়ারম্যান পদে, ২৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ২০ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন।  উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপেও বিএনপির নেতাদের অনেকে প্রার্থী হতে মাঠে তৎপর রয়েছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের অবস্থানে থাকা দলটির বহিষ্কারের সংখ্যা দীর্ঘ হবে। দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে যাঁরা ভোটে অংশ নিচ্ছেন, তাঁদের নিয়ে কাজ করছেন, বিএনপির এমন নেতাদের অনুমান, উপজেলা নির্বাচনের শেষ ধাপ পর্যন্ত বহিষ্কারের সংখ্যা দুই থেকে আড়াই শতে গিয়ে ঠেকতে পারে। দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় বহিষ্কারের এই সংখ্যাকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না বিএনপির নেতৃত্ব।  তবে গণহারে দল থেকে এই বহিষ্কার তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, দলকে আরও দুর্বল করবে কি না, সে আলোচনা রয়েছে বিএনপিতে। যদিও কঠোর অবস্থানেই থাকছে দলটির নেতৃত্ব।  বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে তাঁদের বহিষ্কার করা ছাড়া বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণে কিছু নেতা বহিষ্কারের ফলে সাংগঠনিক ভিত্তি কিছুটা দুর্বল হতে পারে, যা দলকে উপেক্ষা করতে হচ্ছে সচেতনভাবে।  সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ভোট করে আগেও জিতেছিলেন গণেন্দ্র চন্দ্র সরকার। এবারও ভোটে আছেন। বিএনপি ভোটে না থাকায় তিনি এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী। গণেন্দ্র ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি। বহিষ্কারাদেশ পেয়েও তিনি দমে যাননি। বরং ভোটের প্রচারে নেমে কেন্দ্রীয় নেতাদের তীব্র সমালোচনা করছেন।  তিনি বলেন, আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে তৃণমূলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা কেন্দ্রে বসে নির্দেশনা দেয়। বাস্তবে মাঠের খবর নেয় না। তৃণমূলের কর্মীদের থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা দূরে সরে যাচ্ছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারা দলকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের বহিষ্কারের এই হঠকারী সিদ্ধান্তকে আমি মানি না। আমি নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবো। নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা-প্রথম ধাপে ভোট হতে যাওয়া দুই উপজেলাতেই ভোট নিয়ে উৎসাহ তৈরি হয়েছে। কারণ বিএনপির দুই জন বহিষ্কৃত নেতা জনপ্রিয়তার লড়াইয়ে আছেন। ২০১১ সালে নলডাঙ্গার ব্রহ্মপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে জয় পাওয়া সরদার আফজাল হোসেন এবার উপজেলা চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন কৈ মাছ প্রতীক নিয়ে। বিএনপির ভোট বর্জনের সিদ্ধান্তে বিরক্ত এই নেতা বলেন, বারবার নির্বাচনে যাচ্ছে না, এই দলে থেকে লাভ কী? নির্বাচনে না গেলে আঞ্চলিক রাজনীতিতে আমরা টিকে থাকব কীভাবে? নিজেকে এখন বিএনপির নেতা মানতে নারাজ আফজাল। তিনি বলেন, উনারা কী কারণে আমাকে শোকজ করে, বহিষ্কার করে আমিতো বুঝি না। আমি তো এখন কোনো পদ পদবিতে নাই, সদস্যও নাই। তিন বছর আগে সব বাদ দিছি, বিএনপির সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নাই।  
০৪ মে ২০২৪, ১৫:৩৪

সারিয়াকান্দিতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ২ প্রার্থী 
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন দু’জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। তারা হলেন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সালাম এবং আশিক আহম্মেদ।  শনিবার (৪ মে) সকালে সারিয়াকান্দি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা এ ঘোষণা দেন।  এ সময় তারা দু’জনই এমপির পুত্র সাখাওয়াত হোসেন সজলের পক্ষে সমর্থন জানান। ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের প্রথম ধাপে সারিয়াকান্দিতে ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে দু’জন চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন।  তারা হলেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সালাম এবং বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আশিক আহম্মেদ। ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সালাম মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মাঠে ছিলেন। অপরদিকে আশিক আহম্মেদ হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিয়েছিলেন।  সংবাদ সম্মেলনে তারা তাদের সকল কর্মী সমর্থকদের এ আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের পুত্র সাখাওয়াত হোসেন সজলের পক্ষে কাজ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন এবং তার প্রতীক আনারস মার্কাকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।  সারিয়াকান্দি সদর উপজেলায় এখন ৩ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মাঠে রয়েছেন। তারা হলেন সাখাওয়াত হোসেন সজল (আনারস), বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম মন্টু (কাপ পিরিচ) এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান আলী (ঘোড়া)।
০৪ মে ২০২৪, ১৫:২৭

এবার ঝিনাইদহ উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম
আলোচিত-সমালোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম এবার ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, আমি সৎ এবং সাহসী। সবাই চায় আমি যেন সংসদ সদস্য হয়ে কথা বলি, সবার পাশে থাকি। তাই ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। সেভাবে প্রস্তুতি চলছে আমার। হিরো আলাম আরও বলেন, আমার এক বন্ধু কুমিল্লার একটি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আমি সেখানে প্রচারণা চালাতে যাচ্ছি। ঝিনাইদহ-১ আসনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, তখন তারা বলেছেন সবাই আমাকে চেনেন। আমি তাদের কাছে প্রিয় এবং পরিচিত মুখ। তারাও চায় আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেখানকার জনসাধারণ আরও বলেন- নির্বাচনে তারা সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে সেখানে উপনির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়েছি। আমিও আশ্বাস দিয়েছি তাদের পাশে সবসময় থাকব। আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন। ব্যালট পেপারে হবে এ নির্বাচন। গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন এই আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসনে ভোট হবে ৫ জুন। এ উপনির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ ৭ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে। প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে ও ভোট হবে ৫ জুন। রির্টার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা। এর আগে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। তারপর চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) মারা যাওয়ার পর ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। এই আসনটি রাজধানীর গুলশান, বনানী, ভাষানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৩

উপজেলা নির্বাচন / ছাড় পাচ্ছেন না স্বজনকে প্রার্থী করা মন্ত্রী-এমপিরা
উপজেলা নির্বাচনে দলীয় নির্দেশ অমান্য করে স্বজনকে প্রার্থী করানো মন্ত্রী ও দলীয় এমপির তালিকা তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ। অভিযুক্ত মন্ত্রী এবং দলীয় এমপিকে শোকজ করা হতে পারে। সাংগঠনিক শাস্তির পাশাপাশি কেড়ে নেওয়া হতে পারে দলীয় পদ-পদবি। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সন্তান, পরিবারের সদস্য, নিকটাত্মীয় ও নিজস্ব লোক উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলীয় প্রধানের নির্দেশনা পেয়ে ওবায়দুল কাদের ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনানুষ্ঠানিক এক বৈঠক করেন। বৈঠকে এ ধরনের সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত হয় এবং পরে তা সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেওয়া হয়।  আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মন্ত্রী ও দলীয় এমপির স্বজনের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই। তবু মন্ত্রীসহ দলের কয়েকজন এমপির স্বজন নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগে শুধু ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক এবং নাটোরের সিংড়ার চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুল হাবীব রুবেল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে মাজহারুল ইসলাম সুজন এমপির দুই চাচা মোহাম্মদ আলী, সফিকুল ইসলাম ও ভাতিজা আলী আফসার রানা, নীলফামারীর ডিমলায় আফতাব উদ্দিন সরকার এমপির চাচাতো ভাই আনোয়ারুল হক সরকার ও ভাতিজা ফেরদৌস পারভেজ, বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে সাহাদারা মান্নান এমপির ছেলে সাখাওয়াত হোসেন সজল, সোনাতলায় এমপির ভাই মিনহাদুজ্জামান লিটন, পাবনার বেড়ায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর ভাই আবদুল বাতেন ও ভাতিজা আবুল কালাম সবুজ, কুষ্টিয়া সদরে মাহবুবউল-আলম হানিফের চাচাতো ভাই আতাউর রহমান আতা, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় আলী আজগর টগর এমপির ভাই আলী মুনসুর বাবু, পিরোজপুরের নাজিরপুরে শ ম রেজাউল করিম এমপির ভাই এস এম নুর ই আলম সিদ্দিকী, মাদারীপুর সদরে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান এমপির ছেলে আসিবুর রহমান খান ও চাচাতো ভাই পাভেলুর রহমান শফিক খান, নরসিংদীর পলাশে ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ এমপির শ্যালক শরীফুল হক, মৌলভীবাজারের বড়লেখায় প্রার্থী হয়েছেন শাহাব উদ্দিন এমপির ভাগনে সোয়েব আহমদ, নোয়াখালীর সুবর্ণচরে জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপির ছেলে আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরী, কক্সবাজারের মহেশখালীতে আশেক উল্লাহ রফিক এমপির চাচাতো ভাইয়ের ছেলে হাবিব উল্লাহ। আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলামের ভাতিজা আমিরুল ইসলাম, লাকসামে মন্ত্রীর শ্যালক মহব্বত আলী এবং বরিশালের বাকেরগঞ্জে মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ মল্লিক এমপির ভাই সালাম মল্লিক। এ পরিস্থিতিতে স্বজনকে প্রার্থী করানো মন্ত্রী ও দলীয় এমপির তালিকা তৈরি করা হয়। এর মধ্যে আগামী ৮ মে অনুষ্ঠেয় প্রথম ধাপের ১৫০ উপজেলা নির্বাচনে যেসব মন্ত্রী ও এমপির স্বজন প্রার্থী হয়েছেন, তাদের তালিকা চূড়ান্ত করেন দলের আট সাংগঠনিক সম্পাদক। দলের নির্দেশ না মানায় বহিষ্কারের নিয়ম রয়েছে। তবে নানাভাবেই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এ ক্ষেত্রে দলের সংশ্লিষ্ট এমপি ও মন্ত্রীকে তিরষ্কার করার পাশাপাশি দলীয় পদ-পদবি কেড়ে নেওয়ার ব্যাপারে জোর আলোচনা রয়েছে। এমনকি সাংগঠনিক যোগ্যতা থাকার পরও তারা নতুন করে দলের পদ-পদবি নাও পেতে পারেন। সেই সঙ্গে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাওয়াটা তাদের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।  আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম জানান, মন্ত্রী ও দলের এমপির স্বজনের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই। আর সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অভিযুক্ত মন্ত্রী এবং দলীয় এমপিকে শোকজ করা হতে পারে। এ ছাড়া মন্ত্রী–সংসদ সদস্যরা যাতে উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে না পারেন, সে জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকেও নানাভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। আওয়ামী লীগের নেতারাও বিভিন্ন জেলায় প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছেন। দেশে এখন ৪৯৫টি উপজেলা রয়েছে। এবার চার ধাপে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫টিতে ভোট হবে, পরে মেয়াদোত্তীর্ণ হলে বাকিগুলোয় ভোটের আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৮ মে থেকে প্রথম পর্যায়ের ভোট শুরু হবে।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৭

প্রচারে বাধা: কাজীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ
নির্বাচনী প্রচারে বাধা প্রদান এবং প্রতিপক্ষের কর্মী সমর্থকদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী খলিলুর রহমান সিরাজীকে শোকজ করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে খলিল সিরাজীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে তাকে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রিটানিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, আনারস প্রতীকের প্রার্থী খলিলুর রহমান সিরাজী তার কর্মী সমর্থকদের দিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে অপর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আবুল কালাম আজাদ (দোয়াত কলম) ও কাজীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলমের (ঘোড়া) নির্বাচনী প্রচারে বাধা প্রদান এবং তাদের কর্মী সমর্থকদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। যার ভিডিও ফুটেজসহ নির্বাচন অফিসে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ছাড়াও এ সংক্রান্ত বিষয়ে কাজীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছেন তারা। যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচনি আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৩, ১৮ ও ৩১ এর পরিপন্থী। এ অবস্থায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে খলিলুর রহমান সিরাজীর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এই মর্মে পত্র প্রাপ্তির তিনদিনের মধ্যে তাকে লিখিতভাবে অবহিত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে শহরের একটি হোটেলে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান প্রার্থী খলিলুর রহমান সিরাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন দুই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ এবং কাজীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, “চেয়ারম্যান প্রার্থী খলিলুর রহমান সিরাজী ও তার লোকজন প্রতিটি ইউনিয়নে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছেন। কর্মী-সমর্থকরা প্রচারে নামলেই তাদের মারধর করছে, পোস্টার ও লিফলেট কেড়ে নিচ্ছে ও ছিঁড়ে ফেলছে এবং নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য হুমকি দিচ্ছে।’’ এ নিয়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী থানায় চারটি জিডি করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে। প্রতিনিয়ত হুমকি-ধামকির কারণে ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন এই দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী।  তাদের অভিযোগ, “প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত কোনো নির্দেশনাই খলিলুর রহমান সিরাজী মানছেন না। তিনি প্রভাব বিস্তার করে মানুষের ভোটের অধিকার হরণের চেষ্টা করছেন।”  এ অবস্থায় সুষ্ঠু ভোট ও ভোটের পরিবেশ তৈরি করতে প্রধানমন্ত্রী, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন তারা। প্রসঙ্গত, প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে কাজীপুর উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এ উপজেলায় মোট তিনজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৪

উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির ৯ নেতাকে শোকজ
আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে দেড়শ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলায় প্রার্থী হওয়ায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নয় নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) পাঠিয়েছে দলটি। এনিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ভেতরে-বাইরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।   বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোতাহার হোসেন তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রূহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে প্রার্থী হওয়া নেতাদের এই শোকজপত্র পাঠানো হয়।   সেই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান বিএনপি নেতা মোতাহার হোসেন তালুকদার।     শোকজপ্রাপ্ত নেতারা হলেন- হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ, ঢাকা আইনজীবী ফোরামের সদস্য অ্যাডভোকেট হাসনাত তারেক, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উত্তর জেলা মহিলা দলের সহসভাপতি মনোয়ারা বেগম ময়না, সহকুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক সুমী বেগম এবং সাবেক ছাত্রদল নেতা এবিএম কাজল সরকার, ধোবাউড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শামছুর রশীদ মজনু, উপজেলা বিএনপির সদস্য ফরিদ আল রাজী কমল, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম খান এবং ফুলপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. এমরান হোসেন পল্লব।   নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বিএনপি নেতাকর্মী জানান, বছরের পর বছর ধরে দলের সাংগঠনিক কাঠামো না থাকায় ভেঙে পড়েছে দলীয় শৃঙ্খলা। এ কারণে অনেকেই দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এতে দল এবং তৃণমূল চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।             প্রার্থীতার বিষয়ে জানতে চাইলে হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ বলেন, আমার দল বিএনপি নির্বাচনে যাচ্ছে না। কিন্তু আমি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনের মাঠে আছি এবং শেষ পর্যন্ত থাকব। এর আগেও আমি বিগত পৌর নির্বাচনে দলের পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রার্থী হয়েছিলাম।   এ প্রসঙ্গে ধোবাউড়া উপজেলার প্রার্থী শামছুর রশীদ মজনু বলেন, কেউ বলছে বিএনপি নির্বাচনে যাবে, কেউ বলছে যাবে না আবার কেউ বলছে এটা দলের কৌশল। কিন্তু আমি দলের ধার ধারি না। দল করে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, জেল খেটেছি, মামলা-হামলার শিকার হয়েছি। কিন্তু বর্তমানে দলের মধ্যে আমার মতো অনেকের কোনো মূল্যায়ন নেই, এখন দল বিক্রি করে খাচ্ছে অনেকেই। তাই আমি নির্বাচন করছি, এ কারণে দল থেকে বহিষ্কার হলেও আমার কোনো আক্ষেপ নেই কারণ দলের বহিষ্কার আদেশটিকেও আমি একটি ‘পদ বা পদবি’ মনে করি। আমি দুবার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে টানা ১৪ বছর চেয়ারম্যান ছিলাম। এখন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। জনগণ আমার পাশে আছে, আশা করি নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমি শতভাগ বিজয়ী হব।   তবে বিএনপি নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তকে কৌশল হিসাবে দেখছেন ফুলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বিএনপি নেতা মো. এমরান হোসেন পল্লব। তিনি বলেন, নির্বাচনে না যাওয়ার বিষয়ে বিএনপির সিদ্ধান্ত সঠিক কিন্তু আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। কারণ আমরা প্রার্থী না হলে উপজেলা পরিষদের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো আওয়ামী লীগের হাতে চলে যাবে। আশা করি দল আমাকে বহিষ্কার করবে না, আর যদি করে তখন দেখা যাবে।  
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৬

উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যার পদে প্রার্থী হওয়ায় উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুর রহমান তুষার ও জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মোশাররফ হোসেন মুছাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।  সোমবার (২২ এপ্রিল) উপজেলার লেছড়াগঞ্জ বাজার থেকে পাটগ্রাম পর্যন্ত এ মিছিল করেন তারা। এ সময় তারা তুষার ও মুছাকে আওয়ামী লীগের দালাল, বেইমান, সুদখোর, ভূমিদস্যু ও বিশ্বাসঘাতক বলে আখ্যায়িত করে দল থেকে বহিষ্কার দাবি করে। মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হরিরামপুর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সামসুল আলম মিশুক, হরিরামপুর থানা যুবদল এর যুগ্ম সম্পাদক মৃধা মো. শাহীন, উপজেলা যুদবলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জুবায়ের ওমর, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি লিংকন, উপজেলা যুবদলের সদস্য মো ইকবাল হোসেনসহ অনেকে।  মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী তুষার ও মুছার বিগত দিনের নানা অপকর্মের কথা তুলে ধরেন।  উপস্থিত একজন বিএনপি কর্মী প্রতিবেদককে বলেন, 'বিএনপি দলগতভাবে গত জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি এ উপজেলা নির্বাচনো বয়কট করেছে। তুষার ও মুছা সে নির্দেশনা উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভোটে দাঁড়িয়েছে। আমরা তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের এজেন্ট তুষারের বহিষ্কা চাই।' এ সময়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের পাশাপাশি উপজেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, শ্রমিক দলের দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।  উল্লেখ্য, জাহিদুর রহমান তুষার বর্তমানে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক এবং ছাত্রদলের সাবেক একাধিক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এবার দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে নির্বাচন করায় নিজ দলের প্রতিবাদের মুখে পড়লেন তুষার। হরিরামপুর উপজেলায় ১ম পর্যায়ে ৮ মে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।  
২২ এপ্রিল ২০২৪, ২২:০১

ময়মনসিংহে ৩ উপজেলায় বিএনপির ৮ প্রার্থী  
আগামী ৮ মে সারাদেশে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে দেড় শ’ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলার তিনটি (হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর) উপজেলা পরিষদ রয়েছে। চলমান এই তিনটি উপজেলার নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ছাড়াও বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৮ জন নেতা প্রার্থী হয়েছেন। এ নিয়ে দলটির ভেতরে-বাইরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।   স্থানীয় বিএনপি সূত্র জানায়, বর্তমান সরকারের অধীনে চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়ে বিএনপি দলীয়ভাবে কঠোর সিদ্ধান্ত নিলেও ময়মনসিংহের তিনটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী হয়েছে হালুয়াঘাট উপজেলায়। এতে অন্যান্য প্রার্থীদের সঙ্গে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের পাঁচজন নেতা মনোনয়ন দাখিল করে প্রচার-প্রচারণায় নির্বাচনের মাঠে সরব রয়েছেন। তারা হলেন- চেয়ারম্যান পদে উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ ও ঢাকা আইনজীবী ফোরামের সদস্য অ্যাডভোকেট হাসনাত তারেক, ভাইস চেয়ারম্যান পদে উত্তর জেলা মহিলাদলের সহসভাপতি মনোয়ারা বেগম ময়না, সহকুটির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক সুমী বেগম এবং সাবেক ছাত্রদলনেতা এ বি এম কাজল সরকার। একই সঙ্গে ধোবাউড়া উপজেলায় মনোনয়ন দাখিল করেছেন দুজন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শামছুর রশীদ মজনু এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম খান প্রার্থী হয়েছেন। এ ছাড়াও ফুলপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. এমরান হোসেন পল্লব।   তবে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা প্রার্থী হওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তাদের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে দলের সাংগঠনিক কাঠামো না থাকায় ভেঙে পড়েছে দলীয় শৃঙ্খলা। এতে দল এবং তৃণমূল চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রার্থিতার বিষয়ে জানতে চাইলে হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ বলেন, আমার দল বিএনপি নির্বাচনে যাচ্ছে না কিন্তু আমি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনের মাঠে আছি এবং শেষ পর্যন্ত থাকব। এতে দলের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। এর আগেও আমি বিগত পৌর নির্বাচনে দলের পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রার্থী হয়েছিলাম। এ প্রসঙ্গে ধোবাউড়া উপজেলার প্রার্থী শামছুর রশীদ মজনু বলেন, কেউ বলছে বিএনপি নির্বাচনে যাবে, কেউ বলছে যাবে না আবার কেউ বলছে এটা দলের কৌশল। কিন্তু আমি দলের ধারধারি না। দল করে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, জেল খেটেছি, মামলা-হামলার শিকার হয়েছি। কিন্তু বর্তমানে দলের মধ্যে আমার মতো অনেকের কোনো মূল্যায়ন নেই। এখন দল বিক্রি করে খাচ্ছে অনেকেই। তাই আমি নির্বাচন করছি, এ কারণে দল থেকে বহিষ্কার হলেও আমার কোনো আক্ষেপ নেই। কারণ দলের বহিষ্কার আদেশটিকেও আমি একটি ‘পদ বা পদবী’ মনে করি। আমি দু’বার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে টানা ১৪ বছর চেয়ারম্যান ছিলাম। এখন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। জনগণ আমার পাশে আছে। আশা করি নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমি শতভাগ বিজয়ী হবো।           তবে বিএনপি নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তকে কৌশল হিসাবে দেখছেন ফুলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বিএনপি নেতা এমরান হোসেন পল্লব। তিনি বলেন, নির্বাচনে না যাওয়ার বিষয়ে বিএনপির সিদ্ধান্ত সঠিক কিন্তু আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। কারণ, আমরা প্রার্থী না হলে উপজেলা পরিষদের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো আওয়ামী লীগের হাতে চলে যাবে। আশা করি, দল আমাকে বহিষ্কার করবে না। আর যদি করে তখন দেখা যাবে।  এই বিষয়ে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোতাহার হোসেন তালুকদার বলেন, উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ডাক দেওয়ায় ইতোমধ্যে বিএনপির অনেক প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে এসেছেন। তারপরও এখনও অনেকে নির্বাচনে আছেন। আগামী ২২ এপ্রিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করবো। এরপরও তারা যদি নির্বাচন থেকে সরে না আসে তাহলে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদেরকে আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।   জানা যায়, ময়মনসিংহের তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ৩৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করছেন। এর মধ্যে দুজনের মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় বর্তমানে ৩৫ জন প্রার্থী বহাল আছেন। এর মধ্যে ধোবাউড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৫ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) পদে ৩ জন। হালুয়াঘাটে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৫ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) পদে ৪ জন এবং ফুলপুরে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৩ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) পদে দু’জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম। প্রসঙ্গত, তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাই হয়েছে গত ১৭ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তির সময় ছিল ১৮ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। সেই সঙ্গে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ ২২ এপ্রিল।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২১

উপজেলা নির্বাচন / নির্দেশনা অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন যেসব মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজন ও ছেলেমেয়েরা প্রার্থী হতে পারবেন না-এই নির্দেশনা খোদ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার। দলের হাইকমান্ড থেকে এমন নির্দেশনা দিলেও তার তোয়াক্কা করছেন না নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনরা। এমপি-মন্ত্রীর স্বজন হয়েও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ব্যক্তিরা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করার সিদ্ধান্তে এখনো অটল। এসব নিয়ে গা-ছাড়া ভাব অনেক এমপি-মন্ত্রীরও।  অনেকেই বলছেন, অতীতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এমপি-মন্ত্রীর আত্মীয়স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে অনীহা দেখা যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাসহ বর্তমান এমপি-মন্ত্রী ও সাবেক মন্ত্রীদের মধ্যে কমপক্ষে ২৫ জনের স্বজন এখনো নির্বাচনি মাঠে রয়েছেন। বরিশালের আগৈলঝাড়া ও গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য আওয়ামী লীগের অন্তত ১০ জন নেতা প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ছয় মাস ধরে তারা গণসংযোগ করেছেন। কিন্তু গত ৩০ মার্চ রাতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ষীয়ান নেতা ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ আগৈলঝাড়ায় নিজের ছেলে সেরনিয়াবাত আশিক আবদুল্লাহ এবং গৌরনদীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মো. হারিছুর রহমানকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। ফলে অন্য প্রার্থীরা চুপ হয়ে গেছেন। এই দুই উপজেলাতে কোনো ভোটের আমেজ নেই। আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ আগৈলঝাড়া ও গৌরনদী আসনের (বরিশাল-১) এমপি। এ দুই উপজেলায় ভোট হবে তৃতীয় ধাপে। এছাড়া প্রথম ধাপের নির্বাচনে নোয়াখালীতে তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন তিন এমপির আত্মীয়রা। নোয়াখালী-২ আসনের এমপি মোর্শেদ আলমের ছেলে সাইফুল আলম বিপুকে প্রার্থী করা হয়েছে তার নির্বাচনি এলাকা সেনবাগ উপজেলায়। নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে সাবাব চৌধুরী চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন সুবর্ণচর উপজেলায়। এছাড়া নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের এমপি ও হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী ও স্ত্রী আয়েশা ফেরদৌস প্রথম ধাপে ৮ মের নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন এবং তাদের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।  এদিকে নরসিংদী-২ আসনের এমপি আনোয়ার আশরাফ খানের শ্যালক মো. শরিফুল হক নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় এবং প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবীব রুবেল সিংড়া উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। মাগুরা-২ আসনের এমপি বীরেন শিকদারের ছোট ভাই বিমল শিকদার, বগুড়া-১ আসনের এমপি সাহাদারা মান্নানের ছেলে মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন ও ছোট ভাই মিনহাদুজ্জামান ওরফে লিটন ভিন্ন ভিন্ন উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়া  সুনামগঞ্জ-৩ আসনের এমপি সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নানের ছেলে শাহাদাত মান্নান সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায়, সুনামগঞ্জের সাবেক সংরক্ষিত আসনের এমপি ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুন্নাহার বেগমের ছেলে ফজলে রাব্বি, মানিকগঞ্জ-৩ আসনের এমপি সাবেক মন্ত্রী জাহিদ মালেকের ফুপাতো ভাই ইসরাফিল হোসেন সদর উপজেলায়, কুষ্টিয়া-৩ আসনের এমপি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুব-উল আলম হানিফের চাচাতো ভাই আতাউর রহমান কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী, পিরোজপুর-১ আসনের এমপি শ ম রেজাউল করিমের ছোট ভাই নূর-ই আলম নাজিরপুর উপজেলায়, শরীয়তপুর-১ আসনের এমপি ইকবাল হোসেন অপুর চাচাতো ভাই বিল্লাল হোসেন নিপু সদর উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।  পাবনা-৩ আসনের এমপি মো. মকবুল হোসেনের বড় ছেলে রাসেল ভাঙ্গুড়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন পৌরসভার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে।  এদিকে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে এমপি মাজহারুল ইসলাম সুজনের দুই চাচাসহ তিনজন স্বজন প্রার্থী হয়েছেন। মৌলভীবাজার-১ আসনের এমপি ও সাবেক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের ভাগ্নে শোয়েব আহমদ বড়লেখা উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন।  বরিশাল-৬ আসনের এমপি আবদুল হাফিজ মল্লিকের ভাই বাকেরগঞ্জ উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক তাঁর নির্বাচনি এলাকা টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেন খালাতো ভাই হারুনুর রশিদ হিরাকে। আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মাদারীপুর-১ আসনের এমপি শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খানকে সদর উপজেলায় প্রার্থী করা হয়েছে। দলের সভানেত্রীর নির্দেশনা যেসব মন্ত্রী-এমপি মানছেন না, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা প্রার্থী হতে চান, তাদেরও নির্বাচনি প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছেন তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।’
২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়