• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
উপজেলা নির্বাচন : দ্বিতীয় ধাপে বিনা ভোটে নির্বাচিত হলেন যারা
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ২১ জন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২ মে) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। এ ধাপে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীরা প্রতীক পেয়ে আগামী ১৯ মে পর্যন্ত মোট ১৮ দিন প্রচারণা করবেন। নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- কুমিল্লা সদরে মো. আমিনুল ইসলাম, জামালপুরের ইসলামপুরের মো. আ. ছালাম, ফরিদপুরের নাগরকান্দার মো. ওয়াহিদুজ্জামান, চট্টগ্রামের রাউজানের এ কে এম এহছানুল হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রামের রাংগুনিয়ায় আবুল কাশেম চিশতী, সাভারে মঞ্জুরুল আলম রাজীব ও মৌলভীবাজার সদরে মো. কামাল হোসেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যানরা হলেন- রাজশাহীর বাগমারায় মো. শহীদুল ইসলাম, রাঙ্গামাটির রাজস্থালীর শ্রী হারাধন কর্মকার, কুমিল্লা আদর্শ সদরে আহাম্মেদ নিয়াজ, চট্টগ্রামের রাউজানে নুর মোহাম্মদ, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের মো. রফিকুল ইসলাম, রুপগঞ্জে মো. মিজানুর রহমান ও চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সুমন। নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানরা হলেন- রাঙ্গামাটির রাজস্থালীর গৌতমী খিয়াং, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সাঈদা সুলতানা, কুমিল্লা আদর্শ সদরে হোসনে আরা বেগম, চট্টগ্রামের রাউজানে রুবিনা ইয়াছমিন রুজি, চট্টগ্রামের রাংগুনিয়ায় হোসনে আরা বেগম, নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজারে শাহিদা মোশারফ ও রুপগঞ্জের ফেরদৌসী আক্তার। দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলা ভোটে মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই, আপিল শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন ১ হাজার ৮২৮জন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৪ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫২৯ জন প্রার্থী রয়েছেন। এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত রয়েছেন। নির্বাচন কমিশন এবার চার ধাপে উপজেলা নির্বাচন করছে। প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮মে। তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৬ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।
০২ মে ২০২৪, ২৩:৩৯

হিলিতে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত ইউসুফ আলী
দিনাজপুরের হাকিমপুর (হিলি) উপজেলায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২৪ উদযাপন কমিটি শিক্ষা ক্ষেত্রে বাৎসরিক কর্ম মূল্যায়নের ভিত্তিতে উপজেলা পর্যায়ে (স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা) শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত করা হয়েছে। স্কুল পর্যায়ে টানা দ্বিতীয় বারের মত শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন পাউশগাড়া স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক ইউসুফ আলী। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২৩ উৎযাপন কমিটির বিচারকরা উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে বাৎসরিক কর্ম মূল্যায়নের ভিত্তিতে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাকিমপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আহমদ আহসান হাবিব। হাকিমপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আহমদ আহসান হাবিব বলেন, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২৪ উৎযাপন কমিটির বিচারকরা শিক্ষা ক্ষেত্রে বাৎসরিক কর্ম মূল্যায়নের ভিত্তিতে (স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা) উপজেলা পর্যায়ে মাধ্যমিক স্কুল থেকে ইউসুফ আলীকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত করেছেন। এ সময় সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত রায়, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আহমদ আহসান হাবিব, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার হারুন অর রশিদ, দক্ষিণ বাসুদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল হক টুকুসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।   
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪৭

মাইজপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন সফুরা খাতুন
নড়াইলের সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে সফুরা খাতুন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৯টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ৫ হাজার ২২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জিল্লুর রহমান মোল্যা টেবিল ফ্যান প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৭৮০ ভোট।  নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত সদর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা শামীম আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান জসিম মোল্যার অকাল মৃত্যুতে পদটি শূন্য হয়। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সফুরা খাতুন প্রয়াত চেয়ারম্যান জসিম মোল্যার স্ত্রী। ইউনিয়নটিতে মোট ভোটার ১৯ হাজার ৭৬৯ জন, পুরুষ ভোটার ৯ হাজার ৯২৪ ও মহিলা ভোটার ৯ হাজার ৮৪৫ জন। এর মধ্যে ১১ হাজার ২৭১ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এরমধ্যে বাতিল হয় ১০১ ভোট। ভোট প্রদানের হার ৫৭ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। এ নির্বাচনে প্রয়াত চেয়ারম্যানের স্ত্রী সফুরা খাতুনসহ মোট ছয়জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। সফুরা খাতুন (আনারস), জিল্লুর রহমান মোল্যা (টেবিল ফ্যান), শহিদুর রহমান ফরাজী (চশমা), সাফায়েত কবির (মোটরসাইকেল), মুকুল শরীফ (ঘোড়া) ও জিল্লুর রহমান (অটোরিকশা) প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন।   
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৯

কাটাখালী পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হলেন রিতু 
রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভায় মেয়র পদে উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে প্রথম নারী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন রাবেয়া সুলতানা মিতু। হ্যাঙ্গার প্রতীকে নিয়ে তার প্রাপ্ত ভোট ৬ হাজার ৩০৮। রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ফলাফল ঘোষণা করেন অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার আজাদুল হেলাল। তিনি বলেন, রাবেয়া সুলতানা মিতুর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু শামা নারিকেল গাছ প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৮৭টি। মিজানুর রহমান চামচ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৯১৭, অধ্যক্ষ জহুরুল ইসলাম রিপন পেয়েছেন মোবাইল মার্কা প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৩৩৯ ও রেল ইঞ্জিন প্রতীক নিয়ে মোতাহার হোসেন পেয়েছেন ১ হাজার ৮৮ ভোট। এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হয়। কেন্দ্রগুলোতে নারী ভোটারদের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্বাচনে ৯টি কেন্দ্রের ৬২ কক্ষে ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পৌর এলাকাটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৫৪১ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৭৭৬ জন এবং পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ৮৮৬ জন। ভোটে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আর ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ১৫ হাজার ৬৫০ জন। রিটার্নিং অফিসার জানান, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ২৫টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। নির্বাচনে ৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট, তিন প্লাটুন বিজিবি এবং র‌্যাব-পুলিশ ও আনসারসহ বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী মাঠে ছিলেন। ইভিএম পদ্ধতিতে স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট দিতে পেরে খুশি ভোটাররা। পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র আব্বাস আলি বরখাস্ত হলে সেই শূন্য পদে উপনির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হলেন তারই স্ত্রী। বিপুল ভোটে নির্বাচিত করায় পৌরবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পৌর এলাকার সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করার প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেছেন রাবেয়া সুলতানা মিতু।  
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৩

উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন যারা
আগামী ৮ মে  প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।  প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬টিসহ মোট ১ হাজার ৮৯১টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। এরমধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় তাদের মধ্যে ৭ জন চেয়ারম্যান, ৯ জন ভাইস চেয়ারম্যান, ১০ জন নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ইসি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা হলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান, দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান, গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান, পাবনার বেড়া উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান, নাটোরের সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান, কুষ্টিয়া সদরের নারী ভাইস চেয়ারম্যান, মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান, কক্সবাজার সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ও রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিনাভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া বাগেরহাট সদর উপজেলার তিনটি পদ, মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার তিনটি পদ, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার তিনটি পদ ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলার তিনটি পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৩ মার্চ প্রথম ধাপের ১৫২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে তফসিল ঘোষণা করে ইসি। তবে পরে দুটি উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ১৫ এপ্রিল, যাচাই-বাছাই ১৭ এপ্রিল এবং প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ এপ্রিল। অন্যদিকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২৩ এপ্রিল। আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।   
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১৫

উপজেলা নির্বাচন / বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন তারা
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে সারাদেশের ১৫০টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) থেকে প্রচারে নামতে পারবেন প্রার্থীরা। সোমবার (২২ এপ্রিল) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। জানা গেছে, মাদারীপুরের শিবচর, নোয়াখালীর হাতিয়া, মুন্সীগঞ্জ ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন করে প্রার্থী থাকায় তিনজনই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে। সোমবার (২২ এপ্রিল) তিন পদে অন্য সব প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিন প্রার্থী বিজয়ের পথে রয়েছেন। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মো. সেলিম মিয়া ও ফাহিমা আক্তার নামে দুইজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এদের মধ্যে ফাহিমা আক্তার সোমবার (২২ এপ্রিল) প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএম আতাউর রহমান (আতাহার) ও মো. মনিরুজ্জামান মনির মনোনয়নপত্র দালিখ করলেও মো. মনিরুজ্জামান মনির প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। ফলে বিএম আতাউর রহমান (আতাহার) একক প্রার্থী হওয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ের পথে। একইভাবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আয়শা সিদ্দিকা ও শিফাতুন হক অহনা দুইজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও শিফাতুন হক অহনা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। ফলে এই পদেও আয়শা সিদ্দিকা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আহমেদ আলী বলেন, শেষ দিনে শিবচর উপজেলায় কয়েকজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। যে কারণে তিন পদে তিন জন প্রার্থী থাকায় ভোটগ্রহণ হবে না। তিনজনই বিজয়ের পথে। তবে এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া না গেলেও তারাই মূলত নির্বাচিত। এদিকে এদিকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় এভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিন প্রার্থীর জয়কে ‘সাজানো নাটক’ বলছেন স্থানীয় ভোটাররা। সোমবার (২২ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন প্রতিদ্বন্দ্বী ৩ প্রার্থীর হঠাৎ সরে যাওয়ায় এবং ভোটদান থেকে বঞ্চিত হওয়ায় আক্ষেপ করেছেন স্থানীয়রা। তাদের মতে, পাতানো নির্বাচন থেকে ঘরের তিন প্রার্থী সরে দাঁড়ানোয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে না শিবচরে। এমন পাতানো নির্বাচন থেকে প্রার্থীদের সরে আসতে হবে। এতে জনগণের সঙ্গে প্রার্থীর সম্পর্ক ও জবাবদিহিতার জায়গা নষ্ট হচ্ছে। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তারা হলেন-স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী, স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও জাতীয় পার্টির নেতা মুশফিকুর রহমান। সোমবার (২২ এপ্রিল) আশিক আলী ছাড়া বাকি দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। হাতিয়া উপজেলা পরিষদের বাকি দুটি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের বিষয়ে মুশফিকুর রহমান বলেন, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। ফলে তার পক্ষে মাঠে দৌড়ঝাঁপ করে নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। তাকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরেও যেতে হবে। তাই তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন সোমবার (২২ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ মজুমদার। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ও পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার ও উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম চৌধুরী। ভাইস চেয়ারম্যান পদের চারজনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ শফিকুল হোসেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ইকরামুল করিম মজুমদার, নজরুল ইসলাম ও আবদুল রসুল মজুমদার। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেত্রী শামসুন নাহার পাপিয়া। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন নিলুফা ইয়াসমিন। এদিকে মুন্সীগঞ্জ সদরে মনোনয়ন দাখিলকারী চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের তিন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আনিস উজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজমুল হাসান সোহেল এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসিনা গাজী ছাড়া আর কোনো প্রার্থী নেই। যদিও ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আরও একজন করে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন কিন্তু তারা পরে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বশির আহমেদ। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী ছিলেন গতবারের উপজেলা চেয়ারম্যান আনিস উজ্জামান। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই জন করে প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করলেও পরবর্তীতে একজন ভাইস চেয়ারম্যান ও অপর একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আর কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় তারা নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। 
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫১

মতিঝিল আইডিয়ালের গভর্নিং বডির সদস্য নির্বাচিত মহি উদ্দিন
মহি উদ্দিন (মাহি)। গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার হাইলজোর গ্রামে। পার্শ্ববর্তী হাইলজোর স্কুল ও কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাঠ শেষ করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাংলা বিভাগ থেকে অনার্স-মাস্টার্স শেষে ২০১০ সালে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পড়ান বাংলা বিষয়ে। ইংরেজিতেও সমান দক্ষ তিনি। তার মেধা, দক্ষতা, আন্তরিকতা ও পরোপকারী কাজের মাধ্যমে অল্প সময়ে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবক মহলে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন মহি উদ্দিন।   শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হয় মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির ২০২৪ সেশনের নির্বাচন। নির্বাচনে অংশ নিয়ে শিক্ষকদের ভোটে তিনি বিপুল ভোটে শিক্ষক প্রতিনিধি (স্কুল শাখা) নির্বাচিত হন। তার এই বিজয়ে স্কুল, পরিবার ও বন্ধু মহলে আনন্দের ধুম পড়েছে। সবাই তাকে মোবাইল ফোন ও মেসেঞ্জারে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। বিজয়ের পর রাতেই তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, এই বিজয় আইডিয়ালের শিক্ষক বৃন্দের।’ মহি উদ্দিন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, এই বিজয় আমি আমার শিক্ষক সহকর্মীদের উৎসর্গ করলাম, যারা আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। সবার কাছে দোয়া চাই আমি যেন আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারি। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমি কাজ করতে চাই। আমি নির্বাচনের আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তা বাস্তবায়নের জন্য যথাসাধ্য কাজ করে যাব। এ জন্য চাই সবার আন্তরিক সহযোগিতা। মহি উদ্দিন দুই সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকায় বসবাস করেন। মহি উদ্দিনের বাবা মোমতাজ উদ্দীন একজন কৃষক ও ধর্মপরায়ণ মানুষ। মা মমতাজ পারভীন গৃহিণী। চার ভাইবোনের মধ্যে মহি উদ্দিন সবার বড়।      নির্বাচনের অন্যান্যা ফলাফল দাতা সদস্য পদে কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল; সাধারণ অভিভাবক সদস্য (উচ্চ মাধ্যমিক স্তর) পদে অধ্যাপক মো. আমজাদ হোসেন ও মো. শাখাওয়াৎ হোসেন; সাধারণ অভিভাবক সদস্য (মাধ্যমিক স্তর) পদে শিব্বির আহমেদ ও মোহাম্মদ আলী, সাধারণ অভিভাবক সদস্য (প্রাথমিক স্তর) পদে মো. শাহাদাৎ ঢালী, সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচন করছেন ফাহমিদা আক্তার নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া সাধারণ শিক্ষক সদস্য (কলেজ শাখা) পদে মোহাম্মদ ফেরদাউস এবং সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন উম্মে ফাতিমা। জানা গেছে, চূড়ান্ত বৈধ প্রার্থী তালিকায় ৩৩ জন অভিভাবক, শিক্ষক ও দাতা সদস্য প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে সাধারণ অভিভাবক সদস্য (মাধ্যমিক স্তর) পদে সর্বোচ্চ ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া, দাতা সদস্য পদে দুইজন, অভিভাবক সদস্য পদে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৩ জন, প্রাথমিক স্তরে ৭ জন ও সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ প্রার্থী। কলেজ শাখার সাধারণ শিক্ষক সদস্য পদে দুইজন, স্কুল শাখার ৫ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক সদস্য হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২ জন শিক্ষক।  
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১০

উন্নয়ন করেছি বলেই সেনবাগবাসী আমাকে নির্বাচিত করেছে : মোরশেদ আলম
নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম এমপি বলেছেন, উন্নয়ন করেছি বলেই সেনবাগবাসী আমাকে তৃতীয়বারের মতো ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের হাজী আলী আকবর সড়ক উদ্বোধন শেষে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। গত নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন মোরশেদ আলম এমপি বলেন, যে ব্যক্তি জীবনে কোন দিন শেখ হাসিনার বাড়ির গেইটে যেতে পারে সে কীভাবে নৌকা পাওয়ার প্রত্যাশা করে। এটা একটি ধোঁকাবাজী আর মিথ্যা বুলি ছাড়া কিছুই নয়। ৫ থেকে ৬ জন  বিপথগামী লোক সেনবাগবাসীকে অনেক ধোঁকা দিয়েছে কিন্তু এবার তারা সফল হতে পারেনি। তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে সেনবাগের শিক্ষিত, ভদ্র, প্রকৃত আওয়ামী লীগের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে ফের নির্বাচিত করায় সকলকে ধন্যবাদ জানায়। তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে সেনবাগবাসী আমাকে ভোট দিয়েছে। আমি সেনবাগের এমপি হয়ে সেনবাগের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পাল্টে দিয়েছি, আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে গড়ে তুলেছি, দল এখন চাঙ্গা।   পথসভায় অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সিনিয়র জেলা জজ মোহাম্মদ আলী হায়দারের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি  হিসেবে সেনবাগ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম কবির, সেনবাগ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ স ম জাকারিয়া আল মামুন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন কমিশনারসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিতি ছিলেন।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৪

ডিইউজে দ্বিবার্ষিক নির্বাচন / যৌথভাবে সভাপতি নির্বাচিত তপু-সোহেল
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ সোমবার (১১ মার্চ)। এতে আগামী দুই বছরের জন্য সভাপতি পদে যৌথভাবে বিজয়ী হয়েছেন সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাজ্জাদ আলম খান তপু। আর সাধারণ সম্পাদক পদে আক্তার হোসেন বিজয়ী হয়েছেন। যৌথভাবে নির্বাচিত হওয়ায় লটারি হয়েছে তপু ও সোহেলের মধ্যে। এতে নির্ধারিত হয়েছে, প্রথম এক বছর ডিইউজের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সাজ্জাদ আলম খান তপু ও দ্বিতীয় বছর এই দায়িত্ব পালন করবেন সোহেল হায়দার চৌধুরী। দুই প্রার্থীর উপস্থিতিতেই সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ঘোষিত ফলাফলে সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাজ্জাদ আলম খান তপু দুজনই ৮১২ ভোট পেয়েছেন। তাদের সঙ্গে এ পদে আরও লড়েছিলেন আবদুল মজিদ, যিনি পেয়েছেন ১৭৭ ভোট। এছাড়া ৬৩৭ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে আক্তার হোসেন বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এ জিহাদুর রহমান জিহাদ পেয়েছেন ৫৯২ ভোট। এ পদে আরও লড়েছেন উম্মুল ওয়ারা সুইটি ও খায়রুল আলম। যথাক্রমে ২৬৫ ও ৩১৩ ভোট পেয়েছেন তারা দুজন। সোমবার (১১ মার্চ) রাতে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ইউএনবির সম্পাদক ফরিদ হোসেন এ ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ৭৪১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নজরুল ইসলাম মিঠু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আসলাম সানী পেয়েছেন ৫৮৬ ভোট। তাদের সঙ্গে এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আরও ছিলেন আশরাফুল ইসলাম ও হামিদ মোহাম্মদ জসিম। ৫২৩ ভোট পেয়ে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইব্রাহিম খলিল খোকন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাঁধন কুমার সরকার পেয়েছেন ৪৮৪ ভোট। তাদের সঙ্গে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মো. রেজাউর রহিম, রফিকুল ইসলাম সুজন ও সিদ্ধার্থ শঙ্কর ধর। যুগ্ম সম্পাদক পদে ৫১৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো. শাহজাহান মিঞা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আসাদুজ্জামান পেয়েছেন ৫১২ ভোট। এ পদে প্রার্থী হিসেবে আরও দাঁড়িয়েছিলেন এস এম সাইফ আলী, জাকির হোসেন ইমন, ফজলুল হক বাবু ও ফরিদ উদ্দিন সিদ্দিকী।  সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৯৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন গোলাম মুজতবা ধ্রুব। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাজু হামিদ পেয়েছেন ৪৮০ ভোট। এ পদে প্রার্থী হিসেবে আরও ছিলেন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।  এছাড়া দপ্তর সম্পাদক পদে জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ পদে সোহেলী চৌধুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মুহাম্মদ মামুন শেখ, আইনবিষয়ক সম্পাদক পদে আসাদুর রহমান, নারী বিষয়ক সম্পাদক পদে সুমি খান, কল্যাণ সম্পাদক পদে শাহজাহান স্বপন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে দুলাল খান বিজয়ী হয়েছেন। সকাল ৯টা থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে বিরতিহীনভাবে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। রাত সোয়া ৯টায় ভোটের ফল ঘোষণা করা হয়।  
১১ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৬

চাঁদপুরে উপনির্বাচনে মফিজুর রহমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ১ নম্বর রাজারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনে দোয়াত কলম প্রতীকে ৩ হাজার ১৬৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. মফিজুর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রফিকুল ইসলাম আনারস প্রতীক পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৭ ভোট। শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বেসরকারিভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও প্রিজাইডিং অফিসার ফারুক হোসাইন। এর আগে সকাল ৮টায় শুরু হয়ে একটানা ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। নির্বাচনে পুরুষের চাইতে নারী ভোটার সংখ্যা ছিল বেশি। ১১ জন প্রার্থী নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৪২৪ জন। বিগত নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে হলেও এবার নির্বাচন হয় ব্যালটে। এই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাদির মৃত্যুর পর চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়।  
১০ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়