• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হিলিতে তীব্র গরমে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
দিনাজপুরের হিলিতে গত কয়েক দিন থেকে বেড়েছে তাপমাত্রা, যার ফলে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ। সেই সঙ্গে হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন হাসপাতালে ৫ থেকে ১০ জন রোগী ডায়রিয়া রোগের চিকিৎসা নিতে আসছেন। এই জেলাতে ৩৭ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। জরুরি কাজ ছাড়া বাহিরে বের হচ্ছে না মানুষ। ফলে আয় কমেছে রিকশা, অটোচার্জার চালকদের।  রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে হিলির বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায় লোক সংখ্যা অনেকটাই কম। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে রিকশা, ভ্যান ও অটোচার্জার নিয়ে বসে বসে সময় পার করছেন চালকরা।  হিলি চারমাথা মোড়ে বসে থাকা কয়েকজন রিকশাচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দিনে তাদের ২০০ থেকে ২৫০ টাকা আয় করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। কারণ, সকাল থেকে ১০টা পর্যন্ত যাত্রী কিছুটা দেখা মিললেও দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত তেমন যাত্রী বা মানুষের দেখা মিলছে না। ফলে তাদের আয় অনেকটাই কমে গেছে। বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়াতে সামান্য আয় দিয়ে তারা সংসার চালাতে পারছেন না বলেও জানান। হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইলতুতমিশ আকন্দ বলেন, অতিরিক্ত গরম হওয়ার কারণে হিলিতে গত কয়েক দিনের তুলনায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ জন রোগী হাসপাতালে সেবা নিতে আসছেন। অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন আবার কেউ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছেন। এই গরমে ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পেতে হলে সবাইকে পচা-বাসি খাবার পরিহার করতে হবে।  দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, শনিবার দিনাজপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৬৬ শতাংশ। বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪ কিলোমিটার। 
২৩ ঘণ্টা আগে

প্রস্তুত হচ্ছে এশিয়ার সবচেয়ে বড় ঈদগাহ
আর কয়েক দিন বাদেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। সে উপলক্ষে ঈদ জামাতের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মিনার দিনাজপুর গোর-এ শহীদ ময়দান কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ। বর্তমানে চলছে রং করা, ধোয়ামোছা, মাঠে মাটি ভরাট ও মিনারে সংস্কারসহ আনুষঙ্গিক কাজ। সব ঠিক থাকলে ঈদের দিন সকাল ৯টায় এখানে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শামসুল হক কাসেমী। ইতোমধ্যে ঈদের নামাজে আগত মুসল্লিদের জন্য তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। মাঠের বিভিন্ন জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যবেক্ষণ টাওয়ার ও বিভিন্ন যানবাহনের গ্যারেজ। পাশাপাশি স্টেশন ক্লাব, সার্কিট হাউজ, শিশু একাডেমি ও জেলা গণগ্রন্থাগারেও থাকছে যানবাহন রাখার ব্যবস্থা। শুধু তাই নয়, প্রবেশের জন্য মাঠের চারপাশে তৈরি করা হচ্ছে মোট ১৯টি তোরণ। লাগানো হবে শতাধিক মাইক। একইসঙ্গে মুসল্লিদের জন্য মাঠে থাকছে ওজুখানা ও ভ্রাম্যমাণ টয়লেটের ব্যবস্থা। এ ছাড়া র‌্যাবের জন্য ওয়াচ টাওয়ার ও সাংবাদিকদের জন্য বিশেষ মাচা।  এ ছাড়া, নামাজ চলাকালে যদি বিদ্যুতের সমস্যা দেখা দিলে থাকছে জেনারেটরের ব্যবস্থা। পাশাপাশি থাকবে ঈদের দিন অন্যান্য উপজেলা থেকে বাস সার্ভিস এবং যেসব উপজেলার সঙ্গে ট্রেনের যোগাযোগ রয়েছে সেখানে থাকবে মুসল্লিদের জন্য দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও। এ ছাড়া থাকবে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থাও। যাতে করে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা যানবাহনগুলো শহরে প্রবেশ করতে ও বের হতে পারে সাবলীলভাবেই। সবমিলিয়ে জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার, উপজেলা, পৌরসভা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পাশাপাশি জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে চলছে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ; যা বর্তমানে শেষের দিকে।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়