• ঢাকা বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘সাপোর্ট করার মতো কেউ থাকলে আজকে এই মৃত্যুটা হইত না’
ভর্তি পরীক্ষায় প্রত্যাশামতো কোথাও ভর্তির সুযোগ না পেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন পিউ কর্মকার (১৮) নামের এক তরুণী। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাত সোয়া ৮ টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল তার লাশ উদ্ধার করেছে। জানা গেছে, রাজবাড়ী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিনোদপুর গ্রামের দুই নম্বর রেলগেট এলাকায় পিউ কর্মকারের বাড়ি। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে পিউ ছিলেন মেজ। তিনি রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু প্রত্যাশামতো কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পেয়ে অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। রাত সোয়া আটটার দিকে সোনাকান্দর ঘাট এলাকা থেকে পিউকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার আগে পিউ কর্মকার লিখেছেন, গুচ্ছ আমার শেষ ভরসা ছিল। জানিনা কবে রেজাল্ট দিবে। পরীক্ষাও মোটামুটি হয়েছিল একটা আশা ছিল কিন্তু আমার ভাগ্য সেই আশাটাও পূরণ করতে দিল না। ৫টা অপশন থাকে তার মধ্যে আমি বায়োলজি আর ইংরেজি এর বৃত্ত ভরাট করে ফেলেছিলাম ভুল করে আজকে সেটা দেখলাম। কিন্তু আমি উত্তর করেছিলাম বাংলার। আমার সব স্বপ্ন শেষ। একে একে ঢাবি, রাবি, জাবি থেকে একটু একটুর জন্য ধাক্কা খাই। জানি এটাও আমার ভাগ্যের জন্য চেষ্টা আমার কম ছিল না। সারাদিন রাত এক করে পড়তাম। বাবা মার অনেক স্বপ্ন ছিল আমাকে নিয়ে কিন্তু আমি কিচ্ছু দিতে পারি নাই। দাদার ইচ্ছা ছিল আমাকে ডাক্তার বানাবে। আমারও স্বপ্ন ছিল ছোট থেকেই যে ডাক্তার হবো। আমার ভাগ্য এতটাই খারাপ ছিল মেডিকেল এডমিশন এর প্রিপারেশন নেওয়াও শুরু করি কিন্তু মেডিকেলেও বসতে পারি না। এটা থেকেও বিশাল একটা ধাক্কা খাই। অনেক ভেঙে পড়েছিলাম তাও হাল ছাড়ি নাই। এই এডমিশন পিরিয়ডটা যে কতটা কষ্ট দিছে আমাকে।  তিনি আরও লিখেন, এই সব আর আমি নিতে পারতেছি না। আমি শুধু একটা আশ্রয় খুজতেছিলাম শেষ আশ্রয় এটাও শেষ হইল। অনেক মানুষ অনেক আত্মীয় এর অনেক কথা শোনা লাগছে। বাবার একটু ফিনানসিয়াল সমস্যা ছিল এ জন্য ঢাকা গিয়ে পড়তে হবে কেন। কিন্তু আমি ধৈর্য ধরে ছিলাম যে পারব। কিন্তু আমি আর পারলাম না। সারাটা দিন ঘরের মধ্যে একা একা বসে থাকি। মানুষের কতো ফ্রেন্ড কত কিছু কিন্তু আমি আমার পাশে কাউকে পাই নাই। সব থেকে প্রয়োজন ছিল যাকে, যাকে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ভাবতাম তাকেও আমি আমার পাশে পাই নাই। হইত আমাকে সাপোর্ট করার মতো কেউ থাকলে আজকে এই মৃত্যুটা আমার হইতো না। সেকেন্ড টাইমের প্রিপারেশন নেওয়ারও আমার কোনো মানসিক বা শারিরীক শক্তি নাই। আমার জীবনটা এখানেই থেমে গেলো। সুইসাইড নোটে লিখেছেন, মায়ের কাছে গিয়ে মাঝে মধ্যে কাঁদতাম মাও বুঝে নাই আমাকে। আমি একটা বোঝা সবার কাছে। আমার মৃত্যর জন্য আমার এই বড় বড় স্বপ্ন গুলোই দায়ী। আমি আমার বাবা, মার স্বপ্ন পূরণ করতে পারি নাই। আমাকে শেষ বারের মতো দেখতে চাইলে নদীর জলেই খুঁজো। আমার মৃত্যুটা এভাবেও চাই নাই ভালো থাইকো সবাই। আমি আমার এই জীবনটা আর নিতে পারছি না। আমারে মাফ করে দিও সবাই। এভাবে দম বন্ধ করে বাচতে পারতেছি না আর। রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তিনি। মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।  
৬ ঘণ্টা আগে

‌‘জবাবদিহিমূলক সরকার থাকলে মনে হয় প্রকৃতিও সদয় হবে’
জবাবদিহিমূলক সরকার থাকলে আমার মনে হয় প্রকৃতিও সদয় হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর তোপখানা রোডে এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আজ প্রকৃতি আমাদের সঙ্গে যে বৈরী আচরণ করছে, জবাবদিহিমূলক সরকার থাকলে আমার মনে হয় প্রকৃতিও সদয় হবে। এই সরকার বন উজাড় করে ফেলেছে, ধ্বংস করে ফেলেছে, এর কোনো জবাবদিহিতা নেই। গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে এই বন-জঙ্গল ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে। এই প্রকৃতিও আমাদের সঙ্গে আর বৈরী আচরণ করবে না।’ তিনি বলেন, ‘এটা জবাবদিহিমূলক সরকার না। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে জবাবদিহিমূলক সরকার গঠন করতে হবে। ফ্যাসিবাদ সরকার জবাবদিহি করে না। নির্বাচনকে তারা ভয় করে। নির্বাচন ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা এখন সবচেয়ে জরুরি কাজ।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এই দেশ যে কারণে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার থেকে যোজন যোজন দূরে চলে গেছে। বাংলাদেশ প্রধানত গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকারের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা এই দেশ অর্জন করেছিলাম। ভাবতে অবাক লাগে। তবে বাস্তবতা এটাই, দেশের মানুষের কোনো অধিকার নেই। দেশের জনগণ তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবে, তার প্রতিনিধি নির্বাচন করবে, সে অধিকার তাদের নেই।’ বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘ফরিদপুরে দুটি ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। একটি পরিবারের দুটি সন্তানকে হত্যা করেছে। ওই পরিবারকেই ধ্বংস করা হয়েছে। দেশে মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই মিলেমিশে থাকে। দেশে যদি কোনো দল মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানদের সম্মান করে, সেটা হলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। কেউ যদি মনে করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন নস্যাৎ করবে তাহলে তারা ভুল ভাবছে। এটি সম্ভব না। গণতন্ত্রের জন্য ৭১ সালে দেশে যুদ্ধ হয়েছে এবং আমরাই জয়ী হয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধর্মীয় ক্ষেত্রে, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, ভোটের ক্ষেত্রে- সব জায়গায় উপেক্ষিত। এত ভয়ঙ্ককর একটা পরিস্থিতির মধ্যে দেশকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন। এই কঠিন অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বিএনপির সহযোগী হয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।’
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৩

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব থাকলে মৃত্যু হতে পারে ইউরোপের : ম্যাক্রোঁ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বজায় থাকলে যেকোনো সময় ইউরোপের মৃত্যু হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। আর এজন্য ইউরোপকে শক্তিশালী করার দিকে দৃষ্টি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসার পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।     বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ফ্রান্সের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে এমন সতর্কবার্তা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।  সামরিক খাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ার ভয়ংকর পরিণতির কথা উল্লেখ করে ম্যাক্রোঁ বলেন, ইউরোপের মৃত্যু হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য আমরা প্রস্তুত নই এখনও। সামরিক, অর্থনৈতিক এবং অন্যান্য চাপ ইউরোপীয় ইউনিয়নকে দুর্বল করে দিতে পারে। তাই ইউরোপকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা শিল্প ছাড়া কোনো প্রতিরক্ষা নেই। আমরা গত কয়েক দশক ধরে এ খাতে অপর্যাপ্ত বিনিয়োগের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের আরও সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন করতে হবে। দ্রুত গতিতে উৎপাদন করতে হবে এবং আমাদের ইউরোপীয়ান হিসেবে উৎপাদন করতে হবে। ফরাসি এই প্রেসিডেন্ট অবশ্য গত কয়েক বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবমুক্ত হওয়ার জন্য বারবার তাগিদ দিয়ে আসছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নকে। সবশেষ বৃহস্পতিবারও তিনি বললেন, আমাদের দেখাতে হবে ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্রের আজ্ঞাবহ নয় এবং অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয় সেটি ইউরোপও জানে। ইউরোপের অনেক নেতাই একমত নন ম্যাক্রোঁর সঙ্গে। তাদের মতে, এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া তাদের কাছে আর কোনো বিকল্প নেই। কেউ কেউ আবার মনে করেন, ম্যাক্রোঁ ফ্রান্সের নিজস্ব শিল্প স্বার্থের বিষয়টির জন্য এমন সব কথা বলে থাকেন।  
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২০:২৮

‘আর্মড-গার্ড থাকলে জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটত না’
বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আল্লাহর ভেতরে আর্মড-গার্ড থাকলে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটত না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিট গ্রিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইউরোপে যখন কোনো জাহাজ যায় তখন আর্মড-গার্ড ভাড়া করে নিয়ে যায়। আমি বিষয়টি তদন্ত করেছি, তখন তাদের বক্তব্য ছিল যে, তারা প্রায় এক হাজার নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। যে কারণে আর্মড গার্ড ভাড়া করে নিয়ে যায়নি। ভাড়া করে নিয়ে গেলে এমন ঘটনা ঘটত না। যারা জলদস্যু তারাও খবর রাখে কোন জাহাজের মধ্যে আর্মড গার্ড আছে, কোন জাহাজের মধ্যে আর্মড গার্ড নেই। স্বস্তির বিষয় হচ্ছে আমাদের নাবিকদের আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘সোমালিয়ান জলদস্যুরা আমাদের নাবিকদের সুস্থ অবস্থায় মুক্তি দিয়েছে। নাবিকরা ইতোমধ্যে সোমালিয়া থেকে ১০০ নটিক্যাল মাইল দূরে চলে এসেছেন। ইউরোপিয়ান একটি জাহাজ তাদের গাইড করে নিয়ে আসছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাদের (অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার) দেশে হসপিটাল সেক্টরে ট্রেনিংয়ের জন্য আমাদের দেশের সহযোগিতা চায়। আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটাল বিভাগ আছে, সেই বিভাগের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইউনিভার্সিটির যদি সমঝোতা হয় তাহলে ছাত্ররা সেখানে যেতে পারবে। আমাদের ছাত্রদের জন্য যেন স্কলারশিপ দেওয়া হয় সেই আলোচনা করেছি। তারা আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে, বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীদের জন্য এয়ারপোর্ট এন্ট্রি ভিসা চালু করতে চায়, আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। পুরো বিষয়টি আগে পরীক্ষা করতে হবে।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশ থেকে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা ১৪০টি দেশে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য রপ্তানি করি। তাদের দেশেও যাতে আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের লেদার, সিরামিকস, গার্মেন্টস পণ্য আরও ব্যাপকভাবে যাতে রপ্তানি করতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫২

নিপুণের লজ্জা থাকলে অবৈধভাবে চেয়ারে বসত না : ডিপজল
নির্বাচনের আগে উনি (নিপুণ আক্তর) কী কী বলেছে, তা আপনাদের সবারই জানা। প্রধানমন্ত্রীকে আনবে, ছয়টি সিনেমা করবে কোনটাই হয়নি। এমন কী করেছে, দেখান তো। তবে কিছু কাজ করেছে ভোটার তালিকায় অর্ধেকের বেশি নম্বর রং এবং ভুল দিয়ে রেখেছে। ভুল নম্বর কেন উঠবে? ভুল দেওয়ার কারণ, আমরা যাতে কাউকে না পাই। আপনারা চেক করলেই প্রমাণ পাবেন। নির্বাচন হবে, জয়-পরাজয় আছে। ভালো কিছু করার জন্যই নির্বাচনে এসেছি। কিছু খাওয়ার জন্য আসিনি। জীবনভর দিয়েছি। এবারও যা লাগবে দেব। কিন্তু ভালো কিছু আশা করি। আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন ফরম ক্রয় করে কথাগুলো বলেছেন মুভি লর্ড খ্যাত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। এই অভিনেতা বলেন, টাকা দিয়ে ভোট কেনা বন্ধ করা উচিত। যারাই এই কাজ করেছে তাদের উচিৎ এটা বন্ধ করা। আমাদের মানুষ অস্বচ্ছল থাকতে পারে, টাকা চাইতে পারে কিন্তু এভাবে না। কিছু টাকায় বিক্রি যারা হন, তারা এই টাকা কয়দিন খাবেন? তারপর কী করবেন? আমার কথা টাকার দিকে না তাকিয়ে দেখেন সমিতির কীসে ভালো হবে। ফিল্মের উন্নয়ন নিয়ে ভাবুন।  সিনেমাপাড়ায় নির্বাচন না হওয়া কিংবা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে এমন গুঞ্জন শোনা যায়! বিষয়টি নিয়ে ডিপজল বলেন, যদি কোর্ট বন্ধ করে সেখানে আমি বলার কেউ না। কিন্তু কেন বন্ধ করবে? এটা নিয়ে কি কোনো মামলা হয়েছে? হয়নি। তাহলে কেন বন্ধ হবে? মামলা হবে, মামলা হলে উনারা (বিপরীত পরিষদ) এসে চেয়ারে বসবে? এত সহজ না! যোগ করে তিনি আরো বলেন, বসছে তো দুই বছর ফাও, মামলা চলমান সময়েও উনি (নিপুণ) সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসছে, এটা অবৈধ। কীভাবে বসে? উনি কী নির্বাচিত? সেই মামলা এখনও চলমান। যদি লজ্জা থাকত এটা করত না। মেয়েটা যাই বলেছে উল্টো পেয়েছি, আমি ভালো কিছু পাইনি, আশাও করি না। দোয়া করি সে ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক। নতুন সিনেমার কাজের বিষয়ে ডিপজল বলেন, আমি নিয়মিত সিনেমা প্রযোজনা করি। নির্বাচনের পর আরও সাত-আটটি সিনেমার কাজ শুরু করব। যেগুলো বিগ বাজেটের সিনেমা হবে, ভিন্ন দেশ থেকে অভিনয়শিল্পীরাও আসবে। নতুনত্ব কিছু চমক দেখাব। আপনারা পাশে থাকেন ভালো কিছু দেখতে পাবেন। আসছে ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল এবং মাহমুদ কলি ও নিপুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৬

ব্যাংকে যত টাকা থাকলে জাকাত দিতে হবে
জাকাত ইসলামের মৌলিক পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম একটি। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি বিষয়ের ওপর। এই কথার সাক্ষ্য দেওয়া যে আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং মোহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল, নামাজ প্রতিষ্ঠা করা, জাকাত আদায় করা, হজ পালন ও রমজান মাসে রোজা রাখা।’  জাকাত আদায়কে পবিত্র কোরআনে ‘মুমিন বান্দার সাফল্য’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, ‘অবশ্যই মুমিনরা সফল, যারা নামাজে বিনম্র থাকে, অনর্থক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকে, যারা জাকাত আদায় করে এবং নিজেদের লজ্জাস্থান সংযত রাখে (সুরা মুমিনুন, আয়াত : ১-৫)।’  পবিত্র কোরআনে জাকাত আদায়ের নির্দেশ দিয়ে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সালাত আদায় করো এবং জাকাত প্রদান করো। তোমরা যে উত্তম কাজ নিজেদের জন্য অগ্রে প্রেরণ করবে তা আল্লাহর কাছে পাবে। নিশ্চয়ই তোমরা যা করো, আল্লাহ তা দেখছেন। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১১০) এ ছাড়াও জাকাতের ফজিলত ও গুরুত্ববিষয়ক অসংখ্য আয়াত ও হাদিস রয়েছে। তাই আমাদের মধ্যে যাদের ওপর জাকাত ফরজ, তাদের যথাসময়ে তা আদায় করা অবশ্য কর্তব্য।  জাকাত না দিলে দুনিয়ায় বড় ক্ষতি ও আখেরাতে মহাশাস্তির কথা ইসলামে রয়েছে। বর্তমান সময়ে ব্যাংকের বিভিন্ন খাত রয়েছে, তার ওপর জাকাত আসবে কি না, তা নিয়ে অনেকে সন্দীহান থাকেন।  সেসবের সমাধান তুলে ধরা হলো:  প্রভিডেন্ট ফান্ড : সরকারি কর্মচারীদের বেতন থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন্য বাধ্যতামূলক যে পরিমাণ টাকা কেটে করে রাখা হয়, সে পরিমাণ অর্থ উত্তোলনের আগে কর্মচারীর মালিকানায় আসে না। তাই সরকারি প্রভিডেন্ট ফান্ডে অর্থ থাকাকালীন তার ওপর জাকাত দিতে হবে না। এ কারণে ওই ফান্ডের টাকা পাওয়ার পর বিগত বছরের জাকাতও দিতে হবে না। তবে যদি কর্মচারী ওই প্রভিডেন্ট ফান্ডের সঞ্চিত অর্থ অন্য কোনো ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে স্থানান্তর করিয়ে নেয়, সে ক্ষেত্রে ওই অর্থ স্বতন্ত্রভাবে বা অন্য জাকাতযোগ্য মালের সঙ্গে যোগ হয়ে নেসাব পরিমাণ হলে যথানিয়মে তার ওপর জাকাত ওয়াজিব হবে (আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/২৬০)। ব্যাংকে সঞ্চয়কৃত টাকা : কোনো ব্যক্তি সঞ্চয়ের জন্য যদি ব্যাংকে টাকা জমা রাখে, তাহলে ঋণমুক্ত অবস্থায় যেদিন তার জমাকৃত টাকা নেসাব পরিমাণ হবে, সেদিন থেকে এক বছর পূর্ণ হলে ওই টাকার ওপর জাকাত দিতে হবে। (ফতোয়ায়ে আলমগিরি : ১/২৭০)। বীমা কোম্পানিতে জমাকৃত টাকা : বীমায় যে পরিমাণের টাকা কাজে লাগানো হয়েছে, তার ওপর জাকাত ওয়াজিব। প্রতিবছর জাকাত আদায় করার সময় নিজ সম্পদের হিসাব করতে হবে। (ফতোয়ায়ে উসমানি : ২/৩৯)। কোম্পানির শেয়ার : কোম্পানির অংশ ক্রয় করা এ শর্তে জায়েজ আছে যে, যদি এর লেনদেন বৈধ হয়, এ ক্ষেত্রে তার অংশের মূল্যের ওপর জাকাত ওয়াজিব হবে। (ফতোয়ায়ে উসমানি : ২/৩৯)।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৬

প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চাশের কম শিক্ষার্থী থাকলে পাশের স্কুলে একীভূত
দেশের যেসব প্রাথমিক স্কুলে বিগত ১০ বছরে শিক্ষার্থী সংখ্যা পঞ্চাশের কম—এমন স্কুলগুলোকে পাশের স্কুলের সঙ্গে মার্জ (একিভিূত) করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, আমরা বিগত ১০ বছরের চিত্র দেখে যেসব স্কুলে ৫০ জনের কম শিক্ষার্থী আছে, সেগুলো পাশের স্কুলের সঙ্গে একিভূত করা হবে। আমরা এ ধরনের প্রায় ৩০০টি স্কুল পেয়েছি। এগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করছি। তবে ঢালাওভাবে সব স্কুল বন্ধ করা হবে না। স্থানীয় বাস্তবতাসহ সব অবস্থা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, রাঙ্গামাটি জেলার বিলায়ছড়ি একটা উপজেলা আছে, সেখানে একটা স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৪২ জন। বিগত কয়েক বছরই ৪২ জন। ওই স্কুল আমরা মার্জ করবো না। কারণ, ওই ৪২ জন শিক্ষার্থী প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার জায়গা থেকে আসে। সুতরাং ওই প্রেক্ষাপট আমরা বিবেচনায় নেবো। আমরা একেবারে ইনজেনারেল সিদ্ধান্ত নেবো না। যেখানে বিগত কয়েক বছর ধরে ৫-৭ জন শিক্ষার্থী আছে, সেগুলো আমরা মার্জ করে দেবো, এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বরিশাল শহরের একটি স্কুলের উদাহরণ দিয়ে সচিব বলেন, ওই স্কুলে গত দশ বছরে ২০ জনের বেশি শিক্ষার্থী কখনো হয়নি। আবার দেখা যায় কোনো কারণে করোনার সময় ৫০ জনের নিচে চলে আসে, এখন আবার ৮০-৯০ হয়েছে আমরা এ স্কুল বন্ধ করবো না। আবার অন্যদিকে দেশের ৫০০ এর বেশি স্কুলে ১৫০০ বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। সেখানে ভর্তি জন্য আরও ১ হাজার শিক্ষার্থীর ডিমান্ড আছে। এসব স্কুলগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো উদ্যোগ নেওয়া হবে।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩৯

‘পুলিশ চুপ থাকলে আ.লীগ ঘর থেকেও বের হতে পারবে না’
পুলিশ চুপ থাকলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘর থেকেও বের হতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। শুক্রবার (৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। মাহমুদুর রহমান বলেন, শুধু ঢাকা মহানগর পুলিশ চুপচাপ এবং নিরপেক্ষ থাকলে আওয়ামী লীগ ঘর থেকেও বের হতে পারবে না। কোনো সভাও করতে পারবে না। বিরোধীদলীয় নেতাদের চোখ রাঙিয়ে কথা পর্যন্ত বলতে পারবে না।  তিনি বলেন, সাত জানুয়ারির তথাকথিত নির্বাচন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নিজের দলকে ভেঙে তিন ভাগে ভাগ করেছে। এক দলের মধ্যে তিনটি মার্কা। এটি নিয়ে তারা নিজদের মধ্যে খুনাখুনি পর্যন্ত করেছে।  শেখ হাসিনার উদ্দেশে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে কোনো ভোট হয়নি। কিন্তু আপনি বক্তৃতা করে বেড়ান ’৭৫-এর পর এরকম ভোট আর হয়নি। প্রধানমন্ত্রী এ রকম মিথ্যা কথা বললে তো পুরো আওয়ামী লীগের লোকরাও মিথ্যা বলতে বাধ্য হয়। মান্না বলেন, এ সরকারের প্রতি রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে কারও কোনো বিশ্বাস এবং ভরসা নেই। বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে হতাহাতের বিষয়ে তিনি বলেন, কেউ আগুনে পুড়ে মারা যায়নি। কারণ, লাশগুলোর শরীর পোড়া ছিল না। আগুনের ধোয়ায় বেশি মানুষ মারা গেছে। রেস্টুরেন্টের নিচতলায় সব অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র এক জায়গায় স্তূপ করে রাখা হয়েছে। প্রতিবাদ সভায় বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:২১

কারও ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আইজিপি
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। আইজিপি বলেন, বেইলি রোডে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি র‍্যাব-পুলিশ বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উদ্ধারকাজে কাজ করছে। একইভাবে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সরা আহত ও দগ্ধদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। নিহতদের প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে যত দ্রুত সম্ভব স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন আইজিপি। আইজিপি আরও জানান, অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছেন ৪৪ জন। রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে একজন, ঢামেক হাসপাতালে ৩৩ জন ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জনের মরদেহ রয়েছে।
০১ মার্চ ২০২৪, ০৫:৪৮

লিপ ইয়ার কেন হয়, না থাকলে কী হতো?
চার বছর পর ২০২৪ সাল এসেছে ফেব্রুয়ারিতে একটা অতিরিক্ত দিন নিয়ে। ৩৬৫ দিনের বদলে এ বছরের ক্যালেন্ডারে রয়েছে ৩৬৬ দিন। এ অতিরিক্ত দিনকেই আমরা ‘লিপ ডে’ বলি। সাধারণত প্রতি চার বছরে একটি লিপ ইয়ার হয়। প্রশ্ন হলো, কী এই লিপ ইয়ার? কেন এর প্রয়োজন? প্রতি চতুর্থ বছরই কি একটি লিপ ইয়ার? লিপ ইয়ার কী? বছরে সাধারণত ৩৬৫ দিন থাকে। কিন্তু একটি লিপ ইয়ারে ৩৬৬ দিন থাকে। লিপ ইয়ার ছাড়া ফেব্রুয়ারি মাস শেষ হয় ২৮ দিনে। আর লিপ ইয়ার বছরে ফেব্রুয়ারি মাস শেষ হয় ২৯ দিনে। কিন্তু তারপরও ফেব্রুয়ারি মাস বছরের সবচেয়ে ছোট মাস। লিপ ইয়ার কবে চালু হয়? যিশু খ্রিষ্টের জন্মের ৪৬ বছর আগে জুলিয়াস সিজার লিপ ইয়ার চালু করেছিলেন, যা পরে ১২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে আরও সুনির্দিষ্টভাবে চালু হয়। জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে একটি বছরের সময়সীমা ছিল ৩৬৫ দিন। প্রতি চার বছর অন্তর সেটাই হয়ে ওঠে ৩৬৬ দিন। রয়াল মিউজিয়ামস গ্রিনউইচের ওয়েবসাইট অনুসারে, ইসলামিক ক্যালেন্ডার আল-হিজরাতে লিপ ইয়ারে ১২তম মাসে জুল হিজ্জাতে একটি অতিরিক্ত দিন যোগ করা হয়েছে। তবে এ পদ্ধতিটি ত্রুটিমুক্ত নয়। কারণ গণনার জন্য ব্যবহৃত ছয় ঘণ্টা আর প্রকৃত ৫ ঘণ্টা, ৪৮ মিনিট এবং ৪৬ সেকেন্ডের মধ্যে পার্থক্য আছে। কেন প্রতি চার বছর অন্তর লিপ ইয়ার হয়? সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর একবার ঘুরতে ৩৬৫.২৫ দিনের একটু কম সময় লাগে। তাই চার বছর পর পর লিপ ইয়ার ধরলে প্রতি ৪০০ বছরে ৩ দিন অতিরিক্ত দিন ধরা হয়ে যায়। এ সমস্যার সমাধানে প্রথমে সিদ্ধান্ত হয়, যেসব বছরে ০০ থাকবে সেসব বছর লিপ ইয়ার থেকে বাদ যাবে। কিন্তু এতেও সমাধান না হওয়ায় সিদ্ধান্ত হয়, যেসব বছরে ০০ থাকবে এবং ৪০০ দ্বারা বিভাজ্য নয়, তাদের লিপ ইয়ারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। যেমন- ১৯০০ সাল লিপ ইয়ার নয়, কিন্তু ২০০০ সাল লিপ ইয়ার। লিপইয়ার কেন প্রয়োজনীয়? একটি সৌর ক্যালেন্ডারের এক বছরে পৃথিবী সূর্যের চারপাশের বৃত্তাকার কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরতে সময় নেয় ৩৬৫ দিন, ৫ ঘণ্টা, ৪৮ মিনিট এবং ৪৬ সেকেন্ড। একটি সাধারণ বছর এভাবেই ৩৬৫ দিনে শেষ হয়। অতিরিক্ত প্রায় ছয় ঘণ্টা চার বছরে ২৪ ঘণ্টা হয়। এই ২৪ ঘণ্টা হলো পৃথিবীর একবার নিজের অক্ষের চারিদিকে ঘোরার সময়। সেই হিসাবে অতিরিক্ত সময় বা ২৪ ঘণ্টা চতুর্থ বছরে ফেব্রুয়ারি মাসে অতিরিক্ত দিন হিসেবে যুক্ত হয়। এটি করা না হলে ফসলের চক্র এবং ঋতু পরিবর্তনের সময় ধীরে ধীরে বদলে যাবে। যা মানুষের সময় নির্ধারণের কৌশলকে বিভ্রান্তির দিকে পরিচালিত করবে। যদি ক্যালেন্ডারে প্রতি চার বছর অন্তর সময়ের সেই ছোট সংশোধন না করা হয় তবে ধীরে ধীরে ঋতুগুলোর সঙ্গে তারিখের আর সামঞ্জস্য থাকবে না। ক্যালেন্ডারে দেখানো গ্রীষ্মকালে প্রকৃতপক্ষে শীতকাল পড়বে। এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে কৃষিতে। কৃষকেরা ক্যালেন্ডার দেখলে ফসলের মৌসুম নিয়ে বিভ্রান্ত হবেন।  বিশ্বের অন্যান্য ক্যালেন্ডারে সময় গণনা ঠিক রাখার নিজস্ব উপায় রয়েছে। ইহুদি ক্যালেন্ডার চাঁদ ও সূর্য উভয়কে বিবেচনায় রেখে করা হয়। এই ক্যালেন্ডারে প্রতি ১৯ বছরের মধ্যে সাতবার একটি করে পুরো মাস যোগ করা হয়। বিশেষ পার্বণ যেন প্রতি বছর একই সময় আসে তা নিশ্চিত করতে মাঝে মধ্যে এই ক্যালেন্ডারে একটি লিপ মাস যোগ করা হয়।    ইসলাম ক্যালেন্ডার আরও অনন্য। এটি চাঁদের পর্যায়গুলো অনুসরণ করে ও কোনো অতিরিক্ত দিন যোগ করে না। যেহেতু একটি চন্দ্র বছর মাত্র ৩৫৫ দিন দীর্ঘ, তাই ইসলামি ক্যালেন্ডারের তারিখগুলো প্রতি বছর সৌর ক্যালেন্ডারের তুলনায় ১০ থেকে ১১ দিন এগিয়ে আসে।  উদাহরণস্বরূপ, রমজান মাস ইসলামিক বা হিজরি ক্যালেন্ডারের নবম মাস। চলতি ২০২৪ সালে রমজান ১১ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত হতে পারে। যেখানে গত বছর রমজান ছিল ২৪ মার্চ থেকে ২২ এপ্রিল। একই ভাবে ২০২৫ সালে ১ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত এবং ২০২৬ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ মার্চ রমজান মাস পড়তে পারে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়