• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
১০ মিনিটে উজ্জ্বলতা বাড়াবে যে মিশ্রণ
ত্বকের উজ্জ্বলতা অটুট রাখতে যারা ঘরোয়া রূপটানে ভরসা রাখেন, তারা বেসন এবং কাঁচা দুধের কদর জানেন। কারণ এই দুই প্রাকৃতিক উপাদানই ত্বকের জন্যে বেশ কার্যকর। তবে চটজলদি ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরানোর জন্যে বেসন ভালো নাকি কাঁচা দুধ, অনেকের মনেই এই প্রশ্ন থাকে।  জেনে নিন ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কোনটি কার্যকর ভূমিকা পালন করে- বেসন : বেসন প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে আর এর ক্লিনজিং এজেন্ট ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। তৈলাক্ত ত্বকে ব্যবহার করুন : বেসন আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নিঃসরণও নিয়ন্ত্রণে রাখে, তাই গরমে তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যাও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে না। কাঁচা দুধ : কাঁচা দুধ ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। আর এতে উপস্থিত ল্যাকটিক অ্যাসিড ধরে রাখে ত্বকের সুস্বাস্থ্য। ল্যাকটিক অ্যাসিড প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবেও কাজ করে। তাই ত্বকের মৃত কোষের স্তর সরিয়ে উজ্জ্বলতা ফেরাতে সময় লাগে না। তবে তৈলাক্ত ত্বকে ল্যাকটিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ দুধ না ব্যবহার করাই শ্রেয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে কারও ত্বকে যদি ব্রনের সমস্যা থাকে, তাহলে তো ব্যবহার করাই উচিত নয়। বেসন বনাম কাঁচা দুধ : তাই এই গরমে তৈলাক্ত ত্বকে লাগান বেসন এবং রুক্ষ-শুষ্ক ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে ব্যবহার করুন কাঁচা দুধ। তাতেই মিলবে উপকার।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫৫

রোদে ত্বক ভালো রাখবেন যেভাবে
রোদের তাপে বেশ অস্থির হয়ে উঠেছি আমরা। ঘর থেকে বাইরে বের হলেই যেন আগুনের হলকা লাগছে পুরো শরীরে। বাইরে বের হওয়ার আগে এবং ফিরে একাধিক বার গোসল করেও একটু আরাম পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ত্বক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোদ এবং তাপ স্বাভাবিক প্রাকৃতিক বিষয়। রোদ কড়া বা হালকা যাই হোক না কেন, মৌসুমটা শীত হোক বা গ্রীষ্ম, সূর্যের তাপ কিংবা অতি বেগুনি রশ্মি সব সময়ই ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই নিজেকেই সাবধানে সবদিক রক্ষা করে চলতে হবে। তার জন্য কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে।  রোদ যাই থাক, দিনের বেলা ঘর থেকে বের হওয়ার ১০-১৫ মিনিট আগে ত্বকে সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করা উচিত। বাজারে এখন এসপিএফ বা সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর যুক্ত ক্রিম, লোশন, পাউডার, লিপ বাম, স্প্রে ইত্যাদি প্রসাধনী পাওয়া যায়। প্রয়োজন অনুযায়ী সেগুলো ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ম্যাট ধরনের সানস্ক্রিন ও শুষ্ক ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। আর স্বাভাবিক কিংবা মিশ্র ত্বকের জন্য ‘অল স্কিন টাইপ’ সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যায়। ত্বক সব সময় ঠান্ডা ও পরিষ্কার রাখতে হবে। তাই প্রতিদিন ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পানির বিকল্প নেই। দিনে তিন-চার লিটার পানি আধা গ্লাস করে একটু পর পর পান করতে হবে। এ ছাড়া যেকোনো ফলের রস পান করাও উপকারী। রোদ থেকে রক্ষা পেতে প্রসাধনী ব্যবহারে এমনকি রোদে পোড়া ভাব দূর করতে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারেও ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী সানস্ক্রিন ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন রূপবিশেষজ্ঞরা। ঘর থেকে বের হওয়ার আগে এবং রোদ থেকে ঘরে এসে ত্বকের যত্ন নিতে হবে। ঘর থেকে বের হওয়ার আগে স্নান করে নেওয়া ভালো। এ সময় যেহেতু প্রচুর ঘাম হয় তাই ঘাম থেকে দুর্গন্ধ হওয়াটা স্বাভাবিক। এ জন্য পানিতে কয়েক ফোঁটা বেনজয়েন এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে স্নান করলে ঘামের দুর্গন্ধ হবে না এবং রোদে ত্বক কালচেও হবে না। ওষুধের দোকানে বা সুপারশপে এই তেল পাবেন। চার ঘণ্টা পর পর ল্যাভেন্ডার অয়েল সমৃদ্ধ ওয়েট টিস্যু দিয়ে ত্বক মুছে নিতে হবে। যেকোনো ধরনের ত্বকের জন্যই অ্যালোভেরা পেস্ট উপকারী। রাতে টকদই, ডিমের সাদা অংশ ও ময়দার মিশ্রণ প্যাক হিসেবে ত্বকে ব্যবহার যেতে পারে। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এ ছাড়া সুজি হালকা ভেজে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করা যায়। এটি স্ক্রাবের কাজও করবে। স্ট্রবেরি, টকদই ও ময়দার মিশ্রণ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো। আর শুষ্ক ত্বকের জন্য ব্যবহার করা যাবে দুধের সর, যেকোনো বাদাম, মধু ও সামান্য চিনির মিশ্রণ। যাদের ত্বক পাতলা তারা যেন বেলা ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত যতটা সম্ভব রোদ এড়িয়ে চলেন। আর রোদে বের হলে অবশ্যই ত্বক বুঝে সানব্লক ব্যবহার করতে হবে এবং সঙ্গে রাখতে হবে ছাতা। বাইরে থাকলে দুই ঘণ্টা পর পর নতুন করে ত্বকে সানব্লক ব্যবহার করতে হবে। কিছু ফেস পাউডারও সানব্লকের কাজ করে। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা এমন পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। রোদচশমা এবং হ্যাটজাতীয় বড় টুপি ব্যবহার করতে হবে, যেন মুখের চোয়াল ও এর আশপাশের স্থানে রোদ না লাগে। এরপরও যদি ত্বক লাল হয়ে জ্বালা করে, তবে বরফ ঘষতে হবে অথবা ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিতে হবে।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৪

শীতের শুষ্কতায় শিশুর ত্বক রুক্ষ, যা করবেন
শিশুর ত্বক অনেক বেশি নরম, সংবেদনশীল। শীতের শুষ্কতায় সেই ত্বক স্নিগ্ধতা ও পুষ্টি হারায়। শীতের শুষ্কতায় চামড়ায় টান ধরে, ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। শীতের বাতাস শিরশিরে ঠান্ডা, তার ওপর শিশুরা সূর্যের তাপ পায় কম। এতে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে ঠান্ডা লাগা, সংক্রমণ, চর্মরোগ ও অন্য শীতকালীন রোগ পেয়ে বসে। এ সময় অনেক মায়েরা কীভাবে সন্তানের খেয়াল রাখবেন, তা বুঝে উঠতে পারেন না। জেনে নিন শিশুকে শীতল আবহাওয়ায় সুস্থ রাখবেন যেভাবে-  শীতকালে শিশুদের তেল মালিশ খুবই প্রয়োজন। যে তেল আপনার শিশুর শরীরে স্যুট করবে, তা দিয়েই করুন। অলিভ আর অশ্বগন্ধা নাকি ত্বকের জন্য খুবই ভালো। চামড়া নরম থাকে। আবার টোনও করে ভালো। শিশুদের গোসল করানোর সময় পানি যেন হালকা উষ্ণ থাকে। বেশি উষ্ণ পানিতে ত্বকের পাতলা আস্তরণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। রোদ পেয়ে শিশুকে অনেকক্ষণ ধরে গোসল করাবেন না। এতে ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হতে পারে। শিশুদের প্রতিদিনের গোসল না করালেও চলে, এমনটাই মত কিছু বিশেষজ্ঞর। তারা মনে করেন, দুদিনে একবার শিশুকে গোসল করালেই যথেষ্ট।  শুধু গোসলের আগে তেল দিলেই হবে না, তারপর গা ভালো করে মুছে নিয়ে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ক্রিম দিতে হবে। ক্রিমের উপাদান দেখে কিনবেন। তাতে যেন অ্যালোভেরা, আমন্ড তেল ও দুধ থাকে। এক্ষেত্রে আবার ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ক্রিমটি কিনতে পারেন। শিশুর তোয়ালে, লেপ কিংবা পরনের গরম পোশাক বাছার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন। এগুলো যেন খসখসে না হয়। যদি তা হয় তাহলে শিশুর নরম চামড়ার ক্ষতি হতে পারে। খুব মোটা কিছু দিয়ে শিশুকে চাপা দেবেন না, এতে অস্বস্তি হতে পারে। এমন কিছু ব্যবহার করবেন যা নরম, আবার গরমও।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়