• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি 
যশোরে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত হয়েছে। রাস্তাঘাট, ফসলের খেতে মরুর উত্তাপ বিরাজ করছে। শ্রমজীবী মানুষ রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।  শনিবার (৪ মে) দুপুর ৩টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।  শুক্রবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল এই জেলায়। গতকাল তাপমাত্রা ছিল ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সরেজমিনে যশোরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আজও অতি তীব্র তাপপ্রবাহে গোটা এলাকা ছিল উত্তপ্ত। রাস্তাঘাট, ফসলের খেতে মরুর উত্তাপ বিরাজ করছে। ঘরের বাহিরে বের হলেই প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। শ্রমজীবী মানুষ রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সূর্যের তাপ এতই বেশি যে, খোলা আকাশের নিচে হাঁটলেও গরম বাতাস শরীর ঝলসে যাচ্ছে। যাত্রাপথে ছাতা মাথায় দিয়ে তাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছেন অনেকে। খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ বলেন, শনিবার যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গায় ৩৮ দশমিক ৫ ও মোংলায় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
০৪ মে ২০২৪, ১৭:৫১

দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ফের যশোরে, ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি
যশোরে প্রায় ২১ তিন ধরে তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। একদিন বিরতি দিয়ে ফের যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।  শুক্রবার (৩ মে) বিকেল ৩টায় জেলায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে বুধবার (১ মে) যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিল দেশের সর্বোচ্চ। তার আগে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) যশোরে রেকর্ড ভাঙা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ। তিনি বলেন, ‘আজ যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদিও আজ সূর্য কিরণের তীব্রতা একটু কম এবং আকাশ মেঘলা থাকায় আগের চেয়ে তাপ একটু কম মনে হচ্ছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, কক্সবাজার প্রভৃতি এলাকায় বৃষ্টিপাতের কারণে কিছুটা ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। সে কারণে মানুষের শারীরিক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি একটু কমেছে।’ সরেজমিনে যশোরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আজও অতি তীব্র তাপপ্রবাহে গোটা এলাকা ছিল উত্তপ্ত। রাস্তাঘাট, ফসলের খেতে মরুর উত্তাপ বিরাজ করছে। ঘরের বাহিরে বের হলেই প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। শ্রমজীবী মানুষ রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।  সূর্যের তাপ এতই বেশি যে, খোলা আকাশের নিচে হাঁটলেও গরম বাতাস শরীর ঝলসে যাচ্ছে। যাত্রাপথে ছাতা মাথায় দিয়ে তাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছেন অনেকে।
০৩ মে ২০২৪, ২৩:১১

দিনাজপুরে ৪১ ডিগ্রি তাপমাত্রায় অতিষ্ঠ জনজীবন
তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা দিনাজপুরের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।   এদিকে সূর্যের প্রখর তাপে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। প্রচণ্ড রোদে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না শ্রমিক, দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষ। রিকশা-ভ্যানচালকরা গরমে অস্থির হয়ে পড়েছেন। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে গা এলিয়ে দিচ্ছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। প্রখর রোদে মাঠে দীর্ঘক্ষণ কাজ করতে গিয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন আরটিভি নিউজকে বলেন, আজ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি মৌসুমে জেলায় এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে, সোমবার ৩৯ দশমিক ৮ ও রোববার ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। 
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২১

তাপদাহে পুড়ছে কলকাতা, তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস
তীব্র তাপদাহে পুড়ছে কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গ। কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর বলছে, তাপপ্রবাহের হাত থেকে এখনই নিস্তার পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই পশ্চিমবঙ্গের মানুষের। এ রকম অবস্থা চলবে আরও ৪-৫ দিন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) কলকাতা শহরে  সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গত ৪৪ বছরের ইতিহাসে এপ্রিল মাসে রেকর্ড তাপমাত্রা। এদিন বেলা ১১টার পর থেকেই কলকাতার রাস্তাঘাট কার্যত খাঁ খাঁ করছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। চাকরিজীবীরাও রোদের তাপ বাড়ার আগেই তাদের নির্দিষ্ট কর্ম স্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাতেও নিস্তার নেই। প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে।   বাইরে বেরোলেও তাপপ্রবাহের হাত থেকে রক্ষা পেতে সকাল-সকাল কাজ সেরে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষ। আগামী চারদিন দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। দক্ষিণবঙ্গের  বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম , পূর্ব পশ্চিম মেদিনীপুর দুই বর্ধমান জেলায় তাপপ্রবাহের লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কমলা সতর্কতাও জারি করা হয়েছে উত্তরবঙ্গের তিনটি জেলা বাদ দিয়ে বাকি সব জেলাতেই ।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৮

মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৪৩.৮ ডিগ্রি 
যশোর জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়ছে জনজীবনে। এককথায় তাপপ্রবাহে নাকাল জনজীবন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।  আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর ঢাকার তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ জেলায় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি, শনিবার (২৭ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি, রোববার (২৮ এপ্রিল) ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বশেষ সোমবার (২৯ এপ্রিল) ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৬

ফের ৪০ ডিগ্রি ছাড়াল ঢাকার তাপমাত্রা
তীব্র গরমে ঢাকাসহ সারাদেশের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু-বৃদ্ধসহ অনেক মানুষ। প্রতিদিনই ভাঙছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। আজও ঢাকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। এ ছাড়াও চার জেলায় বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। সোমবার (২৯ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আজ ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি। এর আগে গত ২০ এপ্রিল ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছিল। এদিকে আজ দেশের চার জেলায় বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। জেলাগুলোতে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছে। এটিই এখন পর্যন্ত চলতি মৌসুমের সবচেয়ে তপ্ত দিন। আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়। এর আগে এবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি উঠেছিল চুয়াডাঙ্গায়। এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা গণমাধ্যমকে বলেন, সোমবার দেশের চার জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৪৩, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪২ দশমিক ৫, যশোরে ৪২ দশমিক ৮, রাজশাহীতে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ও সিলেটের কিছু অঞ্চল ছাড়া দেশের বাকি অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আগামী দুদিন তাপমাত্রা মোটামুটি এমনই থাকতে পারে। তবে তাপমাত্রা যাই থাকুক গরমের অনুভূতি বাড়তে পারে। বৃষ্টির আগে এমন অসহনীয় অনুভূতি হয়।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৪৮

মিয়ানমারে তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে মিয়ানমার। দেশটির সবচেয়ে উষ্ণতম এপ্রিল হিসেবে গতকাল রোববার ৪৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮.৭৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) মিয়ানমারের আবহাওয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রোববার দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় ম্যাগওয়ে অঞ্চলের চাউক শহরে তাপমাত্রার পারদ ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল। ৫৬ বছর আগে রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর দেশটিতে এপ্রিল মাসে এত গরম আর দেখা যায়নি। একই দিন বাণিজ্যিক শহর ইয়াঙ্গুনের তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ ছাড়া মান্দালয় শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মিয়ানমারের শুষ্ক কেন্দ্রীয় সমভূমিতে অবস্থিত চাউকের একজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এখানে খুব গরম ছিল এবং আমরা সবাই বাড়িতেই ছিলাম। এ রকম হলে আমরা কিছুই করতে পারি না। দেশটির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অনুসারে, গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের শুষ্ক প্রাণকেন্দ্রে দিনের তাপমাত্রা এপ্রিলের গড় থেকে তিন থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। বৈশ্বিক তাপমাত্রা গত বছর রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বলেছে, এশিয়া বিশেষ করে দ্রুত গতিতে উষ্ণ হচ্ছে, এই অঞ্চলে তাপপ্রবাহের প্রভাব আরও গুরুতর হয়ে উঠছে। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছেম, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপপ্রবাহ দীর্ঘতর, ঘনঘন ও তীব্রতর হচ্ছে। এদিকে, জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বলেছে, বিশেষ করে এশিয়া দ্রুতগতিতে উষ্ণ হয়ে উঠছে, আর এর প্রভাবও গুরুতর হয়ে উঠছে। সূত্র : এএফপি
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৪৮

যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি
দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ তীব্র থেকে অতি তীব্র আকার ধারণ করেছে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়ছে জনজীবনে। এককথায় তাপপ্রবাহে নাকাল জনজীবন। আজও যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা এবারের মৌসুমে এ অঞ্চলে সর্বোচ্চ। সোমবার (২৯ এপ্রিল) এ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে যশোর মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটি সূত্র। তারা জানিয়েছে, এ দিন দুপুর ২টায় যশোরে এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল শতকরা ২২ ভাগ।  যদিও গতকাল যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। লাগাতার তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এর আগে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। এ দিকে আবহাওয়া অফিস বলছে, আজ মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে তাপদাহের মধ্যেই রোববার (২৮ এপ্রিল) খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে সেদিন রাতেই যশোরসহ পাঁচ জেলার মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে খোলা থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর এই তীব্র তাপ প্রবাহের মধ্যে জাতীয়ভাবে হিট অ্যালার্ট তিনদিন বৃদ্ধি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উল্লেখ্য, গত দুসপ্তাহ ধরে যশোরসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে এ বিভাগের যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৭

৪২.৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত অতি তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বেড়েছে কয়েক গুণ।  শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।  তীব্র থেকে অতি তীব্র আকার ধারণ করছে তাপপ্রবাহ। গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। তবে ভ্যাপসা গরমে স্বস্তি নেই কোথাও। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস প্রাণীকূল। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। চলমান দাবদাহে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম। নষ্ট হচ্ছে ধান, আম, লিচু ও কলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল।  মৌসুমের প্রায় সময়জুড়েই উত্তপ্ত থাকে চুয়াডাঙ্গা। তীব্র থেকে অতি তীব্র আকার ধারণ করেছে তাপপ্রবাহ। এবারও চৈত্রের মধ্যভাগ থেকে শুরু হওয়া তাপমাত্রার এমন দাপট বৈশাখের আবহাওয়াকে জটিল করে তুলছে। এ যেন মরুর উষ্ণতা অনুভব করছে মানুষ। আবহাওয়ার এমন বিরূপ আচরণে কোনোভাবেই খাপ খাওয়াতে পারছে না মানুষ। গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। কেউ আবার পান করছেন ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পানীয়। দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডের ইজিবাইক চালক হারেজ আলী বলেন, ‘কঠিন তাপ পড়চি। সূর্য মনে হচ্চি মাতার ওপর চলি এসিচে। আমরা গরিব মানুষ পেটের দায়ে বাইরি বের হয়িচি। মাজে মাজে রাস্তার পাশের দুকান থেকি শরবত খেয়ি ঠান্ডা হচ্চি।’  চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, এ মাসের শেষের কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। 
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:০৮

উত্তপ্ত রাজশাহী, তাপমাত্রা ছাড়াল ৪২ ডিগ্রি
মরুদ্যানের মতো তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে পদ্মাপাড়ের রাজশাহীতে। বইছে লু-হাওয়া। বৈশাখের এই দিনগুলো এ অঞ্চলের মানুষের কাটছে আগুন তাপে। দুঃসহ এই গরম যেন কোনোভাবেই কাটছে না। তাপমাত্রার পারদ যেন কোনোভাবেই নিচে নামছে না। কেবলই ওপরেই উঠছে। গেল ১ এপ্রিল মৃদু তাপপ্রবাহ দিয়ে এই অঞ্চলে শুরু হয়েছিল গরমের দাপট। এরপর মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং তারপর শুরু হয় তীব্র তাপপ্রবাহ। আর দুই সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রা ৪০-৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশেই থাকছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত বছরের ১৭ এপ্রিল রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর চলতি বছরে ২৬ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলো ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া ২০০৫ সালের এপ্রিলেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।  তাই অচল হয়ে পড়েছে রাজশাহীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বিরূপ প্রকৃতির কাছে যেন হার মানছে সবকিছুই। থমকে দাঁড়িয়েছে জনজীবন। এপ্রিলজুড়ে তপ্ত মৌসুম পার করছেন রাজশাহীর মানুষ। সবশেষ তিন দিনেই রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ গিয়ে ঠেকলো ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।  রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। চলতি মৌসুমের গতকাল পর্যন্ত এটিই ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরদিন রোববারও (২১ এপ্রিল) একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এরপর ২২ এপ্রিল রেকর্ড হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৩ এপ্রিল রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গতকাল ২৪ এপ্রিল ছিল ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ তাপমাত্রার নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে পদ্মাপাড়ের এই মরু শহর। টানা তাপপ্রবাহ যেন স্থায়ী রূপ নিয়েছে এখানে।  জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল এই রাজশাহীতে। ওই দিন রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আর বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত তাপমাত্রার এই রেকর্ড আর ভাঙেনি।  তবে দেশে এবারের চলমান অস্বাভাবিক তাপমাত্রা আগের সেই সর্বোচ্চ রেকর্ড অতিক্রম করতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।  এ বিষয়ে রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক মো. গাওসুজ্জামান বলেন, ভারী বর্ষণ ছাড়া আপাতত এই তীব্র তাপপ্রবাহ প্রশমিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আর ২-১ দিনের মধ্যে রাজশাহীতে বৃষ্টিপাতেরও কোনো সম্ভাবনা নেই।  তাই আপাতত বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  এ দিকে টানা তাপপ্রবাহে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মানুষ। খরতাপে ঝরে পড়ছে আম ও লিচুর গুটি। বৃষ্টির জন্য হাহাকার থামছেই না। দুঃসহ এই গরম থেকে পরিত্রাণ পেতে আজও ‘সালাতুল ইসতিসকার’ আদায় করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টায় রাজশাহীর তেরখাদিয়ায় থাকা শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়াম মাঠে এই সালাতুল ইসতিসকারের আয়োজন করা হয়। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে তওবা করে সকল পাপ থেকে পানাহ চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।  অনাবৃষ্টি ও তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে টানা তৃতীয় দিনের মতো নামাজ অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়