• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দুই ট্রেন একই লাইনে, অল্পের জন্য রক্ষা 
সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশনে স্টেশন মাস্টার ও পয়েনন্টম্যানের ভুলে একই লাইনে দুই ট্রেন প্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন দুটি ট্রেনের অন্তত সহস্রাধিক যাত্রী।  শনিবার (৪ মে) দুপুরে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।  বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশনের দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার মনিরুজ্জামান জানান, বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের নিয়োগপ্রাপ্ত ৭ জন অবসরপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার ও বেশ কয়েকজন পয়েন্টম্যান গতকাল (শুক্রবার) বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু পশ্চিম স্টেশনে যোগদান করেন। তারাই মূলত আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করে এনালগ পদ্ধতিতে লাইন নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। তারই ধারাবাহিকতায় দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে কলকাতা থেকে ঢাকাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন নতুন নির্মিত ৫ নম্বর লাইনে প্রবেশ করে অপেক্ষমাণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে রাখা হয়। এ সময় ঢাকা থেকে রাজশাহী গামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন ৪ নম্বর লাইনে প্রবেশ করানোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়।  কিন্তু দায়িত্বে থাকা প্রকল্পে নিয়োগপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার খায়রুল আলম ও পয়েন্টম্যান ভুল করে ৫ নম্বর লাইনে প্রবেশ করান। এ সময় চালক একই লাইনে আরেকটি ট্রেন দেখতে পেয়ে কন্ট্রোল এবং আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ট্রেন থামিয়ে ফেলেন। এ সময় আগে থেকে ৫ নম্বর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস ও ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন মুখোমুখি সংঘর্ষের হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পায়। এতে দুটি ট্রেনের সহস্রাধিক যাত্রী প্রাণে রক্ষা পান। দায়িত্বে থাকা বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু প্রকল্পে নিয়োগপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার খায়রুল আলম জানান, প্রকল্পের সিনিয়র পয়েন্টম্যান আলমগীরকে ৪ নম্বর লাইনে ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন প্রবেশ করানোর নির্দেশনা দিলে সে ভুলবশত ৫ নম্বর লাইনে ট্রেন প্রবেশ করান। তবে একই লাইনে আরেকটি ট্রেন দেখতে পাওয়ায় চালক ট্রেন থামিয়ে ফেলেন। তাই কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।  পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ জানান, একই লাইনে দুটি ট্রেন প্রবেশের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। তারা সরেজমিনে পরিদর্শন করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পাশাপাশি যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।  
০৪ মে ২০২৪, ২৩:০০

রাজবাড়ী-ভাঙ্গা-ঢাকা রুটে দুই কমিউটার ট্রেন উদ্বোধন
রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ করতে উদ্বোধন করা হয়েছে দুইটি কমিউটার ট্রেন।  শনিবার (৪ মে) সকাল ১০টায় মাদারীপুরের শিবচরে এক অনুষ্ঠানে ট্রেন দুটি উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম। রোববার (৫ মে) সকাল থেকে রাজবাড়ী-ভাঙ্গা-ঢাকা রুটে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।  রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী রেলের উন্নয়নের জন্য অনেক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। সবচেয়ে সস্তা পরিবহন ব্যবস্থা হলো রেল। এই রেল মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী একটা পরিকল্পনা নিয়েছেন। আগামী দুই মাসের মধ্যে সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ভাঙ্গা থেকে খুলনা, যশোর, বেনাপোল পর্যন্ত নতুন ট্রেন চালু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে সেটি উদ্বোধন করবেন। ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত আরেকটা লাইন চালু হবে। এই রেললাইন ৮টি জেলাকে যুক্ত করবে। পুরো লাইনই এলিভেটেড হবে। কারণ এই অঞ্চলের মাটি  ভালো না। ট্রেন চলাচলের জন্য এই অঞ্চলের মাটি উপযুক্ত না। সেজন্য এটা পুরোটাই হবে এলিভেটেড। রেলমন্ত্রী বলেন, এই দুটি লাইন চালু হয়ে গেলে ভাঙ্গা, শিবচর এই অঞ্চলের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাবে। আমরা চিন্তা করছি রেলে বর্তমানে দুইটি জোন আছে। আরও দুইটি জোন তৈরি করা হবে। এর একটি হবে ভাঙ্গা-ফরিদপুর। এটির জোনাল অফিস হবে ভাঙ্গায়। এতে করে ভাঙ্গায় রেলের সেবা বাড়বে। মন্ত্রী আরও বলেন, ভবিষ্যতে আমরা ভাঙ্গা-ঢাকা রুটে আরেকটি ট্রেন চালু করব। পরের ট্রেনটি নতুন বগি দিয়ে শুরু করব। আবার আগামী দুই মাসের মধ্যে ভাঙ্গা থেকে খুলনা, যশোর হয়ে বেনাপোল পর্যন্ত আরেকটি ট্রেন চালু হবে। ওই ট্রেন প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী, রেল মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলীসহ অন্যান্যরা। উদ্বোধন হওয়া ট্রেন দুটির নাম চন্দনা কমিউটার ও ভাঙ্গা কমিউটার। চন্দনা কমিউটার ট্রেনটি রাজবাড়ী স্টেশন থেকে ভোর ৫টায় ছেড়ে ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাবে সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে। ওই ট্রেনটি ভাঙ্গা কমিউটার নাম ধারণ করে ভাঙ্গা স্টেশন থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে ঢাকা স্টেশনে পৌঁছাবে সকাল ৯টায়। আবার ভাঙ্গা কমিউটার ট্রেনটি ঢাকা স্টেশন থেকে সন্ধ্যা ৬টায় ছেড়ে ভাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছাবে রাত ৮টায়। সেখানে ট্রেনটি চন্দনা কমিউটার নাম ধারণ করে ভাঙ্গা স্টেশন ছাড়বে রাত ৮টা ১০ মিনিটে। সবশেষে রাত সাড়ে ৯টায় রাজবাড়ী স্টেশনে পৌঁছাবে ট্রেনটি।
০৪ মে ২০২৪, ১৭:৫৩

রাজবাড়ীতে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
প্রায় ৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী টু দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী টু খুলনা রুটে ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লাইনচ্যুত মালবাহী ট্রেন উদ্ধারের পর স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল। রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বলেন, প্রায় ৩ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এই মালবাহী ট্রেনটি খুলনা থেকে ছেড়ে এসেছিল। এটি সকালে রাজবাড়ীর ২নং রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে (সিক লাইন) ঢোকার সময় মালবাহী একটি বগির ৪টি চাকা লাইনচ্যুত হয়। যার কারণে এই রুটে সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে এ সময়টাতে শুধু পোড়াদহগামী সাটল ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। এখন লাইন সম্পূর্ণ ক্লিয়ার রয়েছে। পিস ট্রলির মাধ্যমে উদ্ধার কাজ করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী এ ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি তখন বলেন, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটি সকালে রাজবাড়ীর ২নং রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় লাইনচ্যুত হয়। আপাতত এই রুটে সব রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পোড়াদহগামী লোকাল সাটল ট্রেন পাচুরিয়া রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে। রাজবাড়ীতেই উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন রয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করা যাবে।
০২ মে ২০২৪, ১৩:০৬

রাজবাড়ীতে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল যোগাযোগ বন্ধ
রাজবাড়ীতে একটি মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে সাতটায় ২নং রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটি সকালে রাজবাড়ীর ২নং রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় লাইনচ্যুত হয়। আপাতত এই রুটে সব রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পোড়াদহগামী লোকাল সাটল ট্রেন পাচুরিয়া রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে। রাজবাড়ীতেই উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন রয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করা যাবে।
০২ মে ২০২৪, ১০:১২

কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত
কক্সবাজার ডুলাহাজারা স্টেশনে কক্সবাজারগামী ঈদ স্পেশাল ট্রেনের ইঞ্জিনসহ দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে ঈদগাঁও ডুলাহাজারা স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশন মাস্টার গোলাম রাব্বানী।  তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে সকাল ৭টায় কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ঈদ স্পেশাল ট্রেনটি ডুলাহাজারা স্টেশনে প্রবেশের সময় ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়। এতে ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়।  তিনি আরও বলেন, ইঞ্জিনসহ দুটি বগি লাইনচ্যুতির ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চট্টগ্রামে উদ্ধারকারী ট্রেনকে খবর দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকারী ট্রেনটি ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেরামতের কাজ শেষ করলেই ওই রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে বলে জানান স্টেশন মাস্টার মো. গোলাম রব্বানী।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫০

রাজধানীতে যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত
জামালপুরের তারাকান্দি থেকে যাত্রীদের নিয়ে ছেড়ে আসা যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন রাজধানীর তেজগাঁওয়ে লাইনচ্যুত হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে রাজধানী কারওয়ান বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে এক লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে দেরিতে হলেও ঢাকা থেকে বের হচ্ছে ট্রেনগুলো। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস। তিনি বলেন, কারওয়ান বাজারে ঢাকাগামী যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। সেখানে ডাবল লাইন থাকায় ট্রেন চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি। একটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলছে।  তবে লাইনচ্যুত ট্রেনটি লাইনে আনা ও চলাচল স্বাভাবিক করতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কাজ করছে বলে জানান ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৬

কেন গতি কমিয়ে চলছে ট্রেন
বছরের উষ্ণতম মাস এপ্রিল। মাসের অর্ধেক পার না-হতেই তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এ তাপমাত্রা রেলপথেও বাধতে পারে বিপত্তি। ফলে দুর্ঘটনা রোধে সব ধরনের ট্রেনের গতি কমিয়ে চালাতে বলেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিভিন্ন সেকশনের লোকোমাস্টার ও রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কমার তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিন রেলওয়ের এই নির্দেশনা মেনে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের একটি সেকশনের ট্রেনকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার বেগে চলতে দেখা গেছে। বিভিন্ন সেকশনের লোকমাস্টারদের বরাত জানা গেছে, তাপমাত্রার কারণে লাইন বেঁকে যায়, তাই রেলওয়ের কন্ট্রোলরুম থেকে গতি কমিয়ে ট্রেন চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। মূলত সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ নির্দেশনা চলমান থাকলেও এটি তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে। রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, গরমে লাইন বেঁকে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য একটি স্ট্যান্ডিং অর্ডার রয়েছে। তবে স্থান, কাল, পাত্রের ওপর নির্ভর করে নির্দেশনা কার্যকর হবে। অর্থাৎ, কর্মকর্তারা ট্র্যাকের টেম্পারেচার কেমন, পরিবেশ কেমন দেখার পর নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, নতুন ট্র্যাকগুলো ৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নিতে পারে। তবে পুরোনো ট্র্যাকগুলোতে এত বেশি তাপমাত্রা নিতে পারে না। এজন্য সবকিছু বিবেচনা করে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪০

ঈদ জামাতের জন্য ২টি স্পেশাল ট্রেন
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদুল ফিতরের দেশের সবচেয়ে বড় জামাত আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও শোলাকিয়ার মুসল্লিদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। মাঠে যাতায়াতে মুসল্লিদের জন্য বিশেষ দুটি ট্রেন দেওয়া হয়েছে। একটি ট্রেন ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে নামাজ শেষে আবার ময়মনসিংহে ফিরে যাবে। অন্যটি ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ এসে ইঞ্জিন ঘুরিয়ে আবার ভৈরবে ফিরে যাবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও কিশোরগঞ্জ রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান। ‘শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল’ ময়মনসিংহ জংশন থেকে ভোর পৌনে ৬টায় ছেড়ে সকাল সাড়ে ৮টায় কিশোরগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছাবে। শোলাকিয়া মাঠে ঈদের জামাত শেষে ওই ট্রেনটি কিশোরগঞ্জ স্টেশন থেকে দুপুর ১২টায় ছেড়ে দুপুর ৩টায় ময়মনসিংহে পৌঁছাবে। ট্রেনটি চলাচলের পথে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রুটের শম্ভুগঞ্জ, বিসকা, গৌরিপুর, বোকাইনগর, ঈশ্বরগঞ্জ, সোহাগী, আঠারবাড়ি, নান্দাইল রোড, মুসুল্লি, নীলগঞ্জ স্টেশনে দুই মিনিট করে থেমে মুসল্লিদের উঠা-নামার ব্যবস্থা করবে। অপরদিকে ঈদ স্পেশাল ট্রেন ভৈরব জংশন থেকে ভোর ৬টায় কিশোরগঞ্জ অভিমুখে ছেড়ে সকাল ৮টায় পৌঁছাবে। নামাজ শেষে আবার দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জ ছেড়ে দুপুর ২টায় ভৈরব পৌঁছাবে। পথে কালিকাপ্রসাদ, ছয়সূতি, কুলিয়ারচর, বাজিতপুর, সরারচর, হালিম মকসুদপুর, মানিকখালি, গচিহাটা ও যশোদল স্টেশনে থেমে মুসল্লিদের উঠা-নামার ব্যবস্থা করবে। এবার শোলাকিয়ায় ঈদগাহ ময়দান ১৯৭তম ঈদুল ফিতরের জামাতের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তায় চার স্তরে কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এবারও পূর্বের চেয়ে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে শোলাকিয়ায়। মোতায়েন থাকবে পাঁচ প্লাটুন বিজিবি। কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে সকাল ১০টায় শুরু হবে ১৯৭তম ঈদুল ফিতরের জামাত। জামাতে ইমামতি করবেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান ড. মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। আগত লাখ লাখ মুসল্লির নিরাপত্তার স্বার্থে এখানে টুপি ও জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রশাসন। বরাবরের মতো এবারও দেশের বৃহত্তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ মাঠে। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে ঈদগাহ মাঠের দাগ কাটা, চুনকাম, আজুখানা মেরামতসহ বেশির ভাগ কাজ। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, এবারের ঈদুল ফিতরের জামাতের সময় নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার মোতায়েন থাকবে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এখানে দায়িত্বে থাকবেন। জেলা প্রশাসক বলেন, শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে আগত মুসল্লিদের সুবিধার্থে ঈদের দিন কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ রোডে শোলাকিয়া এক্সপ্রেস নামে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। দফায় দফায় মিটিং ও ঈদগাহ পরিদর্শন করে সার্বিক প্রস্তুতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন প্রশাসনের লোকজন। ২০১৬ সালের ঘটনা মাথায় রেখে বাড়তি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ময়দানকে লক্ষ্য করে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, মাঠের প্রতিটি প্রবেশপথে আর্চওয়ের মধ্যদিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে হবে। এ ছাড়াও ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার, মাইনো কোলার, ড্রোন ক্যামেরা, ছয়টি ভিডিও ক্যামেরা ও সিসি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এবারের ঈদের জামাতে টুপি ও জায়নামাজ ছাড়া আর কিছু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না মুসল্লিরা। মুসল্লিদের সুবিধার্থে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। এ দিকে বরাবরের মতো শোলাকিয়া ঈদগাহে আগত মুসল্লিদের সেবাদানে প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্য। মাঠের ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানান স্থানীয়রা। বর্তমানে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তরে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের চেয়েও বড় বড় ঈদগাহ ময়দান প্রতিষ্ঠিত হলেও মুসল্লির উপস্থিতির দিক থেকে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত ঈদুল ফিতরের জামাতই এ উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদুল ফিতরের জামাত হিসাবে বিবেচিত হয়ে আসছে।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৮

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর লাইনচ্যুত ট্রেন উদ্ধার 
ব্রাহ্মণবাড়িয়া দাড়িয়াপুরে লাইনচ্যুত মালবাহী ট্রেনটি উদ্ধার করা হয়েছে। আখাউড়া জংশন থেকে আসা উদ্ধারকারী ট্রেন মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল ৭টায় মালবাহী ট্রেনটিকে উদ্ধার করে। তবে বন্ধ থাকা রেলপথের আপলাইনে ট্রেন চলাচল এখনও স্বাভাবিক হয়নি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের সহকারী মাস্টার সাকিল জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টায় ঢাকামুখী একটি মালবাহী ট্রেনের ২টি চাকা লাইচ্যুত হয়। খবর পেয়ে আখাউড়া জংশন থেকে রাত সাড়ে ৩টায় রিলিফ ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে পৌঁছালেও উদ্ধার শুরু করতে করতে ভোর ৪টা বাজে। দীর্ঘ সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার সকাল ৭টায় কাজ শেষ করে রিলিফ ট্রেনটি দুর্ঘটনাকবলিত মালবাহী ট্রেনটিকে উদ্ধার করে আশুগঞ্জের তালশহর রেলস্টেশনে নিয়ে যায়। তবে আপলাইনের স্লিপার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলো মেরামত না হওয়া পর্যন্ত ট্রেনগুলো ডাউন লাইনে চলাচল করবে। তিনি আরও জানান, মালবাহী ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ায় সিডিউল বিপর্যয়ে পড়া চট্টগ্রাম মেইল আড়াই ঘণ্টা বিলম্বিত হয়ে ভোর সাড়ে ৬টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন ছেড়ে যায়। উদ্ধার কাজে আসা ট্রলিম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা উদ্ধার কাজে এসে দেখতে পাই ট্রেনটি চাকার ব্রেকে সমস্যা ছিল। এর কারণে ট্রেনের ২টি চাকা লাইনচ্যুত হয়েছে। ইতোমধ্যে কাজ শেষ হয়ে গেছে। ট্রেনটি আশুগঞ্জের তালশহর নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে মালবাহী ট্রেনের কিছু বগি সংযুক্ত করে ঢাকার দিকে রওনা দেবে।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত, বন্ধ আপলাইন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের দড়িয়াপুর এলাকায় মালবাহী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে আপলাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত সোয়া ১২ টায় দাড়িয়াপুর এলাকার আউটারে এ ঘটনা ঘটে।  ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জসিম মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাত সোয়া ১২ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের দাড়িয়াপুর এলাকার আউটারে ঢাকামুখী ৬০১ মালবাহী কনটেইনারের ২৮ নম্বর বগির পেছনের দুটি চাকা লাইনচ্যুত হয়।  তিনি আরও বলেন, মেরামত না হওয়া পর্যন্ত ভৈরব থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাঘাচং রেলস্টেশন পর্যন্ত ডাউনলাইন দিয়েই ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথের সব ট্রেন চলাচল করবে।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়