• ঢাকা রোববার, ২৬ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
বিবিএস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ নিষ্পত্তির নির্দেশ
দরিদ্র জনগোষ্ঠীর তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশে ন্যাশনাল হাউজ হোল্ড ডাটাবেজ (এনএইচডি) প্রকল্পের নামে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কর্মকর্তাদের অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) করা এ আবেদন নিষ্পত্তিতে ছয় মাস সময় বেঁধে দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২০ মে) এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। আদালতে আজ রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবু জাফর শেখ মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে দুদক চেয়ারম্যান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, পরিসংখ্যান ব্যুরোর সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রিট আবেদন থেকে জানা যায়, এনএইচডি বাস্তবায়নের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো একটি প্রকল্প চালু করে। এই প্রকল্পের জন্য ৫৪৫ জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগকৃত জনবলকে দাপ্তরিক বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদন করতে উপজেলা ও জেলা পরিসংখ্যান অফিসগুলোতে সংযুক্ত করা হয়। ২০২২ সালের জুন মাসে জেরক্স ইন্ডিয়া কোম্পানি লিমিটেডের অধীনে নিয়োগ দেওয়া হয় তাদের। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠান ১৪টি জেলার তথ্য আংশিক সংশোধন ও ৫০টি জেলার ডাটা অসমাপ্ত রেখে প্রকল্পের ১১২ কোটি ৪৪ লাখ ২৫ হাজার ৬২২ টাকা উত্তোলন করে নেয়। এ প্রকল্পের জন্য মোট বরাদ্দ ছিল ৭২৭ কোটি টাকা, যার মধ্যে বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ বাবদ ছিল ৬৮৬ কোটি ৮০ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। আর সরকারের পক্ষ থেকে ছিল ৪০ কোটি ৫২ লাখ ৫২ হাজার টাকা। প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া ৫৪৫ জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে মাসিক বেতন-ভাতাদি উপরোক্ত কর্মকর্তারা প্রদান না করে এবং প্রজেক্টের টিপিপির সুপারিশ অনুযায়ী তাদের রেভিনিউ খাতে নিয়োগ না দিয়ে সরকারি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশ হয়। পরে ভুক্তভোগী ৭৩ জন প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেন। এ ছাড়া অনিয়মের অভিযোগ বিষয়ে ব্যবস্থা চেয়ে দুদকের কাছেও আবেদন করা হয়। ওই আবেদনে দুদকের সাড়া না পেয়ে ১৩ মে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন ৭৩ জন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে আজ এ আদেশ দেন আদালত।
২০ মে ২০২৪, ২০:৫৭

ঘুষ নিতে বাড়িতে কনস্টেবল, আটকে ৯৯৯-এ কল
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে এক পুলিশ সদস্যকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে আটকে রেখে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।  শনিবার (১৯ মে) আক্কেলপুর পৌরশহরের শ্রীকৃষ্টপুর মহল্লার মৃত সেকেন্দার আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  জানা যায়, পুলিশের ওই কনস্টেবলের নাম আশিক হোসেন। ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে তাকে আটকে রাখেন শ্রীকৃষ্টপুর মহল্লার বাসিন্দা সোহেল রানা ও স্থানীয় লোকজন। এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, সপ্তাহখানেক আগে জমিজমা নিয়ে একটি অভিযোগের তদন্ত করতে থানার এক এসআইয়ের সঙ্গে কনস্টেবল আশিক হোসেন শ্রীকৃষ্টপুর মহল্লায় এসেছিলেন। তখন সোহেল রানার কাছে এক হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন আশিক। দুদিন পর রাতের বেলায় স্থানীয় একটি সড়কে কনস্টেবল আশিক সোহেল রানার পকেট তল্লাশি করে ইয়াবা পান বলে দাবি করেন। তখন তাকে ছেড়ে দেওয়ার শর্তে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন ওই কনস্টেবল। সোহেল রানা পরদিন সকালে ঘুষের টাকা দেবেন বলে কথা দিয়ে সেখান থেকে চলে আসেন। পরদিন শুক্রবার সকালে কনস্টেবল আশিক ঘুষের টাকা নিতে সোহেলের বাড়িতে এলে তাকে না পেয়েই চলে যান। স্থানীয়রা আরও জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আশিক হোসেন শ্রীকৃষ্টপুর মহল্লায় সোহেল রানার বাড়িতে গিয়ে ফের ঘুষের ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। সোহেল রানা কনস্টেবলের হাতে পাঁচ হাজার টাকা দেন। এ সময় সোহলের স্ত্রী মুঠোফোনে গোপনে ভিডিও ধারণ করেন। টের পেয়ে টাকা ফেরত দিয়ে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করেন আশিক। তখন সোহেল রানা কনস্টেবল আশিককে তার বাড়িতে আটকে রেখে ৯৯৯-এ কল করেন।  ভুক্তভোগী সোহেল রানা ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘জমিজমা সংক্রান্ত একটি অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে এসে কনস্টেবল আশিক হোসেন আমার কাছে টাকা দাবি করেন। সেই টাকা না দেওয়ায় পরে আমাকে রাস্তার মধ্যে পকেটে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দেন তিনি। পরে ২০ হাজার টাকা দেওয়ার চুক্তিতে তিনি আমাকে ছেড়ে দেন। ওই টাকা নিতে আসলে এ ঘটনাটি ঘটে। পরে ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ এসে আমার স্ত্রীর ধারণ করা ভিডিও ডিলিট করে তাকে নিয়ে যায়।’ অভিযুক্ত আশিক হোসেন বলেন, ‘গত কয়েক দিন আগে আমার মা মারা যান। তারপর থেকে মানসিক বিষণ্নতায় ভুগছি। আমি ওই এলাকায় মাদকের খোঁজ নিতে গেলে তারা কৌশলে আমাকে ডেকে নিয়ে ফাঁসিয়ে দেন। আমি কোনো টাকা-পয়সা লেনদেন করিনি।’ পৌর কাউন্সিলর ফেরদৌস সরদার বলেন, ‘সোহেল রানার বাড়িতে সাদা পোশাকে একজন কনস্টেবলকে আটকে রাখার ঘটনাটি পুলিশের মাধ্যমে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে থানা পুলিশের সঙ্গে ওই কনস্টেবলকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’ আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মাসুদ রানা শনিবার রাতে বলেন, ‘ওই ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একটি লিখিত প্রতিবেদন দিয়েছি। এ বিষয়ে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’
১৯ মে ২০২৪, ১৯:০০

ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে আটক রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী 
ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী তৈমুর ইভানভকে আটক করেছে দেশটির শীর্ষ তদন্তকারী সংস্থা। তাকে আটকের আগে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার ফৌজদারি দণ্ডবিধির ২৯০ অনুচ্ছেদের ৬ অংশের অধীনে ইভানভকে আটক করা হয়েছে। এই দণ্ডবিধি তখনই প্রযোজ্য হয় যখন সন্দেহভাজন অভিযুক্তের ঘুষ নেওয়ার পরিমাণ ১০ লাখ রুবল ছাড়িয়ে যায়। অপরাধ প্রমাণিত হলে উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বড় অংকের জরিমানা এবং ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। ২০২২ সালে প্রয়াত বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনির প্রতিষ্ঠিত গ্রুপ দুর্নীতিবিরোধী ফাউন্ডেশন (এসিএফ) ইভানভকে 'রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের অঞ্চলগুলিতে নির্মাণের সময় দুর্নীতির পরিকল্পনায়' অংশগ্রহণের জন্য অভিযুক্ত করেছিল। এসিএফ বলছে, বিশেষ করে ইউক্রেনীয় বন্দরনগরী মারিউপোলের নির্মাণ প্রকল্প থেকে লাভবান হয়েছেন তৈমুর ইভানভ। এই শহরের বেশিরভাগই ইউক্রেনে আগ্রাসনের সময় কয়েক মাস ধরে চলা রুশ বোমা হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। উল্লেখ্য, গত আট বছর ধরে তৈমুর ইভানভ রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। দেশটির সামরিক অবকাঠামো প্রকল্পের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। 
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৪

পর্নো তারকাকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় ট্রাম্পের বিচার শুরু
পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় নিউইয়র্কের ম্যানহাটন আদালতে হাজির হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্য দিয়ে আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) ফৌজদারি মামলায় তার বিচার শুরু হলো।  প্রসঙ্গত, ট্রাম্পই হচ্ছেন প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন। এ মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মোট ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে। অবশ্য সবগুলো অভিযোগই অস্বীকার করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আইনের দিক থেকে ভুল কিছু করেননি বলে দাবি তার। এমনকি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে সম্পর্কের কথাও অস্বীকার করেছেন তিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, তার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খুলতে ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় সাবেক পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। ওই অর্থ লেনদেনের বিষয়টি গোপন রাখতে নিজের ব্যবসায়িক রেকর্ডেও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে অভিযোগ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। এদিকে মুখ বন্ধ রাখতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের তৎকালীন আইনজীবী মাইকেল কোহেন প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস। উল্লেখ্য, সোমবার জুরি নির্বাচনের মাধ্যমে শুরু হওয়া বিচার প্রক্রিয়ায় ছয় সপ্তাহ লেগে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের সর্বোচ্চ চার বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে জরিমানা দিয়ে তিনি কারাবাস থেকে রেহাই পেতে পারবেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চারটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তবে নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষের এই মামলাতেই আদালতকক্ষে হাজির হতে হল রিপাবলিকান পার্টির সম্ভাব্য এই প্রার্থীকে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৫

গুনে গুনে ঘুষ নেওয়া ভূমি কার্যালয়ের সেই সহকারী বরখাস্ত
দপ্তরে সেবা নিতে আসা এক ব্যক্তির কাছ থেকে গুনে গুনে ঘুষের টাকা নেওয়া কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের সহকারী আবদুল কাদির মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, আবদুল কাদির মিয়াকে প্রথমে শোকজ করা হয়েছিল। শোকজের জবাবে তিনি জমি খারিজ করে দেওয়ার পর এক ব্যক্তি তাকে টাকা দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। তবে কোনো সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে এভাবে টাকা নেওয়া যায় না। সম্প্রতি ভূমি অফিসে বসে সেবাগ্রহীতাদের থেকে আব্দুল কাদির মিয়ার ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, সেবাগ্রহীতা বলছেন, ‘সব খারিজ তো সমান না। গরিব মানুষ, কাজটা করে দিয়ে দেন।’ উত্তরে আবদুল কাদির বলেন, ‘কথা ছিল ৬ হাজার টাকা দেবেন। কম দিতে পারবেন না। প্রয়োজনে পরে হলেও দিতে হবে। একটা কাজ করে কিছু টাকা পাওয়া না গেলে চলে?’ এরপর টাকাগুলো গুনে পকেটে ভরেন আবদুল কাদির। সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ, ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করেন না মাইজখাপন ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের সহকারী আবদুল কাদির মিয়া। ঘুষ না দিলে কাজ তো দূরের কথা সেবা নিতে আসা লোকজনের সঙ্গে কথাও বলতে চান না তিনি।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৩

মাদরাসায় কর্মচারী নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের উজির আলী দাখিল মাদরাসার দপ্তরি ও আয়া পদে নিয়োগের জন্য তিনটি পদের বিপরীতে একাধিক লোকের কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ডিজির প্রতিনিধি বেনজির আহমেদ ও মাদরাসা সভাপতি রফিকুল ইসলাম রিপন এবং মাদরাসা সাবেক ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. মোকাররমের বিরুদ্ধে একাধিক চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ করেছেন। আর ঘুষ বাণিজ্যে ওই মাদরাসার শিক্ষক কারী মহিউদ্দিন সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের। জানা গেছে, ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় পাথরঘাটা মহাবিদ্যালয়ের ডিজির ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার উপস্থিতি নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়‌। আর পরীক্ষা শুরুর আগেই চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে ডিজি ও মাদরাসার সভাপতির নাম ভাঙিয়ে ৫০ হাজার থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মোকাররম ও কারী মহিউদ্দিন। এ ছাড়াও চাকরি নিশ্চিত করতে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে বলে জানান অভিযুক্তরা। বিষয়টি জানাজানি হলে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করতে বলে চলে যান। কিন্তু ডিজির প্রতিনিধি ও মাদরাসার সভাপতি নিয়োগের কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করেন।  নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক চাকরিপ্রার্থী জানান, মাদরাসার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সুপার মোকাররম ও কারী মহিউদ্দিন তাদের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে ডিজি ও সভাপতিকে ম্যানেজ করতে টাকা নিয়েছে। মাদরাসার সভাপতি আ.লীগ নেতা। যদি নাম প্রকাশ করা হয় তাহলে তাদের সমস্যা হবে। অভিযোগের বিষয়ে ডিজির প্রতিনিধি বেনজির আহমেদের সামনে মাদরাসার সভাপতি ও পাথরঘাটা উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রিপনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে নিয়োগ দিই তারপর কথা বলব। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেনজির আহমেদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত মাওলানা মোকাররমকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ফোন কেটে দিয়ে সুইচ অফ করে রাখেন। বরগুনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন মুঠোফোনে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি অনিয়ম দেখে নিয়োগ পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে চলে এসেছি। এ ব্যাপারে আমাকে ফোন না করে ওখানে (ডিজির প্রতিনিধির সঙ্গে) কথা বলেন।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৩৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়