• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নীল রঙের লবণ খেলে কী হয় জানেন
লবণ রান্নার জন্য খুবই দরকারি। লবণ ছাড়া খাবার স্বাদহীন। সাধারণভাবে আমরা সাদা রঙের লবণ দেখে এবং খেয়ে অভ্যস্ত। সাদা লবণই বাড়িতে আনা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আয়োডাইজড এই লবণই রান্নায় পড়ে। কিন্তু এর বাইরেও রয়েছে লবণ।  যেমন অনেক বাড়িতে সৈন্ধব লবণ এবং বিটনুন খাওয়া হয়। এগুলো গোলাপি লবণ হিসাবেও পরিচিত। কিন্তু যেটা খুব কম মানুষই জানেন, সেটা হলো নীল লবণ। অনেকেতো অবাকও হতে পারেন এটা শুনে যে লবণ নীল রঙেরও হয়।  নীল রঙের লবণ খেলে শরীরে কেমন প্রভাব পড়বে জেনে নিন- নীল রঙের লবণ আসলে রয়েছে। আর তার কদরও সীমাহীন। নামকরা রাঁধুনিদের কাছে নীল লবণ মানে শুধুই লবণ নয়, একটা আভিজাত্য। এবং সমাজের এক শ্রেণীর মানুষের কাছেও তাই। কিন্তু জানেন কি এই লবণ কোথায় পাওয়া যায় এবং এই লবণের বিশেষত্ব? নীল লবণ ভারতে পাওয়া যায় না। তবে এশিয়ারই একটি দেশে পাওয়া যায়। এটি হলো ইরান। এই দেশে এই বিশেষ লবণ পাওয়া যায়। নীল লবণের পোশাকি নাম পারসিয়ান সল্ট। প্রায় ২ হাজার বছর আগে ইরানে এই লবণ আবিষ্কার হয়। তার ব্যবহারও শুরু হয়। তারপর থেকে এই লবণ খনি থেকে তোলা চলছে। খনিতে জমাট বাঁধা এই লবণ তুলে এনে রোদে শুকিয়ে নিয়ে তার পরে এই নীল লবণ তৈরি হয়। এই লবণ নীল রঙের দেখতে হয়, তার কারণ এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ। এই লবণে ভরা থাকে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়াম। এ লবণ দেখতেও খুব সুন্দর বলে মনে করেন অনেকে। ফলে তা খাবার টেবিলে অন্য একটা মাত্রা যোগ করতে পারে। সেই সঙ্গে এর খাদ্যগুণও অনেক। খেতে অবশ্য সাধারণ লবণের মত নয়, একটু অন্যরকম। খেলে খনিজের স্বাদ স্পষ্ট। তবে খেতে ভালো বলেই মত সকলের। জিভে গেলে একটা তাজা অনুভূতি দেয় এই লবণ। 
১০ ঘণ্টা আগে

গরমে দই খেলে পাবেন যেসব উপকারিতা
দই একটি দুগ্ধজাত পণ্য যা গাঁজানো দুধ দিয়ে তৈরি। দইয়ে উপস্থিত ব্যাকটিরিয়া ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি করে, যা এটিকে টক স্বাদ এবং ক্রিমি অনুভব দেয়। দই বহু সংস্কৃতির প্রধান খাদ্য এবং এটি বহু বছর ধরে প্রত্যেকের ডায়েটে রয়েছে। গরমে দই খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। জেনে নিন উপকারিগুলো- দইয়ের প্রোবায়োটিক অনাক্রম্যতা, কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য এবং বিপাকীয় স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ভালো ব্যাকটেরিয়া শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।  নিয়মিত দই খেলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। প্রতিদিন দই খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমে। এটি ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা এবং হজমযুক্ত ব্যক্তিদের জন্যও ভালো।  দই অন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে এবং অনেক রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। দই হজমে উন্নতি করতে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, প্রদাহ এবং ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণের জন্য দই একটি খুব কার্যকর উপাদান।  দইয়ের শীতল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা গ্রীষ্মের রেসিপিগুলির জন্য দুর্দান্ত উপকরণ। এটি কেবল আপনার শরীরকে উত্তাপ রোধে সাহায্য করে, তা কিন্তু নয়। এটি খিদে সঠিকভাবে পরিচালনা করে আপনার ডাইনিং অভিজ্ঞতাকে উপভোগ্য করে তোলে। দই ক্যালসিয়ামের একটি ভালো উৎস যা প্রতিদিনের চাহিদার কমপক্ষে ৩০ শতাংশ সরবরাহ করতে পারে। দইয়ে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যা পেশী বৃদ্ধি এবং টিস্যু মেরামতের ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে। এটিতে ভিটামিন বি ১২ রয়েছে যা লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনের পাশাপাশি মস্তিষ্কের ক্রিয়ায় সহায়তা করে। দইয়ে অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে বা কোলন এবং স্তন ক্যান্সার থেকে শরীরকে রক্ষা করতে পারে।   দইয়ে উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন উপাদান আমাদের দীর্ঘ সময়ের জন্য খিদে মেটায় এবং অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করে, এইভাবে ওজন পরিচালনায় সহায়তা করে।  দই কার্যকরভাবে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সংক্রমণ এবং ফ্লুর মতো শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। 
১৩ ঘণ্টা আগে

‘হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে না খেলে ভুল করেছি’
চলতি আইপিএলের ৩০তম ম্যাচে হায়দ্রাবাদের মুখোমুখি হয়েছিল বেঙ্গালুরু। ৫৪৯ রানের ম্যাচে ২৫ রানে হেরেছে কোহলিরা। রান বন্যার ম্যাচে খেলা হয়নি অজি অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের। নিজে থেকেই বিশ্রাম নিয়েছিলেন তিনি। তবে এই ম্যাচ না খেলায় আফসোস হচ্ছে এই অজি ক্রিকেটারের। এবারের আসরে এখন পর্যন্ত নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি ম্যাক্সওয়েল। ৬ ম্যাচ খেলে মাত্র ৩২ রান করেছেন এই অজি অলরাউন্ডার। তাই মানসিক ও শারীরিকভাবে সতেজ থাকতে বিশ্রাম নেন তিনি। সোমবার (১৫ এপ্রিল) হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন ম্যাক্সওয়েল। এ সময় একাদশের বাইরে থাকা নিয়ে তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব সহজ ছিল। আগের ম্যাচ (মুম্বাইয়ের বিপক্ষে) শেষে ফাফ (ডু প্লেসি) ও কোচদের কাছে গিয়ে বলেছি, আমার মনে হচ্ছে সম্ভবত অন্য কাউকে দিয়ে চেষ্টা করার এটাই সময়।  ‘এ ধরনের পরিস্থিতিতে আমি আগেও পড়েছি। যত বেশি খেলেছি, পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গিয়েছে। তাই আমি অনুভব করেছি নিজেকে একটু মানসিক ও শারীরিকভাবে বিশ্রামে রাখা প্রয়োজন, যাতে আমার শরীর আবারও সঠিক অবস্থায় ফিরে আসে।’ গত নভেম্বরের শুরু থেকে ১৭ টি-টোয়েন্টি খেলে ৪২.৪৬ গড় ও ১৮৫.৮৫ স্ট্রাইকরেটে ৫৫২ রান করেন তিনি। যেখানে দুটি সেঞ্চুরিও আছে। কিন্তু আইপিএলে আসতেই বদলে গেল ম্যাক্সওয়েলের রূপ। এ নিয়ে অজি অলরাউন্ডার বলেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমনটা হতে পারে। এটা পরিবর্তনশীল একটা খেলা। প্রথম ম্যাচের কথাই যদি বলি, বল কিন্তু আমার ব্যাটের মাঝ বরাবর লেগেছিল। এরপরও বল কিপারের হাতে গেছে। রান করার সুযোগ আছে দেখে আমি একটু আগেই শট খেলে ফেলেছিলাম। সময় আমার পক্ষে থাকলে বল (কিপারের) গ্লাভসের অনেক দূর দিয়ে যেত। প্রথম বলেই আমি বাউন্ডারি পেয়ে যেতাম। টুর্নামেন্টের শুরুটাও ভালো হতো। কিন্তু সেটা হয়নি।’ তবে রান বন্যার ম্যাচে বিশ্রাম নিয়ে কিছুটা আফসোসও হচ্ছে ম্যাক্সওয়েলের। তিনি বলেন, পাওয়ার প্লের সময় লক্ষ্য করলাম এই পিচ আগের ম্যাচগুলোর মতো অতটা মন্থর এবং অসম গতির নয়। বুঝতে পারলাম ম্যাচটা না খেলে ভুল করেছি। এমন পিচে ব্যাট করতে পারলে ভালোই হতো (হাসি...)।  তিনি আরও বলেন, এই টুর্নামেন্টে যদি আমাকে আবার দরকার পড়ে, তাহলে আশা করি আরও শক্ত মানসিকতা ও শারীরিক অবস্থা নিয়ে ফিরতে পারব। আমি এখনো মাঠে প্রভাব ফেলতে পারি।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫৯

চেন্নাইয়ের বিপক্ষে হেসে খেলে জয় পেলো হায়দ্রাবাদ
চলতি আসরের শুরুটা ভালো হয়নি সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের। তিন ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে তারা। যেখানে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইতিহা্স গড়ে হায়দ্রাবাদ। নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে চেন্নাইকে ছয় উইকেটে হারিয়ে জয়ে ফিরেছে প্যাট কামিন্সের দল। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে হায়দ্রাবাদকে ১৬৬ রানের লক্ষ্য দেয় চেন্নাই। জবাব দিতে নেমে ১১ বল এবং ছয় উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় হায়দ্রাবাদ। চলতি আসরের এটি তাদের দ্বিতীয় জয়। অন্যদিকে টানা দুই ম্যাচে হারের তিতো স্বাদ পেয়েছে চেন্নাই। চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে হায়দ্রাবাদের দুই ওপেনার  অভিষেক শর্মা এবং ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেবে ব্যাট করতে নামা ট্রাভিস হেড। দুজনের ব্যাটে ভর করে তিন ওভারের আগেই ৪৬ রান তোলে হায়দ্রাবাদ। ১২ বলে ৩৭ রানের মারকুটে ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন অভিষেক। ফিফটি তুলতে পারেননি হেডও। ২৪ বলে ৩১ রান করে থিকশানাকে উড়িয়ে মারতে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন এই অজি ব্যাটার। হেডের আউটের পর শাহবাজকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন এইডেন মারক্রাম। ৩৫ বলে ফিফটি তুলে নেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। পরের বলেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। এরপর ব্যাট চালাতে থাকেন শাহবাজ। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি এই বাঁহাতি ব্যাটার। ১৯ বলে ১৮ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত হেইনরিচ ক্লাসেনের ১০ বলে ১১ রান এবং নিতিশ কুমার রেড্ডির ৮ বলে ১৪ রানে ভর করে ১১ বল এবং ছয় উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় হায়দ্রাবাদ। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করে চেন্নাই সুপার কিংসের দুই ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র এবং রুতুরাজ গাইকোয়াড়। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি দুইজনের কেউই। ৯ বলে ১২ রান করে রাচিন আউট হলেও ২১ বলে ২৬ রান করে তার দেখানো পথে হাঁটেন চেন্নাই দলপতি। চতুর্থ উইকেটে রাহানেকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন শিভাম ডুবে। দুজনের ব্যাটে ভর করে এগিয়ে যেতে থাকে চেন্নাই। পাঁচ রানের আক্ষেপ নিয়ে আউট হন ডুবে। ২৪ বলে ৪৫ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এরপর ৩০ বলে ৩৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন রাহানে। ২০তম ওভারে তৃতীয় বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন ড্যারিল মিচেল। শেষ পর্যন্ত জাদেজার ২৩ বলের অপরাজিত ৩১ রানে ভর করে ১৬৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় চেন্নাই।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২৮

পুলিশ সদস্য মাদক খেলে চাকরি যাবে, মামলাও হবে : আইজিপি
পুলিশ সদস্যের মাদক সেবনের প্রমাণ পেলে চাকরি যাবে সঙ্গে মামলাও হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। পুলিশ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের প্যারেড গ্র্যাউন্ডে এক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি হুঁশিয়ারি দেন। আইজিপি বলেন, কোনো পুলিশ সদস্য মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকলে সাধারণ মানুষের চেয়েও বেশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে শুধু মামলা দেওয়া হয়। আর পুলিশ সদস্যদের শুধু মাদক খাওয়ার প্রমাণ মিললে চাকরি যাবে সঙ্গে মামলাও হবে। তিনি বলেন, নিয়োগের সময় প্রতিটি পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করা হয়। তাই যারা মাদকাসক্ত তাদেরকে সতর্ক করে দিচ্ছি, মাদকাসক্ত হলে পুলিশে কেউ চাকরি পাবে না। মাদক ও দুর্নীতি সমাজের নীরব ঘাতক উল্লেখ করে আল-মামুন বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাস যেভাবে নিয়ন্ত্রণে এসেছে, সেভাবে মাদক নিয়ন্ত্রণেও সফল হতে হবে। মাদকবিরোধী অভিযানে পুলিশ জয়ী হবে।   তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ তথা প্রধানমন্ত্রীর ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই। আইজিপি বলেন, প্রতিটি থানাকে মানুষের আস্থা ও ভরসার কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠাত করতে চাই। যাতে সবাই নির্ভয়ে থানায় আসতে পারেন। সেজন্য প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে। পুলিশ সদস্যরা সেবা দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এর আগে, এদিন সকালে প্রশংসনীয় ও ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ৪৮৮ জন পুলিশ সদস্যকে ‘আইজিপিস এক্সেমপ্ল্যারি গুড সার্ভিসেস ব্যাজ’ বা আইজিপি ব্যাজ পরিয়ে দেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।  
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৩

চেহারায় বয়সের ছাপ পড়বে না যেসব খাবার খেলে
সময় আর স্রোত কারো জন্যে অপেক্ষা করে না।সময়ের কাঁটা এগিয়ে চলে নিজস্ব নিয়মে। আজ আপনি তরুণ, আছে তারুণ্যের উচ্ছ্বলতা। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে প্রতিনিয়ত কমে আসবে উচ্ছলতা। দেখতে দেখতে আপনারও বয়স হবে। বয়স ৪০ হলেই সতর্ক হতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে খাবার মেনুর দিকে। চেহারায় বয়সের ছাপ পড়বে না যেসব খাবার খেলে, সেসব খাবার খান। খেতে পারেন দুধ, কলা ও ওটস। যা আপনার তারুণ্য ধরে রাখবে। দুধ খাবেন নিয়মিত আছে উচ্চ প্রোটিন ও পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম। যা পেশির শক্তি বাড়ায় এবং হাড়ের ক্ষয় থেকে মুক্তি দেয়। ৪০ পার হওয়ার পর শরীরের অতিরিক্ত পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজন হয়।তাই প্রতিদিন সকালে একগ্লাস দুধ পান হতে পারে আপনার তারুণ্য ধরে রাখার অণ্যতম উপায়। পটাশিয়াম ও আয়রনের ঘাটতি পূরণে কলা কলায় প্রচুর ভিটামিন, পটাশিয়াম ও আয়রন রয়েছে। স্বাস্থ্যকর ডায়েটের অংশ হলো উপকারী খনিজ সমৃদ্ধ খাবার। কলা দ্রুত শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। মেনুতে থাকতে হবে ওটস ৪০ পার হওয়ার পর সকালের নাস্তায় ওটস হতে পারে উপকারী এমনটাই বলছেন পুষ্টিবিদরা। কারণ ওটসে আছে পর্যাপ্ত ফাইবার। ফাইবার হজমশক্তি বাড়ায়। যা শরীরে শক্তি জোগাতে সহায়তা করে। প্রতিদিন মাত্র ৩০ গ্রাম ওটস খান। বয়স বাড়লেও চেহারায় তার ছাপ পড়বে না। মিষ্টি আলু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমতে শুরু করে।মিষ্টি আলু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই মিষ্টি আলুর উপকারিতা সম্পর্কে আমারা অনেকেই জানিনা। এতে আছে প্রচুর কার্বস। যা সঠিক উপায়ে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। মিষ্টি আলুতে আছে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ। পাশাপাশি মুখের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোর কার্যকারিতা বাড়ায়। চোখ ভালো রাখে মিষ্টি আলু। ডার্ক চকোলেট চকলেট পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। সব বয়সের মানুষেরই কম বেশি চকলেট পছন্দ। বিশেষ করে ডার্ক চকোলেট আছে অনেকগুলো উপকারী খনিজ। মন ভালো রাখতে ও শক্তি বৃদ্ধির জন্য ডার্ক চকোলেট খেতে পারেন। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত ক্যাফেইন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। সুস্থ ও সুন্দর রাখতে সাহায্য করে ক্যাফেইন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:৩০

মদ খেলে কি ৪০ দিন শরীর নাপাক থাকে?
মদ নাপাক এবং মদ্যপান সরাসরি কোরআনে ঘোষিত অকাট্য হারাম কাজ। আনন্দ-ফুর্তি, উদযাপনের অংশ হিসেবেও অনেকে মদ পান করেন এবং একে স্বাভাবিক ব্যাপার মনে করেন। কিন্তু এতে শারীরিক বিভিন্ন ক্ষতির পাশাপাশি ধর্মীয় বিধি-নিষেধের ব্যাপারটি বেমালুম ভুলে যান। অথচ পবিত্র কোরআনে মদ পানকে শয়তানের কর্ম বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে,  یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنَّمَا الۡخَمۡرُ وَ الۡمَیۡسِرُ وَ الۡاَنۡصَابُ وَ الۡاَزۡلَامُ رِجۡسٌ مِّنۡ عَمَلِ الشَّیۡطٰنِ فَاجۡتَنِبُوۡهُ لَعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ اِنَّمَا یُرِیۡدُ الشَّیۡطٰنُ اَنۡ یُّوۡقِعَ بَیۡنَکُمُ الۡعَدَاوَۃَ وَ الۡبَغۡضَآءَ فِی الۡخَمۡرِ وَ الۡمَیۡسِرِ وَ یَصُدَّکُمۡ عَنۡ ذِکۡرِ اللّٰهِ وَ عَنِ الصَّلٰوۃِ ۚ فَهَلۡ اَنۡتُمۡ مُّنۡتَهُوۡنَ হে মুমিনগণ, মদ, জুয়া, প্রতিমা-বেদী ও ভাগ্যনির্ধারক তীরসমূহ নাপাক শয়তানের কর্ম। সুতরাং তোমরা তা পরিহার কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। শয়তান মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চার করতে চায়। আর (চায়) আল্লাহর স্মরণ ও সালাত থেকে তোমাদের বাধা দিতে। অতএব, তোমরা কি বিরত হবে না? (সুরা মায়েদা: ৯০-৯১) ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেছেন, لَعَنَ اللَّهُ الْخَمْرَ وَشَارِبَهَا وَسَاقِيَهَا وَبَائِعَهَا وَمُبْتَاعَهَا وَعَاصِرَهَا وَمُعْتَصِرَهَا وَحَامِلَهَا وَالْمَحْمُولَةَ إِلَيْهِ ‏ আল্লাহর লানত মদের ওপর, মদ পানকারীর ওপর, যে পান করায় তার ওপর, যে বিক্রি করে তার ওপর, যে ক্রয় করে তার ওপর, যে মদ তৈরি করে, যার নির্দেশে তৈরি করে, যে ব্যক্তি বহন করে এবং যার জন্য বহন করে তাদের সবার ওপর। (সুনানে আবু দাউদ) রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি মদ পান করে ৪০ দিন পর্যন্ত তার নামাজ কবুল হয় না। হ্যাঁ, সে যদি তওবা করে আল্লাহ তাআলা তার তওবা কবুল করেন। (সুনানে তিরমিজী, হাদিস: ১৮৬২, ইমাম তিরমিজী এই হাদিসকে হাসান বলেছেন)   এ হাদিসের উদ্দেশ্য মদ্যপান কত গর্হিত গোনাহ তা বোঝানো এবং মানুষকে সাবধান করা। অনেকের মধ্যে একটা ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে যে, মদ খেলে ৪০ দিন শরীর নাপাক থাকে এবং নামাজ পড়লে নামাজ শুদ্ধ হয় না। এ ধারণা সঠিক নয়। মদ নাপাক ও মদ্যপান গর্হিত হারাম কাজ হলেও, শয়তানের ধোঁকায় পড়ে কখনও মদ খেয়ে ফেললে সেজন্য নামাজ বাদ দেওয়া যাবে না। নামাজ পড়তে হবে এবং মদ খাওয়ার গর্হিত গুনাহের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৫

কাঁচা ছোলা খেলে কী হয় জানেন?
সকাল হোক কিংবা বিকেল আপনার প্রতিদিনের খাবারে রাখুন কাঁচা ছোলা। উচ্চ রক্তচাপ থেকে ওজন সব কিছুই থাকবে আপনার আয়ত্বে। পুষ্টির পাওয়ার হাউস বলা হয় কাঁচা ছোলাকে। কাঁচা ছোলা পানিতে ভিজিয়ে খেলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। চিকিৎসকরা জানান, ছোলা পুষ্টিকর একটি শস্যদানা। ছোলা আমিষ, ট্রিপট্যোফান, কপার, ফসফরাস এবং আয়রণ সমৃদ্ধ। সন্ধ্যা কিংবা সকালের খাবারে কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে কিংবা সেদ্ধ করে শসা, পেঁয়াজ কিংবা গুড়ের সাথে খাওয়া খুব উপকারী। ছোলা ভিটামিন, খনিজ লবণ, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস সমৃদ্ধ। সেগুলো কী-কী চলুন দেখে নেওয়া যাক- >> কাঁচা ছোলা হলো এনার্জিতে ভরপুর একটি খাবার। কাঁচা ছোলা খেলে আপনার সহজে ক্লান্তি অনুভব করবেন না। এই খাবার আপনার পেটকে ভর্তি রাখবে এবং কাজ করার এনার্জি জোগাবে। >> কাঁচা ছোলার মধ্যে থাকা প্রোটিন পেশি গঠনে এবং দেহের একাধিক কার্যকারিতা সচল রাক্তে সাহায্য করে।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৩০

খালি পেটে এই পানি খেলে ওজন কমবে নিমিষেই
রান্নাঘরের মশলা কালোজিরা কোনও ওষুধের চেয়ে কম নয়। এতে অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে, যা আমাদের শরীর থেকে অনেক রোগ দূর করতে সাহায্য করে। স্বাদে সামান্য তিতা হলেও হাজারো রোগের চিকিৎসায় শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে কালোজিরা। কালোজিরা বিভিন্ন রকমভাবে ব্যবহার করা যায়। এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ফাইবার, অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন বি-৬ এবং ভিটামিন বি-১২ পাওয়া যায়। এটি ওজন কমানোর জন্যও দারুণ কার্যকরী।  চিকিৎসকদের মতামত অনুযায়ী, কালোজিরা স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও কাজ করে। এটি জয়েন্টের ব্যথাতেও উপকারি এবং এটি কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমতে দারুণ কার্যকরী। এটি নিয়মিত খেলে শরীরকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা পাবে। চিকিৎসকরা আরও জানান যে, কালোজিরা একটি গ্লাসে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন৷ তারপর সকালে উঠে তা ছেকে খেয়ে নিন৷ সকালে খালি পেটে এই পানি খেলে ওজনও কমবে তরতরিয়ে, শরীরও হবে চাঙ্গা। জেনে নিন কালোজিরার আরও গুণাগুণ- >> কালোজিরায় থাকা উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, কালোজিরা খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল কমাতে সাহায্য করে।  >> ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় কালোজিরা। বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে কালোজিরা। >> কালোজিরায় থাকা সক্রিয় উপাদানগুলো প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত কালোজিরা খেলে ভালো থাকবে লিভার। >> রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে কালোজিরা। এতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার অস্বস্তি দূর করতে পারে এটি। আবার কালোজিরার তেল ইনহেলেশন অ্যালার্জির ক্ষেত্রেও কাজে দেয়। >> কালোজিরায় থাকা ক্যালসিয়াম ও আয়রন হাড় শক্ত করতে ও রক্তে হিমোগ্লোবিন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এক চা চামচ মধুর সঙ্গে এক চা চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে খেলে সর্দি-কাশি থেকে রেহাই পাওয়া যায়। >> এ ছাড়া তুলসী পাতার রসের সঙ্গে মধু ও কালোজিরা মিশিয়ে খেলে গলা ব্যথা, জ্বর, সর্দি, কাশি কমে যায়।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:২২

মমো খেলে যেসব ক্ষতি হতে পারে 
ফাস্টফুড খেতে কম বেশি সবাই ভালবাসে। তেমনই স্ট্রিট ফুডেও আজকাল বেশ জনপ্রিয়তা লক্ষ করা যাচ্ছে। আর স্ট্রিটফুডের মধ্যে মমোর বেশ কদর রয়েছে। ছোট থেকে বড়দের কাছে প্রিয় একটি খাবার মমো। ফাস্টফুডের তালিকায় অনেকরই প্রথম পছন্দ এ খাবারটি। তবে ফাস্টফুডের বেশিরভাগ জিনিসই ময়দার তৈরি, যা সরাসরি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। খিদে পেলেই অনেকে এক প্লেট মমো খেয়েই শান্ত হয়ে যান৷ তবে এই মমো যে শরীরের কতটা ক্ষতি করছে তা ভাবতেও পারবেন না৷ অনেকেই ভাবেন ভাজা মমো খেলে হয়তো শরীর খারাপ হয়। তবে মমো ভাজা হোক বা সেদ্ধ উভয়ই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষজ্ঞদের মতে, মমো শুধু ক্ষতিকরই নয়, এটি অনেক রোগের কারণও হতে পারে। মমো খেলে পাইলস থেকে আলসারের মত নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যারা মমো খেতে খুব পছন্দ করে, তারা বাড়িতেই মোমো তৈরি করে খেতে পারেন। এটি অনেকাংশে স্বাস্থ্যকর। তবে এর সঙ্গে মশলাদার চাটনি না খেয়ে, তার পরিবর্তে ধনে পাতা, আদা ও রসুন দিয়ে সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর চাটনি তৈরি করে খেতে পারেন। এটিও খুবই সুস্বাদু হয়। একটু সতর্ক থাকলে ভবিষ্যতে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়