• ঢাকা রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বাজারে পলিশ ছাড়া চাল বাজারজাত করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চাল সরু ও চকচকে করতে পুষ্টির অংশ ছাঁটাই করে ফেলা হয়। এতে চাল চকচকে হলেও কার্বোহাইড্রেট ছাড়া কিছুই থাকেনা। এছাড়া পরিমানেও চাল কমে যায়। আগামী আমন মৌসুম থেকে পালিশ (ছাঁটাই) বিহীন চাল বাজারজাত করার আইন কার্যকর হবে। সেই লক্ষে মিলারদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।  বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে নওগাঁ সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে বোরো সংগ্রহ অভিযান ২০২৪ সফল করার লক্ষে নওগাঁ খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী আরও বলেন, সরকারিভাবে সে সকল চাল বিতরন করা হবে আর মিলাররা যে সকল চাল বাজারজাত করবে সকল চালই পলিশ ছাড়া বাজারজাত করা হবে। কোম্পানি, অটোমিল, হাস্কিং রাইস মিল যারাই চাল বাজারজাত করবে সকল চাল হবে পলিশ ছাড়া। পলিশ ছাড়া চাল বাজারজাত হলে ভোক্তা পর্যায়ে চালের যে পুষ্টি ও গুনগতমান সেটা ঠিক থাকবে। আর এমনটাই চায় সরকার। এ বছরের আমন মৌসুম থেকে পলিশ ছাড়া চাল ভোক্তা পর্যায়ের বাজারজাত করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রী। নওগাঁ জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা'র সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় জেলা পুলিশ সুপার রাশিদুল হক, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহিরুল ইসলাম খান, জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, মিল-মালিকসহ জেলা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
০২ মে ২০২৪, ১৬:২০

বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন সর্বদা। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বুধবার (১ মে) সকালে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় শ্রমিক লীগ নওগাঁ জেলা শাখা আয়োজিত মহান মে দিবসের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম) শীর্ষ সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ভাষণে মেহনতি মানুষেরই জয়গান গেয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘বিশ্ব আজ দুভাগে বিভক্ত, একদিকে শোষক, আর অন্যদিকে শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে।’ এই ভাষণ বিশ্বের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান দিয়েছিলো বঙ্গবন্ধুকে। বঙ্গবন্ধু জানতেন শোষিত নিপীড়িত মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হলে সমাজে সাম্যতা আসবে না। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমার বাংলার মাটি যদি থাকে, মানুষ যদি থাকে, একদিন এই বিধ্বস্ত বাংলাকেই আমি সুজলা, সফলা, শস্য-শ্যামল বাংলায় রূপান্তরিত করব।’ বাংলাদেশ এখন খাদ্য শস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। শ্রমিকরাই জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল রাখে। তাই শ্রমিকদের জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। উন্নত কর্মপরিবেশ শ্রমিকের কর্মদক্ষতা ও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। তাই শোভন কর্মপরিবেশ তৈরিতে বিনিয়োগ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ উন্নয়ন হয়েছে, হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। শ্রমিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের কল্যাণে মালিকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মজুরি বৃদ্ধি করেছেন। দেশের ভেতরে ও বাইরে কর্মরত শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রমে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অচিরেই স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম এ খালেক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল, বিভাস মজুমদার গোপাল, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ বকুল, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. আব্দুল মজিদ, ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান উপস্থিত ছিলেন।  উল্লেখ্য, ‘শ্রমিক- মালিক গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ এ বছর মহান মে দিবস এ প্রতিপাদ্য নিয়ে পালন করা হচ্ছে। এরপরে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
০১ মে ২০২৪, ১৩:৫৩

‘জয় বাংলা স্লোগান’ মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা : খাদ্যমন্ত্রী
জয় বাংলা স্লোগানকে মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।  বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নওগাঁ জেলা প্রশাসন আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছেন। তার হাত ধরেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে। ওই ভাষণে জাতির জন্য স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। এটি এমন একটি ভাষণ যেখানে তিনি এক কথা দুইবার উচ্চারণ করেননি। অথচ সব দিকনির্দেশনা সেখানে ছিল। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ৭ মার্চের ভাষণ দিতে বঙ্গবন্ধুকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের তখনকার অনেক কেন্দ্রীয় নেতা বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন আপনার বক্তৃতায় এটা বলবেন, ওটা বলবেন। কিন্তু বঙ্গমাতা জাতির পিতাকে বললেন, আপনি আপনার মনের কথা বলবেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতি সেদিন বঙ্গবন্ধুর কথা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনেছিল। তার নির্দেশনা মেনে স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতা এনেছিল। দীর্ঘদিন বাংলাদেশের মানুষকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনতে বাধা দেওয়া হয়েছে। কেউ মাইকে এটি বাজালে তাকে অত্যাচার করা হয়েছে। সেই ভাষণ এখন আমাদের গর্বের বিষয়। ইউনেস্কো এটাকে বিশ্বের সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ী ভাষণ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন। এর আগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৮

রমজানে ৫০ লাখ পরিবারকে চাল দেওয়া হবে : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আসন্ন রমজান উপলক্ষে আগামী ১০ মার্চের মধ্যে ৫০ লাখ পরিবারের মাঝে দেড় লাখ টন চাল বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন শেষে তিনি এই কথা বলেন।  খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১ মার্চ থেকেই লিফটিং (ডিলারদের চাল উঠাতে) করতে বলেছি। ১ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত আমাদের একটি সিদ্ধান্ত ছিল। সেটা কমিয়ে ১০ মার্চের মধ্যে ৫০ লাখ পরিবারকে দেড় লাখ টন খাদ্য বিতরণ শেষ করা হবে। এই চাল বিতরণে বাজারে স্বস্তি ফিরবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেড় লাখ টন চাল যদি বাজারে ১৫ টাকা দরে যায়, তাহলে ৫০ লাখ পরিবারকে বাজার থেকে চাল কিনতে হবে না। এতে স্বস্তি আসবে বলে মনে করি। ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে বস্তায় চালের দাম ও জাত লেখা রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে কি না জানতে চাইলে সাধন চন্দ্র বলেন, আমরা ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরিপত্র জারি করব বলেছিলাম, আর কার্যকর করব ১৪ এপ্রিল বা পহেলা বৈশাখ থেকে। তখন বাজারে বোরোর নতুন চাল আসবে। যেসব চাল এখন বাজারে বস্তায় এবং সিল মারা আছে সেগুলো এখন আর কেউ প্যাকেট চেঞ্জ করবে না। কাজেই নতুন বছরে বোরো চাল উঠবে, তখন থেকে এটা কার্যকর হবে। ডিসিদের কাছে হালনাগাদ তথ্য আছে কি না জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ডিসি-মিল মালিকদের সঙ্গে মিটিং শুরু হয়েছে। ধান ও চালের জাতের যে নমুনা, সেটা তাদেরও সরবরাহ করা হচ্ছে। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আউশ, আমন ও বোরোতে কোন কোন জাত, কোনটা মোটা, মাঝারি ও সরু সেই জাত দিয়েছে, সেটা নিয়ে তাদের সঙ্গে কাজ করছি। সাধন চন্দ্র বলেন, মজুতবিরোধী অভিযান অনেকাংশেই সফল হয়েছে। বস্তার গায়ে জাতের নাম লেখা নিয়ে যে সিদ্ধান্ত এসেছে, সেটা বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করতে ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৬

অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি রোধে ভোক্তাদের সতর্ক থাকতে হবে : খাদ্যমন্ত্রী 
আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি রোধে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি ভোক্তাদেরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।  শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পোরশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল হতে প্রাপ্ত চেক উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।  খাদ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের পরেই চালের দাম বাড়িয়ে একটি চক্র খেলতে চেয়েছিল। তাদের সে খেলা আমরা শক্তভাবে দমন করতে সক্ষম হয়েছি। প্রশাসনিকভাবে আমরা তাদের চক্রান্ত প্রতিহত করেছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, চালের বাজার এখন একটা স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছে।  তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলের চেক অনেকেই পেয়েছেন। দলমত নির্বিশেষে দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সাহায্য পায় বলেও উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী। এ সময় তিনি সকলকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া এবং তার পাশে থাকার আহ্বান জানান। শেষে উপজেলার ৩৭জন উপকারভোগী প্রতিজনের হাতে একটি করে ৫০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেন।  উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ইউএনও আরিফ আদনানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ্ মঞ্জুর মোরশেদ চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান কাজীবুল ইসলাম ও মমতাজ বেগম, কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, আবাসিক মেডিকেল অফিসার তারিকুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমানসহ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ইউএনও’র কার্যালয়ে সেচ কমিটির সভায় যোগদান করেন।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২৪

অবৈধ মজুতকারীরা বিএনপির দোসর : খাদ্যমন্ত্রী
অবৈধ মজুতকারীদের বিএনপির দোসর বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, যারা অবৈধ মজুত করে খাদ্যের সংকট তৈরি করে তারা দেশের শত্রু। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নওগাঁর নিয়ামতপুরে শীবনদীর ওপর ১৯২ মিটার দীর্ঘ নবনির্মিত সেতুর চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অবৈধ মজুতকারীরা বিএনপির দোসর বলেই তারা শেখ হাসিনাকে উৎখাত করতে চায়, বেকায়দায় ফেলতে চায়। নির্বাচনের দুই দিন আগে হঠাৎ করে অসাধু ব্যবসায়ীরা চালের দাম ৮ থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে দেয়। তারা মনে করেছিল, অন্য কেউ খাদ্যমন্ত্রী হলে বুঝতে বুঝতে একমাস পার হয়ে যাবে। যখন তারা দেখেছে মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, তখন তারা বেকায়দায় পড়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ সে চেতনার পক্ষে রায় দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছেন।  সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমি যেখানে মন্দির করেছি তার পাশে মসজিদও তৈরি করেছি। আমি মানব সেবা করি, মানব ধর্ম পালন করি। বাহাদুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল খালেক, নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৪১

আইন মেনে ব্যবসা না করলে সরকার কঠোর হবে : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, আইন মেনে ব্যবসা না করলে সরকার কঠোর হবে। আইনের বাইরে কেউ ধান-চালের ব্যবসা করতে পারবে না। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে করণীয় নির্ধারণে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশে যে চাল আছে তাতে আমদানি করার প্রয়োজন নেই। যেমন চালের বাজার নিয়ে ম্যাসাকার না হয়ে যায় সেজন্য বেসরকারিভাবে চাল আমদানিতে ট্যাক্স ফ্রি করা হচ্ছে। চালের বাজারের অস্থিরতা নিয়ে মন্ত্রী ব্যবসায়ীদের লোভ-লালসাকে দায়ী করে বলেন, আমরা মোবাইল কোর্ট করে কাউকে অপমানিত করতে চাই না। যদি কেউ বাধ্য করে তাহলে তো করতেই হবে। ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুল হাই, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান হুসাইনি, জেলা পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিয়া আক্তার চৌধুরীসহ জেলা উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, জেলা চালকল মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২১

চালের দাম বাড়ালে মিলের লাইসেন্স বাতিল : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানো আমাদের নির্বাচনী ওয়াদা ছিল। এই কারণে চালসহ সকল নিত্য পণ্যের দাম কমাতে সরকার জিরো টলারেন্স। আশা করছি আমরা সফল হবো। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দেশের বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগর পরিদর্শন ও জেলা চালকল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।  খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কর্পোরেট ব্যবসায়ীরা সুপার শপে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে নিম্ন পর্যায়ের খুচরা বাজারেও দাম বেড়ে যাচ্ছে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ও অতি মুনাফার লোভে কিছু মানুষ এটা করছে। তিনি আরও বলেন, কুষ্টিয়াতে এ অভিযান প্রথম নয়। সারাদেশেই অভিযান চলছে। কুষ্টিয়ায় যে দাম বেধে দেওয়া হয়েছে সেটাই থাকবে। সেটা বাস্তবায়নে আমরা তীক্ষ্ন দৃষ্টি রাখছি। যারা প্রতিযোগিতা করে চালের দাম বাড়াচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, জেল জরিমানা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে এদের মিলের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে দুপুরে অবৈধ মজুতসহ কেউ কোনো অনিয়ম করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চালের দাম বাড়াচ্ছে কি না এসব খতিয়ে দেখতে দেশের অন্যতম বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগর পরিদর্শন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের নেতৃত্বে অভিযানিক দল। এ সময় লাইসেন্স এর মেয়াদ না থাকা ও প্রয়োজনের অতিরিক্ত আটা মজুত করায় মেসার্স সুবর্ণা অটো ফ্লাওয়ার (আটার) মিলের গোডাউন সিলগালা করা হয়। এছাড়াও অবৈধ ধান মজুতের দায়ে আল্লাহর দান রাইচ মিলের ধানের গোডাউন সিলগালা করা হয়েছে। অভিযানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারসহ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছাড়াও কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা, পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব, কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অভিযান শেষে বিকেলে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার চালকল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন খাদ্যমন্ত্রী। বৈঠকে সাংবাদিকদের ক্যামেরা ঢুকতে দেয়া হয়নি। বৈঠক শেষে বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটের সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন খাদ্যমন্ত্রী। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এদিকে, মন্ত্রীর এই অভিযান ও বৈঠক শেষে চালকল মালিকরা বলছেন, তারা সরকারকে সহযোগীতা করতে চান। কুষ্টিয়া জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, বেধে দেওয়া দামেই বিক্রি করছেন তারা। তবে ধানের দাম বেড়ে গেলে কিছু করার থাকবে না। আপাতত চালের দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:২৬

দ্রব্যমূলের বাজারে ব্যবসায়ীদের সহনশীল ভূমিকায় থাকা উচিত : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, নির্বাচনের পর অন্তর্বর্তী সময়ে ব্যবসায়ীদের দ্রব্যমূল্যের বাজারে আরও সহনশীল থাকা উচিত ছিল। চার-পাঁচ দিনের ব্যবধানে বিবেকহীন ও মুনাফা-লোভী ব্যবসায়ীরা বাজারে দাম বৃদ্ধির জন্য মূলত বেশি দায়ী। রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নওগাঁ জেলার কর্মকর্তাবৃন্দ এবং জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিসভা গঠনের সময়ে ব্যবসায়ীরা চার-পাঁচ দিন সময়ের ব্যবধানে সব ধরনের নিত্যপন্যের দাম বাজারে বৃদ্ধি করেছিল। এই লভ্যাংশ নিয়ে তারা কি কবরে যাবেন, নাকি চিতাই উঠবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। মন্ত্রী কর্মকর্তা ও মিডিয়ার উদ্দেশে বলেন, কোনো ক্রমেই অবৈধ মজুতদারদের ছাড় দেওয়ার অবকাশ নাই। বাজার যারা বৃদ্ধি করবে তাদের ছাড় দেওয়া যাবে না। যদি ব্যত্যয় ঘটে তবে পরবর্তী পদক্ষেপ জরিমানা নয় সরাসরি জেলখানা। নওগাঁ জেলা প্রশাসক গোলাম মওলার সভাপতিত্বে সভায় জেলা পুলিশ সুপার রাশেদুল হক, সিভিল সার্জন আবু হেনা রায়হানুজ্জামান, গোয়ান্দা সংস্থা, র‍্যাব, বিজিবসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:১২

দেশের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র এখনও চলছে : খাদ্যমন্ত্রী 
২০২৪ সালের নির্বাচন ছিল উন্নয়নকে বেছে নেওয়ার ও আগুন-সন্ত্রাসকে প্রত্যাখ্যান করার নির্বাচন উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, জনগণ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছে। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) নওগাঁর নিজ নির্বাচনী এলাকায় নিয়ামতপুর উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য ও দ্বিতীয় মেয়াদে খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ এ সংবর্ধনার আয়োজন করে।  খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বিগত সময়ে নির্বাচিত হয়ে মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছি। মানুষকে ভালোবেসেছি, মানুষের ভালোবাসাও পেয়েছি। সামনের দিনগুলোতেও মানুষের সেবায় নিজেকে নিবেদিত রাখার অঙ্গীকার করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, দেশের বিরুদ্ধে সেই ষড়যন্ত্র এখনও চলছে। জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে। এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপির দেশবিরোধী সব অপচেষ্টা রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান।  নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদ হাসান বিপ্লবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফরিদ আহম্মেদ ও জেলা আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক মো. আবেদ হোসেন মিলন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন এবং নিয়ামতপুর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বজলুর রশীদ নঈম বক্তৃতা করেন। এর আগে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সকালে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিলের কম্বল শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করেন। পরে খাদ্যমন্ত্রী কৃষকদের মাঝে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করেন।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়