• ঢাকা রোববার, ২৬ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
২১ মে : ইতিহাসে আজকের এই দিনে
আজ মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়। ঘটনাবলি: ১৫০২ - জোয়া দ্য নোভা সেন্টের হেলেনা দ্বীপ আবিষ্কার করেন। ১৭৪৪ - ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের মধ্যে যুদ্ধ শুরু। ১৮৪০ - ক্যাপ্টেন হবসনের নিউজিল্যান্ডে ব্রিটিশ সার্বভৌমত্ব দাবি। ১৮৫১ - অস্ট্রেলিয়ায় স্বর্ণ আবিষ্কৃত হয়। ১৮৭৭ - দশম রুশ-তুরস্ক যুদ্ধ শুরু। ১৯০৪ - ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ফিফা) গঠিত। ১৯৩৮ - বেঙ্গল মোশন পিকচার এ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫৬ - প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম হাইড্রোজেন বোমা বিস্ফোরণ। ১৯৭৪ - যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সাহায্য চুক্তিস্বাক্ষর। ১৯৯০ -  ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব ইয়েমেন এবং উত্তর ইয়েমেন রিপাবলিক অব ইয়েমেন নামে একত্র হতে সম্মত হয়। ১৯৯১ - ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং ইন্দিরা গান্ধীর জ্যেষ্ঠপুত্র রাজীব গান্ধী মাদ্রাজে এক সমাবেশে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হন। ১৯৯১ - ক্রিকেট তারকা সাঈদ আনোয়ারের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ (১৯৪) রানের বিশ্ব রেকর্ড। ১৯৯৪ - ইয়েমেন স্বাধীনতা ঘোষণা করে। ১৯৯৮ - ইন্দোনেশিয়ার স্বৈরশাসক জেনারেল সুহার্তো গণ-আন্দোলনের মুখে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। ২০০৩ - এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে আলজেরিয়ায় দুই হাজার লোক নিহত হয়। ২০০৬ - বাংলাদেশে সাবমেরিন কেবল সিস্টেমের উদ্বোধন হয়। এ কেবলের সাথে বিশ্বের ১৪ টি দেশ যুক্ত রয়েছে। জন্ম: ১৬৮৮ - ইংরেজ কবি আলেকজান্ডার পোপ। ১৮৩৫ - কবি বিহারীলাল চক্রবর্তী। ১৮৬০ - হৃদরোগ চিকিৎসায় ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাফির প্রবর্তক ওলন্দাজ চিকিৎসক উইলিয়াম আইটোফেন ডাচের জন্ম। ১৮৪৪ - ফরাসি চিত্রশিল্পী আঁরি রুশো। ১৯২১ - সোভিয়েত ইউনিয়নের পরমাণু বিজ্ঞানী, ভিন্নামতাবলম্বী এবং মানবাধিকার কর্মী আন্দ্রে শাখারভ। ১৯৭৫ - রব জেনকিনস বিখ্যাত অস্টেলিয়ান অভিনেতার জন্ম। মৃত্যু: ১৯১১ - স্কটল্যান্ডের জ্যোতির্বিদ উইলিয়ামিনা ফ্লেমিং। ১৯২০ - গ্রেট বেঙ্গল সার্কাসের প্রতিষ্ঠাতা প্রিয়নাথ বসু। ১৯২৬ - ফ্রিড্‌রিশ ক্লুগে, জার্মান ভাষাবিজ্ঞানী। ১৯৪৯ - জার্মান লেখক ক্লাউস মান পরলোকগমন করেন। ১৯৯১ - ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কংগ্রেস সভাপতি রাজীব গান্ধী। ১৯৯৪ - মাসিক সওগাত পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন।
২১ মে ২০২৪, ০৬:৪৬

‘শেখ মুজিব কেবল বাংলাদেশের বন্ধু নন, তিনি ভারতেরও বন্ধু’
বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অকাল মৃত্যু নাহলে এই উপমহাদেশে রাজনীতির ইতিহাস ভিন্নভাবে লেখা হতো বলে মনে করেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। রোববার (১৭ মার্চ) ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ও নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই স্বতঃস্ফূর্ত জননেতা হতে পেরেছিলেন এবং সর্বসাধারণ একাগ্রচিত্তে তাকে নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছিল।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বাংলাদেশকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মানচিত্রে আলোচনার কোনো মানে হয় না। বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ সমার্থক শব্দ।’  অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপকমিটির সদস্য শাহিদুল হাসান খোকন বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধী তিনি ১৯৬৯ সালে পেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকেই মানুষ আগে থেকেই নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছিল। শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হত না। বঙ্গবন্ধুর অকাল প্রয়াণে বাঙালি জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ওপর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কবি নজরুল ইসলাম এর একটা বিরাট প্রভাব ছিলো। তাই কবিগুরু লেখা ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’ গান তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তাই বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে আজকের বাঙালিদের অনেক শেখার আছে। আগরতলায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ সকালে হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করেন। সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি হোটেলে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।   সহকারী হাই কমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক সূত্রে গাঁথা। শত বছরের শোষণ, নিপীড়ন, বঞ্চনা ও পরাধীনতার শিকল ভেঙে তিনি পথহারা বাঙালি জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন। সহকারী হাইকমিশনার বঙ্গবন্ধুর চারিত্রিক ও মানবিক গুণগুলো শিশুদের মধ্যে প্রোথিত করে সুন্দর আগামী প্রজন্ম গড়ে তোলার আহ্বান জানান।   অন্যান্যের মধ্যে ত্রিপুরার শিক্ষাবিদ ড. মোস্তফা কামাল, মৈত্রী সম্মাননা প্রাপ্ত সাংবাদিক ও লেখক স্বপন ভট্টাচার্য বক্তব্য রাখেন।   সন্ধ্যায় শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের উপস্থিতিতে বিশেষ কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা কবিতা, প্রবন্ধ ও গানের মধ্য দিয়ে জাতির পিতাকে স্মরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।       দিবসটি উপলক্ষে সহকারী হাই কমিশনের পক্ষ থেকে শিশু-কিশোরদের জন্য চিত্রাংঙ্গন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় অতিথিবৃন্দ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।     বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের প্রথম সচিব আল আমিন জামিলসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ত্রিপুরা রাজ্যের বিশিষ্টজনসহ শিশু-কিশোররা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়