• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কক্সবাজারে র‍্যাব-ডাকাত গোলাগুলি, কৃষক নিহত 
কক্সবাজারের ভারুয়াখালীতে র‌্যাব-ডাকাতের গোলাগুলিতে বায়াত উল্লাহ নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মুরা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। বেসরকারি সংস্থা ‘প্রত্যাশী’ এর কর্মী মাসুদ চৌধুরীকে শেরে বাহিনী নামে পরিচিত ডাকাত দল অপহরণ করে। বিষয়টি জানার পর র‍্যাব এনজিওকর্মী মাসুদকে উদ্ধারে ভারুয়াখালীর ৯নং ওয়ার্ড মুরাপাড়া এলাকার পাহাড়ে অভিযান চালায়। ওই অভিযানের সময় র‍্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ডাকাতরা। র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। দু’পক্ষের গোলাগুলিতে কৃষক বায়াত উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। নিহত বায়াত উল্লাহর ভাই করিম উল্লাহ জানান, ডাকাত ফরহাদ বাহিনীর সদস্যরা একজন এনজিও কর্মীকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করতে গেলে র‍্যাবকে লক্ষ্য করে তারা গুলি করে। আত্মরক্ষার্থে র‍্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে হাসপাতালে আনা হলে আমার ভাই মারা যান।  তিনি বলেন, শেরে বাহিনীর প্রধান ডাকাত ফরহাদ মোস্তাক এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা আমাদের এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা বাজারে আসলে সবার মোবাইল ফোনের ভিডিও ক্যামেরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিতো। এদিকে আহত বেশ কয়েকজন চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানান আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশিকুর রহমান। জানা যায়, এনজিও কর্মী মাসুদ চৌধুরীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করেছে র‍্যাব। অভিযানে ডাকাত ফরহাদকে আটক করা হয়েছে বলে র‌্যাবের এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। ওই কর্মকর্তা জানান, র‌্যাব পুরো বিষয়টি নিয়ে পরে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের জানাবে।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৭

কসবায় ছুরিকাঘাতে কৃষক হত্যা, গ্রেপ্তার ২
ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবায় রাতের আধারে ছুরিকাঘাত করে হারুনুর রশিদ (৫০) নামের এক কৃষককে হত্যা করেছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের খাদলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জমিতে ফুটবল পড়ে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তর্কের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে মীমাংসা সভায় যাওয়ার পথে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানায় তার পরিবার।  নিহত হারুনুর রশিদ উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের খাদলা গ্রামের মৃত আবুল হাসেমের ছেলে।  পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবার সকালে ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।   শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে নিহতের স্ত্রী লাকি আক্তার বাদী হয়ে ফিরোজ মিয়ার ছেলে সাগর মিয়াকে প্রধান আসামি করে সাতজনের নামসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের নামে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।  এ ঘটনায় ফিরোজ মিয়া ও তার স্ত্রী রত্না আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত হারুন এলাকায় ভাল মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার খুনের ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।   নিহতের চাচা আবদুল মান্নান জানান, হারুনুর রশিদের বাড়ির পাশেই একটি জমিতে তিলের চাষ করেছেন। চারদিকে জাল দিয়ে বেড়া দিয়ে রেখেছেন। মহল্লার রহমান মিয়ার ছেলে বায়েজিদ ও ফিরোজ মিয়ার ছেলে সাগর মিয়াসহ কয়েকজন বৃহস্পতিবার বিকেলে পাশেই একটি জমিতে ফুটবল খেলছিলো। ফুটবলটি বার বার তিলের জমিতে পড়লে ফসলের ক্ষতির হওয়ায় হারুনুর রশিদ তাদেরকে বকা দিলে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। আবদুল মান্নান আরও জানান, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বায়েজিদের দাদা আনু মিয়া বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য হারুনুর রশিদকে খবর দেন। আনু মিয়ার বাড়িতে যাওয়ার পথে বায়েজিদ ও সাগর মিয়াসহ কয়েকজন মিলে হারুনুর রশিদকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। হারুনুর রশিদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক হারুনুর রশিদকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের ছোট ভাই মো. জিলানী মিয়া বলেন, আমার ভাই একজন সহজ সরল মানুষ। তিনি দীর্ঘদিন কাতারে ছিলেন। দুই বছর আগে কাতার থেকে একেবারে চলে এসে নিজের জমিতে কৃষিকাজ করতেন। পরিবারের কথা চিন্তা করে আবারও মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলেন। আগামী ৫ মে তার মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিলো। কথা কাটাকাটির জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতে মীমাংসার জন্য যাওয়ার পথে বায়েজিদ ও সাগরসহ কয়েকজন মিলে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। আমার ভাইয়ের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। খুনিরা এবং তাদের আত্মীয় স্বজনরা এখনও হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, হারুনুর রশিদ এলাকায় একজন ভাল মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। জমিতে ফুটবল পড়ায় একটু তর্কাতর্কির কারণে সাগর ও বায়েজিদরা ছুরিকাঘাত করে একটি সুস্থ মানুষকে খুন করবে এটা ভাবাও যায়না। মানুষ এমন নৃশংস কেমন করে হয়, এটা আমার এখনও বিশ্বাসই হচ্ছে না। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহমেদ বলেন, জমিতে ফুটবল পড়ে ফসল নষ্ট হওয়ায় কথা কাটাকাটি নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা ছুরিকাঘাতে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী লাকি আক্তার বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামি মো. ফিরোজ মিয়া ও রত্না আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪৭

টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার অন্যতম আসামি দেলোয়ার হোসেন প্রকাশ দেলুকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোরে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালী পাহাড়ি এলাকার মুরার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালী এলাকার বাসিন্দা মৃত আলী হোসেন প্রকাশ পেটুর ছেলে। টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দেলোয়ার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ১০ জন কৃষককে অপহরণ মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।  তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন অপহরণের সঙ্গে সরাসরি নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। আসামি বিভিন্ন অপহরণের সঙ্গে তার জড়িত থেকে লোমহর্ষক বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা দেয়। আসামির বিরুদ্ধে ডাকাতি, অপহরণসহ আরও ৪টি মামলা রয়েছে। আসামিকে আইনি কার্যক্রম শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩৫

প্রাইভেটকারে আগুন লেগে কৃষক লীগ নেতাসহ নিহত ২
ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও ফুলপুর উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কৃষক লীগ নেতাসহ দুইজন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে নজরুল ইসলাম দীপক নামে আরও একজন। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক এবং ময়মনসিংহ-শেরপুর মহাসড়কের পৃথক পৃথক স্থানে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।   নিহতরা হলেন ত্রিশাল পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজহারুল ইসলামের বড় ছেলে শামীম পারভেজ (৩০)। তিনি উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়। অন্যদিকে ফুলপুর উপজেলার ইমাদপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহীম শেখের ছেলে মো. সুরুজ আলী (৭০)  ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন।   ত্রিশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল ইসলাম দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিজের ফিশারির মাছ বিক্রি করে প্রাইভেটকারে ময়মনসিংহ থেকে ত্রিশালের নিজবাড়িতে ফিরছিলেন কৃষক লীগ নেতা শামীম ও নজরুল ইসলাম দীপক। এ সময় তাদের বহনকারী প্রাইভেটকারটি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল উপজেলার নুরুর দোকান নামক স্থানে আসতেই হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের খাদে পড়ে গিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে প্রাইভেটকারটিতে আগুন লেগে গেলে যুবলীগ নেতা শামীম পারভেজ ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় তার সঙ্গে থাকা নজরুল ইসলাম দীপক নামে আরও একজন আহত হন।   তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অন্যদিকে ময়মনসিংহের ফুলপুরে ফজরের নামাজ পড়তে ঘর থেকে বের হয়ে ট্রাকচাপায় সুরুজ আলী নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুবুর রহমান। তিনি জানান, নিহত সুরুজ আলী ফজরের নামাজ পড়তে বের হয়ে সড়কে আসলে ময়মনসিংহ-শেরপুর মহাসড়কের ইমাদপুর নামকস্থানে ময়মনসিংহ থেকে আসা একটি বেপরোয়া গতির ট্রাক হঠাৎ তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। এ ঘটনায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩০

ভৈরবে বোরো ধানের বাম্পার ফলন, শঙ্কায় কৃষক
চলতি বছরে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বাজার দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। তারা বলছেন, ফলন ভালো হয়েছে। তবে বাজারে দাম কম থাকায় পড়তে হবে লোকসানের মুখে।  স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভৈরব উপজেলার জোয়ানশাহী হাওরসহ বিস্তৃর্ণ ফসলি জমি রয়েছে। এর মধ্যে সাদেকপুর ও শ্রীনগর ইউনিয়নের জোয়ানশাহী হাওর এবং আগানগরের ডিগচর অন্যতম। চলতি বছরে ভৈরবে ৬ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।  আবাদকৃত জমির মধ্যে আগাম জাতের বিআর ২৮, ৮৮ ও বঙ্গবন্ধু ধান অন্যতম। তবে, ২৯ ধানের চাষাবাদ বেশি। স্থানীয় কৃষি অফিসের সহযোগিতায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে হাওরের আগাম জাতের ১০ ভাগ ফসলি জমির ধান কাটা হয়েছে।  কৃষকদের দাবি, ধান উৎপাদনে সেচ, শ্রমিকের মজুরি, সার ও কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের উৎপাদন খরচও বেড়েছে। কিন্তু উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজারে ধানের দাম কম। ফলে লোকসান দিয়েই তাদেরকে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। ধানের মোকাম ঘুরে দেখা গেছে, মোটা বোরো ধান ৭৪০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে, এখনও বাজারে চিকন ধানের আমদানি শুরু হয়নি। সবমিলিয়ে মুখে হাসি নেই কৃষকের। অথচ, সরকার এ বছর প্রতি কেজি ধান ৩২ টাকা নির্ধারণ করেছে। সে হিসেবে প্রতি মণ ধান ১ হাজার ২৮০ টাকা দাম পড়ে। ফলে ধানের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষক। উপজেলার জোয়ানশাহী হাওরের কৃষক ছানু মিয়া বলেন, জমিতে ফলন ভালো হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে আশা করি ফসল ঘরে তুলতে পারব।  আবুল মিয়া নামে আরেক কৃষক বলেন, জমি চাষাবাদ, সেচ, শ্রমিকের মজুরি, সার ও কীটনাশক ব্যবহারে যে হারে উৎপাদন খরচ পড়ে, সে হিসেবে আমরা ন্যায্য দর পাই না। তাই, কৃষকরা যেন ধানের ন্যায্যমূল্য পায়, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার দাবি করছি।  এদিকে হাওরের কৃষকদের দাবির প্রেক্ষিতে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি স্লুইচ গেটসহ কাচা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশীদ ভূঁইয়া। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম বলেন, এ বছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। ফলে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। কৃষি অফিসের মাঠকর্মীরা কৃষকদের সব সময় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে।  তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে আগাম জাতের ধান কাটা প্রায় শেষের দিকে। আবহাওয়া অনূকূলে থাকলে কৃষকরা সহজে ধান ঘরে তুলতে পারবেন। এ ছাড়াও সরকার এ বছর প্রতি কেজি ধান ৩২ টাকা নির্ধারণ করেছে।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১২

কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাক-সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনে উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি উপহার দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে বাসায় ফেরার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপস্থিত নেতাদের এ উপহার তুলে দেওয়া হয়। গণভবনে উৎপাদিত পালং শাক, পাট শাক, ডাটা শাক, পুঁইশাক, লাউ, করলা, বরবটিসহ বিভিন্ন ধরনের শাক-উপহার দেওয়া হয় কৃষক লীগ নেতাদের। উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদেরও এসব শাক-সবজি উপহার দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে শাক-সবজি পেয়ে কৃষক লীগ নেতাদের বেশ উৎফুল্ল হতে দেখা যায়। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। কৃষক লীগ সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দ গণমাধ্যমকে বলেন, গণভবনে উৎপাদিত লাউ, চিচিঙ্গা, করলা, বরবটি, ঢ্যাঁড়স, বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার নিজস্ব তত্ত্বাবধানে তার বাসভবনে (গণভবনে) উৎপাদিত শাক-সবজি কৃষক লীগ নেতাকর্মীদের উপহার দেওয়ায় যেমন উৎফুল্ল হয়েছি, তেমনি নিজেরাও প্রধানমন্ত্রীর মতো একজন ভালো খামারি হওয়ার জন্য প্রেরণা পেয়েছি। সমীর চন্দ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এক ইঞ্চি জায়গাও ফাঁকা না রেখে উৎপাদনের আওতায় আনতে হবে। তাইলে খাদ্যের জন্য আমাদের কারো মুখাপেক্ষী হতে হবে না। আমাদের নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র করতে পারবে না। গণভবনের ব্যাংকুয়েট হলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু। ১৯৭২ সালের এ দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৩

হাওরের পাকা ধান নিয়ে উদ্বিগ্ন কৃষক, শ্রমিক সংকট
সুনামগঞ্জের হাওরে হাওরে পাকা ও আধপাকা ধান ঢেউ তুলছে। সুন্দর এই দৃশ্য মনে দোলা দিলেও জলাবদ্ধতা আর পাহাড়ি ঢলের শঙ্কা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে হাওরের কৃষকদের। মঙ্গলবার রাতে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টিতে দিরাই উপজেলার কালিয়াকুটা হাওরের পূর্ব অংশে প্রায় ২০০ হেক্টর বোরো জমির ফসল  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কাইমা, মধুপুর, বেগমপুর, আনোয়ারপুর, গচিয়া ও খেজাউড়া গ্রামের সহস্রাধিক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জলাবদ্ধতা আর শিলাবৃষ্টির শঙ্কার মধ্যে আগেভাগেই জেলার বিভিন্ন হাওরে ধান কাটছেন কৃষক। তবে হাওরের বেশির ভাগ জমির ফসল কাঁচা অবস্থায় থাকায় বিপাকে তারা। অন্যদিকে জলাবদ্ধতা, পাহাড়ি ঢল, বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির কারণে হাওরে পর্যাপ্ত ধানকাটা শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। বিগত সময়ে বাইরের জেলা থেকে অস্থায়ীভাবে বিপুলসংখ্যক খেতমজুর এলেও এবার তার বিপরীত। কম্বাইন হার্ভেস্টর ও ধানকাটার আধুনিক মেশিন প্রচলনে সনাতন পদ্ধতিতে ধান কাটায় মুনাফা কম পাওয়া শ্রমিকদের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। ফলে ধান কাটার মৌসুমে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে হাওরের পাকা ধান দ্রুত কাটতে ভর্তুকিমূল্যে জেলার ১২ উপজেলার সাড়ে ৮০০ কম্বাইন হার্ভেস্টর মেশিন কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তবে হার্ভেস্টর মেশিন হাওরের উঁচু এলাকার ধান কাটতে সহায়ক হলেও তুলনামূলক নিচু উর্বর জমির ধান কাটতে না-পারায় বিপাকে কৃষক। তাই সনাতন পদ্ধতিতে ধান কাটতে শ্রমিকদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে কৃষকদের। পর্যাপ্ত শ্রমিক না পাওয়ায় হাওরের ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় তারা। শান্তিগঞ্জ উপজেলায় খাই হাওরের কৃষক সিজাউল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর সিলেটের কানাইঘাট এলাকা থেকে ধানকাটা শ্রমিক আসেন। এবারও ১০ জন শ্রমিক আসার কথা ছিল। গতকাল ফোন দিয়ে তারা আসবে না বলে জানিয়েছেন। এখন হাওরের ধান কাটা নিয়ে চিন্তায় আছি। কীভাবে এত ধান কাটব। সদর উপজেলার কৃষক রহমত মিয়া বলেন, হার্ভেস্টর মেশিন পানিতে বা নরম জমিতে ধান কাটতে পারে না। তাই নিচু এলাকায় জমির ধান কাটার জন্য শ্রমিকের ওপর নির্ভর করতে হয়। এখন আগের মতো শ্রমিক পাওয়া যায় না। আকাশের অবস্থাও ভালো না। কবে কী হয়, বলা যায় না। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১০ হাজার শ্রমিক সুনামগঞ্জে ধান কাটতে এসেছেন। জেলায় ২ লাখ শ্রমিক রয়েছে। তাছাড়া অস্থায়ী ভিত্তিতে আরও ৩০ হাজার অনিয়মিত শ্রমিক ধান কাটার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। একই তথ্য জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, এবার হাওরে শ্রমিক সংকট দেখা দেবে না। বুধবার পর্যন্ত জেলায় ৪০ হাজার হেক্টর জমির ফসল কাটা হয়েছে। প্রতিদিন ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল কাটা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৬

রাজবাড়ীতে ‘কালো সোনা’ পেঁয়াজ বীজ চাষে স্বপ্ন দেখছে কৃষক
রাজবাড়ীতে এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে ‘কালো সোনা’ খ্যাত পেঁয়াজ বীজের। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া বেশ অনুকূলে থাকায় পেঁয়াজ বীজের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলার পাচটি উপজেলার বিভিন্ন মাঠে বাতাসে দোল খাচ্ছে কালো সোনার সাদা ফুল। আর এই সাদা ফুলের কদমেই লুকিয়ে রয়েছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। ‘কালো সোনা’ খ্যাত পিয়াজ বীজ।  বাংলাদেশে পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে রাজবাড়ী জেলার অবস্থান। দেশে উৎপাদিত মোট পেঁয়াজের ১৪ শতাংশ উৎপাদন হয় রাজবাড়ীতে। এ জেলায় পেঁয়াজ আবাদের পাশাপাশি কদম পেঁয়াজ বীজের আবাদও হয়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে। পেঁয়াজ আবাদে যে পরিমাণ বীজ প্রয়োজন তার অধিকাংশ বীজ জেলাতেই উৎপাদিত হয়ে থাকে। উৎপাদিত এসব বীজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়। বেশি দাম হওয়ায় পেঁয়াজের এ বীজকে চাষি ও কৃষি অধিদপ্তর ‘কালো সোনা’ বলে ডাকেন। চাষিরা বলছেন, আবহাওয়া ভালো হলে খরচ বাদে এই পেয়াজের বীজ চাষে লাভ হয় দ্বিগুণেরও বেশি, তাই এগুলো ‘কালো সোনা’ নামে খ্যাতি পেয়েছে। তাই কৃষকরা ‘কালো সোনা’ চাষে স্বপ্ন দেখছেন। এ বীজ আবাদ করে চাষিরা অন্যান্য ফসলের চাইতে অধিক পরিমাণে লাভবান হয়ে থাকেন। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুসারে, রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলা, পাংশা, বালিয়াকান্দি, কালুখালী ও গোয়ালন্দে পেঁয়াজ বীজের আবাদ হয়ে থাকে। এর মধ্যে জেলা সদর, পাংশা ও কালুখালী উপজেলাতে কদমের আবাদ বেশি হয়ে থাকে। চলতি বছর রাজবাড়ী সদরে ৪২ হেক্টর,পাংশা উপজেলায় ৪৪ হেক্টর, কালুখালী উপজেলায় ৪২ হেক্টর,বালিয়াকান্দি উপজেলায় ১৫ হেক্টর ও গোয়ালন্দ উপজেলায় ৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের কদমের আবাদ হয়েছে। এদিকে সরেজমিনে পাংশা উপজেলার যশাই গ্রামের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে পেঁয়াজ বীজের সাদা ফুল। শেষ সময়ের পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা।  পাংশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার বোস বলেন, পেঁয়াজ বীজের গাছে শক্তি যোগানোর জন্য অনেকে কীটনাশক স্প্রে করছেন। মৌমাছি সংকট থাকায় অনেক কৃষক আবার হাত দিয়েই পেঁয়াজ ফুলের ‘মধু ফেলা’র কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত রোপন করা পেঁয়াজ বীজ গাছের ফলন ভালো হওয়ায় লাভের স্বপ্ন বুনছেন তারা। পেঁয়াজের কদম প্রথমে সাদা দেখতে হলেও পরে কালো রংয়ে ধারন করেন। প্রতি কেজি বীজ চলতি বছর প্রায় সোনার দামে আট হাজার টাকা দামে বিক্রি হয়েছে বলে কৃষকেরা পেঁয়াজের বীজ কে আদর করে ‘কালো সোনা’ বলে ডাকে। তবে এ মৌসুমে প্রচণ্ড গরমে ক্ষেতে মৌমাছির সংকট দেখা দিয়েছে। আর মৌমাছির না থাকায় পিয়াজের ফুলের পরাগায়ন কম হওয়ায় বীজ উৎপাদনে ঘাটতির শঙ্কা দেখা দেবে বলে কৃষকরা আশংকা করছেন। জেলায় চলতি মৌসুমে ১৪৩ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের কদমের চাষাবাদ হয়েছে। আর ১৪৩ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন হবে ৭০ মেট্রিক টন। এ পরিমাণ পেঁয়াজের বীজের বাজার মূল্য ৩৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারনের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান,চলতি মৌসুমে জেলায় ১৪৩ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ করা হয়েছে। রাজবাড়ীতে মূলত তাহের পুরী, কিং ব্যান্ড ও বারী-৪ জাতের পিঁয়াজ  দানা আবাদ করা হয়। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষি কর্মকর্তাগণ নিয়মিত চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছেন। এবার জেলায় দেড় হাজার কৃষক পেয়াজ বীজ আবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পেঁয়াজ বীজের ফলনও ভালো হবে। এতে করে লাভবান হবেন চাষিরা।      
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৫৬

বিক্রি হচ্ছে না তরমুজ, বিপাকে কৃষক
বাজারে তরমুজ থাকলেও নেই ক্রেতা। পাইকাররাও দিচ্ছেন না দাম। তাই বিক্রি হচ্ছে না তরমুজ। পচনশীল হওয়ায় নামে মাত্র দামে পাইকারদের কাছে তরমুজ বিক্রি করছেন পটুয়াখালীর কৃষকরা। এবার জেলায় প্রচুর তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। তবে দাম খুব কম। তরমুজ বিক্রি করে উৎপাদন খরচ তুলতে পারছেন না কৃষকরা। ফলে লোকসানের মুখে পড়ছেন তারা। স্থানীয় কৃষকরা জানান, তরমুজ পাইকারি বিক্রি করে উৎপাদন খরচ তো দূরের কথা, পরিবহন খরচই উঠছে না। ফলে কৃষকদের মাথায় হাত। তরমুজ চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। পটুয়াখালী চরবিশ্বাসের কৃষকরা জানান, যারা খেত কিনে রেখেছিলেন বৈরি আবহাওয়ার কারণে তারা গত দুদিন অপরিপক্ক তরমুজসহ সব তরমুজ কেটে বাজারে তুলেছেন। ফলে বাজারে তরমুজ সরবরাহ থাকলেও ক্রেতা নেই। আবার কাঁচা থাকার কারণে সাধারণ ক্রেতারাও তরমুজ কিনছেন না। পাশাাপশি খেতে এখনও ৪০ থেকে ৫০ ভাগ তরমুজ রয়েছে। কৃষকরা আরও জানান, কয়েক দিন আগেও এক ট্রাক তরমুজ বিক্রি হয়েছে ৭-৮ লাখ টাকায়। এখন তা ২-৩ লাখ টাকার বেশি বিক্রি করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে খেতের তরমুজ ৪-৫ দিনের মধ্যে পেকে যাবে। তখন তরমুজ সরবরাহ আরো বাড়বে। তখনো দাম কম থাকলে কৃষকেরা পকেটের টাকা গচ্চা দিয়ে পরিবহন খরচ করে তরমুজ নিয়ে হয়তো বাজারে যাবেন না। তখন খেতেই পঁচে যাবে সব তরমুজ। কৃষকেরা বলছেন, কয়েক দিন আগে সবচেয়ে ভালো মানের ৮-১২ কেজি ওজনের ১০০টি তরমুজ পাইকারি বিক্রি ছিল ৪ হাজার টাকা। যা এখন কমে হয়েছে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। যা দিয়ে উৎপাদন খরচও উঠবে না। এরপর তা পরিবহন খরচ করে বাজারে নেওয়াতো আর সম্ভব না।  পটুয়াখালীতে এবার আগাম তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে এবং নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে উৎপাদিত এ ফসলের দাম না পেয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা।
২৪ মার্চ ২০২৪, ২২:৪৮

টেকনাফে ৫ কৃষক অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি 
কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড় থেকে স্থানীয় পাঁচ কৃষককে অপহরণ করেছে পাহাড়ি অস্ত্রধারীরা। ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে জানিয়েছে অপহৃতের পরিবার। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায় অপরহরণকারীরা। অপহৃতরা হলেন-হ্নীলা ৪নং ওয়ার্ডের পানখালী এলাকার ফকির মোহাম্মদের ছেলে মো. রফিক (২২), শাহাজানের ছেলে জিহান (১৩), ছৈয়দ উল্লাহর ছেলে শাওন (১৫), আব্দুর রহিমের ছেলে মো. নুর (১৮) ও নুরুল আমিনের ছেলে আব্দু রহমান (১৫)। জানা গেছে, তারা প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতে ফসলের খেত পাহারা দেওয়ার জন্য পাহাড়ে যান তারা। কিন্তু সেহরি খেতে বাড়ি না ফেরায় খোঁজখবর নিতে শুরু করে অপহৃতদের পরিবার। পরে জানতে পারে তারা অপহরণের শিকার হয়েছেন। তাদের মুক্তি পেতে প্রয়োজন ৩০ লাখ টাকা। অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, অপহরণের খবরটি শুনেছি। অপহৃতদের উদ্ধারের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ। এদিকে মুক্তিপণ চেয়ে অপহৃত রফিকের বড় ভাই মো. শফিকের কাছে মুঠোফোনে ৩০ লাখ টাকা দাবি করেছে অপহরণকারীরা। এ বিষয়ে শফিক বলেন, রফিক প্রতিদিনের মতো জুম চাষে পাহাড়ে যায়। কিন্তু আজকে সেহরি খেতে না আসায় তাকে খুঁজতে বের হই। পরে জানতে পারি তাদের পাঁচজনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফোনে মুক্তিপণ চেয়ে ৩০ লাখ টাকা দাবি করে অস্ত্রধারীরা।  অপহৃত মো. নুরের মা খোরশিদা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে অস্ত্রধারীরা ধরে নিয়ে গেছে। তবে কে বা কারা নিয়ে গেছে এখনও জানা যায়নি। মোবাইলে একটি নম্বর থেকে ফোন করে ছেলের মুক্তির জন্য ১৫ লাখ টাকা দাবি করেছে। আমরা খুব গরিব মানুষ, এত টাকা কীভাবে জোগাড় করবো। ছেলেকে উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চাই। এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, অপহরণে বিষয়টি আমাকে কেউ এখনও জানায়নি। এরপরও আমি খোঁজখবর নিচ্ছি। এর আগে গত ৯ মার্চ হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে মাদরাসা পড়ুয়া ছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে (৬) অপহরণ করে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। ১২ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও তাকে উদ্ধার করা যায়নি।  এদিকে সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, গত ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ এর মার্চ পর্যন্ত সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক ১০৩টি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে ৫২ জন স্থানীয় এবং ৫১ জন রোহিঙ্গা। এদের মধ্যে যারা ফিরে এসেছে তাদের বেশির ভাগই মুক্তিপণ দিয়ে ফিরতে হয়েছে।
২১ মার্চ ২০২৪, ২১:৪৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়