• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পরিবারের খোঁজ নিতে কারাবন্দি নীরবের বাসায় রিজভী
পরিবারের সদস্যদের খোঁজ-খবর নিতে কারাবন্দি যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের বাসায় গেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে নীরবের গুলশানের নিকেতনের বাসায় যান তিনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে মামলা ও জামিনের সর্বশেষ অবস্থার খোঁজ নেন এবং তাদের সান্ত্বনা দেন রুহুল কবির রিজভী। এ সময় রিজভীর সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম এবং সহশ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৮:১১

কারাবন্দি ইমরানের কাছে হেরে পিপিপিতে ধর্না নওয়াজের 
ভোট গণনা শুরুর একদিন পেরিয়ে গেলেও পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের ফল ঘোষণা শেষ হয়নি। তবে, সর্বশেষ তথ্য বলছে কারাবন্দি ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই জয় পেয়েছেন বেশি আসনে। তাদের পেছনে রয়েছে নওয়াজ শরিফের মুসলিম লীগ-এন (পিএমএলএন) ও বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। এ অবস্থায় পিটিআই ও পিএমএলএন উভয় দলই জয়ের ঘোষণা দিয়ে সরকার গঠনের কথা বলছে। তবে ইমরান অনুসারীদের পেছনে ফেলে গদিতে বসতে তোড়জোড় শুরু করেছেন নওয়াজ শরিফ। আর এজন্য তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল পিপিপির কাছে জোট গঠনের জন্য ধর্না দিচ্ছেন তিনি। পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন বলছে, শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতেই নির্বাচনে তৃতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়া পিপিপি’র কো-চেয়ারম্যান আসিফ জারদারির সঙ্গে বৈঠক করেছেন পিএমএলএন প্রধান।   এর আগে, সন্ধ্যায় পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্রদের চেয়ে পিছিয়ে থেকেও বিজয় ভাষণ দেন নওয়াজ। লাহোরে পিএমএল-এনের কেন্দ্রীয় অফিস থেকে দেওয়া বিজয় ভাষণে তিনি বলেন, জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে পিএমএল-এন সবচেয়ে বড় দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। পিএমএল-এন পাকিস্তানকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে দাবি করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতেও তার দল দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাবে।   তবে ভাষণে পিএমএল-এন নেতা স্বীকার করেন সরকার গঠনের জন্য তার দল প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। তাই জোট সরকার গঠনের জন্য অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে খুব শিগগিরই আলোচনা শুরু করবেন বলে জানান তিনি।   এদিকে আল জাজিরার তথ্য বলছে ২৬৬টি আসনের মধ্যে ২৫০টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে পিটিআইয়ের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৯৯টি আসন। আর নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ-এন (পিএমএলএন) জয় পেয়েছে ৭১টি আসনে। বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫৩টি আসন।   এছাড়া অন্যান্য দল এবং স্বতন্ত্ররা পেয়েছে ২৭টি আসন। একটি আসনের ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। আরও ১৫ আসনের ফলাফল ঘোষণা বাকি এখনও। বাকি এ আসনগুলোর সবকটিতে জিতলেও সরকার গঠনের জন্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জিত হবে না কোনও দলেরই। কারণ, এই শর্ত পূরণ করতে হলে প্রয়োজন ১৩৪টি আসন।    এদিকে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে নারী ও সংখ্যালঘু মিলিয়ে ৭০টি সংরক্ষিত আসন রয়েছে। এর মধ্যে ৬০টি আসন নারীদের জন্য এবং ১০টি সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ। যে দল সরকার গঠন করবে তাদের প্রাপ্ত আসনের অনুপাতে এগুলো বণ্টন করা হয়।   পিটিআই দল হিসেবে নির্বাচনের সুযোগ না পাওয়ায় দলটির সমর্থিত প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও সংরক্ষিত আসনের এই কোটার সুবিধা পাবে না। এ অবস্থায় পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্ররা কী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন, তার জন্য আরও ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।    
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১৭

ডিএমপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আমন্ত্রণ পেলেন কারাবন্দি ফখরুল
ঢাকা মহানগর মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপির আমন্ত্রণপত্র বিএনপি সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু গ্রহণ করেন। ডিএমপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আমন্ত্রণ পাওয়া বিএনপি নেতাদের মধ্যে রয়েছেন কারাবন্দি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান ও আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল এবং ডা. জাহিদ হোসেন। এরআগে, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ডিএমপির ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের আমন্ত্রণ না জানানোর কারণে ডিএমপির আমন্ত্রণপত্র নিয়ে বিএনপিতে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। গতবছরের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বেলা ৩টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এই সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। আহত হন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ জন সদস্য। এছাড়া, কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। এই ঘটনার পর ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলকে গুলশানের নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর থেকেই কারাগারে বন্দি রয়েছেন মির্জা ফখরুল।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৯

চাঁদপুরে কারাবন্দি কচুয়ার ব্রজলাল পাটিকরের মৃত্যু
চাঁদপুর জেলা কারাগারে অসুস্থ হওয়ার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে বজ্রলাল পাটিকর (৬২) নামে এক কারাবন্দি মারা গেছেন। রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ১০টায় চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ওই ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন।  চাঁদপুরের জেল সুপার ফোরকান ওয়াহিদ জানান, এর আগে শনিবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন বজ্রলাল পাটিকর নামে এই বন্দি। পরে সেখানেই তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কড়াইয়া এলাকার বাসিন্দা বজ্রলাল পাটিকর। গত ২৮ ডিসেম্বর পুরোনো একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হন তিনি। এমন তথ্য জানান, কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। মৃতের ছোট ভাই কৃষ্ণ পাটিকর দাবি করেন, বিগত ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গঠন করলে আওয়ামী লীগ সমর্থক বজ্রলাল পাটিকরের দ্বিতীয় স্ত্রী রাখি রানী পাটিকর প্রতিপক্ষের হাতে নির্যাতিত হয়ে মারা যান। কিন্তু তৎকালীন পুলিশ উল্টো এই মামলায় তার স্বামী বজ্রলাল পাটিকরকে আসামি করে। এর দুই বছর পর ২০০৩ সালের ৪ এপ্রিল নিহতের ছেলে তৎকালীন জোট সরকারের প্রতিমন্ত্রী আনম এহসানুল হক মিলনসহ ১৫ জনকে আসামি করে পাল্টা আরেকটি মামলা করেন।  এরই মধ্যে এই মামলা আর পাল্টা মামলা নিয়ে গত দুই দশক পুলিশ আর আদালতের কাছে ধর্না দেন বজ্রলাল পাটিকর ও তার পরিবারের সদস্যরা। তবে পুরোনো সেই মামলায় শেষ পর্যন্ত গত ২৮ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার হন বজ্রলাল পাটিকর। গ্রেপ্তারের ১৭ দিন পর অসুস্থ হয়ে পড়েন কারাগারে। পরে সেখান থেকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।  এদিকে, মৃতের ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে স্বজনরা চাঁদপুর থেকে গ্রামের বাড়িতে বজ্রলাল পাটিকরের মরদেহ নিয়ে যান।   
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৫

কারাবন্দি যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যু
মানবতাবিরোধী (যুদ্ধাপরাধী) অপরাধে কারাবন্দি এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃত মো. শমসের ফকিরের (৮০) গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ মুক্তগাছায়। তার বাবার নাম মৃত আরফান আলী। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে কারারক্ষী আনিস শেখসহ কারারক্ষীরা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শমসের ফকিরকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। 
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়