চাঁদপুরে কারাবন্দি কচুয়ার ব্রজলাল পাটিকরের মৃত্যু
চাঁদপুর জেলা কারাগারে অসুস্থ হওয়ার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে বজ্রলাল পাটিকর (৬২) নামে এক কারাবন্দি মারা গেছেন। রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ১০টায় চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ওই ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন।
চাঁদপুরের জেল সুপার ফোরকান ওয়াহিদ জানান, এর আগে শনিবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন বজ্রলাল পাটিকর নামে এই বন্দি। পরে সেখানেই তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
কিন্তু সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কড়াইয়া এলাকার বাসিন্দা বজ্রলাল পাটিকর। গত ২৮ ডিসেম্বর পুরোনো একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হন তিনি। এমন তথ্য জানান, কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
মৃতের ছোট ভাই কৃষ্ণ পাটিকর দাবি করেন, বিগত ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গঠন করলে আওয়ামী লীগ সমর্থক বজ্রলাল পাটিকরের দ্বিতীয় স্ত্রী রাখি রানী পাটিকর প্রতিপক্ষের হাতে নির্যাতিত হয়ে মারা যান। কিন্তু তৎকালীন পুলিশ উল্টো এই মামলায় তার স্বামী বজ্রলাল পাটিকরকে আসামি করে। এর দুই বছর পর ২০০৩ সালের ৪ এপ্রিল নিহতের ছেলে তৎকালীন জোট সরকারের প্রতিমন্ত্রী আনম এহসানুল হক মিলনসহ ১৫ জনকে আসামি করে পাল্টা আরেকটি মামলা করেন।
এরই মধ্যে এই মামলা আর পাল্টা মামলা নিয়ে গত দুই দশক পুলিশ আর আদালতের কাছে ধর্না দেন বজ্রলাল পাটিকর ও তার পরিবারের সদস্যরা।
তবে পুরোনো সেই মামলায় শেষ পর্যন্ত গত ২৮ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার হন বজ্রলাল পাটিকর। গ্রেপ্তারের ১৭ দিন পর অসুস্থ হয়ে পড়েন কারাগারে। পরে সেখান থেকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।
এদিকে, মৃতের ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে স্বজনরা চাঁদপুর থেকে গ্রামের বাড়িতে বজ্রলাল পাটিকরের মরদেহ নিয়ে যান।
মন্তব্য করুন