• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার প্রতিবাদে কর্মবিরতি ঘোষণা
শনিবারসহ সপ্তাহের ছয় দিন দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রাখার ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি। একইসঙ্গে প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে সমিতির পক্ষ থেকে। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী শনিবার (১১ মে) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা। এ সময়ে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রাখবেন তারা। সোমবার (৬ মে) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম বিপ্লব স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণার কথা জানানো হয়। এর আগে গত ৪মে রাত ৯টায় এ বিষয়ে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষক নেতারা বলেন, শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা না রাখার জন্য শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে আগেই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, যা গণমাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়েছে। এরপরও সরকারের এমন একতরফা সিদ্ধান্তে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সংক্ষুব্ধ। এ পরিস্থিতিতে প্রতিবাদস্বরূপ ‌কর্মবিরতি পালনের জন্য মাধ্যমিক পর্যায়ের সব স্তরের শিক্ষক-কর্মচারীর প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে। সরকার সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে প্রতি শনিবার পুরো কর্মদিবস কর্মবিরতির মতো কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে। শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা তুলে ধরে নেতারা বলেন, কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থীর সৃষ্ট নয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ হতেই পারে, আগেও হয়েছে। সে কারণে নির্ধারিত ছুটি কমিয়ে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চিকিৎসা নেওয়া, আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানো, আচার-অনুষ্ঠান ও বিশ্রামসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা এবং পদক্ষেপ থাকে। একদিনের ছুটিতে যাবতীয় কাজ ও সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। এতে সামাজিক, শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা আরও বলেন, জাতীয় দিবসগুলোয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থান নিতে হচ্ছে, অথচ সেদিন অন্যদের ছুটি। শুধু তাই নয়, শিখন ঘাটতি পূরণ করতে গত বছরের গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও শীতকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। চলতি বছর রমজানের ছুটিও কমানো হয়েছে, যা মোটেই সুবিবেচনাপ্রসূত হয়নি। এসব সিদ্ধান্ত নির্লিপ্ততারই বহিঃপ্রকাশ।
০৬ মে ২০২৪, ১৮:৪৯

সুনামগঞ্জে চলছে মাংস ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতি 
সরকার নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রিতে অপরাগতা জানিয়ে সুনামগঞ্জে দ্বিতীয়বারের মতো চলছে মাংস ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতি।  রোববার (৩১ মার্চ) অনির্দিষ্টকালের জন্য গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ করে কর্মসূচি পালন করছেন সুনামগঞ্জ শহর ও শহরতলীর ব্যবসায়ীরা। টানা দুই দিন ধরে মাংস বিক্রি বন্ধ থাকায় রমজানে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ভোক্তারা। ব্যবসায়ীরা জানান, স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। বাজারে গরুর দাম বেশি হওয়ায় নির্ধারিত মূল্য মাংস বিক্রি করে শ্রমিক ব্যয়, দোকান খরচ, পরিবহনসহ যাবতীয় খরচ মিটিয়ে মুনাফা পাচ্ছেন না তারা। তাই নির্ধারিত মূল্য বৃদ্ধি না করা হলে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত সুনামগঞ্জে মাংস বিক্রি বন্ধ রাখতে অনড় বাজারের ব্যবসায়ীরা।  মাংস বাজার সমবায় সমিতির সভাপতি রাশেদ আলী বলেন, দ্বিতীয় দিনের মতো আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এই দামে মাংস বিক্রি করলে আমাদের লস হচ্ছে। লস দিয়ে মাংস বিক্রি সম্ভব না। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে ৫০ টাকা বৃদ্ধির দাবি করেছি আমরা কিন্তু তিনি মানেননি। তাই মানুষের কষ্ট হলেও আমাদের করার কিছু নাই। এদিকে বাজারের আকস্মিকভাবে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ থাকায় পোল্ট্রি মুরগি সহ সবধরনের মাছের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ভোক্তারা সিরাজুল ইসলাম পলাশ নামের এক ভোক্তা বলেন, মাংস ব্যবসায়িরা নিজেদের খেয়ালখুশি মতো দাম বাড়াতে চান। তারা সরকারের মূল্য মানেননা। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে একযুগে মাংস বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। মানুষ সমস্যা রয়েছে। এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়িরা মাছ মাংসের দাম বৃদ্ধি করে দিয়েছে। মানুষ কোথায় যাবে? এই সমস্যার একটি সমাধান প্রয়োজন। অপরদিকে মাংস ব্যবসায়িদের দাবি অযৌক্তিক জানিয়ে নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রি করতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী।  
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৮

সুনামগঞ্জে অনির্দিষ্টকাল মাংস ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতি 
সরকার নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রি করতে না পারায় সুনামগঞ্জের অনির্দিষ্টকালের জন্য গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে মাংস বাজার সমবায় সমিতি। শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল থেকে সুনামগঞ্জ শহর ও শহরতলীর সকল কসাইখানায় গরু মাংস বিক্রি বন্ধ করে কর্মবিরতি পালন করেন মাংস ব্যবসায়িরা। ব্যবসায়িরা জানান, স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। বাজারে গরুর দাম বেশি হওয়ায় নির্ধারিত মূল্য মাংস বিক্রি করে শ্রমিক ব্যায়, দোকান খরচ, পরিবহনসহ যাবতীয় খরচ মিটিয়ব মুনাফা পাচ্ছেননা তারা। তাই নির্ধারিত মূল্য বৃদ্ধি না করা হলে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত মাংস বিক্রি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।  মাংস বাজার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান বলেন, সরকার প্রতিকেজি মাংস ৭০০ টাকায় বিক্রি করার জন্য মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। বাজারে গরুর দাম বেশি। এই দামে মাংস বিক্রি করলে আমাদের মুনাফা থাকে না গরু প্রতি ৫-১০ হাজার ঘাটতি পড়ে। এভাবে ব্যবসা করা যায় না। কেজি প্রতি ৫০ টাকা বাড়ানো না হলে আমারা কেউই মাংস বিক্রি করবো না।  এদিকে মাংস ব্যবসায়িদের এমন কর্মবিরতি পালনে বিপাকে পড়েছে সাধারণ ক্রেতারা। অনেকে মাংসবাজারে এসে মাংস না পেয়ে খালি হাতে ফিরেছেন। ব্যবসায়িদের এমন আকস্মিক সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। শহরের আরফিন নগরের বেনু মিয়া বলেন, আমি বাজারে মাংস কেনার জন্যে আসছিলাম। এসে দেখি হঠাৎ মাংস বিক্রি বন্ধ। বাসায় মেহমান আসবে। এখন কি করবো বুঝতে পারছি না। পোল্ট্রি মোরগ কেনা ছাড়া উপায় নাই। অপরদিকে মাংস ব্যবসায়িদের দাবির বিষয়টি দ্রুতই নিষ্পত্তি করে বাজার স্বাভাবিক করার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী   
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৯:২০

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার 
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের আশ্বাসে আন্দোলনরত পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের এ ঘোষণা দেন পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। ইন্টার্ন চিকিৎসক ও পোস্ট-গ্রাজুয়েট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠকের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেন, আমাদের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বহুদিনের দাবি ছিল বেতন বৃদ্ধির। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক, এই বাজারে এতো অল্প টাকায় চলা সম্ভব না। এই দাবির সঙ্গে প্রথম দিন থেকেই আমি সম্মতি দিয়েছি। আমি তাদের কথা শুনেছি, কয়েকবার তাদের সঙ্গে বসেছি। হাসপাতালকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এরাই সবচেয়ে বেশি কাজ করেন। তিনি বলেন, তাদের কাজে যোগ দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। ঈদের পরেই আমরা বলতে পারব কবে তাদের বেতন বাড়বে। তবে ঈদের আগে আমরা বকেয়া ভাতাটা দিয়ে দেব এবং বন্ধ থাকা ১২ ইনস্টিটিউটের ভাতা চালু হবে। চার দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই দুই ঘরানার চিকিৎসকেরা ধর্মঘট পালন করে আসছিলেন। এতে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হয়। ভোগান্তিতে পড়েন রোগীরা।  ২৩ মার্চ থেকে সারাদেশের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তারা এই কর্মবিরতি আহ্বান করেন। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বেতন বাড়িয়ে ৩০ হাজার এবং পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকদের বেতন বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা তাদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ ছাড়া চিকিৎসা সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, বিভিন্ন বকেয়া ভাতা প্রদানের দাবিও রয়েছে।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৪

সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি স্থগিত 
সিলেটে প্রশাসনের আশ্বাসে পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়েছে।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে ধর্মঘট তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন জেলা পরিবহন শ্রমিক নেতারা।  জেলা সড়ক পরিবহন বিভাগীয় কমিটির সভাপতি হাজী ময়নুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রশাসন গ্যাসের সমাধান তারা করে দেবেন। আর মামলার বিষয়ে এসএমপি কমিশনার সিলেটে আসলে এটারও সমাধান হবে। সে জন্য আমরা আশ্বাস পেয়ে ধর্মঘট তুলে নিয়েছি।  উল্লেখ্য, এর আগে রোববার নগরীর কোর্ট পয়েন্টে গ্যাসের লোড বাড়ানোসহ ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন করে পরিবহন শ্রমিকেরা। মানববন্ধনে শ্রমিক নেতারা দাবি আদায়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। পরে আজ বুধবার ভোর ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের এই কর্মবিরতি শুরু হয়।   
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৪

নওগাঁয় চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে নেসকো কর্মচারীদের কর্মবিরতি
নওগাঁয় ১০ দিন ধরে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) পিচরেট মিটার রিডার ও বিল বিতরণকারীরা কর্মবিরতি পালন করছেন। পিচরেট কর্মচারী ঐক্য পরিষদ বিক্রয় ও বিতরণ রাজশাহী-রংপুর বিভাগের কর্মচারীরা এই কর্মবিরতি পালন করছেন। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে নওগাঁ শহরের কাঠালতলি এলাকায় নেসকো কার্যালয়ের সামনে বগুড়া, পাবনা, গাইবন্ধা ও জয়পুরহাট থেকে আসা পিচরেট মিটার রিডার ও বিল বিতরণকারীরা এই কর্মবিরতিতে অংশ নেয়। কর্মবিরতিতে নওগাঁ পিচরেট কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন, আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির মুখপাত্র আনোয়ার হোসেন, বগুড়া সার্কেলের মুখপাত্র সুব্রুত সরকার, বগুড়ার সান্তাহার সার্কেলের সভাপতি মতলেবুর রহমান, জয়পুরহাট জেলার সভাপতি রফিকুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলার সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, নওগাঁ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, নওগাঁ উত্তর শাখার সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেনসহ অন্যান্যরা। কর্মবিরতী অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ী (পিচরেট) ভিত্তিতে মিটার পাঠক ও বিল বিতরণকারী হিসেবে তারা কর্মরত আছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ হয়নি, অনেকে চাকরি হারাচ্ছেন। ফলে রাজশাহী ও রংপুর এই দুই বিভাগের প্রায় ৬শ জনের ঊর্ধ্বে পিচরেট কর্মচারী তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে বর্তমানে চরম হতাশার মধ্য দিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাই অবিলম্বে তারা তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানান। আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রি-প্রেইড সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এই সিস্টেম পুরোপুরি চালু হলে আমরা চাকরিচ্যুত হবো। তাই আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করতে হবে। নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এর আগে চাকরি স্থায়ীকরণের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু আজও সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। আমরা এমডির এই প্রতিশ্রুতির দ্রুত বাস্তবায়ন চাই। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নেসকোর মিটার রিডারদের কর্মবিরতি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে নেসকোর মিটার রিডাররা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছেন। সোমবার (২২ জানুয়ারি) নেসকো চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন মিটার রিডাররা। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, পিচরেট কর্মচারী এক্য পরিষদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান নয়নসহ অন্যান্যরা বক্তব্য দেন। এ সময় বক্তারা বলেন, পূর্বের পিডিবিতে মিটার রিডার হিসাবে চাকরি শুরু করার পর, এখন কারো কারো চাকুরির বয়স ২০ থেকে ২৫ বছর। নেসকো গঠন হওয়ার পর আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণের আশ্বাস দেওয়া হলেও কয়েকজনের চাকরি স্থায়ী হলেও অধিকাংশ মিটার রিডারের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হয়নি। এতে মিটার রিডাররা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। উল্লেখ, গত ১৫ জানুয়ারি থেকে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের মিটার রিডাররা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন শুরু করেন।
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪১

নওগাঁ / চাকরি স্থায়ীর দাবিতে নেসকোর মিটার রিডার ও বিল বিতরণকারীদের কর্মবিরতি
নওগাঁয় চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী লিমিটেডের (নেসকো) পিচরেট মিটার রিডার ও বিল বিতরণকারীরা সমাবেশ ও কর্মবিরতি শুরু করেছে।   মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে জেলা শহরের কাঁঠালতলি এলাকায় নেসকোর বিক্রয় ও বিতরণ কার্যালয়ের সামনে পিচরেট কর্মচারী ঐক্য পরিষদের উদ্যেগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা মাটিতে বসে কর্মবিরতী পালন শুরু করেন। কর্মসূচী চলাকালে বক্তব্য রাখেন, নওগাঁ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ, পিচরেট কর্মচারী ঐক্য পরিষদ নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক সুব্রত সরকার, মতলুবুর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ী (পিচরেট) ভিত্তিতে মিটার পাঠক ও বিল বিতরণকারী হিসেবে তারা কর্মরত আছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ হয়নি, অনেকে চাকরি হারাচ্ছেন। ফলে রাজশাহী ও রংপুর এই দুই বিভাগের প্রায় ৬শ জনের ঊর্ধ্বে পিচরেট কর্মচারী তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে বর্তমানে চরম হতাশার মধ্য দিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাই অবিলম্বে তারা তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানান। না হলে আগামীতে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বক্তারা।   পিচরেট কর্মচারী সুব্রত সরকার বলেন, নেসকোর এমডি পিচরেট কর্মচারীদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু আজও সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেননি। বরং অনেক কর্মচারীরা চাকরি হারাচ্ছেন। অবিলম্বে নেসকো কর্তৃপক্ষকে দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, যতদিন চাকরি স্থায়ীকরণ না করা হবে, ততদিন ওই আন্দোলন চলমান থাকবে।   আরেক কর্মচারী মতলুবুর রহমান বলেন, প্রিপেইড বিদ্যুৎ মিটারে উন্নতকরনের কারণে রংপুর ও রাজশাহী জোনের প্রায় ৭০০ জন মিটার রিডার এবং বিল বিতরণকারী বেকার হয়ে পড়বে। অনেকে ১৫ থেকে ২০ বছর যাবৎ এই পেশায় নিয়োজিত আছি। এখন চাকরি হারালে কি করে চলবেন। এই বয়সে অন্য কিছু করারও সুযোগ নেই। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়