• ঢাকা বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আওয়ামী লীগ কখনও ইতিহাস বিকৃতিতে বিশ্বাস করে না: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ কখনো ইতিহাস বিকৃতিতে বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বরং জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছেন। বিএনপির শাসনামলে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিকৃত ও মিথ্যা ইতিহাস প্রচার করা হয়েছে। এমনকি ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পর্যন্ত বাজাতে দেওয়া হয়নি। শনিবার (৪ মে) আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খানের পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না। প্রকৃত ইতিহাস তার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হবে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী এবং গণতন্ত্র হত্যাকারী একজন স্বৈরশাসক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবেন। জিয়াউর রহমান বাঙালি জাতির কাছে একজন সামরিক স্বৈরশাসক হিসেবেই অভিহিত হবেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক যে কোনো বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, প্রথা, বিধি-বিধান ও নির্বাচন তাদের কাছে ফাঁদ বলে মনে হয়। সে কারণে তারা চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে হালকা হিসেবে জনগণের সামনে তুলে ধরার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।  তিনি বলেন, বিএনপির লক্ষ্যই হলো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে যে কোনো উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নস্যাৎ করা। সেজন্য তারা লাগাতারভাবে মিথ্যাচার-অপপ্রচার ও গুজব সৃষ্টি করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপরাজনীতি করে। বিএনপিকে এদেশের মানুষ ভালো করেই চেনে। বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন এবং তাদের নেতাদের হাক-ডাকে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। সূত্র : বাসস
০৪ মে ২০২৪, ২১:৪০

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রক্তে ভাসিয়ে দেবে : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির হাতে ১৫ আগস্টের রক্তের দাগ, তাদের হাতে ২১ আগস্টের রক্তের দাগ, তাদের হাতে শ্রমিকের রক্তের দাগ। বিএনপি যদি আবারও ক্ষমতায় যায় তাহলে দেশ রক্তে ভাসিয়ে দেবে। বুধবার (১ মে) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় শ্রমিক লীগের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শ্রমিক লীগের সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান, আফজাল হোসেনসহ অনেকে। শেখ হাসিনা শ্রমিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী আখ্যা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা আজ মজুরি বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করেছে। এখন শ্রমিকের ওপর কোনো নির্যাতন নেই। শ্রমিকদের অধিকার দিবসে আমি বলব আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। নেত্রী যা করেছেন, ভবিষ্যতে আরও করবেন। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে শত্রুতা সৃষ্টি করবেন না। শ্রমিক হত্যার রক্ত যাদের হাতে, এই দেশ তাদের ক্ষমা করবে না মন্তব্য করে কাদের বলেন, বিএনপির মধ্যে কাউকে পছন্দ না হলে বলে সরকারের এজেন্ট। এই বিএনপিকে আমরা ভাঙতে চাই না। তারা নিজেরা নিজেদের ভাঙনের জন্য দায়ী হবে। ঘরে এত শত্রু, নিজেদের ভাঙনের জন্য বাইরের শত্রুর প্রয়োজন হবে না। বিএনপি কর্মীরা ক্লান্ত, নেতারা হতাশ, কেউ কেউ বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। বিএনপির মুখে আন্দোলনের কথাটা শুনলে ঘোড়ারও হাসি পায়।
০১ মে ২০২৪, ২১:৪৭

বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনও তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?    শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লো মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে। তিনি বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।  তিনি আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৫

ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ চাওয়ায় শাহবাগ থানায় জিডি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ চাওয়ায় যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ ওরফে খোকন এ জিডি করেন। জিডিতে বলা হয়েছে, ২০ এপ্রিল বেলা ১১টায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেছেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ২০ বছর মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তিনি পরিবহন সেক্টরে কোনো কাজ করেননি। একপর্যায়ে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, যেহেতু আমাদের দেশে পদত্যাগের সংস্কৃতি নেই, সেহেতু মন্ত্রী ইচ্ছা করলে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করতে পারেন। জিডিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি যাত্রীদের কল্যাণ করবে এটাই তাদের কাজ। কিন্তু সুপরিকল্পিতভাবে মোজাম্মেল হক চৌধুরী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। যাতে মন্ত্রী মহোদয়ের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। বর্তমান সরকার টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছে। সরকারের ক্ষমতায় থাকার বয়স ১৫ বছর ৩ মাস। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সেখানে ২০ বছর মন্ত্রী থাকেন কীভাবে?  মোজাম্মেল হক চৌধুরী সুপরিকল্পিতভাবে মন্ত্রী ও সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। তার এই মিথ্যাচারের বক্তব্য যমুনা টেলিভিশন, আরটিভি, অন্যান্য স্যাটেলাইট টেলিভিশনসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। তার এই মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্যে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন ও মন্ত্রীর মানহানি হয়েছে বলেও জিডিতে উল্লেখ করা হয়।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

বিএনপি এখন পথহারা পথিক : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলনে ব্যর্থ এবং নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নেতারা নিজেরাই মহাবিপদে আছেন। তাদের হাল ধরার কেউ নেই, তারা পথহারা পথিক। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে (কেআইবি) আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির পথে প্রধান অন্তরায় জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। দেশের উন্নয়ন-সমৃদ্ধিকে বাঁচাতে হলে যে কোনো মূল্যে এদেরকে রুখতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি নিজেরা বিপদে পড়েছে বলে গুজব ছড়ায়, দেশকে বিপদে ফেলার অপচেষ্টা করে। যতদিন শেখ হাসিনা আছেন, এদেশ ততদিন নিরাপদ থাকবে। তিনি আরও বলেন এ দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনাই হয়েছে কৃষকদের হাতে। কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতি বাঁচবে। এটাকে গুরুত্ব দেওয়ার ফলে বৈশ্বিক সংকটেও কঠিন পরিস্থিতি সহজে মোকাবিলা করতে পেরেছে বাংলাদেশ। কাদের বলেন, যারা এ দেশকে নিয়ে বেশি কথা বলেন, কথায় কথায় সরকারের সমালোচনা করেন, যারা আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ, তারাই গণতন্ত্রের সমালোচনা করেন। এ দলের ভবিষ্যৎ আছে বলে কর্মীরাও বিশ্বাস করে না। কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটুর সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৯

ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে যা বললেন রিজভী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জিয়াউর রহমান কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন এটা যদি না জেনে থাকেন তাহলে আপনি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। সোমবার (১৫ এপ্রিল) নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন এটা যদি না জেনে থাকেন তাহলে আপনি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। না হয় কলকাতার সিনেমা দেখেছেন। জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে আপনি বা আপনার প্রধানমন্ত্রীর বলা না বলাতে কিছু যায় আসে না।’ তিনি বলেন, ‌‌‘ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ববিরোধী। অবান্তর কথা বলে মানুষের কাছে হাসির পাত্র হয়েছেন তিনি। হতাশা থেকেই আওয়ামী লীগ নেতারা জিয়াউর রহমানকে অপবাদ দেয়। তাকে অপমানের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অবদান একটি ঐতিহাসিক দলিল, যাকে সবাই স্বীকৃতি দিয়েছেন। আপনি (ওবায়দুল কাদের) চাকরি রক্ষার জন্য শেখ হাসিনার ইচ্ছা অনুযায়ী কথা বলছেন। আপনার এই কথায় প্রমাণিত হয় আপনারাই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। সিলেট ও রৌমারীর একটা বড় অংশ স্বাধীন রেখেছিলেন জিয়াউর রহমান।’ সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইঁয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক সরফুদ্দিন আহমেদ সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, তারিকুল আলম তেনজিং, রফিকুল ইসলাম এবং মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম উপস্থিত ছিলেন।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫৮

‘স্বাধীনতার চেতনা ধ্বংস করার জন্য বিএনপির জন্ম’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য বিএনপির জন্ম। তারা বাংলাদেশের অস্তিত্বের মূলে আঘাত করতে চায়। ৭১ এ তাদের যে ভূমিকা, হঠাৎ করে বাঁশিতে ফুঁ দিলে অমনিই তিনি ঘোষক হয়ে গেলেন। ২৪ বছরের যে আন্দোলন এসবের কোন দাম নেই? সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৭ এপ্রিল মুজিব নগর দিবস। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ দিবস, সেই দিনটিকে তারা (বিএনপি) অস্বীকার করে। ১০ এপ্রিল প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠন হয়, সেটা অস্বীকার করে। স্বাধিকার আন্দোলনের মাইলফলক ৭ জুনকে অস্বীকার করে। বিএনপি বাঙালি সংস্কৃতির চেতনা নিয়ে ইতিবাচক রাজনীতি করবে এটা আমি বিশ্বাস করি না। তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল দাবি করেছেন বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মী জেলে। আমরা বিএনপির এই ৬০ লাখ লোকের তালিকা চাই। ছিল ২০ হাজার এখন সেটা ৬০ লাখ হলো কি করে? ৬০ লাখ বন্দির তালিকা অবিলম্বে প্রকাশ করুক। না হয় মিথ্যাচারের জন্য জাতির কাছে মির্জা ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বি এম মোজাম্মেল হক, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৭

ফেসবুকে ওবায়দুল কাদেরের ভালোবাসার বার্তা
ঈদের দ্বিতীয় দিন ফেসবুকে ভালোবাসার বার্তা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ভালোবাসা দিয়ে ঘৃণাকে জয় করার কথা বললেন তিনি। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ১১টি ছবি পোস্ট করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ক্যাপশনে কাদের লিখেন, ‘ঘৃণা দিয়ে ঘৃণা তাড়ানো যায় না। শুধু ভালোবাসাই তা করতে পারে।’  পোস্টটি ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। এক ঘণ্টার মধ্যেই ১১ হাজারের বেশি রিঅ্যাকশন পড়ে। এই সময়ের মধ্যে মন্তব্যও পড়েছে আড়াই হাজারের বেশি। শেয়ার হয়েছে ৫শ’র বেশি।  একজন লিখেছেন ‘কাদের ভাই, আজকে ছবি এত কম দিলেন কেন?’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘মাননীয় মন্ত্রী, মাত্র ১১টা ছবি অ্যাটাচ করেছেন পোস্টে? মেনে নিতে পারলাম না।’ আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘মিনিস্ট্রি অব লাভের মিনিস্টার।’  এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন এক ভিডিও বার্তা দেন মন্ত্রী। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, এবারও ঈদের আগে ঘরমুখো মানুষের বাঁধভাঙা জনস্রোত দেখা গেছে। অনেকেই ঈদযাত্রা নিয়ে জনদুর্ভোগের আশঙ্কা করেছিলেন। তবে সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় সব সংশয় ও শঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে ঈদযাত্রা তুলনামূলক স্বস্তিদায়ক হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় ফেসবুকে একাধিক ছবি পোস্ট করেন ওবায়দুল কাদের। সেসব ছবি অনেক আলোচনার জন্মও দেয়।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ২০:২৭

বিএনপি নেতাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল : কাদের
গণতন্ত্র নিয়ে বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের উচিত ছিল তাদের অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের জন্য জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া। অথচ তারা সেটা না করে বরাবরের ন্যায় দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে।  সোমবার (৮ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে বাংলাদেশ স্বপ্নের পথে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট মানবসভ্যতার ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা হয়েছিল। একইভাবে হন্তারকের দল ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছিল। সেদিন কোথায় ছিল গণতন্ত্র? কোথায় ছিল মানবাধিকার? তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর খুনি জিয়ার হাতে জন্ম নেওয়া বিএনপি যখন গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বলে, ইতিহাস তখন বিদ্রূপের হাসি হাসে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন করেছিল। জাতিকে মিরপুর ও মাগুরা মার্কা উপনির্বাচন উপহার দিয়েছিল বিএনপি। নির্বাচনে কারচুপি করে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারায় আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন এবং ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করেছিল। অপারেশন ক্লিনহার্টের নামে তখন বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচার-নির্যাতনের ভয়াবহ নজির স্থাপন করা হয়েছিল। ২০০১ পরবর্তী সময়কালে বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনামলে ২১ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। স্বৈরাচারের গর্ভে জন্ম নেওয়া বিএনপি সুপরিকল্পিতভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও মূল্যবোধ এবং গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রের হত্যাকারীরা আজ যখন গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে তখন বুঝতে হবে, তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য তাদের মায়াকান্না ছাড়া আর কিছু না। গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই। গণতন্ত্রের জন্য তাদের এই আহাজারি মূলত একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড, হাওয়া ভবন-খোয়াব ভবনের অধিপতি, দুর্নীতি-সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তায়নের বরপুত্র তারেক রহমানের দুঃশাসনের যুগে দেশকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৭

ইফতার পার্টি করতে তাদের লজ্জা করে না : কাদের
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই রমজানে তারা একজন গরিব মানুষকেও সাহায্য করেনি। তারা মানুষকে কোনো প্রকার সাহায্য না করে বড় বড় হোটেলে গিয়ে ইফতার পার্টি করেছে। অথচ তারাই আবার বলেন, ঢাকা শহরে এত ভিক্ষুক কেন? তাদের কি লজ্জা করে না? বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঢাকা ১০ আসনের জনগণের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।  ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে গরিব মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করছে। বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই হলো আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য। তিনি বলেন, ঈদের সময় দান-খয়রাত ও জাকাত পাওয়ার আশায় ঢাকাসহ বড় বড় শহরে কিছু গরিব মানুষ আসে। কিন্তু এ পর্যন্ত কেউ না খেয়ে রাস্তায় পড়ে মারা গেছেন এমন একটা দৃষ্টান্তও শেখ হাসিনার আমলে নাই। বিশ্বে সংকট, বাংলাদেশে সংকট রয়েছে। তারপরও আমরা জ্বালানির দাম সমন্বয় করে কমিয়েছি। জিনিসপত্রের দামও কমে যাচ্ছে। আজকে তারা (বিএনপি) বড় বড় কথা বলেন, গরিবের নামে মায়াকান্না করেন। তারা কি ভুলে যান জিয়াউর রহমানের আমলে উত্তরবঙ্গের রংপুর কোর্টে গিয়ে নারীরা অভাবের তাড়নায় পতিতাবৃত্তিতে নাম লিখিয়েছিলেন। সেই ইতিহাস কি তারা ভুলে যায়? তিনি আরও বলেন, তারাবির নামাজের পর সারারাত ধরে ঈদের শপিং চলে। এখনও কারো নিরাপত্তাহীনতার ঘটনা ঘটেনি। রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে যারা নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে তাদের কথায় কান দেবেন না।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়