• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গরমে ক্লান্তি দূর করে এনার্জি দেবে যেসব খাবার
আবহাওয়ার এই অসহনীয় গরমে শরীরে দেখা দিতে পারে অবসাদ-ক্লান্তি। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে খাবার। তবে বেছে নিতে হবে এমন কিছু খাবার, যা শরীরে সর্বাধিক শক্তি সরবরাহ করতে পারে। কোনো কোনো খাবার খেলে গরমের দিনেও আপনার এনার্জি সঠিক মাত্রায় বজায় থাকবে, জেনে নিন তালিকা। শুধু ওজন কমাতে নয়, গরমের সময়ে আপনাকে ভরপুর এনার্জির জোগান দেবে চিয়া সিডস। তাই এই উপকরণ অবশ্যই রাখুন আপনার মেনুতে। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, মিনারেলসে ভরপুর চিয়া সিডস আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে অনেকক্ষণ। সেই সঙ্গে আপনাকে কাজের শক্তি দেবে, চাঙ্গা রাখবে। অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হতে দেবে না। মিষ্টি আলু ওজন কমানোর পাশাপাশি সাহায্য করে এনার্জির জোগান দিতেও। তাই গরমের দিনে এই উপকরণ দিয়ে পদ পাতে রাখুন। মিষ্টি আলুতে কার্বোহাইড্রেট এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস প্রচুর পরিমাণে থাকায় আপনি অনেকক্ষণ চাঙ্গা থাকার এনার্জি পাবেন এই খাবার থেকে। সকালের খাবারে অনেকেই কলা খেয়ে থাকেন। কিংবা ধরুন আপনার খিদে পেয়েছে কখনও, বিশেষ করে রাস্তাঘাটে। কলা খেয়ে নিতে পারলে পেট ভরে থাকবে অনেকক্ষণ। আপনি শারীরিক ভাবে চাঙ্গাও থাকবেন দীর্ঘক্ষণ। কলার মধ্যে রয়েছে সুক্রোজ, ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজ। এই তিন উপকরণ আপনাকে ইনস্ট্যান্ট এনার্জি প্রদান করতে পারে। তার ফলে চাঙ্গা থাকবে আপনি। ওটস একটি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। ওটস খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি থাকে এবং ওজন কমে, একথা ঠিকই। সেই সঙ্গে আপনি প্রচুর এনার্জিও পাবেন এই খাবার থেকে। ওটসের মধ্যে রয়েছে ফাইবার, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেটস। এই তিন ধরনের নিউট্রিয়েন্টের সাহায্যে আপনার শরীরের এনার্জির মাত্রা বাড়বে। বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং বীজ জাতীয় জিনিস খেতে পারেন যা আপনাকে ভরপুর এনার্জির জোগান দেবে এই তীব্র গরমেও। আমন্ড, আখরোট, চিনাবাদাম, সূর্যমুখী ফুলের বীজ- এইসব উপকরণে থাকে হেলদি ফ্যাট, ফাইবার এবং প্রোটিন, যা আপনাকে ভরপুর এনার্জির জোগান দেবে।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১০

তীব্র সংকটের মধ্যেই গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব
রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র গ্যাস সংকট। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এসব এলাকায় প্রতিদিন সকাল ছয়টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত মিলছে না গ্যাস। কিছু কিছু এলাকায় দিনে গ্যাস মিললেও তা একবারেই চাপ-শূন্য। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। এরই মধ্যে আবাসিকে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব এসেছে। তা  বিবেচনায় নিয়ে কারিগরি কমিটি গঠন করেছে জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। গ্যাস সংকট নিয়মিত সমস্যা ছিল রাজধানীর মান্ডা, মানিকনগর, জুরাইন, কামরাঙ্গীচর, মালিবাগ, বাসাবো, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী ও মুগদা এলাকায়। তবে এখন তা ধানমন্ডি, কলাবাগান, কমলাপুর, মগবাজার, ইস্কাটন, গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকাতেও শুরু হয়েছে। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৫-৬টা পর্যন্ত গ্যাস থাকছে না। দিনের বেলায় রান্না করা সম্ভব হচ্ছে না, রাতের রান্না করা খাবারও দিনের বেলায় গরম করা যাচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়ে অনেকে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করছেন। রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা সানজিদা আক্তার বলেন, কিছুদিন ধরে গ্যাস একেবারেই থাকছেনা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকছে, দুপুরের মধ্যে তা একদম শূন্য। রান্না করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ফলে সিলিন্ডার গ্যাস নিতে বাধ্য হয়েছি। পশ্চিম রাজাবাজারের হিমেল দেব বলেন, কিছুদিন ধরে দিনের বেলায় গ্যাস থাকছেনা। গ্যাস এলেও তা দিয়ে পানিও গরম করা যাচ্ছেনা। আমরা ব্যাচেলার মানুষ, সকালে কাজের লোক এসে গ্যাস পায় না, রান্না না করে চলে যায়। ফলে না খেয়েই অফিসে যেতে হয়। বাসাবো এলাকার মোহন লাল বলেন, আগে সকালের দিকে গ্যাস থাকলেও এখন সকালেও থাকছেনা। আগে ১১টার পরে আসত, এখন সেটাও বন্ধ হয়েছে। সায়দাবাদ এলাকার সাদ্দাম হোসেন বলেন, বহুদিন ধরেই গ্যাসের সমস্যা। মাস-খানেক আগে সকাল-সন্ধ্যা একটু থাকতো। এখন সেটাও আসেনা। তিতাস অফিসে বারবার যোগাযোগ করেও লাভ হয়নি।  রাজধানীর সিএনজি স্টেশনগুলো ঘুরে দেখা গেছে, গ্যাসের চাপ কম থাকায় গাড়িতে পর্যাপ্ত জ্বালানি নেওয়া যাচ্ছেনা। ফলে বারবার যানবাহনগু‌লোকে গ্যাসের লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, প্রতি মাসে দেশে গ্যাসের চাহিদা রয়েছে ৩ হাজার ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট। তবে জানুয়ারিতে চাহিদার বিপরীতে দেশে ২ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে, যা ২০২০ সালের এপ্রিলের পর সর্বনিম্ন। তীব্র সংকটের মধ্যেই জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) আবাসিক গ্রাহকদের বিল ৫১২ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে। বর্তমানে দুই চুলার জন্য ১ হাজার ৮০ টাকা ও এক চুলার জন্য ৯৯০ টাকা বিল দিতে হয়। মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব মানা হলে দুই চুলার জন্য মাসে ১ হাজার ৫৯২ টাকা এবং এক চুলার জন্য ১ হাজার ৩৮০ টাকা বিল দিতে হবে। এদিকে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে কারিগরি কমিটি গঠন করেছে বিইআরসি। দেশের ছয়টি গ্যাস বিতরণ সংস্থাকে গত সোমবার চিঠি দিয়েছে ওই কমিটি। চিঠিতে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবের সপক্ষে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে। তথ্য-উপাত্ত যাচাইয়ের পর জানুয়ারির মধ্যেই নিজেদের সিদ্ধান্ত কমিশনকে জানাবে কারিগরি কমিটি। সম্প্রতি গ্যাস সংকটের জন্য ‘দুঃখ প্রকাশ’ করে বিদ্যুৎ জ্বালানি খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী মার্চ মাস নাগাদ গ্যাসের সংকট সমাধান হয়ে যাবে। তবে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাসের জন্য দেশবাসীকে আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।  তিনি বলেন, আমরা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের একটা টাইমলাইন ঠিক করে ফেলেছি। ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সাপ্লাই থাকবে। আমরা যেভাবে বিদ্যুতে করেছি, গ্যাসের ব্যাপারেও সেই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:৩৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়