• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সাকিবকে এক নজর দেখতে গিয়ে ঝলসে গেল স্কুলছাত্র
জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটার ও মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানকে দেখতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে নীরব (১৩) নামের এক স্কুলছাত্র ঝলসে গেছে।  মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, এদিন বিকেলে চৌদ্দগ্রামে ধোড়করা বাজারে হারলান একটি কসমেটিকসের শো-রুম উদ্বোধন করেন সাকিব আল হাসান। তাকে এক নজর দেখতে স্কুলছাত্র নীরব স্থানীয় মালেক টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় ওঠে। এ সময় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে তার শরীরে আগুন ধরে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নীরবকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার রবিউল হক বলেন, নীরবের বুকের ডান পাশে প্রায় ৪০ শতাংশ ঝলসে গেছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসার শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠিয়েছি। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ত্রিনাথ সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সাকিব আল হাসান আসার আগে উৎসুক জনতার সঙ্গে নীরব নামে এই স্কুলছাত্রটি একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় ওঠার চেষ্টা করছিল। এ সময় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে সে ঝলসে যায়। তার শরীরের প্রায় ৪০ শতাংশ ঝলসে গেছে।
২ ঘণ্টা আগে

ব্যাংক এশিয়ায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, বেতন এক লাখ টাকা
জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ‘হেড অব রিটেইল লিয়াবিলিটি প্রোডাক্টস (এফভিপি-ইভিপি)’ পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা আবেদন করতে পারবেন অনলাইনে। যা যা প্রয়োজন- প্রতিষ্ঠানের নাম: ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড পদের নাম: হেড অব রিটেইল লিয়াবিলিটি প্রোডাক্টস (এফভিপি-ইভিপি) পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয় শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতকোত্তর অভিজ্ঞতা: ১২ বছর বেতন: ১,০০,০০০ টাকা চাকরির ধরন: ফুল টাইম প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ বয়স: নির্ধারিত নয় কর্মস্থল: ঢাকা আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা Bank Asia Limited এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ সময়: ১২ মে ২০২৪ পর্যন্ত।
১২ ঘণ্টা আগে

এক সিঙ্গারার ওজন দুই কেজি!
ভাজাপোড়া অনেকেরই পছন্দ। আর গরম গরম মচমচে সিঙ্গারার স্বাদই আলাদা। তবে, সেই সিঙ্গারা যদি হয় দুই কেজি ওজনের তাহলে বেড়ে যায় কৌতূহল। দুই কেজি ওজনের সিঙ্গারা তৈরি করে রীতিমতো সাড়া ফেলেছেন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চারুলিয়া গ্রামের জসিম উদ্দিন নামে এক দোকানী। তার তৈরি বড় বড় সিঙ্গারার খ্যাতি ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় ও আকারে বড় হওয়ায় তার তৈরি সিঙ্গারা সহজেই আকৃষ্ট করছে ভোজন রসিকদের।    বিকেল হলেই শুরু হয় সুস্বাদু সিঙ্গারা ভাজার কর্মযজ্ঞ। একবারে ভাজা হয় দুই কেজি ওজনের সিঙ্গারা। দুই কেজি ছাড়াও এক কেজি, ৫০০ গ্রাম, ২৫০ গ্রাম ওজনের সিঙ্গারাও মেলে জসিম উদ্দিনের দোকানে। সিঙ্গারা ভাজার গন্ধে মৌ মৌ করে ওঠে চারপাশ। গরম গরম মচমচে সুস্বাদু সিঙ্গারা খেতে অপেক্ষা করেন ভোজন রসিকরা। কালো জিরা, বাদাম, কিসমিসসহ ৩০ পদের মসলা ও মাংস দিয়ে তৈরি হয় বড় বড় সিঙ্গারা। কেউ পছন্দ করেন গরুর মাংস, কেউ খাসির মাংস আবার কেউ পছন্দ করেন মুরগির মাংসের সিঙ্গারা। পছন্দ ও চাহিদা অনুযায়ী ক্রেতাদের কাছে সিঙ্গারা সরবরাহ করেন জসিম। শুধু চুয়াডাঙ্গা নয়, কুষ্টিয়া, মেহেরপুরসহ আশপাশের জেলার মানুষ সিঙ্গারা খেতে আসেন এখানে। কেউ বন্ধু-বান্ধবের সাথে বসে সিঙ্গারার স্বাদ নেন। কেউ আবার নিয়ে যান পরিবারের সদস্যদের জন্য। জসিমের দোকানে দুই কেজি ওজনের সিঙ্গারা বিক্রি হয় ৬০০ টাকায়। আর এক কেজি ওজনের সিঙ্গারা বিক্রি হয় ৩০০ টাকায়, ৫০০ গ্রাম ওজনের সিঙ্গারা বিক্রি হয় ১৫০ টাকায় ও ২৫০ গ্রাম ওজনের সিঙ্গারা বিক্রি হয় ৭৫ টাকায়। বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে বেচাবিক্রি।  দীর্ঘ ৫ বছর ধরে সিঙ্গারার ব্যবসা করেন জসিম উদ্দিন। প্রথমে পরিবারের লোকজনের জন্য একটি দুই কেজি ওজনের বড় সিঙ্গারা তৈরি করেন তিনি। পরে সেই বড় আকারের সিঙ্গারা আকৃষ্ট করে ক্রেতাদের। প্রথমদিকে ছোট্ট পরিসরে শুরু করলেও সময়ের ব্যবধানে বেড়েছে তার কাজের পরিধি। প্রতিদিন প্রায় ২৫ হাজার টাকার সিঙ্গারা বিক্রি হয় তার দোকানে। সিঙ্গারা বিক্রির টাকা দিয়েই চলে তার সংসার। চলে সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ। ক্রেতাদের মুখে সিঙ্গারার সুনাম শুনে আত্মতৃপ্ত হন জসিম।  সিঙ্গারা ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, ৭ বছর আগে মেহেরপুরের বামনপাড়া গ্রামের আমার নানা শামছদ্দিনের কাছ থেকে সিঙ্গার বানানো শিখেছি। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে এই ব্যবসা করছি। গত ৩ মাস থেকে বড় সিঙ্গারা তৈরি করে আসছি। প্রথমে পরিবারের সদস্যদের খাওয়ার জন্য একটি বড় সিঙ্গারা তৈরি করি। সুস্বাদু হওয়ায় দোকানে বড় সিঙ্গারা বানানো শুরু করি। আস্তে আস্তে বড় সিঙ্গারার চাহিদা বাড়তে থাকে। তিনি বলেন, এই সিঙ্গারার বিশেষত্ব হচ্ছে, কালো জিরা, বাদাম, কিসমিসসহ ৩০ পদের মসলা এবং গরু, খাসি ও মুরগির মাংস। কেউ পছন্দ করেন গরুর মাংস, কেউ খাসি আবার কেউ পছন্দ করেন মুরগির মাংস। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী সিঙ্গারা ভেজে বিক্রি করি। যখন কেউ আমার সিঙ্গারা খেয়ে প্রশংসা করেন তখন আমি খুবই আনন্দিত হই। আমি খুব তৃপ্তি পাই।  তিনি আরও বলেন, আমার মাঠে তেমন জমিজমা নেই। সিঙ্গারার ব্যবসা করে আমার সংসার চলে। আমার তিন ছেলে ও এক মেয়ে। আমার ব্যবসার টাকা দিয়ে চলে সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ। আমার কাজে আমার স্ত্রী ও সন্তানরা সহযোগীতা করে।  মেহেরপুর থেকে আসা আবির হাসান বলেন, ফেসবুকে জসিম উদ্দিনের বড় সিঙ্গারার ছবি দেখে বন্ধুদের নিয়ে খেতে চলে এসেছি। এতো বড় সিঙ্গারা আমি আগে কখনও দেখিনি। আমরা বিভিন্ন জায়গায় পেঁয়াজু সিঙ্গারা খেয়েছি। কিন্তু এই সিঙ্গারার স্বাদই আলাদা। সবাই মিলে বসে মজা করে খেলাম। বাড়ির জন্যও চার কেজি নিয়ে যাচ্ছি।  চারুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা লিজন শেখ বলেন, চারুলিয়া গ্রামের দোকানী জসিম উদ্দিনের সুস্বাদু দুই কেজি ওজনের সিঙ্গারার খ্যাতি এখন সবার মুখে মুখে। ফেসবুকে তার সিঙ্গারা দেখে অনেকেই স্বাদ নিতে ছুটে আসছেন। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত  সব সময় ভীড় লেগেই থাকে তার দোকানে। ইতোমধ্যে চারুলিয়া গ্রামটি পরিচিতি পেয়েছে ভাইরাল বড় সিঙ্গারার গ্রাম হিসেবে।  
০৬ মে ২০২৪, ০১:৩১

টাঙ্গাইলে এক কুকুরের কামড়ে ২০ জন আহত  
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে একটি পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। এর ম‌ধ্যে গুরুতর দুইজনকে উন্নত চি‌কিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতা‌লে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে। শনিবার (৪ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুকুরটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে ২০ জনকে জখম করে। আহতরা হলেন উপজেলার নিকলা নয়াপাড়ার আজহারের ছেলে আম্বিয়া (৫৫), নূরুল ইসলামের ছেলে জামাল হোসেন (৩২), কাগমারী পাড়ার মিজানুর রহমানের ছেলে তৌফিক (৭), গিলাবাড়ি গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী আলিফা (২৮), গোবিন্দাসী গ্রামের রফিকের ছেলে শামিউল (৮), মহিউদ্দিনের ছেলে সুজন মণ্ডল (৩০), চিতুলিয়াপাড়ার মোখলেছ মিয়ার মেয়ে মনিজা খাতুন (৮), চিতুলিয়াপাড়ার নাজমুল হুদার ছেলে সাফওয়াল ইসলাম (২), চিতুলিয়াপাড়ার শাহজাহানের স্ত্রী হোসনে আরা (৪৫), ভালকুটিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে বায়েজিদ ইসলাম (৩)। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহত সুজন মণ্ডল বলেন, বা‌ড়ির ছাগলকে পাগলা কুকুর কামড়া‌চ্ছে দে‌খে এগি‌য়ে গে‌লে আমাকেও কামড় দিয়ে দৌড়ে চলে যায়। চিতুলিয়াপাড়া গ্রামের সেলিম পারভেজ জানান, কুকুরটি মানুষ ও পশু দেখলেই ক্ষিপ্র গতিতে আক্রমণ করে কামড়াতে থাকে। রোগীর স্বজনরা জানান, হাসপাতা‌লে (ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স) কোনো ভ‌্যাক‌সিন পাওয়া যায় না। বাইরের ফা‌র্মেসি থে‌কে সা‌ড়ে ৪০০ টাকা ক‌রে ভ‌্যা‌কসিন কি‌নে দি‌তে হ‌চ্ছে। ভুঞ‌াপু‌রে এর আগেও কুকু‌ড়ে কামড়া‌নোর ঘটনা ঘ‌টে‌ছিল। এরপরও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভ‌্যা‌কসিন সরবরা‌হের কোনো উদ্যোগ নেয়‌নি। ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মে‌ডি‌কেল অফিসার ডা. রুপক জানান, কুকু‌ড়ের কাম‌ড়ে অনেক রোগী বি‌ভিন্ন জায়গা থে‌কে হাসপাতা‌লে চি‌কিৎসা নি‌তে এসেছে। এদের ম‌ধ্যে দুইজ‌নের শা‌রীরিক অবস্থা অবন‌তি হওয়ায় টাঙ্গাইল জেনা‌রেল হাসপাতা‌লে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে। বিষয়টি স্বীকার করে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুস সোবহান জানান, ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় আহতদের ভ্যাকসিন দেওয়া যা‌চ্ছে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহিমা বিনতে আখতার বলেন, পাগলা কুকরটিকে আটক করার জন্য লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।  
০৪ মে ২০২৪, ১৮:৩৭

এক যুগ পর যেভাবে মাকে ফিরে পেলেন সন্তানেরা 
জগুনা বিবি। বয়স এখন সত্তরের কোঠায়। তার বাড়ি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার জাজিরা ইউনিয়নের ডেঙ্গর বেপারী কান্দি এলাকায়। ২০১১ সালে নিখোঁজ হন তিনি। এরপর আর সন্ধান মিলছিল না তার। মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় মাঝেমধ্যে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে চলে যেতেন তিনি। পরিবারের সদস্যরা তাকে পুনরায় খুঁজে বাড়ি ফিরিয়ে আনতেন। তবে শেষবারের ঘটনাটি একটু ভিন্ন। এর আগে তাকে নিজ জেলার মধ্যে খুঁজে পাওয়া গেলেও, শেষবার কোথাও সন্ধান মিলছিল না লাল মিয়া বেপারীর স্ত্রী জগুনা বেগমকে। পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিলেন হয়তো আর পাওয়া যাবে না। এভাবেই কেটে যায় দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময়। অবশেষে ফেসবুকের কল্যাণে খুঁজে পাওয়া যায় জগুনা বিবিকে। এরইমধ্যে বাড়িও ফিরেছেন তিনি।  গত রমজান মাসে জাজিরা উপজেলার মাসুদ রানা নামের এক যুবকের ফেসবুক আইডিতে কমেন্ট করেন আজিজুল শেখ নামের এক ব্যক্তি। যার বাড়ি ভারতের কলকাতায়। তিনি কমেন্টের মাধ্যমে জানান তার কাছে আট বছর ধরে বাংলাদেশের জাজিরার জগুনা নামের একজন বৃদ্ধা রয়েছেন। এরপর মাসুদ রানা জাজিরার কয়েকটি ফেসবুক গ্রুপে জগুনা বিবির ছবি দিয়ে তার পরিবারের সন্ধান চেয়ে পোস্ট করেন। আর সেখান থেকেই খোঁজ মেলে জগুনা বিবির পরিবারের। এরপর পরিবারের সদস্যরা কলকাতার আজিজুল শেখের সাথে যোগাযোগ করে গত ৩০ এপ্রিল কলকাতা থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন জগুনা বিবিকে। দীর্ঘদিন পর তাকে কাছে পেয়ে আবেগে আপ্লুত পরিবারের সদস্যরা। জগুনা বিবির ছেলে জয়নাল বেপারী বলেন, আমার মা হারিয়ে যাওয়ার পর অনেক জায়গায় খোঁজ করেছি, কিন্তু পাইনি। ভেবেছিলাম মাকে আর খুঁজে পাবো না। পরে মাসুদ ভাইয়ের মাধ্যমে আমার মায়ের খোঁজ পাই। আমরা সাথে সাথে কলকাতার সেই ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে মায়ের পরিচয়পত্রসহ সকল প্রকার ডকুমেন্টস পাঠাই। উনি আমার মাকে দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। আমি আমার মাকে পেয়ে অনেক খুশি।  জগুনা বিবিকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া যুবক মাসুদ রানা বলেন, ব্যক্তিগত আইডিতে পোস্ট দেয়ার পর সেখানে আজিজুল শেখ নামের একজন কমেন্ট করেন। পরে হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার নিয়ে কথা বলেন। তিনি জানান জাজিরা এলাকার জগুনা বিবি নামের একজন বৃদ্ধা তার কাছে আছেন। আমি তার সঙ্গে কথা বলে তথ্য নিয়ে প্রাণের জাজিরা নামের ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট দিলে জগুনা বিবির পরিবার আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে কলকাতার আজিজুল শেখের সঙ্গে তাদের কথা বলিয়ে দিই। জগুনা বিবি পাসপোর্টবিহীন ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, যদি কারো পাসপোর্ট হারিয়ে যায় বা কোনো কারণে কেউ পাসপোর্টবিহীন অন্য দেশে প্রবেশ করেন কিন্তু কোনো অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত না হয় এমন ব্যক্তিদের দুই দেশের সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে আউটপাস বা ট্রাভেলপাসের মাধ্যমে নিজ দেশে ফিরিয়ে আনা বা নেওয়া যায়। জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনা গণমাধ্যমকে জানান, দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর জগুনা বিবিকে তার পরিবার ফিরে পেয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হবে। যদি জগুনা বিবি অসুস্থ থাকেন প্রয়োজনে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
০৩ মে ২০২৪, ১৪:২৫

রোমাকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে এক পা লেভারকুসেনের
জাবি আলোনসোর হাত ধরে বুন্দেসলিগার শিরোপা জিতে চমক দেখিয়েছিল  বায়ার লেভারকুসেন। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আরও একটি শিরোপা জয়ের হাতছানি দলটির সামনে। ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে রোমার মাঠ থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে লেভারকুসেন।  বৃহস্পতিবার (২ মে) দিবাগত রাতে স্তাদিও অলিম্পিকোতে রোমাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। জয়সূচক গোল ২টি করেছেন ফ্লোরিয়ান উইর্টজ ও রবার্ট এন্দরিখ।    এই ম্যাচে বল দখলে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণে বেশ এগিয়ে ছিল লেভারকুসেন। ৪৭ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ১৯টি শট নিয়ে ৪টি লক্ষ্য বরাবর রেখেছিল তারা। বিপরীতে ঘরের মাঠে ৮টি শট নিয়ে ২টি প্রতিপক্ষের গোলমুখে রাখতে পেরেছিল রোমা।   রোমেলু লুকাকু, পাওলো দিবালার মতো তারকাদের স্তব্ধ করে ম্যাচের ২৮তম মিনিটেই লেভারকুসেনকে লিড এনে দেন ২০ বছর বয়সী জার্মান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার উইর্টজ। ডাচ রাইট-ব্যাক রিক কার্সদর্পের ভুলের খেসারত দিতে হয় দলকে। ব্যাক পাসে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের কাছে দিয়ে বসেন তিনি।  যেন ডি-বক্সে ঢুকে পড়া নিজের সতীর্থকে পাস দিচ্ছেন। বল পেয়ে যান অ্যালেক্স গ্রিমালদো। এক ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষকের বাধায় তিনি বল তুলে দেন অরক্ষিত থাকা উইর্টজকে। বাকি কাজকে অনায়াসে সেরে নেন এ জার্মান মিডফিল্ডার।   ৩৪তম মিনিটে গ্রিমালদো আরও একটি দারুণ সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন। তবে পেনাল্টি এরিয়ার সামনে অরক্ষিত অবস্থায় বল পেয়েও জালে জড়াতে ব্যর্থ হন জেরেমি ফ্রিমপং।  এরপর বিরতি কাটিয়ে ম্যাচের ৭২ মিনিট পর্যন্ত কোনো দল গোলের তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ৭৩তম মিনিটে রোমার সমর্থকদের দুঃখ দ্বিগুণ করে ব্যবধান বাড়িয়ে নেন এন্দরিখ। ডি-বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক ক্রসে জাল খুঁজে নেন তিনি। দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না রোমার গোলরক্ষকের।  স্বাগতিকরা একটি গোল শোধের সুযোগ পেয়েছিল ম্যাচের যোগ করা সময়ে। তবে গোলপোস্ট ফাঁকা পেয়েও লুকাকু হেড নেন বারের ওপর দিয়ে। শেষ পর্যন্ত ব্যবধান ধরে রেখে রোমার দুর্গ থেকে জয় নিয়ে ফেরে লেভারকুসেন।   আগামী সপ্তাহে দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে রোমাকে আতিথ্য দেবে লেভারকুসেন। সে ম্যাচে ড্র কিংবা হারের ব্যবধানটা ১-০ গোলের মধ্যে রাখতে পারলেই ইউরোপা লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করবে আলোনসোর শিষ্যরা।    
০৩ মে ২০২৪, ০৮:৩৮

ঘরের মাঠে পিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালে এক পা ডর্টমুন্ডের
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের প্রথম লেগে পিএসজিকে অথিয়েতা দেয় বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। এদিন ডর্টমুন্ড ঘরের মাঠে গ্যালারিতে হলুদের ঢেউ দেখেছে ফরাসি ক্লাবটি। এই ম্যাচে পিএসজি ১-০ গোলে পরাস্থ করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে জার্মান ক্লাবটি। বুধবার (১ মে) দিবাগত রাতে সিগনাল এদুনা পার্কে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে স্বাগতিকরা। ম্যাচের ১৪তম মিনিটে প্রথম শট নেয় ডর্টমুন্ড। অসুস্থতা কাটিয়ে ফেরা মিডফিল্ডার মার্সেল সাবিৎজার বল পান বক্সে। দুরূহ কোণ থেকে তার প্রচেষ্টা এগিয়ে এসে রুখে দেন গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মা। ছোট ছোট পাসে বল নিজেদের দখলে রেখে খেলতে থাকে জামান ক্লাবটি। তবে কাঙ্খিত গোলের দেখা পায় ৩৬ মিনিটে। ডিফেন্ডার নিকো শ্লটারবেক নিজেদের অর্ধ থেকে বল বাড়ান উঁচু করে। অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে প্রথম স্পর্শে বল দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের শটে দোন্নারুম্মাকে পরাস্ত করেন জার্মান ফরোয়ার্ড ফুয়েলখুগ। এদিকে ৪২তম মিনিটে আরেক ধাক্কা খায় পিএসজি। অ্যাঙ্কেলে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন অভিজ্ঞ ফরাসি সেন্টার-ব্যাক লুকা এরনঁদেজ। তার বদলি নামেন তরুণ ব্রাজিলিয়ান সেন্টার-ব্যাক লুকাস বেরাওদু। তবে শেষ পর্যন্ত ১-০ তে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ডর্টমুন্ড। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে পিএসজি। প্রথমার্ধে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে নিজেদের মেলে ধরে পিএসজি। ৪৮তম মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শট নিতে পারে তারা। বারকোলার সেই শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। ৫১তম মিনিটে ভাগ্যের ফেরে গোল পায়নি পিএসজি। প্রথমার্ধে নিষ্প্রভ থাকা কিলিয়ান এমবাপ্পের শট লাগে দূরের পোস্টে। পরক্ষণে আশরাফ হাকিমির নিচু শট লাগে আরেক পোস্টে। ৬০তম মিনিটে সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। বক্সে ভালো পজিশনে বল পেয়ে উড়িয়ে মারেন ফুয়েলখুগ। ৭২তম মিনিটে আরেকটি সুযোগ পান দেম্বেলে। এমবাপ্পের পাসে সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের শট ব্যর্থ করে দেন গোলরক্ষক।  নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে বড় হাত ছাড়া করে সফরকারীরা। ভিতিনিয়ার ক্রসে বক্সের ভেতর থেকে ফাবিয়ান রুইসের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। বাকি সময়ে আর সুযোগ মেলেনি। তাই ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জামার্ন জায়ান্টরা। এই ম্যাচে পিএসজি হারলেও ব্যবধানটা খুব বড় নয়। দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে যাওয়ার ভালো সুযোগ এখনও আছে ফরাসি ক্লাবটির।  সেই লক্ষ্যে আগামী মঙ্গলবার ঘরের মাঠে ফিরতি লেগে নামবে তারা। এর আগে ঘরের মাঠেই ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে আসরের পথচলা শুরু করেছিল লিগ ওয়ানের দলটি।
০২ মে ২০২৪, ০৯:০২

দুর্দান্ত ফিচারে এলো নতুন ই-স্কুটার, এক চার্জেই চলবে ১৩৬ কিলোমিটার
দারুণ সব ফিচার নিয়ে দুর্দান্ত রেঞ্জের এক ইলেকট্রিক স্কুটার বাজারে আনলো অ্যাম্পিয়ার নেক্সাস। একবার ফুল চার্জেই ১৩৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সক্ষম স্কুটারটি, ইতোমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে ভারতের বাজারে। পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১ লাখ ১০ হাজার রুপি দামে।  লম্বা পথ পাড়ি দিতে স্কুটারটিতে যুক্ত করা হয়েছে ৩ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি ক্যাপাসিটি। মে মাসের দ্বিতীয় ধাপ থেকেই শুরু হবে এর ডেলিভারি।  ইলেকট্রিক এ স্কুটারটি দুইটি ভ্যারিয়েন্ট লঞ্চ করেছে অ্যাম্পিয়ার নেক্সাস। একটি বেস মডেল যার নাম ইএক্স। অন্যটি টপ মডেল এসটি। বেস মডেলটি ১ লাখ ১০ হাজার রুপিতে মিললেও টপ মডেলটির জন্য খরচ করতে হবে অতিরিক্ত আরও ১০ হাজার রুপি। স্কুটারটি পাওয়া যাবে চারটি রঙে- জান্সকার অ্যাকুয়া, লুনার হোয়াইট, ইন্ডিয়ান রেড এবং স্টিল গ্রে। স্কুটারটিতে যে ব্যাটারি প্যাক দেওয়া হয়েছে, ৩.৩ কিলোওয়াট থেকে সর্বোচ্চ ৪ কিলোওয়াট শক্তি তৈরি করতে পারে তা। একবার ফুল চার্জে ১৩৬ কিলোমিটার রেঞ্জ দিতে সক্ষম ব্যাটারিটি। স্কুটারটির সর্বোচ্চ গতি ৯৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। এতে চারটি রাইডিং মোড রয়েছে- ইকো, সিটি, পাওয়ার এবং লিম্প হোম। ১৬ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলেও স্কুটারটিকে চালানো যাবে বলে দাবি এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের। ৩ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি প্যাকটি চার্জ হতে সময় লাগে ৩ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। অবশ্য ফাস্ট চার্জিংয়ের বিকল্প ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে এতে। অ্যাম্পিয়ার নেক্সাসের এই স্কুটারটির সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনে ড্রাম ব্রেক দেওয়া হয়েছে। ১ লাখ ২০ হাজার রুপির এসটি মডেলটিতে গ্রাহকরা পাবেন ৭ ইঞ্চির টাচস্ক্রিন, সঙ্গে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি এবং টার্ন-বাই-টার্ন নেভিগেশন। আর বেস মডেলে মিলবে ৬.২ ইঞ্চি এলসিডি ডিসপ্লে, সঙ্গে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি। স্কুটারে মিউজিক কন্ট্রোল এবং চার্জিং স্টেটাসও দেখা যাবে। নতুন এই স্কুটারটিতে সিটের উচ্চতা রাখা হয়েছে ৭৬৫ মিলিমিটার। সম্পূর্ণ এলইডি লাইটিং ও ১৭০ মিলিমিটার গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেনসের পাশাপাশি ২৩৫ মিলিমিটার ফ্লোরবোর্ড স্পেস রাখা হয়েছে এতে। মূলত পরিবার-কেন্দ্রিক একটি বাইক নির্মাণের প্রচেষ্টা থেকেই এই ইলেকট্রিক স্কুটারটি বাজারে এনেছে অ্যাম্পিয়ার নেক্সাস। নিত্যদিনের যাতায়াতের জন্য বাড়ির সবাই যেন চালাতে পারেন সেই উদ্দেশ্যেই লঞ্চ করা হয়েছে নতুন এই ইলেকট্রিক স্কুটার।  
০১ মে ২০২৪, ০৯:৫২

হঠাৎ এক ফ্রেমে শোবিজের জনপ্রিয় তারকা সুন্দরীরা
হঠাৎ এক ফ্রেমে ধরা দিলেন দেশীয় শোবিজ অঙ্গনের জনপ্রিয় সব তারকা সুন্দরী। যেখানে হাস্যোজ্জ্বল মুখে চেয়ে আছেন কিংবদন্তি সুবর্ণা মুস্তাফা থেকে শুরু করে আফসানা মিমি, জয়া আহসান, অপি করিম, ঈশিতা, বিদ্যা সিনহা মিম, আজমেরী হক বাঁধন, কুসুম শিকদার, মৌসুমী হামিদ, মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া, পিয়া জান্নাতুল প্রমুখ। এ ছাড়া এ সময়ের সুন্দরী মিম মানতাসা, শাম্মি ইসলাম নীলাও আছেন তাদের সঙ্গে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে বসেছিল জমকালো সেই আসর। যেটার আয়োজক প্রসাধনী ব্র্যান্ড লাক্স। ১০০ বছর উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানটি সাজিয়েছিল তারা। সেখানেই দেখা মিলল সব তারকার। লাক্স-এর মাধ্যমেই শোবিজ অঙ্গনে পা রেখেছিলেন এই সময়ের এই জনপ্রিয় তারকাদের অধিকাংশ। জমকালো এই সন্ধ্যায় পারফর্ম করেছেন বিদ্যা সিনহা মিম। যার শোবিজে পথচলা শুরু হয় ২০০৭ সালে, ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’র মাধ্যমে। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার ইমোশনাল জার্নি আছে। আমার মনে হয়, হাজারো মেয়ের স্বপ্ন পূরণে ভূমিকা রাখে তারা।আমিও এক সিম্পল মেয়ে ছিলাম। সেখান থেকে এই প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে শোবিজে এলাম। জীবনের মোড় ঘুরে গিয়েছিল। তাই সব সময় বলি, লাক্স আমাকে নতুন করে জন্ম দিয়েছিল। এই একই প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে ২০০৯ সালে আত্মপ্রকাশ করেন মেহজাবীন চৌধুরী। যাকে এখন টেলিভিশন পর্দার কুইন বলা হয়। তিনি বলেন, আমি আজ যা কিছু হয়েছি, তার সবটা দিয়েছে এই প্ল্যাটফরম। তাদের ১০০ বছরের পূর্তি আয়োজনে আসতে পেরেও আমি উচ্ছ্বসিত। তারা বরাবরই মেধা ও প্রতিভাকে সামনে আনার প্রয়াস জারি রেখেছে। এ জন্য তাদের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকব। ২০১০ সালে ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’র মাধ্যমে শোবিজে পা রেখেছেন এ প্রজন্মের অভিনেত্রী মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া। তিনি বললেন, প্রতিষ্ঠান দুটির সঙ্গে আমার সম্পর্ক অন্যরকম। সব সময় তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তারা আমাকে একটা প্ল্যাটফরম দিয়েছে, যার মাধ্যমে টয়া হিসেবে দেশের মানুষের কাছে আমি পরিচিতি পেয়েছি এবং কাজ করে যাচ্ছি। এ ছাড়া বর্ণিল এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন নন্দিত নায়িকা চম্পা, তরুণ অভিনেত্রী সারিকা সাবাহ, গায়িকা নন্দিতাসহ অভিনয় ও সংগীতাঙ্গনের আরো অনেক শিল্পী।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১৯

এক সপ্তাহে হিটস্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু, ৮ জনই পুরুষ
তীব্র তাপপ্রবাহে হিটস্ট্রোকে গত এক সপ্তাহে সারা দেশে ১০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও দুইজন নারী। এছাড়া নিহত ১০ জনের মধ্যে গতকাল সোমবার হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন তিন জন। হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এসব তথ্য জানিয়েছে।  স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, হিটস্ট্রোকে নতুন করে মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে মাদারীপুর জেলায়। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম গত ২২ এপ্রিল থেকে সারা দেশের সরকারি হাসপাতালে হিটস্ট্রোকের রোগীর তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করেছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সংগৃহীত তথ্যে হিটস্ট্রোকে দশজনের মৃত্যু ও পাঁচজনের হাসপাতালে ভর্তির তথ্য পাওয়া গেছে। কন্ট্রোল রুম জানায়, এ পর্যন্ত সারা দেশে হিটস্ট্রোকে মারা যাওয়া দশজনের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে দুজন মাদারীপুরের। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, হবিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম জেলায় একজন করে মারা গেছেন। তাদের বয়স ৩২ থেকে ৭৯ বছরের মধ্যে। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি গ্রামাঞ্চলে।   এছাড়া, হিটস্ট্রোকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া পাঁচজনের দুজন নারী। দুজনের বয়স ৪৫ বছরের বেশি। বাকি তিনজন পুরুষের একজনের বয়স ১২ বছর।   স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি), বমি বমি ভাব থাকে, শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুত হয়, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়, ঘাম হতেও পারা আবার না–ও পারে, ত্বক গরম ও শুষ্ক অথবা স্যাঁতসেঁতে থাকতে পারে। হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তি সামঞ্জস্যহীন আচরণ করে, তার কথা জড়িয়ে যায়, এমনকি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। জনস্বাস্থ্যবিদেরা ধারণা করছেন, হিটস্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়ে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। প্রথমত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এখন শুধু সরকারি হাসপাতালের হিসাব নিচ্ছে, দেশের বিপুলসংখ্যক বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে কোনো রোগী যাচ্ছে কি না, তা জানা যাচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, রোগীর কোন লক্ষণ দেখে হিটস্ট্রোক শনাক্ত হবে সেই ধারণাও চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে পরিষ্কার ছিল না। অতিসম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি নির্দেশিকা তৈরি করেছে এবং সেই নির্দেশিকা অনুসরণ করে সরকারি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।   গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০৩ ও ২০০৭ সালের মধ্যে দেশে তাপপ্রবাহের দেশেগুলোয় মৃত্যু ২২ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, হিটস্ট্রোক ছাড়াও গরমজনিত আরও কিছু সমস্যা হয়। এর মধ্যে আছে: তাপজনিত শ্রান্তি, তাপজনিত সংজ্ঞালোপ, তাপজনিত পেশিসংকোচন, তাপজনিত ফুসকুড়ি। আর হয় তাপজনিত পানিশূন্যতা। প্রচণ্ড তাপ বিশেষ প্রভাব ফেলে অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশু ও প্রবীণদের ওপর। এ ছাড়া যেসব মানুষ দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন, তাঁদের ঝুঁকি বাড়ে গরমে।  
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়