• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘সার্টিফিকেট জালিয়াতিতে বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও জড়িত’
নকল সার্টিফিকেট তৈরি করে বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামান গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) জিজ্ঞাসাবাদে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। তিনি একা নন, বোর্ডের ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তা এতে জড়িত রয়েছেন। অনেকে তার অপকর্মের আর্থিক ভাগ নেন বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার(ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, কয়েক দিন আগে পীরেরবাগে অভিযান চালিয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সার্টিফিকেট তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছিলাম। এই সার্টিফিকেট কিন্তু জাল নয়। সরকার যে কাগজ ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের সনদ দেয়, শামসুজ্জামান একই কাগজ ব্যবহার করে সার্টিফিকেট বানাত। অর্থাৎ তিনি শিক্ষা বোর্ড থেকে কাগজ এনে বাসায় বসে সার্টিফিকেট বানাতেন। তারপর রেজাল্ট অনুযায়ী টাকা নিতো, তবে ৩৫ হাজারের কমে কোনো সার্টিফিকেট বিক্রি করত না। এরপর সার্টিফিকেট বানানোর পরে সেই রেজাল্টের তথ্য শিক্ষা বোর্ডের সার্ভারে আপলোড করে দিতো। এই কর্মকর্তা বলেন, এসব সার্টিফিকেট দিয়ে অনেকে বিদেশে গেছেন, অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে, আবার অনেকে চাকরি করছে। এভাবে সে দীর্ঘদিনে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি সার্টিফিকেট দিয়েছে।  ডিবি প্রধান বলেন, গ্রেপ্তারের পর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অনেক চমকপ্রদ তথ্য দিচ্ছেন।  শিক্ষা বোর্ড থেকে সনদ তৈরির কাগজ কিভাবে বের করত এই প্রশ্নের জবাবে শামসুজ্জামান গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবাইকে ম্যানেজ করে কাজ করতো। সবার সঙ্গে যোগসাজশ করে কাগজ বের করত। এমনকি তার এই সার্টিফিকেট তৈরির কারখানার বিষয়ে অনেক গণমাধ্যমের সাংবাদিকরাও জানত। সবাই তার কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে তার অপরাধ গোপন রাখত। ডিবি প্রধান বলেন, শামসুজ্জামানের অবৈধভাবে সার্টিফিকেট তৈরির বিষয়ে একাধিকবার তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। বোর্ডের কর্মকর্তারা তদন্ত করতে গিয়ে দেখলেন অনেক কিছু বেরিয়ে আসছে। ফলে সেটা ধামাচাপা পড়ে যায়। এরপর অভিযোগ তদন্তের জন্য পাঠানো হয় কম্পিউটার কাউন্সিলে। তারাও চুপ হয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে শামসুজ্জামান বলেছেন, সার্টিফিকেট তৈরির বিষয়টি সবাই জানতেন। টাকার বিনিময়ে সবাই তার কাছে ম্যানেজ হতো। সবকিছুই তদন্ত করছি। তার কাছ থেকে সার্টিফিকেট উদ্ধার করা হয়েছে। হারুন বলেন, শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সে অনেক ব্যাপারে চুপ থাকছে। রিমান্ডে পাওয়া তথ্য যাচাই করে কোন কোন রাঘব বোয়াল জড়িত, সবার নাম প্রকাশ করা হবে।  
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৮

বিটিআরসি ও টেলিটকের ৮ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কমিশনার এবং বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড ও টেলিটকের এমডিসহ আট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তাদের বিরুদ্ধে জাইকার সহজ শর্তে ৫২১ কোটি ৭৯ লাখ ৬০ হাজার টাকার ঋণ থেকে সরকারকে বঞ্চিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।  এ মামলার আসামিরা হলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কমিশনার আমিনুল হাসান, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিটিসিএলের সাবেক পরিচালক-১ মশিউর রহমান, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহাব উদ্দিন, বিটিসিএলের সাবেক ডিই-৫ মো. আতাউর রহমান, সাবেক পরিচালক মাকসুদুর রহমান আকন্দ, জিএম অশোক কুমার মণ্ডল, সাবেক এমডি মাহফুজ উদ্দিন আহমদ এবং বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) আজম আলী। বাদীর দাবি আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট (টিএনডি) প্রজেক্টের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় সর্বনিম্ন দরদাতাকে বাদ দেন। পরে নিজেদের পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেয়ার অসৎ উদ্দেশে কাজ করেন। এ কাজ করতে গিয়ে তারা প্রাক-যোগ্যতা মূল্যায়নের নির্ণায়ক পরিবর্তন, মূল দরপত্র আহ্বানের দুই মাস পর প্রাক্কলন নির্ধারণসহ ক্রয় আইন-বিধি ও জাইকার গাইডলাইন অনুসরণ না করে অহেতুক সময় ক্ষেপণ করেন। এ জন্য দশমিক ১ শতাংশ হারে সহজ শর্তের সুদে ৫২১ কোটি ৭৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা ঋণ দিতে দাতা সংস্থা জাইকা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। পরে তা ২০১৫ সালের ৭ মের দিকে ফেরত নিয়ে নেয় সংস্থাটি।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়