• ঢাকা বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে খামারের মুরগি, কমছে ডিম উৎপাদন
দিনাজপুরের হিলিতে কয়েক দিন ধরেই বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাবদাহ, সেই সঙ্গে ঘনঘন লোডশেডিং। তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে। তীব্র গরমে পোলট্রি খামারগুলোয় হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে মুরগি। নানা রকম ওষুধ প্রয়োগ করেও মুরগি বাঁচানো যাচ্ছে না। লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে খামারিদের। উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে দেওয়া হচ্ছে সব ধরনের পরামর্শ।  দিনাজপুরের হিলিসহ আশপাশের উপজেলাগুলোতে কয়েক দিন থেকেই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে পোলট্রি খামারে। ঘনঘন লোডশেডিং ও অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে মারা যাচ্ছে খামারের মুরগি। তীব্র তাপদাহে বিপাকে পড়েছেন পোলট্রি উদ্যোক্তারা।  প্রতিদিন খামারে ২০ থেকে ৩০টি করে মুরগি মারা যাচ্ছে। টানা ১০ দিনের তাপপ্রবাহে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে খামারগুলোতে। এমন পরিস্থিতিতে খামারিদের রক্ষায় সরকারি সহায়তার দাবি জানান তাদের। হিলির মুরগি খামারি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, আগে ৩ বেলা পানি স্প্রে করা হলেও এখন খামারে ৪-৫ বার স্প্রে করা হচ্ছে। এতে করেও ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা। গরমের কারণে মুরগির ডিমের উৎপাদনও অর্ধেকে নেমেছে। যে খামারে এতদিন ৩ হাজার পিস ডিম পাওয়া যেত এখন সেই একই খামারে ১ থেকে দেড় হাজার পিস ডিম পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে ডিমের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন খামারিরা। এদিকে হাকিমপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী মাহাবুবুর রহমান বলেন, মুরগির খামারে হিটস্ট্রোকের হাত থেকে বাঁচতে আমরা নিয়মিত উঠান বৈঠকসহ নানা রকম পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। এ ছাড়াও মুরগির খামারের ছাদে পাটের বস্তা ভিজিয়ে এবং খড় ছিটিয়ে নিয়মিত পানি দিতে বলা হচ্ছে। আগের তুলনায় খাবারের পরিমাণ কম দিতে হবে সেই সঙ্গে যখন তাপমাত্রা কম থাকবে তখন খাবার দিতে বলা হচ্ছে।  তিনি আরও বলেন, এই উপজেলাতে ১৫০টির বেশি ছোট-বড় মুরগির খামার আছে। এ ছাড়া দেশি হাঁস-মুরগি রয়েছে সাড়ে তিন লাখ। স্থানীয় পর্যায়ে মাংসের চাহিদা মিটিয়ে যা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
১৫ ঘণ্টা আগে

দেশে ৬৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন
চলতি মৌসুমে দেশে গত ৬৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিক জানায়, চলতি মৌসুমে (২৮ এপ্রিল পর্যন্ত) ২২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৫৮ টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। যা বিগত বছরের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে। এখনো লবণ উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। এর আগে গত বছর (২০২২-২৩ অর্থবছর) ৬২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লবণ উৎপাদন হয়েছিল। সে সময় পর্যন্ত সর্বোচ্চ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ টন। সংস্থাটি জানায়, চলতি লবণ মৌসুমে লবণ চাষকৃত মোট জমির পরিমাণ ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর। গত বছর ছিল ৬৬ হাজার ৪২৪ একর। গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষের জমি বৃদ্ধি পেয়েছে ১ হাজার ৯৩৩ একর। চলতি লবণ মৌসুমে লবণ চাষির সংখ্যা ৪০ হাজার ৬৯৫ জন, যা গত বছর ছিল ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন। গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১ হাজার ২২৮ জন। বর্তমানে লবণ মাঠ পর্যায়ে মণপ্রতি ক্রুড লবণের গড় মূল্য ৩১২ টাকা, যা গত বছর ছিল ৪২০ টাকা। চলতি লবণ মৌসুমে লবণ উৎপাদন চলমান রয়েছে, যা মে মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা ও চাহিদা অনুযায়ী লবণ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। বিসিকের কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, মৌসুমজুড়ে দাবদাহ, ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমির শতভাগে আধুনিক পলিথিন প্রযুক্তিতে চাষাবাদ এবং অতিরিক্ত ১ হাজার ৯৩৩ একরের বেশি জমিতে লবণ চাষের কারণে উৎপাদনে নতুন রেকর্ড হয়েছে।  
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৮

চাঁদপুরে ৬ লাখ টন ইলিশ উৎপাদনের সম্ভাবনা
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান বলেছেন, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় চাঁদপুর অভয়াশ্রম এলাকায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাসের অভিযান কঠোরভাবে পালিত হয়েছে। জেলেদের নদীতে নামতে দেওয়া হয়নি। ফলে জাটকা চাঁদপুর অতিক্রম করে আবার সাগরে যেতে পেরেছে। সম্মিলিতভাবে অভিযান পরিচালনা করায় আশা করছি এবার লক্ষ্যমাত্রার ৬ লাখ টন ইলিশ উৎপাদন হবে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের তিন নদীর মোহনা ও আশপাশের এলাকায় জেলা টাস্কফোর্স বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে বক্তব্য দেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এ বছর ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ১০টি স্পিডবোট দিয়ে দিনেরাতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। রমজান মাসেও জেলা-উপজেলা প্রশাসন, আমাদের মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ নদীতে অবস্থান করেন। যে কারণে অন্য জেলার জেলেরা নদীতে নামতে পারেনি। এরপরেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যেসব জেলে নদীতে নেমেছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। অভিযান চলাকালে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সদরের আনন্দবাজার জেলেপল্লি এলাকায় জেলেদের সঙ্গে অভিযান সম্পর্কে মতামত জানেন এবং তাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, মো. জামিল হোসেন, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের কর্মকর্তা এবং সদস্যরা অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১২

আবারও বন্ধ চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র
উৎপাদনে ফেরার ১৫ দিন পর আবারও চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। দীর্ঘ ১৪ মাস বন্ধ থাকার পর গত মার্চের ১০ তারিখে চাঁদপুর ১৫০ মেগওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র উৎপাদনে আসে। মার্চ মাসে চালু ছিল। চলতি এপ্রিল মাসের ৫ তারিখে জেনারেটর বেয়ারিংয়ে ওয়েল লিকেজ থেকে ছোট আকারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। যার ফলে পুরো বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হয়।  কর্তব্যরত প্রকৌশলী দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি ইউনিটটি শাটডাউন করে দেয়। এর পর থেকে বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। তাৎক্ষণি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারায় বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। তবে কি ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা রিপেয়ারিং কাজ শুরু হলে বলা যাবে বলে বলেন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী অভিজিৎ কুরি।  শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে শহরের নিউ ট্রাক রোড গুনরাজদী এলাকায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গিয়ে উৎপাদন বন্ধ অবস্থা দেখা যায়। তবে কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রকৌশলীরা বিভিন্ন অংশে কাজ করছেন।  চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসরাম রাজু বলেন, রোববার ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রকৌশলীরা আসবে। চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত সিডিউল মেরামত কাজ চলবে। আগামী ১ মে থেকে পুনরায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উৎপাদনে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী অভিজিৎ কুরি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ১০ মার্চ ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন গ্যাস টারবাইন ইউনিট চালু করা হয়। মাত্র ২৫ দিন বিদ্যুৎ উৎপাদন শেষে ৫ এপ্রিল এই ইউনিটের একটি জেনারেটরের বেয়ারিংয়ে ওয়েল লিকেজ থেকে ছোট আকারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অভিজিৎ কুরি আরও বলেন, এর আগে নিয়মিত পরীক্ষার অংশ হিসেবে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয় চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। সকল কাজ শেষ করে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্যাস টারবাইন ইউনিটটি চালু করতে গেলে ধরা পড়ে গ্যাস বুস্টার নামক যন্ত্র অকেজো। রিজার্ভে থাকা গ্যাস বুস্টার যন্ত্রটি আগে থেকে অকেজো থাকায় বন্ধ হয়ে যায় পুরো বিদ্যুৎ  কন্দ্রটি। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে গ্যাস বুস্টার ক্রয়সহ আমেরিকা থেকে আনা হয় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। চীন, ইন্দোনেশিয়ান এক্সপার্ট টিম ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকৌশলীদের যৌথ চেষ্টায় সম্পন্ন করা হয় নতুন গ্যাস বুস্টার ইনস্টলেশনের কাজ। ২০১০ সালের ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১২ সালের মার্চ মাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে কেন্দ্রটি। চীনা কোম্পানি চেংদা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করে। বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম রাজু বলেন, চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত শিডিউল মেরামত কাজ চলবে। আগামী ১ মে থেকে পুনরায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে যাবে বলে আশা করছেন তিনি।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৭

এ বছর খাদ্যশস্য উৎপাদন খুবই ভালো : নাছিম
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, এ বছর খাদ্যশস্য উৎপাদন খুবই ভালো। এ কারণে খাদ্য সংকটে সরকারের প্রতি বাড়তি চাপ থাকবে না আগামী বছর। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে (কেআইবি) আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এদিকে এ সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনাই হয়েছে কৃষকদের হাতে। কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতি বাঁচবে। এটাকে গুরুত্ব দেওয়ার ফলে বৈশ্বিক সংকটেও কঠিন পরিস্থিতি সহজে মোকাবিলা করতে পেরেছে বাংলাদেশ। কাদের বলেন, যারা এ দেশকে নিয়ে বেশি কথা বলেন, কথায় কথায় সরকারের সমালোচনা করেন, যারা আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ, তারাই গণতন্ত্রের সমালোচনা করেন। এ দলের ভবিষ্যৎ আছে বলে কর্মীরাও বিশ্বাস করে না।  কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটুর সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৪৪

পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে ১৪ কোটি টাকার প্রণোদনা
গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে ২৪ জেলার ৩৬ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ১৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার। এতে একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় ১ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ২০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিএডিসি এসব বীজ সরবরাহ করবে। বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা, বিশুদ্ধতা ও উৎপাদন কাঙ্ক্ষিত মানের হতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারা খাত থেকে এ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ ইতোমধ্যে জারি হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে শিগগিরই এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে বলেও জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৮

আউশের উৎপাদন বাড়াতে এবার ৬৪ কোটি টাকার প্রণোদনা
ধানের উৎপাদন করতে কৃষকদের উৎসাহ দিতে আবার পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। এবার আউশের আবাদ ও উৎপাদনে প্রণোদনা দেবে সরকার। প্রণোদনার অঙ্কটি নেহাত কম নয়, ৬৪ কোটি ১৫ লাখ। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের ৯ লাখ ৪০ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এ প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার পাবেন। উচ্চফলনশীল আউশ ধানের উৎপাদন বাড়াতে এ প্রণোদনার আওতায় একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন। অধিক ফলনশীল ব্রিধান ৪৮, ব্রিধান ৮২, ব্রিধান ৮৫, ব্রিধান ৯৮, ব্রিধান ১৯ ও ব্রিধান ২১ এর বীজ দেওয়া হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারা খাত থেকে এ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ জারি হয়েছে।  
১২ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৯

চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদন হচ্ছে চাল, লাগছে না আমদানি
গত বছর বাংলাদেশে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ কোটি ৭৭ লাখ টন। এর বিপরীতে চালের উৎপাদন ছিল ৪ কোটি ১৩ লাখ টন। কৃষি বিভাগ বলছে, এভাবে ২০১৮ সাল থেকেই বাংলাদেশে চাহিদার চেয়ে বেশি পরিমাণ চাল উৎপাদন হচ্ছে। চলতি বছরে উৎপাদনের এই ধারাহিকতা রক্ষা হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন, বিগত বছরেও চাল আমদানির প্রয়োজন হয়নি। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানির তথ্য বলছে গত বছরের জুলাই থেকে এই বছরের ৭ মার্চ পর্যন্ত কোনো চাল আমদানি করা হয়নি।    ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিগত মৌসুমগুলোয় উৎপাদন ভালো হওয়ায় এই আমন মৌসুমের সংগ্রহ পর্যন্ত চাল আমদানির প্রয়োজন নেই। এর পাশাপাশি ডলার সংকটের কারণেও চাল আমদানি না করে খাদ্য পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া যায়, সেদিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। ২০২১-২২ অর্থবছরে সাড়ে ১০ লাখ টন চাল আমদানি করা হলেও এরপর এখনও কোনো চাল আমদানি করা হয়নি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুসারে মাথাপিছু ১৫২ কেজি চালের প্রয়োজনীয়তা ধরে নিয়ে আমাদের বার্ষিক চালের চাহিদা নিরূপণ করা যায়। বর্তমানে দেশে প্রায় ১৭ কোটি মানুষ আছে। তাতে বার্ষিক খাদ্যচাহিদা দাঁড়ায় ২ কোটি ৫৮ লাখ টন চাল। এর সঙ্গে বীজ ও অপচয় এবং পশুখাদ্য বাবদ ১৫ শতাংশ যোগ করে মোট চালের প্রয়োজন দাঁড়ায় ২ কোটি ৯৬ লাখ টন বা প্রায় ৩ কোটি টন। দৈনিক চালের চাহিদা আরেও বেশি বিবেচনায় নিয়ে মাথাপিছু দৈনিক আধা কেজি বা বার্ষিক জনপ্রতি ১৮২ দশমিক ৫ কেজি হিসেবে চালের চাহিদা দাঁড়ায় ৩ কোটি ১০ লাখ ২৫ হাজার টন। বীজ, অপচয় ও পশুখাদ্য হিসেবে আরও ১৫ শতাংশ যোগ করা হলে মোট চাহিদা দাঁড়ায় ৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭৮ হাজার টন। এর বিপরীতে চালের উৎপাদন ছিল ৪ কোটি ১৩ লাখ টন। বর্তমানে মজুত আছে ১৩ লাখ ১৪ হাজার ৬০৯ মেট্রিক টন।    বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিস্টিটিউটের (বিআরআরআই) পলিসি গবেষণার প্রজেকশন অনুযায়ী, ২০৩০ সালে বাংলাদেশে ৪ কোটি ৬৯ লাখ টন, ২০৪১ সালে ৫ কোটি ৪১ লাখ টন এবং ২০৫০ সালে ৬ কোটি ৯ লাখ টন চালের প্রযোজন হবে। বিআরআরআই’র মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর জানিয়েছেন, ২০৩০ সালে ৪২ লাখ টন, ২০৪০ সালে ৫৩ লাখ টন এবং ২০৫০ সালে ৬৫ লাখ টন চালে উদ্বৃত্ত থাকবে। এই বাড়তি উৎপাদন আমাদের যেকোনো ঝুঁকি মোকাবিলায় বাফার স্টক হিসেবে কাজ করবে।  বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, দেশে মাথাপিছু দৈনিক চাল গ্রহণের পরিমাণ ৩২৮ দশমিক ৯ গ্রাম হয়েছে। শহরাঞ্চলে মাথাপিছু চাল গ্রহণের পরিমাণ ২৮৪ দশমিক ৭ গ্রাম, যা জাতীয় গড় থেকে ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ কম। ১৭ কোটির মানুষের প্রতিদিনের হিসাব ধরে বছরে প্রয়োজন হয় প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টন চাল। শুধু ভাত হিসেবে এ চাল মানুষ গ্রহণ করে। এর বাইরে বিভিন্ন পোলট্রি ফিড, বীজসহ অন্যান্য প্রয়োজনে চাল ব্যবহার হয় ১ কোটি টন। সবমিলে প্রয়োজন ৩ কোটি ৬০ লাখ টন। কিন্তু গত বছরে উৎপাদন হয়েছে ৪ কোটি ১৩ লাখ টন।    বিআরআরআই’র কর্মকর্তারা বলছেন, বিআরআরআই ইতোমধ্যে রাইস ভিশন ২০৫০ প্রণয়ন করেছে, যাতে ২০৩০, ২০৪১ এবং ২০৫০ সালে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বিপরীতে চালের উৎপাদন প্রক্ষেপণ করা হয়েছে এবং তা অর্জনে ব্রি স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে কৌশলপত্র প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি হারে আমাদের ধান উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে যা নিশ্চিত করে যে আমরা খাদ্যে উদ্বৃত্ত।  তাহলে এত চাল কোথায় যায়, আমদানি কেন করতে হয়? প্রশ্ন উঠেছে এরপরও কেন সরকারকে চাল আমদানি করতে হয়। এ বিষয়ে ধান বিজ্ঞানীরা বলছেন, দেশে ১২ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী রয়েছে। তাদের তথ্য আদমশুমারিতে যুক্ত হয়নি। এরা যে ভাত খায়, সে চাল আমাদের দেশেই উৎপাদিত হয়। আবার চালের একটি অংশ বীজের জন্য রাখতে হয়। নানা কারণে চালের অপচয় হয়। ব্যক্তিগতভাবে অনেক কৃষক নিরাপত্তার জন্য বাড়িতে চাল মজুত করেন, যেটি হিসাবেও নেই। ব্যবসায়ীদের কাছেও মজুত থাকে।  সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চালের হিউম্যান কনজাম্পশন (সরাসরি ভাত) ছাড়াও নন-হিউম্যান কনজাম্পশন (অন্যান্য কাজে) আছে। হিউম্যান কনজাম্পশন হিসাবে উদ্বৃত্ত ঠিকই আছে। তবে নন-হিউম্যান কনজাম্পশনও বাড়ছে। ১৫ থেকে ২০ শতাংশ চাল নন-হিউম্যান কনজাম্পশনে ব্যয় হয়ে যায়। অর্থাৎ মানুষের ভাত গ্রহণ ছাড়াও অন্যান্য কাজে চালের ব্যবহার আছে।  কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিনিয়ত গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১১৫টি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। এতে আগের চেয়ে ফলন ও উৎপাদন বাড়ছে। অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় আনা হচ্ছে। 
১১ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫২

‘কারেন্ট জালের উৎপাদন স্থান নির্মূল করতে হবে’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, জেলেদের কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরার একটি বিষয় রয়েছে। এই বিষয়ে নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবেও খুবই ব্যথিত। পাগলেও নিজের বুঝ বুঝে। এই কারেন্ট জাল দিয়ে সবেমাত্র ভূমিষ্ঠ হওয়া মাছের সন্তান যদি ধরেন, তাহলে এই মাছ বড় হতে পারবে না। বড় মাছ আমরা আর কোনদিন চোখে দেখব না। তাই এই কারন্টে জাল সমূলে উৎপাটিত হওয়া দরকার। কারেন্ট জালের যে উৎস, যেখান থেকে এই জাল তৈরি হয়, ওই জায়গাটাকে চিহ্নিত করে নির্মূল করতে হবে। ওই কারেন্টের জাল যেখান থেকে তৈরি হয়, ওই খোয়াড়কে ভেঙে চুরে চুরমার করে দিতে হবে। আর এটি প্রশাসনকেই করতে হবে। এটি বন্ধ করতে পারলে কোন জেলে এই জাল দিয়ে নদীতে নামার সুযোগ থাকবে না। সুতরাং এই বিষয়টি আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকষর্ণ করছি। সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মূলহেডে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে ১১ থেকে ১৭ মার্চ জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৪ উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আব্দুর রহমান বলেন, আজকে আমরা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম, ইলিশকে নিরাপদ রাখবার জন্য, বিশেষ করে মা ইলিশকে বাঁচাবার জন্য এবং জাটকা নিধন বন্ধের জন্যই চাঁদপুরে আসা। অভিযানকালীন আমরা যদি মা ইলিশ রক্ষা না করি, তাহলে আমরাই (জেলেরা) বিপদে পড়ব। মা ইলিশ রক্ষার জন্য বড় ভূমিকা জেলেদের। দেশের সর্বশেষ আপডেট হচ্ছে ৫ লাখ ৭১ হাজার মৎস্যজীবীদের তালিকা আছে। আমি এই মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বলব আপনারা এই তালিকাটি সঠিকভাবে প্রণয়ন করেন এবং এই মৎস্য জীবীকার সাথে যারা জড়িত তাদের একটি নামও যেন এই তালিকা থেকে বাদ না যায়, সেই ব্যবস্থা আপনাদের নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের ভরসাস্থল হচ্ছে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আমাদের মমতাময়ী মা। মন্ত্রী বলেন, জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষিতে বড় একটি চ্যালেঞ্জ এবং বড় একটি হুমকির মোকাবিলা করে, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আজকে তিনি এ দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার স্থিতিশীল পর্যায় নিয়ে এসেছেন। আপনারা সবাই জানেন ৭ জানুয়ারি একটি জাতীয় নির্বাচন হয়েছে। সেই নির্বাচনের আগে অনেক নিন্দুকেরা এবং তাদের বিদেশি প্রভুরা বলেছিল এ দেশে শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরক্ষে নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু তাদের মুখে ছাই দিয়ে শেখ হাসিনাই প্রমাণ করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার অধীনে এবং কেবল মাত্র তার অধীনেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ নির্বাচন হয়। গত ৭ জানুয়ারির দৃষ্টান্তমূলক নির্বাচনই তা প্রমাণ করে। তিনি বলেন, এই দেশ বাঁচাতে হলে, শেখ হাসিনাকে বাঁচতে হবে। আর শেখ হাসিনাকে বাঁচতে হলে এই দলকে বাঁচতে হবে এবং সু-সংগঠিতভাবে বাঁচতে হবে। শেখ হাসিনার দূরদির্শতার কারণে আমরা সব ধরণের সংকট ও দুর্যোগ থেকে মুক্তি পেয়েছি। মন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা যে জাটকা রক্ষা সপ্তাহ পালন করছি। আমাদের ইলিশের উৎপাদন ক্ষমতা যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে, এর থেকে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তুলনা করি, তাহলে আজকে নিঃসন্দেহে বলতে পারি প্রায় ৬ লাখ মেট্টিক টন ইলিশের উৎপাদন বাংলাদেশের অর্জিত হয়েছে, তা কেবল মাত্রই সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে। আব্দুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমার মাটি আমার মানুষ, আমার পাট আছে, আমার সম্পদ আছে এবং আমার ইলিশ আছে। আর এই ইলিশেই হতে পারে দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের বড় উপাদান। যথার্থভাবে আজ থেকে বহুদিন আগে ১৯৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু দাঁড়িয়ে এ কথা বলেছিলেন। যার বাস্তব ও প্রয়োগিক ফলাফল ধীরে ধীরে এই জাতি আজকে উপভোগ করছে। মন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদেরকে বলতে চাই- বঙ্গবন্ধু এই দেশের মানুষের মুখে হাঁসি ফুটাবার জন্য নিরন্তন কাজ করেছেন। ১৯৮১ সালে তার কন্যা শেখ হাসিনা বাবা-মা হারানোর ব্যথা ও অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে এই বাংলার মাটিতে এসেছেন। সেদিন লক্ষ লক্ষ মানুষের উদ্দেশে বলেছেন আমার পিতা ঘাতকের বুলেটে জীবন দিয়ে গেছেন। তার বুকের তাজা খুন এই পদ্মা-মেঘনা ও যমুনার কালো পানি লালে লাল হয়েছে। আজ আমি এসেছি একটি মাত্র স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য। যে স্বপ্ন আমার বাবা বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন। দেশের মানুষের মুখে তিনি হাসি দেখবেন। আর এই বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফুটাবার জন্যই আমার বাবার সেই অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করবার জন্যই আজকে এই দেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেছি এবং আপনাদর মাঝে ফিরে এসেছি। সেই থেকে তার নিরন্তন যাত্রা। আব্দুর রহমান বলেন, ১৯৭১ সালে তলাবিহীন ঝুড়ি সরকার, সেই বাংলাদেশ কেন আজ মেট্টোরেলের মালিক হবে। সেই বাংলাদেশ কেন আজকে আমাদের সাথে চ্যালেঞ্জ করে নিজের অর্থে পদ্মা-সেতু নির্মাণ করবে। এই বাংলাদেশ কেন আজ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করবে, কেন আজ বঙ্গবন্ধু ট্যানেল দিয়ে গাড়ি চলবে। শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে কেবল মাত্র হিংসা থেকে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কিন্তু এই বাংলার লক্ষ কোটি মানুষের সমর্থন আজ শেখ হাসিনাকে সাহস যুগিয়েছে। মন্ত্রী বলেন, আজকের এই মাছের উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হয় নাই। আজকে বাঙালি দুই বেলা মাছে ভাতে থাকে না। এই বাংলাদেশের মানুষ আজ তারা একটি গর্বিত জাতি হিসেবে মাথা উচুঁ করে দাঁড়াবার জন্য নতুন প্রস্তুতি নিচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ইলিশ এমন সম্পদ, যে সম্পদ দিয়ে আমি বিদেশি মুদ্রা অর্জন করব এবং তৃতীয় রপ্তানিমূখী পণ্য হিসেবে পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে দিব। তিনি বলেন, আমরা বছরে দুই থেকে তিনবার টিআর কাবিখা দিয়ে থাকি। সেখানে একটিবার যদি জেলেদের জন্য কিছু অংশ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারি অর্থাৎ জেলেদের উপকরণ দিতে পারি, সেটি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিতে আমরা আনব। আর যেসব জেলেদের বাড়ি নেই, ভূমি নেই তাদের তালিকা তৈরি করেন। সেই ব্যবস্থা হবে। কারণ প্রধানমন্ত্রী এই কার্যক্রম চালু রেখেছেন। মন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র নৌপুলিশ, ডিসি এবং এসপিকে দিয়ে জাটকা রক্ষা হবে না। আমাদের নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকে এগিয়ে আসতে হবে। এই জাটকা রক্ষা সপ্তাহ গুরুত্বের সাথে পালন করতে হবে। আমাদের এই জাটকা মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে। এটি বাস্তবায়ন হলে ভরা যৌবনের চাঁদপুর আবার ইলিশের যৌবনে ভরে যাবে এই কথা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেন, সেখানে এই ইলিশের উৎপাদন সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। এটি আমি আশা এবং বিশ্বাস করি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন- মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর। অনুষ্ঠান শেষে শহরের মোলহেড থেকে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিসহ সংশ্লিষ্টদের অশংগ্রহণে মেঘনা নদীতে নৌর‌্যালি বের হয়। র‌্যালিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ শত শত মৎস্যজীবী অংশগ্রহণ করেন।
১১ মার্চ ২০২৪, ২৩:২৭

বাংলাদেশে ফের নকিয়া ফোন উৎপাদন শুরু
দেশে আবারও বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড নকিয়ার মোবাইল ফোন উৎপাদন শুরু হয়েছে। সম্প্রতি গাজীপুরের টঙ্গিতে ৫৩ হাজার ৭১৫ বর্গফুট জায়গা নিয়ে মোবাইল কারখানা শুরু করে সেলেক্সট্রা লিমিটেড। সেখানেই তৈরি হচ্ছে নকিয়া ফোন। এ উপলক্ষে দেশে প্রথমবারের মতো নকিয়ার মূল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এইচএমডি গ্লোবালের চিফ অপারেটিং অফিসার আলা লুসানসহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কারখানা পরিদর্শন করেছেন। আলা লুসান বলেন, এখন পর্যন্ত ৭টি মডেলের নকিয়া মোবাইল ফোন এই কারখানায় উৎপাদন করে বাজারজাত করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এটি আমার দেখা সবচেয়ে সেরা কারখানা। অদূর ভবিষ্যতে সেলেক্সট্রার সঙ্গে এইচএমডি গ্লোবাল বাংলাদেশের জন্য আরও নতুন পণ্য ও সেবা নিয়ে আসবে। সেলেক্সট্রা লিমিটেডের বোর্ড চেয়ারম্যান আশরাফ বিন তাজ বলেন, এই কারখানায় উৎপাদিত প্রতিটি নকিয়া ফোনের মানের প্রতি আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মোবাইল শিল্পের এই বিকশিত বিশ্ববাজারে, আমরা বাংলাদেশেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে চাই। নকিয়া ফোন দিয়ে উৎপাদন শুরু হওয়া সেলেক্সট্রার ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট মোবাইল ফোন উৎপাদনের পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন আধুনিক গ্যাজেট তৈরির পরিকল্পনা করছে।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়