• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
প্রথমবার চট্টগ্রামে ‘জয় বাংলা কনসার্ট’, দর্শকদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস
ঢাকার বাইরে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামে আয়োজিত হয়েছে জয় বাংলা কনসার্ট। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বন্দর নগরী চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে সন্ধ্যায় এই কনসার্টের আয়োজন করা। প্রায় ৫০ হাজার দর্শক ও শ্রোতাদের গান করছেন অ্যাভোয়েড রাফা, নেমেসিস, চিরকুট, মেঘদল, লালন, তীরন্দাজ, কার্নিভাল, আর্টসেল এবং ক্রিপটিক ফেইট। ৭ই মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত এ কনসার্ট শুরু হয় বিকাল ৩টায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অ্যাভোয়েড রাফা, নেমেসিস, চিরকুট, মেঘদল ও লালন তাদের নিজস্ব গানের পাশাপাশি দেশাত্মবোধক গানও করে। ৭টার বিরতির পর কনসার্টে স্ক্রিনে দেখানো হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের রঙিন ভিডিও। ভাষণের ভিডিও শেষে আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে আতশবাজিতে। এ সময় গানের সঙ্গে আলোর ঝলকানি, গিটার ও ড্রামের শব্দে কেঁপে ওঠে স্টেডিয়াম। অ্যাভোয়েড রাফা তাদের প্রথম গান হিসেবে বেছে নেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের 'মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম'। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য এই গানটিও সম্প্রচার করা হতো। এই গানের পর নিজেদের জনপ্রিয় আরও বেশ কিছু গান পরিবেশন করে ব্যান্ডদলটি। এর আগে বিকেল ৩টার দিকে শুরুতেই মঞ্চে ওঠে চট্টগ্রামের ব্যান্ড দল তীরন্দাজ। প্রায় ২৫ মিনিট ধরে তারা একের পর এক জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন। পরে ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে মঞ্চে ওঠে ব্যান্ড কার্নিভাল। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে তারা বেশ কিছু জনপ্রিয় গান পরিবেশন করে। বেলা ৪টার দিকে মঞ্চে উঠে ৩০ মিনিট ধরে ভিন্ন ধারার সুরের গান পরিবেশন করে মেঘদল। বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে মঞ্চে আসে ব্যান্ড দল অ্যাভোয়েড রাফা। নিজেদের জনপ্রিয় গানগুলো পরিবেশন করেন তারা। তাদের গানে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন বন্দর নগরীর দর্শক শ্রোতারা। অ্যাভোয়েড রাফার পরে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে লালন পরিবেশন করেন বসন্ত বাসাতে, পাগল ছাড়া দুনিয়া চলে না এবং আরও বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় গান। এর আগে, ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে সাতবার এই কনসার্ট আয়োজন হলেও ঢাকার বাইরে এবারই প্রথম আয়োজন করা হয়েছে। সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) তারুণ্যের প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলার উদ্যোগে নিয়মিত আয়োজিত হয় জয় বাংলা কনসার্ট।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৭

ভোট দিয়ে তারকাদের উচ্ছ্বাস
অনুষ্ঠিত হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।  সকাল ৮টা থেকে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ যা শেষ হয় বিকেল ৪ টায়। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এদিন সতস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে কেন্দ্রে যাচ্ছেন শোবিজ তারকারাও। চলচ্চিত্র, নাটক, সংগীত ও মঞ্চের বহু গুণীজনরাও ভোট দিতে সকাল থেকেই নিজ নিজ কেন্দ্রে উপস্থিত হতে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই ভোট দেয়ার পর সেই মুহূর্ত শেয়ার করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এদের মধ্যে গুণী অভিনেত্রী সারা যাকের থেকে জয়া আহসান, নির্মাতা শিহাব শাহীন থেকে অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন ভোট দিয়েছেন। সেই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভোট প্রদান পরবর্তী স্থিরচিত্র প্রকাশ করেছেন। কেউ আবার দিয়েছেন ভোটের কালি লাগানো আঙুলের ছবি। এরমধ্যে গুণী অভিনেত্রী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সারা যাকের দুই সন্তানকে নিয়ে ভোট দিতে গিয়েছিলেন বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজ এর কেন্দ্রটিতে। দুই সন্তানের সাথে একটি ছবি পোস্ট করে সারা যাকের লিখেন, মিসিং ইউ আলী যাকের। তুমি আমাদের সবাইকে ভোট এর ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করেছ! ভোটার হিসেবে আমরা আমাদের অধিকার প্রয়োগ করছি। আমার ভোট আমি দেবো সারা যাকেরের সেই পোস্টে ছোটপর্দার গুণী আরেক অভিনেতা তারিক আনাম লিখেছেন, আমরাও ভোট দিয়ে এলাম। অল্প সময়ের ব্যবধানে তোমাদের সাথে দেখা হলো না। ভোট নিয়ে বরাবরই উৎসাহ দেখা গেছে অভিনেত্রী জয়া আহসানের। তিনি ঢাকা ১৭ আসনের ভোটার। রোববার নিজ কেন্দ্রে গিয়ে দিয়েছেন ভোট। ভোটের কালি আঙুলের ছবিও পোস্ট করে লিখেছেন, ৭ জানুয়ারি ২০২৪!  ঢাকা-১০ আসনের ভোটার অভিনেত্রী সোহানা সাবাও। এই আসনে সহ-অভিনেতা ফেরদৌস নির্বাচন করছেন। তারপক্ষেই শুরু থেকেই প্রচারণায় ছিলেন সাবা। ভোটের দিন সকালেও এই অভিনেত্রী তার ছেলে শুদ্ধর সঙ্গে ফেরদৌসের একটি ছবি প্রকাশ করে লিখেছেন, মামা আজকে জিতবেই জিতবে। দুপুরে আরেকটি ছবি পোস্ট করেন সাবা। যেখানে ভোটের কালি লাগানো আঙুলের ছবিও স্পষ্ট। লিখেছেন, ‘ডান’। ঢাকাই চলচ্চিত্রের দর্শক প্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাস। তিনি বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা। এলাকাটি ঢাকা ১১ আসনে অন্তর্ভুক্ত। তিনি ভোট দিয়ে নিজের ফেসবুকে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছনে। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, এই জায়গার লোভ আমিও সামলাতে পারলাম না। ঢাকা ১০ আসনের ভোটার অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। এদিন সকাল সকাল তিনি ধানমন্ডি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে ভোট দিয়েছেন। একটি ছবি পোস্ট করে শাওন লিখেছেন, ভোট দিয়ে আসলাম। সেই সঙ্গে হ্যাশট্যাগে লিখেছেন, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়