• ঢাকা বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
প্রবাসী স্বামীর পরকীয়ার জেরে নোবিপ্রবি ছাত্রীর আত্মহত্যা
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী আনিকা বিনতে ইউসুফ আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের অভিযোগ, স্বামীর পরকীয়া, নির্যাতন ও শ্বশুরবাড়ির অসহযোগিতা সইতে না পেরেই আনিকা আত্মহত্যা কর‍তে বাধ্য হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে ও মামলাটি তদন্তাধীন আছে বলে মঙ্গলবার (৭ মে) নোয়াখালী সুধারাম থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি আরটিভিকে নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, আনিকার মৃত্যুর ৪ দিন পর গত ৩০ এপ্রিল স্বামী ফারদিন আহমেদ ওহি(৩১), শ্বশুর আকতার হামিদ (৬৭) ও শাশুড়ি নূর জাহান বেগমকে আসামী করে নোয়াখালীর  সিনিয়র জুডিশিয়াল ১নং আমলি আদালতে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা করেন নিহত আনিকার বাবা মো.ছায়েফ উল্ল্যাহ্। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত আনিকা বিনতে ইউসুফ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে অভিযুক্ত ফারদিন আহমেদ ওহির সাথে পরিচয় হয়। এরপর প্রেমের সম্পর্কে জড়ালে পারিবারিক সিদ্ধান্তে ২০২২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিয়ে হয় দুজনের। বিবাহের কিছুদিন পর পুনরায় মাল্টায়(বিদেশ) চলে যায় ফারদিন। বিদেশ যাওয়ার পর আনিকা তার স্বামীর ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামের আইডিতে বিভিন্ন মেয়ের সাথে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ছবি এবং নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহনের ছবি দেখত পায়।  এজাহারে সূত্রে আরও জানা যায়, আনিকা তার স্বামী ওহিকে বিষয়গুলো জানালে আনিকার ওপর ক্ষিপ্ত ও উত্তেজিত হয়ে যায় সে। স্বামী দেশে আসার পরেও  সারাদিন বিভিন্ন মেয়েদের সাথে দীর্ঘ আলাপচারিতায় ব্যস্ত থাকতে দেখেন আনিকা। এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করলে আনিকা ফের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এজাহারে জানা যায়, ঘটনার দিন একটি মেয়ে তার  ফেসবুক আইডি থেকে থেকে ম্যাসেঞ্জারে আনিকাকে তার স্বামীর অশালীন বার্তার কিছু স্কিনশর্ট পাঠায়। স্কিনশর্ট গুলোতে দেখা যায় যে,অই মেয়েকে বিভিন্ন যৌন উত্তেজক অশালীন বার্তা পাঠায় আনিকার স্বামী ওহি। পরবর্তীতে ঘটনার দিন সকালে স্ক্রিনশট গুলো স্বামীকে পাঠালে আনিকার সাথে ফের চরম দুর্ব্যবহার ও অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে ফারদিন আহমেদ ওহি। এমন আচরণের পর শ্বশুর-শাশুড়িকে জানালে উলটো আনিকাকেই দোষারোপ করা হয় বলে  জানা যায়। পরবর্তীতে আনিকা তার স্বামীর অন্যায় ও অনৈতিক আচরণ সইতে না পেরে রাগে ক্ষোভে বিষ পানে আত্মহত্যা করেন। নিহত আনিকার ছোট বোন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অবনি বলেন, আপুর স্বামী ফারহিন হামিদ ওহি মাদকাসক্ত। তিনি অনেক মেয়ের সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত।বিয়ের পর থেকেই স্বামী কর্তৃক  গালিগালাজ, লাথি, কিল, ঘুষি, থাপ্পড়, জুতার বাড়িসহ বিভিন্ন রকমের শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আনিকা আপু। বিয়ের ১৭ দিন পর বিদেশ (মাল্টা) চলে যায় ফারদিন। পরবর্তীতে আর্থিক সঙ্কট দেখিয়ে গ্রিন কার্ড, পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের জন্য আনিকা আপুকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয় সে। স্বামীর অত্যাচারে নিজের ক্যারিয়ারেও পেছাতে হয় আনিকা আপুকে। গ্রাজুয়েশন শেষ করার দুই বছরেও মাস্টার্সে ভর্তি হতে পারেন নি এবং কোন চাকরির পরীক্ষার প্রিপারেশনও নিতে পারেননি ওনি। আনিকার ছোট বোন অবনী আরও বলেন, সর্বশেষ চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল আনিকা আপু ফেসবুক ম্যাসেজে অন্য এক মেয়ের সাথে স্বামীর অশ্লীল মেসেজের সত্যতা পায়। স্বামীর অবহেলার সাথে এসব তথ্যে অসহ্য যন্ত্রণায় ভেঙে পড়ে আনিকা আপু। এ বিষয়ে জানতে নিহত আনিকার শশুর ও মামলার ২নং আসামী আকতার হামিদের  মুঠোফোন নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং বক্তব্য জানতে খুদে বার্তা দেওয়া হলে তারও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে নোয়াখালীর সুধারাম থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, আত্মহত্যা প্ররোচনার এই মামলার মূল আসামী বিদেশ থাকে। মামলাটি আমরা তদন্ত করতেছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।
৪ ঘণ্টা আগে

স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে আনসার সদস্যের আত্মহত্যা
স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে আরিফুল ইসলাম (৩৫) নামে এক আনসার সদস্য আত্মহত্যা করেছেন।  রোববার (৫ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহতে এই ঘটনা ঘটে। ডিঙ্গেদহ আনসার ব্যাটালিয়নে সিপাহি হিসেবে কর্মরত আরিফুল ইসলাম দিনাজপুর সদর উপজেলার জয়দেবপুর গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে।  চুয়াডাঙ্গা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা কমান্ড্যান্ট সঞ্জয় চৌধুরি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ আনসার ব্যাটালিয়নের পার্শ্ববর্তী উসমান গনির ভাড়া বাড়িতে আরিফুল ইসলাম সপরিবার নিয়ে থাকতেন। বৃহস্পতিবার ছুটিতে সপরিবার দিনাজপুর যান। রোববার (৫ মে) তিনি একা ফিরে আসেন। যতদুর জানতে পেরেছি, দাম্পত্য কলহে স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখেই আরিফুল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পরিদর্শক (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, বিষয়টি জানতে পের ঘটনাস্থলে আমাদের টিম পাঠিয়েছিলাম। তারা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দ্রুত মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
০৬ মে ২০২৪, ০১:৫০

ঋণের বোঝা সইতে না পেরে আত্মহত্যা
রাজধানীতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে ইয়াসিন (২২) নামের এক রিকশাচালক আত্মহত্যা করেছেন। পরিবারের দাবি, ঋণের বোঝা সইতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের ত্রিমোহনী এলাকার একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। ইয়াসিন ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর থানার কলতাপাড়া গ্রামের আবদুল সাত্তারের ছেলে। জানা গেছে, এদিক সকালে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ইয়াসিনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে তার পরিবার পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর ঢামেকের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ইয়াসিনের বাবা আব্দুস সাত্তার বলেন, আমার ছেলে পেশায় অটোরিকশাচালক। ঋণগ্রস্ত ছিল। ঋণের বোঝা সইতে না পেরে আমার ছেলে গলায় ফাঁস দিয়েছে। পরে আমরা ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ এসে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুর ২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় অবগত করা হয়েছে।
০৪ মে ২০২৪, ২১:৩৪

শাহীনকে না পেলে আত্মহত্যা করবেন তরুণী
পটুয়াখালীর বাউফলে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন এক তরুণী (১৭)। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল থেকে উপজেলার কালাইয়া ৩নং ওয়ার্ডের ছুমির উদ্দিন হাওলাদার বাড়িতে অনশনে বসেন তিনি। ভুক্তভোগী মেয়েটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি শাহীনের স্ত্রী হতে চাই। আর সেটা না হলে আত্মহত্যা করতে চাই। আমি বাড়িতে আসার পরই পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেছে শাহীন। এ কারণে শাহীনের বক্তব্য জানতে পারিনি।’ স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, প্রায় ৪ বছর ধরে ছুমির উদ্দিন হাওলাদার বাড়ির জসীম হাওলাদারের ছেলে শাহীনের সঙ্গে পাশের গ্রামের মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শাহীন তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। ২ মাস আগে সামাজিক লজ্জার ভয় দেখিয়ে এবং দ্রুত বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বাউফল পৌর শহরে নিয়ে বাচ্চা নষ্ট করেন শাহীন। এরপর থেকে দূরত্ব বজায় রাখায় মেয়েটির সন্দেহ তৈরি হয়। একপর্যায়ে শাহীন জানায়, এই মুহূর্তে তার পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব নয়। এ কথা জানার পরই বৃহস্পতিবার মেয়েটি শাহীনের বাড়িতে অনশনে বসেন। শাহীনের মা শাহনাজ বেগম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আমার বাড়িতে এসেছে মেয়েটি। ঘটনার কিছুই আমার জানা নেই। ছেলে (শাহীন) বাড়িতে এলে তার মুখে সব জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, ‘এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
০৩ মে ২০২৪, ১৯:৩৮

সালমান খানের বাড়িতে হামলায় অভিযুক্ত তরুণের আত্মহত্যা
বলিউড অভিনেতা সালমান খানের বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করেছিল ভারতের মুম্বাই পুলিশ। বুধবার (১ মে)  দুপুরে তাদের মধ্যে একজন পুলিশের হেফাজতেই আত্মহত্যা করেছে। তবে এই ঘটনার আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি পুলিশ।  টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (১ মে)  দুপুরে পুলিশের হেফাজতে আত্মহত্যার চেষ্টা করে অনুজ থাপন নামের এক অভিযুক্ত। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। গত ১৪ এপ্রিল বলিউড অভিনেতার বাড়িতে বাইরে গুলি চালানোর জন্য ব্যবহৃত অস্ত্র সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছিল থাপনের বিরুদ্ধে।  এ ছাড়া সালমানের বাড়ির বাইরে গুলি চালানোয় অভিযুক্ত ভিকি গুপ্তা ও সাগর পাল নামের আরও দুইজন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ঘটনার রাতে মোটরসাইকেলে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার সময় সিসিটিভিতে ধরা পড়ার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
০১ মে ২০২৪, ১৭:০৩

চিরকুট লিখে মুয়াজ্জিনের আত্মহত্যা
চিরকুট লিখে সিলেটের শাহপরাণ এলাকার লাল খাঁটঙ্গী মাদানী মসজিদের মুয়াজ্জিন দেলওয়ার হোসাইন দিলাল (১৯) আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ফজরের নামাজের সময় মসজিদের মুয়াজ্জিনের কক্ষ থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মো. দেলওয়ার হোসাইন সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রামনগর গ্রামের মো. মুসলিম আলীর ছেলে। জানা গেছে, মঙ্গলবার ফজরের নামাজের সময় মসজিদে আজান না হওয়ায় মুসল্লিরা গিয়ে মুয়াজ্জিনের থাকার কক্ষে ডাকাডাকি করে। কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে দরজা ভেঙে মুয়াজ্জিন দিলালের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার মরদেহের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। তাতে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’। শাহপরাণ থানার ওসি মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, চিরকুট লিখে মসজিদের মুয়াজ্জিন আত্মহত্যা করেছেন। তবে ককি কারণে মুয়াজ্জিন আত্মহত্যা করেছেন তা আমরা ক্ষতিয়ে দেখছি। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  
০১ মে ২০২৪, ০৩:৫৪

আমিরাতে ঋণের দায়ে প্রবাসীর আত্মহত্যা
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি প্রবাসী মোহাম্মদ শিবলী সাদিক। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তিনি। কিছুদিন আগে দেশ থেকে ঋণ নিয়ে এখানে রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন। সাম্প্রতিক তার ব্যবসায়ীক পার্টনার রিয়েল এস্টেট এ বিনিয়োগ করা সকল অর্থ হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। ঋণের চাপ ও পার্টনার কর্তৃক প্রতারিত হয়ে ডুবে যান হতাশার বেড়াজালে। শেষ পর্যন্ত আর কোন কূলকিনারা না পেয়ে বেঁছে নিলেন আত্মহত্যার পথ।  ঋণের দায়ে আত্মহত্যা করা নিহত প্রবাসী মোহাম্মদ শিবলি সাদিক (৩৮) লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের বাঞ্ছানগর গ্রামের মৃত হারুন উর রশিদের ছেলে। নিহতের প্রতিবেশী চাচাতো ভাই মোহাম্মদ মনির বলেন, শিবলি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কিছুদিন আগে দেশ থেকে ঋণ নিয়ে এখানে রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন। সাম্প্রতিক তার ব্যবসায়ী পার্টনার রিয়েল এস্টেট এ বিনিয়োগ করা সকল অর্থ হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। ঋণের চাপ ও পার্টনার কর্তৃক প্রতারিত হয়ে হতাশয় ভুগছিলেন তিনি। পরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহননের মত কঠিন সিদ্ধান্ত নেন শিবলি। এখন পর্যন্ত মৃতের ব্যবসায়ী পার্টনার প্রতারকের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তিনি আরও জানান, মৃত শিবলী একই গ্রামের মো. আবুল কাশেমের মেয়ে তানজিনা আফরিনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। ব্যক্তি জীবনে নিঃসন্তান ছিলেন তিনি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ দূতাবাস আবুধাবিতে নিযুক্ত শ্রম কাউন্সিলর লুৎফুন নাহার নাজিম বলেন, মৃত্যুর খবর আমারা জেনেছি। মরদেহ এখন বানিয়াছ এর কেন্দ্রীয় মর্গে রয়েছে। দেশটির আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ দেশে পৌঁছাতে দূতাবাস দ্রুত পদক্ষেপ নিবে এবং প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্টস তৈরির বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ, গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) দেশটির রাজধানী আবুধাবির শেখ হামদান সড়কে তার বাসস্থল বিল্ডিং এর ছাদ থেকে লাফ দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে জানায় আবুধাবি পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।  
০১ মে ২০২৪, ০০:২২

খিলগাঁওয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে সাবিহা জাহান (১২) নামে এক শিশু গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল সে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে পূর্ব গোড়ান এলাকার একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের চাচাতো ভাই ফারুক খান বলেন, সাবিহার বাবা শাহজাহান খান অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য। রাত ৮টার দিকে নিজের কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নেয় সে। পরে তাকে দ্রুত স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয় তাকে। পরে ঢামেকের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন তাকে। ফারুক খান বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে। কী কারণে সাবিহা গলায় ফাঁস নিলো- এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। সাবিহারা দুই বোন, এক ভাই। সে ছিল সবার ছোট। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ মর্গে রাখা আছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৪

প্রেমিকার ১৯ দিন পর প্রেমিকের আত্মহত্যা
নরসিংদীর শিবপুরে প্রেমিকার আত্মহত্যার শোক সইতে না পেরে ১৯ দিন পরে প্রেমিক সিফাত (১৯) ফেসবুক‌ স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাছিমপুর ইউনিয়নের খড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত সিফাত ওই গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে। সিফাত শিবপুর সরকারি শহীদ আসাদ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। মৃত্যুর আগে এক দীর্ঘ ফেসবুকে স্ট্যাটাসে সিফাত লেখেন, ‘তানহা আত্মহত্যা করে প্রমাণ করে গেলো আমারে কতটা ভালোবাসে। আমিও প্রমাণ করে দিমু তানহারে আমি কতটা ভালোবাসি। কারও সঙ্গে ভুল করে থাকলে মাফ করে দিও। আর দেখা হবে না সবাই দোয়া কইরো শান্তিতে থাকি কিংবা অশান্তিতে দুজন যেন এক সঙ্গে থাকতে পারি। আমার শেষ ইচ্ছা তানহার কবরের পাশে আমাকে কবর দেওয়া হোক। আমি পরিস্থিতির স্বীকার। আর আমার কোনো কিছুর জন্য তানহার পরিবার বা আমার পরিবার দায়ী না, এমনকি আমার কোনো ভাই-ব্রাদার বা বন্ধু ও দায়ী না। যা হবে আমার নিজের ইচ্ছেতে হবে। সত্যি বলতে আমার আর বাচার ইচ্ছে নাই। আমাকে যদি কেউ বাঁচিয়েও নেয় আমি পুনরায় আত্মহত্যার চেষ্টা করব। প্লিজ আমাকে কেউ বাঁচানোর চেষ্টা কইরো না বেঁচে থেকে আর কি হবে যার জন্য বাঁচার কথা ছিল সে তো আর নেই। তানহা আমারে কথা দিছিলো যদি বাঁচি তো এক সঙ্গে বাঁচমু আর যদি মরতে হয় তো এক সাথে মরমু। আমি তানহারে এই কথাটাই দিছিলাম। কিন্তু একটা চরিত্রহীন জানোয়ার আমাদের সুখে থাকতে দিল না। ওদের অত্যাচারে তানহা আত্মহত্যা করলো। এক প্রকার তারা তানহারে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করলো। জানোয়ারের পরিবারকেই আমি খুনি বলে দাবি করি। আমি যদি বেঁচে থাকি তাহলে জানোয়ারের পরিবার স্বাধীনভাবে চলবে ওদের কোনো সাজা হবে না। আর অন্য দিকে আমার তানহা ও শেষ আমি অর্ধেক শেষ আমার পরিবার ও শেষ। আমি আর কষ্ট সহ্য করতে পারছি না (প্রমাণ হয়ে যাক দুজন দুজনকে কতটা ভালোবাসতাম) আর আমি চরিত্রহীন জানোয়ারের পরিবারের সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি। এমন সাজা দেওয়া হোক অন্য কোনো মেয়ের সাথে যেন এমন না হয়। আর যেন কারও প্রাণ না ঝরে। কেউ যেন ব্ল‍্যাকমেলের শিকার না হয়। আমার শেষ একটাই ইচ্ছে- আমরা দুজনে সারাজীবন একসঙ্গে থাকতে চেয়েছিলাম বাস্তবে তা হলো না তাই আমার মৃত্যুর পরে তানহার কবরের পাশে যেন আমার কবর দেওয়া হয়। আমি আঙুর রে মারছি শুধু একটা কারণে হেয় তানহার হাতে ধরছিল। তানহারে খারাপ প্রস্তাব দিছিল। আমি সহ্য করতে পারি নাই। তাই হেরে কোবাইছি। আমরা প্রেম করছি এটাই কি অপরাধ ছিল। আমাদের জীবন শেষ করে দিলো ভালো থাকুক আঙুর আর আঙুরের পরিবার। নিহতের পিতা ইব্রাহিম জানান, প্রতিবেশী চাচাত বোন খলিলের মেয়ে তানহার (১৫) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল আমার ছেলে সিফাতের। গত ৩ এপ্রিল দিবাগত রাত দুইটার সময় তানহা ঘরের ভেতর থেকে আর সিফাত জানালার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় দেখে ফেলে একই এলাকার রাজুর ছেলে আঙ্গুর (২৫)। এ সময় আঙ্গুর তানহাকে কু-প্রস্তাব দেয়। সিফাত এতে নিষেধ করে। কু-প্রস্তাব রাজি না হওয়ায় আঙ্গুর সিফাতকে মারধর করে টাকা দাবি করে পরে সে উত্তেজিত হয়ে আঙ্গুরকে কুপিয়ে আহত করে। মারামারি বিষয়ে মামলা চলমান রয়েছে। লোকলজ্জায় গত ৬ এপ্রিল রাতে তানহা নিজ ঘরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এইসব বিষয়ে  গ্রামীণ সালিস দরবার হওয়ার কথা ছিল। সালিস দরবারে আমাকে ও আমার ছেলেকে এটা করবে ওটা করবে বলে বিভিন্নভাবে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতো। দরবারে গেলে জমির দলিল নিয়ে যেতে বলতো এসব মানসিক চাপ সইতে না পেরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ছেলে সিফাত। আমি এর বিচার দাবি করছি। বিষয়টি নিশ্চিত করে শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্তের পর আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৫

রাজধানীতে ছাদ থেকে লাফিয়ে স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা  
রাজধানীর কোতোয়ালিতে বাবার ওপর অভিমান করে ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে অর্পণ কর্মকার (১৬) নামে এক স্কুলশিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। কলেজিয়েট উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সে।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে শাঁখারি বাজার কৈলাস ঘোষ লেনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত অর্পণ কর্মকার টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দোয়াজানি গ্রামের দীপঙ্কর কর্মকারের একমাত্র ছেলে। নিহতের বাবা দীপঙ্কর কর্মকার বলেন, আজ দুপুরের দিকে সামান্য বিষয় নিয়ে ছেলেকে বকাঝকা দিয়েছিলাম। তাই আমার ওপর অভিমান করে বাসার সপ্তম তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে সে। পরে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মারা যায় অর্পণ। কান্না বিজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী বোঝা হলো বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ। আমি আগে যদি জানতাম, তাহলে অর্পণকে কিছুতেই বকাঝকা দিতাম না। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, শাঁখারি বাজারের কৈলাস ঘোষ লেন থেকে মুমূর্ষ অবস্থায় ওই কিশোরকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মারা যায় সে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।  
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়