• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ
সরকারি চাকরিজীবীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে বিধিনিষেধ থাকলেও তথ্য গোপন করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অভিযোগ উঠেছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহর বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন শিশির মনির নামের এক আইনজীবী। মনোনয়ন ও সরকারি চাকরি চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটে আবেদনটি প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল ইস্যু করে আদেশ দিয়েছেন। আদেশে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে জবাব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এদিকে রিট আবেদনে মোহাম্মদ শফিউল্লাহর পাশাপাশি প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। জানা যায়, মো. শফিউল্লাহ নাইক্ষ্যংছড়ি হাজী এম এ কালাম সরকারি কলেজের শিক্ষক হওয়া স্বত্বেও আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। রিটে উল্লেখ করা হয়, তিনি নাইংক্ষংছড়ি হাজী এম এ কালাম সরকারি কলেজের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় বিগত উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে ২০১৮ সালে অংশ নিয়ে নির্বাচিত হন এবং বিগত ৫ বছর উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অথচ ২০২৩ সনের ২৫ জুলাই প্রকাশিত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ-৫ শাখার প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী মোহাম্মদ শফিউল্লাহর নাম রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রভাষক হিসেবে ১০ নম্বর ক্রমিকে অর্ন্তভুক্ত দেখা যায়। যার ইনডেস্ক নং-৮৩৪৯১৯। এই প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করা হলে অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিউল্লাহ বলেন, আমি গত উপজেলা নির্বাচনে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছি। এখনও তালিকায় নাম থাকলে সেটা আমি জানিনা, সেটা কলেজ কর্তৃপক্ষ জানবে, অব্যাহতি দেওয়ার পরও কেন তালিকায় আমার নাম আছে।  এই প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করা হলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জাফর আলম বলেন, অধ্যাপক শফিউল্লাহ একসময় কলেজে ছিলেন। গেজেটেও তার নাম আছে। তবে তিনি কলেজ থেকে বেতন নেন না বা ক্লাসও করান না।  বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে রয়েছি; আপনি শফিউল্লাহর সঙ্গে কথা বললে বিস্তারিত জানতে পারবেন।  জানতে চাইলে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বান্দরবান জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উম্মে কুলসুম বলেন, ‘বিষয়টি জানলাম। তথ্য উপাত্ত কতটুকু সত্য তা যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
০৪ মে ২০২৪, ০৯:১৭

আসামি ধরতে গিয়ে ইমামকে মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে স্থানীয় এক মসজিদের ইমামকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। মূলত, ওয়ারেন্টভুক্ত ওই আসামি ও ইমামের বাবার নাম এক হয়ে যাওয়ায় এ বিপত্তি ঘটেছে বলে জানা গেছে।  এদিকে উপজেলার সংগ্রামপুর ইউনিয়নের আমুয়াবাইদ গ্রামে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঘটে যাওয়া এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। শুক্রবার (৩ মে) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এবং দোষীদের শাস্তি দাবি করে মানববন্ধন করেছেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।  খোঁজ নিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়,  বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আব্দুর রাজ্জাক নামে এক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে ধরতে আমুয়াবাইদ গ্রামে যায় ঘাটাইল থানার পুলিশ। কিন্তু ভুল করে পুলিশ সদস্যরা প্রবেশ করেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম গোলাম রাব্বানীর (২৭) বাড়িতে। কারণ, তার বাবার নাম আব্দুর রাজ্জাক মৃধা। ইমাম গোলাম রাব্বানীর অভিযোগ, রাতে দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে তাকে মারধর করেছেন থানার উপপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন এবং কনস্টেবল রুবেল রানা, রুহুল আমিন ও মিজানুর রহমান।  গোলাম রাব্বানী জানান, রাত দেড়টার দিকে তার বসত ঘরের দরজায় খটখট শব্দ হয়। এ সময় ভয়ে দরজা না খুললে তা ভেঙে তার বোনের কক্ষে প্রবেশ করেন কয়েকজন লোক। ডাকাত ভেবে পাশের কক্ষে খাটের নিচে লুকান গোলাম রাব্বানী। পরে নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দেন লোকগুলো এবং খাটের নিচ থেকে টেনে বের করেন রাব্বানীকে। তাকে হাতে ধরে ঘরের বাইরে নিয়ে আসেন একজন, পেছন থেকে অপরজন মারেন লাথি।  এ সময় গোলাম রাব্বানী তাকে এভাবে ধরে নিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে পুলিশ সদস্যদের একজন বলেন, ‘তোর নামে মামলা আছে। তোর কারেন্ট বিল বাকি আছে।’ তখন রাব্বানী বলেন, ‘ভাই আমারে মাইরেন না, আমি মসজিদের ইমাম, আমার কোনো কারেন্ট বিল বাকি নাই।’ এ কথা বলার পর পাশে থাকা আরেক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘তোরে ইমামতি শিখাইছে ক্যারা?’ এরপর রাব্বানী মামলার কাগজপত্র দেখতে চাইলে পুলিশ সদস্যরা বলেন, ‘আগে থানায় চল, তারপর কাগজপত্র দেখামু।’ এভাবেই পার হয়ে যায় প্রায় বিশ মিনিট। হইচই শুনে আশেপাশের লোকজন এসে জড়ো হন ওই বাড়িতে। তারা মামলার কাগজপত্র দেখতে চাইলে পুলিশ তাদের কাগজপত্র দেখায়। তাতে দেখা যায় মামলায় আসামির নাম আব্দুর রাজ্জাক।  গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমার বাবার নাম আব্দুর রাজ্জাক মৃধা ঠিক আছে, কিন্তু আমার দাদার নাম লাল মাহমুদ মৃধা। মামলার কাগজপত্র দেখার পর আমার বাবার ভোটার আইডি কার্ড দেখালে লোকজন ক্ষেপে যায় এবং আমাকে রেখে চলে যায় পুলিশ। আমার নামে কোনো মামলা নেই, আমি একজন ইমাম পরিচয় দেওয়ার পরও আমাকে মারধর করার বিচার চাই।’   এ বিষয়ে জানতে শুক্রবার (৩ মে) কল করা হয় পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক ও ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আলমগীর হোসেনের মোবাইল নম্বরে। এ সময় কল রিসিভ করলেও সংবাদকর্মীর পরিচয় পেয়ে ‘মিটিংয়ে আছি’  বলে কল কেটে দেন তিনি। এদিকে বিনা অপরাধে একজন মসজিদের ইমামকে মারধরের ঘটনাটি নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। শুক্রবার বিকেলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচার চেয়ে ঘাটাইল থানার সামনে মানববন্ধন করতে যায় শতাধিক লোক। শুরুতে পুলিশ বাধা দিলেও পরে সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে নিষ্ক্রিয় থাকে তারা।   অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় ঘাটাইল থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়ার কাছে। জবাবে তিনি বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল করতে গ্রাম পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে থানা থেকে পুলিশ কর্মকর্তা যান। ইমামকে মারধর করার বিষয়টি সত্য নয়। তবে উভয়ের মধ্যে কথাকাটি হতে পারে। এ বিষয়ে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি এখনও।  এ বিষয়ে পরে যোগাযোগ করা হয় টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোপালপুর সার্কেল) মোহাম্মদ মোনাদির চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, বিষয়টি অবগত হওয়ার পর ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে থানায় বসে আমি কথা বলেছি। মূলত ভুক্তভোগীর বাবার নামের সঙ্গে আসামির নাম মিলে যাওয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তবে ইমামকে মারধরের বিষয়টি সত্য নয়। ওয়ারেন্ট তামলি করার ক্ষেত্রে পুলিশের কর্তব্যে কোনো ব্যত্যয় ঘটে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
০৪ মে ২০২৪, ০৩:৫৩

টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যানকে বদির হুমকি, গুলিবর্ষণের অভিযোগ
টেকনাফের উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুবলীগ সভাপতি নুরুল আলমকে ফাঁকা গুলি করে মারধরের চেষ্টাসহ হুমকি দিয়েছেন উখিয়া-টেকনাফ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি। এমন অভিযোগ উঠেছে সাবেক এ সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে।  জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পশ্চিম মহেশখালীয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে টেকনাফ থানায় আবদুর রহমান বদি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলমসহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে সাধারণ ডায়েরি করেছেন আসন্ন টেকনাফ উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আলম। এ বিষয়ে নুরুল আলম তার দলীয় কার্যালয়ে সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলমের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, নির্বাচনের পরিবেশ নষ্টের অপতৎপরতা রোধে সংবাদ সম্মেলন করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে রাত ১১টার দিকে আমি ও আমার কর্মীরা হোয়াইক্যং ইউপির কম্বোনিয়া পাড়া পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ায় মুরুব্বি এবং ইউপি সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হই। মহেশখালিয়া পাড়া মসজিদের সামনে বসে আমরা কথা বলছিলাম। এমন সময় সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো গাড়ি নিয়ে মসজিদের সামনে এসে দাঁড়ান উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি। এরপর গাড়ি থেকে নেমে তিনি ও জাফর চেয়ারম্যান বকাবকি করে। একপর্যায়ে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে ভয়ভীতি দেখায়। সেসময় তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমাদের দিকে গুলি তাক করে রাখে। নুরুল আলম বলেন, ঘটনার সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য বাদশা মিয়া ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ফরিদুল আলম জুয়েল তাদের বাধা দেন। এরপর আমরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করি। এই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে আমি টেকনাফ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।  নুরুল আলম আরও বলেন, এমপি বদি সংসদ সদস্য না হয়ে স্টিকার লাগানো গাড়ি নিয়ে একজনের পক্ষে নির্বাচন করতে পারেন না। প্রতিটি সভায় প্রতিপক্ষকে নির্বাচিত করার জন্য সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প দেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছেন, যা আইন ও নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন। তবে টেকনাফ থানায় নুরুল আলমের দায়ের করা সাধারণ ডায়েরির কোথাও গুলির বিষয়টি উল্লেখ নেই বলে জানা গেছে। এই বিষয়ে টেকনাফ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল গনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি ও উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাফর আলমকে বিবাদী করা হয়েছে।  লিখিত অভিযোগের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নুরুল আলম ও জাফর আলম একই এলাকায় যায়। তখন জাফর আলম ও সাবেক সংসদ সদস্য বদি উপজেলা চেয়ারম্যানকে মারধরের চেষ্টাসহ হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগে লেখা রয়েছে। অভিযোগের কোথাও গুলির কথা উল্লেখ করেননি বাদী। তবুও বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে কি ঘটেছে জানতে চাইলে উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি বলেন, ‘আমাকে একটু পরে কল দিলে কথা বলতে পারব।’ যদিও পরে তিনি আর এ প্রতিবেদকের কল রিসিভ করেননি। তবে অপর অভিযুক্ত টেকনাফ উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জাফর আলম বলেন, ‘বদি ভাই আমার সঙ্গে ছিলেন তো। এ ধরনের কিছুই হয়নি। তার (নুরুল আলম) ভাই নুরুল বশর জাতীয় নির্বাচনে আবদুর রহমান বদির স্ত্রী শাহীন আকতারের কাছে হেরেছে। এরপর থেকেই বদি ভাইয়ের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে পরিবারটি।’ 
০৩ মে ২০২৪, ২৩:০৭

রাশিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার হামলার অভিযোগ
জার্মানির ক্ষমতাসীন এসপিডি দলের ওপর সাইবার হামলার জন্য রুশ গোয়েন্দা সংস্থাকে দায়ী করলেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ সামরিক জোট ন্যাটোও রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেড়ে চলা বৈরি কার্যকলাপের অভিযোগ তুলছে৷ রাশিয়া শুধু ইউক্রেন দখল করেই ক্ষান্ত না হয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তথা ন্যাটোভুক্ত দেশগুলির ওপরেও আধিপত্য বিস্তার করতে চায় বলে বিভিন্ন মহল মনে করছে৷ সেই বৈরি মনোভাবের অংশ হিসেবে মস্কোর বিরুদ্ধে ইউরোপে ব্যাপক গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ উঠছে৷ গুপ্তচর সন্দেহে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে৷ এবার জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক রাশিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানিতে সাইবার হামলার অভিযোগ আনলেন৷ অস্ট্রেলিয়া সফরকালে বেয়ারবক বলেন, রাশিয়ার সামরিক গুপ্তচর সংস্থা জিআরইউ-এর এপিটি২৮ নামের একটি ইউনিট ২০২৩ সালের জুন মাসে জার্মানির সরকারি জোটের প্রধান শরিক দল এসপিডি-র সদর দপ্তরে সাইবার হামলা চালিয়েছিল৷ তার মতে, রাশিয়ার সরকারি হ্যাকাররা জার্মানির সাইবারস্পেসে যে হামলা চালিয়েছে, তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং এর পরিণতি ভালো হবে না৷  উল্লেখ্য, সেই বছরের শুরুর দিকেই নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের ই-মেলে আড়ি পাতার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে এসপিডি অভিযোগ করেছিল৷ মাইক্রোসফট কোম্পানির সফটওয়্যারে সে সময়ে অজানা নিরাপত্তাজনিত দুর্বলতার কারণেই সেটা সম্ভব হয়েছিল৷ রাশিয়া এভাবে ঠিক কত গোপন তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছে, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়৷ জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে তদন্তের ফল প্রকাশ করে বেয়ারবক রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন৷ সংবাদ সংস্থা ডিপিএ-র সূত্র অনুযায়ী জার্মানির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা ও সামরিক প্রতিরোধমূলক গোয়েন্দা সংস্থাও সেই তদন্তে অংশ নিয়েছিল৷  তদন্তকারীদের ধারণা, ইউরোপজুড়ে এক সার্বিক সাইবার গুপ্তচরবৃত্তির আওতায় জার্মানির এসপিডি দলকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে রাশিয়া৷ জ্বালানি সরবরাহ, তথ্য প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা ও এয়ানোস্পেস কোম্পানিগুলি সম্পর্কেও গোপন তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে মস্কো৷ রাশিয়ার এপিটি২৮ ইউনিটের বিরুদ্ধে অতীতেও এমন অভিযোগ উঠেছে৷ ২০১৫ সালে জার্মানির সংসদের নিম্নকক্ষ বুন্ডেসটাগের উপরেও সেই গোষ্ঠী সাইবার হামলা চালিয়েছিল বলে সন্দেহ করা হয়৷ ২০০৪ সাল থেকে সক্রিয় এই ইউনিট গোটা বিশ্বে সাইবারস্পেসে গুপ্তচরবৃত্তি চালিয়ে আসছে বলে বিভিন্ন দেশের কর্তৃপক্ষ মনে করে৷ ফ্যান্সি বেয়ার নামেও পরিচিত এপিটি২৮ ইউনিট ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে অ্যামেরিকার ডেমোক্র্যাটিক দলের উপরেও সাইবার হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে৷ এমন পরিস্থিতিতে বার্লিনে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানানো হতে পারে৷ অতীতে এমন ঘটনার জের ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে৷ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা বা সম্পত্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেওয়ার মতো পদক্ষেপের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷ সামরিক জোট ন্যাটোও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেড়ে চলা রুশ সাইবার হামলা সম্পর্কে গভীর দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছে৷ তবে সে বিষয়ে খুঁটিনাটি তথ্য প্রকাশ করা হয়নি৷ জার্মানি, এস্টোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়েনিয়া, পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র ও ব্রিটেনে বৈরি তৎপরতার উল্লেখ করেছে ন্যাটো৷ অন্তর্ঘাত, হিংসা, সাইবার ও ইলেকট্রনিক ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো ঘটনা বেড়ে চলেছে৷ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভুয়া তথ্য প্রচারের মতো হাইব্রিড অপারেশন-এরও অভিযোগ করেছে ন্যাটো৷
০৩ মে ২০২৪, ১৮:২২

১০ বাংলাদেশিকে অপহরণের অভিযোগ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে
কক্সবাজারের উখিয়ার নাফ নদী থেকে ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে। বুধবার (১ মে) সকাল ৮টার উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালীর রহমতের বিল সীমান্তের নাফ নদী থেকে তাদেরকে ধরে নিয়ে যায়। অপহৃত জেলেরা হলেন- পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল এলাকার হোসেন আলীর ছেলে জানে আলম (৩৫), মৃত আবদুস ছালামের ছেলে আব্দুর রহিম (৪০), মৃত জালাল আহমদের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম (৩৭) ও সাইফুল ইসলাম (৩০), মৃত আলী আহমদের ছেলে আয়ুবুল ইসলাম (৩০), আবু তাহেরের ছেলে শাহীন (২০), গৌজঘোনা এলাকার আলী আহমদের ছেলে আবদুর রহিম (৫২), পুটিবনিয়া এলাকার মৃত মিয়া হোসেনের ছেলে ওসমান গণী (৩০), মৃত আবুল শামার ছেলে ওসমান (৩৫), আয়ুব ইসলামের ছেলে আবুল হাশিম (৩৫)। উখিয়া পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খালের মুখে মাছ ধরার সময় আরকান আর্মির সদস্যরা ১০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছেন। কারণ, রহমতের বিল সীমান্তে মিয়ানমার অংশে এখন সে দেশের কোনো সরকারি বাহিনী নেই। যারা ছিল তারা সবাই সংঘাতের সময় পালিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছিল। এখন রহমতের বিলের ওপারে মিয়ানমানের ওই এলাকাটি আরাকান আর্মির দখলেই আছে। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, যেহেতু সীমান্ত এলাকা থেকেই অপহরণের শিকার হয়েছে, তাই গতকাল রাতেই বিষয়টি বিজিবিকে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া তাদের উদ্ধারে ইতোমধ্যে বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে।
০২ মে ২০২৪, ১৭:৪২

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের প্রায় ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের ওপর আজ শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ এই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে এদিন ড. মুহাম্মদ ইউনূস আদালতে হাজিরা দিবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গত ২ এপ্রিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেন। তিনি পরবর্তী বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন। এ মামলায় গত ৩ মার্চ আত্মসমর্পণ করে জামিন পান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গত ১ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস এম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল হাসান।
০২ মে ২০২৪, ১২:৩৬

স্টার সিনেপ্লেক্সের বিরুদ্ধে নির্মাতাদের অভিযোগ
একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে গিয়ে নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় নির্মাতা ও প্রযোজকদের। সিনেমা নির্মাণের শেষে সেই চ্যালেঞ্জ আরও বড় আকারে দেখা দেয় কেননা সিনেমা প্রদর্শন নিয়ে নানা সময়ই নানা বাধা-বিপত্তিতে পড়তে হয় তাদের। প্রদর্শনের জন্য সঠিক হল বা শো না পেলে অকালমৃত্যু ঘটে অনেক নতুন চলচ্চিত্রের। মহান মে দিবসে (১ মে) ছবি প্রদর্শন নিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ঈদে মুক্তি পাওয়া তিন ছবির নির্মাতা ।   গত ঈদে ১১টি ছবির মধ্যে ৫ ছবির ফলাফল বেশ ভালো।  ঈদের তিন সপ্তাহ পরেও নির্মাতদের মুখে সেই শান্তির হাসি লক্ষনীয়। এমন সময়ে গত ঈদের অন্যতম সফল তিন সিনেমার (রাজকুমার, দেয়ালের দেশ ও কাজলরেখা) নির্মাতার পক্ষ থেকে উঠেছে কারণ ছাড়াই ‘হাউজফুল’ ছবি নামিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের আলাদা আলাদা প্রতিক্রিয়ায় একটাই অভিযোগ- ৩ মে থেকে দেশের সবচেয়ে বড় মাল্টিপ্লেক্স চেইন স্টার সিনেপ্লেক্স ঈদের সবগুলো সিনেমা নামিয়ে দিচ্ছে তাদের শো-সিডিউল থেকে। বিনিময়ে তুলছে বিদেশি ছবি। প্রমাণপত্র হিসেবে প্রত্যেকেই দিয়েছেন ১ মে’র অনলাইন টিকিটের প্রায় ‘হাউজফুল’ স্ক্রিনশট। ‘রাজকুমার’ নির্মাতা হিমেল আশরাফ বুধবার (১ মে)  দুপুরে এ প্রসঙ্গে বলেন, ঠিক গত সপ্তাহে টিকিট বিক্রিতে ১ নাম্বারে ছিল যেই সিনেমা, সেই সিনেমার কোনও শো পরের সপ্তাহে নেই, ১টা শো-ও না!  ঈদের সবগুলো বাংলা সিনেমা উধাও হয়ে গেল! প্রতিদিন ৫০টার ওপরে শো স্টার সিনেপ্লেক্সের। এর মধ্যে ১টা শো পাওয়ার যোগ্যতা নেই ঈদের কোনও সিনেমার? অথচ আজকে সন্ধ্যার ‘রাজকুমার’ ও ‘কাজলরেখা’র শোর টিকিট অনলাইনে চেক করে দেখেন, ৬০% অলরেডি সোল্ড আউট। এখনও ৪ ঘণ্টা বাকী! আমি আজকে সন্ধ্যার শো স্ক্রিনশট দিলাম যেখানে রাজকুমারের ৮৫% টিকিট সোল্ড আউট।  আগামী শুক্রবার (৩ মে) থেকে বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্সে ৬টা বিদেশি সিনেমা চলবে, যেখানে বাংলা সিনেমা চলবে ১টা। ১৬টা শো বিদেশী সিনেমার, ৪টা শো বাংলা সিনেমার! বাংলাদেশের সিনেমা হল, বাংলাদেশের মানুষই দর্শক, বাংলা সিনেমার দর্শক থাকার পরেও বাংলা সিনেমা নাই! এই দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দাঁড়াতে অনেক পথ বাকি, অনেক...। একইভাবে নিজ নিজ ছবির আজকের (১ মে) টিকিট বিক্রির উদাহরণ টেনে কাছাকাছি প্রতিক্রিয়া বা হতাশা ব্যক্ত করেছেন ‘কাজলরেখা’র নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম এবং ‘দেয়ালের দেশ’ নির্মাতা মিশুক মনি। নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম  তার ফেসবুকে লিখেন, বসুন্ধরায় আজকের ৪ ৩০ এর  শো। তারপর ও আগামী শুক্রবার থেকে বিদেশি ছবির জন্য কাজলরেখা র কোন শো নাই। কেন? ঈদের অন্য সিনেমা গুলো ও নামিয়ে দেয়া হচ্ছে। অন্তত ৪০% শো বরাদ্দ দেশি সিনেমার জন্য রাখার অনুরোধ করছি। ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে  ‘দেয়ালের দেশ’ নির্মাতা মিশুক মনি বলেন, বাংলা সিনেমার বিপ্লব ঘটানো নিয়ে অনেক বড় বড় বুলি আওড়াতে দেখি অনেক হল ব্যবসায়ীদের। সেই বিপ্লব ঘটাতে বিদেশী সিনেমার আমদানী শুরু হয়। ব্যবসাও ভাল চলে কিন্তু হলের আর উন্নতি হয়না। ভাঙ্গা সীট বদলে ভাল সীট, ফ্যান, পর্দা ও সাউন্ড সিস্টেমের কিছুরই পরিবর্তন হয়না। আর সিনেপ্লেক্স থেকে একটা টিকেটের কয় ভাগের কত টাকা প্রযোজক পান সেই হিসাব করে কেন কখনও কেউ কথা বলেনি আমি সেটা ভেবেই অবাক হই। যে হারে ভাগ হয় তাতে খুব ভাল চললেও একশো সিনেমার মধ্যে ১/২ টা ছাড়া বাকি সিনেমার টাকা হল থেকে ওঠা সম্ভব না। আজকের সীমান্ত সম্ভার ০৪:৪০ এর Deyaler Desh- দেয়ালের দেশ এর শো'র অগ্রিম টিকিট সেল। রিলিজের পর থেকে দেয়ালের দেশ নিয়ে মানুষের আগ্রহ ও প্রশংসা পুরোটাই অর্গানিক ছিল। সাধারণত বসুন্ধরা শাখায় সবচেয়ে বেশী সেল হয় তবুও গত সপ্তাহে বসুন্ধরা শাখা থেকে কোন অজানা কারণে দেয়ালের দেশ এর শো বন্ধ করা হয়। অদ্ভুত মজার ব্যাপার হচ্ছে সিনেপ্লেক্সের ওয়েব সাইটে সেল রিপোর্ট দেখা যায়, এবং সেখানে রোজ দেখা যাচ্ছিল গত সপ্তাহে দেয়ালের দেশ একাধিক সিনেমার চেয়ে শো কম নিয়েও সেল বেশী। তবুও কি জাদুবলে উইকলি সেল রিপোর্ট তারা পাবলিসড করে সেখানে দেয়ালের দেশকে সেই সকল সিনেমার পেছনে ফেলে যে সিনেমার সেল দেয়ালের দেশ এর চেয়ে কম।  তিনি আরও বলেন, আজকে বসুন্ধরা শাখায় কাজলরেখার শো হাউজফুল তবুও পরবর্তী সপ্তাহ থেকে রাজকুমার, দেয়ালের দেশ, কাজলরেখা, ওমর সহ অন্য সিনেমার শো বন্ধ করে দেন স্টার সিনেপ্লেক্সে। অবস্থাটা এখন এরকম, আমার গরু আমি ঘাস খাওয়াবো নাকি লাঠি চার্জ করবো আমার মর্জি! সিনেমা নিয়ে এত বড় বড় বক্তব্য আপনারা যারা দেন তা স্রেফ ভন্ডামী। ব্যবসাটাই এখানে মুখ্য। বিশ্বকাপ নিয়ে নির্মিত যে চলচ্চিত্র আমদানী করে আনা হলো এবং প্রথম দিনের পরে তার সেল রিপোর্ট দেখেন এবং তৃতীয় সপ্তাহে এসে বাংলা সিনেমার সেল রিপোর্ট দেখেন তাহলে দেখবেন তৃতীয় সপ্তাহে এসেও বাংলা সিনেমা শো সংখ্যা কম নিয়েও নতুন সিনেমার চেয়ে সেল রিপোর্ট বেশী আছে। ঈদের সিনেমা হিসেবে সেল রিপোর্ট এতটাও খারাপ ছিল না যে সবগুলো শো বন্ধ করে দিতে হবে। মিনিমাম শো রাখার যৌক্তিকতা ছিল।  এই মুল্লুকে বাংলা সিনেমার কখনও জয় হয়নি আর আপনারা কথা বলতে না শিখলে কখনও জয় হবেও না। বাংলা সিনেমার কফিনের লাস্ট পেরেক মারতে বাকি। শ্রমিক দিবসের শুভেচ্ছা।  এমন প্রশ্ন কিংবা অভিযোগের জবাবে প্রতিষ্ঠানটির মিডিয়া ও মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথমত আমরাও বাংলাদেশী। এই প্রতিষ্ঠান বিদেশি নয়। এই প্রতিষ্ঠান নিজেরাও বাংলা সিনেমা প্রযোজনা করে। দেশের প্রতিটি সিনেমার প্রতি আমাদের আন্তরিকতা ও সততা রয়েছে সবসময়। দেশের প্রতিটি নির্মাতা-প্রযোজকের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও আগ্রহ বরাবরই বেশি। অথচ আজ মে দিবসে যে অভিযোগটি উঠলো স্টার সিনেপ্লেক্সের বিরুদ্ধে, সেটি তুলতে আমরা কেউ একটিবারও ভাবিনি। এটাই আসলে খারাপ লাগার বিষয়।  টানা তিন সপ্তাহ কেন, ছয় সপ্তাহ চালানোর পরেও যদি কোনও সিনেমার দর্শক থাকে, সেটি নামিয়ে দিলে আপত্তি বা অভিযোগ উঠবেই। সেই অভিযোগটাই তুলেছেন নির্মাতারা। কেন নামাতে হচ্ছে ছবিগুলো? এমন প্রশ্নের জবাবে মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, প্রথমে আমি একটু কারেকশন করছি। নতুন সপ্তাহে (৩ মে) আমাদের দুটি নতুন বাংলা সিনেমা উঠছে। একটি ‘শ্যামাকাব্য’ অন্যটি ‘ডেড বডি’। তারমানে বিষয়টি এমন নয়, বাংলা সব ছবি নামিয়ে দিয়ে আমরা সব বিদেশি ছবি তুলছি। আবার এটাও সত্যি, গ্লোবাল সিনেমা চালাতে গেলে বাইরের ছবিগুলোকেও আমাদের নির্দিষ্ট শো দিতে হয়। খেয়াল করবেন, ঈদের তিন/চারদিন আগে আমরা বলিউডের ‘ক্রু’ এনেছি। সেটি ঈদের বাংলা সিনেমার স্বার্থে কিন্তু নামিয়ে ফেলেছি চাঁদরাতেই। এগুলো আসলে এভাবে বলার কথা না আমার। কিন্তু আমাদের পরিস্থিতিটাও তো আপনাদের বুঝতে হবে। সব বাদ দিন, ‘রাজকুমার’, ‘ওমর’, ‘কাজল রেখা’, ‘দেয়ালের দেশ’, ‘লিপস্টিক’ সিনেমাগুলো যদি দর্শক দেখে, সেগুলো নামিয়ে দিলে আমাদের লাভটা কোথায়? হল খালি রাখলে আমাদের কেউ টাকা দেয়? আমরা তো ভাই, দর্শকদের জন্য একটা ছবি চালাই, শো বাড়াই আবার কমাই। ফলে ওনারা কেন মনে করছেন, সিনেমা চলার পরেও আমরা নামিয়ে দিচ্ছি জোর করে? এটা কোনও যুক্তির মধ্যে পড়ে! আমাদের প্রতি তাদের এমন ঠুনকো বিশ্বাস! এই প্রতিদান? বাংলা সিনেমায় স্টার সিনেপ্লেক্সের কোনও অবদান নাই? আমরা এর আগে ‘দেবী’, ‘আয়নাবাজি’, ‘প্রিয়তমা’, ‘পরাণ’, ‘সুড়ঙ্গ’ মাসের পর মাস চালাইনি? শো চালানো মানেই তো আমাদের লাভ।
০১ মে ২০২৪, ১৯:০৯

৯৯৯-এ জানানো যাবে উপজেলা নির্বাচনের অভিযোগ
উপজেলা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সর্বোচ্চ সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে। একই সঙ্গে প্রতিটি ইউনিয়নে নিয়োগ দেওয়া হবে ম্যাজিস্ট্রেট। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে  নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে ১৭ থেকে ১৮ জনের দল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও ৯৯৯-এ অভিযোগ জানানো যাবে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সভা শেষে সাংবাদিকদের সিদ্ধান্তগুলো জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি জানান, সাধারণ ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আগের চেয়ে যথেষ্ট পরিমাণে বাড়ানো হয়েছে। এখন প্রতিটি সেন্টারে অস্ত্রসহ তিনজন করে পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন তাকবেন। প্রতিটি বুথ ম্যানেজমেন্টের জন্য আনসার সদস্য থাকবেন অন্তত ১০ জন। তিনি আরও জানান, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ পুলিশ সদস্য থাকবেন চারজন, অস্ত্রসহ আনসার সদস্য থাকবেন তিনজন। সব মিলিয়ে মোট ১৭ থেকে ১৮ জন ফোর্স মোতায়েন থাকবে। সিনিয়র এই সচিব জানান, ভোটের দিন ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে।‌ মোবাইল ফোর্স, স্টাইকিং ফোর্স ভোর রাতেই ব্যালট পেপার পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত থাকবেন। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন বলেও জানান সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান। আচরণবিধি মানা হচ্ছে কিনা, তা দেখভালের জন্য ভোটের দু’দিন আগে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন এবং ভোটের পরে আরও দু’দিন তারা থাকবেন। সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, স্ট্রাইকিং ফোর্স বা মোবাইল ফোর্স থাকবে গড়ে প্রতি পাঁচটি সেন্টারের জন্য একটি। আনসার, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে এটি গঠিত হবে। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিজিবির পরিবর্তে কোস্টগার্ড দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকার কিছু দুর্গম কেন্দ্রে প্রতিবছরের মতো এ বছরও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং ভোটের উপকরণ পৌঁছে দেওয়া হবে। এ পর্যন্ত গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী তেমন কোনো সহিংসতার খবর নেই বলে জানান তিনি। সব বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি সমন্বয় সেল হবে জানিয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, নির্বাচনসংক্রান্ত যে কোনো অভিযোগ ৯৯৯-এর মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে। সফটওয়্যারের মাধ্যমে এটি ম্যানেজ করা হবে। প্রতিটি অভিযোগ আসার পর থেকে এটি কীভাবে নিষ্পত্তি হলো, তা তদারক করবে একটি টিম।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০১

শাকিব খানের পরিবারের অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন বুবলী
বুবলী-শাকিব খানকে নিয়ে আলোচনা যেনো থামছেই না। কিছুদিন পরপরই নতুন নতুন ইস্যুতে সংবাদের শিরোনামে উঠে আসেন তারা। এবার শবনম বুবলীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তার ‘প্রাক্তন’ স্বামী শাকিব খানের পরিবারের। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সেসব অভিযোগ প্রকাশ হওয়ার পর এবার মুখ খুললেন বুবলী। তার দাবি, তিনি শাকিব খানকে নিয়ে কোনো মিথ্যাচার করেননি। বুবলী গণমাধ্যমকে বলেন, আমার নিজেকে বা সিনেমাকে আলোচনায় রাখতে কারও নাম বা কাহিনি বলতে হয় না। কারণ, আমার এবং সিনেমার জন্য গণমাধ্যমকর্মীরা, সিনেমার টিম এবং দর্শকরাই যথেষ্ট। বরং আপনারা দেখছেন কারা আলোচনায় থাকতে একের পর এক সিরিজ নিউজ করে আমার নাম নিয়ে যেকোনো প্রোগ্রাম বা সাক্ষাৎকারে কথা বলেই যাচ্ছে বছরের পর বছর। শাকিব খানের পরিবারের পক্ষ থেকে নানা অভিযোগের ব্যাপারে বুবলী বলেন, নিউজটি দেখেছি। অনেক অভিযোগ। দেখুন নিউজে ঘনিষ্ঠসূত্র, পরিবারের এক সদস্য, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক—এসব সূত্রেই বা কী কথা বলব? নির্দিষ্ট কারও নাম বা কথা থাকলে কথা বলতে সুবিধা হতো। অভিযোগ ধরে ধরে বলা যেত। নায়িকা বলেন, আমি আমার সিনেমা মুক্তির প্রমোশনাল প্রোগ্রামে যখন অংশগ্রহণ করি, তখন সিনেমার পাশাপাশি অনেক বিষয় চলে আসে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নে। তখন আমি সবাইকে যথেষ্ট সম্মান দিয়ে প্রশ্নের প্রাসঙ্গিক উত্তর দিই। কোথাও কাউকে অসম্মান করে অপ্রাসঙ্গিক কথা বলি না। এখন কেউ সম্মান দেওয়া হজম করতে না পারলে জোর করে আর সম্মান দেব না। শাকিব খানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ‘মিথ্যাচার’ বিষয়ে বুবলী বলেন, আমি এখন পর্যন্ত আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে কোনো মিথ্যাচার করিনি, যা নিয়ে আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ করতে পারি। মিথ্যাচার করে আমার কী লাভ? আপনাদের দোয়ায় আমি নিজেই প্রতিষ্ঠিত। চাঁদের মতো আমার সন্তান শেহজাদ আছে। আমার বাবা–মায়ের ভালোবাসা আছে আমার সঙ্গে। তাই আমার জীবনে তো নতুন করে চাওয়া-পাওয়ার কিছুই নেই। শাকিব খানের পারিবারিক একটি সূত্র সম্প্রতি দাবি করেন, বুবলী প্রায়ই বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে কিং খানকে নিয়ে মিথ্যাচার করেন। তাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক না থাকারও পর বুবলী বলে বেড়ান, তাদের ডিভোর্স হয়নি। তারা আলাদা থাকছেন মাত্র। সিদ্ধান্ত নিতে সময় নিচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্রটি এও বলেন, ছেলে শেহজাদ খান বীরের বাহানায় প্রায়ই বুবলী শাকিব খানের অফিস ও বাসায় গিয়ে হাজির হন। এরপর শাকিবের অনিচ্ছা সত্ত্বেও তার সঙ্গে ছবি তুলতে তৎপর হয়ে ওঠেন। এরপর সেগুলো ফেসবুকে পোস্ট করে বোঝাতে চেষ্টা করেন যে, তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিকই আছে। এর জন্য বুবলীকে নাকি বাসা এবং অফিস দুই জায়গাতেই নিষিদ্ধ করেছেন শাকিব খান। ছেলে বীরকে যদি বাসায় আনতেই হয়, তাহলে বুবলী বাদে অন্য কেউ যেন নিয়ে আসেন বলে জানায় শাকিবের পারিবারিক সূত্র। বুবলীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়। এ প্রসঙ্গে বুবলী বলেন, আমিও চাই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তাহলে আমি যে কোনো মিথ্যাচার করিনি, সেটাও আমি প্রমাণসহ আইনিভাবে তুলে ধরতে পারব।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫১

মানবাধিকার প্রতিবেদনে ভিত্তিহীন অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হলেও যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে তা অস্বীকার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেইসঙ্গে তাতে অনেক বিচ্ছিন্ন এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে বলেও দাবি মন্ত্রণালয়ের।  যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে এই অভিমত তুলে ধরেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহলী সাবরীন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০২৩ সালের মানবাধিকার নিয়ে প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন নোট করেছে বাংলাদেশ। আমরা যতই আকাঙ্ক্ষা করি না কেন, বিশ্বের কোথাও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিখুঁত নয়। কারণ, একটি দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় বিভিন্ন ধরনের সীমাবদ্ধতা থাকে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ সরকার তার নাগরিকদের মানবাধিকার সমুন্নত রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। আর যেসব ক্ষেত্রে আরও উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে সেগুলোর দিকে দৃষ্টি রেখে বর্তমান সরকার এখনও কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের প্রচেষ্টার ফলে নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা, শিশুদের অধিকার, বয়স্ক ব্যক্তিদের অধিকার, শ্রমিকদের অধিকার, অভিযোগ নিষ্পত্তি, ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক সমাবেশ করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। সরকারের এত অর্জন সত্ত্বেত্ত দুঃখের বিষয় যে মার্কিন প্রতিবেদনে সরকারের অনেক উন্নতি ও অর্জন স্বীকার করা হয়নি। এ ছাড়া কিছু বিচ্ছিন্ন এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে। প্রতিবেদনে স্পষ্ট যে, এটি পৃথক রিপোর্ট করা বা অভিযুক্ত ঘটনার রেফারেন্স দিয়ে পরিপূর্ণ নয়। সেহলী সাবরীন আরও বলেন, এটাও স্পষ্ট, প্রতিবেদনে বেশির ভাগ স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বেসরকারি বেনামি সংস্থা থেকে অনুমান নির্ভর তথ্য নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছে। সে কারণে প্রতিবেদনে সহজাত এবং পক্ষপাতদুষ্ট বিষয়গুলো স্পষ্ট হয়েছে। মানবাধিকারবিষয়ক মার্কিন ওই প্রতিবেদনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গও টানা হয়েছে, যেখানে তাকে গৃহবন্দি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, খালেদা জিয়া গৃহবন্দি নন। এ ছাড়া প্রতিবেদনে কিছু ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকেও শক্তির অপপ্রয়োগের জন্য দায়ী করা হয়েছে। এটিও সঠিক নয় বলে দাবি করা হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। সেহেলী সাবরীন বলেন, বিএনপি এবং এর রাজনৈতিক মিত্রদের দ্বারা সংঘটিত সহিংসতা প্রায়শই সাধারণ মানুষের জীবনকে ব্যহত করে এবং সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষতি করে। এতকিছুর পরও বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অত্যন্ত সংযম প্রদর্শন করছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পেশাদারিত্বের সঙ্গে মোকাবিলা করছে। তিনি বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক, মানবাধিকার এবং শ্রম অধিকারসংক্রান্ত বিষয়ে মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিক সংলাপ থাকা সত্ত্বেও প্রতিবেদনে এই বিষয়ে রাষ্ট্র বা সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিকে ছাড়িয়ে বারবার অভিযোগ তোলা হচ্ছে। অনুরূপ শ্রম অধিকারসংক্রান্ত বিষয়গুলো বিশেষ করে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন এবং ক্রিয়াকলাপের বিষয়ে প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি কেস পতাকাঙ্কিত করা হয়েছে, যেগুলো একাধিক দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্মে প্রাসঙ্গিক মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। সবশেষে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ মুখপাত্র আরও বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বাহিনী দ্বারা মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। বাংলাদেশ আশা করে, সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যথাযথ ভূমিকা পালন করবে।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়