• ঢাকা মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
‘মানুষ বিনোদন পাচ্ছে, পেতে থাকুক, সমস্যা কী?’
মন্দিরা চক্রবর্তী। গেলো ঈদে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘কাজলরেখা’। ‘মনপুরা’খ্যাত নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত এই সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন নাম ভূমিকায়। সম্প্রতি কাজসহ নানা বিষয় নিয়ে এই অভিনেত্রী মুখোমুখি হয়েছিলেন আরটিভি অনলাইনের।  আরটিভি: ‘কাজলরেখা’ সিনেমায় যুক্ত হলেন কীভাবে? মন্দিরা চক্রবর্তী: করোনার সময় সেলিম ভাইয়ের (গিয়াস উদ্দিন সেলিম) সঙ্গে আমার একটা কাজ হয়েছিল। ওখানেই উনি আমাকে দেখেন এবং অনেক দিন পরে ডাকেন। এরপর অডিশন নেওয়া হয়। তারপর আমাকে জানানো হয়, আমি ‘কাজল রেখা’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় কাজ করছি। এইতো এভাবেই যুক্ত হওয়া। তারপর শুটিং, সম্পাদনা শেষে সিনেমা মুক্তি পেলো। আরটিভি: কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? মন্দিরা চক্রবর্তী: খুবই ভালো। অনেক দিনের শুটিং ছিল। সবমিলিয়ে ভালো অভিজ্ঞতা।  আরটিভি: সহশিল্পীদের কাছ থেকে কেমন সহযোগিতা পেয়েছেন? মন্দিরা চক্রবর্তী: শরিফুল রাজ, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা আপু, ইরেশ যাকের ভাইসহ সবাই অনেক হেল্পফুল ছিলেন। যতটা আশা করিনি, তার চেয়েও তারা বেশি হেল্প করেছেন।  আরটিভি: নিজের চরিত্র নিয়ে যদি কিছু বলতেন... মন্দিরা চক্রবর্তী:  মন্দিরা থেকে ‘কাজল রেখা’ হয়ে ওঠা বিষয়টি সহজ ছিল না। অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবুও নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছি। কতটুকু পেরেছি তার উত্তর দর্শকরাই ভালো দিতে পারবেন।  আরটিভি:  মুক্তির পর থেকে ‘কাজলরেখা’ সিনেমার রেসপন্স কেমন পাচ্ছেন? মন্দিরা চক্রবর্তী: দর্শকদের অনেক অনেক ভালোবাসা পাচ্ছি। তারা পাগলের মতো আমাকে ভালোবাসছে। মন্দিরা চক্রবর্তীকে ডাকছে ‘কাজলরেখা’ নামে। বিষয়টি খুবই ভালো লাগার।   আরটিভি: সম্প্রতি শরিফুল রাজের সঙ্গে আপনার প্রেমের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি কি শুধুই গুঞ্জন? মন্দিরা চক্রবর্তী: বিনোদন জগৎ বিনোদন পাচ্ছে, মানুষও বিনোদন পাচ্ছে। পেতে থাকুক, সমস্যা কী? আরটিভি: আপনার কাছে প্রেমের সংজ্ঞাটা কী? মন্দিরা চক্রবর্তী: প্রেম মানে ভালোবাসা, অনুভূতি, লয়ালিটি- এটাই তো।  আরটিভি: বিভিন্ন ইন্টারভিউতে বলেছেন, প্রেম করছেন। বিয়ে করছেন কবে? মন্দিরা চক্রবর্তী: বিয়ে নিয়ে কোনো রকম কোনো প্ল্যানিং নেই।  আরটিভি: বিয়ের জন্য কেমন পাত্র পছন্দ? মন্দিরা চক্রবর্তী: এই মুহূর্তে ঠিক বলতে পারব না কেমন পাত্র পছন্দ। কারণ, দেখা গেলো যখন বিয়ে করবো, তখন আমার মুড সুইং হলো। অন্য কাউকে পছন্দ হলো, ভালো লাগলো। তাই পরেরটা পরেই দেখা যাবে।  আরটিভি: নতুন সিনেমার কি খবর? কি কি সিনেমা আসছে? মন্দিরা চক্রবর্তী: কোরবানি ঈদে আসছে ‘নীলচক্র’। আরেকটার শুটিং শিগগিরই শুরু হবে। তখন বিস্তারিত বলবো। আরটিভি: ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? মন্দিরা চক্রবর্তী: বেছে বেছে ভালো কাজ করতে চাই। ভালো অভিনেত্রী হয়ে দর্শকদের হৃদয়ে থেকে যেতে চাই।
১৫ মে ২০২৪, ২০:১৩

নোয়াখালীতে বিনোদন কেন্দ্রের দাবিতে লিফলেট বিতরণ
নোয়াখালী পৌর শহরে সব বয়সের মানুষের জন্য উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা, শিশুপার্ক নির্মাণ, বয়স্ক নাগরিকদের জন্য ওয়াকওয়ে নির্মাণ এবং বড় দীঘির চারপাশ সৌন্দর্যবর্ধণের দাবিতে লিফলেট বিতরণ হয়েছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে নাগরিক অধিকার আন্দোলন-নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী পৌর বাজার থেকে মাইজদী টাউন হল মোড় পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পথচারিদের মাঝে এ লিফলেট বিতরণ করেন। এর আগে, শনিবারও তারা জেলা শহর মাইজদীর বিভিন্নস্থানে এ কর্মসূচি পালন করেন।   এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আহ্বায়ক এডভোকেট কাউসার নিয়াজী, সদস্য সচিব জামাল হোসেন বিষাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা তারকেশ্বর দেবনাথ নান্টু, রয়েল ডিস্ট্রিক্ট নোয়াখালী ও সাইবার ওয়ারিয়র্সসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সদস্য সচিব জামাল হোসেন বিষাদ জানান, দুই’শ বছরের পুরোনো জেলা হলেও আজ পর্যন্ত একটি উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলতে পারেনি পৌর কর্তৃপক্ষ বা জেলা প্রশাসন। শনিবার সকাল সন্ধ্যা এবং আজ সকাল সন্ধ্যা লিফলেট বিতরণ করা হবে। ২৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় টাউন হল মোড়ে সংহতি সবাবেশ করা হবে। সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়র বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক এডভোকেট কাউসার নিয়াজী জানান, এ শহরের মানুষের দীর্ঘদিনের এ প্রাণের দাবি নিয়ে সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানে প্রথমে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। আগামি ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার একই দাবিতে শহরের টাউন হল মোড়ে সংহতি সমাবেশ করা হবে বলে জানান তিনি।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:২১

বিনোদন পার্কে অশ্লীলতা, ১০ নারী-পুরুষ আটক
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে পার্কে পতিতাবৃত্তির অপরাধে ১০ নারী-পুরুষকে আটক করেছে উপজেলা প্রশাসন।  শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোজাম বিনোদন পার্কে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদের  নেতৃত্বে পার্কে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৫ খদ্দেরসহ ৫ নারীকে আটক করা হয়।  আটককৃতরা হলেন দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার আব্দুল কাদের (২২), পার্বতীপুর মধ্যপাড়া এলাকার গাইসুল আজম (২৭), নবাবগঞ্জের সুজাউল হক (৪০), নবাবগঞ্জের শিবরামপুর এলাকার সারোয়ার (৩০), হাকিমপুরের ইটাই এলাকার মতিয়ার রহমান (৪০), গোবিন্ধগঞ্জ উপজেলার কোসবপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের মেয়ে শারমিন (৩০), বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার সোরদহ গ্রামের আলীর মেয়ে মাহী (১৮), নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার আব্দুল্লাপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের মেয়ে মারিয়া (২০), বগুড়া জেলোর গাবতলী উপজেলার দুর্গাটা গ্রামের আশরাফ আলীর মেয়ে শ্রাবনী (২৫), দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার বাওনা গ্রামের আক্কাস আলীর মেয়ে মাহাবুবা (২৫)।  জানা যায়, কয়েক বছর আগে নিজের বিশাল একটি আমের বাগানকে ‘মোজাম বিনোদন পার্ক’ রূপান্তরিত করার জন্য উপজেলার ১নং বুলাকীপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয় মালিক মোজাম্মেল হক। তার পর বাগানটির ভেতরে ১২ রুম বিশিষ্ট একতলা ভবন নির্মাণ করে প্রকাশ্যে সেখানে পতিতাবৃত্তি ব্যবসা করে আসছিলেন। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজন প্রশাসনের কাছে বেশ কয়েকবার অভিযোগ দেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন এবং থানা পুলিশ পার্কটিতে অনেক বার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জেল জরিমানাও করেছে। তবুও তার এই অপকর্ম ঠেকানো যাচ্ছে না।  ঘোড়াঘাট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, সাজাপ্রাপ্ত ৫ জন পুরুষকে ৭ দিনের জেল এবং প্রতি নারীকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।  অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলাম বলেন, অশ্লীল কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৯৪ ধারায় ৫ জনকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। 
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১১

রাজাকে বিনোদন দেওয়াই সংসদ সদস্যদের কাজ : নুর
গণ-অধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, বর্তমান সংসদ গোপাল ভাঁড়ের ক্লাবে পরিণত হয়েছে। এখানে রাজাকে বিনোদন দেওয়াই সংসদ সদস্যদের কাজ। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক আলোচনাসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। নুরুল হক নুর বলেন, বর্তমান সংসদে কার্যত জনগণের কোনো প্রতিনিধি নেই। ২০১৪ সালের সংসদ ছিল একটি ভুয়া সংসদ, ১৮ সালে একটি নিয়ন্ত্রিত সংসদ ছিল এবং ২৪ সালের সংসদ হচ্ছে গোপাল ভাঁড়ের ক্লাব। তিনি আরও বলেন, আমাদের বই ছাপাতে প্রিন্টিং প্রেস পর্যন্ত নেই। আমাদের পাঠ্যপুস্তক ভারত থেকে ছাপানো হচ্ছে। পাঠ্যপুস্তকের কারিকুলাম-মূল্যায়ন পদ্ধতি ভারত থেকে ঠিক করে দেওয়া হয়। এ হচ্ছে দেশের অবস্থা। আলোচনা সভায় এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, এ ফ্যাসিস্ট সরকার শুধু দুটো কাজ করছে। তারা শুধু নিজেদের আখের গোছাচ্ছে এবং ভারতের দাসত্ব করছে। এ ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করে জনতার সংসদ সৃষ্টি করতে হবে। সভায় জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, এনডিএমের মহাসচিব মোমিনুল আমিন, মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলি আকনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৪

বিয়ে, বিনোদন ও মাহফিলের মাইক নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
পৃথিবীর অন্যতম বায়ু ও শব্দদূষণের শহরের নাম ঢাকা। দৈনিক গড়ে ১৪ ঘণ্টা সময় ধরে অসহনীয় মাত্রায় শব্দদূষণ হয় ঢাকায়। বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, বিয়ে-বিনোদন, মাহফিলে মাইকের শব্দ গণপরিবহন, প্রাইভেট কার, বাইক, রিক্সার অযাচিত হর্ন শব্দ দূষণের অন্যতম কারণ। আর এসব কারণে কষ্ট পোহাতে হয় শিশু, বৃদ্ধসহ সব ধরণের মানুষকে। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) শব্দদূষণের বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ। পোস্টে তিনি বলেছেন, সম্মানিত ওয়াজ মাহফিলের আলোচক ও আয়োজকবৃন্দ, এসএসসি, দাখিল ও বেফাক পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় রেখে মাহফিলের মাইক নিয়ন্ত্রণ করুন। সম্ভব হলে মাইক প্যান্ডেলের মধ্যে সীমিত রাখুন, অথবা বাহিরের মাইকের ভলিউম কমিয়ে রাখুন। কোন অবস্থাতেই  দূর-দুরান্ত পর্যন্ত মাইক লাগিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত মাহফিল করবেন না।  তিনি বলেন, আমাদের অসচেতনতা যেন ইসলামের ব্যাপারে মানুষকে বীতশ্রদ্ধ করে না তোলে। মুসলিম জীবনে ওয়াজ ও নসীহার গুরুত্ব অপরিসীম। তবে সবকিছুই হওয়া উচিত ইসলামের নির্দেশনা মেনে। ওয়াজ-নসীহার মতো একটি ইবাদত যেন অন্যের কষ্টের কারণ না হয়, এ বিষয়টি আমাদের গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত।  তিনি আরও বলেন, এর পাশাপাশি বিয়ে-বিনোদন, রাজনৈতিক প্রচারণা, গাড়ির অযাচিত হর্নসহ যে কোন শব্দদূষণ সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটে, তা থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত। দেশের একজন জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক ও সামাজিক সক্রিয় কর্মী শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি  আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:০২

সমমনা বিনোদন সাংবাদিকদের হাঁস-পিঠার আয়োজনে স্মৃতির ঝাঁপি
পিঠা উৎসব হয়ে উঠে আড্ডার টেবিল। শোবিজের একাল-সেকাল নিয়ে মেতে উঠেন সবাই। উপস্থিত সকলের বক্তব্য হয়ে উঠে যেন প্রামাণ্যচিত্র। চোখের সামনে ভেসে ওঠে স্মৃতিকাতর চলমান সব ছবি। হ্যাঁ, পাঠক সমমনা বিনোদন সাংবাদিকদের  আয়োজনে হাঁস-রুটি-পিঠা উৎসব ছাপিয়ে স্মৃতিপটের ঝাঁপি যেন উপচে পড়ে অতিথিদের স্মৃতিচারণায়। গত ৩১ জানুয়ারি রাজধানীর নিসচা সম্মেলন কক্ষে বসেছিল সমমনা বিনোদন সাংবাদিকদের এমন আয়োজন। এতে সাংবাদিক, অভিনেতা, সংগীতজ্ঞ, হল মালিকরা উপস্থিত ছিলেন। উৎসব উদ্বোধন করেন বরেণ্য অভিনেতা ও নিসচার চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। এ সময়  অন্যান্যদের মধ্যে বরেণ্য সাংবাদিক ইমরুল শাহেদ, সাবেক সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী, প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, উপদেষ্টা রোকনুজ্জামান ইউনুস রুবেল, ভার্সেটাইল অভিনেতা আশীষ খন্দকার, সিনিয়র সাংবাদিক লিটন এরশাদ এবং কামরুল হাসান দর্পণ মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন। নব্বই দশকের খ্যাতিমান সাংবাদিক দুলাল খানের সঞ্চালনায় আয়োজনটি হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত। আয়োজনে সূচনা বক্তব্য দেন উৎসব পরিচালক আহমেদ তেপান্তর। তিনি চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে ভবিষ্যতেও বিনোদন সাংবাদিকদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ় করতে এমন আয়োজনে সকলকে পাশে থাকার আহ্বান জানান। ইমরুল শাহেদ, লিটন এরশাদ ও কামরুল হাসান দর্পণ তাদের আলোচনায় সময়ের বিবেচনায় বিনোদন সাংবাদিকদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে এগিয়ে নিতে উৎসব পরিচালক আহমেদ তেপান্তর ধন্যবাদ জানান। প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক চলচ্চিত্রের উন্নতির স্বার্থে বিনোদন সাংবাদিকদের আয়োজনকে ইতিবাচক মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি ইলিয়াস কাঞ্চনকে ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে হল বাঁচাতে তার ভূমিকার প্রশংসা করে ভবিষ্যতেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। ফরমান আলী তার বক্তব্যে বিনোদন সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার উপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশীয় সিনেমার প্রসারে বিনোদন সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা প্রযোজক ও দেশের কৃষ্টিকে রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা নিতে পারে। এজন্য তাদের বন্ধন মজবুত হওয়া প্রয়োজন। অনুষ্ঠানের আগত অতিথিদের মধ্যে বাচসাস এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল, সিনিয়র সাংবাদিক আবুল কালাম, নিথর মাহবুব বক্তব্য দেন। সঞ্চালক দুলাল খান এসময় অধুনালুপ্ত চিত্রালীর সিনিয়র সাংবাদিক সঞ্জীব কুমার দাসকে সবার মাঝে পরিচয় করিয়ে দেন। এক পর্যায়ে তিনি সত্তরের দশকের বাংলা সিনেমার শক্তিমান কৌতুক অভিনেতা খান জয়নুলের ছোট ছেলে রাশেদ খান টোটোকে সবার মাঝে পরিচয় করিয়ে দেন। এ সময় সিনিয়রদের মধ্যে ‘খান জয়নুলে'র নাম ধরে স্মৃতিকাতর হতে দেখা যায়। অনুষ্ঠানে টোটো বিনোদন সাংবাদিকদের কাছে তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানের শেষ দিকে উপস্থিত হন কিংবদন্তি সংগীতজ্ঞ শেখ সাদী খান। উপস্থিত সকলেই তাকে দাঁড়িয়ে সম্মান জানান। অনুষ্ঠানের শেষপ্রান্তে ইলিয়াস কাঞ্চন তার উদ্বোধনী বক্তব্যে সঞ্চালক সাংবাদিক দুলাল খানের বুদ্ধিদীপ্ত সঞ্চালনার প্রশংসা করেন। কাঞ্চন বলেন, এটা সমমনা বিনোদন সাংবাদিকদের দ্বিতীয়বারের আয়োজন। এমন আয়োজনে থাকতে পেরে আমি গর্বিত। কারণ এখানে আজ অনেক অদেখা মানুষদের সমাগম বলে দিচ্ছে বাংলা সিনেমার গর্বিতদের তারা স্মরণ করতে চায়। এ সময় তিনি বিনোদন সাংবাদিকদের কাছে আরও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাও প্রত্যাশা করেন। হাঁস-রুটি-পিঠার আপ্যায়নে শেষ হয় সমমনা বিনোদন সাংবাদিকদের দ্বিতীয়বারের আয়োজন। অন্যান্যদের মধ্যে এদিন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কাহিনীকার সুদীপ্ত সাইদ খান, স্বপ্নের ঠিকানার কর্ণধার রাশেদ খান, কণ্ঠশিল্পী মোমিন বিশ্বাস, সিনিয়র সাংবাদিক হামি মোহাম্মদ জসীম, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর বিপ্লব, মোস্তফা মতিহার, রনজু সরকার, নিশা মাহমুদা, আসিফ আলম, আহমেদ জামান শিমুল, লিটন মাহমুদ, সেলিম শাকিবসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।  
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:০৬

তিন দিনের প্রশিক্ষণ শেষে পিআইবিতে বিনোদন সাংবাদিকদের সনদপত্র প্রদান
প্রেস ইনস্টিটিউ বাংলাদেশ- পিআইবিতে বিনোদন সাংবাদিকদের তিন দিনব্যাপী রিপোর্টিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার  ( ১লা ফেব্রুয়ারি)  বিকালে প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের সনদপত্র প্রদান করা হয়। সনদপত্র প্রদান করেন পিআইবির মহাপরিচালক এবং সভাপ্রধান জাফর ওয়াজেদ। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (এফডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন বলেন, পূর্বে সিনেমা অর্থাৎ চলচ্চিত্রই ছিল একমাত্র বিনোদনের ক্ষেত্র। কিন্তু বর্তমানে বিনোদনের জন্য আরও অন্য মাধ্যম বা ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। বিনোদন সংবাদিকদের প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করা বাঞ্চনীয়। এছাড়া তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে মাঠপর্যায়ে অর্থাৎ প্রাইমারি সোর্সের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৩

বিনোদন অঙ্গন থেকে সংসদ সদস্য হলেন যারা
অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে বিনোদন অঙ্গনের অনেকেই নির্বাচন করেছেন।  সেই কাতারে ছিলেন  অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর, নায়ক ফেরদৌস আহমেদ, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম, নায়িকা মাহিয়া মাহি ও সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনী। তবে শেষ পর্যন্ত ভোটের লড়াইয়ে জয় লাভ করে জাতীয় সংসদে যেতে যাচ্ছেন অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর, নায়ক ফেরদৌস আহমেদ।  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-২ আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী ও সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এই আসনে সর্বমোট ১৩৫ টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, নৌকা প্রার্থী আসাদুজ্জামান নূর সবটি ভোট কেন্দ্র থেকে ১১৯,৩৩৯ ভোট পেয়েছেন। নূরের প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন পেয়েছেন মাত্র ১৫৬৮৪ ভোট। এই আসনে আসাদুজ্জামান নূর এবং মোঃ জয়নাল আবেদীন ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন জাতীয় পার্টির মোঃ শাহজাহান আলী চৌধুরী (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৩,৮৪৩ ভোট এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোঃ মোরছালীন ইসলাম (ডাব) কোনো ভোটই পাননি। নীলফামারী-২ আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ১৩৫টি। মোট ভোটার ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭৯ হাজার ৭১৮ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭৯ হাজার ৭৩ জন। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১৭২টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ শেষে ঘোষিত ফলে আসাদুজ্জামান নূরের জয় নিশ্চিত হয়। এদিকে ঢাকা-১০ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছেন নায়ক ফেরদৌস আহমেদ। প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়েই বাজিমাত করেছেন এই নায়ক। ঢাকা-১০ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি বিজয়ী হয়েছেন ফেরদৌস। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৮৯৮টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শামসুল আলম আম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ২৫৭ ভোট। অন্যদিকে  চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহি রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসন থেকে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। জয় নিয়ে শতভাগ আশাবাদি হলেও শেষ পর্যন্ত ৮ হাজারের কিছু বেশি ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন মাহি। কন্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর, হরিরামপুর ও সদরের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি হাসতে পারলেন না তিনি। তাকে টপকে ট্রাক মার্কা নিয়ে এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলু। মানিকগঞ্জ ২ আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ১৯৩টি। এরমধ্যে ১৩০ টির ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে নৌকা প্রতীক নিয়ে মমতাজ পেয়েছেন ৫১ হাজার ২৩৩ ভোট। অন্যদিকে ৫৬ হাজার ৩৮৬ ভোট তার থেকে এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুল। পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বিএনএমের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনী। তবে অনিয়মের অভিযোগ তুলে তিনি ভোট বর্জন করেন। 
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:৩৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়