কুবিতে পরিবহন ফি মওকুফ ও স্নাতকোত্তরের ফি কমানোর সিদ্ধান্ত
করোনাকালীন সময়ের জন্য পরিবহন ফি মওকুফ ও স্নাতকোত্তরের ফি কমানোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ফি মওকুফের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের পরিবহন ফি ১ হাজার টাকা মওকুফ করা হয়েছে। আর মাস্টার্সের ভর্তি ফি কমানো হয়েছে।
তবে মাস্টার্সের ভর্তি ফি কতটুকু কমানো হবে সে বিষয়ে এখনো কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। যারা পরিবহন ফি জমা দিয়ে ফেলেছে তাদের ক্ষেত্রে কেমন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে জানতে চাইলে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, যারা জমা দিয়ে ফেলেছে তাদের ক্ষেত্রে এই টাকা পরবর্তীতে সমন্বয় করা হবে। আমরা মিটিং করে সিদ্ধান্ত ফাইনাল করবো তাদের ক্ষেত্রে।
এসজে/
মন্তব্য করুন
সুইমিং পুলে গোসল করতে নেমে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের সুইমিং পুলে গোসল করতে নেমে মুহাম্মদ সোয়াদ (১৯) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে ঢাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন সুইমিং পুলে এ ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বেলা ২টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সোহাগ ও সাগর নামের দুজন শিক্ষার্থী জানান, গরমের কারণে দুপুরের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল সুইমিং পুলে বন্ধুদের নিয়ে গোসল করতে নামি। সাঁতার কাটার সময় হঠাৎ সোয়াদ পানিতে ডুবে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলা সোয়া দুটোর দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান বলেন, আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত পরে জানাচ্ছি।
হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান বলেন, আমি বিষয়টা শুনেছি। শহীদুল্লাহ হলের এক শিক্ষার্থী আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে ফোন করে। প্রক্টর সাহেবও আমাকে জানিয়েছেন। আমি হাসপাতালে যাচ্ছি। সেখানে গেলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে পারব।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।
বিএসএমএমইউ’র উপ-উপাচার্যের (শিক্ষা) দায়িত্ব নিলেন ডা. আতিক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপ-উপাচার্যের (শিক্ষা) দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী কোষাধ্যক্ষ ও বক্ষব্যাধি (রেসপিরেটরি মেডিসিন) বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। মঙ্গলবার সকালে তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) হিসেবে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. সাহাবুদ্দিন অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুর রহমানকে আগামী ৪ বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছেন। উপ-উপাচার্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে কোষাধ্যক্ষ পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে তাকে। উপ-উপাচার্য পদে নিয়োগ পাওয়ায় অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর আরটিভি অনলাইনকে ডা. আতিকুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করাই হবে তার লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার পাশাপাশি শিক্ষা ও গবেষণায় নজর দিতে প্রধানমন্ত্রী যে তাগিদ দিয়েছেন সেদিকে আরো নজর দেয়ার কথা জানান তিনি।
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগ ও অফিসের পক্ষ থেকে অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমানকে শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীবৃন্দ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
উপ উপাচার্যের (শিক্ষা) দায়িত্ব গ্রহণের পর অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ব্লকে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুারালে এবং ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. একেএম খুরশিদুল আলম, বিএসএমএমইউ শাখা স্বাচিপের সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়ার্দার টিটো, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. বেলাল সরকার, সহকারী অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন সুমন, ডা. জাহান শামস নিটোল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান এর আগে দুই মেয়াদে সফলভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডিন ও বক্ষব্যাধি (রেসপিরেটরি মেডিসিন) বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের গ্রামের বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জে। তিনি ১৯৬৯ সালের ১৫ মে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। তিনি ২০০২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বক্ষব্যধির উপর এমডি এবং ২০১৪ সালে আমেরিকান কলেজ অফ চেস্ট ফিজিশিয়ান্স থেকে এফসিসিপি ডিগ্রী অর্জন করেন।
বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের চিকিৎসাসেবা, চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণায় রয়েছে অনন্য সাধারণ অবদান। রোগীদের কাছে তিনি অত্যন্ত অমায়িক ও সজ্জন চিকিৎসক হিসেবে সুপরিচিত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবেও তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। দেশী বিদেশী জার্নালে বিভিন্ন সময়ে তার গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাসমূহ প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন চিকিৎসকদের মানসম্মত গবেষণাধর্মী থিসিস সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে তিনি গাইড হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন জার্নালে ৪৭টি বৈজ্ঞানিক প্রকাশনাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক জনপ্রিয় শিক্ষক ও উপ-উপাচার্য মরহুম অধ্যাপক ডা. জাকারিয়া স্বপনের স্মরণে গঠিত জাকারিয়া স্বপন স্মৃতি সংসদের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পালমোনারি হাইপারটেনশন সোসাইটি, ডিপিএলডি ফাউন্ডেশন এবং পালমোনারি রিহ্যাবিলিটেশন সোসাইটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় জার্নালের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি)-এর মেম্বার সেক্রেটারি, ইনস্টিটিউশনাল রিভিউ বোর্ড (আইআরবি)-এর সদস্য এবং বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ স্পোর্টস মেডিসিন-এর সম্মানিত কোষাধ্যক্ষ-এর দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সেন্ট্রাল কাউন্সিলর, ইথিক্যাল রিভিউ বোর্ড (ইআরবি)-এর সদস্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাহী সদস্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পালমোনলজি বিষয়ের ফাউন্ডার কোর্স কো-অর্ডিনেটর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন, এসোসিয়েশন অফ ফিজিশিয়ান্স অফ বাংলাদেশ, দি চেস্ট এন্ড হার্ট এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ, এজমা এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ ব্রনকোলোজি এন্ড ইন্টারভেনশনাল পালমোনলজি, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি এবং পাবলিক হেলথ এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ-এর আজীবন সদস্য।
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বিভিন্ন সময়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় সংবাদপত্রের চিকিৎসা, জনস্বাস্থ্য ও সচেতনতামূলক বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত কলাম লিখেন।
ব্যক্তিজীবনে তিনি ২ কন্যা সন্তানের পিতা। তার সহধর্মিণী ডা. কাজী রাহিলা ফেরদৌসি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। তার বাবা মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, মা হাসিনা রহমান।
আন্দোলনের জেরে চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের চলা অবরোধ ও বিক্ষোভের চার দিনের মাথায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
জানা গেছে, বিকেল ৫টার মধ্যে ছাত্রদের আর শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা এবং জব্দ থাকা ২টি বাসের একটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন।
চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক রেজাউল বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিল শিক্ষার্থীরা। প্রশাসন তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি একাডেমিক সভায় চুয়েট বন্ধ ঘোষণা করেছেন উপাচার্য।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের বাসে আগুন দেওয়ার পর ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।
এর আগে, ২৩ এপ্রিল বাসের ধাক্কায় চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। এ ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
উত্তপ্ত চুয়েট / হল না ছাড়ার ঘোষণা চুয়েট শিক্ষার্থীদের, অবরুদ্ধ উপাচার্য
বিক্ষোভের মুখে ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদেরকে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কর্তৃপক্ষের এমন নির্দেশ আরও বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে শিক্ষার্থীদের। জবাবে প্রশাসনিক ভবনের মূল দরজায় তালা দিয়ে হল না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। সেইসঙ্গে জানা গেছে, তালাবদ্ধ ভবনে আটকে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে নিচে অবস্থান নেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেল পৌনে পাঁচটায় ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে তারা জানান, দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা। কোনভাবেই হল ছাড়বেন না। এসময় আবারও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান তারা।
শিক্ষার্থীরা জানান, তারা ১০ দফা দাবি তুলে ধরেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব দাবির বিষয়ে যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেসবের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা একমত হননি। তাই আন্দোলন চলছে। কিন্তু প্রশাসন আলোচনায় না বসে হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে। কোনো শিক্ষার্থী হল ত্যাগ করবেন না।
এর আগে আজ বেলা দেড়টা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বিকেল পাঁচটার মধ্যে ছাত্রদের এবং আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ছাড়তে হবে।
এ ব্যাপারে রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বারবার আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা আশানুরূপভাবে সাড়া দেননি। তাই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হল না ছাড়লে কী হবে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
অবরুদ্ধ অবস্থাতেই মুঠোফোনে যোগাযোগ হয় সহ-উপাচার্য মো. জামাল উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়া হয়েছে। আমরা ভেতরে আছি। শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে হবে। যেহেতু ক্যাম্পাস বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, সেহেতু আলোচনার আর পরিবেশ নেই।’
এদিকে হল ছাড়ার নির্দেশে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বরে থাকা ও মূল ফটকে রাখা শাহ আমানত পরিবহনের দুটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে পুরো ক্যাম্পাসে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার বেলা সাড়ে তিনটায় মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে বাসের ধাক্কায় নিহত হন পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা (২২) ও দ্বিতীয় বর্ষের তৌফিক হোসাইন (২১)। আহত হন জাকারিয়া হিমু (২১)। চুয়েটের কাছাকাছি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার জিয়ানগর এলাকায় পৌঁছালে তাঁদের মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় বেপরোয়া গতির শাহ আমানত পরিবহনের একটি যাত্রীবাসী বাস।
দুর্ঘটনার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় প্রথম দফায় সড়ক অবরোধ করা হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস। পাশাপাশি আরও দুটি বাস ভাঙচুর করা হয়। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে রাত নয়টার দিকে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীর। পরে সেদিন রাত তিনটায় নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করা হয়। এরপর গত বুধবার প্রায় ১৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। আজও সড়ক বন্ধ।
অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের কারণে ৯৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ কারণে আবাসিক হল সমূহও বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
সিন্ডিকেট সূত্রে জানা যায়, অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আলাপ-আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি কমিটি গঠন করা হবে। একটা শিক্ষকদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে এবং অন্যটি ২৮ এপ্রিল যে ঘটনা ঘটেছে সে ঘটনার তদন্তের জন্য।
আবাসিক হল কেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে সিন্ডিকেট সদস্য জানান, উপাচার্য দাবি করেছেন আবাসিক হলগুলোতে প্রচুর অস্ত্র ঢুকেছে। শিক্ষার্থীদের টাকা দেওয়া হচ্ছে। এতে এখানে অন্যরকম ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন বলেন, উপাচার্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে আবারও ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি শিক্ষকদের সমস্যার সমাধান না করে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুরভিসন্ধিমূলক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমি আমাদের নিয়মিত আবাসিক শিক্ষার্থী যারা আছে, তাদের হলে অবস্থান করতে বলব।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দ্বিতীয় দিন, হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা এবং হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলেও তা মানছেন না বেশিরভাগ শিক্ষার্থী। তবে প্রশাসনের দেওয়া ৫টি বাসে করে কিছু শিক্ষার্থী হল ছেড়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তবে অনেকেই প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে রয়ে গেছেন আবাসিক হল গুলোতে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দ্বিতীয় দিনের মতো হল ও ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন তারা।
শিক্ষার্থীরা জানান, প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়ায় শিক্ষার্থী বাধ্য হয়েই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। হলে থাকা শিক্ষার্থীদের দাবি, শিক্ষক দ্বন্দ্বের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কোন ভাবেই বন্ধ থাকতে পারে না।
এদিকে, মঙ্গলবার সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। হল ছাড়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় ও হল খোলা রাখার দাবিতে আন্দোলন ও বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জানান, খুব শীঘ্রই আলোচনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে, বুধবার (১ মে) সকাল থেকে দলে দলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে।
এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে তারা কেন ভোগান্তির শিকার হবেন, সেই প্রশ্ন তোলেন।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থী সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, হল বন্ধ হলেও শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করলেও তাদের বেরিয়ে যেতে বাধ্য করা হবে না। পাশাপাশি উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্ব নিরসনে তারা কাজ করবেন।
মানববন্ধনে অংশে নেওয়া নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা হল ছেড়ে কোথাও যাবো না, আমাদের ক্লাস ও পরীক্ষা চালু করতে হবে। ভিসি ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে আমরা কেনো বলির পাঠা হবো, আমরা এসব নাটকের প্রতিকার চায়।
এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ভিসি-শিক্ষক সমিতির চলমান দ্বন্দ্বে নিরসনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয় চলমান সংকট নিরসনের জন্য জরুরি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুরু হতে যাচ্ছে টেক্সটাইল মার্চেন্ডাইজারদের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট
টেক্সটাইল মার্চেন্ডাইজারদের বৃহৎ সংগঠন “মার্চেন্ডাইজারস এসোসিয়েশন অব প্রাইমএশিয়া- ম্যাপ” সংগঠনটির বয়স ১১ বছর। তবে এই প্রথম ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করে বর্ষপূর্তি উদযাপন করছে সংগঠনটি। প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল মার্চেন্ডাইজারদের বৃহৎ সংগঠনটি তাদের টুর্নামেন্টের নাম দিয়েছে এমসিএল।
বুধবার (১ মে) ঢাকার একটি হোটেলে ১১তম প্রতিষ্ঠাবর্ষিকী পালনের পাশাপাশি টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেছে ম্যাপ। উৎসব মুখর আয়োজনে হয়েছে টুর্নামেন্টের লোগো উন্মোচন ও ক্রিকেটার নিলাম।
টুর্নামেন্টে মোট ১২টি দল অংশ নিচ্ছে। ১১মে থেকে টি-১০ ফরম্যাটের ছয়দিনের এই টুর্নামেন্ট হবে রাজধানীর আশিয়ান সিটির কাওলা মাঠে।
টুর্নামেন্টের ১২টি দল হলো, ম্যাপ ক্লাব ডি ফ্যাশননেস্তা, ম্যাপ স্পারটান্স, ম্যাপ টাইগার্স, ম্যাপ ওরিয়রস, ম্যাপ বিটিএল টাইটানস, ম্যাপ কিংস, ম্যাপ সুপারস্টারস, ম্যাপ ট্রিমস ভ্যালী ,ম্যাপ টুসিন ফেলকন, ম্যাপ রকারস, ম্যাপ ফাইটারস এবং ম্যাপ হান্টারস।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ছিলেন পোশাক ব্র্যান্ড এইচ এম এন্ড এর বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউর রহমান, পোশাক ব্র্যান্ড জি- স্টার র এর বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার শাফিউর রহমান, নিয়োগ প্রতিষ্ঠান টিজেএস সিইও আজম সাইফুল।
টুর্নামেন্টের জার্সি স্পন্সর দেশীয় ক্রীড়া সামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এমকেএস। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে টুর্নামেন্টের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস।
এছাড়া স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, টুর্নামেন্টের উপদেষ্টা মন্ডলী, আহ্বায়ক কমিটি, সাংগঠনিক কমিটির সদস্য এবং সকল দলের মালিক এবং ম্য্যানেজাররাও উপস্থিত ছিলেন। টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পন্সর মামটেক্স, কো -স্পন্সর জং লং ও অ্যাপারেল এক্স, ফুড পার্টনার ক্রিয়েটিং ডেনিম।
টেক্সটাইল মার্চেন্ডাইজারদের বৃহৎ সংগঠন “মার্চেন্ডাইজারস এসোসিয়েশন অব প্রাইমএশিয়া- ম্যাপ”