• ঢাকা বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আলাউদ্দীন আলীর জন্য দোয়া চাইলেন মেয়ে

বিনোদন ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ২৬ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:১২

‘বাবার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কামুক্ত নয়। আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত সবার ইনবক্স মেসেজের উত্তর দিতে পারছি না। আমাদের প্রাইভেসিকে সম্মান করুন। আমার বাবার বর্তমান অবস্থা জানার জন্য প্রতিযোগিতায় নামবেন না। বাবার শারীরিক অবস্থা আশংকামুক্ত নয়, তিনি যেন সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন। সবাই দোয়া করেন।’ শনিবার বিকেলে ফেসবুকে কথাগুলো লিখেছেন কিংবদন্তি সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আলাউদ্দীন আলীর মেয়ে আলিফ আলাউদ্দীন।

শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটায় আলাউদ্দীন আলীকে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়েছে। তিনি রাজধানীর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন আছেন।

এদিন সকাল সাতটার পর থেকে আলাউদ্দীন আলীর রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়তে থাকে। পাশাপাশি রক্তচাপ ও জ্ঞানের মাত্রা একেবারেই কমে যায়। সেই সময় তার হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। দ্রুত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার পর কিছু সময়ের মধ্যেই তার হৃৎস্পন্দন ফিরে আসে।

গেল মঙ্গলবার দিনগত রাত এগারোটার দিকে তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তিনি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। আলাউদ্দীন আলীকে সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়।

আলাউদ্দীন আলী একাধারে সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার, বেহালাবাদক ও গীতিকার। গান লিখে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন। আলাউদ্দীন আলী বাংলা গান, বিশেষ করে বাংলা চলচ্চিত্রে অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান সৃষ্টি করেছেন। বহু গুণে গুণান্বিত এই মানুষটির জন্ম ১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর, মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুরের টঙ্গীবাড়ী থানার বাঁশবাড়ী গ্রামে।

দেড় বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে ঢাকার মতিঝিলের এজিবি কলোনিতে চলে আসেন আলাউদ্দীন আলী। তিন ভাই, দুই বোনের সঙ্গে সেই কলোনিতেই বড় হন। সঙ্গীতে প্রথম হাতেখড়ি ছোট চাচা সাদেক আলীর কাছে। পরে ১৯৬৮ সালে যন্ত্রশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রজগতে পা রাখেন। শুরুটা শহীদ আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হিসেবে, পরে প্রখ্যাত সুরকার আনোয়ার পারভেজের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেন। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের বহু স্বনামধন্য শিল্পী তার সুরে গান করেছেন।

আরও পড়ুন

এম/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh