ব্যাচেলর পয়েন্ট নিয়ে কখনো বিজনেস করতে চাইনি: অমি
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’। কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত এ ধারাবাহিকটির কাবিলা, শুভ, হাবু ভাই, পাশা ভাই নামের চরিত্রগুলোও যেনো দর্শকদের কাছে জীবন্ত হয়ে উঠেছে। গেলো মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) শেষ হয়েছে নাটকটির তৃতীয় সিজন।
জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা সত্ত্বেও কেন নাটকটি এখানেই শেষ করে দেয়া হলো সে প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি বলেন, 'সত্যি কথা বলতে, ব্যাচেলর পয়েন্টকে নিয়ে আমি কখনো বিজনেস করতে চাইনি। আমি বিজনেস ওরিয়েন্টেড নই, ব্যাচেলর পয়েন্টকে ওভাবে চিন্তাও করতে পারিনি। সবসময় নাটকটিকে এক্সক্লুসিভলি প্রেজেন্ট করতে চেয়েছি। ব্যাচেলর পয়েন্ট নিয়ে আমি অনেক ধরনের অফার পেয়েছি। প্রডাক্ট প্লেসমেন্ট থেকে শুরু করে টিভিসিসহ বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় অফার পেয়েছি। যদি ব্যাচেলর পয়েন্ট থেকে বিজনেস করতাম, তাহলে অনেক টাকা আর্ন করতে পারতাম বা আমার টিম অনেক টাকা আর্ন করতে পারত। কিন্তু জিনিসটা মানুষের কাছে এক্সক্লুসিভ থাকত না, রেগুলার হয়ে যেত। ব্যাচেলর পয়েন্ট এক্সক্লুসিভ থাকবে- এটাই আমার সবচেয়ে বড় চাওয়া।'
তিনি আরও বলেন, 'আমি সম্পর্কের গল্পটা বলতে চেয়েছি। বন্ধুত্বের গল্প বলতে চেয়েছি। আমার প্রবাসী বন্ধুরা হাউমাউ করে কেঁদে অডিও রেকর্ড পাঠিয়েছে। সিজন-১ এ হাবুর ফ্ল্যাটে আসে এই চরিত্রগুলো। সে সময় তাদের নিজের মধ্যে অনেক জটিলতা ছিল। কিন্তু সিজন-৩ তে দেখা গেল, এই হাবু যখন বিদেশ চলে যাচ্ছিল, তখন এই চরিত্রগুলো কাঁদতেছে। এই পাশা চরিত্রকে কেউ দেখতে পারত না। তাকে ফ্ল্যাট থেকে বের করার জন্য অনেক পরিকল্পনা করা হতো। কিন্তু এখন এই পাশা ওদেরকে বুকে আগলে রাখছে, ওদের ঝগড়া মিটিয়ে দিচ্ছে। এটা কী? এটা একটা রিলেশনশিপের গল্প। এটার তো সামাজিক ইতিবাচক প্রভাব আছেই।'
নির্মাতা বলেন, 'ব্যাচেলর জীবনের সম্পর্কগুলো একটা সময় অনেক গভীরে চলে যায়, বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর সেটা স্পষ্ট হয়। একটি নির্দিষ্ট শ্রেণি পর্যায়ক্রমে প্রায় বড় শ্রেণির জন্য এটা অনুভূতির বিষয়। আমি চেষ্টা করি সম্পর্কের গল্প বলতে।'
আরটিভি নিউজকে অমি বলেন, 'আমার সফলতা হলো, সিজন-৩ এর শেষ পর্যায়ে এসে এত রেসপন্স পেয়েছি, মানুষগুলো তাদের ব্যক্তিজীবনে ঐ সম্পর্কগুলো মিস করতে পেরেছে- দিস ইজ মাই সাকসেস।'
এনএস
মন্তব্য করুন