• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শনিবার থেকে ট্রেনে বাড়তি ভাড়া, কোন রুটে কত
দূরত্ব ও সেকশনভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহার করায় ট্রেনের ভাড়া বেড়েছে। শনিবার (৪ মে) থেকে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে ট্রেনে ভ্রমণের জন্য আসন কিনতে হবে রেয়াত সুবিধা ছাড়াই। বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে শনিবারের আসন বিক্রি শুরু হয়েছে। কারণ, ট্রেন ভ্রমণের ১০ দিন আগে অগ্রিম আসন বিক্রি করে থাকে বাংলাদেশ রেলওয়ে। যাত্রীরা জানান,বর্তমানে সবকিছুর দাম বাড়ছে। মানুষের ওপর জুলুম হচ্ছে। আবার এদিকে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিদের হাতে চলে যায়। সাধারণ যাত্রীরা টিকিট পায় না। রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, রেলের লোকসান কমাতে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্যথায় রেলসেবার মান উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। রেয়াতি সুবিধা দেওয়ার ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাতে হচ্ছে। এই সুবিধা প্রত্যাহারের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে। সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নতুন তালিকা অনুযায়ী আগামী ৪ মে থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার শ্রেণির ভাড়া ৩৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে ৪০৫ টাকা ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির আসনের ভাড়া ৬৫৬ থেকে বেড়ে হবে ৭৭৭ টাকা। ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ১৫০ ও ২৮৮ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ১৬০ ও ৩০৫ টাকা। ঢাকা-রাজশাহী রুটে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩৪০ ও ৬৫৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৪০৫ ও ৭৭১ টাকা। ঢাকা-নোয়াখালী রুটে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৭৫ ও ৫২৪ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩১০ ও ৫৯৩ টাকা। ঢাকা-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩২০ ও ৬১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩৭৫ ও ৭১৯ টাকা। ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২০ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭২ টাকা। ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০০ ও ৯৫৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২৫ ও ১১৯৬ টাকা। ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা। ঢাকা-রংপুর রুটে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা। ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪২৫ ও ৮১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৫১২ ও ৯৭৫ টাকা। ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫১০ ও ৯৭২ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৪৫ ও ১২৩৭ টাকা। ঢাকা-চিলাহাটি রুটে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৯৫ ও ৯৪৯ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২০ ও ১১৮৫ টাকা। ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৮০ ও ৯২০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬০০ ও ১১৫০ টাকা। ঢাকা-ভূঞাপুর রুটে জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৬০ ও ৪৯৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৯৫ ও ৫৭০ টাকা। ঢাকা-দেওয়াগঞ্জ রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২৫ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭৬ টাকা। এ ছাড়া শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার বাদে সব আন্তঃনগর ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে এসি সিট ও বার্থ এবং প্রথম শ্রেণির সিট ও বার্থ আসনের ভাড়াও আনুপাতিক হারে বেড়েছে। এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রী পরিবহনে প্রদত্ত রেয়াত প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে ‘সেকশনাল রেয়াত’ রহিত করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সব প্রকার যাত্রীবাহী ট্রেনে বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আগামী ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে।
লাইভ ফের বৃষ্টি, ১ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ
যেসব বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
সহকারী জজ নিয়োগের প্রিলিমিনারি কাল, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
বিশ্বকাপের আগে যাদের ওপর নজর বাংলাদেশের
অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে জিম্বাবুয়ের মান বাঁচানো পুঁজি
রাতে ঢাকায় ঝুম বৃষ্টির সম্ভাবনা, থাকবে যতক্ষণ
‘বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না’
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে মুম্বাই
মামুনুল হককে দেখতে বাসার সামনে অনুসারীদের ভিড়
‘সেনবাগকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলা হবে’
শনিবার যেসব জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
শনিবার থেকে ট্রেনে বাড়তি ভাড়া, কোন রুটে কত
মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে দুই ধাপ পেছাল বাংলাদেশ
শনিবার যেসব জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে
তীব্র গরমের কারণে শনিবার (৪ মে) দেশের ২৫ জেলায় মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়েরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, দেশে চলমান দাবদাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসের ভিত্তিতে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলার, ঢাকা বিভাগের ঢাকা ও টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর এবং রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও দিনাজপুরের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার (৪ মে) বন্ধ থাকবে। উল্লেখ্য, ঈদের ছুটি শেষে গত ২১ এপ্রিল সারাদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে ২০ এপ্রিলে তীব্র গরমের কারণে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ২৮ এপ্রিল শর্তসাপেক্ষে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়।  কিন্তু পরদিন হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধের আদেশ দেন।  
এবার সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় চান আমলারা
এবার সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় চান আমলারা
বছরে ৪ বার বাড়তে পারে বিদ্যুতের দাম
বছরে ৪ বার বাড়তে পারে বিদ্যুতের দাম
টানা ৮ দফায় স্বর্ণের দাম কত কমলো
টানা ৮ দফায় স্বর্ণের দাম কত কমলো
১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
সন্ত্রাস মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রশংসা নেসার প্রতিনিধিদলের
সন্ত্রাস মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রশংসা নেসার প্রতিনিধিদলের
বাস কন্ডাক্টর থেকে জনপ্রিয় অভিনেতা, রুপালি পর্দায় রজনীকান্তের জীবনী
ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘোষণা, একদিন পরই ক্ষমা চাইলেন অভিনেত্রী
বলিউড অভিনেত্রী রাগিনি খান্না। তার আরেক পরিচয় তিনি বরেণ্য অভিনেতা গোবিন্দর ভাগনি। কয়েক দিন আগে এ অভিনেত্রী ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘোষণা দিয়ে হইচই ফেলে দেন। কিন্তু এ ঘোষণা দেওয়ার একদিন পরই নিজ ধর্মে ফেরার কথা জানান এই অভিনেত্রী। কয়েক দিন আগে রাগিনি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন। তাতে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি ঘোষণা করছি যে, এখন থেকে খ্রিস্টান ধর্মের ঐতিহ্য, রীতিনীতি অনুসরণ করব। রাগিনি এ ঘোষণা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর একটি ভিডিও পোস্ট করে ক্ষমা চান। এতে তিনি বলেন, আমি রাগিনি খান্না। আমার পূর্বের রিলস ভিডিওর জন্য ক্ষমা চাইছি। যাতে আমি খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণের কথা জানিয়েছিলাম। আমি পুনরায় আমার শিকড়ে ফিরে এসেছি। এখন থেকে হিন্দু সনাতন ধর্ম অনুসরণ করব। রাগিনি খান্না একাধারে মডেল-অভিনেত্রী ও সঞ্চালক। ২০০৮ সালে হিন্দি ভাষার টিভি ধারাবাহিকের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর অনেক সিরিয়ালে কাজ করেছেন। ২০১১ সালে রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার ‘টিন থাই ভাই’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে। পরের বছরই পাঞ্জাবি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন রাগিনি। এরপর আরও বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী।
ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘোষণা, একদিন পরই ক্ষমা চাইলেন অভিনেত্রী
ভক্তের পায়ে জুতা পরিয়ে দিলেন জন আব্রাহাম
এক যুবক দাঁড়িয়ে আছেন আর বলিউড অভিনেতা জন আব্রাহাম তার পায়ে জুতা পরিয়ে দিচ্ছেন। মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (টুইটার) পোস্ট করা একটি ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যায়; যা এখন অন্তর্জালে ভাইরাল। ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে অক্ষয় কেদারি নামে একটি আইডি থেকে। ভিডিওতে যে যুবককে জন জুতা পরিয়ে দিচ্ছেন, এক্স আইডিটি মূলত তারই। ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘জন আব্রাহাম স্যার, আমার জন্মদিন উপলক্ষে ইতালিয়ান রাইডিং শো আমাকে উপহার দিয়েছেন। প্রিমিয়াম এ জুতার মূল্য ২২ হাজার ৫০০ রুপি। ধন্যবাদ স্যার।’ অক্ষয় কেদারি জন আব্রাহামের একজন ভক্ত। এ ভক্তের জন্মদিন উপলক্ষে রাইডিং শো উপহার দেন। পাশাপাশি ভক্তের আনা কেক কাটেন জন। প্রিয় অভিনেতার এমন আন্তরিকতা দেখে প্রশংসা করছেন নেটিজেনরা। জন আব্রাহাম অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘পাঠান’। গত বছর মুক্তি পায় এটি। সিনেমাটি মুক্তির পর বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলে। বর্তমানে চারটি সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত জন। দুটো তার প্রযোজিত, বাকি দুই সিনেমায় অভিনয় করছেন এই অভিনেতা।
ভক্তের পায়ে জুতা পরিয়ে দিলেন জন আব্রাহাম
আপনি শুধু সুপারস্টার নন, অসাধারণ মানুষ : মিশা
‘লড়াকু’ সিনেমা দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্র নতুন বাঁক নিয়েছিল বলে মনে করা হয়। এই সিনেমার আগেও অন্য সিনেমাতে অ্যাকশন দৃশ্য থাকলেও কুংফু, ক্যারাতে মার্শাল আর্টের অ্যাকশন জনপ্রিয় হয় ‘লড়াকু’ দিয়েই। এই সিনেমার মাধ্যমে ১৯৮৬ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় নায়ক রুবেলের। এরপর হুংকার, বিষদাঁত, বজ্রপাত, অকর্মা, ইনকিলাব, উত্থান পতন, সন্ত্রাস, শেষ আঘাত, দেশ দুশমন, অর্জন, লাওয়ারিশ, অধিনায়কের মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করে নেন তিনি। শুক্রবার (৩ মে) এই অভিনেতার জন্মদিন। তার জন্মদিনে চলচ্চিত্রের মানুষেরা শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। জনপ্রিয় খল অভিনেতা মিশা সওদাগরও শুভেচ্ছা জানালেন। দুজনের একটি ছবি পোস্ট করে মিশা বললেন, আপনি শুধু সুপারস্টার না, আপনি একজন অসাধারণ মানুষ। আপনার উদারতায় আমরা মুগ্ধ। শুভ জন্মদিন রুবেল ভাই। রুবেল ১৯৬০ সালের ৩ মে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ‘লড়াকু’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আগমন। প্রায় ৩০০ ছবিতে অভিনয় করেছেন রুবেল। দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে রুবেল অভিনয় করেছেন দুই বাংলার প্রায় ৫০ জন নায়িকার সঙ্গে। ৯০ দশকের একেবারে শেষের দিকে রুবেল নিজে প্রযোজনা ও পরিচালনায় নামেন। রুবেলের প্রযোজিত ও পরিচালিত ছবিগুলো হচ্ছে বিচ্ছু বাহিনী, মায়ের জন্য যুদ্ধ, প্রবেশ নিষেধ, বাঘে বাঘে লড়াই, টর্নেডো কামাল, বিষাক্ত চোখ, রক্তপিপাসা, সিটি রংবাজ, খুনের পরিণাম, অন্ধকারে চিতা, চারিদিকে অন্ধকার ইত্যাদি। রুবেল শুধু একজন অভিনেতাই ছিলেন না, সেই শুরু থেকেই তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি ফাইট ডাইরেক্টর হিসেবেও সফল ছিলেন।
আপনি শুধু সুপারস্টার নন, অসাধারণ মানুষ : মিশা
বাবুল গোমেজ থেকে যেভাবে হয়ে উঠলেন জনপ্রিয় জাম্বু
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা জাম্বু। ছোট-বড় সবার কাছেই তার নামটি বহুল পরিচিত। জন্ম ১৯৪৪ সালে। মূল নাম সুখলাল বাবু। জন্ম ও পৈতৃক স্থান পুরান ঢাকার হাজারিবাগের গণকটুলি সিটি কলোনিতে। মেথরপট্টি হলেও আজিমপুরের ভাটা মসজিদের পাশেই চারতলা বাড়িতে থাকতেন তিনি। বাবুল গোমেজ নামে এন্ট্রি হন প্রথমে এফডিসিতে। পরে পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু তার নাম দেন জাম্বু। আজ এই অভিনেতার ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ২০০৪ সালের ৩ মে, ঢাকায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। প্রয়াত এই অভিনেতার প্রতি আরটিভির পক্ষ থেকে রইল শ্রদ্ধা। বাবুল গোমেজ  থেকে জাম্বু হয়ে ওঠার গল্প নিয়ে নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেন, সেটা ১৯৭২ সালের ঘটনা। আমি তখন পপুলার স্টুডিওতে লিডার সিনেমার শুটিং করছিলাম। পপুলার স্টুডিওটা নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার আগে। এটা বাংলাদেশের প্রথম পরিচালক আব্দুল জব্বার খানের স্টুডিও ছিল। শুটিং চলাকালীন দেখি একটা ছেলে আসছে লম্বাচওড়া। জিজ্ঞেস করলাম নাম কী? বললো, বাবুলাল। জিজ্ঞেস করলাম অভিনয় করবে? সে বলল, হ্যাঁ করবে। আমি তখন বলি শর্ত রয়েছে একটা।  সেই শর্ত প্রসঙ্গে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেন, সদ্য মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়া দেশের সংস্কৃত পুননির্মাণ কাজে ব্যস্ত। হয়তো সে দৃশ্য আরও চোখের সামনে এনে পরিষ্কারভাবে দেখতে চাইলেন। বললেন, ‘আসলে মারপিটের একটা দৃশ্য আছে। বিপরীত দলে বাবুলালের মতো একটা ছেলে থাকলে ভালো হয়। আমি ওকে শর্ত দিলাম মাথা ন্যাড়া করে অভিনয় করতে হবে। সে বলল তাই করবে। এরপর মাথা ন্যাড়া করে দিলাম। সত্যি তাকে এবার বড়সড় একজন মাস্তান লাগছিল। আমি ওর নাম দিলাম জাম্বু। সাদাকালো সময় থেকে শুরু করে রঙিন পর্যন্ত দাপটের সঙ্গে বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। এই খল অভিনেতার লুক ছিল রুদ্রমূর্তির মতো। যা ভয় পাইয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। ভয়েসেও ছিল সেই রুদ্রতা। সবচেয়ে বেশি তাকে দেখা যেত বস্তি আক্রমণ, সওদা করে খুন, মূল খলনায়কের সহকারী প্রভৃতি ভূমিকায়। পর্দায় তার রসায়ন সবচেয়ে বেশি জমত নায়ক জসিমের সঙ্গে। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। এরমধ্যে ঐতিহাসিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ‘রঙিন নবাব সিরাজউদ্দৌলা’র মোহাম্মদী বেগ চরিত্র। সেই চরিত্রে জাম্বু ছিল উপযুক্ত। সাহিত্যভিত্তিক সিনেমা ‘রাজলক্ষী শ্রীকান্ত’র অর্জুন সিং চরিত্রেও বেশ সফল হয়েছিলেন তিনি। ‘হিরো’ সিনেমায় জেলখানায় কয়েদিদের নেতা হয়ে ভয়ানকভাবে হাজির হন জাম্বু। সবার ভাত কেড়ে নিয়ে একাই খেতে থাকেন। জসিমের সঙ্গে তার যুদ্ধ চলে। ‘রকি’ সিনেমায় বক্সার জসিমের সঙ্গে তার ফাইটিং ছিল উপভোগ্য। জসিমের সঙ্গে ‘মোহাম্মদ আলী’ সিনেমায়ও দারুণ রসায়ন ছিল। ‘রাস্তার রাজা’য় জালিম সিং চরিত্রে গেটআপ ছিল রুদ্রমূর্তির। আরও অনেক সিনেমায় অসাধারণ অভিনয় করেছিলেন তিনি। ‘আত্মরক্ষা’ সিনেমায় তিনি হাজির হয়েছিলেন পজিটিভ চরিত্রে। এ সিনেমার নায়ক ছিলেন ‘লাভ স্টোরি’র পল্লব। দুলারীর হুকুমের গোলাম ছিল জাম্বু। তাকে বিভিন্ন সমস্যায় ফেলে কাজ করায়। শেষে জাম্বুর হাতেই মৃত্যু হয় দুলারীর। বিচ্ছিন্নভাবে জাম্বুর কিছু গানও আছে কিছু সিনেমায়। জাম্বু অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে-সাগর ভাসা, এক মুঠো ভাত, রক্তের দাগ, শীষনাগ, সেলিম জাভেদ, হাসান তারেক, নির্দোষ, মোহাম্মদ আলী, ধর্ম আমার মা, ডাকাত, নবাব, রাস্তা, রাস্তার রাজা, রকি, আত্মরক্ষা, পরিবার, সন্ত্রাস, অতিক্রম, নবাব সিরাজউদ্দৌলা, উত্থান পতন, নয়নমণি, হাবিলদার, বিজয়, ঝুমুর, গোলাবারুদ, বাঘা বাঘিনী, সমর, অপরাজিত নায়ক, আপোষ, বিজলী তুফান, মাটির ফুল, পালকি, রুবেল আমার নাম, আঁচল বন্দী, টাইগার, বনের রাজা টারজান, হিরো, রাজাবাবু, নয়া লায়লা নয়া মজনু, শিকার, শত্রু ধ্বংস, আত্মত্যাগ, ঘাতক, কালিয়া, বন্ধু, সাজা, দোস্ত দুশমন, রাখাল রাজা, নয়নের আলো, বজ্রপাত, খুনের বদলা, অঙ্গার, বিপ্লব, যোদ্ধা, অভিযান, উসিলা, নিষ্পাপ, অমর, মৃত্যুদণ্ড, জ্যোতি, সাথী, মূর্খ মানব, দেন মোহর, প্রেম দিওয়ানা, চাকর, ববি, রাজলক্ষী শ্রীকান্ত, দায়ী কে, মিস লংকা, সাগরিকা, নির্মম ইত্যাদি। শক্তিমান এই অভিনেতার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বড় ছেলে ডায়মন্ড একটি ব্যাংকে চাকরি করেন। ছোট ছেলে সাম্বু বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এখন দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাত্রায় অভিনয় করেন। যাত্রার ব্যানারেও লেখা থাকে ‘জাম্বুর ছেলে সাম্বু’। জাম্বুর ভক্তরা সাম্বুকে দেখতে ভিড় করেন। বাবার কারণেই এই পরিচিতি।
বাবুল গোমেজ থেকে যেভাবে হয়ে উঠলেন জনপ্রিয় জাম্বু
ছেলের কবরে বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবাও
সিরাজগঞ্জে বয়লার বিস্ফোরণ, শ্রমিকের মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু 
‘বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না’
টাঙ্গাইলে ছাত্রীকে নিয়ে শিক্ষিকা উধাও 
টাঙ্গাইলে ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে খাদিজা খাতুন নামে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। ছাত্রী-শিক্ষিকার নিখোঁজের এ ঘটনায় এলাকায় নানারকম আলোচনা-সমালোচনার জন্ম হয়েছে।  টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার বেরিবাইদ ইউনিয়নের ধামালিয়া গ্রামে ঘটেছে এমন ঘটনা। গত রোববার (২৯ এপ্রিল) ছাত্রীর নিজ বাড়ি মাগন্তিনগর চৌরাস্তা থেকে শিক্ষিকা খাজিদা খাতুন ওই ছাত্রীকে নিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশায় ছাত্রীর মা-বাবাও। তাই তারা পুলিশের কাছে বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে ছাত্রী-শিক্ষিকার উধাও হওয়ার নেপথ্যে কি সেটি নিয়ে রয়েছে মতপার্থক্য। যদিও ওই শিক্ষিকার বাবা বলছেন, তাদের খুঁজে পাওয়া গেলেই রহস্যের উদঘাটন করা যাবে। জানা যায়, খাদিজা খাতুন ওই গ্রামের দারুল উম্মুল কুরা মহিলা মাদরাসার আরবি শিক্ষিকা ছিলেন। ওই ছাত্রীও পড়তেন ওই মাদরাসাতেই। তবে নানা কারণে বেশ কিছু দিন আগেই শিক্ষিকা খাদিজাকে মাদরাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়। ছাত্রীর মা-বাবার দাবি, শিক্ষিকা খাদিজা তাদের মেয়ের সঙ্গে অতিরিক্ত যোগাযোগ করতেন। তবে তারা যে এভাবে নিখোঁজ হবে তা তারা চিন্তাও করেননি। এরই মধ্যে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত তারা তাদের মেয়েকে ফেরত চান। এ বিষয়ে শিক্ষিকার বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে ও ওই ছাত্রীকে খোঁজাখুঁজি করা হচ্ছে। আসলে কি ঘটনা ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে তাদের দুজনকে পাওয়া গেলেই সব রহস্য বের হবে।’ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বেরিবাইদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জুলহাস উদ্দিন বলেন, ‘সবকিছুর খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। থানায় অভিযোগও দেওয়া হয়েছে। তাদের বের করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষিকা খাদিজাকে একাধিকবার বিয়ে দেওয়া হয়েছে কিন্তু স্বামীর সংসার করেনি এবং পূর্বেও ছাত্রী নিয়ে উধাও হওয়ার ঘটনা রয়েছে।’
রাশিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার হামলার অভিযোগ
যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২২০০ বিক্ষোভকারী গ্রেপ্তার, মুখ খুললেন বাইডেন
পাকিস্তানে বাস উল্টে নিহত অন্তত ২০
যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েল বিরোধী ছাত্র বিক্ষোভে পুলিশের বর্বরতা
যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েল বিরোধী ছাত্র বিক্ষোভে পুলিশের বর্বরতা
গাজা ইস্যুতে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করে দিলো তুরস্ক
গাজা ইস্যুতে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করে দিলো তুরস্ক
ইমরানের তোশাখানা মামলার নতুন করে তদন্ত
ইমরানের তোশাখানা মামলার নতুন করে তদন্ত
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে ইরানের নিষেধাজ্ঞা
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে ইরানের নিষেধাজ্ঞা
অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে জিম্বাবুয়ের মান বাঁচানো পুঁজি
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে মুম্বাই
বিশ্বকাপের আগে যাদের ওপর নজর বাংলাদেশের
দরজায় কড়া নাড়ছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ।  সিরিজের প্রথমটিতে শুক্রবার (৩ মে) চট্টগ্রামে লড়ছে টাইগাররা। তবে পুরো সিরিজেই নজর রাখছে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে দর্শকরাও। পাশাপাশি দুই ক্রিকেটারের ওপর বাড়তি নজর দিচ্ছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা। ইনজুরি কাটিয়ে দীর্ঘ ১৮ মাস পর জাতীয় দলের জার্সিতে ফিরেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। আসন্ন বৈশ্বিক মহারণের পরিকল্পনায় বেশ ভালোভাবেই আছেন এই পেস অলরাউন্ডার। তবে এই সিরিজ দিয়েই তার ফিটনেসের অবস্থা পরখ করা যাবে। অন্যদিকে চলতি সিরিজ দিয়ে লাল-সবুজের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছে তানজিদ হাসান তামিমের। বিশ্বকাপে খেলতে এই সিরিজই তার কাছে নিজেকে প্রমাণের একমাত্র সুযোগ। তাই সাইফউদ্দিন এবং তামিম দুইজনের জন্যই এই সিরিজটি নিজেকে প্রমাণের বড় সুযোগ। অন্যদিকে চোটের কারণে মাঠের বাইরে আছেন ওপেনার সৌম্য সরকার। ওপেনিংয়ে তার বিকল্প হিসেবেই বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকতে পারেন তানজিদ তামিম। সবমিলিয়ে এই তরুণে বিশেষ নজর রাখছে টিম ম্যানেজমেন্ট। বৃহস্পতিবার (২ মে) সংবাদ সম্মেলনেও সাইফউদ্দিনকে নিয়ে আশার কথা জানিয়েছিলেন  বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শান্তর ভাষ্যমতে, ‘সাইফউদ্দিন অবশ্যই অনেক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। অনেকদিন পর দলে এসেছে, ওর জন্য ভালো একটা সুযোগ। দলে লোয়ার-অর্ডার বা লোয়ার মিডল-অর্ডারে যারা ব্যাটিং করে– তাসকিন, তানজিম, সাইফউদ্দিন, রিশাদ, এমনকি শরিফুল; সবাই মোটামুটি ব্যাটিং করতে পারে। কম্বিনেশনের দিক থেকে আমরা ভালো একটা অবস্থানে আছি। সাইফউদ্দিনের জন্য অবশ্যই বড় সুযোগ, যদি ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়। নিজের সেরাটা দিতে পারলে দলের ভালো হবে।’ বিশ্বকাপ দল প্রসঙ্গে শান্তর মন্তব্য, ‘শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যে সিরিজ খেললাম বা এখন যে দল আছে, এখান থেকে প্রায় সবাই-ই বিশ্বকাপে যাবে; যদি সুস্থ থাকে। ২-১টা এদিক-সেদিক হতে পারে। অধিনায়ক হিসেবে আমি চাই প্রত্যেক জায়গার ক্রিকেটারদের যেন ফোকাস থাকে। ভালোভাবে প্রস্তুত হয়ে যেন বিশ্বকাপে যেতে পারি।’ উল্লেখ্য, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ অব ডেথখ্যাত ‘ডি’-তে আছে বাংলাদেশ। এই গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল। ডালাসে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৭ জুন টাইগারদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। গ্রুপ পর্বে শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে খেলবে শান্তর দল।
ফের বৃষ্টি, ১ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ
ফের বৃষ্টি, ১ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ
‘হার্দিকের বিকল্প নেই’
‘হার্দিকের বিকল্প নেই’
কারস্টেনের অধীনে বিধ্বংসী হয়ে উঠবে পাকিস্তান, বিশ্বাস ডি ভিলিয়ার্সের
কারস্টেনের অধীনে বিধ্বংসী হয়ে উঠবে পাকিস্তান, বিশ্বাস ডি ভিলিয়ার্সের
টসে জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
টসে জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
শেষ ওভারের শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে হায়দরাবাদের ১ রানের জয়
শেষ ওভারের শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে হায়দরাবাদের ১ রানের জয়
খালি পেটে মিছরি ভেজানো পানির উপকারিতা
গরমে পুড়ছে পুরো দেশ। কোনো কিছুতেই যেন কমছে না গরমের প্রভাব। এই সময় নানা অসুখ হয় শরীরে। সব থেকে ভয়ের হলো হিটস্ট্রোক। কখন যে হবে কেউ বলতে পারে না। তবে এই প্রবল গরমে আপনাকে সুস্থ রাখতে পারে মিছরির পানি।  আগেকার দিনের মানুষরা এই মিছরির পানি খেয়েই সুস্থ থেকেছেন। বাইরে রোদ থেকে ফিরলে সঙ্গে সঙ্গে মিছরি ভেজানো পানি খেতেন। মিছরি আখ এবং খেজুরের রস থেকে তৈরি হয়। তাই এটি খুব স্বাস্থ্যকর। সেই সঙ্গে মিছরি ভেজানো পানি খেতে খুব মজা। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে এর আর দ্বিতীয় কোনও জুড়ি নেই। রাতে কয়েক টুকরো মিছরি এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে বা খালি পেটে খেয়ে নিন। দেখবেন সারাদিন এত গরমেও নিজেকে ক্লান্ত মনে হবে না। যাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন কম তাদের জন্য এই মিছরি ভেজানো পানি খুব উপাকারী। নিয়মিত এই পানি খেলে সহজে আপনি ক্লান্ত হবেন না। ইমিউনিটি সিস্টেম ভালো হবে। গরমে নাক থেকে রক্ত পড়লে খেতে হবে এক গ্লাস মিছরি ভেজানো পানি। নিয়মিত খেলে আর রক্ত পড়বে না। হজম শক্তি বাড়ায় মিছরির পানি। দুর্বল লাগলেই খেয়ে নিন এই পানি। সঙ্গে সঙ্গে এনার্জি ফিরে পাবেন।
সজনে পাতার ভর্তা বানাবেন যেভাবে
সজনে পাতার ভর্তা বানাবেন যেভাবে
তীব্র রোদে মোটরসাইকেল চালাতে বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা
তীব্র রোদে মোটরসাইকেল চালাতে বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা
প্রাণ জুড়াতে পান্তা, সঙ্গে থাকুক ২ পদ
প্রাণ জুড়াতে পান্তা, সঙ্গে থাকুক ২ পদ
অনলাইন জরিপ
ঢাবির প্রশ্নপত্র ফাঁস: ৮৭ শিক্ষার্থীসহ সব আসামি খালাস
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারককে যা বললেন মিল্টন সমাদ্দার
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারককে যা বললেন মিল্টন সমাদ্দার
কোর্টের সব এজলাস কক্ষে এসি স্থাপনে আইনি নোটিশ
কোর্টের সব এজলাস কক্ষে এসি স্থাপনে আইনি নোটিশ
শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
মিল্টন সমাদ্দারের ৭ দিনের রিমান্ড চায় ডিবি
জাল মৃত্যু সনদ তৈরি, টর্চার সেলে মানুষজনকে নির্যাতন ও মানবপাচারের অভিযোগে চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। সেই মামলায় তাকে আদালতে পাঠিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছে ডিবি পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২ মে) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় তাকে রাখা হয় আদালতের হাজতখানায়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের এসআই কামাল হোসেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। পরে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ। তার বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে। বাবাকে পেটানোর কারণে এলাকাবাসী তাকে এলাকাছাড়া করে। এরপর ঢাকায় চলে আসেন তিনি। ডিবিপ্রধান বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তার স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে তা জঘন্য অপরাধ। প্রমাণ মিললে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। একাধিক মামলা হবে। মিল্টনের বিরুদ্ধে মানবপাচার, শিশুদের ওপর হামলা, আত্মীয়-স্বজন গেলে তাদের মারপিট এবং তার টর্চার সেল, সব কিছুই মামলার মধ্যে আসবে। তিনি বলেন, মিল্টন ঢাকায় এসে শাহবাগে ফার্মেসিতে কাজ শুরু করেন। ওষুধ চুরি করে বিক্রির কারণে মিল্টনকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর একজন নার্সকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ স্থাপনের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেন।  
মিল্টন সমাদ্দারের ৭ দিনের রিমান্ড চায় ডিবি
জামিন পেলেন ড. ইউনূস
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাকি ১৩ আসামি। বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন। এদিন অর্থ আত্মসাতের আলোচিত এ মামলার অভিযোগ গঠনে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। এর আগে সকালে ড. ইউনূস পূর্বশর্তে জামিন আবেদন করেন। এরপর এ মামলায় হাজিরা দিতে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে আদালতে পৌঁছান তিনি। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে  ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এরপর চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নতুন একজন আসামির নাম যুক্ত করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার। আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ২ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ চার্জশিট গ্রহণ করে মামলার বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় হিসাব খোলা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট চুক্তি হয় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল। গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভার হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত ৯ মে হলেও হিসাব খোলা হয় একদিন আগে ৮ মে। সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টেও ৮ মে ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে, যা বাস্তবে অসম্ভব। এরকম ভুয়া সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত অনুযায়ী ও ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২২ সালের ১০ মে গ্রামীণ টেলিকমের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় ৪৩৭ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার ৬২১ টাকা স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তী সময়ে ২২ জুন অনুষ্ঠিত গ্রামীণ টেলিকমের ১০৯তম বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে অতিরিক্ত ১ কোটি ৬৩ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৯ টাকা প্রদানের বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়। অন্যদিকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাব থেকে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নামীয় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিসের হিসাব থেকে তিন দফায় মোট ২৬ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু কর্মচারীদের লভ্যাংশ বিতরণের আগেই তাদের প্রাপ্য অর্থ তাদের না জানিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ২০২২ সালের মে ও জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে সিবিএ নেতা মো. কামরুজ্জামান, মাইনুল ইসলাম ও ফিরোজ মাহমুদ হাসানের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখার হিসাবে ৩ কোটি টাকা করে মোট ৯ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়।  একইভাবে অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের ধানমন্ডি শাখার হিসাবে ৪ কোটি টাকা ও দ্য সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে ৫ কোটি টাকা এবং অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ ও অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর স্ট্যান্ডার্ড টাচার্ড ব্যাংকের গুলশান নর্থ শাখায় যৌথ হিসাবে ৬ কোটি স্থানান্তর করা হয়, যা তাদের প্রাপ্য ছিল না। দুদকের রেকর্ডপত্র অনুযায়ী, অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র ১ কোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং অ্যাডভোকেটসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অসৎ উদ্দেশ্যে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত লঙ্ঘন করে জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। যা দণ্ডবিধি ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।  এদিকে শ্রমিক-কর্মচারীদের অর্থ আত্মসাতের মামলায় আসামিরা হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলাম।  
জামিন পেলেন ড. ইউনূস
কৃষিজমি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা মানা হবে না: হাইকোর্ট
কৃষিজমি থেকে মাটি কেটে চাষাবাদের অনুপযোগী করা ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ ধারার অপরাধের মধ্যে পড়ে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এই মাটি ক্ষয় চক্রের হাত থেকে অসহায় কৃষকদের বাঁচাতে হবে। কৃষিজমি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কেটে চাষাবাদের অনুপযোগী করার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের লিখিত আদেশে এসব মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (২ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ লিখিত আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়েছে, মাটির উপরের স্তরেই বেশিরভাগ জৈব পদার্থ, পুষ্টি এবং জীবন্ত অণুজীব ঘনীভূত হয়। এটি মাটির সবচেয়ে উর্বর স্তর, যেখানে গাছপালা বেড়ে ওঠে এবং যেখানে পৃথিবীর বেশিরভাগ জৈবিক মাটির কার্যকলাপ ঘটে। উপরের মাটি কাটা হলে মাটির জীবন দুর্বল হয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে যে সাতকানিয়ার কিছু দুর্বৃত্ত অবৈধভাবে বা জোরপূর্বক প্রায় ৪০ থেকে ৫০ ফুট গর্ত করে মাটি কাটছে এবং খনন করছে যার জন্য কৃষকরা সেখানে চাষাবাদ করতে পারছেন না। কৃষিজমি খননের এই কার্যকলাপ সেই এলাকার পরিবেশের পাশাপাশি জীব বৈচিত্র্যের ভারসাম্যেরও ক্ষতি করেছে। এ অবস্থায় এতটুকু বলাই যথেষ্ট যে, বিবাদীদের উচিত এই মাটি ক্ষয় চক্রের হাত থেকে অসহায় কৃষকদের বাঁচানো। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবকিছু জেনেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় না। এখানে উল্লেখ্য যে জমিগুলো গর্ত করা হয়েছে সেই জমিগুলো ঢাকা-কক্সবাজার রেললাইনের খুব কাছে, যা উপরের মাটি কাটার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে। এই ধরনের আচরণ ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ ধারার অধীনে অপরাধের মধ্যে পড়ে। এসব কারণে আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছি। তদন্ত কমিটিকে যে বিষয়গুলো তদন্ত করতে হবে সেগুলো হলো- ১. কীভাবে ওই অঞ্চলের কৃষিজমি সুরক্ষিত হবে তার সুপারিশ করতে হবে এবং ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন করতে হবে। ২. চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় কৃষি জমির উপরের মাটি কাটার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে হবে। ৩. প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অবহেলা, স্থানীয় প্রশাসনের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা তদন্ত করতে হবে। ৪. ওই এলাকার কৃষিজমির উপরের মাটি কাটার কারণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেটা তুলে ধরতে হবে। ৫. ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ক্ষতির পরিমাণ কীভাবে নির্ধারণ করা যায়, তার সুপারিশ করতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজকে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করার জন্য একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে মনোনীত করতে হবে। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার মনোনয়নের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদেশে। এছাড়া আদেশে বিবাদীদের সাতকানিয়ায় কৃষিজমির উপরের মাটি ভরাট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যা ইতোমধ্যে কাটা হয়েছে, ৩০ দিনের মধ্যে বাইরে থেকে পলিমাটি এনে তা ভরাট করতে বলা হয়েছে।সেইসঙ্গে সাতকানিয়া থানার মধ্যে কতটি ইটভাটা রয়েছে এবং তাদের অবস্থা কী, তাদের পরিবেশগত ছাড়পত্র আছে কি না, তা আদেশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিচার বিভাগীয় এ আদেশে। আদেশের সময় অনলাইনে আদালতে হাজির ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, সাতকানিয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ওসি। এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রতিপালন না হওয়ায় ব্যাখ্যা জানতে তাদেরকে অনলাইনে তলব করেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয় তাদের।  
কৃষিজমি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা মানা হবে না: হাইকোর্ট
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের প্রায় ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের ওপর আজ শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ এই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে এদিন ড. মুহাম্মদ ইউনূস আদালতে হাজিরা দিবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গত ২ এপ্রিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেন। তিনি পরবর্তী বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন। এ মামলায় গত ৩ মার্চ আত্মসমর্পণ করে জামিন পান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গত ১ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস এম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল হাসান।
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ

নামাজের ওয়াক্ত শুরু

তারিখ : ০৩ মে, ২০২৪
অনলাইন সংস্করণ
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র
শনিবার বসছে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা হবে। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় এ সভা হওয়ার কথা রয়েছে। শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান সভার বিষয়টি বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা। সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। গত ১৬ মার্চ জাতীয় সংসদের ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ফলে আসনটি শূন্য হয়। শূন্য আসনে আগামী ৫ জুন ভোটগ্রহণের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে ৩২তম কমিশন সভা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। শেষে সাংবাদিকদের নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ ৭ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা।
টানা ৮ দফায় স্বর্ণের দাম কত কমলো
দেশের বাজারে টানা ৮ দফায় স্বর্ণের দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস)। বৃহস্পতিবার সংগঠনটির মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে। শুক্রবার (৩ মে) থেকে নতুন এই দর কার্যকর হবে। নতুন দাম অনুযায়ী সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৭৮ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।  এ নিয়ে টানা ৮ দফায় স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে মোট ১০ হাজার ২৬৫ টাকা। এর আগে গত ৩০ এপ্রিল ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৪২০ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ১১ হাজার ৪১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬ হাজার ২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯০ হাজার ৮৬৩ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭৫ হাজার ৫৫৯ টাকা। এ নিয়ে গত ১৬ দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ১১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছে বাজুস। যার মধ্যে ৯ বার দাম কমানো হয়েছে, আর বাড়ানো হয়েছে ২ বার। সবশেষ ৮ দফা সমন্বয়েই কমেছে স্বর্ণের দাম। চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে দেশের বাজারে ১৮ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১১ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার। স্বর্ণের দামে অস্থিরতার কারণে বিভ্রান্তিতে রয়েছেন ক্রেতা ও  বিক্রেতারা। 
সহকারী জজ নিয়োগের প্রিলিমিনারি কাল, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে একাধিক পদে চাকরি 
৬ জেলায় নিয়োগ দেবে এসএমসি, আবেদন করবেন যেভাবে
লোকবল নিয়োগ দেবে এপেক্স, লাগবে স্নাতক পাস
রাতে ঢাকায় ঝুম বৃষ্টির সম্ভাবনা, থাকবে যতক্ষণ
যেসব বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
শনিবার যেসব জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে
ঢাবির প্রশ্নপত্র ফাঁস: ৮৭ শিক্ষার্থীসহ সব আসামি খালাস
এপ্রিলে ১৯৩ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার
ভিক্ষাবৃত্তির জন্য শিশু নোমানের আঙুল পুড়িয়ে দেওয়া হয়
মিল্টনকে রিমান্ডে নিয়ে সব অপকর্ম বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা / পিনাকী ভট্টাচার্যকে অভিযুক্ত করে সিটিটিসির চার্জশিট
গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জন্য সুখবর
দেখে নিন ফেসবুকে দিনে কত সময় কাটাচ্ছেন
এসির ‘টন’ কী? কেনার আগে জেনে নিন
ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধের হুঁশিয়ারি মেটার
X
Fresh