• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
স্ত্রী শ্রীময়ীকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক
গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন টালিউড অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ। অসুস্থ হওয়ার পর তাৎক্ষণিক বিষয়টি অনুভব করতে পারেননি তিনি। পরে পরিস্থিতি গুরুতর হতেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এ অভিনেত্রীকে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ থেকেই সমস্যা হয়েছে শ্রীময়ীর। তীব্র গরমের মধ্যে গত শনিবার সারাদিন শুটিং করেছেন। দিন শেষে বাড়ি ফেরার পরই দুর্বল হয়ে পড়েন। এ অভিনেত্রী তার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানিয়েছেন, সারারাত বমি হয়েছে। ওআরএস খেয়েছিলেন। এরপরও পরিস্থিতি একই ছিল। পেটেও যন্ত্রণা হচ্ছিল তার। তবে সবশেষ ডাক্তারের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি হতে হলো। এদিকে স্ত্রী শ্রীময়ীর এ অবস্থা দেখে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন টালিউড অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। গত কয়েক দিন ধরে হাসপাতালে স্ত্রীর পাশেই থাকছেন এ টালি তারকা। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর গত ১০ জানুয়ারি পিংকি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ডিভোর্স হয় কাঞ্চন মল্লিকের। তাদের এক সন্তান রয়েছে। বিচ্ছেদের পর ভালোবাসা দিবসে কাঞ্চন মল্লিক ফের বিয়ে করেন অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজকে।
৬ ঘণ্টা আগে

ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীর গোপনাঙ্গ কাটলেন প্রথম স্ত্রী
রাজধানীতে বইয়ের দোকানের কর্মচারী তৌফিকুর রহমানের (৪৫) গোপনাঙ্গ কেটে দিয়েছেন প্রথম স্ত্রী রেহানা বেগম। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে ডেমরায় বাদশা মিয়া রোডের একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। আহতের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার মিরপুরে। জানা গেছে, দ্বিতীয় বিয়ে করায় তৌফিকুরের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথম স্ত্রী রেহানা বেগম সকালের দিকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। এরপর তিনি ঘুমিয়ে পড়লে তার গোপনাঙ্গ কেটে দেন। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আহত ব্যক্তি ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিষয়টি জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট থানাকে।
৭ ঘণ্টা আগে

সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে
সনদ বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহর আদালত এ আদেশ দেন। মিরপুর মডেল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিন জানান, এ থানার মামলায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে এদিন সেহেলা পারভীনকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী আবদুর রহমান জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আগামীকাল বুধবার জামিন শুনানির দিন ধার্য করে সেহেলা পারভীনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ২১ এপ্রিল সেহেলা পারভীনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। ওইদিন আদালতে পুলিশের দেওয়া রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানকে পরিদর্শন শাখা থেকে কম্পিউটার সেলের সিস্টেম অ্যানালিস্ট হিসেবে পোস্টিংয়ের জন্য সাড়ে ৫ লাখ টাকা এবং পরবর্তীতে জাল সার্টিফিকেট তৈরি করলে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না মর্মে তিন লাখ টাকা সেহেলা পারভীনকে দিয়েছেন। এই মর্মে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন এ কে এম শামসুজ্জামান। পরবর্তীতে গত ২০ এপ্রিল (শনিবার) সেহেলা পারভীন জিজ্ঞাসাবাদে একে এম শামসুজ্জামানের নিকট থেকে ৩ লাখ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন ও পোস্টিং সংক্রান্ত সাড়ে ৫ লাখ টাকার কথা কৌশলে এড়িয়ে যান। সেহেলা পারভীনের স্বামী মো. আলী আকবর খান কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ায় তার স্বামীর দ্বারা ইতোপূর্বে গ্রেপ্তারকৃত আসামি একে এম শামসুজ্জামানকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন লাখ টাকা গ্রহণ করেছিল বলে স্বীকার করেন। সেহেলা পারভীনের সুযোগ-সুবিধার প্রতিশ্রুতির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আসামি একে এম শামসুজ্জামান নির্ভয়ে জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে দেশব্যাপী বিভিন্ন সার্টিফিকেট প্রত্যাশীদের কাছে বিক্রি করে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে। মামলার ঘটনার সঙ্গে আসামি সেহেলা পারভীনের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এর আগে একই মামলায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান, সাবেক কর্মচারী ও বর্তমানে শামসুজ্জামানের সনদ তৈরির নিজস্ব কারখানায় নিয়োজিত কম্পিউটারম্যান ফয়সাল হোসেন, গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা আক্তার ওরফে কলি, হিলফুল ফুজুল নামের কারিগরি প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল সরদার গোলাম মোস্তফা ও যাত্রাবাড়ীর ঢাকা পলিটেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মাকসুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজন বর্তমানে রিমান্ডে আছেন। গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) জানান, গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের একাধিক দল ১ এপ্রিল ভোররাত থেকে নজরদারিতে রেখে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিরপুরের দক্ষিণ ও মধ্য পীরেরবাগ এবং আগারগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামান এবং তার সহযোগী ফয়সাল হোসেনকে গ্রেফতার করে। তিনি বলেন, গ্রেফতারের সময় কাছাকাছি দুটি বাসায় তাদের হেফাজত থেকে একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চুরি করে নেওয়া হাজার হাজার অরিজিনাল সার্টিফিকেট এবং মার্কশিটের ব্লাঙ্ক কপি, তৈরি করা শতাধিক সনদ এবং ট্রান্সক্রিপ্ট, বায়োডাটা ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল উদ্ধার করা হয়েছে। এসব কম্পিউটার, প্রিন্টার ও ল্যাপটপ দিয়ে গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি আসল সনদ, মার্কশিট বানিয়ে ভুয়া লোকদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে বলে জানান ডিসি মশিউর রহমান। এছাড়া সরকারি ওয়েবসাইট, সরকারি পাসওয়ার্ড ও অথরাইজেশন ব্যবহার করে ভুয়া লোকদের কাছে বিক্রি করা সনদগুলোকে বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। ফলে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যেকোনো দেশে বসে এই ওয়েবসাইটে গিয়ে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বরগুলোকে সার্চ করলে সার্টিফিকেটগুলো সঠিক বলে প্রমাণিত হবে। ডিসি মশিউর রহমান জানান, একে এম শামসুজ্জামানের বাড়ি দিনাজপুরে। তিনি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট হিসেবে যোগদান করেছেন ২০০৯ সালে। বর্তমানে তার পদ সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার বিভিন্ন থানার আনাচে-কানাচে অবস্থিত কারিগরি বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়গুলোতে পড়ালেখা করা হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর রেজিস্ট্রেশন, রোল নম্বর, সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরি, সেগুলোকে নির্দিষ্ট সার্ভারে আপলোড দেওয়া, ভেরিফিকেশন নিশ্চিত করা, কম্পিউটার সিস্টেম কোড সংরক্ষণ গোপনীয়তা বজায় রাখাসহ বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সকল প্রকার ডিজিটালাইজেশন এবং কম্পিউটারাইজেশন মূল দায়িত্ব তার কাঁধে। সিস্টেম অ্যানালিস্ট হওয়ার কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতি বছর কত হাজার পরীক্ষার্থী এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে, কতজন ফরম ফিলআপ করে রোল নম্বর পেয়েছে, কতজন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি আবার কতজন কৃতকার্য ও অকৃতকার্য হয়েছে তার সব তথ্যই শামসুজ্জামানের কাছে থাকতো। এ বিশাল তথ্যভাণ্ডার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কর্তৃপক্ষ, সিস্টেম কোড ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকার সনদ ও মার্কশিট বাণিজ্য করেছেন শামসুজ্জামান এবং তার সহযোগীরা। ডিবির এ কর্মকর্তা আরও জানান, ২০১৭ সালেও মার্কশিট ও সনদ বিক্রির অভিযোগে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী একে এম শামসুজ্জামানকে সাময়িকভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়। কিন্তু উচ্চ আদালতের মাধ্যমে আবার চাকরিতে পুনর্বহাল হয়ে তিনি এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার সনদ-মার্কশিট বিক্রি করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:২৫

সাবেক স্ত্রী তিন্নি সম্পর্কে হিল্লোলের মন্তব্য 
শোবিজের এক সময়ের আলোচিত দম্পতি আদনান ফারুক হিল্লোল ও শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি। তবে বর্তমানে দুজনেই হাঁটছেন ভিন্ন পথে। ভালোবেসে ২০০৬ সালে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন তারা। যদিও পরবর্তীতে দাম্পত্য কলহের জেরে সংসার জীবনের ইতি টানেন তিন্নি-হিল্লোল। তাদের ওয়ারিশা নামের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।  বিচ্ছেদের পর ছোট পর্দার আরেক অভিনেত্রী নওশিনের সঙ্গে সংসার বাঁধেন হিল্লোল। তবে সাবেক স্ত্রী তিন্নিকে নিয়ে প্রায়ই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় এই অভিনেতাকে।  সম্প্রতি বেসরকারি একটি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিন্নিকে নিয়ে মুখ খুলেছেন হিল্লোল। পাশাপাশি তিন্নির সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণসহ ব্যক্তিগত জীবনের নানান বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি।    হিল্লোল বলেন, বর্তমানে তিন্নির সঙ্গে খুবই ভালো সম্পর্ক। আমার মেয়ের ১৬ বছর চলছে। ও ক্লাস নাইনে পড়ে। আমাদের মেয়ের কারণে ওর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। আমার বর্তমান স্ত্রীর সঙ্গেও তিন্নির নিয়মিত যোগাযোগ হয়। ছোট মেয়েকে তো সময় দেওয়া হয়। বড় মেয়েকে বছরে একবার সময় দেওয়া হয়। যখন কানাডাতে যাই, তখন বড় মেয়েকে সময় দেই।  এসময় তিন্নি-হিল্লোল সম্পর্ক থেকে কোনো শিক্ষা পেয়েছেন কি না? জানতে চাইলে জবাবে অভিনেতা বলেন, ওখান থেকে কোনো শিক্ষা পাইনি। ওটা ভুল ছিল। আমার কিংবা তার দিক থেকেও হতে পারে। তিন্নিরও হয়তো ভুল ছিল। তবে বর্তমান সম্পর্কে সেই ভুলটা হয়নি। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আজকে আমাদের সম্পর্কের ১৪ বছর পর এসে বলতে পারি, সেই ভুলটা হয়তো দ্বিতীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে হয়নি।   
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২৫

পুলিশের ওপর হামলা, মদ-অস্ত্রসহ আ.লীগ নেতার স্ত্রী গ্রেপ্তার
জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রেলওয়ে কলোনিতে বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার হামলার শিকার হয়েছেন দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ এক নারী কনস্টেবল। পরে ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র ও ২০ লিটার দেশীয় মদ উদ্ধার ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী লাখি খাতুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে সিরাজগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক ব্রজেশ্বর বর্মণ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার রেলওয়ে কলোনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা দায়ের করেছে। গ্রেপ্তারকৃত মোছা. লাখি খাতুন পৌর এলাকার রেলওয়ে কলোনি মহল্লার আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম রানার স্ত্রী। মামলা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে জরিনা বেগম নামে একজন নারী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার নাবালিকা মেয়ে নদী খাতুনকে (১৪) তার স্বামী সাইদুল ইসলাম বসতবাড়িতে আটকে রেখে বাল্যবিবাহ দিচ্ছেন। এজন্য তার আইনি সহায়তা প্রয়োজন। পরে জরিনা বেগম থানায় গেলে সঙ্গে করে অফিসার ইনচার্জের নির্দেশক্রমে সিরাজগঞ্জ সদর থানার এস আই ব্রজেশ্বর বর্মনসহ সঙ্গীয় অফিসার ও নারী ফোর্স রেলওয়ে কলোনির সংবাদদাতার স্বামীর বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিবাহের সত্যতা পায়। পুলিশ বাল্যবিবাহ না দিতে নিষেধ করলে সংশ্লিট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বললে একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পৌর এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রানার নেতৃত্বে আসামি সাইদুল ইসলাম (৪০), টুনি বেগম (৪১), আমেনা বেগম (৩৫), ইব্রাহিম (২৭), রেজা (৩০), বাবু ওরফে বড়বাবু (৩০), আশিক (২৫), নুর ইসলাম (৪৬), আসলাম (৩৫), হাসানসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জন পুলিশের ওপর চড়াও হয় এবং একপর্যায়ে এস আই ব্রজেশ্বর বর্মনসহ তার সঙ্গে থাকা অফিসার ও নারী পুলিশের ওপর হামলা করেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করে। সংবাদদাতা জরিনাসহ তার সঙ্গে থাকা ছেলে জীবন (১৬) ও নাবালিকা মেয়ে নদী খাতুনকেও (১৪) মারপিট করা হয়। একপর্যায়ে পলাতক আসামিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটের ঢিল ছুড়লে ইটের আঘাতে এস আই ব্রজেশ্বর বর্মনসহ তার সঙ্গে থাকা অফিসার ও নারী পুলিশ আহত হয়। পরে সঙ্গে থাকা বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে থানায় সংবাদ দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আসামি রানার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তার স্ত্রীকে বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র ও ২০ লিটার চোলাই মদসহ গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হওয়া আলামতগুলোর মধ্যে ৩টি তলোয়ার, ২টি বড় ছোড়া ও একটি বল্লম রয়েছে। সিরাজগঞ্জ সদর থানার উপপরির্দশক (এসআই) ব্রজেশ্বর বর্মণ বলেন, জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এ সময় সরকারী কাজে বাঁধা ও পুলিশের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এতে এএসআই মঈদুল ইসলাম, নারী কনস্টেবল ফেরদৌসী রহমান আহত হয়েছে। এ ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে ১৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রানার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। একারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব্য হয়নি। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাল্য বিবাহ বন্ধের সময় পুলিশের ওপরে হামলার নেতৃত্বকারী আমিনুল ইসলাম রানার স্ত্রী লাখি খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। গ্রেপ্তারকৃত লাখি খাতুনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৬

সনদ বাণিজ্য / এবার গ্রেপ্তার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী
সনদ বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে এবার বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিবি সূত্র।  শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, কারিগরি বোর্ডের সনদ বাণিজ্য মামলার প্রধান আসামি এ টি এম শামসুজ্জামান এবং সহযোগী আসামি সানজিদা আক্তার ওরফে কলি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এই জবানবন্দির ভিত্তিতে শেহেলা পারভীনকে শনিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে আনা হয়েছে। এদিকে প্রাথমিকভাবে শেহেলার বিরুদ্ধে এ টি এম শামসুজ্জামানের সঙ্গে টাকা-পয়সা লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে জানিয়েছে ডিবির একটি সূত্র। এর আগে একই মামলায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান, সাবেক কর্মচারী ও বর্তমানে শামসুজ্জামানের সনদ তৈরির নিজস্ব কারখানায় নিয়োজিত কম্পিউটারম্যান ফয়সাল হোসেন, গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা আক্তার ওরফে কলি, হিলফুল ফুজুল নামের কারিগরি প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল সরদার গোলাম মোস্তফা ও যাত্রাবাড়ীর ঢাকা পলিটেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মাকসুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজন বর্তমানে রিমান্ডে আছেন। গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) জানান, গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের একাধিক দল ১ এপ্রিল ভোররাত থেকে নজরদারিতে রেখে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিরপুরের দক্ষিণ ও মধ্য পীরেরবাগ এবং আগারগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামান এবং তার সহযোগী ফয়সাল হোসেনকে গ্রেফতার করে। তিনি বলেন, গ্রেফতারের সময় কাছাকাছি দুটি বাসায় তাদের হেফাজত থেকে একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চুরি করে নেওয়া হাজার হাজার অরিজিনাল সার্টিফিকেট এবং মার্কশিটের ব্লাঙ্ক কপি, তৈরি করা শতাধিক সনদ এবং ট্রান্সক্রিপ্ট, বায়োডাটা ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল উদ্ধার করা হয়েছে। এসব কম্পিউটার, প্রিন্টার ও ল্যাপটপ দিয়ে গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি আসল সনদ, মার্কশিট বানিয়ে ভুয়া লোকদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে বলে জানান ডিসি মশিউর রহমান। এছাড়া সরকারি ওয়েবসাইট, সরকারি পাসওয়ার্ড ও অথরাইজেশন ব্যবহার করে ভুয়া লোকদের কাছে বিক্রি করা সনদগুলোকে বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। ফলে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যেকোনো দেশে বসে এই ওয়েবসাইটে গিয়ে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বরগুলোকে সার্চ করলে সার্টিফিকেটগুলো সঠিক বলে প্রমাণিত হবে। ডিসি মশিউর রহমান জানান, একে এম শামসুজ্জামানের বাড়ি দিনাজপুরে। তিনি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট হিসেবে যোগদান করেছেন ২০০৯ সালে। বর্তমানে তার পদ সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার বিভিন্ন থানার আনাচে-কানাচে অবস্থিত কারিগরি বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়গুলোতে পড়ালেখা করা হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর রেজিস্ট্রেশন, রোল নম্বর, সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরি, সেগুলোকে নির্দিষ্ট সার্ভারে আপলোড দেওয়া, ভেরিফিকেশন নিশ্চিত করা, কম্পিউটার সিস্টেম কোড সংরক্ষণ গোপনীয়তা বজায় রাখাসহ বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সকল প্রকার ডিজিটালাইজেশন এবং কম্পিউটারাইজেশন মূল দায়িত্ব তার কাঁধে। সিস্টেম অ্যানালিস্ট হওয়ার কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতি বছর কত হাজার পরীক্ষার্থী এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে, কতজন ফরম ফিলআপ করে রোল নম্বর পেয়েছে, কতজন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি আবার কতজন কৃতকার্য ও অকৃতকার্য হয়েছে তার সব তথ্যই শামসুজ্জামানের কাছে থাকতো। এ বিশাল তথ্যভাণ্ডার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কর্তৃপক্ষ, সিস্টেম কোড ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে  লাখ লাখ টাকার সনদ ও মার্কশিট বাণিজ্য করেছেন শামসুজ্জামান এবং তার সহযোগীরা। ডিবির এ কর্মকর্তা আরও জানান, ২০১৭ সালেও মার্কশিট ও সনদ বিক্রির অভিযোগে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী একে এম শামসুজ্জামানকে সাময়িকভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়। কিন্তু উচ্চ আদালতের মাধ্যমে আবার চাকরিতে পুনর্বহাল হয়ে তিনি এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার সনদ-মার্কশিট বিক্রি করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫১

ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তন, স্ত্রী কারাগারে 
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ঘুমন্ত স্বামী ফিরোজের পুরুষাঙ্গ কেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় স্ত্রী জাকিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে বুধবার রাতে ভুক্তভোগী ফিরোজের মা ফরিদা বেগম বাদী হয়ে জাকিয়ার বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।  এদিকে ঘটনার পর স্বামী ফিরোজকে প্রথমে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং সর্বশেষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা গ্রহণ করছেন ফিরোজ। তবে তার অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।  এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ওসি মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামি জাকিয়াকে গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইল কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। 
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৪

নতুন প্রেমে মজেছেন কাঞ্চনের প্রাক্তন স্ত্রী
টলিউডের জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে বছরের শুরুতেই পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিচ্ছেদ হয়। এরপর তিনি বিয়ে করেন হাঁটুর বয়সী অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজকে। এবার পিঙ্কিও জুটিয়েছেন প্রেমিক। ভারতের এক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।  শুক্রবার (১২ এপ্রিল)  মধ্যরাতে অভিনেত্রীর সম্পর্কের খবর জানা যায় সামাজিক মাধ্যমে। ফেসবুক থেকে জানা যায় আইপিএস অফিসার আশিস ঘোষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। আশিস নিজেই জানিয়েছেন তা। মাঝরাতে সম্পর্কের স্ট্যাটাসে নিজের সঙ্গে যুক্ত করেন পিঙ্কির নাম। পোস্টটি ট্যাগ করেন তাকে।  এরপর থেকেই নেটিজেনরা রীতিমতো শুভেচ্ছাবার্তা দিতে শুরু করেন তাদের। প্রায় ভোর পর্যন্ত সম্পর্কের স্ট্যাটাস ফেসবুক থাকলেও দিনের আলো ফুটতেই সমাজমাধ্যমের পাতা থেকে মুছে দেওয়া হয় পোস্টটি। তবে কী কারণে মুছে দেওয়া হলো তা এখনও পরিষ্কার করেননি আশিস-পিঙ্কি। ধারণা করা হচ্ছে হয়তো পিঙ্কির আপত্তি থাকায় পোস্ট উধাও করেছেন আইপিএস আশিস। কেউ আবার অন্য কারণ খুঁজে বেড়াচ্ছেন। 
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০৭

প্রাক্তন স্ত্রী ও ছেলেদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন আমিরের (ভিডিও)
দুই প্রাক্তন স্ত্রী ও ছেলেদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করলেন বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ খ্যাত অভিনেতা আমির খান। দুই ছেলে জুনেইদ ও আজাদকে সঙ্গে পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় পোজ দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ছবি শিকারিদের হাতে কাজু বরফি ভরা মিষ্টির বাক্সও তুলে দেন আমির।   ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি। আর তাই অতীতের ক্ষত চিহ্ন বা ঝগড়া-বিবাদ ভুলে দুই প্রাক্তন স্ত্রী ও ছেলেদের সঙ্গে উৎসবের আমেজে মেতেছিলেন আমির। বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পরেও প্রাক্তন স্ত্রীদের সঙ্গে দারুণ বন্ধুত্ব রয়েছে আমিরের। তাইতো ঈদের আয়োজনে ছিলেন সাবেক স্ত্রী কিরণ রাও ও রীনা দত্ত।    আমিরের প্রাক্তন স্ত্রী এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা কিরণের শেয়ার কড়া ইনস্টাগ্রাম স্টোরি থেকেী খান পরিবারের ঈদ পালনের আভাস পাওয়া গেছে। ভিডিওতে সাদা পোশাকে দেখা যায় আমির-কিরণকে। কিরণ ঈদ উদযাপনের পোস্টটিতে ক্যাপশন দিয়েছিলেন— ‘সকলকে ঈদ মোবারক। এই বছর আমাদের শান্তি এবং ভালোবাসা নিয়ে আসুক।’  ভিডিওটিতে আরও দেখা যায়, আমির খানের মা জিনাত হুসেন, তার বোন নিখাত এবং অন্যান্য অতিথিদের। ক্লিপটিতে বেশ হাস্যোজ্জ্বলভাবেই ধরা দিয়েছেন সবাই।   প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে দাম্পত্যের সম্পর্কের ইতি টানেন আমির-কিরণ। তবে ছেলে আজাদের দায়িত্ব যৌথভাবেই পালন করছেন তারা। আমিরের প্রথম স্ত্রী ছিলেন রিনা দত্ত। তবে ২০০২ সালে প্রথম স্ত্রী রিনাকে ডিভোর্স দেন আমির। জুনায়েদ ও আইরা নামে দুজন সন্তান রয়েছে তাদের। ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন  
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০৭

খড়ের গাদায় আগুন দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে তুলে নিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা, অতঃপর...
ফেনীর ফুলগাজীতে রাতের অন্ধকারে বাড়ির সামনের খড়ের গাদায় আগুন দিয়ে ফাতেমা (৪২) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে তুলে নিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় পার্শ্ববর্তী খেতের মাঝে ওই নারীকে ফেলে যায় তারা।  রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে এ ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূর স্বজনরা।  এর আগে শুক্রবার (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ওই উপজেলার জিএমহাট ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামে সৌদি প্রবাসী ফারুকের বাড়িতে এ অমানবিক ঘটনাটি ঘটে। তাৎক্ষণিক ট্রিপল ৯৯৯- এ স্বজনরা ফোন দিলে পুলিশ এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় রাতেই তাকে পার্শ্ববর্তী একটি খেতের মাঝখান থেকে মারাত্মক রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসকদের পরামর্শে মুমূর্ষু অবস্থায় ওই নারীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। নির্যাতিতার স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, রাত ২টার দিকে ফাতেমা লাইলাতুল কদরের নামাজ পড়ছিল। এ সময় নাকে পোড়া গন্ধ পেয়ে তার মেয়েদের ডেকে নিয়ে ঘরের বাইরে গেলে দেখতে পায় খড়ের গাদায় আগুন জ্বলছে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে আগুন নেভাতে। এর ফাঁকে বাইরে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা সকলের অগোচরে ফাতেমাকে তুলে নিয়ে যায়।  অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে দেখতে না পেয়ে ট্রিপল ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশকে জানায় স্বজনরা। খবর  ঘটনাস্থলে এসে ঘণ্টাখানেক খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে পাশের ধানখেত থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফাতেমাকে উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।  ফেনী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক মো. রায়হান উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ফুলগাজী থেকে ফাতেমা নামে এক নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় আনা হয়েছিল। তার মাথায়, হাতে, পায়ে ও শরীরের বেশ কিছু স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অবস্থার অবনতি দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ফুলগাজী থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ ঘটনায় ঘটেছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। এ ঘটনায় আমিনুর রহমান মজুমদার প্রকাশ খোকনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়