• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মৃত্যুর দু’বছর পর দেশে ফিরছে ২ প্রবাসীর মরদেহ
ব্রুনাইয়ের হাসপাতাল রিপাসে সংরক্ষিত তিন বাংলাদেশির মরদেহ দেশে পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে চিকিৎসার বিল বকেয়া থাকায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে হাসপাতালের মর্গে রক্ষিত ছিল দুই বাংলাদেশির মরদেহ। বুধবার ও বৃহস্প‌তিবার দুই ধা‌পে এই বাংলা‌দে‌শিদের মরদেহ দে‌শে পাঠা‌নো হয়। ব্রুনাই‌য়ের বাংলা‌দেশ হাইক‌মিশ‌ন বল‌ছে, তিন বাংলাদেশির মধ্যে বরিশালের শিপন এবং নরসিংদীর মোশারফ হোসেনের মরদেহ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রেরিত বরাদ্দের অর্থায়নে গত বুধবার দে‌শে পাঠা‌নো হয়। এ ছাড়া সুমন খানের (ঝালকাঠি সদর) মরদেহ ব্রুনাইয়ের বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি সদস্যদের থেকে সংগৃহীত অর্থের মাধ্যমে বৃহস্প‌তিবার দেশে পাঠানো হয়।  বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্রে জানা যায়, শিপন ও মোশারফের লাশ গত ২ বছরের বেশি সময় ধরে রিপাস হাসপাতালের মর্গে রক্ষিত ছিল। স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী কোনো কর্মী প্রবাসে কর্মকালীন মারা গেলে বা অসুস্থ অথবা আহত হলে যথাযথ ইনস্যুরেন্সের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি কর্তৃক চিকিৎসাসহ প্রয়োজনে মরদেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। তবে এক্ষেত্রে উপরোক্ত ব্যক্তিদের কেউই মৃত্যুর সময় বৈধভাবে ব্রুনাইয়ে অবস্থান করছিলেন না।  ফলে তাদের মরদেহ দেশে পাঠাতে কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যথাযথভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে শিপন মারা যাওয়ার আগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, সেখানে ১৮ হ‌াজার ৪১১ ব্রুনাই ডলার (প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা) বিল বকেয়া হয়। মরদেহ পাঠানোর আগে এই অর্থ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা থাকায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো সুরাহা হয়নি।  পরবর্তীতে হাইকমিশনারের প্রচেষ্টায় ব্রুনাই সরকার ওই অর্থ মওকুফ করে এবং বাংলাদেশ হাই কমিশনের চাহিদার প্রেক্ষিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রেরিত বরাদ্দের অর্থে মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানো সম্ভব হয়।  ব্রুনাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা জানান, বাংলাদেশ সরকার প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণ নিশ্চিতকল্পে সর্বদায় বদ্ধপরিকর।
৮ ঘণ্টা আগে

সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনা / ৭ মরদেহ হস্তান্তর, মৃত একজনের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি 
রাঙ্গামাটির সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে সাতটি মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। একটি মরদেহের স্বজনদের সন্ধান মেলেনি। অপরটি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাঘাইছড়ি সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল আওয়াল চৌধুরী বলেন, দুটি মরদেহ হিমাগারে রাখা হয়েছে। স্বজনরা এলে হস্তান্তর করা হবে। তদন্তসাপেক্ষে দুর্ঘটনার কারণ বলা যাবে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি। এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে ৯০ ডিগ্রি এলাকার একটি পাহাড়ি সড়ক থেকে নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাক খাদে পড়ে। এ ঘটনায় ৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন কক্সবাজারের জসিম উদ্দিন (২৮), ময়মনসিংহের এরশাদুল (৩০), নজরুল ইসলামের ছেলে আবুল মোহন (১৮), চান মিয়ার ছেলে তোফাজ্জল হোসেন বাবু (২০), শহিদুল্লাহর ছেলে শাহ আলম (২৮) ও হেলাল উদ্দিনের ছেলে নয়ন (২৯), গৌরীপুরের আব্দুল জব্বারের ছেলে তপু হাসান (১৭) ও সাগর (২০) এবং গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকার মহিউদ্দিন মোড়লের ছেলে ওলি উল্লাহ ওলি (৪০)। নিহতদের পাঁচ লাখ ও আহতদের দুই লাখ করে টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। আহতরা হলেন, গাজীপুরের আখির উদ্দিনের ছেলে সামিউল উদ্দিন (১৯), ঢাকার হাসান আলীর ছেলে আমির উদ্দিন (৪৫), ময়মনসিংহের গোরীপুরের আব্দুল জব্বারের ছেলে জাহিদ হাসান (২৪), ময়মনসিংহের ইশ্বরগঞ্জের আবুল হাশেমের ছেলে মো. লালন (২৭) ও মকবুল হোসেনের ছেলে মোবারক হোসেন (৩২) ও কুড়িগ্রামের আফজাল মিয়ার ছেলে লালন মিয়া (১৮)।
২২ ঘণ্টা আগে

দাফনের ১৫ দিন পর ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ উত্তোলন
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে আদালতের নির্দেশে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি ও ময়নাতদন্তের জন্য দাফনের ১৫ দিন পর কবর থেকে আজম খান (৪৬) নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ তুলেছে পুলিশ।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পারিবারিক কবরস্থান থেকে আজম খানের মরদেহ তোলে মীরসরাই থানা পুলিশের নিজামপুর তদন্তকেন্দ্রের কর্মকর্তারা। আজম খান মীরসরাই উপজেলার মায়ানী ইউনিয়নের মধ্যম মায়ানী এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, আজম খান ফেনী শহরে একটি বেসরকারি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক ছিলেন। গত ৯ এপ্রিল রাতে বাসায় অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন বলে একটি বেসরকারি হাসপাতালের ছাড়পত্র নিয়ে তড়িঘড়ি মরদেহ দাফন করে ফেলেন আজম খানের স্ত্রী কামরুন নাহার ও তার পক্ষের আত্মীয়রা। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে মৃতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড অভিযোগ করে ফেনী সদর কোর্টের সিআর আমলি আদালতে একটি মামলার আবেদন করেন আজম খানের বোন নারগিছ আক্তার। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ফেনী সদর মডেল থানাকে মামলা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এরপর গত ১৮ এপ্রিল ব্যাংক কর্মকর্তা আজম খানের বোন নারগিছ আক্তার বাদী হয়ে ফেনী সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। নির্যাতন করে ভাইকে হত্যার অভিযোগে আজম খানের স্ত্রী কামরুন নাহারকে প্রধান আসামি ও তার পক্ষের আরও তিন আত্মীয়কে মামলায় আসামি করা হয়। মামলার পর ২১ এপ্রিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রধান আসামি কামরুন নাহারকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। মামলাটি তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি ও ময়নাতদন্ত করতে আদালতের নির্দেশে বুধবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে আজম খানের মরদেহ উত্তোলন করেন মীরসরাই থানার নিজামপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে মরদেহ উত্তোলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নিজামপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. মাসুদ খান বলেন, আদালতের নির্দেশ পেয়ে বুধবার দুপুরে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে আমরা ব্যাংক কর্মকর্তা আজম খানের মরদেহ কবর থেকে তুলে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছি। এরপর লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মরদেহ উত্তোলনের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা মীরসরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের বিষয়টি তদারক করেছি।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৭

ডাকাতিয়া নদীতে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার 
চাঁদপুরে ডাকাতিয়া নদীতে নিখোঁজ শিশু মো. জুনায়েদ মিয়ার (১০) মরদেহ ২৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে চাঁদপুর নৌ ফয়ার সার্ভিস ডুবুরি দল।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে চাঁদপুর নতুন বাজার-পুরান বাজার সেতুর নিচে জুনায়েদের মরদেহ ভেসে উঠলে নৌ ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে জুনায়েদ নদীর পাড়ে বেধে রাখা নৌকা থেকে লাফ দিয়ে গোসল করতে নামলে ডুবে নিখোঁজ হয়।  পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজ এলাকার বাসিন্দা মো. নাছির উদ্দিনের ছেলে জুনায়েদ। সে স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়ালেখা করতো।  ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স চাঁদপুর নৌ ইউনিটের ইনচার্জ মো. মুসলিম মিয়াজী বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনার দিন দুপুর পৌনে ৩টায় নৌ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং কার্যক্রম শুরু করে। ওই সময় উদ্ধার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনের ডুবুরি দলও। দুটি ডুবুরি দল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে নিখোঁজ শিশুর সন্ধান মেলেনি। বুধবার সকাল ৮টা থেকে উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হয়। দুপুর দেড়টার দিকে ব্রিজের নিচে জুনায়েদের মরদেহ ভেসে উঠলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স চাঁদপুর নৌ ইউনিটের সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করে পরিবাবের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১০

মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল হাতির মরদেহ
গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর মহাসড়কের পাশ থেকে একটি হাতির মরদেহ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে রাজেন্দ্রপুর ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের ২নং গেট এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশ থেকে হাতির মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রুবিয়া ইসলাম। তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকালে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মহাসড়কের পাশে হাতির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে আমাদের বিষয়টি জানান। ঘটনাস্থলে এসে দেখি হাতির মাথায় ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। দাঁতগুলো উঠিয়ে নিয়ে গেছে। ইতোমধ্যে, পুলিশের একটি ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানা পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে আছে। পুলিশের ফরেনসিক টিম তথ্য সংগ্রহের পর ভেটেনারি সার্জন ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ভেটেনারি সার্জন যৌথভাবে পোস্টমর্টেম করবে। তারপর হাতির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, অন্য কোথাও হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। পরে এখানে এনে ফেলে রেখেছে। তদন্তের পর এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪১

চাঁদপুরে পৃথক ঘটনায় ২ মরদেহ উদ্ধার
চাঁদপুরে পৃথক স্থান থেকে লিটন গাজী (৩৪) ও আরিফ (২৬) নামের দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে ওই দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।  পরে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ দুটি হস্তান্তর করা হয়। লিটন গাজী সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের বড় শাহতলী গ্রামের মৃত সিরাজ গাজীর ছেলে। অপরজন আরিফ সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের নুরুল ইসলামের ছেলে। লিটনের শাশুড়ি হাজেরা বেগম বলেন, সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের বড় শাহতলী গ্রামে নিজ বাড়িতে একা থাকতেন লিটন। রোববার তাকে অনেকবার ফোন করলেও রিসিভ করেননি। এরপর ছোট জামাইকে সঙ্গে নিয়ে লিটনের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পাই সে মাটিতে পড়ে আছে। স্থানীয় চিকিৎসককে খবর দিলে তিনি এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই কুদ্দুস ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই মো. শাহজাহান জানান, আরিফ নামের ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী বলে পরিবারের স্বজনরা জানিয়েছেন। তিনি ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। এ ছাড়াও তার একটি সন্তান রয়েছে। রোববার রাতে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. শেখ মুহসীন আলম বলেন, দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুটিই ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। এ ছাড়া পৃথক দুটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের পর পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৬

বিকালে প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়া, পরের দিন মিলল গৃহবধূর মরদেহ
জামালপুরের বকশীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিকালে প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়ার পর পরের দিন সকালে ওই প্রতিবেশীর বাড়ির গোয়াল ঘর থেকে শরীফুল বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ বগারচর ইউনিয়নের বালুর চর গ্রামের বাড়ি থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গৃহবধূ শরীফুল বেগম একই গ্রামের তোমজল হকের স্ত্রী। থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র তোমজল হকের স্ত্রী শরীফুলের সঙ্গে প্রতিবেশী খলিল মিয়ার পরিবারের ঝগড়া হয়। পরে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে ঝগড়া বন্ধ হলে রাতে নিখোঁজ হন শরীফুল বেগম। সোমবার ভোরে প্রতিবেশী খলিল মিয়ার বাড়ির বাইরের খোলা গোয়াল ঘরে শরীফুলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। এ খবর জানাজানি হলে থানা পুলিশ সকাল ৯টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করেন। বকশীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহটি জামালপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।  
২২ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৩২

খাটের নিচ থেকে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
নড়াইল সদরের গোবরা গ্রামে ভাড়াটিয়ার খাটের নিচ থেকে ইতি (৩৬) নামের এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  রোববার (২১ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। খুন হওয়া নারীর স্বামীর নাম শফিকুল গাজী। তিনি লোহাগড়া উপজেলার মিঠাপুর মাদরাসার ইমাম হিসেবে কর্মরত। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইতি বেগমের কোনো সন্তান নেই। গত ১৮ এপ্রিল স্বামী শফিকুল গাজী কর্মস্থলে চলে যাওয়ার পরে তিনি একাই বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। নিজ ঘরের পাশেই বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার বারইপাড়া গ্রামের মনিরুল ইসলাম নামে একজন ভাড়াটিয়া থাকতেন। নিহতের স্বামী বাড়িতে স্ত্রীর খোঁজ করলে তার মোবাইলে কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি। এ সময় প্রতিবেশীদের মাধ্যমে স্ত্রীর খোঁজ নিতে চাইলে তার ঘর তালাবদ্ধ দেখে বাইরে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। দুদিন ধরে ওই নারীর বসবাসের ঘর এবং ভাড়াটিয়া মনিরুলের ঘর তালাবদ্ধ দেখতে পাওয়া যায়। ২১ এপ্রিল বিকেলে ঘরের ভেতর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে এলাকার লোকেরা স্বামী শফিকুল গাজী ও পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ভাড়াটিয়া মনিরুলের ঘরের তালা ভেঙে খাটের নিচ থেকে ইতির গলাকাটা অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ওসি (তদন্ত) জামিল কবির জানান, আমরা ভাড়াটিয়া মনিরুলকে সন্দেহ করছি। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১২

গাজায় এক কবরেই মিলল ১৮০ মরদেহ
ফিলিস্তিনের গাজায় খান ইউনিস শহরের নাসের হাসপাতালের পাশে একটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানে কয়েক মাস অভিযান চালানোর পর সম্প্রতি সেনা প্রত্যাহার করেছে ইসরায়েল। ওই গণকবর থেকে এখন পর্যন্ত ১৮০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। খবর আল জাজিরার। এদিকে গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে এখনও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে নতুন করে হামলার ঘটনায় সাতজন নিহত হয়েছে। এর আগে বিমান হামলা চালানো হয়েছে গাজার আরেক শহর রাফাহতেও। রাতভর চলা এ হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ১৮ শিশুসহ ২২ জন। এর মধ্যে এক পরিবারেরই ১৩ শিশু আছে।   প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের উপর প্রতিশোধস্বরূপ ফিলিস্তিনের গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। হামাস নির্মূলের নামে টানা সাড়ে ছয় মাস ধরে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে নির্বিচার হামলা ও অভিযান চালাচ্ছে দখলদার রাষ্ট্রের সেনারা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে সেখানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৯৭ জন সাধারণ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৬ হাজার ৯৮০ জন। এদিকে গাজায় আগ্রাসন এবং ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েলের জন্য ২৬ বিলিয়ন ডলারের একটি তহবিল পাস করেছে মার্কিন হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস। প্যাকেজটি অনুমোদনের জন্য এখন সিনেটে পাঠানো হবে। রিপাবলিকান কট্টরপন্থীদের তীব্র আপত্তির পরেও ইউক্রেন, ইসরায়েল এবং তাইওয়ানকে নিরাপত্তা সহায়তা প্রদান করতে ৯৫ বিলিয়ন ডলারের একটি বিশাল সহায়তা প্যাকেজের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে বহুল আলোচিত বিলটি পাস হয়েছে। শনিবার প্রতিনিধি পরিষদে মোট ৪২৩টি ভোট পড়েছে এই বিলের জন্য। এর মধ্যে ২১০ জন ডেমোক্র্যাট এবং ১০১ জন রিপাবলিকান বিলটির পক্ষে ভোট দিয়েছেন এবং ১১২ জন রিপাবলিকান বিলটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৬

নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
গাজীপুরের শ্রীপুরে ভাড়া বাসার তালাবদ্ধ ঘর থেকে আজিদা বেগমের (৪০) গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি স্বামীসহ ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন। ঘটনার পর থেকে ওই নারীর স্বামী পলাতক রয়েছেন।  রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের বাবুল খানের ভাড়া বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আজিদা বেগম নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার হাইলাটি গ্রামের রুমালী হোসেনের মেয়ে। সে উপজেলার জৈনা বাজারে স্থানীয় দুলাল কুমার ঘোষের পাবনা হোটেলের রান্নার কাজ করতেন। জৈনা বাজারের পাবনা হোটেলের মালিক দুলাল কুমার ঘোষ বলেন, প্রায় ৬ মাস যাবৎ আজিদা বেগম আমার হোটেলে কাজ করতেন। তিনি রান্না ও থালা-বাসন ধোয়ার কাজে সহযোগিতা করতেন। কখনো তার স্বামীকে দেখিনি। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান জানান, প্রায় ৯ মাস পূর্বে আজিদা বেগম তার স্বামীকে নিয়ে নগরহাওলা গ্রামের বাবুল খানের টিনশেড রুমের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। তার স্বামী স্থায়ীভাবে বসবাস না করলেও নিয়মিত আসা যাওয়া করতেন। স্ত্রীর পরিচয় পাওয়া গেলেও স্বামীর পরিচয় কেউ জানাতে পারেনি। তার স্বামীর ব্যাপারে জানতে চাইলে সে বাড়ির মালিককে বলতো সে মাওনা চৌরাস্তায় কাজ করতেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে ঘর তালাবদ্ধ থাকায় কেউ খোঁজখবর নেয়নি। দুর্গন্ধ ও মশা-মাছি ছড়িয়ে পড়লে বাড়ির লোকজন তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করলে মেঝেতে ওই নারীর গলাকাটা মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের পাশে বঁটি ও দা পড়েছিল। তিনি আরও বলেন, শুক্রবার কোনো একসময় বঁটি দিয়ে ওই নারীর স্বামী তাকে গলা কেটে ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। স্বামীর পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে তার স্বামীই গলা কেটে হত্যা করে পালিয়েছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।  
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়