• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
খতনা করাতে গিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেললেন হাজাম
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে সাত বছর বয়সী এক শিশুর সুন্নতে খতনা করার সময় পুরুষাঙ্গের সামনের অংশ কেটে ফেলেছেন এক হাজাম (খতনাকারী)। এ ঘটনায় আহত শিশু সাহাদাত হোসেনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত শাহাদাত হোসেন উপজেলার নদনা ইউনিয়নের বুরপিট গ্রামের দক্ষিণ সরকার বাড়ির নিজাম উদ্দিনের ছেলে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার নদনা ইউনিয়নের বুরপিট গ্রামের বুরপিট দক্ষিণ সরকার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন অভিযুক্ত হাজাম (খতনাকারী) মামুনকে (৩৫) আটক করে। মামুন জেলার সুবর্ণচর উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহাদাতের খতনা করতে হাজাম মামুন উপজেলার নদনা ইউনিয়নের বুরপিট গ্রামের বুরপিট দক্ষিণ সরকার বাড়িতে আসেন। এরপর খতনা করতে গিয়ে খুর চালিয়ে শিশু শাহাদাতের পুরুষাঙ্গের মাথা থেকে কেটে মাটিতে ফেলে দেন। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় শাহাদাতকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার তানভীর হায়দার ইমন বলেন, খতনা করতে গিয়ে ওই শিশুর পুরুষাঙ্গের সামনের কেটে ফেলে  হাজাম। পরে রোগীর স্বজনরা কাটা অংশসহ তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। এখানে কাটা অংশ ফ্রিজআপ করে রোগীর স্বজনদের বুঝিয়ে দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগে রেফার্ড করে দেওয়া হয়েছে।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২৯

খতনা বা মুসলমানি কেন করতে হয়, উপকারিতা কী?
মুসলিম জাতি ছাড়াও অন্য ধর্মাবলম্বীরাও খতনা দিয়ে থাকে। পুরুষাঙ্গের সামনের দিকে যে অতিরিক্ত চামড়া পুরুষাঙ্গের সংবেদনশীল মাথাকে ঢেকে রাখে, তা কেটে বাদ দেওয়াকেই বলা হয় খতনা বা মুসলমানি। মেডিক্যাল টার্মে একে বলে সারকামসিশন।  দীর্ঘসময় ধরে এই কাজ বাংলাদেশে হাজামরা করে আসলেও এখন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা সার্জারির মাধ্যমে তা করা হচ্ছে। কেন খতনা করা হয়? সাধারণত ধর্মীয় রীতি অনুসারে মুসলিম ছেলে শিশুদের এটি করা হয়। কিছু কিছু জন্মগত রোগেও সাকামসিশন করার নির্দেশনা আছে। এর মধ্যে আছে— যাদের লিঙ্গের অগ্রভাগের ছিদ্র ছোট থাকে, বারবার তাদের প্রস্রাবে সংক্রমণ হতে পারে; যাদের চামড়া গ্লান্স লিঙ্গের পেছনে আটকে গিয়ে ব্যথা করে, তাদের ক্ষেত্রে এটি করা হয়; এই দুটি অবস্থার মেডিকেল টার্ম হলো ফাইমোসিস আর প্যারাফাইমোসিস। কোন বয়সে খতনা করানো উত্তম? পশ্চিমা দেশে সাধারণত জন্মের পরপরই এটি করা হয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে সাধারণত দেখা যায় যে, বাচ্চারা একটু বড় হলে তারপর তাদের খৎনা করা হয়ে থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর কোনো নির্দিষ্ট বয়স না থাকলেও বাংলাদেশের সামাজিক বাস্তবতায় তিন বা চার বছর বয়স খৎনার উপযুক্ত সময় বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। মুসলমানির জন্য সঠিক সময় হলো স্কুলে যাওয়ার আগে। পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের চিকিৎসকদের একটি দল একমত হয়েছেন, এই সময়ের আগে করলে প্রস্রাবের রাস্তা সরু হয়ে যেতে পারে। ইসলামের দৃষ্টিতে খতনা মুসলিম সমাজে এ সংস্কৃতি শত শত বছর ধরে চলে আসছে। এটি একটি মহান সুন্নত। যুগে যুগে বড় বড় নবি-রাসুলও এ সুন্নত পালন করেছেন। সর্বপ্রথম এ সুন্নত পালন করেছেন হজরত ইবরাহিম (আ.)।  হজরত সাইদ ইবনে মুসাইয়াব (রহ.) থেকে বর্ণিত, হজরত ইবরাহিম (আ.) হলেন খতনার সুন্নত পালনকারী সর্বপ্রথম ব্যক্তি। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস : ২৬৪৬৭)। কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, যখন ইবরাহিম (আ.)-কে তার রব কয়েকটি বাণী দিয়ে পরীক্ষা করেন, অতঃপর তিনি তা পূর্ণ করেন। তিনি বলেন, আমি তোমাকে মানুষের জন্য নেতা বানাব। সে বলল, আমার বংশধরদের থেকেও? তিনি বলেন, জালিমরা আমার ওয়াদাপ্রাপ্ত হয় না। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১২৪) খতনার উপকারিতা খতনা বা মুসলমানি করার কিছু উপকারী দিক রয়েছে। যেমন— মুসলমানি করালে মূত্রনালির সংক্রমণের ঝুঁকি কম হয়। কিছু যৌনবাহিত রোগের ঝুঁকিও হ্রাস করে; গ্লান্সের প্রদাহ, গ্লান্স ও ফরস্কিনের প্রদাহ প্রভৃতি প্রতিরোধ করে; অনেক সময় পুরুষাঙ্গের মাথার দিকের চামড়া মূত্রনালিতে এমনভাবে লেগে থাকে যে প্রস্রাব ভালো মতো বের হতে পারে না। তখন প্রস্রাবের নালিতে ইনফেকশন বা কিডনিতে জটিলতা হতে পারে।  মুসলমানি করালে ফাইমোসিস হয় না। পুরুষাঙ্গের মাথার দিকের চামড়া উল্টে শক্ত হয়ে গেলে ওই চামড়াকে আর সামনে ও পেছনের দিকে নড়াচড়া করা যায় না। তখন লিঙ্গের মাথা ফুলে যায়, রক্ত সঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হয়। কিন্তু মুসলমানি করালে এই জটিলতা থেকে রক্ষা মেলে; পেনাইল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সুরক্ষা তৈরি করে খতনা। এ ছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষার জন্যও যেকোনো ধর্মের পুরুষরা খতনা করিয়ে থাকেন। খতনার বৈজ্ঞানিক সুফল পুরুষের খতনাকে আধুনিক স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা অত্যন্ত স্বাস্থ্যসম্মত বলে মনে করেন। খতনার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ছত্রাকজাতীয় (ব্যাকটেরিয়া) রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। খতনার প্রধান সুবিধা হলো, এর ফলে লিঙ্গের অগ্র ত্বকে যে তরল জমে নোংরা অবস্থার সৃষ্টি করে, তা থেকে রেহাই পেতে পারে। খতনার সুফল নিয়ে অস্ট্রেলীয় মেডিক্যাল সায়েন্সের অধ্যাপক ড. ব্রায়ান মরিস চমৎকার গবেষণা করেছেন। তাতে উল্লেখ করা হয়, যেসব বালকের সারকামসিশন (খতনা) করা হয়নি, তাদের অপেক্ষাকৃত কিডনি, মূত্রথলি ও মূত্রনালির ইনফেকশন চার থেকে ১০ গুণ বেশি হয়। তিনি মনে করেন, সারকামসিশনের (খতনা) মাধ্যমে অন্তত এক-চতুর্থাংশ মূত্রনালির ইনফেকশন হ্রাস করা যায়। যৌনবিজ্ঞানীরা বহুকাল আগে থেকেই বলে আসছেন যে পুরুষের খতনা করালে স্পর্শকাতরতা বেড়ে যায়। এতে যৌন মিলনে অধিক আনন্দ উপভোগ করে নারী-পুরুষ উভয়ই। বর্তমানে ইংল্যান্ড, আমেরিকাসহ ইউরোপেও প্রচুর পরিমাণে খতনা করানো হয়। সেখানে গুরুত্বের সঙ্গে এটা দেখা হয়।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৯

খতনা যেন আতঙ্কের নাম (ভিডিও)
খতনা যেন আতঙ্কের নামে পরিণত হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালে একের পর এক শিশু মৃত্যু আর অঙ্গহানির ঘটনায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। খতনার মতো ছোট অস্ত্রোপচারে একের পর এক শিশু মৃত্যুর ঘটনাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় দেশের স্বাস্থ্য খাতের বেহাল দশার চিত্র। চলতি বছরের সাত জানুয়ারি ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনা করাতে গিয়ে ৫ বছরের শিশু আয়ানের মৃত্যু হয়। এর মাসখানেক পরেই গত ২০ ফেব্রুয়ারি মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আহনাফ তাহমিন আয়হাম নামের ১০ বছরের আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়। এরমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে কয়েক মাস আগে রাজধানীর নাখালপাড়ার কুলসুম বেগমের ছেলে ইসমাইল হোসেনের খতনা করাতে গিয়ে মূত্রনালী কেটে ফেলেন পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক মিজানুর রহমান।  পরিবারের অভিযোগ খতনা করার পর বাসায় গেলে এই ঘটনা ধরা পড়ে। ক্ষতিপূরণ চাইলে চিকিৎসক নানা হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ তাদের। পদ্মা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, চিকিৎসক মিজান এই হাসপাতালে ডাক্তারই নয়, তিনি ওটি চার্জ দিয়ে এই অপারেশনটি করেছিলেন। এ ছাড়া মিজানুর রহমানের নামে নানা অভিযোগ রয়েছে। শ্লীলতাহানির অভিযোগে জেলও খেটেছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এনেস্থেসিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর দেবব্রত বণিক বলেন, এই ঘটনায় পদ্মা জেনারেল হাসপাতাল এবং চিকিৎসক দায় এড়াতে পারে না।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১১

এবার খতনা করাতে গিয়ে সংকটাপন্ন শিশু নাহিয়ান
নোয়াখালীতে খতনা করাতে গিয়ে শিশুর গোপনাঙ্গের মাথা কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর পালিয়েছে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও তার সহযোগীরা। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘটনাটি ঘটে। জানা গেছে, এদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিক্ষানবিশ উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সৌরভ খতনা করার সময় আল নাহিয়ান তাজবীবের (৮) গোপনাঙ্গের মাথার অংশ কেটে ফেলেন। শিশুটির আর্তচিৎকারে বাবা আলমগীর হোসেন দ্রুত অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে দেখতে পান, তার সন্তানের রক্তে কেবিনের বেড ভিজে গেছে। এ সময় সৌরভ তার দুই সহযোগীকে নিয়ে পালিয়ে যান। এরপর হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শিশুটিকে হাসপাতালের কেবিনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এ বিষয়ে ডা. সেলিম বলেন, শিক্ষানবিশ উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে সৌরভ ভৌমিক জরুরি বিভাগে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। নিয়মিত ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে  তড়িঘড়ি করে খতনা করতে গিয়ে সে এ দুর্ঘটনা ঘটায়। বিষয়টি সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে। তিনি বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। শিশুটির বাবা আলমগীর হোসেন বলেন, আমার ছেলেকে গরুর মতো তড়িঘড়ি করে খতনা করতে গিয়ে তার এ বিপদ ঘটিয়েছে। আমি তাদের ধরতে গেলে সৌরভ ভৌমিকসহ তিনজনই পালিয়ে যায়। আমার ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমি জড়িতদের বিচার চাই। এদিকে রাজধানীর ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনা করতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যুর রেশ না কাটতেই মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে আহনাফ তাহমিন আয়হাম (১০) নামের আরেক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:২৪

খতনা করতে গিয়ে মৃত্যু : অনুমোদন ছিল না জেএস হাসপাতালের
রাজধানীর ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনা করতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যুর রেশ না কাটতেই মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে আহনাফ তাহমিন আয়হাম (১০) নামের আরেক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আহনাফের স্বজনদের অভিযোগ, মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জন ডা. এস এম মুক্তাদিরের তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার রাতে সন্তানকে সুন্নতে খতনা করাতে আসেন শিশু আয়হামের বাবা ফখরুল আলম ও মা খায়কুন নাহার চুমকি। রাত ৮টার দিকে খতনা করানোর জন্য অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার পর আর ঘুম ভাঙেনি আয়হামের। এর ঘণ্টাখানেক পর হাসপাতালটির পক্ষ থেকে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শিশু আহনাফের মৃত্যু হওয়া জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল সেন্টারের লাইসেন্স থাকলেও হাসপাতাল পরিচালনার কোনো অনুমতি ছিল না। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আবু হোসেন মো. মইনুল আহসান বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানের শুধু ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন থাকলেও হাসপাতাল পরিচালনার অনুমোদন ছিল না। আমরা তাদের সব কার্যক্রম বাতিল করেছি। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্সও বাতিল করা হচ্ছে। এমন কাজের সঙ্গে জড়িত সকলের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘আহনাফের মৃত্যুর কারণ কী ছিল?’- প্রশ্নের জবাবে ওই পরিচালক বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠানে যেয়ে কাউকে পাইনি, এ জন্য শিশুটির মৃত্যুর কারণ জানতে পারিনি। এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এদিকে এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এক বিশেষ বিবৃতিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘এই ঘটনায় আমি অত্যন্ত মর্মাহত। কিছুদিন আগেও এমন একটি ঘটনা আমরা লক্ষ্য করেছি। সে ঘটনায় আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থাও নিয়েছি। তবে সেই ঘটনার পরও যারা সতর্ক হতে পারে নি, এ রকম আর কারও কোনোরকম দায়িত্বে অবহেলা বা গাফিলতি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। দোষী প্রমাণিত হলে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির বিরুদ্ধে শুধু কঠোর ব্যবস্থা নেওয়াই হবে না, ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলাকারী দোষীদেরও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যাতে পরবর্তীতে আর কোনো প্রতিষ্ঠান এ রকম গুরুদায়িত্বে অবহেলা করতে সাহস না পায়। চিকিৎসায় অবহেলা পাওয়া গেলে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’  
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:০৮

খতনা করতে গিয়ে মৃত্যু : চিকিৎসকদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ
রাজধানীতে সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে শিশু আয়হামের (১০) মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার জেএস হাসপাতালের পরিচালক চিকিৎসক এস এম মুক্তাদির ও চিকিৎসক মাহাবুব মোরশেদকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর মালিবাগের জেএস হাসপাতালের অপারেশন রুমে সুন্নাতে খতনার জন্য অ্যানেস্থেশিয়া দেওয়া হয় শিশুটিকে। যাতে গভীর ঘুমে তলিয়ে যায় আয়হাম। পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে থাকলে আরেকটি হাসপাতাল থেকে আনা হয় চিকিৎসক। কিন্তু পরীক্ষা করে দেখা যায়, চিরঘুমে চলে গেছে শিশুটি। স্বজনদের অভিযোগ, লোকাল অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার কথা থাকলেও তারা ফুল অ্যানেস্থেসিয়া দিয়েছে। যে কারণে আয়হামের আর জ্ঞান ফেরেনি। এর আগে, মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় আয়হামের সুন্নতে খতনা করাতে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। এর ঘণ্টাখানেক পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। জানা গেছে, মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জন ডা. এস এম মুক্তাদিরের তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার রাতে সন্তানকে সুন্নতে খতনা করাতে আসেন শিশু আয়হামের বাবা ফখরুল আলম ও মা খায়কুন নাহার চুমকি। রাত ৮টার দিকে খতনা করানোর জন্য অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার পর আর ঘুম ভাঙেনি আয়হামের। এর ঘণ্টাখানেক পর হাসপাতালটির পক্ষ থেকে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এ বিষয়ে আয়হামের বাবা ফখরুল আলম বলেন, আমরা চিকিৎসককে বলেছিলাম যেন ফুল অ্যানেস্থেসিয়া না দেওয়া হয়। তারপরও আমার ছেলের শরীরে সেটি পুশ করেন ডা. মুক্তাদির। আমি তাদের পা পর্যন্ত ধরেছি। বলেছি, কিছু একটা ব্যবস্থা করেন। তারা বলে ঠিক হয়ে যাবে, এই যে দেখেন নিশ্বাস নিচ্ছে। কিন্তু এর আগেই ডেট। তিনি বলেন, আমার সন্তানকে অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই মৃত্যুর দায় মুক্তাদিরসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সবারই। আমি তাদের কঠোর শাস্তি চাই। অভিযুক্ত চিকিৎসক মুক্তাদির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অর্থোপেডিক বিভাগের জয়েন্ট ব্যথা, বাত ব্যথা, প্যারালাইসিস বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা দিতেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। গত ৮ জানুয়ারি রাজধানীর বাড্ডা সাতারকুলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশু আয়ান মারা যায়। টানা সাত দিন লাইফ সাপোর্টে ছিল আয়ান।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৫

সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে ফের শিশুর মৃত্যু, খোঁজ নেই ডাক্তার-স্টাফদের
রাজধানীতে আবারও সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে আহনাফ তাহমিন আয়হাম নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার পর আর ঘুম ভাঙেনি শিশুটির। পরিবারের অভিযোগ, ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে আয়হাম। বুঝতে পেরে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যান ডাক্তার-স্টাফরা। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার কিছু পর রাজধানীর মালিবাগের জেএস হাসপাতালের অপারেশন রুমে সুন্নতে খতনার জন্য অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়া হয় শিশুটিকে, যাতে গভীর ঘুমে তলিয়ে যায় আয়হাম। পরিস্থিতি খারাপের দিতে যেতে থাকলে আরেকটি হাসপাতাল থেকে আনা হয় চিকিৎসক। কিন্তু পরীক্ষা করে দেখা যায়, চিরঘুমে চলে গেছে আয়হাম। মৃত শিশু আয়হাম মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। পড়াশোনায় মনোযোগী থাকায় তাকে ঘিরে ছিল বাবা-মার আকাশছোঁয়া স্বপ্ন। কিন্তু আয়হাম এখন দূর আকাশের তারা। আয়হামের বাবা বলেন, আমি তাদের পা পর্যন্ত ধরেছি। বলেছি, কিছু একটা ব্যবস্থা করেন। তারা বলে ঠিক হয়ে যাবে, এই যে দেখেন নিশ্বাস নিচ্ছে। কিন্তু এর আগেই ডেট।  ঘটনার পর আয়হামের মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায় হাসপাতালের স্টাফরা। পরে হাসপাতালটির দুই কর্মকর্তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। পুলিশ বলছে, যে দুজন হাসপাতালে উপস্থিত ছিল, তাদের পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। ভুক্তভোগীর লোকজন যদি অভিযোগ করেন, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়