• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তিন দিনের সফরে ইরানের প্রেসিডেন্ট পাকিস্তানে 
তিন দিনের সফরে পাকিস্তানে পা রেখেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচনের পর পাকিস্তানে এটিই প্রথম কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের সফর। সোমবার (২২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন। এদিন সকালে নূর খান বিমানঘাঁটিতে ইরানি প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানান পাকিস্তানের গৃহায়ন ও পূর্তমন্ত্রী মিয়া রিয়াজ হোসেন পীরজাদা। প্রতিবেদনে রেডিও পাকিস্তানের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসি আজ সোমবার পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে দেখা করবেন এবং দুই দেশের মধ্যে প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনাও হবে। প্রধানমন্ত্রী হাউসে পৌঁছালে সফররত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে। এ ছাড়া আর্থ ডে উপলক্ষে দুই রাষ্ট্রপ্রধান প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে একটি চারা রোপণ করবেন। দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন তারা। রেডিও পাকিস্তান বলেছে, ‘দুই নেতা ইসলামাবাদে একটি হাইওয়েকে ইরান এভিনিউ নামকরণসংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। তারা একটি প্রেস টক করবেন এবং প্রধানমন্ত্রী ইরানের প্রেসিডেন্ট এবং তার প্রতিনিধিদলের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজেরও আয়োজন করবেন।’ ইরানি প্রেসিডেন্টের এ সফর প্রসঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, পাকিস্তান-ইরান সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে এবং বাণিজ্য, সংযোগ, জ্বালানি, কৃষি, এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য উভয় পক্ষের বিস্তৃত এজেন্ডা থাকবে। সন্ত্রাসবাদের অভিন্ন হুমকি মোকাবিলায় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন ঘটনা এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করবেন তারা। উল্লেখ্য, গত কয়েক দশক ধরে পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইরান নজিরবিহীন ভাবেই পাকিস্তানের ভূখণ্ডে বিমান হামলা করে। জবাবে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীও ইরানে প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়।উভয় হামলাতেই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। মূলত এটিই ছিল গত কয়েক দশকের মধ্যে এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে প্রথম কোনো বড় ধরনের উত্তেজনা। অবশ্য দ্বিপাক্ষিক দৃষ্টিভঙ্গি বাদ দিলেও প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির পাকিস্তানে এই সফরটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, গত কয়েক দিন ধরে ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলাসহ উত্তেজনা চলছে। এ ছাড়া সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও গত সপ্তাহে পাকিস্তানে সফর করেছিলেন।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০৪

কেন ইরানের ইস্পাহানকেই টার্গেট করল ইসরায়েল 
ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ ইস্পাহানে আঘাত হেনেছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোররাতে এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে আগ্রাসন চালিয়ে ফিলিস্তিনের গাজাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করা মার্কিন মদদপুষ্ট দেশটি।  ইস্পাহান শহরের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থেকে কয়েকটি সন্দেহজনক বস্তু লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের পর শহরের পূর্ব দিকে ওই ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানিয়েছেন ইরানের একজন সেনা কর্মকর্তা। তবে, ইরানের ভেতর ঢুকে অনুপ্রেবশকারীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে দাবি দেশটির সেনাবাহিনীর। মার্কিন কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, ইসরায়েল থেকেই নিক্ষেপ করা হয়েছে ওই ক্ষেপণাস্ত্র।   এদিকে ইরানে হামলার ক্ষেত্রে দেশটির রাজধানী বাদ দিয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ইস্পাহানকেই কেন বেছে নিলো ইসরায়েল, সে বিষয়ে জানতে একজন পারমাণবিক ও রাসায়নিক অস্ত্রবিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি।  হামিশ ডে ব্রেটন গর্ডন নামে যুক্তরাজ্য ও ন্যাটোর পারমাণবিক অস্ত্রবিষয়ক বাহিনীর সাবেক ওই কমান্ডার বিবিসিকে বলেছেন, ইস্পাহানকে টার্গেট করা খুবই উল্লেখযোগ্য একটি বিষয়। ইরানের এই শহর ঘিরে অনেকগুলো সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। তার একটি লক্ষ্য করেই ভোররাতে হামলা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। গর্ডন বিবিসিকে বলেন, ইরান যেখানে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে বলে ইসরায়েলসহ পশ্চিমা দেশগুলোর দাবি, সেই পারমাণবিক স্থাপনার আশপাশে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। এর মধ্য দিয়ে মূলত ইরানে হামলা করার সক্ষমতার বিষয়ে জানান দিতে চেয়েছে ইসরায়েল। ইরানের নিক্ষেপ করা তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রায় সবকটিই ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল। কিন্তু ইসরায়েলের ছোড়া কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রের সবকটি সফলভাবে আঘাত হেনেছে ইসরায়েলে। ন্যাটোর পারমাণবিক অস্ত্রবিষয়ক এ কমান্ডারের মতে, প্রথাগত সামরিক সক্ষমতার বিচারে ইরানের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে ইসরায়েল। সে কারণেই ইরান ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ এড়িয়ে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুতিদের মতো গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে ছায়াযুদ্ধ চালাতে বেশি আগ্রহী।  ইরানের পক্ষ থেকে হামলার এ ঘটনাকে ছোট হিসেবে দেখানোর কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ইরানের পুরোনো আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা যে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র ভেদ করে ফেলেছে, এটা তেহরান স্বীকার করতে চাইছে না।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৫

ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার, ৩ শহরে ফ্লাইট বন্ধ
ইসফাহান শহরের কাছে বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পর বিভিন্ন প্রদেশে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করেছে ইরান। একই সঙ্গে তেহরান, ইসফাহান এবং শিরাজের ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে এপি নিউজ। প্রতিবেদনে এপি জানায়, দেশটি আক্রমণের শিকার হয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ইসরাইলে ইরানের নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়ে থাকতে পারে।  ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। আইআরএনএ জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি প্রদেশে প্রতিরক্ষা বাহিনী গোলাবর্ষণ করেছে। কী কারণে ইসফাহান শহরের বিস্ফোরণ হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা না হলেও ওই এলাকার লোকজন শব্দ শুনেছেন বলে জানিয়েছেন। আধা-সরকারি ফার্স ও তাসনিম নিউজ এজেন্সি বিস্ফোরণের শব্দের কথা জানিয়েছে, তবে কোনো কারণ উল্লেখ করেনি। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের কথা স্বীকার করে বলা হয়েছে, ওই এলাকায় 'বিকট শব্দ' হচ্ছে। ইসফাহানে ইরানি সামরিক বাহিনীর জন্য একটি প্রধান বিমানঘাঁটি রয়েছে, পাশাপাশি এর পারমাণবিক কর্মসূচির সাথে সম্পর্কিত সাইটও রয়েছে। দুবাইভিত্তিক এমিরেটস ও ফ্লাই দুবাই স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রুট বদল করে ইরানের পশ্চিমাঞ্চলে উড়তে শুরু করে। তবে এ বিষয়ে তারা কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি, যদিও বিমানচালকদের স্থানীয় সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, আকাশসীমা বন্ধ হয়ে থাকতে পারে। ইরান তেহরান এবং এর পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে বাণিজ্যিক ফ্লাইট বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইস্পাহানের কাছে ‌বিকট শব্দের কথা স্বীকার করে পর্দায় স্ক্রল করা সতর্কবার্তা দিয়েছে। ইরানের বেসামরিক মহাকাশ কর্মসূচির মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান এক্স সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বলেছেন, বেশ কয়েকটি ছোট ‌‘কোয়াডকপ্টার’ ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে বা এটি ইরানের চলমান ঘটনার অংশ কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৭

‘হাত ট্রিগারেই আছে’, ইসরাইলকে ইরানের সতর্কবার্তা
ইসরাইলে ইরানের হামলার পর নেতানিয়াহু বাহিনী পাল্টা হামলা চালাবে- এমন গুঞ্জনের মধ্যেই নতুন করে ইসরাইলকে সতর্কবার্তা দিল তেহরান। ইরানের নিউক্লিয়ার সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা আহমদ হাগতালাব বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর হুমকি আমাদেরকে আগের অবস্থান থেকে সরে আসার বিষয়টিকে তরান্বিত করছে।  তিনি আরও বলেন, ইহুদিবাদী শাসকরা যদি পারমাণবিক কেন্দ্র এবং স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায়, অবশ্যই উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে তার জবাব দেব।  ইসরাইলের পারমাণবিক স্থাপনাও চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়ে আহমদ হাগতালাব বলেছেন, ‘আমাদের হাত ট্রিগারে রয়েছে।’ ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সংস্থা তাসনিমের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ। এর আগে, ইসরাইলের যেকোনো আক্রমণ মোকাবিলায় ইরানের সামরিক বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে তেহরান। দেশটির বিমান বাহিনীও বলেছে তারা প্রস্তুত।  ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বুধবার (১৭ এপ্রিল) সেনা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক কুচকাওয়াজে বলেছেন, আমাদের মাটিতে ইহুদিবাদী শাসকদের যেকোনো আক্রমণের কঠোর জবাব দেয়া হবে।  উল্লেখ্য, এর আগে, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে সরাসরি দায়ী করেছে ইরান। হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৯

ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও কয়েকটি সংস্থার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ ঘোষণা দেন। হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালায়। আমাদের মিত্র এবং অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে রক্ষা করেছে। আমরা এই আক্রমণকে পরাজিত করতে সাহায্য করেছি। আজ (বৃহস্পতিবার) আমরা ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা এবং রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছি। বিজ্ঞপ্তিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা ইসরায়েলে হামলা করতে সহায়তা করা ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কর্পস, ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইরান সরকারের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন উদপাদন কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত নেতা এবং সংস্থাগুলোকে লক্ষ্য করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, হামলার পর আমি আমার সহকর্মী জি-৭ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা ইরানের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়াতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের মিত্র এবং অংশীদাররা ইরানের অস্থিতিশীল সামরিক কর্মসূচি সীমিত করার জন্য অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা জারি এবং ব্যবস্থা নিচ্ছে বা নেবে। জো বাইডেন বলেন, যারা ইরানের হামলাকে সক্ষম বা সমর্থন করে তাদের সবার কাছে এটি পরিষ্কার হোক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা এই অঞ্চলে আমাদের কর্মীদের এবং অংশীদারদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৪৯

ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নিল ইইউ
ইসরায়েলে হামলা করায় ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।  স্থানীয় সময় বুধবার (১৭ এপ্রিল) ব্রাসেলসে ইউভুক্ত ২৭ দেশের নেতাদের প্রথম বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খবর রয়টার্সের।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল প্রতিশোধ নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেও সেটি তারা কীভাবে নেবে, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি। তবে বৈঠকে ইইউ নেতারা ইরানের হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তারা ইসরাইলের নিরাপত্তার প্রতি নিজেদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে লেবাননসহ সব পক্ষকে উত্তেজনা এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। বৈঠকে শীর্ষ সম্মেলনের চেয়ারম্যান চার্লস মিশেল বলেছেন, ‘আমরা মনে করি ইরানকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য সবকিছু করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’  অন্যদিকে, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ বলেছেন, এটা গুরুত্বপূর্ণ যে ইসরাইল নিজস্বভাবে বড় ধরনের হামলার জবাব যেন না দেয়। ইরানের হামলার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জি-৭ দেশগুলোর সংঘাত নিয়ে উৎকণ্ঠার মধ্যে নেতানিয়াহু বলেন, কীভাবে নিজেদের রক্ষা করা যায়, আমরা সে সিদ্ধান্ত নেব। নিজেদের রক্ষার জন্য যা যা করা প্রয়োজন, সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে, গত শনিবার ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার রেশ কাটতে না-কাটতেই ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের বেইত হিল্লেল সামরিক ঘাঁটিতে মোতায়েন করা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননভিত্তিক সামরিক সংগঠন হিজবুল্লাহ।  মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ দুটি ড্রোন দিয়ে ওই হামলার কথা জানিয়েছে। যদিও এ হামলার বিষয়ে ইসরাইলের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫২

ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে ইইউ
ইসরায়েলে হামলা করায় ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ আঞ্চলিক এ জোটের শীর্ষ কূটনীতিক জোসেফ বোরেল সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন৷ মঙ্গলবার ইইউর রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি বৈঠকের পর বোরেল নতুন নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কাজ শুরু করার কথা জানান৷ তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেসের সাম্প্রতিক বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, মধ্যপ্রাচ্য একেবারে খাদের কিনারায় এসে পৌঁছেছে৷ তিনি বলেন, আজ মন্ত্রীরা একটা শক্ত অবস্থান নিয়েছেন৷ তারা সবপক্ষকে খাদের কিনারা থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন, যেন গর্তে পড়ে না যান৷ আঘাত আর পালটা আঘাত চলতে থাকলে মধ্যপ্রাচ্যে একটা পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেন বোরেল৷ বোরেল বলেন, ইইউর কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্র ইরানের ওপর আরো নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করেছে৷ জার্মানি, ফ্রান্সসহ আরো কয়েকটি রাষ্ট্র এই প্রস্তাব সমর্থন করেছে৷ কোনো কোনো রাষ্ট্র ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ড ফোর্সের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করেছে৷ সোমবার লুক্সেমবুর্গে পরবর্তী সভায় এ বিষয়ে আরো আলোচনা হবে৷
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৮

ইসরায়েলে ইরানের হামলা : প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ
ইসরায়েলে ইরানের হামলার পর বিশ্বজুড়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে সেদিকে সংশ্লিষ্টদের নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে যুদ্ধের সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বুধবার (১৭ এপ্রিল) মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়।  সভা শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, হামলার ঘটনার পর এর প্রতিক্রিয়া মোকাবিলায় যার যার খাত, সবাইকেই প্রস্তুত থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে বাণিজ্য কিংবা অর্থনীতির কথা সুনির্দিষ্ট করে বলেননি তিনি। সবাইকেই প্রস্তুতি নিতে বলেছেন এবং এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। এক্ষেত্রে যাতে কোনোকিছু ‘রিঅ্যাকটিভ’ না হয়, বরং ‘প্রোঅ্যাকটিভ’ হতে বলেছেন। উদাহরণ দিতে গিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, যেমন—তেলের দাম বাড়লে প্রভাব মোকাবিলায় আমরা কী করব, সেই বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪৫

ইরানের হামলার জবাব কীভাবে দেবে ইসরায়েল, জানাল যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের হামলার জবাবে ইসরায়েল দেশটিতে ‘সীমিত আকারে’ হামলা চালাতে পারে বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন প্রশাসনের এক সিনিয়র কর্মকর্তা এ তথ্য দিয়েছেন। খবর সিএনএনের।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ইরানের ভূখণ্ডে ছোট ও সীমিত আকারে হামলা চালানোর চিন্তাভাবনা করছে ইসরায়েল। দেশটি মনে করছে, ইরানের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের একধরনের সামরিক শক্তি প্রয়োগ করেই জবাব দেওয়া দরকার। বাইডেন প্রশাসনের ওই প্রশাসনিক কর্মকর্তা অবশ্য এও বলেছেন, নিজেদের পরিকল্পনা কী এবং সেটি কখন ঘটতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে দাপ্তরিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে এখনো কোনো সতর্কবার্তা দেয়নি ইসরায়েল। সঙ্গে যোগ করেন, ‘তবে, আমরা আশা করব, তারা (ইসরায়েল) আমাদের একধরনের সতর্কবার্তা দেবে; যাতে আমাদের সেনাদের সুরক্ষায় আমরা প্রস্তুত থাকি। এটি শুধু সামরিক বিষয়েই নয়; বরং পুরো অঞ্চলে আমাদের কূটনৈতিক মিশনের জন্যও জরুরী।’ অবশ্য ইরানে হামলা চালানোর আগে ইসরায়েল যে তাদের মিত্রদেরকে অবগত করবেই সে নিশ্চয়তা নেই বলেও জানিয়েছেন মার্কিন ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের প্রস্তুতির জন্য ইসরায়েল যে আমাদের আগাম বার্তা দেবে এ নিশ্চয়তা নেই। কখন আমাদের তারা বার্তা দেবে কিংবা আদৌ দেবে কি না, তা শুধু তারাই জানে। তবে ইসরায়েল যা করতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে আমরা সম্ভবত আবারও আমাদের আপত্তির কথা জানাব।’ মার্কিন এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘যদি ইসরায়েল পাল্টা হামলা না চালায়, উত্তেজনা কমে আসবে এবং পরিস্থিতি আগের অবস্থায় ফিরবে বলে  বিশ্বাস করে যুক্তরাষ্ট্র। এই মুহূর্তে এমন এক পরিস্থিতি বিরাজ করছে যে যেকোনো অতিরিক্ত পদক্ষেপ অন্যান্য পাল্টাপাল্টি ঘটনার দুয়ার খুলে দেবে; যার কয়েকটি খুবই ভয়ংকর।’ প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় কনস্যুলেট ভবনটি। হামলায় নিহত হন দেশটির ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) শীর্ষস্থানীয় দুই কমান্ডারসহ সাতজন সামরিক কর্মকর্তা। জবাবে গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একযোগে তিনশ'র বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে হামলা চালায় ইরান। ইসরায়েলের ভূখন্ডে এর আগে আর কখনও সরাসরি হামলা চালায় নি দেশটি।  ইতিমধ্যে ইরানের হামলার পাল্টা জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। তবে কোথায় ও কীভাবে হামলা চালানো হবে, এ নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত পৌঁছাতে পারেনি তারা। আজ বুধবার এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো বসবে মন্ত্রিসভা। দুই চিরশত্রু দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ দেখা দিয়েছে নতুন করে। ইরানে পাল্টা হামলা না করার জন্য ইসরায়েলকে আহ্বান জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ তাদের অন্যান্য পশ্চিমা মিত্ররাও। এদিকে ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালালে পরিণতি ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। আর দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাগেরি কানি বলেছেন, ইসরায়েল হামলা চালালে এবার জবাব দিতে আর ১২ দিন অপেক্ষা করবে না তেহরান। সেকেন্ডের মধ্যে পাল্টা আঘাত করবে তারা।  
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৭

ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র-ইইউ
ইসরায়েলে হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে  যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, সম্প্রতি ইসরায়েলের ওপর হামলার কারণে এখন তারা ইরানের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের দিকে নজর দিচ্ছে। প্রসঙ্গত, ইরানে ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের পর থেকে ইসরায়েলের সঙ্গে দেশটির বৈরিতাপূর্ণ সম্পর্ক চলে আসছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর থেকে হামাসকে অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করে আসায় ইরানের ওপর ক্ষোভ বাড়ে ইসরায়েলের।  এ ধারাবাহিকতায় গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় কনস্যুলেট ভবনটি। হামলায় নিহত হন দেশটির ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) শীর্ষস্থানীয় দুই কমান্ডারসহ সাতজন সামরিক কর্মকর্তা। জবাবে গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একযোগে তিনশ'র বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে হামলা চালায় ইরান। ইসরায়েলের ভূখন্ডে এর আগে আর কখনও সরাসরি হামলা চালায় নি দেশটি। এ হামলার জবাবে এবার ইরানে পাল্টা আঘাত হানার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে ইসরায়েল। সব মিলিয়ে দুই চিরশত্রু দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ দেখা দিয়েছে নতুন করে। ইরানে পাল্টা হামলা না করার জন্য ইসরায়েলকে আহ্বান জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ তাদের অন্যান্য পশ্চিমা মিত্ররাও।  এমন পরিস্থিতিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটয জানান, তিনি ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়ে ৩২টি দেশের কাছে চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানানো হয়েছে। এ চিঠির পাওয়ার পর ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি নিয়ে ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, তিনি আগামী দিনগুলোতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন বলে আশা করছেন। অন্যদিকে ইইউয়ের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেলও বলেছেন, তার ব্লক এটি নিয়ে কাজ করছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) মার্কিন অর্থমন্ত্রী ইয়েলেন বলেছেন, ‘আমরা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞার ব্যবস্থা নেব। আমরা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আগে থেকে বলি না। তবে ইরানের সন্ত্রাসী অর্থায়ন ব্যাহত করার সমস্ত বিকল্পই আমার টেবিলে রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ইরানের তেল রপ্তানি এমন একটি সম্ভাব্য ক্ষেত্র যা আমরা টার্গেট করতে পারি। স্পষ্টতই, ইরান এখনও কিছু পরিমাণ তেল রপ্তানি করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা হয়তো আরও কিছু করতে পারি।’ ইয়েলেন বলেন, ইরানকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই আর্থিক নিষেধাজ্ঞাগুলোকে ব্যবহার করছে। পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি এবং সংস্থাকে লক্ষ্য করে আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞা প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোকে অর্থায়ন করার এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধকে সমর্থন করার ক্ষমতাকে ব্যাহত করার কাজ করছে। এদিকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন কর্মসূচির পাশাপাশি তাদের বিপ্লবী গার্ড এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে লক্ষ্য করে নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করা হবে। আমরা আশা করি, আমাদের মিত্র এবং অংশীদাররা শিগগিরই তাদের নিজস্ব নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করবে।’ অন্যদিকে ইইউর শীর্ষ কূটনীতিক জোসেফ বোরেল বলেছেন, কিছু সদস্য দেশ ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়ানোর জন্য বলেছে। নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করার জন্য ইইউয়ের কূটনৈতিক পরিষেবার কাছে অনুরোধ পাঠানো হবে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়