• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দাঁড়িয়ে থাকা বগিতে ইঞ্জিনের ধাক্কা, আহত অর্ধশত যাত্রী
লালমনিরহাট স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে ইঞ্জিনের সজোরে ধাক্কায় অন্তত ৫০ যাত্রী আহত হয়েছেন। শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বাকিরা রেলওয়ের হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। গুরুতর আহতরা হলেন শেফালী আক্তার (৪০), সামিনা খাতুন (৬২), নবিজুল ইসলাম (৬০) ও জাহেদুল ইসলাম। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুড়িমারী থেকে পার্বতীপুর গামী ৪৫৬/৪৬১ নম্বর লোকাল ট্রেনটি লালমনিরহাট স্টেশনে এলে অন্য একটি ইঞ্জিন বদলের জন্য বগিগুলোর সঙ্গে সংযোগের উদ্দেশ্যে লোকোশেড থেকে এগিয়ে আসতে থাকে। এ সময় রেলওয়ের লোকো মাস্টার রাজ গোবিন্দ ইঞ্জিনটি চালাচ্ছিলেন। বগির কাছাকাছি আসার সময় ইঞ্জিনটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দ্রুত গতিতে বগিগুলোকে ধাক্কা দিলে বিকট শব্দ হয়। এতে বগির অভ্যন্তরে থাকা অর্ধশত যাত্রী ছিটকে পড়ে গিয়ে আহত হয়ে আতঙ্কে দিগ্বিদিক ছুটতে থাকেন। আহতদের মধ্যে চারজনকে পাশেই থাকা রেলওেয়ের বিভাগীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। বাকিরা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নেন। দুর্ঘটনায় আহত শেফালি আক্তার বলেন, আমি ভেবেছিলাম ইঞ্জিন বদলের সময় তেমন জোরে ধাক্কা দেয় না। কিন্তু কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই ইঞ্জিন প্রবল বেগে ধাক্কা দিলে আমি মাটিতে পড়ে যাই। আমার মাথায় দুইটি শেলাই পড়েছে। লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহফুজ বলেন, আমাদের এখানে জরুরি বিভাগে গুরুতর চারজনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বাকিরা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে শুনেছি। এ ব্যাপারে লোকো মাস্টার রাজ গোবিন্দ দাস বলেন, ইঞ্জিনের ব্রেক লাগাতে দেরি হওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ইঞ্জিনের গতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় দশ কিলোমিটার ছিল বলে তিনি দাবি করেন। লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার নূরনবী বলেন, একটা ইঞ্জিন বদল হয়ে আরেকটা ইঞ্জিন সংযোগ নেয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জোরে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনাটা ঘটে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ওই ইঞ্জিনের লোকো মাস্টার রাজ গোবিন্দ সেই ট্রেন নিয়ে ইতিমধ্যে রওনা করেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জেনেছেন, তারা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। জানতে চাইলে রেলওয়ের লালমনিরহাট ডিভিশনাল ম্যাকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (লোকো) শাহিনুল হক অপু বলেন, আমরা অভিযুক্ত লোকো মাস্টারকে আপাতত আর কোনো ট্রেনের দায়িত্ব দেবো না। ঘটনা তদন্তে ইতিমধ্যে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা প্রতিবেদন জমা দিলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩৮

ট্রেনের ধাক্কা, ইঞ্জিনের হুকে লাশ আটকে ছুটল ২৫ কিমি
নরসিংদীর রায়পুরায় ট্রেনের ইঞ্জিনের হুকে আটকে আবদুল বারিক (৭২) নামে এক ব্যক্তির লাশ প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরের ভৈরব রেলস্টেশন পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায় সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন। পরে ট্রেন থামিয়ে লাশ সরিয়ে রাখার পর তা উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রায়পুরার আমিরগঞ্জ রেলস্টেশন-সংলগ্ন রেললাইন পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  আবদুল বারিক নরসিংদীর রায়পুরার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদ এলাকার বাসিন্দা। হাসনাবাদ বাজারে পানের দোকানদার ছিলেন তিনি। রেলওয়ে পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর বিরতিহীন সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি রায়পুরার আমিরগঞ্জ রেলস্টেশন দ্রুতগতিতে অতিক্রম করছিল। এ সময় আবদুল বারিকও রেললাইন পার হয়ে দোকানে যাচ্ছিলেন। ট্রেনটির ধাক্কায় তার দেহ রেললাইনের ওপর না পড়ে শূন্যে উঠে যায়। এরপর লাশটি ট্রেনের ইঞ্জিনের হুকের সঙ্গে আটকে যায়। বিষয়টি ট্রেনের কর্মীরা তখন বুঝতে পারেননি। বিরতিহীন হওয়ায় ট্রেনটিও কোথাও না থেমে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের কাছাকাছি চলে যায়। তখন ইঞ্জিনের হুকে লাশ আটকে থাকার বিষয়টি টের পেয়ে ট্রেন থামান লোকোমাস্টার। ট্রেনটির কর্মীরা দ্রুত লাশটি সরিয়ে রেখে রেলওয়ে পুলিশকে খবর দেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভৈরব রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এস আই) কার্তিক চন্দ্র রায় সেখানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর লাশ রেলওয়ে থানায় এনে রাখা হয়। খবর পেয়ে নিহতের ছেলে ইমরান মিয়া থানায় গিয়ে পরিচয় শনাক্ত করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে ভৈরব রেলওয়ে থানার এস আই কার্তিক চন্দ্র রায় গণমাধ্যমকে বলেন, রায়পুরার আমিরগঞ্জ রেলস্টেশন-সংলগ্ন এলাকায় অসতর্কভাবে রেললাইন পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও নিহতের স্বজনদের সঙ্গে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়