• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নিজের সিনেমার বেহাল দশা দেখে হতাশ পূজা চেরি
আসছে ঈদে মুক্তি পেয়েছে প্রায় ডজন খানেক সিনেমা। সেই তালিকায় রয়েছে পূজা চেরি ও আদর আজাদ অভিনীত ‘লিপস্টিক’। তবে সিনেমাটির নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন ছবির নায়ক-নায়িকাসহ কলাকৌশলীরা। স্টার সিনেপ্লেক্সে কোনো শো-ই পায়নি। নানা জটিলতার পর ব্লকবাস্টার, লায়ন সিনেমাসসহ আটটি হলে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি।  নিজের সিনেমার এমন বেহাল দশা দেখে হতাশ পূজা। এর পেছনে নোংরা রাজনীতি দায়ী বলে মনে করছেন তিনি। বাংলাদেশে ভালো জিনিসের কদর নেই বলে মত তার। এক সাক্ষাৎকারে পূজা বলেন, আমরা নিজেরাই নিজেদের সিনেমার ক্ষতি করছি। এভাবে ভালো সিনেমার পথ রুদ্ধ হলে, কীভাবে আমাদের সিনেমা ঘুরে দাঁড়াবে? সিনেমায় নোংরা রাজনীতি ঢুকে গেছে। এমনিতেই হলের সংখ্যা কম, তার মধ্যে এই রাজনীতি। বাংলাদেশে ভালো জিনিসের কদর নেই। ‘লিপস্টিক’রাজনীতির শিকার উল্লেখ করে এ নায়িকা আরও বলেন, কেউ কেউ যখন নির্দিষ্ট করে কোনো কোনো হলে গিয়ে বা ফোনে তাদের সিনেমা মুক্তির জন্য হলমালিককে বলেন, আমার সিনেমার জন্য এই হল দিতেই হবে, হলমালিক দিতে বাধ্য। এমন ঘটনা এবার ঘটেছে। এভাবেই কোনো কোনো সিনেমা হল পেয়েছে। হতাশা ব্যক্ত করে পূজা বলেন, ভালো কাজ করেও তা দর্শকের কাছে পৌঁছে পারছেন না। এ ধরনের কাজ আর করা হবে কি না, জানি না। কিন্তু কম হল পাওয়ার কারণে ছবিটি সবাইকে দেখানো সম্ভব হচ্ছে না। আমার অভিনীত সিনেমা নিয়ে আগে এমনটি কখনোই হয়নি। মনটা ভালো নেই। এদিকে কিছুদিন আগে সিনেমা নিয়ে রাজনীতির শিকার হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সিনেমাটির নায়ক আদর আজদ।  সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে এতে অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, শহীদুজ্জামান সেলিম, জায়েদ খান প্রমুখ। ছবিটি পরিচালনা করেছেন  কামরুজ্জামান রোমান। 
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৫

আর সত্যি কথা বলবেন না আবুল কালাম আজাদ
নাটোর-১ (লালপুর) আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ নির্বাচনে খরচ করা এক কোটি ২৬ লাখ টাকা তোলার ঘোষণা দিয়ে এখন তোপের মুখে৷ সংবিধান ও আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তার শাস্তি দাবি করছেন অনেকে৷ এ প্রসঙ্গে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি যে কথা বলেছি তা সত্য এবং সরল বিশ্বাসে বলেছি৷ তবে এখন মনে হচ্ছে সব সত্য কথা এভাবে বলতে নাই৷ ভবিষ্যতে এভাবে সত্য কথা বলবো না৷ আবুল কালাম আজাদ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হয়েছেন৷ ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন৷ নাটোরের লালপুর উপজেলায় ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য আবুল কালম আজাদ বলেন, নির্বাচনে এক কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে৷ এটা আমি তুলবো, যেভাবেই হোক৷ এটুক অন্যায় আমি করবোই৷ তাপর আর করবো না৷ তিনি আরো বলেন, ২৫ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছি৷ ট্যাক্স-ফ্রি গাড়ি কিনেছি ২৭ লাখ টাকা দিয়ে৷ ইচ্ছা করলে আমি এক কোটি টাকা দিয়ে গাড়ি কিনতে পারতাম৷ কিন্তু আমার যেহেতু টাকা নাই, আমি ২৭ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম৷ এবার আমি কিনবো, ওই টাকা দিয়ে কিনবো৷ ওই টাকা আমি তুলে নেবো৷ পরে আর কিছু করবো না৷ খালি এই এক কোটি ২৬ লাখ টাকা তুলবো৷ সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ শুক্রবার বলেন, আমি একজন আইনজীবী৷ এছাড়া আমার আয়ের আর কোনো উৎস নাই৷ অনেক লোককে সহায়তা করতে হয়৷ করোনার সময় অনেককে সহায়তা করেছি৷ এখন আবার পাঁচ বছর করতে হবে৷ আমি কোথায় টাকা পাবো? এক প্রকল্পের টাকা আরেক প্রকল্পে নেবো৷ এক প্রকল্প থেকে টাকা বাঁচিয়ে সেই টাকা দিয়ে মানুষকে সহায়তা করবো৷ এগুলোও দুর্নীতি, অনিয়ম৷ কিন্তু এছাড়া তো আর উপায় নাই৷ তার কথা, সংসদ সদস্য হিসেবে আমার পাঁচ বছরের বেতন-ভাতা এক কোটি ২৬ লাখ টাকা৷ সেই টাকা তো নির্বাচনে খরচ করে ফেলেছি৷ তাই আমি সেই টাকা তোলার কথা বলেছি৷ আর এটা সত্য যে, নির্বাচনে ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ের সীমা থাকলেও আমার এক কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে৷ সেটা তো আমি বলতে পারবো না৷ তবে আমি ওই কথা বলেছি মানুষকে বাস্তব পরিস্থিতি বোঝানোর জন্য৷ এটা ছিল কথার কথা৷ আমি শেষে বলেছি যে, আমি দুর্নীতি করবো না৷ তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সালে আমি বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছি৷ আমি ছাড়া আর কোনো প্রার্থী ছিল না৷ তখন আমার নির্বাচনে কোনো টাকা খরচ হয়নি৷ এবার তো হয়েছে৷ ওই ধরনের কথা আইন ও সংবিধানের লঙ্ঘন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে সব সত্য কথা এভাবে প্রকাশ্যে বলতে নেই৷ এটা আমি বুঝতে পেরেছি৷ বুঝতে পেরেছি যে, কিছু কথা গোপন রাখতে হয়৷ ভবিষ্যতে এভাবে সত্য কথা আর বলবো না৷ ওই আসনের সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য মো. শহীদুল ইসলাম বকুল এবার নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে হেরে যান৷ তিনিও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি৷ তার মতে, এমপি সাহেব যা বলেছেন তাতে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিত৷ আমি নিজেও আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছি৷ দেখি তার বিরুদ্ধে মামলা করা যায় কিনা৷ তার কথা, আবুল কালাম সাহেব এরকম কথা আগেও বলেছেন৷ ২০১৪ সালে বিনা ভোটে এমপি হয়ে তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর লালপুরের প্রধানমন্ত্রী আমি৷ এরপর তিনি দল থেকে আর মনোনয়ন পাননি৷ তিনি বলেন, একজন আইন প্রণেতা হয়ে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি যা বলেছেন, তা আমাদের স্বাধীনতার চেতনা এবং সংবিধানের লঙ্ঘন৷ আশা করি, দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে৷ বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আসলে দেশে যে আইনের শাসন নেই সেটা ওই এমপি সাহেবের বক্তব্যের পর আবারও প্রমাণিত হলো৷ কারণ, তিনি সংবিধানের অধীনে শপথ নেয়ার পর দুর্নীতি করার কথা বলেছেন, এটা সংবিধান লঙ্ঘন ছাড়াও ফৌজদারি অপরাধ৷ তিনি একজন আত্মস্বীকৃত অপরাধী৷ কিন্তু এখনো তার বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি৷ যেখানে তিনি ওই কথা বলেছেন, সেই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেছেন ইউএনও৷ তিনিও কোনো আইনগত উদ্যোগ নেননি৷ দেশে এখন আইনের শাসন নাই৷ আওয়ামী লীগ যা করবে, তাই আইন৷ ওই এমপি সাহেব স্বতন্ত্র হলেও তিনি আওয়ামী লীগেরই লোক৷ তার কথা, এরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়৷ তাই এদের কোনো জবাবদিহিতা নাই৷ এরা দুর্নীতি করে৷ এবার প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে দুর্নীতি শুরু করেছে৷ আর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য এস এম কামাল হেসেন বলেন, এমপি সাহেব ওই কথা যদি বলে থাকেন, তাহলে তা দুঃখজনক৷ তারপরও তিনি কী ব্যাখ্যা দেন তা দেখার আছে৷ তার কথা, এখন নির্বাচন কমিশন দেখতে পারে যে, তার ওই কথার ওপর ভিত্তি করে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায় কিনা৷ আর দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নিতে পারে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি৷ হয়ত পরবর্তী সভায় বিষয়টি নিয়ে আলাপ হবে৷ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ৷ তারপরেও সব পর্যায়ে দুর্নীতি আছে৷ সেটা রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক সবখানেই৷ সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ওই এমপি যেহেতু নিজেই স্বীকার করছেন যে, তিনি ২৫ লাখ টাকার বেশি নির্বাচনে খরচ করেছেন৷ আর হিসাব দিচ্ছেন ২৫ লাখ টাকার৷ এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিতে পারেন৷ আর দুর্নীতি করার ঘোষণা দিয়ে তিনি দেশের প্রচলিত আইনেই অপরাধ করেছেন৷ এটা স্পিকার বা অন্য কোনো সংস্থা দেখতে পারে৷ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক বলেন, তিনি সংবিধান ও আইনের লঙ্ঘন তো করেছেনই, একই সঙ্গে আমাদের রাজনীতির দেউলিয়াত্ব তার কথায় প্রকাশ হয়েছে৷ তার মতে, সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ মতে, ওই এমপির বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের অভিযোগে ব্যবস্থা নিতে পারেন স্পিকার৷ তিনি বিষয়টি সংসদেও তুলতে পারেন অভিশংসনের জন্য৷ আর নির্বাচন কমিশন ২৫ লাখ টাকার বেশি খরচ করার কথা তিনি যেহেতু স্বীকার করছেন, তাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে৷ দলেরও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন৷ আর সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, যেভাবেই হোক ওই এমপি সাহেব মুখ ফসকে সত্য কথা বলে ফেলেছেন৷ বাস্তব অবস্থা এর চেয়েও খারাপ৷ তার কথা, উনি যেহেতু নির্বাচনে নির্ধারিত সীমার বেশি খরচ করেছেন এবং সেই টাকা আবার দুর্নীতির মাধ্যমে তোলার কথা বলেছেন এটা নৈতিক স্খলন৷ এটার জন্য তিনি দণ্ডিত হতে পারেন৷ যেহেতু তিনি শপথ নিয়েছেন তাই সংসদকে উদ্যোগ নিতে হবে৷ স্পিকার যদি নির্বাচন কমিশনে বিষয়টি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পাঠান, তাহলে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিতে বাধ্য৷
৩০ মার্চ ২০২৪, ১১:১৬

ফের নোয়াবের সভাপতি এ কে আজাদ
সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ মেয়াদের জন্য গঠিত এই কমিটিতে সংগঠনটির সভাপতি পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন সমকালের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান টাইমস মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ। টানা তৃতীয় মেয়াদে নোয়াবের সভাপতির দায়িত্বে এলেন তিনি। রোববার (২৮ জানুয়ারি) সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) নির্বাচন বোর্ডের পক্ষে ফিন্যান্সিয়াল এক্সেপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ নতুন কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন। নতুন কমিটির সহ–সভাপতি হয়েছেন নিউএজের এডিটোরিয়াল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ এস এম শহীদুল্লাহ খান ও কোষাধ্যক্ষ পদে এসেছেন মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী। তারা দুজনই স্ব স্ব পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। কার্যনির্বাহী কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন– প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান, দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহ্ফুজ আনাম, ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, আজাদীর সম্পাদক এমএ মালেক, করতোয়ার সম্পাদক মোজাম্মেল হক, সংবাদের সম্পাদক আলতামাশ কবির, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, ভোরের কাগজের পরিচালক তারিক সুজাত, বণিক বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এং যুগান্তরের পরিচালক শামীম ইসলাম।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:৫৩

আমার প্রধান কাজ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা : এ কে আজাদ
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য এ কে আজাদ বলেছেন, আমার প্রধান কাজ হচ্ছে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। যে সব বেকার যুবক আছে তাদের কর্মসংস্থান বাড়ানো। পাশাপাশি যেসব চাঁদাবাজ আছে, মাদক আছে এবং বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাস আছে সেগুলো থেকে ফরিদপুরবাসীকে রেহাই দেওয়া। পাশাপাশি শিক্ষাঙ্গনে যাতে শিক্ষার মান বাড়ানো যায় সে চেষ্টা করা। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করার পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ কে আজাদ বলেন, আমরা স্বতন্ত্র যে ৬২ জন সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি, তারা যদি একটি মোর্চা করার সুযোগ পাই তাহলে সংসদে জাতীয় পার্টি থেকে ভালো করবো। ফরিদপুর -৩ (সদর) আসনের এ সংসদ সদস্য বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদধারী নেতা হলেও আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থী। নৌকা কিংবা দলীয় কোনো প্রতীকে  নির্বাচন করিনি। আমরা একেক জন ভিন্ন ভিন্ন মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেছি। সেক্ষেত্রে দলীয় প্রার্থীদের তুলনায় আমরা উন্মুক্ত। তিনি বলেন, আমি মনে করি বিরোধীদলের (জাতীয় পার্টির) ১১ জনের চেয়ে আমরা ভালো ভূমিকা রাখতে পারবো। আমরা এ সিদ্ধান্তটা স্পিকারের সঙ্গে বসার পর নেব। এর আগে আমি আর কিছু বলতে চাচ্ছি না। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ আর দরিদ্র দেশের পর্যায়ে নেই, মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এ সময় ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভী মাসুদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:০৪

শপথ নিয়েই ভোটারদের দেওয়া যে প্রতিশ্রুতি পূরণ করলেন এমপি আজাদ
প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করলেন কুমিল্লা-৪ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ। বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে এমপি হিসেবে শপথগ্রহণ শেষে দেবিদ্বারে সিএনজি স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজি বন্ধ করে ন স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত মো. আবুল কালাম আজাদ। শপথ নেওয়ার দিন সামাজিকমাধ্যমে চাঁদাবাজি বন্ধ করার ঘোষণা আবুল কালাম আজাদ। এতে উপজেলার দুই শতাধিক সিএনজি স্ট্যান্ড, অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যান থেকে চাঁদা (জিপি) আদায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘোষণায় ক্ষুদ্র যানবাহন চালক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। আবুল কালাম আজাদের অভিযোগ, তার আসনের দুই শতাধিক সিএনজি স্ট্যান্ডে গত ১০ বছর ধরে সাবেক সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের নাম ভাঙিয়ে তার লোকজন ইজারা নিয়ে সিএনজি স্ট্যান্ডের নামে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করতেন। জানা গেছে,  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদকে রায় দেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন। তাদের দাবি ছিল, রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের লোকজনের চাঁদাবাজির বন্ধ করতে হবে। কারণ, চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ঠ ছিল খেটেখাওয়া ক্ষুদ্র যানবাহনের চালক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা।  এমপি আবুল কালাম আজাদের ভাষ্য, ‘গরিব অসহায় মানুষের কাছ থেকে যারা চাঁদা নিয়েছে তারা এ নির্বাচনে সঠিক জবাব পেয়েছে। আমি এসেছি মানুষের কল্যাণে কাজ করতে। কোনো সিএনজি স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি চলবে না।’
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৬

আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা একত্রে থাকব : এ কে আজাদ
স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এ কে আজাদ বলেছেন, আমাদের মাঝে প্রাথমিক একটা আলোচনা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবাই একত্রে থাকব। তবে কংক্রিট কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বুধবার (১০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণের আগে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ কে আজাদ বলেন, যেহেতু আমরা অধিকাংশই এসেছি আওয়ামী লীগ থেকে সেক্ষেত্রে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর ওপর।  এসময় তিনি বলেন, তার নির্বাচনী এলাকায় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করবেন। কর্মসংস্থান তৈরিতেও তিনি কাজ করতে চান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পর সবচেয়ে বেশি বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তারপর রয়েছে জাতীয় পার্টি। ফলে সংসদে বিরোধী দল কে হবে, তা নিয়ে এখনো নানা আলোচনা চলছে। আজ সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের শপথকক্ষে প্রথমে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান একাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এরপর বেলা ১১টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেন। গতকাল মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করে। সংবিধানের বিধান অনুযায়ী গেজেট প্রকাশের তিনদিনের মধ্যে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করতে হবে। শপথ গ্রহণের পরই তিনি কার্যভার গ্রহণ করেছেন বলে গণ্য হবেন। উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি রোববার সারাদেশে একযোগে ২৯৯ আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ২৯৮ আসনের ফল বেসরকারিভাবে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে ২৯৮ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২২৫ আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠা লাভ করেছে। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৬১টি আসন, এ ছাড়া অন্যান্য দল থেকে পেয়েছে ১টি আসন।
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৩

ফরিদপুর-৩ / বিপুল ভোটে জয়ী এ. কে. আজাদ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ. কে. আজাদ। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী শামীম হক পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৮৯ ভোট। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোট ৬ জন প্রার্থী। ১৫৪ কেন্দ্রের মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ২ লাখ ১০ হাজার ৮২৪, বাতিল ভোট ২ হাজার ২০০, সর্বমোট প্রদত্ত ভোট ২ লাখ ১৩ হাজার ২৪টি। আর প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ৫২ দশমিক ৬৯ শতাংশ।  এছাড়া আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের মুঈদ হোসেন আরিফ (ডাব), তিনি পেয়েছেন ৪৪১ ভোট, জাতীয় পার্টির এস, এম, ইয়াহিয়া (লাঙ্গল), তিনি পেয়েছেন ৫৮৩ ভোট, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের গোলাম রাব্বানী খাঁন (নোঙ্গর), তিনি পেয়েছেন ২৯২ ভোট। আর বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. দেলোয়ার হোসেন একতারা প্রতীকে পেয়েছেন ৩২১ ভোট।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:৪৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়