• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কোভিড টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করলো অ্যাস্ট্রাজেনেকা
উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ইসরায়েলকে যে পরামর্শ দিল যুক্তরাজ্য
ইসরায়েলে ইরানের হামলার ইস্যু নিয়ে বিশ্ব রাজনীতি অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তেল আবিবকে পাল্টা হামলা না চালাতে জোর দিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। যদিও প্রতিশোধ নিতে বায়না ধরে আছে ইসরায়েল। এ অবস্থায় বন্ধু হিসেবে তেল আবিবকে কিছু পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের উদ্দেশে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেন, তেহরানের হামলা প্রায় ব্যর্থ হয়েছে। এ অবস্থায় আর প্রতিশোধমূলক আক্রমণে যাওয়া উচিত নয়।  ইরানের হামলার জবাব অবশ্যই দেওয়া ন্যায্য উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, তবে বন্ধু হিসেবে আমি বলল, মস্তিস্কের পাশাপাশি হৃদয় দিয়ে চিন্তা করুন। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা না বাড়ানোর অনুরোধ করছি। এ সময় ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকার তার মিত্রদের সঙ্গে কাজ করবে বলেও জানান ডেভিড ক্যামেরন। এদিকে, সোমবার (১৫ এপ্রিল) ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর চিফ অব স্টাফ হারজি হালেভি বলেন, ইরানের ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপের জবাব দেওয়া হবে। তবে কিভাবে জবাব দেওয়া হয়ে সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। অন্যদিকে, ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হোসাইন বাঘেরি বলেছেন, অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আমাদের নেই। তবে, ইসরায়েল পাল্টা কিছু করার চেষ্টা করলে বড় পরিসরে হামলা চালানো হবে ইরানের প্রতিক্রিয়া। এর আগে, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে সরাসরি দায়ী করেছে ইরান। হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলের দাবি, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র গুলো ইসরাইলের আকাশসীমায় পৌঁছানোর আগেই ভূপাতিত করা হয়েছে। শতাংশ হামলাই প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইরান বলছে, হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমান ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে।
অভিবাসন প্রত্যাশীদের যে দুঃসংবাদ দিল যুক্তরাজ্য
ক্যানসারে আক্রান্ত কেট মিডলটন
ছবিতে ডিজিটাল কেরামতি দেখিয়ে আবার শিরোনামে ব্রিটিশ রাজপরিবার
ব্রিটেনে গির্জাকে ১০০ বিলিয়ন পাউন্ড ‘জরিমানা’
লন্ডনের পুলিশ স্টেশনে আগুন
লন্ডনের পূর্বাঞ্চলে একটি পুলিশ স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় বুধবার (৬ মার্চ) বিকেলে শহরের ফরেস্ট গেইট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ১৭৫ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী। পরে ভবনের ছাদ ভেঙে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন তারা। খবর স্কাই নিউজের।  প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩০টি ফায়ার ইঞ্জিনের সহায়তায় আগুন পাশের ভবনে ছড়ানো আগেই নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘটনার সময় ওই ভবনে অন্তত ৬০ জন লোক ছিলেন। তাদের সবাইকে বের করে আনা হয়েছে। আগুনের সংবাদ পাওয়ার পর লন্ডনের মেয়র সাদিক খান স্থানীয়দের উদ্দেশে এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট করেন। যেখানে তিনি বলেন, স্থানীয়দের ওই এলাকাটি আপাতত এড়িয়ে চলা উচিত। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, রমফোর্ড রোডের ফরেস্ট গেটে পুলিশ স্টেশন থেকে প্রচুর ধোঁয়া বের হতে দেখে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তারাই তখন দ্রুত জরুরি সেবা নম্বরে কল করেন। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে, নিউহ্যাম পুলিশের কমান্ডার কাইল গর্ডন বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যে উপনির্বাচনে ঋষি সুনাকের ভরাডুবি
যুক্তরাজ্যে দুটি জেলায় উপনির্বাচনে বড় ‘ধাক্কা’ খেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। দুই আসনে উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন লেবার পার্টি নেতা। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বার্তা সংস্থা এপি। শুক্রবার উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে দেখা যায়, দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের কিংসউডের হাউস অব কমন্সের আসনে জয়ী হয়েছেন লেবার পার্টির প্রার্থী ড্যামিয়েন ইগান। দেশটির কেন্দ্রের ওয়েলিংবরোক শহরের আসনটি জিতেছেন দলটির নেতা জেন কিচেন। এপির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে এ দুই আসনে বড় ব্যবধানে জিতেছিলেন রক্ষণশীলরা। বৃহস্পতিবারের বিশেষ নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হয়েছে। নির্বাচনে লেবার পার্টির দু’জন নেতাকে বিজয়ী করেছেন ব্রিটিশ ভোটাররা। জানা গেছে, গত মাসে কিংসউডের আসন ছেড়েছেন কনজারভেটিভ দলের নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্রিস স্কিডমোর। এদিকে যৌন অসদাচরণের অভিযোগে ওয়েলিংবরোকের সাবেক সংসদ সদস্য পিটার বোনকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে।
ব্রিটেনের রাজা চার্লসের ক্যানসার
ব্রিটেনের রাজা চার্লসের ক্যানসার ধরা পড়েছে। তাই জনসমক্ষে সব ধরনের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকবেন তিনি। সোমবার (৫ ফেব্রয়ারি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাকিংহাম প্রাসাদ। তবে তার কী ক্যানসার হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি তারা। বাকিংহাম প্রাসাদের বিবৃতিতে বলা হয়, চিকিৎসায় সেরে ওঠার ব্যাপারে সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে ৭৫ বছর বয়সী রাজা চার্লসের। যত দ্রুত সম্ভব তিনি আবার স্বাভাবিক দায়িত্ব পালনে ফিরবেন। গত মাসে তিন রাত হাসপাতালে কাটিয়েছেন চার্লস। সে সময় তার প্রোস্টেটের চিকিৎসা করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাকালে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয় বলেও জানিয়েছে বাকিংহাম প্রাসাদ। প্রসঙ্গত, মা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রিটেনের রাজা হিসেবে অভিষেক ঘটে চার্লসের।
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবছে যুক্তরাজ্য
আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সঠিক সময়ের অপেক্ষায় আছে যুক্তরাজ্য। স্থানীয় সময় সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এ কথা জানান। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড কামেরন বলেন, ফিলিস্তিনিদের অবশ্যই একটি রাজনৈতিক আশাবাদের জায়গা থাকতে হবে, যাতে তারা দেখতে পায় দুই রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে এমন অগ্রগতি হয়েছে, যেখান থেকে ফিরে আসার উপায় নেই। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রটি কেমন হবে, এর ভৌগোলিক গঠন কেমন হবে ও কীভাবে পরিচালিত হবে- এসব বিষয়ে আমাদের কাজ শুরু করে দেওয়া উচিত। কনজারভেটিভ মিডল ইস্ট কাউন্সিলকে তিনি বলেন, জাতিসংঘসহ অন্য মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে আমরা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবো। তিনি বলেন, এতে বিষয়টি বাস্তবায়নে সহায়তা হতে পারে। ক্যামেরন গাজায় আরও মানবিক সহায়তা ঢুকতে দেওয়ার জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ব্রিটিশ এবং অন্যান্য দেশের পাঠানো মানবিক সহায়তা সীমান্তে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি ‘হাস্যকর’।  ক্যামেরন বলেন, গত ৩০ বছর ইসরায়েলের ব্যর্থতার গল্প, কারণ তারা তার নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, এই ব্যর্থতা স্বীকার করার মাধ্যমেই কেবল শান্তি ও অগ্রগতি হবে। ব্রিটেন দীর্ঘদিন ধরে দুই রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করে আসছে, যেখানে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিরা পৃথক দেশের পাশাপাশি বসবাস করতে পারে।
হাউজ অব কমন্সে বিতর্কিত রুয়ান্ডা বিল পাস
নিজ দলের ভেতরের বিদ্রোহ ব্যর্থ করে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সে সফলভাবে নিজেদের রুয়ান্ডা বিল পাস করাতে সক্ষম হয়েছে ঋষি সুনাক সরকার। ঋষি সুনাক সরকার যুক্তরাজ্যে আশ্রয়-প্রত্যাশীদের রুয়ান্ডা পাঠিয়ে দেওয়ার একটি পরিকল্পনা করেছে। সরকারের ওই পরিকল্পনা আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়া আটকাতে এই বিলটি প্রস্তাব করা হয়। বুধবার হাউজ অব কমন্সে তা ৩২০-২৭৬ ভোটে পাস হয়। রুয়ান্ডা নিরাপদ দেশ নয়, তাই আশ্রয় প্রত্যাশীদের সেদেশে পাঠিয়ে দেওয়া আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হবে বলে যুক্তরাজ্য সরকারের বিতর্কিত এই রুয়ান্ডা প্ল্যান গত বছর আটকে দেয় দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার পাস হওয়া বিলটি যদি আইনে পরিণত হয় তবে বিচারকরা রুয়ান্ডাকে তৃতীয় নিরাপদ দেশ হিসেবে বিবেচনা করতে বাধ্য হবেন। যেহেতু বিলটি হাউজ অব কমন্সে তৃতীয় ও চূড়ান্ত বাধা অতিক্রম করে গেছে, তাই এখন সেটি উচ্চ কক্ষ হাউজ অব লর্ডসে পাঠানো হবে। সেখানে অনুমোদন পেলেই বিলটি আইনে পরিণত হবে। পার্লামেন্টারি বিতর্কে কী বলা হয়েছে? বিরোধী দলের নেতা কেইর স্টারমার বিলটির ভিন্ন একটি প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। যুক্তরাজ্য সরকার তাদের রুয়ান্ডা প্ল্যানের অংশ হিসেবে আশ্রয় প্রত্যাশী যে পাঁচ হাজার জনকে রুয়ান্ডা পাঠিয়ে দেবেন বলে ঠিক করেছিল তাদের প্রায় ৮৫ শতাংশের খোঁজ এখন আর তাদের হাতে নেই বলে স্বীকার করেছে সুনাক সরকার। স্টারমার প্রশ্ন তোলেন, সরকার তাদের খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছে কিনা। বলেন, এই নীতি নিয়ে বিতর্কের আগেই তো এটি ব্যয়বহুল ও অকার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। এটা কোনো পরিকল্পনা নয়, এটা প্রহসন। শুধুমাত্র এই সরকারই এমন একটি অপসারণ নীতিতে কয়েক মিলিয়ন পাউন্ড অপচয় করতে পারে, যেটি আদতে কাউকে অপসারণ করে না। রুয়ান্ডা পলিসি কী? রুয়ান্ডা প্ল্যান অনুযায়ী, যুক্তরাজ্য সরকার সে দেশে অবৈধভাবে প্রবেশ করা ব্যক্তিদের রুয়ান্ডায় পাঠিয়ে দেবে। সেখানে তারা যুক্তরাজ্যে বসবাসের কোনো সম্ভাবনা ছাড়াই আশ্রয় চাইতে পারবে। এই প্ল্যান মূলত ২০২১ সালে করা, যখন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বরিস জনসন এবং ঋষি সুনাক ছিলেন তার অর্থমন্ত্রী। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ (ব্রেক্সিট) প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরপরই এই পরিকল্পনা করা হয়। কারণ, ব্রেক্সিটের পরও যুক্তরাজ্যে বৈধ এবং অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীর সংখ্যা দ্রুত বেড়ে চলেছে। অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীরা বিশেষ করে ফ্রান্স থেকে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করে। বুধবার যে বিলটির উপর ভোট হয়েছে, সেটির লক্ষ্য মূলত সরকারের এই পরিকল্পনাটিকে আদালতে চ্যালেঞ্জ জানানোর সুযোগ সীমিত করে দেওয়া। তবে সরকার এ-ও বলেছে যে, তারা পরিকল্পনাটির বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব তা সূক্ষ্মভাবে যাচাই করে দেখছে। তাছাড়া, রুয়ান্ডা স্পষ্ট করেই বলেছে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন হবে না এমন নিশ্চয়তা পাওয়ার পরই কেবল তারা কোনো চুক্তিতে অগ্রসর হবে। যুক্তরাজ্য ইতিমধ্যে তিন হাজার তিনশ কোটি টাকা রুয়ান্ডাকে দিয়েছে। যুক্তরাজ্যের দাবি, এই নিয়ম চালু হলে অভিবাসন প্রত্যাশীরা আর যুক্তরাজ্যে আসবেন না।
যে কারণে বাড়ল যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যে জ্বালানি তেলের দাম 
গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের মধ্যেই ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যৌথ হামলার ঘটনা ঘটেছে। আর এর প্রভাবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ফের বেড়ে গেছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ৪ শতাংশ বেড়েছে। খবর রয়টার্সের। জানা যায়, ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৪ শতাংশ বেড়ে ৮০ দশমিক ৫২ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড প্রতি ব্যারেল ৪ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে হয়ে গেছে ৭৪ দশমিক ৯৯ ডলার। এ প্রসঙ্গে হারগ্রিভস ল্যান্সডাউনের অর্থ ও বাজারের প্রধান সুসান্নাহ স্ট্রিটর বলেন, হুতিদের ওপর হামলার পর থেকে তেলের দাম দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলকারী জাহাজে হুতিদের হামলার আগে গত ডিসেম্বর থেকে ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার তেলের দাম প্রায় ৭ শতাংশ বেড়েছে। লোহিত সাগরের এই সংকট অব্যাহত থাকলে, এমন পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সরকার মডেলিং করেছে যে, গ্যাসের দাম ২৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০ ডলার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। এদিকে হুতিদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের হামলার প্রসঙ্গ টেনে শুক্রবার ইস্তাম্বুলে জুমার নামাজের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, হুতিদের ওপর হামলার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য লোহিত সাগরকে ‘রক্তের সাগরে’ পরিণত করার চেষ্টা করছে। প্রথমত, এসব হামলা আনুপাতিক নয়। এগুলো সবই বলপ্রয়োগের অসামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবহার। অপরদিকে ‘আত্মরক্ষার স্বার্থে’ হুতিদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ইউক্রেন সফরে গিয়ে সুনাক বলেন, আমাদের লক্ষ্য খুবই পরিষ্কার। এই অঞ্চলে উত্তেজনা কমাতে এবং স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে এই হামলা চালানো হয়েছে। কেননা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যা ঘটে চলেছে তার জন্য মিত্ররা নিন্দা জানানোর পাশাপাশি হুতিদের নিবৃত্ত করার আহ্বান জানিয়ে আসছিল। উল্লেখ্য, লোহিত সাগরে আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় চলাচলকারী জাহাজের ওপর হামলার প্রতিশোধ হিসেবে হুতিদের ব্যবহৃত এলাকাগুলোয় শুক্রবার ভোরে হামলা চালানোর কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা ও নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতায় এ হামলা চালানোর কথা গণমাধ্যমের কাছে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।