• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo

ছবিতে ডিজিটাল কেরামতি দেখিয়ে আবার শিরোনামে ব্রিটিশ রাজপরিবার

ডয়েচে ভেলে

  ২২ মার্চ ২০২৪, ১৫:২০
রাজপরিবার
সংগৃহীত

কেট মিডলটনের ছবির পর এবার নাতি-নাতনি সমেত রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছবিকে ঘিরে বিতর্ক৷ এবারও অভিযোগ ডিজিটাল কারসাজিতে ছবির মানোন্নয়নের৷

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, যুক্তরাজ্যের যুবরাজ উইলিয়াম ও তার স্ত্রী কেট মিডলটনের কার্যালয় কেনসিংটন প্যালেস আরো একটি ছবি সংবাদমাধ্যমকে দেন৷ কিন্তু রয়টার্সের নিজস্ব ফটো এডিটরদের মতে, রাজপরিবারের এই ছবিটিও সম্প্রতি প্রকাশ হওয়া কেট মিডলটনের ছবির মতোই পরিবর্তিত ও সেকারণে বিশ্বাসযোগ্যও নয়৷

গত বছরের এপ্রিল মাসে তৎকালীন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের ৯৭তম জন্মদিন উপলক্ষে এই ছবিটি প্রকাশ করা হয়৷ ছবিতে প্রয়াত রানীকে দেখা যাচ্ছিল তার নাতি-নাতনিসহ পরিবারের আরো শিশুদের সাথে৷ সেই সময় কেনসিংটন প্যালেস জানিয়েছিল, ছবিটি তুলেছেন কেট নিজে, স্কটল্যান্ডে রাজপরিবারের বাসস্থান বালমোরাল কাসলে৷

মঙ্গলবার ছবি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা গেটি ইমেজেস তার গ্রাহকদের জানায়, বালমোরালের এই ছবিটিকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে উন্নত করা হয়েছে৷ কিন্তু এই উন্নতি কেমন বা কতটুকু, সে বিষয়ে কোনো বাড়তি তথ্য দেননি তারা৷

গেটি ইমেজেসের এক মুখপাত্র বলেন, গেটি ইমেজেস তার সরবরাহ করা ছবি যাচাই করছে৷ এছাড়া, আমাদের সম্পাদকীয় নীতি অনুযায়ী যে যে ছবি এভাবে ডিজিটাল কায়দায় পরিবর্তিত, সেই পরিবর্তনের তথ্য ছবির সাথে সম্পাদকীয় টীকা হিসাবে লেখা থাকবে৷ যে সময় এই ছবিটি প্রকাশিত হয়, তখন রয়টার্স বা গেটি ইমেজেস কেউই ধরতে পারেনি যে ছবিটি পরিবর্তিত৷

পরে রয়টার্সের ফটো এডিটরদের দল জানায়, তারা ছবিটির এমন আটটি অংশকে চিহ্নিত করেছেন, যা তাদের মতে ডিজিটাল কেরামতির প্রমাণ৷ কিন্তু এমন পরিবর্তন কেন করা হয়েছে, তা জানেন না রয়টার্সের কর্মীরা৷ কেনসিংটন প্যালেসের তরফে এখনও এ বিষয়ে কোনো বিবৃতি আসেনি৷

রয়টার্সের এক মুখপাত্র বলেন, কেনসিংটন প্যালেসের তরফে দ্বিতীয় ছবিতেও পরিবর্তন দেখার পর আমরা ছবি যাচাইয়ের মানগুলির পুনর্বিবেচনা করছি৷ টমসন রয়টার্স ট্রাস্টের নীতিমালা অনুযায়ী, রয়টার্স প্রকাশিত সকল ছবিকে একটি নির্দিষ্ট মান, সত্যতা ও নির্ভরযোগ্যতার মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হতে হয়৷

পরিবর্তিত ছবি ও কেট মিডলটন চলতি মাসের শুরুতে ব্রিটিশ মাদার্স ডে উপলক্ষে কেনসিংটন প্যালেসের দেওয়া কেট মিডলটন ও তার পরিবারের একটি ছবি সরিয়ে নেওয়া হয় বেশ কিছু পত্রপত্রিকা ও সংবাদসংস্থা থেকে৷ তখনও ডিজিটাল পরিবর্তনের অভিযোগ উঠেছিল৷ পরের দিন কেট ক্ষমা চেয়ে একটি বিবৃতি দেয়া হয়৷ সেখানে বলা হয়, অন্যান্য অপেশাদার চিত্রগ্রাহকদের মতো আমিও মাঝে মাঝে এডিটিং নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাই৷ গতকাল আমাদের ছবি প্রকাশিত হবার পর যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী৷

জানুয়ারি মাসে একটি অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে গেছেন কেট মিডলটন৷ তারপর থেকেই সোশাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে চলছে নানা ধরনের জল্পনা-আলোচনা৷

মন্তব্য করুন

  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ
নিয়োগ দেবে অ্যাপেক্সে, থাকছে ঘরে বসেই কাজের সুযোগ
সিঙ্গারে চাকরির সুযোগ, চিকিৎসা ভাতাসহ থাকছে যেসব সুবিধা
প্রথম ডিজিটাল ব্যাংক হিসেবে চূড়ান্ত অনুমোদন পেল নগদ