• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যে কারণে শত্রু বেশি ফারিণের
জলি এলএলবি থ্রি সিনেমায় কলকাতার খরাজ
বলিউডের কোর্ট ড্রামা নিয়ে যদি আলোচনা করা হয়, তবে অবশ্যই প্রথমে আসে ‘জলি এলএলবি’ সিনেমার নাম। ইতোমধ্যে এই সিনেমার দুটি সিক্যুয়াল দর্শক ভীষণভাবে পছন্দ করেছে। অপেক্ষায় ছিল, তৃতীয় সিক্যুয়ালের। এবার শুরু হয়েছে বহুল কাঙ্ক্ষিত সেই শুটিং। নতুন খবর হলো, এই সিনেমায় অক্ষয় কুমার ও আরসাদ ওয়ার্সির সঙ্গে দেখা যাবে কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা খরাজ মুখার্জিকে। বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি নিজেই জানিয়েছেন। একটি ছবি পোস্ট করে তার ক্যাপশনে লিখেছেন, আজ থেকে আমার হিন্দি সিনেমার নতুন জার্নি শুরু হল। এর আগে খরাজ মুখার্জি বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারের সঙ্গে  মিশন রানিগঞ্জ ও স্পেশাল ২৬-এ কাজ করলেও এবারই প্রথম কাজ করছেন আরশাদ ওয়ার্সির সঙ্গে।  সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অক্ষয়জির সঙ্গে এই দিয়ে তিনটি সিনেমার কাজ হবে। তবে আরশাদজির সঙ্গে কাজ করলাম প্রথমবার। অসম্ভব পাওয়ারফুল একজন অভিনেতা তিনি। বলিউড সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ‘জলি এলএলবি ৩’ সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছে গত ২৯ এপ্রিল থেকে। প্রথম দিনই শুটিং ফ্লোরে ছিলেন আরশাদ ওয়ার্সি। আর গত ৩০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে  খরাজ মুখার্জির অংশের শুটিং।
‘শেকড়’ সিনেমায় নতুন জুটি নাঈম-আইশা
‘শেকড়’ সিনেমার গল্পটা দুর্দান্ত: দিলারা জামান
‘পটু’ সিনেমার মুক্তির তারিখ ঘোষণা
জায়েদ খানের স্বর্ণের ফোন ফেলে দেওয়ার রহস্য ফাঁস
ঈদের ৩ সপ্তাহ পর প্রেক্ষাগৃহে নতুন ২ সিনেমা
গেল ঈদুল ফিতরে মুক্তির মিছিলে ছিল ১৬-১৭টি সিনেমা। সেখান থেকে মুক্তি পায় ১১টি। এরপর কেটে গেছে তিন সপ্তাহ। তবুও এর মধ্যে মুক্তি পায়নি নতুন কোনো দেশি সিনেমা। অবশেষে সেই অবস্থায় পরিবর্তন আসছে।  ঈদের চতুর্থ সপ্তাহে শুক্রবার (৩ মে) মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা। একটি বদরুল আনাম সৌদ পরিচালিত ‌‘শ্যামা কাব্য’। অন্যটি মোহাম্মদ ইকবাল পরিচালিত ‘ডেডবডি’। জানা গেছে, সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘শ্যামা কাব্য’ সিনেমাটি গত বছরের নভেম্বরে মুক্তির কথা ছিল। তবে হরতাল-অবরোধের কারণে সে তারিখ পেছানো হয়। পরবর্তীতে ঈদে মুক্তির তালিকায় নাম উঠলেও তা আবার পিছিয়ে যায়। যা শুক্রবার (৩ মে) থেকে ঢাকার সিনেপ্লেক্সসহ দেশের ১২টির মতো সিনেমা হলে দেখা যাবে।   সিনেমাটি পরিচালনার পাশাপাশি এর কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা করেছেন সৌদ। এ ছাড়া স্ত্রী সুবর্ণা মুস্তাফার সঙ্গে যৌথভাবে প্রযোজনাও করেছেন তিনি। সিনেমার কেন্দ্রীয় দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। এর বাইরে অন্যান্য চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন ইন্তেখাব দিনার, নওরীন হাসান খান জেনি, শাহাদাৎ হোসেন, সাজু খাদেম, রিমি করিম, এ কে আজাদ সেতু প্রমুখ। অপরদিকে, গত ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ায় মোহাম্মদ ইকবাল পরিচালিত ‘ডেডবডি’ সিনেমা। যা শুক্রবার (৩ মে) থেকে দেশের ৪০টির মতো সিনেমা হলে দেখা যাবে। একইসঙ্গে দেখা যাবে রাজধানীর প্রায় সবকটি সিনেপ্লেক্সেও। ‘ডেডবডি’ সিনেমায় রোশানের বিপরীতে রয়েছেন ভারতীয় মডেল অন্বেষা রায়। এতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন একসময়ের জনপ্রিয় তারকা ওমর সানি। এ ছাড়া আরও রয়েছেন শ্যামল মাওলা, রাশেদ মামুন অপু, মিষ্টি জাহান প্রমুখ।
পুলিশের ভয়ে ৬ রাজ্যে পালিয়ে শেষ রক্ষা হয়নি অভিনেতার
‘অনলাইন গেমিং অ্যাপে’ জুয়া কাণ্ডে একের পর এক বলিউড তারকাদের জড়ানোর অভিযোগ উঠছে। অনেকেই ‘ব্র্যান্ড প্রোমোটার’ হিসেবে কাজ করছে সেসব ‘অনলাইন বেটিং গেমিং অ্যাপে’র। এবার জুয়া কাণ্ডে গ্রেপ্তার বলিউড তারকা সাহিল খান। ভারতের ছত্তিশগড় থেকে অভিনেতাকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম। এবার প্রকাশ্যে অভিনেতার গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে চাঞ্চল্যকর এক রিপোর্ট। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম অনুসারে, গ্রেপ্তারি এড়াতে ৪ দিনে ৬ রাজ্যে পালিয়ে বেড়িয়েছেন সাহিল। প্রথমে সাহিল খান গোয়ায় পালিয়ে যান, তারপর সেখান থেকে তিনি কর্ণাটকে যান এবং সেখান থেকে পৌঁছান হুব্বাল্লি শহরে। অবশেষে তিনি ব্যক্তিগত গাড়িতে করে হায়দরাবাদ পৌঁছান। সেখানে থাকাকালীন পুলিশ সাহিল খানের লোকেশন ট্র্যাক করে ফেলে, যার ফলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে ছত্তিশগড় পালিয়ে যান। ছত্তিশগড়ের জগদলপুরের হোটেল আরাধ্যা ইন্টারন্যাশনালে থাকার সময় খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। টানা ৭২ ঘণ্টা ধরে অভিনেতার খোঁজ চালাচ্ছিল মুম্বাই পুলিশ। সাহিল খানকে গ্রেপ্তার করার সময় তার থেকে দুটি মোবাইল ও কিছু নগদ অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়। মহাদেব বেটিং অ্যাপ মামলা মূলত অনলাইন জুয়ার একটি মামলা। ওই অ্যাপের মাধ্যমে তাস, কার্ড, ব্যাডমিন্টন, টেনিস, ফুটবল এবং ক্রিকেট ম্যাচ নির্ভর জুয়া খেলা হতো বলে অভিযোগ রয়েছে। দেশের একাধিক বড় বড় রিয়েল এস্টেট সংস্থাও এর সঙ্গে যুক্ত আছে বলেই দাবি তদন্তকারীদের। সবমিলিয়ে প্রায় ১৫০০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। বেআইনিভাবে মহাদেব অ্যাপের মাধ্যমে আইপিএল ম্যাচ সম্প্রচারের অভিযোগও রয়েছে। এই অ্যাপের বিজ্ঞাপনে কাজ করার জন্য সম্প্রতি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়াকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশের সাইবার শাখা। দীর্ঘদিন ধরেই তদন্ত চলছে মহাদেব বেটিং অ্যাপ কেলেঙ্কারির। অ্যাপের দুই মাথা সৌরভ চন্দ্রকার ও রবি উপ্পল, দুজনেই এই কর্মকাণ্ড দুবাই থেকে চালাতেন বলে জানা গিয়েছিল। নতুন আইডি তৈরি করে এই অনলাইন বেটিং অ্যাপে যারা রেজিস্ট্রার করতেন, তাদের টাকা এক বেনামি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ত। মূল কাজটা সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকেই চলত বলেই দাবি তদন্তকারীদের। ইতোমধ্যেই এই ঘটনায় রণবীর কাপুর, সানি লিওনি, টাইগার শ্রফ, নেহা কাক্কারসহ একাধিক তারকার নাম জড়িয়েছে।
সত্যজিৎ রায়ের আলোচিত ৫ চলচ্চিত্র
প্রথমবারের মতো বাংলা সিনেমা যার হাত ধরে পৌঁছেছিল বিশ্ব দরবারে, সেই কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের আজ জন্মদিন। জীবদ্দশায় মোট ৩২টি কাহিনিচিত্র ও চারটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করা এই গুণী নির্মাতা ডাক পেয়েছেন কান, বার্লিনসহ বিশ্ব চলচ্চিত্রের সব বড় বড় উৎসবে। ভূষিত হয়েছেন জাতীয়-আন্তর্জাতিকসহ অসংখ্য পুরস্কারে।  আজ আমরা জানবো খ্যাতনামা এই নির্মাতার বহুল আলোচিত পাঁচটি চলচ্চিত্র সম্পর্কে। পথের পাঁচালী সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র নিয়ে কথা বললে সবার আগে যে নামটি সামনে আসে, তা হলো ‘পথের পাঁচালী’। ১৯৫৫ সালে মুক্তি পাওয়া এই চলচ্চিত্র দিয়েই তিনি নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। একই সঙ্গে সক্ষম হন সমালোচকদের নজর কাড়তেও। বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পথের পাঁচালী’ উপন্যাস অবলম্বনে সত্যজিৎ রায় এই সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন। এতে অজপাড়াগাঁয়ে কঠোর দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকা একটি পরিবার ও তাদের সুখ-দুঃখের কাহিনি তিনি দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছে অপু নামের একটি শিশু। যাকে নিয়ে সত্যজিৎ রায় পরবর্তীতে নির্মাণ করেন ‘অপরাজিত’ এবং ‘অপুর সংসার’ নামে আরও দু’টি সিনেমা। মুক্তির পরই ‘পথের পাঁচালী’ সিনেমাটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেশ কয়েকটি পুরস্কার অর্জন করে। এরপর ১৯৫৬ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভূষিত হয় ‘শ্রেষ্ঠ মানবিক দলিল’ পুরস্কারে। জলসাঘর কথা সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়ের কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা ‘জলসাঘর’। এই সিনেমায় সত্যজিৎ রায় গত শতাব্দীর বিশের দশকে যখন ব্রিটিশ সরকার ভারতে জমিদারি প্রথার বিলুপ্তি ঘোষণা করে, তখনকার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছেন। ১৯৫৮ সালে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্রটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে বিশ্বম্ভর বাবু নামের একজন সদ্য সাবেক জমিদারকে দেখানো হয়েছে। যিনি কোনোভাবেই তার জমিদারির পতন মেনে নিতে পারেন না। একইসাথে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তার করুণ পরিণতিও। এই সিনেমার মাধ্যমে তৃতীয় বারের মতো ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন সত্যজিৎ রায়। মহানগর কথা সাহিত্যিক নরেন্দ্রনাথ মিত্রের ছোটগল্প ‘অবতরণিকা’ অবলম্বনে ‘মহানগর’ সিনেমাটি নির্মাণ করেন সত্যজিৎ রায়। ১৯৬৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমার জন্য ১৯৬৪ সালে অনুষ্ঠিত চতুর্দশ বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা পরিচালকের খেতাব পান এই বাঙালি নির্মাতা। জিতে নেন ‘সিলভার বিয়ার ফর বেস্ট ডিরেক্ট’ পুরস্কার।  ‘মহানগর’ সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন খ্যাতনামা অভিনয়শিল্পী মাধবী মুখোপাধ্যায়। যাকে প্রথমে দেখা যায় রক্ষণশীল মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন গৃহবধূ হিসেবে। কিন্তু তৎকালীন কলকাতায় সংসার চালানোর জন্য স্বামীর আয় যথেষ্ট না হওয়ায় পরে তিনি অনেকটা জোর করেই বাড়ির বাইরে বের হন এবং একটি চাকরি নেন। এক পর্যায়ে স্বামী চাকরি হারালে পুরো সংসারের হাল ধরেন। এমন অবস্থার মধ্যেও নিজের অফিসে ঘটে যাওয়া এক অন্যায়ের প্রতিবাদে উপার্জনের একমাত্র উৎস সেই চাকরিতেও ইস্তফা দেন তিনি। এই চলচ্চিত্রের জন্য সত্যজিৎ রায় যেমন কুড়িয়েছেন সমালোচকদের প্রশংসা, তেমনি ‘অসাধারণ’ অভিনয়ের মাধ্যমে তাদের নজর কেড়েছেন অভিনয়শিল্পী মাধবী মুখোপাধ্যায়। অশনি সংকেত বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অশনি সংকেত’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা ‘অশনি সংকেত’। যা ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায়। সিনেমাটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৩ সালে ব্রিটিশ ভারতে, বিশেষতঃ বাংলা অঞ্চলে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ভিক্ষ, যা তেতাল্লিশের মন্বন্তর নামে পরিচিত- তার প্রেক্ষাপটে রচিত হয়েছে। সত্যজিৎ রায়ের এই সিনেমাটি সত্তরের দশকে বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার জিতে নেয়। ‘সিলভার বিয়ার’ পাওয়ার নয় বছর পর তার হাতে ওঠে কানের ‘গ্লোল্ডেন বিয়ার’। পাশাপাশি ভারতের রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদকসহ আরও বেশ কয়েকটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করে। হীরক রাজার দেশে ১৯৮০ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ সিরিজের দ্বিতীয় সিনেমা ‘হীরক রাজার দেশে’। এতে প্রজাদের ওপর নির্যাতন চালানো একজন স্বৈরশাসকের শেষ পরিণতি কেমন হয়, সেটিই তুলে ধরা হয়।  শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর জনপ্রিয় দুই চরিত্র গুপী ও বাঘার উপস্থিতি এবং তাদের ছড়ার সুরে বলা সংলাপের কারণে শিশু-কিশোরদের কাছেও ‘হীরক রাজার দেশে’ সিনেমাটি বিশেষভাবে জনপ্রিয়। এতে গুপী-বাঘা চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে তপন চট্টোপাধ্যায় এবং রবি ঘোষ দর্শক-সমালোচক উভয়ের কাছ থেকেই প্রশংসা কুড়ান। তবে সমালোচকদের অনেকেই মনে করেন, শক্তিশালী অভিনয়ের দিক থেকে ছবিতে তাদেরকেও ছাপিয়ে গেছেন ‘হীরক রাজা’র চরিত্রে অভিনয় করা খ্যাতনামা শিল্পী উৎপল দত্ত। এই সিনেমার মাধ্যমে সত্যজিৎ রায় আরও একবার ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
যে নায়ককে ডুবে যাওয়া থেকে উদ্ধার করেন কারিশমা
সময়টা  ১৯৯১ সাল, ‘প্রেম কয়েদি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের। এরপর দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। বয়সে ছোট হরিশ কুমারকে অভিষেক চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে পেয়েছিলেন কারিশমা কাপুর। অভিষেক সিনেমার শুটিং সেটে ডুবে যাচ্ছিলেন হরিশ। আর সেই সময়ে তাকে উদ্ধার করেছিলেন কারিশমা কাপুর। ইনস্ট্যান্ট বলিউডকে দেওয়া সাক্ষাৎকার এ তথ্য জানিয়েছেন আড়ালে চলে যাওয়া নায়ক হরিশ। হরিশ কুমার বলেন, সিনেমার (প্রেম কয়েদি) দৃশ্যে পুলে ডুবতে যাওয়া কারিশমাকে আমি লাফিয়ে পড়ে বাঁচাই। কিন্তু বাস্তবতা হলো তার বিপরীত; কারিশমাই আমাকে বাঁচায়। কারণ, আমি সাঁতার জানতাম না। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে হরিশ কুমার বলেন, আমি ডুবতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু সেটের সবাই ভাবছিলেন আমি প্রাঙ্ক করছি। সুতরাং কারিশমা ছাড়া সাহায্য করার জন্য কেউ এগিয়ে আসেননি। কারিশমা এসে আমাকে ধরেছিল, আমিও কারিশমার জামা ধরেছিলাম। ‘প্রেম কয়েদি’ সিনেমায় নীলিমা চরিত্রে অভিনয় করেন কারিশমা। চন্দ্র মোহন চরিত্রে অভিনয় করেন হরিশ কুমার। তখন তার বয়স মাত্র ১৫ বছর। আর কারিশমার বয়স ১৬ বছর। ‘প্রেম কয়েদি’ সিনেমা পরিচালনা করেন কে. মুরালি মোহন রাও। কারিশমা কাপুর অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। প্রায় ৬ বছর পর ‘মার্ডার মোবারক’ সিনেমায় অভিনয় করেন। চলতি বছরের ১৫ মার্চ মুক্তি পায় সিনেমাটি। অন্যদিকে, হরিশ কুমারও অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন। ২০১৮ সালে সর্বশেষ মুক্তি পায় তার অভিনীত সিনেমা।
প্রভাসের ‘বাহুবলী’ নিয়ে নতুন খবর
দক্ষিণী পরিচালক রাজামৌলির সিনেমা নিয়ে দর্শকের আগ্রহের শেষ নেই। ২০১৫ সাকে ‘বাহুবলী’ সিনেমা দিয়ে আলোচনার সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। সিনেমাটি দিয়ে নতুন করে দর্শকের সামনে হাজির হয়েছিলেন প্রভাস। বাহুবলীর প্রথম কিস্তিতে দর্শকের মনে নানান প্রশ্ন এসেছিল যার উত্তর মিলেছিল দুই বছর পর ‘বাহুবলী টু’ সিনেমাটিতে। দুই কিস্তিতে বাহুবলী এখনও বিশ্বব্যাপী ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমা। বাহুবলীর সাফল্যের পর এর দর্শকপ্রিয়তা দেখে নির্মাতা রাজামৌলি ঘোষণা দিয়েছিলেন বাহুবলীর গল্প নতুন করে দর্শকদের সামনে আনবেন। এবার নিজের কথা রাখলেন রাজামৌলি। নতুন রূপে ‘বাহুবলী’ নিয়ে আসছেন এই নির্মাতা। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (টুইটার) একটি পোস্ট দিয়েছেন এসএস রাজামৌলি। তিনি লিখেছেন, জনগণ যখন মহেশমতির নাম ধরে চিৎকার করেন, তখন মহাবিশ্বও তার প্রত্যাবর্তন আটকাতে পারে না। ‘বাহুবলী: ক্রাউন অব ব্লাড’ অ্যানিমেটেড সিরিজের ট্রেলার আসছে। ২০১৫ সালের ১০ জুলাই মুক্তি পায় ‘বাহুবলী: দ্য বিগিনিং’। এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন প্রভাস, রানা দাগ্গুবতি, আনুশকা শেঠি, তামান্না ভাটিয়া প্রমুখ। ১৮০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা বক্স অফিসে আয় করে ৬৫০ কোটি রুপি। এরপর ২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল মুক্তি পায় ‘বাহুবলী-দ্য কনক্লুশন’। এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন প্রভাস, রানা দাগ্গুবতি, আনুশকা শেঠি, তামান্না ভাটিয়া প্রমুখ। ২৫০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে আয় করে ১ হাজার ৭৮৮ কোটি রুপি।
‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক
চলচ্চিত্রের বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)। বৃহস্পতিবার (০২ মে) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে (৭ম তলা) বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে এই গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।   গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বিশেষ অতিথি ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্নধার প্রযোজক আরশাদ আদনান, সূচনা বক্তব্য রাখেন বাচসাস সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ। গোলটেবিল বৈঠকে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বাচসাস সদস্য ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোমের আহবায় রফিকুল ইসলাম রতন। এসময় ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, চলচ্চিত্র শুরু থেকে শিল্পীদের সাথে সাংবাদিকেরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাংবাদিক বন্ধুরা ছাড়া আমরা সম্পন্ন না। ৫৬ বছর আপনারা যেভাবে সম্মান দিয়েছেন আগামীতেও দিবেন আশা করি। বর্তমানে অল্প কিছু সিনেমা হলে সিনেমা মুক্তি পায়। সেখানে একজন প্রযোজক সিনেমা থেকে খুবই সামান্য টাকা পায়। এ অবস্থায় আমরা যদি টাক্সের টাকাটা কমানোর জন্য সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় সংসদে তুলে ধরতে পারি তাহলে আমাদের এই শিল্পের জন্য বড় সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের এই শিল্পের অনেক সমস্যা রয়েছে, এগুলোর সমাধানও আছে। এই সমস্যার সমাধানে নিজেদেরই এগিয়ে আসতে হবে। ভালো ভালো সিনেমা বানাতে হবে। জাতির পিতার হাতে গড়া এই এফডিসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর অঘাত ভালোবাসা রয়েছে। আমরা এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সংসদে এই শিল্পের উন্নয়নে করণীয় নিয়ে কথা বলব।   ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্নধার আরশাদ আদনান বলেন, এই সাবজেক্ট নিয়ে আমরাও কাজ করছিলাম। ধন্যবাদ জানাই বাচসাসকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করব। বাচসাসকে সঙ্গে নিয়েই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। অনেক দিন ধরেই প্রযোজক সমিতি প্রশাসকের হাতে। প্রযোজক সমিতির সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করব। প্রযোজক বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে। আশা করছি, অচিরেই এ সংসট নিরসন হবে।   চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ খোকন বলেন, চলচ্চিত্রের জন্য সিঙ্গেল স্কিনের বিকল্প নেই। যে হলগুলো আছে তা আধুনিক করতে হবে। চলচ্চিত্র সম্পর্কে যাদের জানা শোনা আছে অনুদানে দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল বলেন, হল মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচাতে ভূমিকা রাখছে। ঈদের সিনেমা ছাড়া বছরজুড়ে হল মালিকদের লোকসান গুনতে হয়। তারপরও তারা শিল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে। সিনেমা হলগুলো আধুনিক করার চেষ্টা চলছে। ভালো সিনেমা নির্মাণ হলে পুনরায় এ শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে। তার প্রমাণ ‘প্রিয়তমা’। এসময় আরও উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন, বাচসাস সাবেক সভাপতি রেজানুর রহমান, শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেক জান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, কার্যনির্বাহী সদস্য রোজিনা, চুন্নু, নানা শাহ, শাহনূর, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমনসহ অনেকেই।
মুকেশ আম্বানির সঙ্গে কথোপকথন, যা বললেন জায়েদ খান
মুকেশ আম্বানি জায়েদ খানকে কল করেছেন ছেলের বিয়ের দাওয়াত দিতে! কিন্তু সময় না থাকায় দাওয়াত ফিরিয়ে দিয়েছেন জায়েদ। এ ধরনের একটি অডিও রেকর্ড বেশ কিছুদিন আগে ভাইরাল হয়েছিল।  ওই মজার অডিও নিয়ে জায়েদ খান বলেছেন, দেখেন অডিওটি মিলিয়ন ভিউ হয়েছে। মানুষ তো শুনছে। সামাজিকমাধ্যমে আলোচনায় না থাকলে হারিয়ে যেতে হবে।  নানাভাবে আলোচনায় থাকেন ঢালিউডের এই তারকা। ডিগবাজির পাশাপাশি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে ‘বিড়ি’ গানের মিউজিক ভিডিও, যেখানে তিনি নৃত্য পরিবেশন করেছেন। বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান করতে গেলে জায়েদের ডিগবাজি আর বিড়ি গানের পরিবেশনা দেখতে মুখিয়ে থাকেন ভক্ত-অনুরাগীরা। সেই সঙ্গে প্রচুর ট্রলের শিকার হন এই অভিনেতা। সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জায়েদ বলেন, আমি সবার ট্রল মেনে নিই। কারণ, সবাই অর্থ খরচ করছেন আমাকে দেখতে। সময়টাই আসলে এমন। আমার কিন্তু কোনো বাজে অভ্যাস কিংবা নেশা নেই। তবে আমার শখ হচ্ছে ফ্যাশন করা। ভালো ভালো পোশাক, জুতা, ঘড়ি, পারফিউমের পেছনে টাকা খরচ করি। এবারের ঈদে জায়েদ খানের ‘সোনার চর’ সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। সিনেমাটি হলে খুব বেশি না চললেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাড়াও পেয়েছেন অভিনেতা; যা নিয়ে খুব খোশমেজাজে কেটেছে নায়কের এবারের ঈদ।