• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
এক মাস ধরে হাসপাতালে অভিনেতা, পাশে নেই পরিবার
নির্বাচনের টিকিট না পেয়ে মুখ খুললেন নুসরাত
ওপার বাংলার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। অভিনয়ের পাশাপাশি বসিরহাট কেন্দ্রের সংসদ সদস্যও ছিলেন তিনি। রোববার (১০ মার্চ) লোকসভা ভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে পশ্চিবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস। ৪২টি কেন্দ্রের প্রার্থীর তালিকায় বেশ কিছু রদবদল হয়েছে। কিন্তু এ তালিকায় নাম নেই অভিনেত্রী নুসরাত জাহানের।  কিন্তু আসন্ন লোকসভা ভোটের তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা বলছে ওই কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়বেন নুরুল ইসলাম। নুসরাতকে টিকিট দেয়নি দল।   নুসরাতের লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে সন্দেশখালি গ্রাম। গত দুই মাসে রাজনৈতিক দলগুলোর মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠেছে জায়গাটি। সন্দেশখালীতে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে সরব হয়েছে শহর থেকে শহরতলি ও গ্রাম।  
অবশেষে ১৩ বছরের অভিমান ভাঙল শুভশ্রীর
সংসার নিয়ে মুখ খুললেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
রিসেপশনে নিরাপত্তারক্ষী-সাংবাদিক-ড্রাইভার নিষিদ্ধ, ক্ষুব্ধ শ্রীলেখা
জেমসকে পেয়ে রূপম লিখলেন, ‘মহাগুরু’র হাসিমুখ
৬ বছরের ছোট প্রেমিকের সঙ্গে আংটি বদল নিয়ে মুখ খুললেন সোহিনী
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোহিনী সরকার। অভিনেতা রণজয়ের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানার পর গায়ক শোভন গাঙ্গুলির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। ছয় বছরের ছোট এই গায়কের সঙ্গেই নাকি আংটি বদল করেছেন সোহিনী। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।   ভালোবাসার কাছে বয়স যেন কোনো বাধা নয়। সেটা আরও একবার প্রমাণ করলেন সোহিনী। ছয় বছরের ছোট প্রেমিকের গলাতেই মালা দিতে চলেছেন এই অভিনেত্রী। টলিপাড়ার গুঞ্জন রয়েছে, সম্প্রতি বিদেশে ছুটি কাটাতে গিয়ে বাগদান সেরেছেন সোহিনী-শোভন। যদিও এখন পর্যন্ত তাদের সম্পর্কের কথা মুখে স্বীকার করেননি শোভন-সোহিনী। বাগদানের গুঞ্জন চাউর হলে নীরব ছিলেন দুজনেই। যদিও পরে শোভন বিষয়টি অস্বীকার করেন। এবার ভারতীয় গণমাধ্যমে বাগদান-বিয়ে নিয়ে কথা বলেন সোহিনী।  গায়ক শোভনের সঙ্গে বাগদানের বিষয়ে সোহিনী সরকার ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে বলেন, আমার অনামিকায় কোনো আংটি দেখা যাচ্ছে না তো! আসলে বিষয়টি হঠাৎ এটা রটে যাওয়ার পর আমার মা ফোন করে জানতে চান, সত্যিটা কী। এ সময় অভিনেত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, শোভনকে বিয়ে করার পরিকল্পনা রয়েছে কি না? জবাবে সোহিনী বলেন, চারপাশে অনেক বিয়ে হচ্ছে। তবে আমার মনে হয়, বিয়ে দেখে বিয়ে করে নেওয়া সাংঘাতিক ব্যাপার। আমি ঈশ্বরে বিশ্বাসী। নিশ্চয়ই ভালো কিছু হবে। বেশির ভাগ সময় আমরা ভাবি যে, আমরা একা একাই সব করছি। কিন্তু আমাদের জন্য ঈশ্বরের পরিকল্পনা করাই থাকে, আমরা শুধু বাস্তবায়ন করি।  ২০০৬ সালে টিভি ধারাবাহিকের মাধ্যমে অভিনয়ে পা রাখেন সোহিনী। ২০১১ সালে ‘অদ্বিতীয়া’ সিরিয়ালে অভিনয় করে নজর কাড়েন তিনি। ২০১৩ সালে ‘রূপকথা নয়’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় কাজ শুরু করেন। এরপর বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়ান সোহিনী। 
বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া আহসান
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই সিনেমাপ্রেমীদের হৃদয় ছুঁয়ে যান এই তারকা। সম্প্রতি তিনি কাজ ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন। সেখানে উঠে আসে তার অভিনয়ে আসা, অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা, নাটক ছেড়ে বড় পর্দায় নাম লেখানো, দুই বাংলায় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ নানা প্রসঙ্গে। বাদ যায়নি ব্যক্তিগত জীবন প্রসঙ্গও। তাকে বিচ্ছেদ নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল। জয়া আহসান সম্পর্কে ফিল্মফেয়ারের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান সময়ের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। গত বছর তিনি ‘কড়ক সিং’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে বলিউডে নাম লিখিয়েছেন। তিনি নারী চরিত্রটিকে অনন্য এক মর্যাদায় নিয়ে গিয়েছেন। তার অভিনয়দক্ষতা হিন্দি সিনেমার দর্শকদের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। জয়াকে নিয়ে আরও বলা হয়, তিনি সেরা অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার, ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ডসহ একাধিক বিদেশের পুরস্কার যেমন ঝুলিতে ভরেছেন, তেমনি ছয়বার বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ফিল্মফেয়ারের সাক্ষাৎকারের শুরুতেই জয়াকে প্রশ্ন করা হয়, এর আগেও তিনি বলিউডে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন কি না? জয়া জানান, বেশ কিছু কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু ‘কড়ক সিং’ দিয়ে শুরু করা তাঁর কাছে উপযুক্ত সময় মনে হয়েছে। ছোট হলেও চরিত্রটির নানা স্তর তাঁকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছে। ক্যারিয়ার নিয়ে নানা প্রসঙ্গ উঠে আসে আলাপচারিতায়। পরবর্তী সময়ে তার বিবাহবিচ্ছেদ এবং পরে কাজের সঙ্গে মানিয়ে যাওয়া নিয়ে কথা হয়। এই প্রসঙ্গে জয়া ফিল্মফেয়ারকে বলেন, উত্থান-পতন প্রত্যেক মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটা যুদ্ধের মতো। সেই সময়ে আমার মানসিক ধারণাটাই পরিবর্তন হয়ে গেল। আমি পুরোপুরিভাবে কাজের দিকে দৃষ্টি ঘোরাই। সাধারণত সেই সময়ে মেয়েরা অনেক কিছু থেকেই বিচ্যুত হয়ে পড়ে। এমনকি ফোকাস থেকেও সরে যায়। কিন্তু আমার কাজ আমাকে সান্ত্বনা দিয়েছে। যে কারণে আমি কাজকেই ভালোবেসেছি। আমি কখনোই কাজ থেকে দূরে সরিনি। আমি আমার এই যাত্রাকে ভালোবাসি। এর মধ্য দিয়েই মানুষ আমার প্রশংসা করেন, আমি কাজকেই সম্মান করি।
কারওয়ান বাজারে মাছ কেটে সংসার চালান অভিনেত্রী তটিনী!
রাজধানী কারওয়ান, জীবিকার তাগিদে অনেকেই মাছ কাটার কাজ করেন এখানে। সাধারণত ভোরবেলা এখানে মাছের বাজার বসে। প্রতিদিনই একটি মেয়ে ভোরবেলা মাছ কাটেন। বিনিময়ে কিছু টাকা পান। আর তা দিয়েই যান্ত্রিক এ শহরে সংসার চলে।  ঠিক এমননি একটি গল্প নিয়ে নির্মাণ হয়েছে ‘রঙিন আশা’ নাটক। নাটকে মাছ কাটার কাজ করা মেয়েটির চরিত্রে অভিনয় করেছেন তটিনী। কাজটি করতে গিয়ে দারুণ সব অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি। বলেন, তিন দিন ভোরে আড়তে প্রায় দুই ঘণ্টা করে শুটিং করেছি। প্রতিদিনই ভোর চারটায় ঘুম থেকে উঠে কারওয়ান বাজারে যেতে হতো। বাজারের মধ্যে উৎসুক শত শত মানুষের ভিড়ের মধ্যে শুটিং চালিয়ে নেওয়া কঠিন ছিল। শুটিং দেখার জন্য সাধারণ মানুষের কৌতূহল বেশি। তাতে আবার লোকেশন কারওয়ান বাজারের মাছের আড়ত। বুঝতেই পারছেন, কী ধরনের ঝামেলা গেছে। তটিনী আরও বলেন, দৃশ্যগুলোতে সত্যি সত্যি মাছ কেটেছি। আমার তো এ ধরনের কাজে অভিজ্ঞতা ছিল না। বাসায় মাছ কেটেছি কয়েক দিন। একদিন শুটিং করতে গিয়ে বিপদেও পড়েছিলাম। বাসায় ইলিশ মাছ কেটে প্র্যাকটিস করে গিয়ে শুটিংয়ের সময় আমাকে পাঁচ কেজি ওজনের মাছ কাটতে দিয়েছিল। হা হা হা...। মাছ কাটা মেয়ের চরিত্রটিকে বাস্তবে তুলে আনতে সত্যিকারের কারওয়ান বাজারের মাছের আড়তকেই বেছে নিয়েছেন পরিচালক রাফাত মজুমদার। তবে কাজটি সহজ ছিল না তার কাছে। পরিচালক বলেন, যখন মাছের বাজার বসে, সেই ভোরবেলাকেই আমরা শুটিংয়ের জন্য বেছে নিয়েছিলাম। সত্যিকারের শত শত ক্রেতা–বিক্রেতার ভিড়ের মধ্যেই শুটিং করেছি। একটি সত্যিকারের মাছ কাটার দোকান ভাড়া করেছিলাম। ওই দোকানে বসেই তটিনী মাছ কাটার কাজ করে শুটিং করেছেন। আগে থেকে না জানতে পারলে তটিনীকে চেনা, জানার উপায় ছিল না। মনে হচ্ছিল সত্যিকারেরই মাছ কাটার কাজ করে মেয়েটি। মৎস্য আড়তের মধ্যে এত মানুষের ভিড় সামলে সঠিকভাবে কাজটি করতে অনেক কষ্ট হয়েছে। নাটকের গল্পে তটিনীর বিপরীতে অভিনয় করেছেন খায়রুল বাসার। দুজন স্বামী–স্ত্রী। চরিত্রে খায়রুল বাশার কারওয়ান বাজারে ভ্যান চালান। পরিচালক জানিয়েছেন আগামী মাসের শুরুর দিকে একটি ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটি প্রচারিত হবে। নাটকটির লিখেছেন অপূর্ণ রুবেল।
অভিনেত্রী মানসীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ
বাংলা টেলিভিশন তথা বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় মুখ অভিনেত্রী মানসী সিনহা। মূলত, কমেডি চরিত্রেই দর্শকদের নজর কেড়েছেন তিনি। সেই মানসী সিনহাই এবার পড়লেন বিপাকে। তার বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ আনলেন তার পরিচালিত প্রথম ছবি ‘এটা আমাদের গল্প’র সহপ্রযোজক দীপঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। দীপঙ্করের অভিযোগ, মানসী তার কাছ থেকে ২৬ লাখ ২৮ হাজার টাকা নিয়েছিলেন, কিন্তু সেই টাকা ফেরত পাননি। অভিনয়ের পাশাপাশি ছবি পরিচালনায় হাত দিয়েছেন মানসী। ছবির নাম ‘এটা আমাদের গল্প’। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই ছবির সিংহভাগ শুটিং হয়ে গেছে। এই ছবির সহ-প্রযোজক এক সংবাদমাধ্যমকে দীপঙ্কর জানিয়েছেন, মানসী আমার থেকে ২৬ লাখ ২৮ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই টাকা আমি ফেরত পাইনি। শুধু তাই নয়, শুটিং চলাকালীন মানসী, যে হিসেব দেখিয়েছিল, তা-ও স্পষ্ট নয়। ছবিতে বাকি টাকা শর্মিষ্ঠার বিনিয়োগ করার কথা ছিল। কিন্তু একটা সময়ে দেখলাম শর্মিষ্ঠাও ওর অফিস বদলে ফেললেন। পুরো বিষয়টায় আমার ধোঁয়াশা রয়েছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এই ছবির পোস্টারও মানসী শেয়ার করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই পোস্টারে সহ-প্রযোজনার জায়গায় নিজের নাম না থাকায়, টনক নড়ে দীপঙ্করের। পোস্টারে প্রযোজক হিসেবে সুভাষ বেরা ও শুভঙ্কর মিত্রের নাম রয়েছে। দীপঙ্করের কথায়, আমি এদের চিনিই না। ২০২২ সালে আর কোনো উপায় না দেখে মানসীকে আইনি নোটিশ পাঠান প্রযোজক। এমনকি, সমঝোতাপত্রে সইও করেছিলেন মানসী। যেখানে লেখা ছিল দীপঙ্করের অনুমতি ছাড়া তিনি ছবি রিলিজ করবেন না। এই পুরো বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন মানসীও। তিনি জানালেন, ছবির শুটিং শুরু হয় শর্মিষ্ঠার প্রযোজনায়। শর্মিষ্ঠার বিনিয়োগকারী হিসেবে এসেছিলেন দীপঙ্কর। সহ-প্রযোজক হিসেবে দীপঙ্করের নাম রাখার সিদ্ধান্ত ছিল শর্মিষ্ঠার। মানসীর আরও জানিয়েছেন, দীপঙ্কর বলেছে টাকা খরচের হিসেব দিতে পারেনি শর্মিষ্ঠা। কিন্তু এখনও দীপঙ্করের মনে হচ্ছে আমি ওকে ঠকাচ্ছি! আমি তো পরিচালক মাত্র।দীপঙ্করের বিরুদ্ধে মানসী তার সই-সহ জাল নথি তৈরির অভিযোগও এনেছেন।
বিয়ের আগেই ট্রল, মুখ খুললেন অনুপমের হবু স্ত্রী
তৃতীয় বিয়ে করতে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় গায়ক অনুপম রায়। আগামী ২ মার্চ পরিবার ও ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের উপস্থিতিতে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করবেন অনুপম। পাত্রীর নাম প্রশ্মিতা পাল। পেশায় তিনিও সংগীতশিল্পী। বিয়ের বিষয়টি পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন গায়ক নিজেই। এদিকে বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই, উঠেছে পুরোনো প্রশ্নটাও। কারণ, গত ২৭ নভেম্বর পিয়া চক্রবর্তীকে বিয়ের করেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। এই পিয়া অনুপম রায়ের সাবেক স্ত্রী। তাদের বিয়ে নিয়েও হয়েছিল তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। তাদের বিয়ে নিয়ে সমালোচনা হবে, সে জন্য কি অনুপমের হবু স্ত্রী প্রস্মিতা পাল মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন? এ প্রসঙ্গে ভারতীয় গণমাধ্যমকে প্রস্মিতা বলেন, নতুন একটা যাত্রা শুরু করতে চলেছি। আমি খুবই আশাবাদী। আমাদের চারপাশে সবাই ভালো থাকলে আমরা ভালোই থাকব। আমার মনে হয়, আমরা দুজন সুখী হলে নেতিবাচক কোনো কিছু আমাদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারবে না। কথায়-কথায় প্রস্মিতা অনুপমের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন। তার কথা, বিগত এক বছর ধরে আমরা সম্পর্কে রয়েছি। তারপর মনে হলো যে পরবর্তী পর্যায়ে আমরা এগোতে পারি। তারপরই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই। তিনি আরও বলেন, অনুপমকে যে চেনে, তিনি জানেন সে একজন খুব সাধারণ ও ভালো মনের মানুষ। ওর যে এই সেলিব্রিটি সত্ত্বা, স্টারডম সেটা অন্তত ব্যক্তিগত জীবনে নেই। আমার কাছে ও সেই রকম তারকা নয়, আমার কাছে ও সেই মানুষ যাঁকে আমি বিয়ে করতে চলেছি। খুবই ভালো আর সিম্পল একজন মানুষ। ফলে এটা নিয়ে কখনও সমস্যা হয়নি। আশা করি, পরেও হবে না। 
অভিনেতা বিশ্বনাথ বসুর ছেলেকে হুমকি
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু। ছোট পর্দা, বড় পর্দা সর্বত্র অনবদ্য অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের নিখাদ বিনোদন দিয়ে থাকেন। মন ভালো রাখেন সকলের। এবার বিশ্বনাথের নিজেরই মন খারাপ। সম্প্রতি প্রতিবেশী দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে তার ছোট পুত্র। একরত্তি সন্তানকে চেটে প্রস্রাব পান করতে হুমকি দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিনেতার দুই ছেলে হিমায়ন ও বিশ্বায়ন। একজনের বয়স ৮ বছর, অন্য জনের বয়স ১৩ বছর। রোববার সন্ধ্যায় দুই ভাই গিয়েছিল মাঠে খেলতে। খেলার সময় হঠাৎ শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে অভিনেতার ছোট ছেলের। তাদের ফ্ল্যাটের উল্টো দিকের একটি বাড়ির সামনে নালার সামনে প্রস্রাব করে সে। দেখা মাত্রই বাড়ির মালিক বেরিয়ে এসে প্রথমেই হাত মুচড়ে দেন বছর আটেকের হিমায়নের। বিষয়টি নিয়ে বিশ্বনাথের স্ত্রী দেবিকা বসুর বলেন, ভদ্রলোক আচমকা এসে ওর হাতটা মুচড়ে দিয়ে বলেন, ‘এই প্রস্রাব জিভ দিয়ে চেটে পরিষ্কার করে দে’। তখন ছোট ছেলে কেঁদে উঠলে আমার বড় ছেলে এগিয়ে গিয়ে বলে, কাকু ওকে ছেড়ে দাও, ওর লাগছে’। সেই সময় আমার ছোট ছেলে বলে, ‘আমি জল দিয়ে ধুয়ে দেব, আমায় ছেড়ে দাও’। তখন ওই ভদ্রলোক আমার বড় ছেলেকে বলেন, ‘তা হলে তুই চেটে পরিষ্কার করে দিয়ে যা’। এদিকে এরইমধ্যে বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন বিশ্বনাথ। তবে সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে হট্টগোল পাকাতে চান না তিনি। শুধু বলেছেন, ‘গোটা ঘটনাটা কল্পনাতীত। এই ঘটনায় ও স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। আসলে ছোট তো, ভুলতে সময় লাগবে। যদিও সো‌মবার হাতে ব্যান্ডেজ বেঁধেই গিয়েছে পরীক্ষা দিতে।
তৃতীয়বারের মত বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন অনুপম রায়
তৃতীয় বিয়ে করতে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় গায়ক অনুপম রায়। আগামী ২ মার্চ পরিবার ও ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের উপস্থিতিতে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করবেন অনুপম। পাত্রীর নাম প্রশ্মিতা পাল। পেশায় তিনিও সংগীতশিল্পী। বিয়ের বিষয়টি পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন গায়ক নিজেই।   জানা গেছে, প্রস্মিতা ও অনুপমের মধ্যে আগে থেকেই বন্ধুত্ব ছিল, পরে তা প্রেমে পরিণত হয়। তবে দুজন কবে থেকে সম্পর্কে জড়িয়েছেন, তা জানা যায়নি।  প্রসঙ্গত, রাজ চক্রবর্তীর 'বোঝে না সে বোঝে না' ছবিতে গান গেয়ে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছিলেন প্রশ্মিতা। পরবর্তীতে 'সাজনা', 'দেখতে বউ বউ' (শুধু তোমারই জন্য), 'হতে পারে না'র (বলো দুগ্গা মাইকি) মতো হিট গান গেয়েছেন তিনি। অনুপম রায়ের সুরেও 'তোমায় নিয়ে গল্প হোক'-এর (হাইওয়ে) মতো গান গেয়েছেন প্রশ্মিতা। এর আগে ২০১৫ সালে পিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে বিয়ে হয় অনুপমের। প্রায় ছয় বছরের দাম্পত্য জীবন কাটানোর পর ২০২১ সালে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন দুজনে। কলেজে পড়ার সময় অনুপমের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় পিয়ার, যা পরে প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। সেখান থেকে বিয়ে। ততদিনে অনুপমের প্রথম বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল।  তার প্রায় দুই বছরের মাথায়, গত নভেম্বরে, আবার বিয়ে করেন পিয়া। পাত্র পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। এবার নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছেন অনুপমও।