প্রথম একাদশেই রোনালদো
এক যুগ পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে নামলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ধারণা করা হচ্ছিল বদলি হিসেবে অভিষেক হবে তার। তবে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে প্রথম একাদশেই জায়গা পেলেন তিনি।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ওল্ডটাফোর্ডে ম্যানইউর প্রতিপক্ষ নিউক্যাসেল ইউনাইটেড।
২০০৩ সালে স্পোর্টিং সিপি থেকে যোগ দেন ইংলিশ ক্লাবটিতে। ছয় মৌসুমে নিজেকে বিশ্বের অন্যতম সেরা হিসেবে প্রমাণ করতে সামর্থ্য হন। ২০০৯ সালে পাড়ি জমান রিয়াল মাদ্রিদে।
এদিন ম্যানচেস্টারে একাদশে রোনালদো ছাড়াও আক্রমণ ভাগে জায়গা হয়েছে ম্যাসন গ্রিনউড, ব্রুনো ফার্নান্দেজ জাদন সাঞ্চোর।
নেমাঞ্জা ম্যাটিক ও পল পগবা সামলাচ্ছেন মধ্যমাঠ।
ওয়ান বিশাকা, রাফায়েল ভারানে, হ্যারি মাগুয়ের ও লুক শ রয়েছেন রক্ষণ ভাগে। গোল পোস্ট সামলাচ্ছেন ডেভিড ডি গেয়া।
ওয়াই
মন্তব্য করুন
অবসর ভেঙে খেলায় ফিরছেন অ্যাগুয়েরো!
২০২১ হৃদপিণ্ডের সমস্যায় পড়ে প্রতিযোগিতামূলক খেলা থেকে অবসর নিয়েছিলেন অ্যাগুয়েরো। বার্সেলোনায় থাকা অবস্থায় ১৮ বছরের ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছিলেন তিনি। দীর্ঘ দিন পর আবারও মাঠে ফিরছেন এই আর্জেন্টাইন তারকা।
আগামী গ্রীষ্ম মৌসুম থেকে দ্য সকার টুর্নামেন্টে (টিএসটি) খেলবেন তিনি। টুর্নামেন্টটি শুরু হবে আগামী ৫ জুন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ-ক্যারোলিনায়, শেষ হবে ১০ জুন।
অ্যাগুয়েরোর খেলায় ফেরার বিষয়ে টিএসটির প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও জন মুগার এক বিবৃতিতে বলেন, এই বছরের মাঠে সার্জিও এবং তার দলকে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত। তিনি শুধু সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের একজন নন, সর্বকালের সবচেয়ে কঠিন প্রতিযোগীদের একজন।
তিনি মজা করতে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ক্যারিতে আসছেন, আর টিএসটি বিষয়টি এমনি। তবে কোন ক্লাবের হয়ে খেলবেন অ্যাগুয়েরো সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ক্লাব ক্যারিয়ারে অধিকাংশ সময় ম্যানচেস্টার সিটিতে কাটিয়েছেন অ্যাগুয়েরো। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটিতে ৩৯০ ম্যাচে ২৬০ গোল করেছেন তিনি। এছাড়া আর্জেন্টিনার হয়ে ৩টি বিশ্বকাপ খেলেছেন অ্যাগুয়েরো।
অ্যাগুয়েরোর শেষ ম্যাচ ছিল আলভেজের বিপক্ষে বার্সেলোনায়। ওই ম্যাচে খেলার মাঠে হঠাৎ বুকে ব্যথা শুরু হওয়ায় তার বদলি খেলোয়াড় নামানো হয়। পরে জানা যায়, হৃদপিণ্ডের ক্রিয়া সংশ্লিষ্ট রোগ অ্যারিথমিয়াতে আক্রান্ত অ্যাগুয়েরো। এরপর কয়েক মাস তার চিকিৎসা চলে। পরবর্তীতে সুস্থ হলেও খেলার মাঠে ফেরা হয়নি তার।
বেতন ছাড়াই ছুটিতে গেলেন সাবিনারা, যা বলছে ফিফা
গত বছর জাতীয় নারী দলের ৩১ ফুটবলারকে বেতনের আওতায় এনেছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। চার ক্যাটাগরিতে বেতনের অঙ্ক ছিল মাসে ১১ লাখের বেশি। তবে সেই টাকাও দিতে পারছে না ফেডারেশন। এমনকি বেতন ছাড়াই এবার ছুটিতে গিয়েছে ফুটবলাররা।
গত ফেব্রুয়ারিতে ছয় মাসের চুক্তি শেষ হলেও তা নবায়ন করা তো দূরের কথা, মেয়েদের প্রাপ্য অর্থই দেয়নি দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বেতন না পাওয়ায় নারী ফুটবলারদের মধ্যে একটা চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিল। এর সঙ্গে বারবার বিদেশি দলের সঙ্গে ম্যাচ বাতিলের কষ্ট তো আছেই।
সব মিলিয়ে ২০২২ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতা কৃষ্ণা রানী সরকার, মনিকা চাকমাদের মন ভালো নেই। মেয়েদের হাতে চুক্তি অনুযায়ী অর্থ দিতে না পেরে বাফুফেও পড়ে যায় দুশ্চিন্তায়। উপায় না পেয়ে ফিফার দ্বারস্থ হয় ফুটবল ফেডারেশন।
বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে দীর্ঘ আলাপের পর অবশেষে সুখবর পেয়েছে বাফুফে। ফিফার বার্ষিক অনুদান থেকে সামনে নারী ফুটবল দলের বেতন দেবে ফেডারেশন। ফিফা থেকে এটার অনুমতিও পেয়েছে তারা।
২০২৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে নারী ফুটবলারদের সঙ্গে ছয় মাসের চুক্তি ছিল বাফুফের। এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও আর্থিক সংকটের কারণে তা নবায়নের উদ্যোগ নেয়নি বাফুফে।
এখন ফিফা থেকে অর্থ খরচের নিশ্চয়তা পাওয়ায় শিগগিরই সাবিনাদের সঙ্গে নতুন চুক্তি করবে ফেডারেশন। তবে নতুন চুক্তিতে বেতন বাড়ানোর যে দাবি করেছেন মেয়েরা, তা আপাতত নাকচ করেছে দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আগের বারের চেয়ে এবার ফুটবলারের সংখ্যা বাড়তে পারে।
মেয়েদের বেতন নিয়ে বাফুফে নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, মেয়েদের বেতনের জন্য আমরা ফিফার কাছে চিঠি লিখেছিলাম। সেই চিঠির উত্তরটি আমাদের জন্য ইতিবাচক।
‘ফিফা আমাদের জানিয়ে দিয়েছে, তারা যে বার্ষিক অনুদান দেয়, সেখান থেকে মেয়েদের বেতন দিতে পারবো। ফিফার কাছ থেকে সবুজ সংকেত মেলায় আমাদের জন্য স্বস্তি হয়ে এসেছে এই ব্যাপারটি।’
রোনালদোর লাল কার্ড, সেমি থেকে বিদায় আল-নাসরের
উড়ন্ত ফর্মে থাকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো যেন হঠাৎ করেই মাটিতে আছড়ে পড়লেন। পরপর দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে আল-নাসরকে জয় এনে দেওয়া পর্তুগিজ মহাতারকা সৌদি সুপার কাপের সেমিফাইনালে আল-হিলালের বিপক্ষে বনে গেলেন ভিলেন। হাইভোল্টেজ ম্যাচে লাল কার্ড নিয়ে মাঠ ছাড়লেন জনপ্রিয় এই ফুটবল জাদুকর।
সোমবার (৮ এপ্রিল) দুবাইয়ের মোহাম্মদ বিন জায়েদ স্টেডিয়ামে সৌদি সুপার কাপের জমজমাট সেমিফাইনালে আল-হিলালের মুখোমুখি হয় আল-নাসর। এদিন মাঠ জুড়ে শুরু থেকেই উত্তেজনার পারদ ছড়াতে থাকে।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ওটাভিওর দারুণ গোলে এগিয়ে যায় নাসর। তবে উল্লাসে মাতার পরক্ষণেই রেফারির অফসাইডের পতাকা উঠতে দেখে অবাক হন ব্রাজিলিয়ান এই মিডফিল্ডার। কারণ, নিশ্চিত ছিলেন অফসাইডের ফাঁদে পড়েননি তিনি। ডি-বক্সে ভেসে আসা দারুণ ক্রস ওটাভিওর কাছে আসার আগেই তা পায়ের স্পর্শে গোলে পাঠাতে চেয়েছিলেন অফসাইড পজিশনে থাকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। আর তাতেই কি না বাধে বিপত্তি। গোল বাতিল হওয়ার পর ওটাভিওর হতাশা ছিল চোখে পড়ার মতো।
প্রথমার্ধে এগিয়ে যেতে না পারার হতাশা ভোলার আগেই দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দুই গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে নাসর। ম্যাচের ৬১তম মিনিটে ফরোয়ার্ড সালেম আল দাউসারী লিড এনে দেওয়ার পর ৭২তম মিনিটে ব্যবধান দিগুণ করেন হিলালের ব্রাজিলিয়ান তারকা ম্যালকম। দুই গোল এগিয়ে যাওয়ার পর লিড ধরে রাখতে বাকি সময়ে রক্ষণাত্মক পজিশনে খেলা শুরু করে হিলাল।
ফাইনালে যাওয়ার মিশনে গোল পেতে মরিয়া হয়ে উঠে আল-নাসর। একের পর এক আক্রমণ করলেও ফিনিশিংয়ে তালগোল পাকিয়ে রোনালদো-ওটাভিও-মানেরা গোলের দেখা পাননি।
একের পর এক সুযোগ মিস ও অফসাইডে গোল বাতিল হওয়ায় বেশ চাপেই ছিলেন রোনালদো। তার চোখে মুখে হতাশ আর বিরক্তিও দেখা গেছে। সেই চাপেই কিনা শেষমেশ মেজাজ হারালেন সি’আর সেভেন। ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে সময় ক্ষেপণ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে কনুই দিয়ে ধাক্কা দিয়ে বসেন রোনালদো। ম্যাচে এর আগেই হলুদ কার্ড দেখা রোনালদোকে ফের কার্ড দেখান রেফারি। এতে বেশ ক্ষুব্ধ হলেও এই পর্তুগীজ মহাতারকাকে লাল কার্ড নিয়ে বাধ্য হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়।
এরপর ১০ জনের দল নিয়ে লড়াই চালিয়ে যায় নাসর। শেষদিকে সাদিও মানের গোল ব্যবধান কমালেও হার এড়াতে পারেনি লুইস কাস্ত্রোর দল। ফলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আল-হিলালের কাছে প্রো লিগের শিরোপার দৌড়ে পিছিয়ে থাকা নাসর এবার সুপার কাপ থেকেও বিদায় নিলো।
নেইমারের হরেক রকম শখ পূরণের দায় ক্লাবের কাঁধে!
শখ ও সৌখিনতা মানুষের জীবনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে। আদিকাল থেকেই মানুষ তার মৌলিক চাহিদার পাশাপাশি, শখের পেছনে ছুটছে। একসময় ডাকটিকিট জমানো ছিল অনেকের নেশা। কেউবা আবার বিভিন্ন দেশের মুদ্রা সংগ্রহকে শখ বানিয়ে নেন। ছোট-বড় বিভিন্ন জিনিসেই মানুষের শখ থাকতে পারে, যা সাধ্যের সঙ্গে সমন্বয় করেই মিটাতে হয়। বিত্তশালীদের অবশ্য সে চিন্তা করতে হয় না। আর তাই তাদের শখের সীমানাটা সাধারণের স্বপ্নের চেয়ে বড় হয়ে থাকে।
সেই সৌখিন মানুষদের মধ্যে নেইমার জুনিয়রও একজন। ফুটবলের পাশাপাশি সৌখিনতার জন্যও সুপরিচিত তিনি। স্পোর্টস কারের প্রতি নেইমারের রয়েছে এক অন্যরকম নেশা। বিশ্বের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামীদামী গাড়ি তার সংগ্রহের তালিকায় রয়েছে। ফেরারি, ম্যাকলারেন, পোরশে, অডি, বেন্টলে, ল্যাম্বরগিনি, মার্সিডিজ কি নেই তার সংগ্রহ শালায়।
গাড়ির প্রতি এমন ভালোবাসার কারণেই নেইমারকে খুশি করতে সৌদি ক্লাব আল-হিলাল চারটি দামি গাড়ি তাকে উপহার দেয়। এর মধ্যে একটি বেন্টলে কন্টিনেন্টাল জিটি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এরপর ব্রিটেনের আরেকটি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাস্টন মার্টিনের এসইউভি পেয়েছেন তিনি। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
আল-হিলালের পক্ষ থেকে নেইমারের পাওয়া তৃতীয় গাড়িটি ল্যাম্বরগিনি হুরাকান মডেলের। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার দাম ৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এ ছাড়াও প্রায় ২ কোটি ৫১ লাখ টাকার এএমজি মডেলের মার্সিডিজ এসইউভি গাড়িটিও ক্লাবের পক্ষ থেকে নেইমারকে দেয়া উপহারের তালিকায় রাখা হয়েছে।
এই চারটির আগে নেইমারের সংগ্রহে ছিল আরও সাতটি গাড়ি। তার বিলাস বহুল সংগ্রহ তালিকায় রয়েছে একাধিক অডি ব্র্যান্ড। অডি আরএস সেভেন ও অডি আর এইট স্পাইডার ভি-টেন ব্যবহার করতে পছন্দ করেন নেইমার। যে গাড়িগুলোর এক একটির দাম বাংলাদেশি টাকায় দেড় কোটিরও বেশি।
এ ছাড়াও নেইমারের গ্যারেজে রয়েছে পোর্শে প্যানামেরা টার্বো, মাসরাতি এমসি ১২, ফেরারি ৩৫৮ ইতালিয়া, অ্যাস্টন মার্টিন ভলকান ও ল্যাম্বরগিনি ভেনেনো। এতো এতো দামি গাড়ি ছাড়াও নেইমারের রয়েছে দুটি ব্যক্তিগত বিমানও।
চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে আইএসের হামলার হুমকি
চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোয়ার্টার ফাইনাল প্রথম লেগের ম্যাচে হামলার হুমকি দিয়েছে ইসলামিক স্টেট গ্রুপ (আইএস)।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ইংল্যান্ডে আর্সেনাল-বায়ার্ন মিউনিখ ও স্পেনে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে মাঠে নামবে ম্যানচেস্টার সিটি। আইএসের বার্তা প্রচারকারী সংগঠন আল–আজাইমের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে স্প্যানিশ দৈনিক মার্কার।
সংবাদ মাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ড ও স্পেনের ম্যাচসহ কোয়ার্টার ফাইনালের সব ম্যাচের প্রথম লেগে হামলার হুমকি আইএস। চলতি সপ্তাহে এই আসরের
কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগের চারটি ম্যাচের আয়োজক দেশ ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও স্পেনের কর্তৃপক্ষ হুমকি দিয়েছে ইসলামিক স্টেট। আইএসের বার্তা প্রচারকারী সংগঠন আল–আজাইম তাদের এক্সসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্টেডিয়ামগুলোর নামসহ বন্দুকধারী এক ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে লেখা হয়েছে তাদের সবাইকে মেরে ফেলা হবে (কিল দেম অল)।
তবে তিন দেশের সরকারই জানিয়েছে, পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে। এ জন্য বাড়তি সতর্কতা জারির প্রয়োজনীয়তা নেই।
এদিকে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ম্যাচগুলো আয়োজিত হবে।
এতে জানানো হয়, চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির ব্যাপারে আমরা অবগত এবং সংশ্লিষ্ট ভেন্যু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ করছে। যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে সবগুলো ম্যাচ নির্ধারিত সময়ে আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
চ্যাম্পিয়নস লিগে আজকের ম্যাচ
রিয়াল মাদ্রিদ-ম্যানচেস্টার সিটি, রাত ১টা, সান্তিয়াগো বার্নাব্যু।
আর্সেনাল-বায়ার্ন মিউনিখ, রাত ১টা, এমিরেটস স্টেডিয়াম।
আগামীকালের ম্যাচ
পিএসজি-বার্সেলোনা, কাল রাত ১টা, পার্ক দ্য প্রিন্সেস।
আতলেতিকো মাদ্রিদ-বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, কাল রাত ১টা, ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানো।
এবার জোড়া দুঃসংবাদ পেলেন রোনালদো
সম্প্রতি নিজের পারফরম্যান্সে ব্যাপক আলোচনায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। কয়েকদিন আগেই জোড়া হ্যাটট্রিক করেছেন পর্তুগিজ মহাতারকা। সৌদি লিগে রীতিমত উড়ছেন সি’আর সেভেন। তবে এমন পর্যায়ে এসেও জোড়া সুসংবাদ পেলেন রোনালদো।
সোমবার (৮ এপ্রিল) আল-হিলালের বিপক্ষে লাল কার্ড দেখেন রোনালদো। একই সঙ্গে তার দলও সৌদি সুপার কাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে। এবার অসংযত আচরণের জন্য জরিমানার কবলেও পড়েছেন তিনি।
এদিন একের পর এক সুযোগ মিস ও অফসাইডে গোল বাতিল হওয়ায় বেশ চাপে ছিলেন রোনালদো। তার চোখে মুখে হতাশ আর বিরক্তিও দেখা গেছে। সেই চাপেই কিনা শেষমেশ মেজাজ হারালেন সি’আর সেভেন। ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে সময় ক্ষেপণ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে কনুই দিয়ে ধাক্কা দিয়ে বসেন রোনালদো। ম্যাচে এর আগেই হলুদ কার্ড দেখা রোনালদোকে ফের কার্ড দেখান রেফারি। এতে বেশ ক্ষুব্ধ হলেও এই পর্তুগীজ মহাতারকাকে লাল কার্ড নিয়ে বাধ্য হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়।
এমন আচরণে পর্তুগিজ তারকার ওপর ম্যাচ প্রতিবেদনে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন রেফারি মোহাম্মেদ আল-হুওয়াশি। ফলে দুই ম্যাচে নিষিদ্ধও হচ্ছেন রোনালদো। সেইসঙ্গে আর্থিক জরিমানাও থাকছে। সবমিলিয়ে এক রাতেই রোনালদোকে কয়েকদফা দুঃসংবাদ শুনতে হলো। খবর আল রিয়াদিয়া।
শাস্তি হিসেবে পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকাকে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছে সৌদি ফুটবল ফেডারেশন শৃঙ্খলা কমিটি। একইসঙ্গে ২০ হাজার রিয়াল জরিমানাও করা হয়েছে। এর আগে, গত ফেব্রুয়ারিতে দর্শকদের দিকে বাজে অঙ্গভঙ্গির কারণে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।
প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে পিএসজিকে হারাল বার্সা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে পিএসজির মাঠে রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। শুরুর দিকে কোণঠাসা থাকলেও কাতালনাদের জাগিয়ে তুলেন ব্রাজিলিয়ান রাফিনিয়া। তার জোড়া গোলেই মূলত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
বুধবার (১১ এপ্রিল) পার্ক দেস প্রিন্সেসে প্রথম লেগে ৩-২ গোলে জয় তুলে নিয়েছে কাতালানরা।
ম্যাচের শুরুটা ছন্দহীনভাবে করলেও ধীরে ধীরে দাপট দেখাতে থাকে বার্সা। অন্যদিকে বার্সার রক্ষণে শুরু থেকেই আক্রমণ চালায় লুইস এনরিকের শিষ্যরা। তবে কাতালানদের গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগানের নৈপুণ্যে ফরাসি জায়ান্টদের বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট হয়।
তবে চাপ কাটিয়ে দ্রুতই চেনা ছন্দে ফেরে জাভির দল। ম্যাচের ৩৭তম মিনিটে রাফিনহার গোলে লিড নেয় বার্সা। লামিনে ইয়ামালের দুর্দান্ত শট ফিরিয়ে দিলেও দলকে বিপদমুক্ত করতে পারেননি পিএসজি গোলরক্ষক দোনারুম্মা। সুযোগে বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা।
প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়া পিএসজি দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতায় ফেরে। বিরতি থেকে ফিরে পিএসজিকে সমতায় ফেরান উসমান ডেম্বেলে।
এরপর লিড নিতেও সময় নেয়নি ফরাসি জায়ান্টরা। ফাবিয়ান রুইজের বাড়িয়ে দেওয়া বলে ম্যাচের ৫১তম মিনিটে ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে নেন ভিতিনহা।
তবে ম্যাচের ৬২ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল আদায় করে বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান রাফিনহা।
কাতালানদের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেন। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে তার গোলে জয় নিশ্চিত করে জাভির দল।
উল্লেখ্য, আগামী মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বার্সার ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।