বাংলাদেশের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের খেলা
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আজ (২৩ মে)। অন্যদিকে সৌদি প্রো লিগে রোনালদোর আল-নাসরের প্রতিপক্ষ আল রিয়াদ। এ ছাড়াও আছে বেশ কিছু খেলা।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র
রাত ৯টা, নাগরিক টিভি
মেয়েদের প্রথম ওয়ানডে
ইংল্যান্ড-পাকিস্তান
সন্ধ্যা ৬টা, সনি স্পোর্টস টেন ৫
সৌদি প্রো লিগ
আল হিলাল-আল তাই
রাত ১২টা, সনি স্পোর্টস টেন ৩
আল রিয়াদ-আল নাসর
রাত ১২টা, সনি স্পোর্টস টেন ২
আল ইত্তেহাদ-দামাক
রাত ১২টা, সনি স্পোর্টস টেন ১
জার্মান বুন্দেসলিগা
উত্তরণ-অবনমন ম্যাচ, প্রথম লেগ
বোখুম-ডুসেলডর্ফ
রাত ১২-৩০ মিনিট, সনি লিভ
মন্তব্য করুন
বেঙ্গালুরুর পুঁজি ২১৮ / প্লে-অফে উঠতে চেন্নাইয়ের প্রয়োজন ২০১ রান
প্লে-অফের ওঠার কঠিন লড়াইয়ে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সমীকরণ মেলানোর ম্যাচে আগে ব্যাট করে চেন্নাইকে ২১৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছে কোহলিরা।
তবে যদি চেন্নাই ২০১ রান করলেই কপাল পুড়বে বেঙ্গালুরুর। কারণ, প্লে-অফে উঠতে হলে চেন্নাইকে ন্যূনতম ১৮ রানের ব্যবধানে হারাতে হবে বেঙ্গালুরুকে।
শনিবার (১৮ মে) টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে বেঙ্গালুরুর দুই ওপেনার বিরাট কোহলি এবং ফাফ ডু প্লেসিস। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৭৮ রান। তবে তিন রানের জন্য ফিফটি পাননি কোহলি। ২৯ বলে ৪৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ভারতীয় ব্যাটার।
কিন্তু অপর প্রান্ত থেকে ৩৫ বলে ফিফটি তুলে নেন ডু প্লেসিস। ৩৯ বলে ৫৪ রান করে আউট হন এই প্রোটিয়া ব্যাটারও।
ক্যামরুন গ্রিনকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন রজত পাতিদার। ২৩ বলে ৪১ রান করে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন এই তরুণ ব্যাটার। এরপর ৫ বলে ১৪ রান করে আউট হন দিনেশ কার্তিক।
শেষ পর্যন্ত গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ৫ বলে ১৬ রান এবং ক্যামরুন গ্রিনের ১৭ বলের হার না মানা ৩৮ রানের ইনিংসে ভর করে ২১৮ রানের বড় পুঁজি পায় বেঙ্গালুরু।
চেন্নাইয়ের হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন শার্দুল ঠাকুর। এ ছাড়া তুষার দেশপান্ডে এবং মিচেল স্যান্টনার নেন একটি করে উইকেট।
মেসিকে নিয়েই আর্জেন্টিনার শক্তিশালী দল ঘোষণা
আর মাত্র এক মাস পরেই মাঠে গড়াবে কোপা আমেরিকার এবারের আসর। তবে এর আগে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। ইকুয়েডর ও গুয়াতেমালার বিপক্ষে লড়বে তারা।
সোমবার (২০ মে) ইকুয়েডর ও গুয়াতেমালা ম্যাচের জন্য ২৯ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি। আগামী ১০ জুন ইকুয়েডর ও ১৪ জুন গুয়াতেমালার বিপক্ষে খেলবে আর্জেন্টিনা।
ধারণা করা হচ্ছে, দুই প্রীতি ম্যাচের স্কোয়াড থেকে তিনজনকে ছাঁটাই করে চূড়ান্ত করা হবে আলবিসেলেস্তেদের কোপা আমেরিকার দল। কারণ, এবারের আসরে ২৬ সদস্যের দল ঘোষণার অনুমোদন দিয়েছে কনমেবল।
আগামী ২০ জুন কোপায় আর্জেন্টিনা প্রথম ম্যাচ খেলবে কানাডার বিপক্ষে, আটালান্টার মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়াম। ২৫ জুন নিউজার্সিতে দ্বিতীয় ম্যাচের প্রতিপক্ষ চিলি। আর ২৯ জুন মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের শেষ প্রতিপক্ষ পেরু।
আর্জেন্টিনার স্কোয়াড: ফ্রাঙ্কো আরমানি, জেরোনিমো রুলি, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, গঞ্জালো মন্টিয়েল, নাহুয়েল মোলিনা, লিওনার্দো বালের্দি, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, জের্মান পেজ্জেলা, লুকাস কুয়ার্তা, নিকোলাস ওতামেন্দি, লিসান্দ্রো মার্টিনেজ, মার্কোস অ্যাকুনা, নিকোলাস তাগলিয়াফিকো, ভ্যালেন্তিন বার্কো, গিদো রদ্রিগেজ, লিয়ান্দ্রো পারেদেস, অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, রদ্রিগো ডি পল, এক্সিকুয়েল প্যারাসিওস, এনজো ফার্নান্দেজ, জিওভানি লো সেলসো, আনহেল ডি মারিয়া, ভ্যালেন্তিন কার্বোনি, লিওনেল মেসি, আনহেল কোরেয়া, আলেহান্দ্রো গার্নাচো, নিকোলাস গঞ্জালেজ, লাউতারো মার্টিনেজ ও হুলিয়ান আলভারেজ।
যেভাবে দেখবেন বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ
দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আর মাত্র কয়েকদিন পরই মাঠে গড়াবে বৈশ্বিক এই মহারণের নবম আসর। বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের প্রস্তুতিপর্ব শুরু করেছে বাংলাদেশ। বিশ্বমঞ্চে মাঠে নামার আগে স্বাগতিকদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে টাইগাররা।
মঙ্গলবার (২১ মে) মাঠে গড়াচ্ছে এই সিরিজের প্রথম ম্যাচ। প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
এদিকে হিউস্টন শহরে বজ্রঝড়ে সিরিজটি মাঠে গড়ানো নিয়েই শঙ্কা ছিল। সেই শঙ্কা কেটে যাওয়ার পর টাইগার সমর্থকদের খেলা দেখা নিয়েও সংশয় ছিল। তবে দূর হয়েছে সেই সংশয়ও। টিভি ও অনলাইন দুই মাধ্যমেই এই সিরিজের সবকটি ম্যাচ দেখা যাবে।
বেসরকারি চ্যানেল নাগরিক টিভি এই পুরো সিরিজটি সরাসরি দেখাবে। অনলাইনেও এই সিরিজটি দেখা যাবে। নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে ওটিটি প্লাটফর্ম টফির ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে খেলা দেখা যাবে।
এদিকে আগামী ২ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর মাঠে গড়াচ্ছে। ২০ দলের এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের অভিযান শুরু হবে ৮ জুন। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে শান্তর দল।
১০ জুন দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা। পরবর্তীতে ১৩ জুন নেদারল্যান্ডস এবং ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচ ২৩ ও ২৫ মে অনুষ্ঠিত হবে। একই ভেন্যুতে সিরিজের সবকটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সিরিজের পরের ম্যাচ দুটিও একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপের শক্তিশালী স্কোয়াড ঘোষণা পাকিস্তানের
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। তবে অনেক নাটকীয়তার পর শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এবার বিশ্বকাপের দ্য গ্রিন ম্যানদের নেতৃত্ব দিবেন বাবর আজম।
দল ঘোষণায় দেরি করলেও, আগে জানা গিয়েছিল আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য ১৮ সদস্য থেকেই তাদের ১৫ জনকে চূড়ান্ত করা হবে বিশ্বকাপের জন্য। তাই পাকিস্তানের বিশ্বকাপ কেমন হবে তা কিছুটা আগে জানা গিয়েছিল।
বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দলটিতে তেমন চমক নেই। শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফখর জামানের সঙ্গে অবসর ভেঙে ফেরা মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিমের মতো তারকারা আছেন চূড়ান্ত স্কোয়াডে।
এ ছাড়া প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার ডাক পেয়েছেন সাইম আইয়ুব, উসমান খান, আজম খান ও আব্বাস আফ্রিদি।
আগামী ২ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর শুরু হবে। ২৫ মে স্কোয়াড চূড়ান্ত করার শেষ দিন। তার আগেরদিনই জরুরি বৈঠকের পর পাকিস্তান স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। এর আগে অবশ্য এ নিয়ে কম নাটকীয়তা হয়নি।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে আগামী ৭ জুন স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে খেলবে বাবরের দল। এরপর ৯ জুন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত, ১২ জুন কানাডা ও ১৬ জুন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের শেষ ম্যাচ।
পাকিস্তানের বিশ্বকাপ স্কোয়াড: বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, ফখর জামান, সাইম আইয়ুব, আবরর আহমেদ, উসমান খান, আজম খান, ইফতেখার আহমেদ, শাদাব খান, ইমাদ ওয়াসিম, হারিস রাউফ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, আব্বাস আফ্রিদি ও মোহাম্মদ আমির।
আইপিএল ২০২৪ / বৃষ্টির কারণে ফাইনাল ভেস্তে গেলে চ্যাম্পিয়ন হবে যে দল
আইপিএলের ১৭তম আসরের ফাইনালে কালকাতা নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি হবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আজ (রোববার) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় চেন্নাইয়ের চিপকেতে অনুষ্ঠিত হবে শিরোপা জয়ের লড়াই। কিন্তু এই ম্যাচে রয়েছে বৃষ্টির শঙ্কা।
বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়া রেমালের প্রভাব পড়েছে ভারতের কিছু অঞ্চলে। রেমালের প্রভাবে বৃষ্টিতে পণ্ড হয়ে গেছে কলকাতার অনুশীলনও। ফলে যদি ফাইনাল মাঠে না গড়ায় তাহলে ম্যাচ গড়াবে রিজার্ভ ডেতে।
চেন্নাইয়ের আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রোববার চেন্নাইয়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন ২৯ ডিগ্রি। সে হিসেবে সন্ধ্যার দিকে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। সবমিলিয়ে সারাদিনে বৃষ্টির সম্ভাবনা পাঁচ শতাংশেরও কম।
বৃষ্টি কিংবা কোনো কারণে আজকের খেলা ভেস্তে গেলে ম্যাচ গড়াবে আগামীকাল রিজার্ভ ডেতে। সে হিসেবে আজ যেখান খেলা শেষ হবে, সেখান থেকেই পরদিন খেলা শুরু হবে। অর্থাৎ কোনো দল যদি ১০ ওভার খেলার পর বৃষ্টিতে আর ম্যাচ না গড়ায়, তাহলে সোমবার ১০ ওভারের পর থেকেই খেলা শুরু হবে। তারপর ভারতীয় বোর্ডের নিয়মে চলবে খেলা।
আর যদি বৃষ্টির জন্য রিজার্ভ ডেও ভেসে যায়, তাহলে কেকেআর চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে। নিয়ম অনুযায়ী, যে দল লিগ পর্বের পয়েন্ট তালিকায় ওপরে থেকে শেষ করবে, সেই দলের হাতে আইপিএল ট্রফি উঠবে। আর এবার লিগ পর্বে সানরাইজার্স ছিল দ্বিতীয় স্থানে, শীর্ষে থেকে কেকেআর লিগ শেষ করেছে, তাই কেকেআর চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে।
একদিকে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা কলকাতা তৃতীয় শিরোপার অপেক্ষায়, অন্যদিকে আসর জুড়ে রান বন্যা বইয়ে দেওয়া হায়দরাবাদের সামনে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হাতছানি। তবে ম্যাচটি ঠিকঠাক মাঠে গড়াবে কিনা তা নিয়েই থেকে যাচ্ছে সংশয়।
আইপিএল প্রাইজমানি : কে কত পুরস্কার পেলেন
একপেশে ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নেমেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসরের। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ছুঁড়ে দেওয়া ১১৪ রানের মামুলি লক্ষ্য ৫৭ বল এবং ৭ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে গেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ফাইনালে হায়দরাবাদকে নিয়ে রীতিমতো ছেলে-খেলা করে তৃতীয় শিরোপা ঘরে তুললো কলকাতা।
তবে শুধু চ্যাম্পিয়ন ট্রফিই নয়, শিরোপা জিতে মোটা অঙ্কের প্রাইজমানিও পেয়েছে তারা। ১৭তম আসরের চ্যাম্পিয়ন দল কলকাতা ২০ কোটি রুপি প্রাইজমানি পেয়েছে। অন্যদিকে রানার্সআপ হায়দরাবাদ পেয়েছে ১২ কোটি ৫০ লাখ রুপি। স্বীকৃতি হিসেবে তাদের একটি শিল্ডও দেওয়া হয়েছে।
এদিকে পিচ অ্যান্ড গ্রাউন্ড অ্যাওয়ার্ড হিসেবে ৫০ লাখ রুপি পেয়েছে হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। মূলত এবারের আসরের প্রায় সব পুরস্কারই নিজেদের করে নিয়েছে দুই ফাইনালিস্ট দল। ব্যক্তিগত প্রাপ্তিতেও তারাই আধিপত্য দেখিয়েছে।
এবারের আসরে মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার হয়েছেন সুনীল নারিন। এ নিয়ে তিনবার এই পুরস্কার জিতলেন তিনি। পাশাপাশি ফ্যান্টাসি ইলেভেন বেস্ট প্লেয়ার অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন তিনি। দুই পুরস্কার বাবদ ২০ লাখ রুপি পেয়েছেন ক্যারিবিয়ান এই অলরাউন্ডার। এবারের আসরে ৪৮৮ রানের পাশাপাশি ১৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
ফাইনালে ফ্যান্টাসি প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হিসেবে ১ লাখ রুপি এবং প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হিসেবে পেয়েছেন ৫ লাখ রুপি জিতেছেন আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় মিচেল স্টার্ক।
এ ছাড়া সবচেয়ে বেশি ডট বলের জন্য ১ লাখ রুপি জিতেছেন হার্ষিত রানা। ফাইনালে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রহমানউল্লাহ গুরবাজ এবং সবচেয়ে বেশি ছক্কা মেরে ভেঙ্কটেশ আইয়ার ১ লাখ রুপি করে পেয়েছেন।
৭৪১ রান করে এবারের আসরের শীর্ষ রানসংগ্রাহক বিরাট কোহলি। এক সেঞ্চুরি ও পাঁচ হাফ-সেঞ্চুরিতে ১৭তম আসর রাঙিয়েছেন এই ব্যাটিং দানব। অরেঞ্জ ক্যাপের পাশাপাশি ১০ লাখ রুপি জিতেছেন তিনি।
২৪ উইকেট নিয়ে পার্পল ক্যাপ এবং ১০ লাখ রুপি পেয়েছেন পাঞ্জাব কিংসের হার্শাল প্যাটেল। সেরা ক্যাচের জন্য রামানদ্বীপ সিং, বেস্ট স্ট্রাইকরেটের জন্য জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক ১০ লাখ রুপি করে পুরস্কার পেয়েছেন।
সবচেয়ে বেশি চার হাঁকিয়ে ট্রাভিস হেড এবং ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে অভিষেক শর্মা ১০ লাখ রুপি করে জিতেছেন। এ ছাড়া বর্ষসেরা উদীয়মান খেলোয়াড় হিসেবে নিতিশ কুমার রেড্ডি ১০ লাখ রুপির পুরস্কার পেয়েছেন।
অক্ষুণ্ণ থাকল মোস্তাফিজের ‘রেকর্ড’
বছরের পর বছর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) একটি রেকর্ড নিজের দখলে রেখেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার এই রেকর্ড এখনও কেউই ভাঙতে পারেননি। একমাত্র বিদেশি হিসেবে আইপিএলের উদীয়মান ক্রিকেটারের খেতাব জিতেছেন দ্য ফিজ।
২০১৫ সালে লাল-সবুজের জার্সিতে স্বপ্নের মতো অভিষেকের পর ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো ডাক পান আইপিএলে। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম আসরেই হয়ে উঠেন তুরুপের তাস। নিজের দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে একমাত্র শিরোপা জেতাতেও বড় অবদান রাখেন কাটার-মাস্টার। তার আঁটসাঁট বোলিংয়ে রীতিমতো খাবি খায় প্রতিপক্ষ ব্যাটাররা।
পুরো আসরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ইমার্জিং প্লেয়ার বা আইপিএলের উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতে নেন বাংলাদেশি এই পেসার। সে সময়ে একমাত্র বিদেশি হিসেবে এই খেতাব ছিনিয়ে এনেছিলেন তিনি। আর মজার বিষয় হলো, আইপিএলে এখন পর্যন্ত ফিজই একমাত্র অভারতীয় ক্রিকেটার, তার ঝুলিতে এই খেতাব রয়েছে।
এখন পর্যন্ত ১৭ আসরের মধ্যে ১৬টি আসরেই এই খেতাব জিতেছেন ভারতীয়রা। ২০০৮ সালে প্রথম আইপিএলে ইমার্জিং প্লেয়ার অ্যাওয়ার্ড জেতেন শ্রীবৎস গোস্বামী। ২০০৯ সালে রোহিত শর্মার হাতে এই খেতাব ওঠে। এ ছাড়া ২০১০ সালে সৌরভ তিওয়ারি, ২০১১ সালে ইকবাল আব্দুল্লাহ, ২০১২ সালে মানদ্বীপ সিং এবং ২০১৩ সালে সাঞ্জু স্যামসন পান এই পুরস্কার।
মোস্তাফিজ পাওয়ার আগের দুই আসরে অক্ষর প্যাটেল ও শ্রেয়াস আইয়ার অ্যাওয়ার্ড পান। টাইগার এই পেসারের পর ২০১৭ সালে বাসিল থাম্বি, ২০১৮ সালে রিশাভ পান্থ, ২০১৯ সালে শুভমান গিল, ২০২০ সালে দেবদূত পাডিক্কেল, ২০২১ সালে রুতুরাজ গাইকোয়াড, ২০২২ সালে উমরান মালিক এবং ২০২৩ সালে যশস্বী জয়সওয়াল ইমার্জিং প্লেয়ারের খেতাব পান। এবারও ভারতীয় ক্রিকেটার নিতিশ রেড্ডির হাতে উঠল এই পুরস্কার।