‘লকডাউনে গেমস চালু রাখায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ’
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে শুরু হয় বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমস। বিশাল এই আয়োজন চলাকালে সরকার লকডাউন ঘোষণা দেয়। এতে এবারের আসর নিয়ে জাগে শঙ্কা। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গেমস চালু রাখার অনুমতি দেয়ার পর বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) কর্মকর্তারা সফল আয়োজনের জন্য রাতদিন পরিশ্রম করছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুন্দরভাবে আয়োজনের চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিভিন্ন ভেন্যুতে ছুটে চলা বিওএ’র মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বুধবার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তায়েকোয়নডোর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে। এসময় গেমস চালু রাখায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জিমন্যাশিয়ামে বিজয়ীদের গলায় পদক পরিয়ে দেয়ার পর কথা বলেন বিওএ মহাসচিব।
‘গেমসের বিভিন্ন ডিপ্লিনের খেলা অনেকটাই এগিয়ে গেছে। আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে। যার নেতৃত্বে এ গেমস হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুমতি না দিলে আজ এ গেমস হতো না। লকডাউনে গেমস সচল রাখার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেন গেমস হয় -তা নিশ্চিত করতে বলেছেন। তিনি যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন সে আঙ্গিকেই কিন্তু গেমস হচ্ছে। এ গেমসের মাধ্যমে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি বিভিন্ন ডিসিপ্লিন থেকে উঠে আসা নতুন ক্রীড়াবিদ। সঠিক পরিচর্যা করা হলে ভবিষ্যতে তারাই দেশের ক্রীড়াঙ্গণকে নেতৃত্ব দেবে।’ বলছিলেন শাহেদ রেজা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিওএর উপমহাসচিব আসাদুজ্জামান কোহিনুর, তায়কোয়ান্দো ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম রানা, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক মিজানুর রহমান শামীমসহ অন্যান্যরা।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে নেপালে অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের প্রথম সোনা এসেছিল তায়কোয়ানদো থেকে। সে প্রসঙ্গ টেনে সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেন, ‘নেপালে কাঠমান্ডুতে এসএ গেমস থেকে প্রথম গোল্ড কিন্তু তায়েকোয়নডো থেকে এসেছে। আমি চাই তার ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকে। বিওএ সবসময় তায়েকোয়নডোকে সহযোগিতা করবে।’
ওয়াই
মন্তব্য করুন